মির্জা বাড়ি একমাত্র মেয়ে কদমের বিয়ে। পুরো বাড়িতে মরিচ বাতির আলো আলোকিত করেছে।পুরো বাড়িতে ফুল আর বাতি দিয়ে সুন্দর করে ডেকোরেশন করেছে।তাক লাগিয়ে দেওয়ার মতো। সাঁত-পাঁচ গ্রামে এরকম বিয়ে গ্রামের লোক দেখেনি। তাই দূর -দূরান্ত থেকে মানুষ আসছে।।
নীল মানে কদম বউ সেজে নিজের রুমে পায়চারি করছে কি ভাবে পালাতে পারবে। নানা রকম চিন্তা ভাবনা করছে বিয়ে বাড়ি থেকে কিভাবে বের হবে।তাকে যে পালাতেই হবে।।
নীল বালিশের নিচে থেকে মোবাইল বের করে।তার ছোটকাকা ছেলে তামিম কে ফোন করে।
_ ব্যবস্থা হয়েছে।
_হুম করেছ।একটু ওয়েট কর!আমরা আসছি।
_”কবে আসবে।আমার বিয়ে হয়ে গেলে।বর যাত্রী আসার সময় হয়ে গেছে।।
_”রাগ করছিস কেন???ব্যবস্থা করতে সময় লাগে না।আর বাড়ি কতো লোকজন তাদের চোখে ফাঁকি দিতে হবে।।৫মিনিট মধ্যে চলে আসছি।
_আচ্ছা বায়।
নীল কানের থেকে ফোন নিয়ে রেখে নিতেই তার দাদু ঘরে আসে,
তাকে দুইনয়ন ভরে দেখে বলে,
_আমার কদম দাদু ভাইকে আজ খুব সুন্দর লাগছে।বর যে আজ চোখ সরাতে পারবে না।আমার যে খুব হিংসে হচ্ছে । আমার বউ কে যে আজকে নিয়ে যাবে ”
_””চাইলে আমায় রেখে দিতে পারো।আমি তোমাকে বিয়ে করার জন্য এক পায়ে দাঁড়িয়ে আছি।তুমি তো আমায় বিয়ে করতে পারো। তাহলে তো আজ আমায় এ বাড়ি ছেড়ে চলে যেতে হবে না”
দাদু কদমের মাথায় হাত বুলিয়ে বলে,
_””দাদু ভাই আমি যে বুড়ো হয়ে গেছি।আমি যদি ইয়াং থাকতাম তাহলে তোমায় বিয়ে করে নিতাম।তার জন্য তোমায় চিন্তা করতে হতো না।””
নীল দাদু গলায় জড়িয়ে ধরে বলে,
_”দাদু আমার কিন্তু বুড়ো বর অনেক পছন্দ। তোমাকে আমার কিন্তু হেব্বি পছন্দ হয়ছে।””
_না, না আমার একমাত্র নাতনি কদমের বিয়ে হবে বুড়ো সাথে। কখনো না।সবাই আমায় কদম দাদু ভাইকে নিয়ে হাসাহাসি করবে বুড়ো বর কে নিয়ে।তাই তো ইয়াং বর খুজে নিয়ে এসেছি।
_আমার ইয়াং বর চাইনা দাদু।আমি তোমাকে বিয়ে করতে চাই।আমার বুড়ো বর অনেক ভালো লাগে।
_কদম
দাদুকে আর বলতে না দিয়ে নিজেই প্রশ্ন করে
_দাদু একটা কথা জিজ্ঞেস করি।
_করো দাদু ভাই।
_তুমি তো আমার নাম নীল রেখেছো।আগে তো আমায় নীল বলে ডাকতে।এখন কেন এই ক্ষ্যাত নাম, কদম বলে ডাকো।।আমার এই নাম বলে ডাকবে না বলে দিলাম।
_এই নামটা তোমার সতীন রেখেছে।মানে তোমার দাদি রেখেছে।আর আমি তোমার নাম রেখেছি নীল। তোমার দাদি আর আমার মধ্যে নাম নিয়ে অনেক কাটাকাটি হয়েছে। সে বলেছে তুমি বর্ষার ঋতু জন্ম নিয়েছো।তাই তোমার নাম সে কদম রেখেছে।তোমার দাদি মারা যাওয়ার পর। তার প্রিয় নামে আমি তোমাকে ডাকি।তোমার মাঝে যে আমি তোমার দাদি কে দেখতে পাই।
লাস্ট কথা বলতে নীলের দাদুর চোখে কোনে জল চলে আসে। নীলের চোখ তা এড়ানি।নীল তার দাদুর চোখে থেকে চশমা খুলে। চোখে পানি মুছে দিয়ে বলে,
_”দাদু তুমি কি দাদি কে অনেক লাভ করতে “””
_লাভ কি??দাদু ভাই।
_মানে ভালোবাসতে।
_”হ্যাঁ তোমার দাদি আমাকে খুব ভালো বাসতো।আমি তাকে খুব ভালোবাসতাম।।”
_””এখন মিস করছো দাদি কে””
_হ্যঁা দাদু ভাই খুব মিস করি। কিন্তু তুমি তো তোমার দাদি খালি জায়গা শূন্যস্থান পূরন করে দিয়েছো।তাই মিস করার সময় পাইনা তো দাদু ভাই”
তখনি নীলের ছোট কাকা।মানে তামিমের আব্বু রুমে এসে বলে,
_””দাদু নাতনি কি গোপন কথা বলছে। আমি কি শুনতে পারি””
দাদু তখন বলে,”আসাদ বর যাত্রী আসবে কখন।
_বাবা চলে আসবে।
ছোটকাকা নীলের থুতনি ধরে বলে,”আমার পুঁচকো টা যে কখন বড় হয়ে গেলো। বুঝতে পারিনি। এখন সে অন্যের ঘরে চলে যাবে।”
নীল স্পর্শ দেখতে পায় তার কাকু চোখে পানি। কাকু চোখে পানি মুছে দিয়ে বলে।
_”” তোমরা তো আমায় বিদায় করার জন্য উঠে পরে লেগেছো।।আমি তোমাদের উপরে বোঝা হয়ে গেছি। তাই তো বিদার করা ব্যবস্থা করেছো।”
তখনই ছোটমা।মানে ছোটকাকা স্ত্রী সোহাগী বেগম বলে উঠে,
-“এইটাই নিয়তি মা, মেয়েদের জন্ম হয় পরে ঘরে চলে যাওয়ার জন্য।।যেঘরে তাড়া বেড়ে উঠে সেই ঘর একদিন ত্যাগ করতে হয়।সেই বাপের ঘরটা তখন পরেই ঘর হয়।স্বামী ঘরটাই আসল ঠিকানা হয় মেয়েদের।। “”
নীল ছোটমা কে জরিয়ে ধরে কান্না করে দেয়। দাদু। কাকা সবাই কান্না করে দেয়।কাকার চোখে জল মুছে নীলের মাথায় হাত ভুলিয়ে দেয়,
_এই পুচকে কান্না থামা।
ছোটমায়ের বুক থেকে মাথা তুলে বলে,কাকাই তোমায় কতোবার বলেছি। আমায় পুঁচকে বলবে না।আমি এখন ছোট না কাকাই।
ছোট কাকা দুই কানে হাত দিয়ে বলে,”সরি আমি তো ভুলে গেছি। আমাদের পুঁচকে যে বড় হয়ে গেছি।তার যে এখন বিয়ে হয়ে যাচ্ছে। আর কখনো পুচঁকে বলবো না।
কাকার কান্ড দেখে নীল সহ সবাই হো হো হো করে হেসে দেয়।
তখনই রোকেয়া বেগম মানে নীলের মা রুমে এসে বলে,,,
_বাবা আপনার সবাই নিচে যান। আমার কদমের সাথে একা কিছু কথা আছে।
সবাই চলে যায়।রোকেয়া বেগম মেয়েকে নিয়ে খাটে বসে। নিজের কিছু গয়না আছে সেগুলো পড়িয়ে দেয় আর বলে
_কদম মা। সব সময় তুমি পালিয়ে যায় যেখান থেকে , সেখান থেকে।আশা করি আজকে সেই কাজ করবে না।আগের সব ব্যপার আর এখনকার ব্যপার আলাদা।এই বিয়েতে তোমার দাদু, বাবা, কাকাই, সবার মান সম্মান জড়িয়ে আছে।।এই গ্রামে সবাই তোমার দাদুকে আলাদা একটা সম্মানের চোখে দেখে তা তুমি জানো।আশা করি এমন কিছু করবে না।
নীল মনে মনে বলে,আমি এতো কিছু জানি না। আমি পালিয়ে যাবো। যখন আমি ঠিক করেছি পালিয়ে যাবো তার মানে আমি যাবো।পালিয়ে যাওয়ার মজাই আলাদা।সেটা তুমি বুঝবে না মা।তুমি যদি আমার মতো পালিয়ে যেতে তাহলে বুঝতে পারতে পালিয়ে যাওয়ার মজাই কি।আমি যে পালাবো আমার স্বপ্ন জন্য।। স্বপ্ন যে আমায় তাড়িয়ে বেড়ায়।তোমরা চাইছো বিয়ে দিয়ে আমায় যেনো বেঁধে রেখে দিতে পারো।কিন্তু আমি তো তা হতে দিতে পারিনা।। তাই তো পালিয়ে যাবো।
রোকেয়া বেগম বলে,”কদম কি ভাবছ”
_”না , মা! কিছু না ”
-“কিছু না ভাবলেই চলে।মাথা যতো কুবুদ্ধি আছে সব ঝেড়ে ফেলো। নতুন জীবন ভালো করে শুরু করবে কিভাবে সেটা নিয়ে ভাবো”
নীল মায়ের কথা ঘাড় কাত করে হ্যাঁ জানায়।রোকেয়া বেগম চলে যায়।
তামিম সাথে একটা বোরকা পড়া মেয়ে আসে।মুখে নেকাব দেওয়া। সিঁড়ি দিয়ে দুজনে উপরে যেতেই নিলেই তার মায়ের সাথে দেখা হয়।তার মা ভ্রু-কুচকে একবার তামিমের দিকে তাকায় একবার বকরা পড়া মেয়েটা দিকে তাকায়।। তামিম মায়ের এই তীক্ষ্ণ চাউনি দেখে ভয়ে ঢোক গিলে তার মা কিছু বুঝতে পেরেছে কিনা।মায়ের পাশ কাটিয়ে যেতেই নিলেই তার মা ডাক দেয়,
_তামিম”
তামিম মায়ের ডাক শুনে থমকে দাঁড়ায়।ভয়ে হাত পা কাঁপছে।মা কিছু বুঝতে পেরেছি কি না। আর বুঝতে পারলে।আজ সে শেষ। অনেক বার নীলকে পালানো জন্য সাহায্য করার জন্য অনেক বকা খাইছি।আজকে যদি ধরা খাই। তার সঙ্গে নীল পেশে যাবে।আর নীল তাহলে আমাকে আস্তো গিলে খাবে পালাতে না পারলে। না তামিম সাহস জোগায়। তোকে পারতেই হবে।
এসব ভেবে তামিম ঘুরে দাঁড়ায় । মায়ের মুখোমুখি হয়ে বলে,
-“কেন ডাকছো মা??”
-“তোর সাথে এই বকরা পড়া মেয়ে টা কে????
যা ভয় পেয়েছিলাম। তাই হয়েছে। মা তার মানে সন্দেহ করেছে।এখন কি করি। কি বলবো মাকে।মা যদি ধরে ফেলে।মা গিয়ে বড় মাকে বলবে।আর বড় মা কি করে আল্লাহই জানে।এখন যে করেই মায়ের হাত থেকে রেহাই পেতেই হবে।।
_মা মেয়েটা নীলের বেষ্ট ফ্রেন্ড। নীলের সাথে দেখা করতে নিয়ে যাচ্ছি।”
-“মেয়েটা এই বিয়ে বাড়িতে বোরখা পড়ে আসছে কেনো??? আর নীলের সব ফ্রেন্ড কে তো আমি চিনি।সবাই এই বাড়ি এসেছে। তখন কেউ বোরখা পড়ে আসেনি। “!
-“মা ও পর্দা করে তাই কখন আসেনি আমাদের বাসায়। তাই তুমি চিনতে পারছো না ”
_মেয়েটাকে বল, নেকাব খুলতেই আমি তার মুখ দেখবো।
যে ভয়টা পেয়েছি সেটাই হয়েছে।এখন কি করবো। কি করে মায়ের হাত থেকে বাঁচবো।
তামিম আমতাআমতা করে বলে,”মা কারো সামনে মুখ খুলে না। বলেছিলাম না ও পর্দা করেই।।”
_পর্দা করে ভালো কথা। আমিও মেয়ে মানুষ আমার সামনে মুখ খুললেই সমস্যা কি?”
_”মা ওর লজ্জা বেশি”
-“লজ্জা বেশি ভালো কথা।কিন্ত আমি এতো কথা বলছি এই মেয়েটা কোনো কথা বলছে না কেন??নাকি কথা বলতেই লজ্জা লাগে। ”
_”মাগো মা তুমি কবে থেমে গোয়েন্দা খাতায় নাম দিলা।এই ভাবে জেরা করছো।”
_জেরা করা কারন অবশ্যই আছে।তোমার উপরে কড়া নজর রাখতে বলা হয়েছে।যাতে কোনো উলটাপালটা যেন কিছু করতে না পারো।এই মেয়ে তোমার নাম কি???
আল্লাহ গো আল্লাহ এবার আমায় বাঁচা ও। কথা বললেই মা বুঝতে পারবে। বকরা ভিতরে মেয়ে না আসলে একজন ছেলে।।এটা যদি জানতে পারে।আমায় যাবতজীবন কারাদণ্ড দিবো। কি করি,এখন কি করি, মাকে আটকাতে হবে।তামিমের ভাবনার ছেদ করে বড় মায়ের ডাকে।
_এই ছোট এখানে দাঁড়িয়ে আছিস কেন?? এদিকে আয়।
সোহাগি বেগম বলে তামিমের দিকে তাকিয়ে বলে “আসছি”
তামিম তার মা যাওয়ার পর বড় বড় কয়েকটা নিশ্বাস ফেলে বলে,”যাক বাবা এবারে জন্য বাঁচা গেলো।চল।”
বকরা পড়া ছেলে টা ঘাড় কাত করে সম্মতি জানায়।
দুজনে মিলেই নীলের রুমে যায়।নীল তাদের দেখে বসা থেকে দাঁড়িয়ে যায়।।তাড়াতাড়ি দৌড়িয়ে যেয়ে দরজা বন্ধ করে দেয়।।
তামিমের বন্ধু সাদেক বোরখা খুলে নীলের মুখে ছুড়ে ফেলে বলে,, তামিম তোর মা কি জেরা টাই করছে।আমি তো ভাবছি ধরা খেয়ে যাবো।। লাস্ট পর্যন্ত বেঁচে গেলাম।”
_”হুম”নীল বকরা পড়ে নেয়। না হলেই বের হওয়া যাবে না।কড়া গার্ড রেখেছে তোর আর আমার জন্য। যা করতে হবে। ভেবে চিনতে করতে হবে।
সাদেক আবার বলে, “তামিম তুই কেমন ভাইরে।বোন কে বিয়ে থেকে পালাতেই সাহায্য করছিস। তুই তো ইতিহাস রচনা করছিস। ভাই হয়ে বোন কে পালাতে সাহায্য করে। তাও আবার বিয়ে মতো কোনো সিরিয়াস মেটার নিয়ে।।কোথায় বোন কে বুঝাবি, আর সেটা না করে পালানোর ব্যবস্থা করে দিচ্ছিস।”
নীলের সাদেক কথা শুনে রাগ উঠে যায়,”তামিম ভাইয়া তুমি তোমার বন্ধু মুখ বন্ধ করতেই বলো, না হলেই। এই ফুলদানি দিয়ে মাথা পাঠিয়ে দিবো”
তামিম সাদেক বলে”সাদেক চুপ কর”
_তোর বোন দেখি লেডি ডন। যার এতো বড় উপকার করছি সে বলে আমার মাথা পাঠিয়ে দিবে।উপকারে নামে থাপ্পড়। ”
তামিম সাদেক কাছে এসে বল, এবার চুপ কর ভাই। কেউ এসে শুনলে কেলেঙ্কারি হয়ে যাবে।
_”নীল তুই রেডি তো”
_হ্যাঁ।
তামিম এখন ভাবতে থাকে কি ভাবে তাড়া বের হবে। তামিম এবার খাটের উপর থেকে শাড়ি এনে বারান্দা রেলিঙ সাথে বাঁধে শাড়ি এক অংশ, আরেক অংশ নিচে ফেলে দেয়।
_”নীল শাড়ি দিয়ে নিচে নামতে পারবি তো।”
_পারবো।
_আচ্ছা তুই দাঁড়া।আমি নিচে যেয়ে গাড়ি খুচ্ছি।আর নিচে তোর ফ্রেন্ড সোহা দাঁড়িয়ে আছে। যে মানুষ পাহারা দিচ্ছে।কাউকে এখানে আসতে দিবে না।তুই নেমে যায়।
আর সাদেক তুই রুমের দরজা আটকিয়ে রাখবি।যাতে কেউ না আসে। আমরা বাস স্ট্যান্ড গেলে তোকে ফোন করে বলবো।আর তুই তখন এই দরজা খুলে এই শাড়ি দিয়ে নিচে নেমে যাবি।
_আচ্চা
তামিম এটা বলে দরজা খুলে নিচে চলে যায়। তখনই বড় মায়ের সাথে দেখা হয়।
_”তামিম কোথায় যাচ্ছো”???
পথে পথে খালি বিপদ।
_বড় মা বর যাত্রী আসার সময় হয়ে গেছে।তাদের আনার জন্য যাচ্ছি।
_ যাও ভালো কথা।কোনো গণ্ডগোল যেন না হয় বলে দিলাম”
_জ্বী বড় মা।
নীল নেমে যায়। সোহা সহ রাস্তা দাঁড়িয়ে থাকে।।তামিম সিএনজি নিয়ে আসে।দুজনে মিলেই উঠে যায়।
_এবার কোথায় যাবি নীল।
_কোথায় আবার প্রাচ্য আপু সাথে এবার সাজেক ভ্যালি টু্্যরে যাবো।
_একা একা কুমিল্লা যেতেই পারবেই তো।
_পারবো ভাইয়া।
_তুই কখন একা যাসনি।আর রাস্তা ঘাট ও কিছু জিনিস না।
_ভাইয়া আমি কুমিল্লা গেছিলাম কোর্টবাড়িতে।।সেটাতে পালিয়ে গেছিলাম।আর তুমি আমায় সাহায্য করেছিলে। একটু একটু চিনবো।কোনো সমস্যা হবে না। আর প্রাচ্য আপু বাসস্ট্যান্ড অপেক্ষা করবে।
_টাকা নিয়েছিস।
_হ্যা বিয়ে গয়না বিক্রি করে দিলাম।।
_আবার।। তোর মনেই নেই দাদি দেওয়া লকেট বিক্রি করে দিয়েছিস বলে বড় মা তোকে মাইর দিয়েছে।
_তো কি হয়েছে।আমি যে দোকানে বিক্রি করে দিলাম সেই দোকান থেকে পরে কাকাই কিনে নিয়ে এসেছে।এবার আমার বেছে দেওয়া গয়না গুলো তারা কিনে নেবে।তাই আমাদের গ্রামের বাজারে বিক্রি করে দিয়েছি। যাতে তাদের কিনতে অসুবিধা না হয়।এগুলো তারা আরো আগে কিনে নিবে।এই গুলো তাদের বংশ ঐতিহ্য গয়না।তোমাকে চিন্তা করতে হবে না।। তুমি শুধু তাদের বলবে,আমি গয়না গুলো যে দোকানে বিক্রি করেছি সেই দোকানের নাম বলে দিবে।।
তামিম আর কিছু বলবে না। এই মেয়ে আসলেই উড়নচণ্ডী । কথা বলতে বলতে সিএনজি বাস স্ট্যান্ড গাড়ি থামে।সবাই নেমে যায়।
তামিম সোহা। দুজনে বিদায় জানায়। তখনই নীল তামিমের কাছে এসে বলে
_”ভাইয়া আমার না তোমাকে চুমু খেতে ইচ্ছে করছে”
নীলের একথা শুনে তামিম গাল এগিয়ে দিয়ে বলে,”তোকে কি কেউ মানা করছে নাকি???
_মানা করে নাই।যদি একজন রাগ করে।সে যদি আমায় বলে। তার আগেই আমি কেন তোমায় চুমু খেলাম?? যদি রাগ করে।
সোহাকে উদ্দেশ্য করে বলে নীল।তা সোহা বুঝতে পারে।
_আমি কাউকে মানা করতে যাবো কেন। আর তুই তোর ভাইকে চুমু খাবি আমার কি যায় আসে।আমি কি তোর ভাইয়ের গার্লফেন্ড নাকি যে আমি জেলাস ফিল করবো।
_আচ্ছা তোর কিছু যায় আসে না।ঠিক আছে।এবার ঘুরে আসি।তারপর আমি আমার ভাইয়া জন্য মেয়ে দেখবো।তখন দেখবো কেউ জ্বলে কিনা।
_দেখিস
নীল আর কিছু বলে না। তামিমের গালে চুমু খায় সাথে সোহার গালেও।তাদের জন্য আজ সে পালিয়ে যেতে পাচ্ছে।
বিদায় নিলে চলে যায় নীল।তার উদ্দেশ্য সাজেক ভ্যালি।
স্বপ্নীল part-01
#Kawsar_sorna