হয়তো_ভালোবাসি
part_08
#writer_Eshetaq_Nora
পরেরদিন সকালে সবাই আকাশের বুক করা গাড়িতে করে বাড়ির দিকে রওনা দিলো।। যেহেতু পরের দিন সংগীত তাই সবাই নিসুর বাড়িতে চলে গেল।।পুরো জার্নিতে নীড় বোম হয়ে বসে ছিলো। কেননা নেশার পাশে আকাশ বসেছে আর নেশা আকাশের কাধে মাথা দিয়ে ঘুমিয়ে গেছে।ব্যাপার টা নীড়ের জন্য প্রচুর পরিমাণে বিরক্তিকর। নীড়ের ইচ্ছা করছে আকাশকে লাথি দিয়ে বাস থেকে বাইরে ফেলে দিতে। কিন্তু পারছে নাহ।সবাই সবার কাপল দের সাথে বসেছে।কিন্তু নীড় বেচারা একা বসে আছে গাল ফুলিয়ে। যা নিসু লক্ষ্য করলো।
পরেরদিন
রাতে সাংগীতি তাই সকালে সবার তেমন কোন কাজ নেই।।যে যার যার মতো কাজ করছে।।হঠাৎ সেখানে উপস্থিত হলো একটা মেয়ে।দেখতে খুব সুন্দর । কিন্তু একটু বেশিই স্টাইলিশ। মেয়েটা আর কেউ নাহ নীড়ের হবু বউ ইশা??
নীড় তো দেখেই থ।।এই জঞ্জাল কে এখানে ডাকলো কে ইশা তো নীড়কে দেখেই দৌড়ে এসে তাকে জড়িয়ে ধরলো।
ইশাঃ বেবি তুমি কেমন আছো।জানো তোমায় কতো মিস করেছি??
নীড়ঃ ইশা আমাকে ছাড়ো সবাই দেখছে।[ইশাকে ছাড়াতে চেয়ে ]
ইশাঃ তাতে আমার কি।আমি আমার হাবি কে জড়িয়ে ধরেছি।।তাতে কার বাপের কি।
নীড়ঃ দেখো ইশা এইখানে অনেক মানুষ আছে।আর তুমি জানো আমি এইসব পছন্দ করি নাহ।নাও লিভ মি।
ইশাঃ হুহ?[বলেই নীড়কে ছেরে দিলো ]
নীড়ঃ এখন বলো তুমি এখানে কেন?
ইশাঃ তুমি ই তো আমাকে মিস করছো। রাফি ফোন দিয়ে বললো।তাই আমি চলে এলাম??
নীড়ঃ এই রাফির বাচ্চাকে তো আমি?♀?♀
ইশাঃ কি বিড়বিড় করছো বেবি??
নীড়ঃ কিছু নাহ বেবি।চলো তোমার সাথে সবার পরিচয় করিয়ে দেই।
।
।
নীড় সবার সাথে ইশাকে পরিচয় করাতে নিয়ে গেল।
নীড়ঃ একে তো তুমি চিনোই রাফি,আর এই হলো সায়ান।।।আর ও হলো নিসু রাফির উডবি।।আর ও হলো ইমা সায়ানের উডবি।।আর ও হলো নেশা
ইশাঃ তোমার কোন উডবি নেই?
নেশাঃ ?।হ্যাঁ আছে ওয়েট।।[এইটা বলেই আকাশকে ডাক দিলো।আকাশ সামনে আসলো ]
নেশাঃ এই হলো আমার উডবি?
ইশাঃ ???????এ তোমার উডবি। কিন্তু এইটা তো….
আকাশঃ নেশা তোমার সাথে একটু কথা আছে চলো।।[বলে নেশাকে নিয়ে চলে গেল]
ইশাঃ এই মেয়েটা কে নীড়??!!!
নীড়ঃ ও নিসুর বেস্টফ্রেন্ড।
ইশাঃ ওহহ?
নীড়ঃ আচ্ছা চলো তোমায় রুমে পৌছে দেই
।
সবাই যার যার ঘরে চলে গেল
।
।
নীড় গিয়ে রাফিকে চেপে ধরলো
নীড়ঃ শালা তুই ইশাকে কেন এনেছিস???
রাফিঃ আরে তোকে বাসে দেখলাম গাল ফুলিয়ে বসে আছিস।।ভাবলাম তুই বুঝি ভাবি কে মিস করছিস।তাই ভাবিকেও দাওয়াত দিলাম
নীড়ঃ ?????
রাফিঃ ?????
।
।
।
রাতে—
আকাশঃ তুমি কাউকে কিছু বলবে নাহ।তাহলে খুব খারাপ হয়ে যাবে বলে দিলাম।
মেয়েটিঃ আমি তো বলবোই আর এই মেয়ে কে।।আর ও তোমার হবু ওয়াইফ হয় কিভাবে।তোমার বিয়ে তো আমার সাথে হওয়ার কথা ছিলো।১ বছরই বা তুমি কোথায় চলে গিয়েছিলে।কতো জায়গায় খুজেছি তোমায়??।।প্লিজ কিছু বলো
আকাশঃ দেখ যা হয়েছে ভুলে যাও।আর নীড়কে বিয়ে করো।।আমাকে আমার মতো থাকতে দাও
মেয়েটিঃ ভুলে যাবে!!! কিভাবে ভুলবো আমি।।আর তুমি তো আমায় কথা দিয়েছিলে নিরব খানের ফেমিলি শেষ করার পর আমরা বিয়ে করবো।।তাহলে তুমি আমায় রেখে কেন চলে গেলে??
আকাশঃ দেখ ইশা আমি তোমাকে বিয়ে করতে পারবো নাহ আমি নেশাকে ভালোবাসি
[জি এতোক্ষণ আকাশ যার সাথে কথা বলছিলো সে হলো ইশা।।নীড়ের হবু বউ।।আর আকাশের প্রাক্তন ?? ]
ইশাঃ হোয়াট ?।কে এই নেশা।।
আকাশঃ ও নিরব খানের মেয়ে?
ইশাঃ ???????হোয়াট!!!!!! মানে কি তোমার তো প্লেন ছিলো ওদের মেরে ফেলা।তাহলে নেশা এখনো জীবিত আছে কেন?????
আকাশঃ ওর মা বাবা কে মেরে ফেলেছি।। কিন্তু ওকে মারতে…..
ইশাঃ ওহহ এখন মারবে।।ওকে তাহলে ঠিকা আছে।।এই মাসেই তাহলে আমরা বিয়ে করে ফেলবো।?
আকাশঃ আমি নেশাকে মারবো নাহ?
ইশাঃ কেন?
আকাশঃ আমি ওকে ভালোবাসি। ওকে আমার চাই?
ইশাঃ ??এইটা কখনোই সম্ভব নাহ।তুমি শুধু আমার আর কারো নাহ।।
আকাশঃ আগে যা হয়েছে তা ভুলে যাও ইশা।।তোমার জন্য এখন নীড় আছে।তাকে নিয়ে নতুন করে বাঁচতে শিখো।
ইশাঃ ফাজলামো পেয়েছো তুমি।।তোমাকে তো আমি নেশার ভুলেও হতে দিবো নাহ।।নেশাকে আমি সব বলে দিব।তখন দেখি তুমি নেশাকে কিভাবে পাও।
আকাশঃ ব্লাকমেইল করা অফ করো ইশা।তুমি জানো তুমি আমার কিছু করতে পারবে নাহ।।নেশাকে যখন বলেছি আমি নিজের করবো তখন করবোই।
ইশাঃ সেইটা কখনোই হবে নাহ।।কারন আজ এখন আমি নেশাকে সব সত্যি বলবো
আকাশঃ ভুল করো নাহ ইশা। এই কাজ করার সাহস ও দেখিও নাহ।
ইশাঃ তুমি যাস্ট দেখো আমি কি করি।তুমি আমার না হলে কারো নাহ।[বলেই ইশা যেতে নিলো।।আকাশ পিছন থেকে ইশাকে গুলি করে দিলো।একসাথে ৬ টা গুলি সব ইশার পিঠে ঢুকিয়ে দিলো।ইশা মাটিতে লুটিয়ে পড়লো]
ইশার লাশের সামনে দাড়িয়ে
আকাশঃ নেশা শুধু আমার।। শুধু আমার। ওকে আমি নিজের করে ছাড়বো।আর যে তার মধ্যে বাধা দিবে তাকে তোমার মতোই গায়েব করে দিবো ইশা বেবি??
বলেই আকাশ চলে গেল।।
এইদিকে নীড় তো থ??।ও ইশা আর আকাশের কোন কথাই শুনেনি। কিন্তু আকাশ যে ইশা কে খুন করেছে তা সে দেখেছে।
নীড়ঃ আকাশ একজন খুনি??।।আল্লাহ নেশাকে খবরটা নেশাকে জানাতে হবে।।নাহ আজ নাহ কাল সকালেই না হয় জানাবো।।
সবাই রাতে সাংগীতি এ অনেক মজা করলো।কিন্তু নেশা আজও নাচেনি।আকাশ সাথে ছিলো বলে নিসুও আর জোর করেনি।
এখন চলুন আমরা জেনে নেই কেন আকাশ নেশার বাবা-মাকে মেরেছে—
[নেশা সিডনিতে লেখাপড়া করতে যায়।। আকাশ তার বাবার পরিচিত ছিলো। আকাশ একজন বড় মাফিয়া। আর নেশার বাবা যেহেতু রিপোর্টার সে আকাশের ইলিগ্যাল কাজের কিছু প্রমান কালেক্ট করে পুরো দেশে ছড়িয়ে দেয়।।যার ফলে আকাশে জেল হয়।।কিন্তু আকাশ তার ক্ষমতা দিতে বেড়িয়ে আসে। আর নেশার বাবার থেকে প্রতিশোধ নেয়ার জন্য নেশার বাবা – মাকে খুন করে।আর ওই সময় আকাশের গার্লফ্রেন্ড ছিলো ইশা।নেশা এইসব কিছুই জানতো নাহ।।।তাকে জানানো হয় তার বাবা মা গাড়ি এক্সিডেন্টে মরে গেছে।নেশা দেশে আসে তার বাবা মাকে দেখার জন্য।তখন আকাশ জানতে পারে নিরব খানের একটা মেয়ে আছে সে হলো নেশা।তাই নেশাকে খুন করার জন্য আকাশ পরিকল্পনা করে।।কিন্তু নেশাকে দেখে তার ভালো লেগে যায়।এককথায় প্রেমে পরে যায়।তাই নেশাকে খুন করে নাহ। উল্টো নেশার সাথে বন্ধুত্ব গড়ে তোলে।নেশা ও একা হওয়ার কারনে আকাশের সাথে বেশি ফ্রি হয়ে যায়।।আর আকাশের সাথে মিলে আবার সিডনি চলে যায় লেখাপড়ার জন্য।মুলত আকাশই তাকে ভুলিয়ে ভালিয়ে নিয়ে যায়।যাতে আকাশ একজন মাফিয়া তা নেশা জানতে নাহ পারে।আর সিডনিতে আকাশ নেশাকে প্রোপজ করে নেশাও রাজি হয়ে যায় । কিন্তু এর কিছুই ইশা জানতো নাহ]
তো এই ছিল কাহিনি
।
।
চলবে
[যারা আকাশের সাথে মিলাতে চাইছো তারা কিছু বলবা?? আর আরেক কথা⚡⚡অনেকে বলতাছে নীড় এইটা করছে নীড় ওইটা করছে তার সাথে মিল দেয়া যাবে নাহ।দিলে এইটা করবেন ওইটা করবেন।।তাদের বলতাছি গল্পের নামটা আবার পড়েন।।#হয়তো_ভালোবাসি।।এইখানে আমি বলি নাই যে তাদের মধ্যে এইরকম ভুল হবে নাহ।।নায়ক নায়িকার এমন বিহেভ থাকবো বলেই আমি গল্পের নাম দিছি #হয়তো_ভালোবাসি।।আর গল্পটা আমি অনেক আগে থেকেই ঠিক করে রেখেছি যে কিভাবে লিখবো।সো আমি যা ভেবেরেখেছি ওই ভাবেই লিখবো।।তাতে আপনারা নাহ পড়লে আমার কিছু করার নেই।।কিন্তু যতসব বাজে কমেন্ট করে আমার গল্পের কাহিনি পাল্টাতে পারবেন নাহ।সো নিজেদের সময় নষ্ট নাহ করে গল্প পড়া থেকে বিরত থাকুন।? ]