Sunday, October 5, 2025







সংসার পর্ব-২০

#সংসার
#পর্ব_২০

#লেখিকা_সুরাইয়া_ইসলাম_সানজি।

আমি হাঁটতে হাঁটতে একটা পাথরের উপর বসতে গিয়ে পিছলে অন্য একটা পাথরের উপর পড়ে যায়। আর একটা পাথর আমার পায়ে এসে লাগে।
তেমন একটা ব্যাথা না পেলেও এখন এতটা দূর হাঁটা সম্ভব না। আমাকে বসে থাকতে দেখে রুদ্র আমাকে ওঠিয়ে তার কোলে নেয়। আমি বার বার বলছি আমি হেঁটে যেতে পারব কিন্তু কে শুনে কার কথা।
চারপাশের সবাই আমাদের দেখে জোড়ে চিৎকার করছে। কেউ ভিডিও করছে। আমি লজ্জায় রুদ্রের গলা জড়িয়ে ধরে বুকের ভিতর মাথা লুকিয়ে রাখলাম।

৩৯.
দুপুরে খাবার খেয়ে, বিকেলের দিকে চলে গেলাম চিম্বুক পাহাড়ের উদ্দেশ্যে। বান্দরবান জেলা থেকে চিম্বুক পাহাড় প্রায় ২৬ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত।

গাড়ি করে যেতে যেতে হঠাৎ আঁকাবাঁকা একটা নদী চোখে পরে। আমি দ্রুত গাড়ি থামাতে বলে সেই নদীর তীরে যাই। আমার পিছে পিছনে বাকি সবাই আসছে। মুগ্ধ চোখে চারদিকে তাকিয়ে দেখি। বিকেলের হেলে পড়া সূর্যের জন্য নদীর পানি চিকচিক করছে। আমি সেদিকে পিটপিট করে তাকিয়ে আছি। মনে হচ্ছে প্রকৃতি আমাদের দিকে তাকিয়ে মৃদু হাসছে।
রুদ্রের দিকে উৎসাহ দৃষ্টিতে নদীর নাম কি জিঙ্গেস করলে বলে নদীর নাম সাঙ্গু নদী। এমন প্রকৃতির সাথে নদীর নাম একদম মিলছে না। মনে মনে ভাবছি নদীটার নাম কি দেওয়া যায়।

সবাই গিয়ে গাড়িতে আবার নিজ নিজ সিটে বসছে। কিন্তু আমি একই জায়গায় ভাবুক দৃষ্টিতে আকাশের দিকে তাকিয়ে ভাবছি নদীটার নাম কি দেওয়া যায়। নদীটার সৌন্দর্য দেখে যে কেউ এর মায়ার প্রেমে পরতে বাধ্য। সেখানে নদীটার নাম কি সাঙ্গু? আমি মনে মনে ভাবলাম নদীটার “প্রেমাবীনি” হলে মন্দ হত না। আমি জোড়ে চিৎকার করে উঠলাম-
“ইয়াসস প্রেমাবীনি”

হঠাৎ আমাকে চিৎকার করতে দেখে সবাই অবাক হয়ে গাড়ির ভিতর থেকৈ তাকিয়ে রইলো। রাইমা আপু চড়া গলায় বলল-
“মেঘ তুমি কি পাগল হয়ে গেলে, নাকি জ্বীন ট্বিনে ধরছে?”

আমি নিজেই নিজের বোকামি বুঝতে পেরে অপ্রস্তুত ভাবে হেসে উঠলাম। গাড়িতে ওঠে বসতেই রুদ্র ফিসফিস করে বলল-
“মায়াবীনি নাম না হয়ে ‘প্রেমাবীনি’। মারাত্মক সুন্দর নাম দিলে নদী টার।”

আমি তার দিকে অবাক হয়ে তাকালাম সে কি করে জানলো আমি এটা নদীর নাম রাখছি?
আমি প্রশ্নসূচক দৃষ্টিতে তাকালে রুদ্র উত্তরে শুধুই মুচকি হাসে।
আমি মনে মনে বলে ওঠলাম-
“হায়! এই হাসি যে আমাকে মেরেই ফেলবে।”

আমার দিকে সবাইকে তাকিয়ে হাসতে দেখে বুঝলাম কথাটা আমি মনে মনে না জোরেই বলে ফেলছি।
,

চিম্বুক পাহাড় সমুদ্র পৃষ্ট থেকে প্রায় ২৫০০ শত ফুট উপরে অবস্থিত। এখানে দাড়ালে মনে হয় মেঘের উপরে দাড়িয়ে আছি আর মেঘ নিচ থেকে ভেসে যাচ্ছে। গড়িতে করে যাওয়ার সময় মনে হচ্ছে আমরা চাঁদের বুকে পাড়ি দিচ্ছি। আমি পাহাড়ের উপর ওঠে ঘাসের উপর বসে পরি। কি অপরূপ সুন্দর্য।

জেনি আপু আর রাইমা আপু এসে ঘাসের উপর বসল।

জেনি আপু ঘাসের উপর বসতে বসতে বলল-
“সবাই সবার কাপল কে এখানে বসে প্রপোজ করলে মন্দ হবে না। কি বলিস আকাশ? ”

জেনি আপুর কথায় আকাশ ভাইয়া সায় দেয়।
আমি ভাবতে থাকি রুদ্র আমাকে কি দিয়ে প্রপোজ করবে এখানে প্রপোজ করার মতো কোনো জিনিস আছে। রুদ্র আমাকে প্রপোজ করবে ভাবতেই মনের ভিতর এক অজানা অনুভূতিতে ভরে যায়।

রাকিব ভাই পাহাড়ের আসেপাশে থেকে কিছু ঘাস ফুল নিয়ে এসে রাইমা আপুকে প্রপোজ করতেই রাইমা আপু রাকিব ভাইয়ে জড়িয়ে ধরে।
আকাশ ভাই কি দিয়ে প্রপোজ করবে ভাবতেই আসে পাশে তাকায়। তখনই রিসর্ট থেকে আসর সময় দুষ্টুমি করে রাইমা আপুর একটা উরনা গলায় পেচিয়ে নিয়েছিল। সেটা নিয়ে জেনি আপুর কাছে গিয়ে মাথায় পেচিয়ে বউদের মতো করে পরিয়ে দেয়।

তখনই রাইমা আপু বলে ওঠল-
“আকাশ ভাই এটা কি হলো? আমার উরনা দিয়ে প্রপোজ। না হবে না। এটা মানি না।”

“রাইমা,পরে না হয় বাসায় ফিরে জেনিকে প্রপোজ করা যাবে। কিন্তু এই মুহূর্তে তোমার ভাইয়ের প্রপোজ দেখার জন্য মনটা আকুপাকু করছে। যে ছেলেটা জীবনে কোন মেয়েদের কাছে যায় নাই সেই ছেলেটা কিভাবে বউকে প্রপোজ করবে দেখার জন্য আমার আর তর সহ্য হচ্ছে না।”
আকাশ ভাইয়ার কথায় সবাই উৎসক হয়ে রুদ্রের দিকে তাকায় আমি মিটমিট করে হাসছি। কি দিয়ে প্রপোজ করবে, কেমন করে প্রপোজ করবে?

রুদ্র কিছু একটা ভেবে মুচকি হেসে হাঁটু গেড়ে আমার সামনে ঘাসের উপর বসে। আমাকে ইশারায় তার হাঁটুর উপর পা রাখতে বললে আমি না রেখে অবাক হয়ে তাকিয়ে থাকি কি করবে এটা ভেবে। চারপাশে লোকজন, কারো মুখে কোন কথা নেই সবাই তাকিয়ে আছে কি হচ্ছে এটা ভেবে।

রুদ্র মুচকি হেসে ইশারায় পা তার হাটুর উপরে রাখতে বললে আমি কাঁপা কাঁপা পা তার দিকে এগিয়ে দিতেই সে নিজে পা নিয়ে হাটুর উপরে রেখে পকেট থেকে একটা পায়েল বের করে। পাথরের দু প্যাঁচের একটা পায়েল ঝকঝক করছে। আমি মুগ্ধ চোখে তাকিয়ে আছি।
রুদ্র পায়েল টা পায়ে পরিয়ে দিয়ে ওঠে দাড়াতেই আমি রুদ্রকে জড়িয়ে কান্না করে দিলাম। রুদ্র আমাকে কাপালের উপর তার ঠোঁট ছুইয়ে দেয়। মনে মনে একটা কথাই ভেসে ওঠে আদৌ কি আমি এতো ভালোবাসা পাওয়ার যোগ্য?

ছোট বেলায় যার ভালোবাসা বেশি পেতাম তাকেই হারিয়ে ফেলেছি। যে ভালোবাসা উপচে পরে সেটা যে আমার কপালে বেশি দীর্ঘ হয়না। কিন্তু আমার যে রুদ্রের ভালোবাসা অনন্তকাল চাই।

৪০.
চিম্বুক পাহাড় থেকে ফিরার সময় একটা মেয়ে আমাদের দিকে হাত নেড়ে এগিয়ে আসলো।

“হেই আকাশ, তুমি এখানে,কেমন আছো? আরে জেনি আপু আপনিও আছেন যে? সবাই এখানে কি ব্যাপার।”

মেয়েটির কথা শুনে জেনি আপুর মুখটা মুহূর্তে ফ্যাকাশে হয়ে গেল। জেনি আপু উত্তর না দিয়ে বলল-

“মেঘ চলো চলো আমাদের লেইট হয়ে যাচ্ছে।”

আমি আকাশ ভাইয়ের দিকে তাকিয়ে দেখলাম আকাশ ভাইয়া কেমন করে মেয়েটার দিকে এই দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে।

মেয়েটি বলল-
“কোথায় যাবে, কোন রিসর্টে ওঠছো?”

আকাশ ভাইয়া আস্তে করে মেয়েটির দিকে তাকিয়ে বলল-
“আমরা নীলাচল নিলাম্বর রিসর্টে ওঠেছি, হঠাৎ এখানে‌, কেমন আছো?”

মেয়েটা মুচকি হেসে বলল-
“উমমম ভালো, এই তো ঘুরতে এসেছি। চলো আমিও নীলাচল নিলাম্বর রিসর্রটে ওঠেছি। একসাথেই যাওয়া যাবে।”

মেয়েটি কথা শেষ করার আগেই জেনি আপু বলল-
“দুঃখিত আপু, আমরা যে গাড়িতে আসছে সেখানে ছয়জনের বেশি ওঠা যাবে না। তুমি বরং অন্য টায় আসো।”

মেয়েটি মন খারাপ করে বলল-
“আচ্ছা ঠিক আছে তোমরা তাহলে যাও।”

আকাশ ভাইয়া মেয়েটির সাথে আর কেউ এসেছি কিনা জিঙ্গেস করলে মেয়েটি মাথা নাড়িয়ে না বলে।

“কি বলো তুমি একা এসেছো? এই সন্ধ্যায় একা এখানে একটা মেয়ে থাকা নিরাপদ হবে না। চলো আমাদের সাথে চলো কষ্ট করে হলেও রিসর্ট পর্যন্ত যেতে পারব।”

এক প্রকার জোড় করেই আকাশ ভাইয়া মেয়েটিকে আমাদের সাথে গাড়িতে নিয়ে নেয়। আমরা সবাই মেয়েটির সাথে নানান কথা বলছি। মেয়েটির নাম লিনা। একটু কথা বলেই বুঝলাম মেয়েটি অনেক মিশুক। আর অবাক করা বিষয় মেয়েটি আকাশ ভাইয়ার খালাতো বোন। অথচ জেনি আপু আকাশ ভাইয়ার কজিন হয়েও মেয়েটিকে চিনেও না চেনার ভান কেন করলো?
গাড়িতে সবাই অনেক গল্প করলেও জেনি অপু একটা কথাও বলল না আনমনা হয়ে সারাটা রাস্তা বসে ছিল। যে মেয়ে এত কথা বলে সে কি না আজ চুপচাপ। আমার একটু সন্দেহ হলেও পরে ভাবছি হয়তো ক্লান্ত তাই চুপচাপ বসে আছে।

রিসর্টে ফিরে ফ্রেশ হয়ে সবাই শহালকা রেস্ট নেই। তারপর ওঠে একসাথে ডিনার করে বারান্দায় আড্ডায় বসে পরি। একেক জন তার জীবনের একেক কথা বলছে। রুদ্র আমাদের প্রথম ফোন আলাপের কথা গুলো বললে আকাশ ভাইয়া বলে-

“সালা তলে তলে এতদূর? আমি তো ভাবতাম বিয়ের পর থেকে তুই বউ পাগল হইছিস। এখন তো দেখি বিয়ের আগে থেকেই অনেক ছিলি। আমি প্রেম করলেই জ্ঞানের ভান্ডার খুলে বসতি অথচ নিজের বেলা ষোল আনা মাফ?”

আকাশ ভাইয়ের কথায় আড্ডায় হাসির রোল পরে যায়। কথার এক ফাপে জেনি আপু বলল-

“বুঝলে মেঘ রুদ্রকে ভার্সিটিতে থাকতে সাত বার প্রপোজ করছিলাম। কয়েকবার ধমক টকম দিলেও শেষের বার তো ও সোজা গিয়ে একটা স্যারের কাছে কমপ্লেন করে। আর আমাদের সেই জহিরুল স্যারটা ছিল খুব মজার। সে এই ভালোবাসাকে বন্ধুত্বের রূপ দেয়। সেদিন সে বলছিল- একরোখা ভালোবাসা হারিয়ে যায়, কিন্তু বন্ধুত্ব হারায় না। জেনি তুমি যদি রুদ্রু কে সারা জীবন রাখতে চাও বন্ধুত্বের হাত বাড়াও।
তারপর থেকে ওর সাথে আমার ফ্রেন্ডশিপ শুরু হয়।”

আমি জেনি আপুর কথা শুনে অবাক হয়ে যাই। সাতবার প্রপোজ করছে অথচ ব্যাপারটা তার কাছে সাধারণ।
আমাদের কথা বলতে দেখে লিনা অপু আমাদের দিকে এগিয়ে আসে। লিনাকে দেখে আকাশ ভাইয়া একটু সরে তার পাশে জায়গা করে দেয় সেখানে বসতে বলে। লিনা আপু আসলেই জেনি আপু বলে-

“রুদ্র আমার ঘুম পাইছে, তোরা আড্ডা দে। সকালে কথা হবে।”

জেনি আপু চলে যেতেই আমার সন্দেহ হয়। আমি চুপচাপ সেখান থেকে উঠে জেনি আপুর রুমের সামনে এসে দেখি জেনি আপু খাটের একপাশে বসে হাটুতে মাথা গুটিয়ে কাঁদছে।

“আপু কি হইছে কাঁদছো কেন?”

আমাকে হঠাৎ জেনি আপু সামনে দেখে তাড়াতাড়ি চোখে পানি মুছে মুখে হাসি টেনে বলে-
“আরে মেঘ কাঁদছিনা তো, খারাপ লাগছে আরকি।”

আমি আপুর পাশে বসে তার কাধে হাত দিয়ে বললাম-
“আপু আমি খারাপ লাগা আর ভালো লাগা বুঝি। তোমার চোখের জল অন্য কিছু বলছে যে?”

আমার কথা শুনে জেনি আপু এবার হাউমাউ করে কেঁদে ওঠে।কান্না জড়িত কাঁপা কাঁপা গলায় বলে-
“ও ও আ আমার আকাশ নিয়ে যাবে মেঘ। আমি বাঁচবো না।”

আমি জেনি আপুকে শান্ত করে কি হইছে জানতে চাইলে বলে-
“আকাশ আর লিনা ছোট বেলা থেকে একে অপর কে ভালোবাসত। তাই ওদের পরিবার ওদের দুজনের বিয়ে ঠিক করে রেখেছিল। তখন আমার আর আকাশের সাপে নেউলে সম্পর্ক। লিনা আকাশ আর আমার থেকে দুই বছরের ছোট ছিল।

তখন আমরা ইন্টার দ্বিতীয় বর্ষে পড়ি। আকাশ আর লিনার পরিবার চাইছিল কোর্টের মাধ্যমে বিয়েটা করিয়ে রাখবে। পরে যখন প্রাপ্তবয়স্ক হবে তখন অনুষ্ঠান করে বিয়ে করাবে। কিন্তু যেই দিন বিয়ে হবে সেই দিন লিনা কোন একটা ছেলের সাথে পালিয়ে চলে যায়।
সেইদিন আকাশ প্রথম জানতে পারে লিনা আরো সম্পর্কে জড়িয়ে ছিল। সেই থেকে ওর সব মেয়ের উপর বিশ্বাস ওঠে যায়। বেশ কয়েক বার সুইসাইড করতে গেলেও প্রতিবার আমি ওকে আটকাই। সম্পর্কটা আমাদের সাপে নেউলে হলেও এটা দুজনেরই অভ্যাসে পরিনত হয়ে যায়।
আকাশ একের পর এক রিলেশনে জড়াতো আর প্রত্যেকটা সম্পর্ক আমি গিয়ে ভেঙ্গে দিতাম। তখন আবার লিনা আমাদের মাঝে আসে। আবার আকাশ লিনার মায়ায় জড়িয়ে যায়। তার কয়েক মাস পর লিনা আকাশকে একটা মেসেজ দিয়ে সব কিছু থেকে ব্লক করে দেয় যেখানে লেখা ছিলো-
“আকাশ তোমার প্রতি শুধুই আমার আবেগ। আমি অন্য একজনকে ভালোবাসি। যে আমাকে এতদিন দূরে রেখেছে কিন্তু এখন আবার সে আমাকে চায়। আমি তার কাছে ফিরে যাচ্ছি ক্ষমা করে দিও।”

আকাশ সেই দিন খুব কষ্ট পেলেও আমি সেই ওকে সামলাই। সেই থেকেই আমাদের বন্ধুত্ব শুরু। তারপর আস্তে আস্তে মেলামেশা, বিশ্বাস বাড়তে থাকে। তারপর দুইজন দুই শহরে পড়তে গেলে উপলব্ধি করি দুজন দুজকে ভালোবাসি। সেই থেকেই আমাদের সম্পর্ক শুরু হয়।”

এখন আবার লিনা ফিরেছে আমার ভালোবাসাকে কেড়ে নিতে বলতে বলতেই জেনি আপু কান্নায় ভেঙ্গে পরে।

আমি দরজার দিকে তাকিয়ে দেখি আকাশ ভাইয়া আসছে। আকাশ ভাইয়া আসতে দেখে জেনি আপু তাড়াতাড়ি চোখে জল মুছে নেয়। আকাশ ভাইয়া কিছুক্ষণ জেনি আপুর দিকে তাকিয়ে ওয়াশরুমের দিক পা বাড়ায়।
,

সকাল বেলা আমি নামাজ পড়ে বারান্দায় বসে প্রকৃতি অনুভব করতে থাকি। রুদ্র নামাজ পরে আবার ঘুমিয়ে গেছে। চারপাশে ঘন কুয়াশা।
হঠাৎ আমি পিছনে শব্দ শুনে পিছনে তাকিয়ে দেখি আকাশ ভাইয়া দরজা খুলে পা টিপেটিপে বাহিরে যাচ্ছে। আমিও আকাশ ভাইয়ের পিছু নিয়ে দেখি আকাশ ভাইয়া লিনা আপুর রুমের সামনে দাড়িয়ে আছে।

লিনা আপু দরজা খুললে আকাশ ভাইয়া ভিতরে যায়। আমি দূর থেকে শুধু দেখছি তারা কি বলছে শুনতে পারছি না।
পিছনে অন্য কারো আসার শব্দ শুনে তাকিয়ে দেখি জেনি আপু এদিকেই আসছে। আমি জেনি আপুকে দেখে চুপচাপ বারান্দায় চলে যায়। জেনি আপু ধীরু পায়ে লিনা আপুর দরজায় নক করছে।

আমি জেনি আপুকে সেখানে দেখে আতকে ওঠি। এখন যদি আকাশ ভাইয়াকে লিনা আপুর রুমে জেনি আপু দেখে তাহলে সে কি করবে জানি না। ভয়ে ভয়ে আমিও সেদিকে পা বাড়াই।

#চলবে,,,,

পূর্ববর্তী নিবন্ধ
পরবর্তী নিবন্ধ
গল্প পোকা
গল্প পোকাhttps://golpopoka.com
গল্পপোকা ডট কম -এ আপনাকে স্বাগতম......
RELATED ARTICLES

1 মন্তব্য

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে

- Advertisment -

Most Popular

Recent Comments

Md masrur Hasan mahi على অবুঝ_বউ পার্ট: ৫
আমিনুল ইসলাম على প্রয়োজন পর্ব: ৩০ ( অন্তিম)
সাজিবুল ইসলাম على ধর্ষিতাবউ২ ৯ তথা শেষ পর্ব
শাহিদুল ইসলাম على জীবন সঙ্গী ১ম পার্ট
শাহিদুল ইসলাম على জীবন সঙ্গী ১ম পার্ট
Nita Sarkar على স্বপ্নীল ৬৮
শিয়াসা ইসলাম হুরিজিহান على রহস্য শেষ_পর্ব
শিয়াসা ইসলাম হুরিজিহান على অলক্ষ্যে তুমি পর্ব-০৬ এবং শেষ পর্ব
Nazmun Nahar Akhi على Psycho_is_back? part_7
Nazmun Nahar Akhi على Dangerous_Villian_Lover part 2
শিয়াসা ইসলাম হুরিজিহান على জানালার ওপারে পর্ব-১৭ এবং শেষ পর্ব
শিয়াসা ইসলাম হুরিজিহান على লীলা বোর্ডিং ১২১৫ পর্ব-১১ এবং শেষ পর্ব
মিজানুর রহমান রাহুল على সেই তুমি পর্ব-০১
@feelings على প্রহেলিকা
Anamika Basu على সে পর্ব-১২
Anamika Basu على সে পর্ব-১২
Nusrat jahan على coffee & vanilla Part-10
Pallabi Roy على স্বপ্নীল ৬৮
M.D Mahabub على The_Villain_Lover Part_2
Labani sarkar على Dangerous_Villain_Lover part 23
MD Akas Apc على বিবেক
Tanisha Ahmed على Devil love part-18 
Aius Barmon shorob على নারীর দেহকে নয়
Chandan roy على স্বপ্নীল ৬৮
Chandan roy على স্বপ্নীল ৬৮
Riya Biswas على তুমি রবে ৬০
Priya Banerjee على devil love married life last part
Riya Biswas على তুমি রবে ৬০
Riya Biswas على তুমি রবে ৫২
Mohammad Adib على তুমি রবে ৬০
Avni Ayesha على তুমি রবে ২৮
গল্প পোকা على Love At 1st Sight Season 3 Part – 69
সুমিত على তুমি রবে ২৮
TANJIBA ZENIFAR على তুমি রবে ৫০
TANJIBA ZENIFAR على তুমি রবে ৫০
Samiah Begum على তুমি রবে ৫১
biddut das rocky على নর নারী
গল্প পোকা على নষ্ট গলি শেষ পর্ব
Md Jobayer Hossain Shohag على নষ্ট গলি পর্ব-৩০
গল্প পোকা على দুই অলসের সংসার
গল্প পোকা على মন ফড়িং ❤৪২.
A.J.S Rakib على মন ফড়িং ❤৪২.
গল্প পোকা على গল্পঃ ভয়
গল্প পোকা على গল্পঃ ভয়
গল্প পোকা على গল্পঃ ভয়
Samiya noor على গল্পঃ ভয়
Sadikul على গল্পঃ ভয়
Samia Islam على গল্পঃ ভয়
শূন্য মায়া على মন ফড়িং ❤ ৪০.
Sutapa biswas على মন ফড়িং ❤৩৯.
Foysal Mahmud على My_Mafia_Boss_Husband Part: 16
sutapa biswas على মন ফড়িং ❤ ৩৮.
sutapa biswas على মন ফড়িং ❤ ৩৭
Foysal Mahmud على My_Mafia_Boss_Husband Part: 16
Siyam على বিবেক
Sudipto Guchhait على My_Mafia_Boss পর্ব-৯
saptami karmakar على devil love married life last part
saptami karmakar على devil love married life last part
মায়া على মন ফড়িং ৩০.
মায়া على মন ফড়িং ৩০.
মায়া على মন ফড়িং ২৬.
Shreyashi Dutta على  বিয়ে part 1
Sandipan Biswas على  বিয়ে part 1
Paramita Bhattacharyya على অনুরাগ শেষ পর্ব
জামিয়া পারভীন তানি على নষ্ট গলি পর্ব-৩০
মায়া على মন ফড়িং  ২২
সুরিয়া মিম على খেলাঘর /পর্ব-৪২
গল্প পোকা على মন ফড়িং ২১
গল্প পোকা على নষ্ট গলি পর্ব-৩০
গল্প পোকা على Love At 1st Sight Season 3 Part – 69
গল্প পোকা على Love At 1st Sight Season 3 Part – 69
গল্প পোকা على খেলাঘর /পর্ব-৪২
Sahin ssb على মন ফড়িং ২১
মায়া على মন ফড়িং ২১
মায়া على মন ফড়িং ❤ ২০.
গল্প পোকা على মন ফড়িং ❤ ২০.
গল্প পোকা على খেলাঘর /পর্ব-৪২
গল্প পোকা على খেলাঘর /পর্ব-৪২
মায়া على মন ফড়িং ❤ ১৮. 
মায়া على মন ফড়িং ❤ ১৭.
Jannatul Ferdous على খেলাঘর পর্ব-৩৫
গল্প পোকা على মন ফড়িং ❤ ১৬. 
গল্প পোকা على ফাল্গুনের_ফুল last_part_8
মায়া على মন ফড়িং ❤ ১৬. 
গল্প পোকা على ছাত্রী যখন বউ পাঠঃ ১
গল্প পোকা على বাজির প্রেম পাঠঃ ১
Foujia Khanom Parsha على মা… ?
HM Ashraful Islam على অবুঝ_বউ পার্ট: ৮
HM Ashraful Islam على অবুঝ_বউ পার্ট: ৫
Ibna Al Wadud Shovon على স্বার্থ