স্তব্ধের স্নিগ্ধতা পর্ব-০৭

0
1169

#স্তব্ধের_স্নিগ্ধতা
#মাশফিয়াত_সুইটি(ছদ্মনাম)
পর্ব:০৭

‘তোমার ঘাড়ে গলায় কামড়ে দিল কে?ইস রক্ত জমাট হয়ে গেছে।’

স্নিগ্ধতা রাগে ফুঁসছে কিছুক্ষণ আগেই ঘুম থেকে উঠে ফ্রেশ হয়ে বসেছে স্তব্ধও ফ্রেস হয়ে এসেই স্নিগ্ধতাকে দেখে প্রশ্নটা করল কোনো উত্তর না পেয়ে ড্রয়ার থেকে একটা মলম এনে স্নিগ্ধতার পাশে বসলো।স্নিগ্ধতার রাগি মুখটা দেখে আবারো বলল,

– রাগলে তোমায় অনেক সুন্দর লাগে বাই দ্য ওয়ে কে কামড় দিল বললে না তো?

– কাল রাতে একটা বাঁদর কামড়েছে তার ধারালো দাঁত দিয়ে।

– কি বলো বাঁদর কামড়েছে! বাঁদর আসলো কোত্থেকে? আমাদের বাড়িতে বাঁদর ঢুকার কোনো ব্যবস্থা নেই তো।

– সদর দরজা দিয়েই এসেছে তাও আবার সবার সামনে দিয়ে।

– তাও কেউ কিছু বলল না? এত মানুষ রেখে আমার ঘরে এসে আমার বউকেই কামড়ে দিল কত বড় সাহস অনেক ব্যথা লেগেছে তাই না?

স্নিগ্ধতা নিজের রাগ কন্ট্রোল করতে পারছে না বসা থেকে দাড়িয়ে গেল আশেপাশে চোখ বুলিয়ে বিছানা থেকে বালিশ গুলো নিয়ে স্তব্ধের দিকে ছুড়ে মে’রে,

– নাটক করছেন আমার সামনে? সারারাত আমায় ঘুমাতে দেননি বাইরে থেকে কি খেয়ে এসেছেন? খেয়ে এসেছেন ভালো কথা চুপচাপ ঘুমাবেন তা না করে আমার ঠোঁট আর গলার অবস্থা খারাপ করে দিয়েছেন আপনার নামে আমি বউ নির্যাতনের মামলা করবো অসভ্য লোক একটা।

স্নিগ্ধতা একটানা কথাগুলো বলে হাপাচ্ছে,স্তব্ধ ব্রু কুঁচকে তাকিয়ে,
– তুমি কি বলতে চাচ্ছো আমি এসব করেছি? আমি কি শিয়াল নাকি যে কামড় দিব।

– আপনি শিয়াল হবেন কেন আপনি তো বাঁদর আপনার বাবা ঠিক বলে।

– কি বলে?

– আপনি বাঁদর, আপনি কি বলতে পারবেন গতকাল রাতে আজেবাজে কিছু খেয়ে বাড়িতে আসেননি?

গতকাল রাতের কথা মনে পড়তেই স্তব্ধের মুখটা মলিন হয়ে গেল কাঁচুমাচু মুখে বলল,
– একটু ড্রিংকস করেছি তাই বলে তোমার সঙ্গে এসব মুটেও করিনি।

– আপনি বলতে চাচ্ছেন আমি মিথ্যে বলছি তাহলে দাগগুলো কিসের?

– তা কেন বলবো তবুও…

– ঘরে একটা সিসি ক্যামেরা লাগাতে হবে তারপর দেখা যাবে কে সত্য বলে আর কে মিথ্যে বলে।

– ছি ছি কি বলো আমাদের একটা প্রাইভেসি আছে না।

স্নিগ্ধতা রাগি লুক দিতেই স্তব্ধ অসহায় কন্ঠে বলল,
– স্যরি।

স্নিগ্ধতা অন্য দিকে মুখ ঘুরিয়ে রাখল স্তব্ধ স্নিগ্ধতাকে টেনে নিজের পাশে বসিয়ে মলম লাগিয়ে দিতে দিতে বলল,
– আরো কিছু কি আমাদের মধ্যে হয়েছে?

স্নিগ্ধতা চোখ পাকিয়ে তাকাতেই স্তব্ধ শুকনো ঢুক গিলে,
– আমার কিছুই মনে নেই তাই জিজ্ঞেস করলাম।

– না।

স্তব্ধ একটা স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলল তারপর আবারো জিজ্ঞেস করল,
– ঠোঁটেও কি আমিই…

স্নিগ্ধতা পুনরায় স্তব্ধের দিকে তাকাতেই স্তব্ধ থেমে গেল মলম লাগিয়ে দিয়ে বলল,
– লাগানো হয়ে গেছে।

স্নিগ্ধতা উঠে বাইরে যাওয়ার জন্য পা বাড়াবে স্তব্ধ ডেকে বলল,
– রাগ করেছ আমার উপর? কি করতে কি করেছি আমার মনে পড়ছে না আর কখনও এমন হবে না।

– আপনি চাইলেও আর হবে না আমি আজই আপনার বাবাকে বলবো আপনি বাইরে থেকে যে আজেবাজে জিনিস খেয়ে আসেন।

– তোমার কষ্ট লাগবে না জামাইয়ের নামে শশুরের কাছে বিচার দিতে?

– বউয়ের এমন অবস্থা করার সময় জামাইয়ের যদি কষ্ট না লাগে তাহলে বউয়ের কিসের কষ্ট।

– জ্ঞান থাকতে জীবনেও এসব খাবো না তবে ড্যডকে বলো না প্লিজ,ড্যড জানলে আমার একাউন্ট বন্ধ করে দিবে তখন তোমায় নিয়ে কোথায় যাব কি খাবো।

– নাটকবাজ ছেলে।

স্নিগ্ধতা গোমটা টেনে নিচে চলে গেল।স্তব্ধ বিছানায় বসে, ‘ছিহ স্তব্ধ ছিহ বিয়ে করবি না বলে চিল্লিয়ে বউকে চুমু দিতে গিয়ে কামড় দিয়ে বসলি এই মুখ সবাইকে কিভাবে দেখাবি? ইজ্জতের ফালুদা হয়ে গেল স্নিগ্ধর কাছে,সব দোষ ওই ম’দের বোতলের আর জীবনেও খাবো না।’

রাতুল শিকদার অনেক তাড়াতাড়ি বের হয়ে গেছেন বাকিরা খাবার টেবিলে বসে আছে।স্নিগ্ধতা নামতেই অরিত্রি শিকদার প্রশ্ন করলেন,
– স্তব্ধ কোথায়?

– ঘরে।

– তাহলে একা আসলে কেন ওকে নিয়ে আসতে পারতে।

স্তব্ধও চলে আসলো চেয়ারে বসে,
– ড্যড কোথায়?

– অফিসে গেছে।(অরিত্রি শিকদার)

– আজ এত তাড়াতাড়ি।

– তোর ড্যড বলে গেছে তোকে যেন দশটার আগে অফিসে দেখতে পায়।

– আজ না গেলে হয় না?

– গতকাল যাসনি আজ যেতেই হবে না গেলে তোর কপালে দুঃখ আছে।

– মম এভাবে বলতে পারলে!

– আমি বলিনি তোর ড্যড বলেছে।

স্তব্ধ মুখ গোমড়া করে খেতে লাগলো অরিত্রি শিকদার মৃদু হাসলেন। স্নিগ্ধতার দিকে চোখ যেতেই আরিয়া বলল,
– স্নিগ্ধতা তোমার ঠোঁট ফুলে আছে কেন কিছুতে কামড় দিয়েছে নাকি?

স্নিগ্ধতা ঘাবড়ে গেল স্তব্ধ অসহায় দৃষ্টিতে তাকিয়ে,
– তুই দিনে দিনে লুচু হয়ে যাচ্ছিস আপু শেষে কিনা ছোট ভাইয়ের বউয়ের ঠোঁটের দিকে নজর দিলি ছি ছি কি লজ্জা।

স্তব্ধ খাবার রেখে ঘরের দিকে হাঁটা ধরলো আরিয়া পেছন থেকে ডেকে বলল,
– আরে আমি তো মেয়ে এখানে লুচুর কি আছে?

স্তব্ধ কোনো কথা কানে না নিয়ে চলে গেছে।আরিয়া অবাক হওয়ার ভঙিতে,
– যাহ বাবা এর আবার কি হলো কি এমন বললাম খাওয়া ছেড়ে উঠে চলে গেল।

স্নিগ্ধতাও সুযোগ বুঝে উঠে গেল নইলে এখন অনেক প্রশ্নের সম্মুখীন হতে হবে।অরিত্রি শিকদার আরিয়াকে বললেন,
– খাওয়া শেষ হলে আমার কাছে আসিস তোর সঙ্গে কথা আছে।

– আচ্ছা মম।

অরিত্রি শিকদার যেতেই রাহেলা বেগম আরিয়াকে ধমক দিয়ে বললেন,
– তোর জন্য কি আমার নাতি তার বউয়ের সঙ্গে প্রেমও করতে পারবে না সবার সামনে এভাবে জিজ্ঞেস করতে হয়?

– স্নিগ্ধতার ঠোঁট ফোলা ছিল বলেই তো জানতে চাইলাম।

– তোর জানতে হবে কেন? জানার জন্য দেখার জন্য দাদুভাই আছে সবার সামনে ছেলে-মেয়ে দু’টোকে লজ্জায় ফেলে দিল।

রাহেলা বেগম হাত ধুয়ে সালেহাকে ডেকে ঘরে গেলেন। আরিয়া মাথায় হাত দিয়ে,
– আমার কি দোষ আমি তো শুধু জানতে চাইলাম।

স্নিগ্ধতা দরজার সামনে দাড়িয়ে আছে ঘরের ভেতরে যাবে কি যাবে না ভাবছে সকালে যতই স্তব্ধকে রাগ দেখাক না কেন এখন ভেতর জুরে লজ্জা ভর করছে। স্তব্ধের সামনে কিভাবে দাড়াবে সেই ভাবনায় আরো লজ্জা পাচ্ছে। তখনি ভেতর থেকে স্তব্ধের কথা ভেসে আসলো,

– তোমার লজ্জা পাওয়া শেষ হলে ভেতরে আসতে পারো।

স্নিগ্ধতা ভরকে গেল মনে মনে ভাবছে,’বুঝলো কিভাবে আমি যে এখানে দাড়িয়ে আছি?’

স্নিগ্ধতা ভেতরে এসে বিছানায় বসে পড়ল দৃষ্টি নিচের দিকে। স্তব্ধ অফিসে যাওয়ার জন্য তৈরি হয়েছে আড়চোখে স্নিগ্ধতাকে একবার দেখে বেরিয়ে গেল।স্তব্ধ যেতেই স্নিগ্ধতা হাফ ছেড়ে বাঁচলো।

আরিয়া অরিত্রি শিকদারের ঘরে বসে আছে।অরিত্রি শিকদার পাইচারি করছেন আরিয়া বিরক্ত হয়ে বলল,
– মম ডেকেছ কেন বলবে তো?

– তুই কিছু দেখিস না? বলতে হবে কেন?

– কি দেখবো?

– মেয়েটা স্তব্ধকে হাত করে ফেলছে সকালের ঘটনাটা ভাব ওদের ব্যবহারে এটাই প্রমাণ হচ্ছে স্তব্ধ ওই মেয়েটাকে বউ হিসেবে মেনে নিচ্ছে।

– মেনে নিলে সমস্যা কি?

– মেনে নিলে ওদের ডিভোর্স করানো সম্ভব হবে না স্তব্ধ হাতের বাইরে চলে যাবে।

– মম তুমি নিজেই তো চাও স্তব্ধ ভালো থাকুক তাহলে ওদের মিল হলে তোমার ছেলেই তো সুখী থাকবে।

– আমার ছেলে শুধু আমার পছন্দের মেয়ের সঙ্গেই সুখী হবে ওই মেয়েকে দ্রুত বিদায় করতে হবে উকিলের সঙ্গে আজ আবার কথা বলবো।
_____________

একটা দিন চলে গেল স্তব্ধ স্নিগ্ধতার সঙ্গে স্বাভাবিক ব্যবহার করলেও স্নিগ্ধতা কোনভাবেই স্বাভাবিক হতে পারছে না স্তব্ধকে দেখলেই কেমন জানি অস্বস্তি হয় লজ্জা লাগে আবার না দেখলেও মনটা বারবার স্তব্ধের কথা ভাবে।

হল ঘরে সবাই বসে আছে রাতুল শিকদার সবাইকে ডেকেছে কিছু বলবেন বলে। সবার উপস্থিতি দেখতে পেয়ে রাতুল শিকদার বলা শুরু করলেন,
– অরিত্রি তোমার ভাইয়ের মেয়ের বিয়ে উপলক্ষে দু’দিন পর যেতে হবে ভুলে গেছ?

অরিত্রি শিকদারের মনে পড়তেই বিড়বিড় করে, ‘ছেলের কথা ভাবতে ভাবতে মিলির বিয়ের কথা ভুলেই গেছি।’

রাতুল শিকদার উওর না পেয়ে বললেন,
– কি হলো?

– মনেই ছিল না কবে যাবে?

– আমাদের তো দু’দিন পরেই যাওয়ার কথা।

– হুম

– তাই ভাবলাম এই দু’দিন স্নিগ্ধতা তার বাপের বাড়ি থেকে ঘুরে আসুক সাথে স্তব্ধও যাবে বিয়ের পর তো যাওয়া হয়নি।

– ড্যড!

– তোকে কিছু জিজ্ঞেস করিনি চুপ থাক যা বলবো তাই শুনবি।

স্তব্ধ করুন দৃষ্টিতে তাকিয়ে,
– এই লোকটাকে বিয়ে করে চরম ভুল করেছ মম আমার জীবন পুরোপুরি তেজপাতা বানিয়ে দিয়েছে।

স্তব্ধ বসা থেকে উঠে চলে যাচ্ছিল রাতুল শিকদার বললেন,
– উঠলি কেন?

– থেকেই বা কি করবো আমার কথার তো কোনো দাম নেই।

– কাল সকালে তোরা বের হবি নতুন জামাই সেজে রেডি থাকিস।

স্তব্ধ রাতুল শিকদারের কথায় পাত্তা না দিয়ে চলে গেল সাথে স্নিগ্ধতাও গেল।অরিত্রি শিকদার বললেন,
– কি শুরু করলে অচেনা জায়গায় স্তব্ধের অস্বস্তি হয়।

– অচেনা জায়গা কোথায়? ওইটা ওর শশুর বাড়ি যেতে যেতে পরিচিত হয়ে যাবে।

– আমার ভাইয়ের বাড়িতে ওই মেয়েটা যাবে কেন?

– কি বলো? ছেলের বউ ছাড়া যাবে কি করে? স্তব্ধ যাবে স্তব্ধের বউ যাবে না এটা কিভাবে সম্ভব তার উপর তোমার ভাই ভাবী বারবার করে বলে দিয়েছে স্তব্ধ আর স্নিগ্ধতাকে যেন একসঙ্গে নিয়ে যাই তারা নতুন বউকে দেখতে চায়।

– হুয়াট! ভাই জানলো কিভাবে স্নিগ্ধতার কথা?

– আমি বলেছি।

– সমস্যা কি তোমার সব জায়গায় স্তব্ধের বিয়ের কথা বলে বেরাচ্ছ কেন? রুশিও কিন্তু ওখানে আসবে।

– কে আসলো গেল তাতে আমার কিছু যায় আসে না। আমার ছেলে আর ছেলের বউ সব জায়গায় একসঙ্গে যাবে তোমার আপত্তি থাকলে তুমি একাই গিয়ে বিয়ে খেয়ে আসো আমরা কেউ যাচ্ছি না।

– রাতুল ভালো হচ্ছে না কিন্তু।

– এই কথাটা আমার বলার দরকার তুমি যা শুরু করেছ তা ভালো হচ্ছে না ছোট থেকে ছেলের ভালো মন্দের দায়িত্ব তোমার হাতে ছিল সঠিক ভাবে মানুষ করতে পেরেছ? ভালো শিক্ষা দিয়েছ? কাজ তো একটাই বাপের টাকা উড়ানো আর রাত বিরেতে মাতাল হয়ে বাড়িতে ফেরা, একটা পয়সা রোজগার করতে কত কষ্ট তা তো জানে না জম্মেছে ধনী পরিবারে চলাফেরা তেমন। মুসলিম মা হয়েও আদব-কায়দা নামাজ পড়াও শেখাওনি কয়েকদিন ধরে দেখছি স্নিগ্ধতা মায়ের কারণে নামাজ পড়ে, তুমি কি শেখাবে তোমার নিজের মধ্যেই তো এসব গুন নেই সবসময় নিজেকে নিয়ে ব্যস্ত ছিলে ছেলের বিয়েও ঠিক করেছিলে এক উচ্ছৃঙ্খল মেয়ের সঙ্গে এতে কি তোমার ছেলের ভবিষ্যৎ সুন্দর হবে?শোনো স্বামী-স্ত্রীর সম্পর্কটা হচ্ছে স্থায়ী সম্পর্ক এখানে একজন দায়িত্ব জ্ঞানহীন হলে আরেকজনকে দায়িত্বশীল হতে হয় একজন খারাপ হলে সেই খারাপকে ভালো করার জন্য আরেকজনকে ভালো হতে হয় তোমার ওই উচ্ছৃঙ্খল ছেলের জন্য স্নিগ্ধতাই পারফেক্ট একদিন ঠিকই বুঝবে।

– তুমি আমাকে এসব বলতে পারলে আমি ছেলেকে সঠিক শিক্ষা দেইনি?

– আমাকে নয় নিজের বিবেককে প্রশ্ন করো আর হ্যা আমার ছেলে এবং ছেলের বউয়ের মাঝখানে আসার চেষ্টা করলে তোমাকে আমার মুখোমুখি হতে হবে।

রাতুল শিকদার রাগ দেখিয়ে চলে গেলেন,অরিত্রি শিকদার রাগে গজগজ করতে করতে সোফার সামনের টি-টেবিলটা ভেঙে ফেললেন।আরিয়া মা’কে শান্ত করার চেষ্টা করে,

– শান্ত হও মম এসব ভেঙে লাভ কি?

– তুই শুনিসনি তোর ড্যড কি বলে গেল? আমি আমার ছেলেকে ভালো মন্দ শিখাইনি? ওদের মাঝখানে গেলে তোর বাবার মুখোমুখি হতে হবে ঠিক আছে আমিও দেখে নিব ওই মেয়েটা কিভাবে আমার ছেলের জীবনে টিকে থাকে।

চলবে……

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে