Monday, October 6, 2025







বাড়ি"ধারাবাহিক গল্প"সেই তুমি পর্ব-১৩

সেই তুমি পর্ব-১৩

#সেই_তুমি?
#পর্ব_১৩
#Tabassum_Kotha

তুর্য পুরো ঘরে একবার চোখ বুলিয়ে নিলেন। আমি আগের মতোই মুচকি হেসে দাড়িয়ে আছি। টাওয়াল হাতে এগিয়ে গিয়ে তুর্যর সামনে দাড়ালাম।

— কি দেখছেন ওভাবে? ফল কাটার ছুড়ি আগের জায়গাতেই আছে।

— সেটাই তো দেখছি। কিন্তু কিছু একটা তো ঘাপলা আছে।

— কোনো ঘাপলা নেই যান ফ্রেশ হয়ে নিন। ধরেন টাওয়াল।

তুর্য সন্দেহ মিশ্রিত চোখে আশে পাশে তাকিয়ে টাওয়ালটা নিয়ে ওয়াশরুমে ঢুকে গেলেন। ওয়াশরুমের দরজায় কান পেতে দাড়িয়ে আছি। পানির শব্দ পাওয়া যাচ্ছে। যাক কাজ হতে আর বেশি দেরি নেই। কিয়ারার ঘরেও একটু দেখা উচিত ওই পেত্নিটার খবর কি। পা টিপে টিপে কিয়ারার ঘরের সামনে চলে গেলাম।

“বাবাগো, মাগো” বলে কাঁদছে পেত্নিটা। হি হি হি কি যে ভালো লাগছে আমার। বাজারের নাম্বার ওয়ান খুজলি পাওডার এনেছি ১০/১২ টা দোকান ঘুরে। তুই কি ভেবেছিলি পেত্নি আমার স্বামীর দিকে নজর দিবি আর আমি তোকে কোলে বসিয়ে পাপ্পি দেবো গালে? হাহাহা তোর ওয়াশরুমের ঝর্ণা নষ্ট করে বালতি তে খুজলি পাওডার দিয়ে দিয়েছি। তুই যেই তোয়ালে দিয়ে শরীর মুছবি সেটাতেও দিয়েছি। আজ আর তোর ঘুম হবে না রে পেত্নি কারণ তোর বিছানাতেও খুজলি পাওডার মেশানো।

নাহ আমি আর শুনতে পাচ্ছি না পেত্নিটার কান্না। বেশ হয়েছে তোর সাথে শাকচুন্নি কোথাকার। যাই ঘরে যাই তুর্যর বের হওয়া সময় হয়ে গেছে। ঘরে গিয়ে দেখি তুর্য টাওজার পরে বেরিয়ে এসেছেন আর টাওয়াল দিয়ে শরীরের পানি পরিষ্কার করছেন। আমি আগের মতোই বিশ্বজয়করা হাসি মুখে নিয়ে দাড়িয়ে আছি। তুর্য ভ্রু কুচকে আমার দিকে তাকিয়ে আছে।

হীরের এতো শান্ত আচরণ ঝড়ের পূর্বাভাস মনে হচ্ছে তুর্যর কাছে। ভ্রু কুচকে তাকিয়ে আছে ঘটনা টা বোঝার জন্য।

— ওভাবে কি দেখছেন?

— না কিছু না। কিন্তু আমার শরীর চুলকাচ্ছে। মাত্রই তো গোসল করে এলাম।

— বলেন কি চুলকাচ্ছে কেনো?

— কি জানো জানি না তো।

— আরেহ এমন ব্যাঙের মতো লাফাচ্ছেন কেনো? কি হলো আপনার?

— শরীর চুলকিয়ে অবস্থা খারাপ আমার আর তুমি হাসছো। ওহ তার মানে তুমিই চুলকানি পাওডার মিশিয়েছিলে টাওয়ালে।

— হ্যাঁ আমিই মিশিয়েছি কিন্তু আপনি কিভাবে জানলেন খুজলি পাওডারের কথা?

— প্যাকেট টা বাথরুমেই ফেলে এসেছিলে। আগেই দেখেছিলাম।

— তাহলে কেনো এই টাওয়ালটা ইউজ করলেন?

— তুমি আমাকে ছোট একটা শাস্তি দিতে চেয়েছিলে সেটা কি আমি নিতাম না বলো।

— এটা কেমন কথা? আগে থেকেই যদি জানতেন তাহলে কেনো করলেন?

— ভালোবাসি যে তাই তোমার সব ইচ্ছা পূরণ করতে চাই।

— হুহ!

— আমার শাস্তি তো হয়ে গেছে এখন তোমার শাস্তি পাবার পালা।

— মানে!

— চলো মানে বোঝাই তোমাকে।

তুর্য আমাকে কোলে তুলে ওয়াশরুমে ঢুকে দরজা লাগিয়ে দিলেন।

— কি করছেন আপনি! শাওয়ার চালাবেন না একদম বলে দিচ্ছি।

— শাস্তি তো পেতেই হবে। কোনো ক্ষমা নেই।

তুর্য শাওয়ার অন করে আমাকে নিয়ে ভেজা শুরু করলেন। আমার না করা সত্ত্বেও জোর করে আমাকে সাথে নিয়ে ভিজছেন। আমার কোমড় আকড়ে ধরে নিজের ঠোঁট দিয়ে আমার ঠোঁট দুটো দখল করে নিলেন। অনেকক্ষণ পার হয়ে গেছে। পানি পরছে উপর থেকে আবার ঠোঁট দুটোও তার দখলে। আমি নিশ্বাস নিতে পারছি না কিন্তু সেদিকে এই লোকটার কোনো খেয়ালই নেই। আমি নিজেকে ছাড়াতে চাইছি আর সে আমাকে আরো শক্ত করে নিজের সাথে মিশিয়ে নিচ্ছেন।

কিছুক্ষণপর তুর্য আমাকে ছাড়তেই আমি হাপাতে শুরু করলাম। আর মিনিট দুয়েক এভাবে থাকলে নির্ঘাত মরে যেতাম। গোসল শেষে টাওয়াল জরিয়ে বাইরে আসতেই তুর্য আবার কোলে তুলে নিলেন আমাকে। এই লোকটাকে আমি কি জব্দ করবো! আমি নিজেই জব্দ হয়ে গেছি। তুর্য আমাকে বিছানায় শুইয়ে দিয়ে নিজের ভর আমার উপর ছেড়ে দিলেন।








সকালে তুর্য আমাকে জরিয়ে ধরে আমার বুকের উপর শুয়ে আছে। পরিবেশটা বেশ রোমান্টিক কিন্তু আজ রোমান্সের চক্করে পরে থাকলে চলবে না। আমাকে নিচে যেতে হবে। নিউ মার্কেটের নাম্বার ওয়ান চুলকানি পাওডার কতোটুকু কাজ করেছে সেটা আমার দেখতে হবে না। ওই পেত্নিটার পেচার মতো লাল মুখখানা না দেখলে কি আমার টাকা টা উসুল হবে!!

তুর্যকে আমার উপর থেকে সরিয়ে বিছানা চাদর জরিয়ে ওয়াশরুমে চলে গেলাম। চটজলদি ফ্রেশ হয়ে নিচে দৌড় দিলাম। একটা সেকেন্ডও মিস দেওয়া যাবে না। নিচে বসে আছি অনেকক্ষণ যাবত, উদ্দেশ্য কিয়ারার বাদরের মতো মুখটা দেখবো।

সবাই নাস্তা খাচ্ছে তুর্যও এসে পরেছে। কিয়ারার নামার কোনো নাম গন্ধ নেই। আমি অধীর আগ্রহ নিয়ে বসে আছি। অতঃপর আমার আগ্রহর সমাপ্তি ঘটেছে, কিয়ারা নিচে নামছে। যদিও ওরনা দিয়ে মুখ বেশখানিকটা ঢেকে রেখেছে কিন্তু যেটুকু বেরিয়ে আছে সেটি দেখেই আমি হেসে কুটি কুটি হয়ে যাচ্ছি। আমার হাসি দেখে বাকি সবাইও হেসে দিলো। যাক বাবা পেত্নিটা ভালোই জব্দ হয়েছে, সারা রাত চুলকানিময় ভালোবাসা। কিয়ারা কোনোরকম নাস্তা করে বাসা থেকে বেরিয়ে গেলো। তুর্য আজকে কিয়ারার সাথে না গেলেও কিয়ারা যাওয়ার কিছুক্ষণ পর গেলেন।

?

একটা ক্যাফেতে রায়ানের মুখোমুখী বসে আছে তাফসি। রায়ান ইতোমধ্যে ৪ গ্লাস পানি শেষ করে ফেলেছে। আর তাফসি! হা হয়ে দেখেই যাচ্ছে রায়ানকে। হয়তো আর কিছুক্ষণ এভাবে থাকলে খেয়েই ফেলবে। তাফসির এভাবে তাকিয়ে থাকা রায়ানকে বেশ অস্বস্তিতে ফেলছে।

গলা ঝাড়ি দিয়ে তাফসিকে নরমাল করার ব্যর্থ চেষ্টা করলো রায়ান। কিন্তু তাফসির নরন চরণ কিছুই নেই। উপায়ন্তর না পেয়ে রায়ান তাফসির হাত ধরে ঝাকি দিলো। এতোক্ষণে তাফসির ঘোর কাটলো। মুখে একটা বিশ্বজয়ের হাসি নিয়ে তাফসি রায়ানের দিকে আগাতে লাগলো। রায়ান ভয়ে ভয়ে ভিতরের দিকে চেপে যাচ্ছে। আচমকা তাফসি রায়ানের গালে একটা চুমু বসিয়ে দিলো। তাফসির এহেম কান্ডে রায়ান পুরোই বেকুব বনে গেছে। ফ্রিজ হয়ে বসে আছে।

— শুনেন মি. জামাই! আমাদের বিয়ে পাকা হয়ে গেছে। আপনিও রাজী আর আমি তো এক পায়ে দাড়ানো। এখন বাকি শুধু আপনার পরিবার। সেটা আমি একদিনেই ম্যানেজ করে নেবো। আপনার ফ্যামিলি রাজী হলে আমার ফ্যামিলিকে ম্যানেজ করা কোনো ব্যাপারই না।

তাফসির কথায় রায়ানের ঘোর কাটে। এই মেয়ে তো ভারি ডেঞ্জারাস। এই মেয়েকে কিছুতেই হ্যাঁ বলা যাবে না।

— আপনি এসব কি বলছেন? বিয়ে কখন পাকা হলো? আমি তো শুধু আপনার সাথে কথা বলতে এসেছিলাম যাতে আপনি আমাকে রিজেক্ট করে দেন।

— কেনো কেনো আমি কেনো আমার জানু টা কে রিজেক্ট করবো?

— কিহ!! জানু! কে জানু?

— আপনি আমার জানু!

— দেখুন মিস! আমি অন্য কাউকে ভালোবাসি। তাই আমার পক্ষে আপনাকে বিয়ে করা সম্ভব না।

তাফসি ভ্রু কুচকে কিছুক্ষণ রায়ানের দিকে তাকিয়ে থেকে আবার বলতে শুরু করলো,

— ওইসব ভালোবাসা টাসা আজ থেকে বাদ। আজকের পর থেকে আপনার মুখে শুধু তাফসি নাম শুনতে চাই।

— আচ্ছা মুসিবত মেয়ে তো আপনি।

— সে যাই বলেন। আমার কিছু যায় আসে না। শুনুন। বিয়ের আগে একটু আধটু প্রেম সবারই থাকে। কিন্তু বিয়ের পর আর সেটা থাকবে না। কারণ আমি আমার ভালোবাসা দিয়ে আপনার মন জয় করে নেবো বুঝলেন!

— দেখুন তাফসি! আপ,,

— এই আপনি আপনি কি লাগিয়ে রেখেছেন! তুমি বলবেন।

— দেখো তাফসি বোঝার চেষ্টা করো আমি অন্য কাউকে ভালোবাসি। যদিও সে অন্য কারো বিবাহিতা স্ত্রী তবুও আমার মনে তার জায়গাটা অন্য কাউকে দিতে পারবো না।

— আপনি জানেন আজ আপনার সাথে দেখা করে কতোটা খুশি হয়েছি। আজকে আমি আমার পছন্দে গর্বিত। আমি একটা হীরা খুঁজে নিয়েছি আমার জন্য।

— মানে!

— যেই মানুষটা তার ভালোবাসা এখন অন্য কারো বউ এটা জানার পরেও তাকে এতোটা ভালোবাসে,, সেই মানুষটা তার নিজের বউকে কতোটা ভালোবাসবে!

— কিন্তু আমি তোমাকে ভালোবাসতে পারবো কিনা আমি জানি না।

— আমি তো জানি। আমার একলার ভালোবাসাই আপাতত আমাদের দুজনের জন্য যথেষ্ট। আপনিও আমাকে একটা সময় ভালোবেসে ফেলবেন আমার বিশ্বাস আছে।

রায়ান আর কিছু বললো না। আর কিছু বলার মতো ভাষা রায়ানের নেই। সব ছেলেরাই চায় একটা মেয়ে তাকে এমনভাবে ভালোবাসবে। রায়ানও চাইতো তবে সেটা হীরের বেলায়। যেদিন থেকে ভালোবাসা জিনিসটা বুঝতে শিখেছে সেদিন থেকে হীরকেই চেয়েছে। তারও খুব ইচ্ছে হতো হীর তাকে ভালোবেসে এমন পাগলামি করবে। কিন্তু হীরের পাগলামি গুলো সবসময় তুর্যর মধ্যেই সীমাবদ্ধ ছিল।

আজকে তাফসির পাগলামিগুলো, জোর করে আদর করা সবটাই রায়ানের আগের ইচ্ছে পূরণ করছে। সময়ের ব্যবধানে মানুষটা শুধু ভিন্ন। ইচ্ছে গুলো আগের মতোই আছে।

তাফসি রিকশায় রায়ানের হাত ধরে বসে শহর দেখছে। রায়ানও দেখছে সেই চেনা শহরটা। কিন্তু আজকে সেই অতিপরিচিত চেনা শহরটা বড্ড অচেনা লাগছে তার কাছে। যেনো হাজার বছরের কাঙ্ক্ষিত প্রিয়তমাকে খুঁজে পেয়েছে রায়ান। এতোক্ষণে একটু গভীর মনোযোগ দিয়ে দেখছে সে তাফসি কে। মেয়েটা ভারী মিষ্টি। যদিও মুখে কোনো জায়গায় তিল নেই কিন্তু চোখগুলো অনেক বড় আর কাজল কালো। এই চোখের দিকে বেশিক্ষণ তাকিয়ে থাকলে যেকোনো মহাপুরুষ আত্মনিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলবে। যেখানে মহাপুরুষরাই দুর্বল সেখানে রায়ানের তাকিয়ে থাকার মানে হয় না। দৃষ্টি সরিয়ে নিলো রায়ান। রিকশা চলে যাচ্ছে আপন গতিতে,, থাক না আজকের ভ্রমণ টা গন্তব্যহীন।

?

ভয়ে জড়সরো হয়ে দাড়িয়ে আছে কিয়ারা। মুখ লাল হয়ে আছে তার। কিন্তু সেটা চুলকানির জন্য নাকি ভয়ে সেটা বোঝা মুশকিল। কিছুক্ষণ মূর্তির ন্যায় দাড়িয়ে থেকে সামনে বসে থাকা লোকটার পায়ের উপর পরে গেলো কিয়ারা।

— আমাকে প্লিজ ক্ষমা করে দাও রুহান আমি অনেক চেষ্টা করেছি হীরকে তুর্যর জীবন থেকে সরানোর কিন্তু পারি নি। কিন্তু তুমি আমাকে আর একটা সুযোগ দাও। বিশ্বাস করো তুর্য আমাকে ভালোবাসে। সে আমাকে প্রমিজ করেছে সে হীরকে ছেড়ে দিয়ে আমাকে বিয়ে করে নেবে।

— তুর্য প্রমিজ করেছে আর তুমি বিশ্বাস করে নিলে? তুর্য যে কি পরিমাণ ধূর্ত তা তোমার মতো ডাফর কখনই বুঝতে পারবে না। তুর্যকে আমি প্রায় আট বছর ধরে চিনি। তুর্যর শিরায় শিরায় প্রবাহিত হয় হীর। এতো সহজেই সে হীরকে ভুলে অন্য কারো প্রেমে পরতে পারে না।

— কিন্তু তুর্য আমাকে সত্যি ভালোবেসে ফেলেছে। আর কয়েকদিন পরেই সে হীরকে ডিভোর্স দিয়ে দেবে।

— আচ্ছা মানলাম তোমার কথা কিন্তু হীর! হীরের মনে কি সন্দেহ সৃষ্টি করতে পেরেছো?

— হীরের মনে সন্দেহ সৃষ্টি হয়েছে বলেই তো দেখো আমার কি অবস্থা করেছে।

— সে তো দেখতেই পাচ্ছি। ডাক্তার দেখিও।

— ঠিক আছে। রুহান বেবি আমরা বিয়ে কবে করছি? (রুহানকে জরিয়ে ধরে)

— আর ইউ ম্যাড অর হোয়াট? বিয়ে করবো! তাও আবার তোমাকে! তুমি পাগল হয়ে গেছো।

— কি বলছো এসব রুহান!! তুমি না আমাকে ভালোবাসো! আমাকে কথা দিয়েছিলে যে তুমি আমায় বিয়ে করবে।

— এমন কোনো কথা দিয়েছিলাম বলে আমার মনে পরছে না কিয়ারা বেবি!!

— এসব কি বলছো তুমি রুহান!! আমি মা হতে চলেছি তোমার সন্তানের আর তুমি কিনা এই কথা বলছো!!

— সন্তান! আমার!! তুমি সত্যি পাগল হয়ে গিয়েছো বেবি। রুহান খান এতো বোকা নয় যে একটা মেয়ের সাথে লিভ ইন রিলেশনে থেকে বাচ্চা নিবে। তোমার প্রেগনেন্সি রিপোর্টগুলো ফেইক ছিল। যাতে তোমাকে এই বাচ্চার দোহাই দিয়ে, তুর্য আর হীরকে আলাদা করার জন্য ইউজ করতে পারি।

— এতো বড় ধোঁকা! কিন্তু না রুহান আমি সত্যি প্রেগন্যান্ট। আমার পিরিয়ড অফ অনেকদিন যাবত।

— কাম অন কিয়ারা। বাচ্চামো কথা কেনো বলো। তুমি আমার সাথে থাকো, আমার সাথে খাবার খাও। ফেইক রিপোর্ট বানাতে পারলাম আর তোমাকে কয়েকটা মেডিসিন খাওয়াতে পারবো না!

— প্লিজ রুহান এমন করো না। আমি তোমাকে ভালোবাসি।

— লুক কিয়ারা। আমার তোমার সাথে কোনো শত্রুতা নেই। তুমি অনেক ভালো একটা মেয়ে। প্রথমে তুমি আমার প্ল্যানে আমায় সাপোর্ট করতে মানা করে দিয়েছিলে। তাই আমাকে এই নাটক টা করে তোমাকে রাজী করাতে হয়েছে। বলতে গেলে আমিও তোমাকে কিছুটা ভালোবেসে ফেলেছি। কিন্তু আমি তোমার থেকেও অনেক অনেক বেশি আমার প্রতিশোধ কে ভালোবাসি।

— প্লিজ রুহান।

— ইউ ক্যান গো নাও।

— রুহান।

— আই সেইড আউট। (চেচিয়ে)

কিয়ারা ওখানে থেকে কেঁদে বেরিয়ে গেলো। রুহান কিয়ারার যাওয়ার দিকে কিছুক্ষণ তাকিয়ে থেকে পাগলের মতো শব্দ করে হাসতে লাগলো।

তুর্য তুই আমার বেষ্টফ্রেন্ড ছিলি। কিন্তু তুই আমার সাথে যা করেছিস তা কোনো শত্রুও শত্রুর সাথে করে না। আমার জীবনের সবচয়ে মূল্যবান জিনিস তুই কেঁড়ে নিয়েছিস। তাই তোকেও তোর জীবনের সবচেয়ে মূল্যবান জিনিস তোর হীরকে হারাতে হবে।

চলবে..

পূর্ববর্তী নিবন্ধ
পরবর্তী নিবন্ধ
গল্প পোকা
গল্প পোকাhttps://golpopoka.com
গল্পপোকা ডট কম -এ আপনাকে স্বাগতম......
RELATED ARTICLES

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে

- Advertisment -

Most Popular

Recent Comments

Md masrur Hasan mahi على অবুঝ_বউ পার্ট: ৫
আমিনুল ইসলাম على প্রয়োজন পর্ব: ৩০ ( অন্তিম)
সাজিবুল ইসলাম على ধর্ষিতাবউ২ ৯ তথা শেষ পর্ব
শাহিদুল ইসলাম على জীবন সঙ্গী ১ম পার্ট
শাহিদুল ইসলাম على জীবন সঙ্গী ১ম পার্ট
Nita Sarkar على স্বপ্নীল ৬৮
শিয়াসা ইসলাম হুরিজিহান على রহস্য শেষ_পর্ব
শিয়াসা ইসলাম হুরিজিহান على অলক্ষ্যে তুমি পর্ব-০৬ এবং শেষ পর্ব
Nazmun Nahar Akhi على Psycho_is_back? part_7
Nazmun Nahar Akhi على Dangerous_Villian_Lover part 2
শিয়াসা ইসলাম হুরিজিহান على জানালার ওপারে পর্ব-১৭ এবং শেষ পর্ব
শিয়াসা ইসলাম হুরিজিহান على লীলা বোর্ডিং ১২১৫ পর্ব-১১ এবং শেষ পর্ব
মিজানুর রহমান রাহুল على সেই তুমি পর্ব-০১
@feelings على প্রহেলিকা
Anamika Basu على সে পর্ব-১২
Anamika Basu على সে পর্ব-১২
Nusrat jahan على coffee & vanilla Part-10
Pallabi Roy على স্বপ্নীল ৬৮
M.D Mahabub على The_Villain_Lover Part_2
Labani sarkar على Dangerous_Villain_Lover part 23
MD Akas Apc على বিবেক
Tanisha Ahmed على Devil love part-18 
Aius Barmon shorob على নারীর দেহকে নয়
Chandan roy على স্বপ্নীল ৬৮
Chandan roy على স্বপ্নীল ৬৮
Riya Biswas على তুমি রবে ৬০
Priya Banerjee على devil love married life last part
Riya Biswas على তুমি রবে ৬০
Riya Biswas على তুমি রবে ৫২
Mohammad Adib على তুমি রবে ৬০
Avni Ayesha على তুমি রবে ২৮
গল্প পোকা على Love At 1st Sight Season 3 Part – 69
সুমিত على তুমি রবে ২৮
TANJIBA ZENIFAR على তুমি রবে ৫০
TANJIBA ZENIFAR على তুমি রবে ৫০
Samiah Begum على তুমি রবে ৫১
biddut das rocky على নর নারী
গল্প পোকা على নষ্ট গলি শেষ পর্ব
Md Jobayer Hossain Shohag على নষ্ট গলি পর্ব-৩০
গল্প পোকা على দুই অলসের সংসার
গল্প পোকা على মন ফড়িং ❤৪২.
A.J.S Rakib على মন ফড়িং ❤৪২.
গল্প পোকা على গল্পঃ ভয়
গল্প পোকা على গল্পঃ ভয়
গল্প পোকা على গল্পঃ ভয়
Samiya noor على গল্পঃ ভয়
Sadikul على গল্পঃ ভয়
Samia Islam على গল্পঃ ভয়
শূন্য মায়া على মন ফড়িং ❤ ৪০.
Sutapa biswas على মন ফড়িং ❤৩৯.
Foysal Mahmud على My_Mafia_Boss_Husband Part: 16
sutapa biswas على মন ফড়িং ❤ ৩৮.
sutapa biswas على মন ফড়িং ❤ ৩৭
Foysal Mahmud على My_Mafia_Boss_Husband Part: 16
Siyam على বিবেক
Sudipto Guchhait على My_Mafia_Boss পর্ব-৯
saptami karmakar على devil love married life last part
saptami karmakar على devil love married life last part
মায়া على মন ফড়িং ৩০.
মায়া على মন ফড়িং ৩০.
মায়া على মন ফড়িং ২৬.
Shreyashi Dutta على  বিয়ে part 1
Sandipan Biswas على  বিয়ে part 1
Paramita Bhattacharyya على অনুরাগ শেষ পর্ব
জামিয়া পারভীন তানি على নষ্ট গলি পর্ব-৩০
মায়া على মন ফড়িং  ২২
সুরিয়া মিম على খেলাঘর /পর্ব-৪২
গল্প পোকা على মন ফড়িং ২১
গল্প পোকা على নষ্ট গলি পর্ব-৩০
গল্প পোকা على Love At 1st Sight Season 3 Part – 69
গল্প পোকা على Love At 1st Sight Season 3 Part – 69
গল্প পোকা على খেলাঘর /পর্ব-৪২
Sahin ssb على মন ফড়িং ২১
মায়া على মন ফড়িং ২১
মায়া على মন ফড়িং ❤ ২০.
গল্প পোকা على মন ফড়িং ❤ ২০.
গল্প পোকা على খেলাঘর /পর্ব-৪২
গল্প পোকা على খেলাঘর /পর্ব-৪২
মায়া على মন ফড়িং ❤ ১৮. 
মায়া على মন ফড়িং ❤ ১৭.
Jannatul Ferdous على খেলাঘর পর্ব-৩৫
গল্প পোকা على মন ফড়িং ❤ ১৬. 
গল্প পোকা على ফাল্গুনের_ফুল last_part_8
মায়া على মন ফড়িং ❤ ১৬. 
গল্প পোকা على ছাত্রী যখন বউ পাঠঃ ১
গল্প পোকা على বাজির প্রেম পাঠঃ ১
Foujia Khanom Parsha على মা… ?
HM Ashraful Islam على অবুঝ_বউ পার্ট: ৮
HM Ashraful Islam على অবুঝ_বউ পার্ট: ৫
Ibna Al Wadud Shovon على স্বার্থ