হয়তো_ভালোবাসি Part_04

0
3044

হয়তো_ভালোবাসি
Part_04
#writer_Eshetaq_Nora

নীড় নেশার পিছনে দৌড়ে গেল।।কিন্তু পেলো নাহ।হঠাৎ সায়ান তার সামনে এলো।

সায়ানঃ নেশার কি হয়েছে নীড় ওর এই অবস্থা কেন

নীড়ঃ ননেশা ককোথায়??

সায়ানঃ চলে গেছে। আগে বল এইসব কি হচ্ছে??

নীড় সায়ানকে সব খুলে বললো।

সায়ানঃ আর ইউ মেড।বাংলা ভাবে শাড়ি পড়লে একটু কোমড় দেখাই যায়।তাই বলে তুই এইকাজ করবি।দোষ টা নেশার ছিলো নাহ ওই ছেলের ছিলো।তো নেশাকে কেন তুই এম…..

নীড়ঃ আমি আসলে রাগে করে ফেলেছি।ছেলেটা ওর কোমড়ে হাত দিয়ে চেয়েছিলো যা দেখে নিজেকে কনট্রোল করতে পারিনি??

সায়ানঃ লাইক সিরিয়াসলি। যাকে ভালোবাসিস নাহ তার জন্য এতো ইনসিকিউরড হওয়ার দরকার কি।মেয়েটার মন টা তো ভেঙেছিস। এখন আরো কি চাস তুই??(রেগে)

[আসলে সায়ান নেশাকে ধোকা দেওয়ার বিপক্ষে ছিলো।কিন্তু নীড় বলেছিলো যাতে নেশাকে না জানায় না হলে বন্ধুত্ব শেষ করে দিবে।তাই সায়ান ও কিছু বলেনি।কিন্তু সে চায় নীড় নেশাকে ভালোবাসক৷ ]

নীড়ঃ আমি কিছু জানি নাহ ওর দিকে কেউ তাকাতে পারবে নাহ বেসস??।

সায়ানঃ সো ফানি।একসাথে দুই নৌকায় পা রেখে চলছিস।নট বেড

নীড়ঃ সায়ানননন

সায়ানঃ কি সায়ান।চিৎকার করলে সত্যি মিথ্যা হয়ে যায় নাহ।।যাকে ভালোবাসিস নাহ তার মানুষ কোমড় ধরক নাহ হয় রেপ করোক তাতে তোর কি।

নীড়ঃ সায়ান[ভীষণ রেগে সায়ানের গালে থাপ্পড় বসিয়ে দিলো।আর সেখান থেকে চলে গেল ]

সায়ানঃ আই এম সরি নীড়।আমি ওইভাবে বলতে চাইনি।কিন্তু আমাকে বলতে হলো তোকে রাগানোর জন্য। কারন তুই নেশার নেশায় পড়ে গেছিস। হয়তো তুই বুঝতে পারছিস নাহ।হয়তো তুই মানবি ও নাহ।কিন্তু নেশা যত করবি নেশা বাড়বে কমবে নাহ।তখন তুই কি করবি আমি ও দেখবো??ওই নিহাকে বিয়ে করবি নাকি নেশা.।

এইদিকে নীড় গাড়ি নিয়ে নেশার বাড়ির সামনে দাড়িয়ে আছে।কিন্তু ভিতরে যাবে কিনা ভাবছে।

নীড়ঃ যাবো ভিতরে ??।।কিন্তু যদি সবাই জিজ্ঞাসা করে আমি কে।কি বলবো।।লুকিয়ে যাবো??।কিন্তু যদি নেশা রিয়েক্ট করে।খুব ভয় পেয়েছে বুঝাই গেছিলো।কাজ টা করা একদম ঠিক হয়নি।থাক কাল বরং কলেজে গেলে সরি বলে দিবো।আজ বাড়িতে থেকে মাথা ঠান্ডা হোক।।।

পরেরদিন

নীড় নেশার ক্লাসরুমে গেল।কিন্তু নেশাকে পেলো নাহ।

নীড়ঃ নিসু নেশাকি আজ আসেনি??

নিসুঃ নাহ ভাইয়া।

এইভাবে প্রায় একমাস হয়ে গেল।কিন্তু নেশার কোন খোঁজ নেই।প্রতিদিনই নীড় নেশাকে খুজতে ক্লাসরুমে আসে কিন্তু তাকে পায় নাহ।

নীড়ঃ নিসু প্লিজ বলো নেশা কোথায়। ওর কি হয়েছে।ওর বাড়িতে ওকে আমি পাইনি।

নিসুঃ আসলে ভাইয়া?

নীড়ঃ প্লিজ বলো।

নিসুঃ নেশা আর কলেজে আসবে নাহ।ও চলে গেছে।

নীড়ঃ আসবে নাহ মানে।কোথায় গেছে??

নিসুঃ আমি জানি নাহ কোথায় গেছে।কিন্তু ও আর এই কলেজে আসবে নাহ।

নীড় নিসুকে কিছু নাহ বলে নেশার বাড়িয়ে ছুটে গেল।নেশার মা- বাবা নীড় কে দেখে খুব অবাক হলো।

নিরবঃ তুমি কে বাবা?

নীড়ঃ আঙ্কেল আমি নেশার কলেজে পড়ি।

নিরবঃ ওহহ তো তুমি এখানে।নেশা তো নেই।

নীড়ঃ আঙ্কেল আসলে নেশার সাথে আমার একটু দরকার ছিলো।

নিরবঃ কিন্তু তুমি তো ওকে পাবে নাহ।

নীড়ঃ কেন আঙ্কেল প্লিজ ওকে একটু ডেকে দিন।আমি চলে যাবে একটু কথা বলে।

নিরবঃ ও তো এখানে৷ নেই।

নীড়ঃ মানে কোথায় ও?

নিরবঃ কোথায় তাতো বলতে পারবো নাহ।কিন্তু ও এই দেশে নেই।

নীড় কথাটা ঠিক মতো হজম করতে পারলো নাহ।আসলে নেশা তার বাবা মাকে বলেছে যাতে সে কোথায় আছে কাউকে নাহ বলে।তাই তারা নীড়কে বলেনি।।নিসু ও ব্যাপার টা জানে।কিন্তু নেশা তাকে ও না করেছে বন্ধুত্বের কসম দিয়ে।

[এইভাবেই তাদের দিন কাটতে থাকে।নীড় নেশার খবর পায়নি।অবশ্য যদি মন থেকে চাইতো হয়তো সন্ধান পেত।সেতো নিহার প্রেমে অন্ধ।।তবুও নেশাকে মনে পড়তো।।কিন্তু তা নিয়ে মাথা ঘামাতো।।আসলে ওইদিন পার্টির ঘটনার পর নেশা ওই কলেজে আর নীড়ের সামনে যেতে আনইজি ফিল করছে।পাশাপাশি ঘৃনা ও করছে নীড়ের প্রতি।তাই বাড়িতে এসে বাবা মাকে বলে সে বাইরে লেখা পড়া করতে চায়।তাই সে সিডনিতে চলে যায়।।এইভাবেই তারা দুজন আলাদা হয়ে যায়]

❤❤❤❤দুইবছর পর❤❤❤❤

রাফিঃ দোস্ত তোরা এখন আসলি।।এতোক্ষণ ধরে তোদের জন্য ওয়েট করছি জানিস।আজ কিন্তু আর যেতে পারবি নাহ।।পুরো বিদায় পর্যন্ত থাকতে হবে ওকে।।।

সায়ানঃ আরে এইজন্যই তো গাট্টি বোস্তা সব নিয়ে এসেছি।।পুরো একমাস থেকে তারপর যাবো??।কি বলিস নীড়।

নীড়ঃ হুম তাই।নিসু কোথায়।

রাফিঃ আর বলিস নাহ পার্লারে গেছে আর কোথায় যাবে।

নীড়ঃ ওহহ।।আচ্ছা আমাকে একটু রুম টা দেখিয়ে দে কোথায় থাকব। আই এম টায়ার্ড (বলেই চলে গেল)।।

[এখন আসি আসল কথায়।নীড় আর সায়ান এসেছে নিসু আর রাফির বিয়েতে।হ্যাঁ তাদের বিয়ে ঠিক হয়েছে। ওইবছর ই কলেজে নীড়দের লাস্ট ইয়ার ছিলো।তাই তারা যাত যার কাজে আলাদা হয়ে যায়।নীড় তার বাবার বিজনেসে জয়েন করে।আজ ২ বছর পর আবার সবাই একসাথে হলো রাফি আর নিসুর বিয়ে উপলক্ষে ]

রাতে–
৩ বন্ধু মিলে একসাথে বাইরে আগুন জ্বালিয়ে বসলো

রাফিঃ দোস্ত আমার তো হয়ে গেল।তোদেরটা কবে হবে শুনি।

সায়ানঃ আমারটা নেক্সট সালেই হয়ে যাবে।ইমার লেখাপড়া শেষ হলে।(ইমা সায়ানের ফিওন্স)

রাফিঃ আর তোর(নীড়ের দিকে তাকিয়ে)

নীড়ঃ আমারটাও খুব তাড়াতাড়ি হবে দোস্ত।এইদুই তিন মাস যাস্ট।ইশার কোর্স কম্পলিট হতে আর কয়েকদিন লাগবে।

রাফিঃ ওহহ তাহলে তো ভালোই।সবাই একসাথে মিলে হানিমুনে যাবো??

নীড়ঃ আমার ঘুম পাচ্ছে আমি যাই গুড নাইট।

(বলেই নীড় দেরি নাহ করে চলে গেল)

সায়ানঃ সব কিছু মনে হয় আর ঠিক হবে নাহ তাই নাহ।

রাফিঃ জানি নাহ রে।নেশা চলে যাবার পর এমনিতেই নীড় শান্ত হয়েগেছে।তারপর নিহাও এমন কাজ করলো।

সায়ানঃ নীড় যা করেছে তারপর তার এই শাস্তি পাওনা ছিলো।এখন আবার এই ইশা।জানি নাহ এই মেয়ে আবার কি করবে?

রাফিঃ আমরা ও আর কি করতে পারি বল।ওর লাইফ ও যা চায় তাই তো করতে পারে তাই নাহ।

সায়ানঃ হুম।আচ্ছা নেশার কোন খবর পেয়েছিস?

রাফিঃ হুম। নিসু তো বললো নেশা আসবে বিয়েতে।এখন দেখা যাক।

সায়ানঃ ওহহ তাহলে তো ভালোই হয়।

রাফিঃ হুম।আচ্ছা যা গিয়ে শুয়ে পর। কাল আবার সকাল সকাল উঠতে হবে। হলুদের দিন আবার অনেক কাজ থাকে।

সায়ানঃ হুম গুড নাইট।

[সবার মাথার উপর দিয়ে গেলো নাকি।ওকে আমি বুঝিয়ে বলছি।নেশা চলে যাওয়ার ১ মাস পর নিহা ও নীড়কে ছেড়ে চলে যায়।কারন নিহা নীড়ের থেকে বড় লোক ছেলের প্রেমে পরে। আর নীড়কে ধোকা দিয়ে তার কাছে চলে যায়। তারপর নীড় একদম ভেঙে পড়ে।আর তাই তার বাবা মা তাকে বিয়ে দিতে চায়।কিন্তু সে রাজি হয়না।ইশা তার বাবা মারই পছন্দ। নীড় তার বাবার কথা ভেবে ইশাকে বিয়ে করতে রাজি হয়ে যায়।তো এইছিলো কাহিনি। ]

❤❤পরেরদিন সকালে❤❤

সবাই হলুদ কালারের পাঞ্জাবি পড়েছে।সাথে ব্লু কালারের কটি।মেয়েরা ব্লু কালারের শাড়ি।

নীড়ও পাঞ্জাবি পড়েছে।অসম্ভব সুন্দর লাগছে তাকে।চুল গুলোকে স্পাইক করে রেখেছে।ছোট ছোট চুল গুলো কপালে এসে পড়েছে।হাতে ব্লাক ঘড়ি।অনেক হ্যান্ডসাম লাগছে।মেয়েরা তো দেখে ফিদা হয়ে যাচ্ছে।কিন্তু হঠাৎ নীড়ের চোখ গেল দরজার দিকে।আজ ২ বছর পর সেই অদ্ভুত ফিলিংস হচ্ছে।দরজার দিকে তাকাতেই সেই চিরোচেনা মুখ চোখে পড়লো।

(হ্যাঁ নেশা এসেছে।কিন্তু আগের নেশা আর এই নেশার মধ্যে আকাশ পাতাল তফাৎ। টপস আর জিন্স।চুল গুলো একদম ছোট করে কাটা।ছেড়ে রেখেছে।এতোটাই ছোট করে কাটা যে গলা থেকে একটু নিচে পর্যন্ত। যার চুল কিনা কোমড় ছাড়িয়ে যেত তার চুল এখন এতোটুকু।গ্লোল্ডেন কালার করা। চোখে কালো সানগ্লাস। ঠোঁটে ড্রাক রেড লিপস্টিক। হাই হিল।একদম বিদেশিদের মতো লাগছে।নীড় তো হা করে তাকিয়ে আছে।২ বছরের ব্যবধানে একটা মানুষ এতোটা চেঞ্জ হয়ে যাবে তা নীড়ের জানা ছিলো নাহ।আর তার থেকেও বেশি অবাক করার বিষয় হলো নেশার পিছিনে ১নয় ২ নয় পুরো ৫ জন বডিগার্ড।)

নিসু নেশাকে দেখে দৌড়ে এসে তাকে জড়িয়ে ধরলো।সাথে সাথে বডিগার্ড গুলো নিসুর মাথায় বন্দুক তাক করলো।

নেশাঃ হেই।সি ইজ মাই ফ্রেন্ড নট ইনিমি?

বডিগার্ডঃ সরি ম্যাম।

নেশাঃ নাও গো।

বডিগার্ডঃ ওকে ম্যাম(বডিগার্ডরা বাইরে চলে গেল)

নিসুঃ এইসব কি বনু?

নেশাঃ আরে কিছু নাহ।। যাস্ট আমার সেফটির জন্য।

নিসুঃ ওহহ।কেমন আছিস তুই।কতো দিন পর দেখলাম তোকে।কতোটা বদলে গেছিস তুই

নেশাঃ (একটু হাসলো কিন্তু কিছু বললো নাহ)তোর হাসবেন্ড কোথায়?

নিসুঃ ওইতো।

রাফিঃ হেই নেশা কেমন আছো?

নেশাঃ গুড।congratulation

রাফিঃ thank you?

নেশাঃনিসু আমার রুমটা প্লিজ দেখিয়ে দে।আর বাইরে গাড়ি দাড়িয়ে আছে।ওইখানের ব্যাগ গুলো আনার জন্য লোক পাঠা।

বলেই নীড়কে ক্রস করে চলে গেল।যেন নীড়কে দেখতেই পায়নি।।।

নেশার রুমে⛺⛺⛺

নিসুঃ নেশা এইযে তোর শাড়ি।। পড়ে তাড়াতাড়ি নিচে চলে আয়।অনুষ্ঠান শুরু হয়ে যাবে।

নেশাঃ শাড়ি পরবো মানে??।আমি শাড়ি পড়ি নাহ নিসু।প্লিজ। আমায় জোর করিস নাহ।

নিসুঃ দেখ বনু সবাই পড়েছে তুই না পরলে কিন্তু আমি রাগ করবো।

নেশাঃ আই ডোন্ট কেয়ার সবাই কি পড়েছে।বাট আমি পরতে পারবো নাহ।আর তুই কিন্তু বলেছিস আমায় জোর করতে পারবি নাহ।এইজন্যই আমি বিয়ে বাড়িতে আসতে চাই নি।ডেমেট??

নিসুঃ ওকে ওকে তোকে পড়তে হবে নাহ শাড়ি তোর যা ভালো লাগে পরিস।।।কিন্তু তোকে নাচতে হবে এইটা ফাইনাল।

নেশাঃ নিসু স্টপ নন্ সেন্স। আমি নাচবো নাহ।

নিসুঃ নাচতে হবে মানে হবে।না হলে আমি বিয়ে কিরবো নাহ বলে দিলাম হুহ।

নেশাঃ ইডিয়েট আচ্ছা দেখা যাবে।এখন যা গিয়ে রেডি হ।আমি আসছি।

নিসুঃ তারমানে নাচবি কিন্তু।

নেশাঃ বললাম তো দেখা যাবে।

নিসুঃ ওকে নাচতে হবে এইটাই ফাইনাল।ওকে তুই রেডি হয়ে নিচে আয়।[বেই নিসু চলে গেল ]

নেশাঃ সরি রে নিসু।আমি নাচবো নাহ যখন বলেছি তখন আমি নাচবো নাহ।আমি আগের নেশা নই যে জোর খাটাবি।আগের নেশা মারা গেছে
।[বলেই টেবিল থেকে কাচের গ্লাসটা নিচে ফেলে দিলো।গ্লাস টা গুড়ো গুড়ো হয়ে গেল।সেই গ্লাসের ভাঙা কাঁচের উপর দিতে কিছুক্ষণ হাটলো। যার ফলে পা গুলো ক্ষতবিক্ষত হয়ে গেল।তারপর নিজে নিজেই পায়ের বেন্ডেজ করলো৷ ]

নেশাঃ এখন আর কিভাবে নাচবো জান???।পায়ে যে অনেক ব্যাথা।

নেশার এইরমক কাজ দেখে নীড় যাস্ট শক।।আসলে সে দরজার আড়ালে থেকে নিসু আর নেশার সব কথা শুনেছে আর এখন নেশার কাজ গুলো দেখেছে।

নীড়ঃ এইটা কোন নেশা।যে কিনা একটু রক্ত দেখলে ভয় পায় সে কিনা আজ??।

চলবে?

(কাল কমেন্ট এ একটা আপু বললো নেশার নাকি self respect নাই। তার নাকি ইজ্জত নাই।তার সাথে যার যা ইচ্ছা করতে পারে।।।তোমরা যারা আপুর মতো ভাবো তাদের বলছি নেশা নীড়কে ভালোবাসে।ভালোবাসার মানুষটির প্রতি যত রাগ, অভিমান,অবহেলা থাকুক নাহ কেন।,যদি সব ভুলে মানুষটির কাছে নাহ যাও তাহলে সেইটা ভালোবাসা নাহ।আর নীড় কাল ওর শাড়ি টা খুলে ফেলছিলো রাগ করে।ওতো খুলার পর নেশার দিকে চোখ তুলে তাকায় ও নি।।।তাহলে ওর ইন্টেনশন খারাপ ছিলো তোমরা কিভাবে বলো।।আর নেশারই ইজ্জত নাই তা কিভাবে বলো।সরি যদি কেউ আমার কথায় মাইন্ড করে থাকো?)

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে