Monday, October 6, 2025







হঠাৎ হাওয়া (৬)

হঠাৎ_হাওয়া (৬)

জাফলং ডাওকি নদীর দিকে এক মনে চেয়ে আছে মায়া,নদীর তলানি পর্যন্ত দেখা যাচ্ছে,হিমালয় মায়াকে ডেকে বললো
—চলো যাবে না?
—কোথায়?
—চা বাগান দেখে আসি
মায়া ছোট্ট করে একটা নিঃশ্বাস ফেললো। হিমালয় ভ্রু কুচকে বলল,
—আবার কি হলো?
—আপনার চিন্তা হচ্ছে না?
—কি জন্য?
—এই যে পুষ্প আপু আমাদের সাথে এলো না ওর তো জ্বর
—তুমি ভুলে যাচ্ছ ও নিজেই একজন ডাক্তার, তাছাড়া…
মায়া হিমালয়ের সামনে থেকে হাটা ধরলো, হিমালয় বড়সড় একটা লেকচার দিবে ভাবছিল ও একটু আহতই হলো মেয়েটা ওকে সম্পূর্ণ অগ্রাহ্য করে চলে গেলো! হিমালয় আহমেদ কথা বলছে সে কথা শেষ হওয়ার আগেই মেয়েটা চলে গেলো!হিমালয় মায়ার পাশে হাটতে হাটতে বললো
—কি হলো!?
—আপনার যুক্তি তর্ক দিয়ে বোঝানো কথা এই মুহুর্তে আমার একটুও শুনতে ইচ্ছে করছে না লেকচার শোনার মুডে আমি মোটেও নেই।
হিমালয় মেয়েটার দিকে তাকালো,আর ভাবলো এরকম অনেক লেকচার ও কথার সামনে দিয়েছে কথা কোনোদিন বলে নি হিমালয় থাম আর শুনতে ইচ্ছে করছে না! আর এই মেয়েটা কিনা ওকে সরাসরি বলছে! অথচ মায়ার এই ক্যারেক্টার টাই ওর ভালোলাগছে! এই মেয়েটার সাথে হিমালয়ের কথা বলতে ইচ্ছে করছে! মায়ার তাচ্ছিল্য কে অগ্রাহ্য করে হিমালয় বললো
—তুমি এখন কিসের মুডে আছো?
—ওই কাচের নদীতে নৌকা নিয়ে ভাসতে।
বলেই মায়া দৌড়ে কথার সাথে হাটতে লাগলো, কথা আর দিহান টুকটাক আলাপ করছিলো,
দিহানের আব্বু আম্মু আজ সকালেই ঢাকায় চলে গেছে মিষ্টি দিহানকে যেতে দেয় নি দিহান নিজেই অবশ্য মিষ্টি কে এভাবে একা রেখে যেতে চায় নি।দিহানের আব্বু আম্মু যাওয়ার পরই ওরা জাফলং এর জন্য বেরিয়েছে, শুধু পুষ্প আসেনি, পুষ্প বললো ওর নাকি জ্বর ও আজ কোথাও বের হবে না অল্প রেস্ট নিলেই ঠিক হয়ে যাবে আর কেউ যেন ওর জন্য ঘোরাঘুরি বাদ না দেয় তবে ও রেস্ট না নিয়ে সবার সাথে যাবে এতে যা হয় হবে, সাধারণত পুষ্প কখনো কঠিন কথা বলে না তবে আজ ওর কথাগুলো খুব কঠিন লাগছিল।
মায়া ওদের পাশে গিয়ে হাটতে হাটতে বললো,
—তোমরা কি কথা বলো?
কথা দিহান দুজনেই হেসে ফেললো, কথা বললো
—আমরা বলছিলাম আমাদের দেশে যেমন এই যে পাথর তোলা হচ্ছে এখান থেকে এভাবেই খনি থেকে সোনা তোলা হয়।
মায়া মুখ বাকিয়ে বলল,
—ওও এই কথা
দিহান হেসে বললো
—তুমি কি কথা বলতে চাও?
—আমি বলতে চাই মিষ্টি এই পাথর, বালি পার হয়ে হাটতে পারছে না,আবির ভাইয়া মিষ্টি আপুকে হাত ধরে নিয়ে এই পথটুকু চাইলেই পাড় করতে পারে,পুষ্প আপুর জ্বর হলো নিরব ভাইয়া চাইলেই আমাদের কিছু না বলে হুট করে রিসোর্টে ফিরে যেতে পারে, অদ্ভুত এসব কিছুই হচ্ছে না!
কথা আর দিহান একে অপরের মুখ চাওয়া চাওয়ি করতে লাগলো। দিহান কথাকে অতিক্রম করে একবার মায়ার দিকে তাকালো ওর চিন্তাভাবনা সীমিত ও সারা বিশ্ব নিয়ে ভাবছে না ও ভাবছে ওর আশেপাশের মানুষগুলো নিয়ে! ওর চিন্তাভাবনা বিস্তর নয় কাছের মানুষগুলোর কষ্টটাই ওর কাছে বিশাল!ধ্রুব মায়ার পাশে এসে বললো
—কি ব্যাপার আমাদের চুমকি রাগ কেন?
—রাগ নয় বিরক্ত
—কেন বিরক্ত কেন?
—খুবই বাজে অবস্থা বুঝেছ ধ্রুব আমরা মানুষ খুবই স্বার্থপর প্রাণী এই যে আমরা যা কিছু করি নিজের জন্য করি।
ওরা সবাই চা বাগানের পাশে এসে একসাথে দাড়ালো, বাগানে কেউ ঢুকছে না সবাই মায়ার কথা শুনছে, মায়া ধ্রুবের দিকে তাকিয়ে বলল,
—আমরা সহজ জিনিসও খুব জটিল করে ফেলি দু কদমের দূরত্ব আমরা কিছুতেই পাড় হতে পারি না! অল্প একটু আত্নমর্যাদা বিসর্জন দিয়ে আমরা পাশের মানুষটার হাতটা ধরতে পারি না! কাঙ্খিত মানুষটাকে আপন করার জন্য আমরা ঠুনকো নিয়ম ভাঙতে পারি না বরং ইট কাঠ পাথর জোগাড় করে দেই সামনের মানুষটাও যাতে ভাঙতে না পারে।আমরা তাই করি যা করতে চাই বাদবাকি কোনো কারণ ই কারণ নয় ওগুলো সব বাহানা।অদ্ভুত! খুবই অদ্ভুত!
সবাই নিজ নিজ জায়গা থেকে মায়ার কথাগুলো কানে ঢুকালো এক বার করে নিজের সাথে মিলিয়ে নিলো,মেয়েটার দিকে অদ্ভুত দৃষ্টিতে তাকিয়ে রইলো।নিরব ফোনের স্ক্রিনের দিকে তাকিয়ে ভাবলো ও চাইলেই পুষ্পকে একটা অন্তত কল করতেই পারে। আবির মিষ্টি চোখাচোখি হতেই চোখ ফিরিয়ে নিলো।কথা হিমালয়ের দিকে তাকিয়ে রইলো।হিমালয় পকেটে দুটো হাত ঢুকিয়ে মুখ ফিরিয়ে রইলো অন্যদিকে মনোযোগ মায়ার কথাগুলোতে ও ভেবে নিয়েছে কি করতে হবে।
মায়া বড় একটা দীর্ঘশ্বাস ফেলে ধ্রুবর হাতে ক্যামেরা টা দিয়ে বাগানের মধ্যে দৌড় লাগালো,
—অযথা হা করে তাকিয়ে না থেকে ছবি তোলো, ধ্রুব।

চা বাগান থেকে ঘুরে ওরা নৌকা করে নদী পার হলো পাশের মার্কেট এ ঢুকলো, নিরব উশখুশ করছে তবে ফিরে যাওয়ার কথা কাউকে বলতে পারছে না।মিষ্টি দিহানের পাশাপাশি হাটছে, দিহানের জ্যাকেটের হাতা দুহাতে ধরে বলছে
—এই ভাইয়া
—বলতে থাক শুনছি
—ওই
—আরে বল, খুত খুত করছিস কেন?
—ওয়াশরুমে যাবো।
—কিইহ!
—হুউ
—এখানে ওয়াশরুম কোথায়?
—তুই দ্যাখ,
—তোর বরকে বল যা ফোট
মিষ্টি দিহানের হাত ছেড়ে দিল। কিছুক্ষণ ঘোরাঘুরি করে বের হওয়ার সময় ওদের খেয়াল হলো মিষ্টি সাথে নেই! দিহানের মেরুদণ্ড বেয়ে শীতল একটা স্রোত বেয়ে গেলো ও জানে মেয়েটা কত জেদী কত অভিমানী, আবির আর দিহান কেউ কারো দিকে তাকাচ্ছে না দুজনেরই খুব অপরাধবোধ হচ্ছে,কোথায় খুজবে ওরা বুঝতেও পারছে না।মায়ার মেজাজটা চরম খারাপ হচ্ছে এদের সাথে ওর একটুও থাকতে ইচ্ছা করছে না প্রত্যেকটা মানুষ খুব ভণিতা করতে পারে এরা কেন সহজ হতে পারছে না! মিষ্টি কিছুক্ষণ বাদে হাতে দুটো ব্যাগ নিয়ে ফিরে গেলো।দিহান খুব রেগে মিষ্টির মাথায় টোকা মেরে বলল
—কই গেছিলি?
মিষ্টি দিহানের দিকে না তাকিয়ে বললো
—আমার না বিয়ে হয়ে গেছে?সো তুই আর আমার সাথে কথা বলবি না, তোকে আমি কোনো উত্তরই আর দেব না আমার থেকে দূর হ।
আবির এগিয়ে এসে মিষ্টির সামনে দাড়ালো মিষ্টি মাথা নিচু করে ফেললো, আবিরেরও খুব রাগ হচ্ছে ও রাগ দমিয়ে শান্ত কণ্ঠে বলল,
—আমায় বলো কোথায় গেছিলে?
—প্রথমে গেছিলাম পাশের একটা হোটেলে ওয়াশরুমে যেতে, তারপর ফেরার পথে আমার ছেলের জন্যে আর তার বউয়ের জন্যে দুটো শাল কিনলাম।
সবাই হা হয়ে মিষ্টির দিকে তাকিয়ে রইলো! দিহান চেচিয়ে বললো
—তোর আবার ছেলে কিসের!
মিষ্টি মুখ ঘুরিয়ে রইলো
আবির বললো,
—বুঝিয়ে বলো
—আপনার আব্বু আম্মুর জন্য।
আবির এবার খুব লজ্জা পেয়ে গেলো, ওর আব্বু আসলে একটু বাচ্চাসুলভ কেউ কোনো গিফট দিলে খুব খুশি হয় অথচ ও কখনোই বাবার জন্যে কিচ্ছু কেনে না এই মেয়েটা কিনেছে! মায়া এবার অধৈর্য হয়ে বললো,
—ধ্রুব তুমি কি একবার পুষ্প আপুকে কল করবে?আমার কাছে নম্বর নেই।
মায়ার কন্ঠে রাগ স্পষ্ট। ধ্রুব অনেকবার কল করলো কিন্তু পুষ্প রিসিভ করলো না। নিরব অসহায় দৃষ্টিতে তাকিয়ে রইলো।মায়া সকলের দিকে একবার নজর দিয়ে বললো,
—আপনারা তো এখন নাস্তা করবেন তাই না? প্লিজ কন্টিনিউ।আমি রিসোর্টে ফিরে যাচ্ছি।
বলেই মায়া আর কাউকে কিচ্ছু না বলে সেখান থেকে চলে এলো।
হিমালয় অনেকবার মায়াকে ডাকলো মায়া কথা শুনলো না।হিমালয় দৌড়ে মায়ার হাত ধরে বললো,
—কি সমস্যা তোমার?
—কোনো সমস্যা নেই
—তুমি কি ভাবছ, পুষ্পের জন্য তোমার একারই কষ্ট হচ্ছে? তুমি কি বাড়াবাড়ি করছ না?! তুমি ভুলে যাচ্ছ পুষ্প আমাদের বন্ধু তোমার কেউ না, তোমাকে দেখে মনে হচ্ছে না মায়ের চেয়ে মাস্যার দরদ বেশী?
মায়া অবাক হয়ে হিমালয়ের দিকে তাকিয়ে রইলো এত কঠিন কথা ও কোনো দিন শোনে নি ওর মাথা ঝিমঝিম করতে লাগলো, নিঃশ্বাস ফেলতেও কষ্ট হচ্ছে, সবার সামনে হিমালয় ওকে এতগুলো কথা বললো! হিমালয় মায়ার হাত তখনো ধরে ছিলো, হুট করে মায়া সব শক্তি হারিয়ে ফেললো ওর শরীর অবশ হয়ে মায়া জ্ঞান হারিয়ে ফেললো।হিমালয় মায়াকে পড়ার আগেই ধরে ফেললো, মেয়েটার মুখের দিকে তাকিয়ে ওর খুব মায়া হলো ও একটু বিব্রত বোধ করলো আসলেই তো ও এতগুলো কথা মায়াকে কেন বললো!ওর বন্ধুরা সবাই ছুটে এলো, সবাই বিশেষ করে মিষ্টি মায়ার জ্ঞান ফেরানোর জন্য অস্থির হয়ে পড়লো।হিমালয় সবাইকে সরিয়ে হালকা করে পানির ঝাপটা দিলো মায়ার মুখে।কিছুক্ষণ পর মায়া জ্ঞান ফিরে নিজেকে হিমালয়ের বাহুতে আবিষ্কার করলো।ও আস্তে উঠে দাঁড়িয়ে বলল,
—আমি ঠিক আছি, প্লিজ আমি ফিরতে চাই।
ধ্রুব কিছু বলতে গেলেই মায়া থামিয়ে বলল,
—প্লিজ ধ্রুব, প্লিজ।

রিসোর্টে ফিরতে ফিরতে বিকাল প্রায় শেষের পথে ওরা দেখলো পুষ্প একটা কম্বল গায়ে জড়িয়ে বাইরে বেঞ্চিতে বসে পাহাড়ের দিকে তাকিয়ে চা বা কফি জাতীয় কিছু খাচ্ছে।নিরব ব্যাস্ত ভঙ্গিতে পুষ্পের কাছে গিয়ে বললো,
—কি ব্যাপার তুই ফোন কেন রিসিভ করছিস না?
পুষ্প নিরবের কথা সম্পূর্ণ অগ্রাহ্য করে চায়ের কাপে চুমুক দিতে লাগলো।মায়া এগিয়ে গিয়ে দেখলো পুষ্পের চোখমুখ ফুলে লাল হয়ে আছে।মায়ার হঠাৎ খুবই কান্না পেয়ে গেলো ও পুষ্পকে জড়িয়ে ধরে কেদে ফেললো, কে তা ও নিজেও বুঝলো না! পুষ্পও মায়াকে দু হাতে জড়িয়ে ধরলো ঠোঁট বাকিয়ে হেসে বলল,
—তুমি কি জানো মায়া যখন কথা তোমাকে নিয়ে ট্রেনের কামড়াতে ঢুকলো আমার খুব রাগ হচ্ছিলো!আজব তো! তুমি কাদছ কেন পাগল মেয়ে?
মায়া ফোপাতে ফোপাতে বলল,
—তুমি আগে বলো তুমি কেনো কেদেছো?
নিরব এবার পুষ্পের মুখের দিকে তাকালো এতক্ষণে বুঝলো ওকে কতটা ক্লান্ত লাগছে!
— তুমি আমার থেকেও বেশি বাচাল আমার থেকেও তুমি বেশি ছেলেমানুষ,মায়া, এই মায়া?
মায়া কিছু বললো না অবিরত কাদতে লাগলো, হিমালয় বুঝলো মেয়েটা খুব অভিমান করেছে সহ্য করতে পারছে না। হিমালয়ের বন্ধুরা সবাই অবাক হয়ে মায়াকে দেখছে মেয়েটা এমন কেন!

চলবে…
সামিয়া খান মায়া

পূর্ববর্তী নিবন্ধ
পরবর্তী নিবন্ধ
গল্প পোকা
গল্প পোকাhttps://golpopoka.com
গল্পপোকা ডট কম -এ আপনাকে স্বাগতম......
RELATED ARTICLES

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে

- Advertisment -

Most Popular

Recent Comments

Md masrur Hasan mahi على অবুঝ_বউ পার্ট: ৫
আমিনুল ইসলাম على প্রয়োজন পর্ব: ৩০ ( অন্তিম)
সাজিবুল ইসলাম على ধর্ষিতাবউ২ ৯ তথা শেষ পর্ব
শাহিদুল ইসলাম على জীবন সঙ্গী ১ম পার্ট
শাহিদুল ইসলাম على জীবন সঙ্গী ১ম পার্ট
Nita Sarkar على স্বপ্নীল ৬৮
শিয়াসা ইসলাম হুরিজিহান على রহস্য শেষ_পর্ব
শিয়াসা ইসলাম হুরিজিহান على অলক্ষ্যে তুমি পর্ব-০৬ এবং শেষ পর্ব
Nazmun Nahar Akhi على Psycho_is_back? part_7
Nazmun Nahar Akhi على Dangerous_Villian_Lover part 2
শিয়াসা ইসলাম হুরিজিহান على জানালার ওপারে পর্ব-১৭ এবং শেষ পর্ব
শিয়াসা ইসলাম হুরিজিহান على লীলা বোর্ডিং ১২১৫ পর্ব-১১ এবং শেষ পর্ব
মিজানুর রহমান রাহুল على সেই তুমি পর্ব-০১
@feelings على প্রহেলিকা
Anamika Basu على সে পর্ব-১২
Anamika Basu على সে পর্ব-১২
Nusrat jahan على coffee & vanilla Part-10
Pallabi Roy على স্বপ্নীল ৬৮
M.D Mahabub على The_Villain_Lover Part_2
Labani sarkar على Dangerous_Villain_Lover part 23
MD Akas Apc على বিবেক
Tanisha Ahmed على Devil love part-18 
Aius Barmon shorob على নারীর দেহকে নয়
Chandan roy على স্বপ্নীল ৬৮
Chandan roy على স্বপ্নীল ৬৮
Riya Biswas على তুমি রবে ৬০
Priya Banerjee على devil love married life last part
Riya Biswas على তুমি রবে ৬০
Riya Biswas على তুমি রবে ৫২
Mohammad Adib على তুমি রবে ৬০
Avni Ayesha على তুমি রবে ২৮
গল্প পোকা على Love At 1st Sight Season 3 Part – 69
সুমিত على তুমি রবে ২৮
TANJIBA ZENIFAR على তুমি রবে ৫০
TANJIBA ZENIFAR على তুমি রবে ৫০
Samiah Begum على তুমি রবে ৫১
biddut das rocky على নর নারী
গল্প পোকা على নষ্ট গলি শেষ পর্ব
Md Jobayer Hossain Shohag على নষ্ট গলি পর্ব-৩০
গল্প পোকা على দুই অলসের সংসার
গল্প পোকা على মন ফড়িং ❤৪২.
A.J.S Rakib على মন ফড়িং ❤৪২.
গল্প পোকা على গল্পঃ ভয়
গল্প পোকা على গল্পঃ ভয়
গল্প পোকা على গল্পঃ ভয়
Samiya noor على গল্পঃ ভয়
Sadikul على গল্পঃ ভয়
Samia Islam على গল্পঃ ভয়
শূন্য মায়া على মন ফড়িং ❤ ৪০.
Sutapa biswas على মন ফড়িং ❤৩৯.
Foysal Mahmud على My_Mafia_Boss_Husband Part: 16
sutapa biswas على মন ফড়িং ❤ ৩৮.
sutapa biswas على মন ফড়িং ❤ ৩৭
Foysal Mahmud على My_Mafia_Boss_Husband Part: 16
Siyam على বিবেক
Sudipto Guchhait على My_Mafia_Boss পর্ব-৯
saptami karmakar على devil love married life last part
saptami karmakar على devil love married life last part
মায়া على মন ফড়িং ৩০.
মায়া على মন ফড়িং ৩০.
মায়া على মন ফড়িং ২৬.
Shreyashi Dutta على  বিয়ে part 1
Sandipan Biswas على  বিয়ে part 1
Paramita Bhattacharyya على অনুরাগ শেষ পর্ব
জামিয়া পারভীন তানি على নষ্ট গলি পর্ব-৩০
মায়া على মন ফড়িং  ২২
সুরিয়া মিম على খেলাঘর /পর্ব-৪২
গল্প পোকা على মন ফড়িং ২১
গল্প পোকা على নষ্ট গলি পর্ব-৩০
গল্প পোকা على Love At 1st Sight Season 3 Part – 69
গল্প পোকা على Love At 1st Sight Season 3 Part – 69
গল্প পোকা على খেলাঘর /পর্ব-৪২
Sahin ssb على মন ফড়িং ২১
মায়া على মন ফড়িং ২১
মায়া على মন ফড়িং ❤ ২০.
গল্প পোকা على মন ফড়িং ❤ ২০.
গল্প পোকা على খেলাঘর /পর্ব-৪২
গল্প পোকা على খেলাঘর /পর্ব-৪২
মায়া على মন ফড়িং ❤ ১৮. 
মায়া على মন ফড়িং ❤ ১৭.
Jannatul Ferdous على খেলাঘর পর্ব-৩৫
গল্প পোকা على মন ফড়িং ❤ ১৬. 
গল্প পোকা على ফাল্গুনের_ফুল last_part_8
মায়া على মন ফড়িং ❤ ১৬. 
গল্প পোকা على ছাত্রী যখন বউ পাঠঃ ১
গল্প পোকা على বাজির প্রেম পাঠঃ ১
Foujia Khanom Parsha على মা… ?
HM Ashraful Islam على অবুঝ_বউ পার্ট: ৮
HM Ashraful Islam على অবুঝ_বউ পার্ট: ৫
Ibna Al Wadud Shovon على স্বার্থ