শেষ_পর্যন্ত পার্ট: ২৬

0
2095

শেষ_পর্যন্ত

পার্ট: ২৬

লেখিকা: সুলতানা তমা

নীলিমাকে কি এখন কিছু জিজ্ঞেস করবো বুঝতে পারছি না। তখন নীলিমা ফোনে একটা কথা বলেছিল “আপু তুমি যা বলেছ আমি তাই করেছি” এই কথাটার মানে কি তাহলে কি আরোহীর সাথে নীলিমা যুক্ত আছে। নাহ নীলিমাকে এখন কিছু বলবো না আগে আলিফার সাথে কথা বলা প্রয়োজন।
রিয়ান: ভাইয়া কোথায় যাচ্ছ
আমি: হসপিটালে
রিয়ান: আমি যাচ্ছি তুমি একটু রেস্ট নাও
আমি: না আলিফার সাথে আমার প্রয়োজন আছে
রিয়ান: আচ্ছা দাঁড়াও ভাবিকে দেখতে যাবো আমি
আমি: হুম চল।

রিয়ানের সাথে কথা বলতে বলতে হসপিটালে চলে আসলাম। আলিফার রুমে ঢুকতে যাবো হঠাৎ একটা কথা শুনে রিয়ান আমি থমকে দাঁড়ালাম।
আলিফা: রাতুল বুঝার চেষ্টা করো আমি এসব নিয়ে এখন কথা বলতে চাই না। আর আমি অসুস্থ রিফাতের মনের অবস্থা দেখেছ এখন কিভাবে এসব বলি
রাতুল: হুম বাদ দাও
আলিফা: আমাকে সুস্থ হওয়ার সময় দাও প্লিজ
রাতুল: হুম।
সবকিছু আবার নীরব হয়ে গেলো। রিয়ান আমার দিকে অবাক হয়ে তাকিয়ে আছে।
আমি: কি কিছু বুঝিসনি
রিয়ান: (নিশ্চুপ)
আমি: আমি সিউর আলিফা ডিভোর্স এর কথা ভাবছে
রিয়ান: ভাবি কি এই শব্দটা একবারো বলেছে সবসময় এতো বোকা বোকা কথা বলো কেন
আমি: এখন আমার কথা বোকা বোকা কথা মনে হচ্ছে সময় হলে ঠিক বুঝতে পারবি
রিয়ান: কচু বুঝবো তুমি বুঝ ভালো করে
আমি: চল
রিয়ান: হুম চলো ভাবিকে ডিভোর্স নিয়ে কোনো কথা বলবা না বলে দিলাম
আমি: হুম।

আমরা ভিতরে আসতেই রাতুল চলে যেতে চাইলো।
রিয়ান: রাতুল ভাইয়া চলে যাচ্ছেন কেন
রাতুল: তোমরা তো আছ পরে আবার আসবো
রিয়ান: হুম যান বাসায় গিয়ে একটু রেস্ট নিন
রাতুল: হুম। (রিয়ান যে চাচ্ছেই রাতুল চলে যাক সেটা রাতুল বুঝতেও পারলো না)
রিয়ান: ভাবি এখন কেমন আছ
আলিফা: ভালো, আমি বাসায় যাবো কবে
রিয়ান: আমি ডক্টর এর সাথে কথা বলে আসছি
আলিফা: হুম।
রিয়ান যেতেই আলিফা আমাকে ওর পাশে গিয়ে বসতে বললো। আলিফার পাশে বসে আছি কিন্তু কেন যেন ওর চোখের দিকে তাকাতে পারছি না।
আলিফা: হয়েছে কি তোমার, আমার থেকে দূরে দূরে থাকো কেন
আমি: কোথায় নাতো
আলিফা: আমার দিকে তাকিয়ে কথা বলো
আমি: বাদ দাওনা
আলিফা: না বলো কেন তুমি এতো দূরে দূরে থাকো
আমি: মায়া কাটানোর চেষ্টা করছি
আলিফা: কি
আমি: কিছুনা, একটা কথা বলার ছিল
আলিফা: বলো
আমি: তুমি তো বলেছিলে কোনো মেয়ে আমাকে ভালোবাসতো কিনা, পেয়েছি আরোহী নিলার বেস্ট ফ্রেন্ড….
আলিফা: তাহলে নিশ্চিত হয়ে নাও এই মেয়েই খুনি
আমি: হতে পারে কিন্তু প্রমাণ তো লাগবে
আলিফা: আচ্ছা তুমি পেয়েছ কিভাবে
আমি: আরোহীর সাথে নীলিমার যোগাযোগ আছে
আলিফা: নীলিমা যুক্ত নয় তো
আমি: সেটাই তো ভাবছি
আলিফা: তুমি নীলিমার সাথে কথা বলো জিজ্ঞেস করো যে….
আমি: ও বলবে নাকি
আলিফা: চেষ্টা তো করে দেখো
আমি: ঠিক আছে
আলিফা: তোমার হাতটা দাও তো (হাত বাড়াতেই ও আমার হাত শক্ত করে ধরে আমার দিকে তাকালো)
আলিফা: এবার বলো কি হয়েছে তোমার আমাকে এড়িয়ে চলছ কেন
আমি: কখন এড়িয়ে চললাম ভালোবাসার মানুষকে এড়িয়ে চলা যায় নাকি
আলিফা: রাতুল ফিরে এসেছে তাই এমন চুপচাপ হয়ে গেছ তাই না
আমি: (নিশ্চুপ)
আলিফা: আমাকে তোমরা একটু সময় দাও আমি এই অবস্থায় টেনশন নিতে পারছি না। সুস্থ হই দেখো আমি নিজেই সঠিক সিদ্ধান্ত নিবো।
আমি: সিদ্ধান্ত তো একটাই হয় আমাকে ছাড়তে হবে নাহয় রাতুলকে
আলিফা: সিদ্ধান্ত তো এইটাও হতে পারে দুজনকেই ছেড়ে দিবো (কিছু না বলে আলিফার দিকে তাকিয়ে আছি, জানি তো ওকে আমার হারাতে হবেই। আর এখন তো ওর কথাতেই বুঝা গেছে)

নিলাকে ভালোবেসে কষ্ট পেয়েছিলাম ওর স্মৃতি নিয়েই বাকি জীবনটা কাটিয়ে দিতাম ভালো হতো। কেন যে এই মিথ্যে মায়ায় জড়াতে গেলাম। এখন না পারছি আলিফাকে ছাড়তে না পারছি ওকে ধরে রাখতে। আমি নাহয় কোনো সিদ্ধান্ত নিলাম না কিন্তু আলিফা যখন কোনো সিদ্ধান্ত নিবে তখন তো আমি মানতে বাধ্য….
রিয়ান: ভাইয়া আসবো
আমি: হুম আয়
রিয়ান: ভাবি ডক্টর বলেছে দু সপ্তাহ থাকতে হবে
আলিফা: আমি এতোদিন থাকতে পারবো না প্লিজ
রিয়ান: ডক্টর অবশ্য আর একটা কথা বলেছে
আলিফা: কি
রিয়ান: আমরা যদি তোমাকে বাসায় নিয়ে সেবা করতে পারি তাহলে দু-তিন দিন পর তুমি বাসায় চলে যেতে পারো কিন্তু আমরা তো নিবো না
আলিফা: আমাকে দেখার জন্য তো রিফাত আছেই ও আমার কোনো ক্ষতি হতে দিবে না আমি জানি। প্লিজ আমাকে নিয়ে চলো (রিয়ান আমি দুজনেই আলিফার দিকে অবাক হয়ে তাকিয়ে আছি। মেয়েটা এখনো আমার উপর এতো ভরসা করে)
আলিফা: আরে কি হলো দু ভাই আমার দিকে হা করে তাকিয়ে আছ কেন
রিয়ান: দেখেছ ভাইয়া এতো কিছুর পরও ভাবি তোমার উপর কতোটা ভরসা করে আর তুমি কিনা….
আলিফা: রিয়ান কি হয়েছে
রিয়ান: কিছু না ভাবি
আলিফা: আমার থেকে সবাই কথা লুকায়
আমি: রিয়ান তুই থাক আমি আসছি
রিয়ান: কোথায় যাবে
আমি: বাসায়
রিয়ান: এখন আসলাম মাত্র এখনি চলে যাবে
আলিফা: রিয়ান ওকে যেতে দাও
রিয়ান: ঠিক আছে।

বাসায় এসে নীলিমাকে খুঁজতে সোজা ওর রুমে গেলাম, জানালা দিয়ে বাইরে তাকিয়ে আছে।
আমি: নীলিমা (আমার ডাক শুনে তাড়াতাড়ি চোখের পানি মুছে নিলো)
আমি: তুই কাঁদছিলি
নীলিমা: নাতো
আমি: আমার সাথে চল
নীলিমা: কোথায়।
নীলিমার হাত ধরে টেনে ওকে ছাদে নিয়ে আসলাম।

ছাদে এসে নীলিমা মাথা নিচু করে দাঁড়িয়ে আছে, আমার মাথায় কিছুতেই আসছে না নীলিমার মতো মেয়ে এতো চুপচাপ হলো কিভাবে। সবসময় কাঁদছে কাউকে কিছু বলছে না, কিছু জিজ্ঞেস করলে লুকানোর চেষ্টা করছে। কিন্তু আজ ওকে সব প্রশ্নের উত্তর দিতে হবে।
আমি: নীলিমা
নীলিমা: হুম
আমি: দেখ এখানে কেউ নেই তুই আর আমি ছাড়া তাই আমি যা জিজ্ঞেস করি নির্ভয়ে বল
নীলিমা: কি জানতে চাও
আমি: তুই কাকে ভালোবাসিস (এতক্ষণ নিচের দিকে তাকিয়ে ছিল আমার প্রশ্নটা শুনে আমার দিকে অসহায়ের মতো তাকালো)
আমি: দেখ আমি যে শুধু তোর বড় ভাই তা কিন্তু না, বড় ভাই যেমন শাসন করতে জানে তেমন ভালোবাসতেও জানে প্লিজ তুই নির্ভয়ে বল
নীলিমা: আগে কথা দাও কাউকে বলবা না
আমি: ঠিক আছে
নীলিমা: আমি রিরিরিয়া….
আমি: মাথা নিচু করে কি এতো তোতলাচ্ছিস ভালোবাসার কথা কি মানুষ মাথা নিচু করে বলে
নীলিমা: ভয় করে যে
আমি: কিসের ভয়টা বলবি তো
নীলিমা: যাকে ভালোবাসি সে যদি আমাকে বুঝতে না চায় যদি আমাকে ফিরিয়ে দেয়, আমাদের দুই পরিবার যদি না মেনে নেয়
আমি: দুই পরিবার মানে তুই কি রিয়ানকে ভালোবাসিস
নীলিমা: হুম
আমি: হাসবো না কাঁদবো তোর কথা শুনে বুঝতে পারছি না, রিয়ানকে ভালোবাসিস আর এইটা বলতে পারছিস না। আমাদের যে কোনো একজন কে বললেই তো হতো
নীলিমা: বললাম না ভয় হয়। রিয়ান ভাইয়াকে আমি অনেক ভয় পাই একবার রেগে গেলে পাগলের মতো হয়ে যায়। তাছাড়া আপুর হঠাৎ করে সুইসাইড এখন যদি কেউ এই সম্পর্কটা মেনে না নেয় তাই ভয়ে কাউকে বলতে পারিনি কিন্তু আজ তুমি….
আমি: নীলিমা আমি না ভাবতেই পারছি না তোর মতো মেয়ে কিনা এতো ভয় পায়
নীলিমা: একটা কথা জানো তো ভাইয়া, ভালোবাসা মানুষকে সব করতে শিখায়। তোমাদের বাসায় তো আমি তেমন আসিনি, তোমাদের বিয়ের সময় এসেছিলাম। তখন রিয়ান ভাইয়া কে ভালো লেগেছিল কিন্তু হঠাৎ আপুর মৃত্যু সব উলটপালট করে দেয়। ভেবে নিয়েছিলাম আর কখনো এখানে আসবো না নিজের ভালোবাসা কে নিজের ভিতরেই কবর দিবো। কিন্তু পারিনি লাস্ট দুবছর মন কে অনেক বুঝানোর চেষ্টা করেছি কিন্তু বার বার ব্যর্থ হয়েছি। কাউকে বলতেও পারতাম না এসব, একদিন আরোহী আপুকে সব বলি….
আমি: আরোহী কি বলেছিল
নীলিমা: আপু বলেছিল শহরের ছেলেরা স্মার্ট মেয়ে চায়, নিজেকে সেই ভাবে তৈরি করি শুধুমাত্র একটু ভালোবাসা পাওয়ার জন্য কিন্তু
আমি: কি
নীলিমা: তোমাদের বিয়ের পর আম্মু অনেক বার বলেছিল বাসায় আসতে। ভয়ে আসিনি যদি কেউ বুঝতে পেরে সবাইকে বলে দেয় তাহলে তো আম্মু আব্বু চাচ্চু সবাই কষ্ট পাবে। সেদিন কেন যেন খুব ইচ্ছে হয় ওকে একবার দেখার, ও তো আর গ্রামে যাবে না। তাই ভাবিকে দেখার কথা বলে এখানে আসি শুধুমাত্র ওকে এক নজর দেখার জন্য। প্রথম দিন তুমি আমাকে যেভাবে দেখেছিলে আমি আসলে সেই নীলিমা নই আমি নিলার বোন নীলিমা, ওইসব ছিল একটু ভালোবাসা পাওয়ার জন্য কিন্তু এখানে এসে বুঝতে পারি তোমার ভাই ঠিক তোমার মতো। ভেবেছিলাম যেহেতু আমি রিয়ান ভাইয়ার মনের মতো তাহলে আমাকে ফিরিয়ে দিবে না আর পরে নাহয় সবাইকে বুঝিয়ে বলবো। তাই গতকাল সাহস করে রিয়ান ভাইয়াকে বলতে গিয়েছিলাম কিন্তু ওর রুমের বাইরে থেকে শুনতে পাই ও কাকে যেন ফোনে আই লাভ ইউ বলছে। এতোদিনের সব স্বপ্ন এক নিমিষেই ভেঙে গিয়েছিল তাই কাল সন্ধ্যায় ছাদে সুইসাইড করতে গিয়েছিলাম
আমি: তারমানে তুই কাল নিলার ছবি নিয়ে সুইসাইড করতে গিয়েছিলি
নীলিমা: আপু থাকলে হয়তো আমাকে এতো কাঁদতে হতো না, তাই শেষ সময়ে আপুর ছবিট….
আমি: তুই আমাকে প্রমিজ কর আর কখনো সুইসাইড এর কথা মাথায় আনবি না
নীলিমা: জানো ভাইয়া আম্মু যখন বলেছিল ভাবি তোমাকে মেনে নেয়নি অনেক কষ্ট পেয়েছিলাম। তারপর এখানে এসে বুঝতে পারি আসলে ভাবি তোমাকে ভালোবাসে কিন্তু সেটা বুঝতে পারছে না। তাই আমি এতো অভিনয় করেছি, আমি তো জানি ভালোবাসা না পাওয়ার কি যন্ত্রণা তাই তোমাকে সে যন্ত্রণা থেকে মুক্ত করতে চেয়েছিলাম কিন্তু
আমি: কিন্তু কি
নীলিমা: তোমাদের এক করেও আমি আবার আলাদা করার চেষ্টা করেছিলাম
আমি: মানে
নীলিমা: ভাইয়া আমাকে ক্ষমা করে দিও ডিভোর্স পেপারটা আমি রেখেছিলাম
আমি: আরোহী রাখতে বলেছিল
নীলিমা: হ্যাঁ কিন্তু তুমি বুঝলে কিভাবে
আমি: আরোহী বললো আর তুই তাই করলি
নীলিমা: ভালোবাসার জন্য তো মানুষ মরতেও পারে, আরোহী বলেছিল ওর কথামতো ডিভোর্স পেপারটা না রাখলে রিয়ানকে মেরে ফেলবে
আমি: ওর পক্ষে কাউকে মেরে ফেলাটা খুব সহজ
নীলিমা: ও নাকি তোমাকে ভালোবাসে তাই….
আমি: ভালোবাসে আমি বাসিনি তাই ও নিলাকে খুন করেছে আলিফাকে মারার চেষ্টা করেছে
নীলিমা: কি
আমি: হ্যাঁ তুই যাকে বড় বোনের মতো ভাবতি সেই নিলার খুনি (নীলিমা ছাদের মধ্যে দফ করে বসে পড়লো)
আমি: নীলিমা শান্ত হ প্লিজ
নীলিমা: আপু সুইসাইড করেনি ওকে খুন করা হয়েছে আর আরোহী আপু করেছে। আমি কিনা এতোদিনে এইটা বুঝতে পারিনি উল্টো আরোহী কে বড় বোন ভেবে সব বলে এসেছি
আমি: কান্না করিস না প্লিজ আমার কথা শুন
নীলিমা: আপুকে খুন করা হয়েছে জেনেও তুমি পারছ শান্ত হয়ে থাকতে আমি তো….
আমি: নীলিমা তোকে প্রথম চিনতে পারিনি আজ বুঝলাম তুই একটা সহজ সরল মেয়ে আর আরোহী তোর এই সরলতাকে কাজে লাগিয়েছে
নীলিমা: ওকে তো আমি ছাড়বো না
আমি: পাগলামি করিস না আমি যা বলি তাই কর তাহলে আমরা আরোহীকে শাস্তি দিতে পারবো
নীলিমা: ঠিক আছে বলো
আমি: তার আগে বল সুইসাইড করার কথা মাথায় আনবি না (আমার দিকে শান্তভাবে তাকিয়ে আছে)
নীলিমা: আচ্ছা ভাইয়া ভালোবাসায় এতো কষ্ট কেন (ওর এই প্রশ্নের উত্তর আমি কি দিবো আমি নিজেই তো এই যন্ত্রণায় ভুগছি)
নীলিমা: পৃথিবীর নিয়ম এতো নিষ্টুর কেন, যাকে আমি ভালোবাসি সে আমাকে নয় অন্য কাউকে ভালোবাসে আর যে আমাকে ভালোবাসে আমি তাকে ভালোবাসি না। খুব অদ্ভুত নিয়ম তাই না ভাইয়া।
আমি: কাঁদিস না আমি রিয়ানের সাথে কথা বলবো
নীলিমা: না তুমি কিন্তু আমাকে কথা দিয়েছ কাউকে বলবা না
আমি: ঠিক আছে বলবো না
নীলিমা: ভাইয়া আমাকে ক্ষমা করে দিও তুমি ভাবিকে এতো ভালোবাস জেনেও আমি ডিভোর্স পে….
আমি: এইটা নিয়ে কথা না বলাই ভালো দুদিন পর তো আমাদের ডিভোর্স হয়েই যাবে
নীলিমা: ভাইয়া
আমি: বাদ দে এখন আরোহীকে আগে শাস্তি দিতে হবে
নীলিমা: ভাইয়া আমি আর একটা অন্যায় করেছি
আমি: কি
নীলিমা: আরোহীর কথায় সেদিন আমি তোমাদের জোসে মদ দিয়ে ছিলাম। আমি জানতাম না আরোহীর প্ল্যান কি ছিল শুধু ওর কথা মতো কাজ করেছিলাম কারণ ও বলেছিল ওর কথা না শুনলে সবাইকে বলে দিবে আর রিয়ান ভাইয়াকে মেরে ফেলবে তাই আমি ভয় পেয়ে গেছিলাম
আমি: আরোহী দিতে বলেছিল তারমানে ওর কোনো খারাপ প্ল্যান ছিল
নীলিমা: হতে পারে, আমি কতোটা বোকা এতোদিনে আরোহীর আসল চেহারাটা বুঝতে পারিনি
আমি: তুই বোকা না তুই একটা সহজ সরল মেয়ে। এখন আমি যা বলি তাই কর তাতেই আমরা আরোহীকে শাস্তি দিতে পারবো
নীলিমা: কি করতে হবে বলো
আমি: আরোহীকে শুধু একবার আমাদের বাসায় নিয়ে আয় বাকিটা আমি দেখছি
নীলিমা: ঠিক আছে।
এবার দেখি আরোহী কিভাবে বাঁচে, ওকে তো আমি শাস্তি দিবোই। আমার নিলাকে খুন করেছে আলিফাকে মারার চেষ্টা করেছে ওকে এমন শাস্তি দিবো আর কখনো কারো ক্ষতি করার চেষ্টা করবে না।

চলবে?

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে