রাব্বাতুল বাইত পর্ব-২+৩

0
4268

#গল্প_রাব্বাতুল_বাইত
#লেখক_হানিফ_সরকার_শান্ত
#পর্বঃ২

সকালে ঘুম থেকে উঠে মুবাসিরা আর লায়লা চৌধুরী যা দেখে তা দেখে অবাক হয়ে যায়। পুরো বাড়ি কোরআন তেলাওয়াতে প্রতিধ্বনিতে মুগ্ধ। সু মধুর কন্ঠে কোরআন তেলাওয়াত করতেছে ফাতিহা। মা ফাতিহা তুমি এত সুন্দর কোরআন তেলাওয়াত করতে পার। আমি তোমার মতোই একটা লক্ষি মেয়ে ছেয়ে ছিলাম আমার বাড়ি বউ করে আনার জন্য। আমি আল্লাহ সুবাহান তায়ালার কাছে চাইতাম একটা পর্দাশীল মেয়েকে যাতে আমার ছেলের জীবন পরিবর্তন করতে পারে।

ফাতিহা মা আমার ছেলে টা অবুঝ আমার ছেলের জীবন টা এলোমেলো তুমি আমাকে কথা দাও অভির এলোমেলো জীবনটাকে গুছিয়ে দেবে। কারণ আমি জানি আমি বেঁচে থাকতে যদি আমাদের চৌধুরী পরিবারের নিয়ম নীতি যদি আল্লাহ রাসুলের নিতির বাইরে চলে যায় তা হলে প্রতেক্যটি প্রজন্মও আল্লাহ ও রাসুলের নিতির বাইরেই চলতে থাকবে।
আমি জানি ফাতিহা মা তুই পারবে আমার কথা
রাখতে।

ইনশাআল্লাহ আম্মা আমি আপনার কথা রাখার চেষ্টা করব।
ফাতিহা তুমিই হবে আমাদের #রাব্বাতুল_বাইত [ রাব্বাতুল বাইন আরবি শব্দ যার অর্থ হলো ঘরের রাণী ]
বউমা অভি ঘুম থেকে উঠেছে….? না মা অভি ঘুম থেকে উঠে নাই। 😮বউমা তুমি অভির ধরে নাম ডাক কেন..? বউমা তুমি জান না স্বামী নাম ধরে ডাকতে নেই। আম্মা স্বামীর নাম ডাকা যায়। নাম ধরে ডাকলে কোনো সমস্যা নাই।

হযরত জায়নাব( রাঃ) রাসুলুল্লাহ ( সাঃ) সামনে তার স্বামী আবদুল্লাহ ইবনু মাসঊদ (রাঃ) এর নাম ধরে কথা বলেছিলেন ( বুখারীর ১৪৬২)

ইব্রাহিম( আঃ) বউ তার স্বামীর নাম ধরে ডেকেছেন।

ভাবি এই নাও চা ভাইয়াকে গিয়ে দিয়ে এস..! মুবাসিরা তুমি চা বানালে কেন…? আমাকে বলতে আমি চা বানাতাম। ভাবি তুমি হচ্ছে নতুন বউ তোমাকে এসব কাজ করতে হবে না ।
আমার নন্দনী আপনি আর কখনো চা বানাবেন না। এত দিন তুমি আর মা মিলে বাড়ির কাজ করেছ আজ থেকে তোমার কোনো কাজ করতে হবে না সব কাজ আমি করব। এইসব কাজ করার দায়িত্ব আজ থেকে আমার।
হয়েছে ভাবি এত কথা না বলে চা টা ভাইয়া গিয়ে দিয়ে এস না হলে চা ঠান্ডা হয়ে যাবে। এই নাও মা তোমার চা।
ফাতিহা চা নিয়ে রুমে এসে দেখে অভি এখনো নাক ডেকে ঘুমাছে। এই যে উঠুন, এই যে উঠুন এই যে শুনছেন উঠুন,,,,,,, মুবাসিরা ডাকিস না তো এত সকালে আমি উঠতে পারব না। আরে আমি মুবাসিরা না আমি আপনার বউ। ওওও তুমি গ্রামের ক্ষেত মেয়েটা আমি এখন ঘুমাব তুমি এখান থেকে যাও
এই উঠুন বলছি না হলে কিন্তু শরীরলে পানি ঢেলে দিব

এই ক্ষেত মেয়ে শরীরলে পানি ঢালবে না।
অভি যখন থেকে উঠে ফাতিহার দিকে তাকায় ফাতিহাকে দেখে অবাক হয়ে যায়। এই তুমি কে….? আমি আপনার বউ / মেয়ে টাকে যত টা ক্ষেত হবে ভেবে ছিলাম ঠিক ততটা ক্ষেত নয় গায়ের রং একেবারে ফর্শা টানা টানা আঁখি ঠোঁটের নিচে একটা তিল একেবারে পরিই বলা যায়। এই মেয়ে দেখতে যত সুন্দর হোক তাতে আমার কী আমি তো ভালোবাসি রিয়াকে আর ওকেই বিয়ে করব [[কথা গুলো বললো মনে মনে অভি ]]
এই যে মিস্টার আপনার কী হলো এইভাবে হা করে থাকিয়ে আছেন কেন আমার দিকে….? মুখে তো মশা ঢুকে যাবে 😁😁

কই তোমার দিকে তাকিয়ে আছি।
আমার দিকে এমন ভাবে তাকিয়ে ছিলেন মনে হয় আমার প্রেমের পড়ে গেছেন। আমার মতো এমন সুন্দরী মেয়েকে দেখে কী নিজেকে সামলাতে পড়েছেন আমার মনে হয় আপনি আমার প্রেমের পড়ে গেছেন।

কী বললে তুমি সুন্দরী হা হা হা হা 😄😄 হাসালে
তুমি সুন্দরী..!! 😉 তুমি হচ্ছে গ্রামের ক্ষেত একটা মেয়ে। তুমি নিজেকে সুন্দরী মনে কর

হে আমি নিজেকে সুন্দরী মনে করি। কারণ মানুষ হচ্ছে সৃষ্টির সেরা জীব। সূরা আ-তীন এ আল্লাহ সুবাহান তায়ালা মানুষের মর্যাদা ব্যাখ্যা করেছে।মানব কুলের সম্মান মানব কুলের মর্যাদা ব্যাখ্যা করেছেন।

আর কি যেন বলেছিলে 🤔,,,,,,ওও আমি তোমার প্রেমে পড়ে গেছি,,,,,,,, আমি অভি চৌধুরী তোমার মত গ্রামের ক্ষেত একটা মেয়ের প্রেমে পড়ে যাবে এটা তুমি ভাবলে কী করে।

এই যে মিস্টার আমি হচ্ছি আপনার বিয়ে করা বউ আপনি আমার প্রেমের আজ না হয় কাল পড়তেই হবে।

তোমার মতো একটা গ্রামের ক্ষেত মেয়ের প্রেমের এই অভি চৌধুরী কোনো দিনও পড়বে না এইটা তোমার ভুল ধারণা।

হয়েছে এত কথা বলার দরকার নেই এখন ওয়াশ রুমে গিয়ে ফ্রেশ হয়ে নিচে চলে আসুন। সময় এলে দেখা যাবে কে কার প্রেমে পড়ে।

অভি ওয়াশ রুমে চলে যায় ফ্রেশ হতে। ফাতিহা বিছানা গোছাতে থাকে।

অভির ফোনে কল আসে। ফাতিহা চিন্তা করে ওনার ফোনে কে জানি কে ফোন দিতেছে তাক ওনার ফোন ধরা দরকার নেই।

কিন্তু বার বার বার কল আসাতে ফাতিহা চিন্তা করে ওনি তো মাএই ওয়াশ রুমে ঢুকলে ওনাকে ডাকা ঠিক হবে না। তার থেকে বরং আমি ফোন টা ধরে দেখি কে ফোন করেছে,,,,,,,,, মেয়ের কন্ঠ হলে কথা বলবো
আর ছেলের কন্ঠ হলে কথা বলবো না ফোন কেটে দিব।

ফাতিহা যখন ফোন রিসিভ করে,,,,,,,,,,,,,, ওই পাশ থেকে যা বলে তা শুনার জন্য ফাতিহা মুটেও প্রস্তোত ছিল না,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,।

চলবে……………………!

#গল্প_রাব্বাতুল_বাইত
#লেখক_হানিফ_সরকার_শান্ত
#পর্ব_৩

ফাতিহা যখন ফোন রিসিভ করে ওই পাশ থেকে যা বলে তা শুনার জন্য ফাতিহা মোটেও প্রস্তোত ছিল না।
ফোনের ওই পাশ থেকে বলে হ্যালো আসসালামু আলাইকুম অভি আমি ফাতিহার চাচা
চাচা তুমি,,,,!! কে মা ফাতিহা,,,,,? হে চাচা আমি। চাচা কেমন আছেন,,? আমি ভালো আছি মা কিন্তু,,,,,,,, কিন্তু কী চাচা….? মা ফাতিহা তোমার আব্বার অবস্থা তেমন একটা ভালো না,,,,,,। 😮 আব্বা আব্বা আ ব্বার কি হয়েছে চা”চা। মা ফাতিহা তুমি শান্ত হও তোমার আব্বার তেমন কিছু হয় নি। তোমার আব্বারে নিয়ে এখন আমরা হাসপাতালে। মা তুমি যত তারাতাড়ি পার অভিকে নিয়ে হাসপাতালে চলে এস। আচ্ছা চাচা আমি এখনি আসতেছি।

ফাতিহা ফোন কাঠের উপর রেখে বসে পড়ে। অভি ওয়াশ রুম থেকে বের হয়। এই যে আপনাকে একটা কথা বলার ছিল। হে বল কী বলবা..? আমাদের বাড়ি থেকে কল করে ছিল চাচা বলেছে আব্বা অসুস্থত আপনাকে আর আমাকে যেতে বলেছে।

ত কি হয়েছে আমাকে যেতে হবে নাকি…? আমি যেতে পারব না। বলে অভি নিচে আসে। ফাতিহাও নিচে চলে আসে।
অভি বস,,,, ফাতিহা মা তুমিও বস গরম গরম পরোটা আর নুডলস কাও। না আম্মা আপনি আপনি বসুন আমি আপনার বেরে দেই।
সবাই নাস্তা খাওয়া শেষ করে। আম্মা বাড়ি থেকে কল দিয়ে ছিল চাচা আব্বা অসুস্থ আব্বাকে নিয়ে হাসপাতালে আছে। আমাকে আর আপনার ছেলেকে যেতে বলেছে।
বিয়ান সাহেব অসুস্থ। বিয়ান সাহেবের কি হয়েছে ফাতিহা..? জানি না আম্মা।
অভি ফাতিহাকে নিয়ে বিয়ান সাহেবকে দেখে আই।

মা আমি পারব না। আজকে বন্ধুদের নিয়ে পরিক্ষার বই কিনতে যেতে হবে। মা তুমি তো জানো পরিক্ষা আর মাএ দুই মাস আছে। কথা গুলো বলে অভি নিজের রুমে চলে যায়।

মা ফাতিহা তুমি গিয়ে তৈরি হয়ে নাও আমি আর তুমি গিয়ে বিয়ান সাহেবকে দেখে আসি।

ঠিক আছে আম্মা। বলে ফাতিহা নিজের রুমে চলে আসে এসে দেখে অভি ফোনে কার সাথে যেন হেসে হেসে কথা বলতেছে। ফাতিহাকে দিকে ফোন কেটে দেয়

এই যে শুনছেন,,,,,। হে বল আমি কী যাব আব্বাকে দেখতে,,,,,,,,,,,.৷? তোমার আব্বা অসুস্থ তুমি দেখতে যাবে কী যাবে না এইটা ইচ্ছে আমাকে আবার জিজ্ঞেস করতে হয় কেন……..?

কারণ আপনি আমার স্বামী আপনার অনুমতি ছারা আমি কোথায় যেতে পারি না। কারণ একজন নারী বিয়ের আগে নারীর হেফাজত করার দায়িত্ব তাকে তার বাবার একটা মেয়ে তার বাবার অনুমতি ছারা ঘর থেকে বের হতে পারে না। একজন নারী বিয়ে হয়ে যাওয়ার পরে তাকে হেফাজতে করার দায়িত্ব তার স্বামী হয়। স্বামীর অনুমতি ছারা তার স্ত্রী কোথাও যেতে পারবে।

হয়েছে এত জ্ঞান দিতে হবে না। আমি তোমাকে অনুমতি দিলাম এখন যাও। বলে অভি রিয়ার সঙ্গে দেখা করতে যায়।

ফাতিহা আর লায়লা চৌধুরী ফাতিহার দেখতে যায় হাসপাতালে। ফাতিহার বাবা ফাতিহাকে দেখে বলে মা ফাতিহা তুই এসেছিস।
হে আব্বা তোমার কি হয়েছে তুমি অসুস্থ হলে কী করে নিশ্চিত ঠিক মতো ঔষধ খাও নি।
আসসালামু আলাইকুম বিয়ান সাহেব,,,,, আপনার শরীরলে অবস্থা কেমন..?
ওয়ালাইকুম আসসালাম,,,, জ্বি বিয়ান সাহেবা এখন একটু ভালো।

মা ফাতিহা তুই বাড়িতে নেই বাড়ি টা কেমন যেন ফাঁকা ফাঁকা লাগে।
বিয়ান সাহেবা অবুঝ মেয়ে কিছু বুঝে না ভুল কিছু করে পেলে ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন। মা মরা মেয়ে আমার। কখনো কোনো কিছু অভাব বুঝতে দেই নি। আর মা ফাতিহা তুমি তোমার শশুর শাশুড়ী কথার অবাধ হবে না। আর অভির কথার সব সময় মেনে চলবে। যত বিপদপই আসক না কেন কখনো পর্দাহীন ভাবে চলাফেরা করবি না৷। কারণ……

একজন বেপর্দা নারীর জন্য চারজন পুরুষ জাহান্নামী হবে।
১)বাবা
২)বড় ভাই
৪)স্বামী
৩)বড় ছেলে
কেননা,নারী তার জীবনের কোনো না কোনো সময় এদের দায়িত্বে থাকে।জন্মের পর থেকে পিতার কাছে।বাবার মৃত্যুর পর বড় ভাই এর কাছে।বিয়ের পর স্বামীর কাছে আর স্বামীর মৃত্যুর পর বড় ছেলের কাছে।

দলিল ১ হাদিস থেকে

যেসকল পুরুষ তাদের পরিবারের নারীদের বেহায়াপনা প্রসারে বাধা দেয়না তাদেরকে দাইউস বলে।
রাসূলুল্লাহ (সাঃ) এরশাদ করেছেন : ‘দাইউস ব্যক্তি জান্নাতে প্রবেশ করবে না। সাহাবায়ে কেরাম (রাঃ) জিজ্ঞেস করলেনঃ হে আল্লাহ্‌র রাসূল (সাঃ)! দাইউস কে? উত্তরে রাসুলূল্লাহ (সাঃ) বললেন, ‘যে ব্যক্তি তার পরিবারে আল্লাহ্‌র আদেশ-নিষেধ বাস্তবায়নের ব্যাপারে কোন তৎপরতা অবলম্বন করে না বরং উপেক্ষা করে চলে।’ অন্য বর্ণনায় এসেছে যে, ‘দাইউস হল সে, যে তার পরিবারে বেহায়পনার বাস্তবায়নে সন্তষ্ট ও পরিতুষ্ট।’ (মুসনাদে আহমেদ ৫৮৩৯)

দলিল নাম্বার ২
কোরআন থেকে

সূরা নাম তাহরীম
সূরার সংখা ৬৬
আয়াত নং ৬

কোরআনে আল্লাহ বলেন,

يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا قُوا أَنفُسَكُمْ وَأَهْلِيكُمْ نَارًا وَقُودُهَا النَّاسُ وَالْحِجَارَةُ عَلَيْهَا مَلَائِكَةٌ غِلَاظٌ شِدَادٌ لَّا يَعْصُونَ اللَّهَ مَا أَمَرَهُمْ وَيَفْعَلُونَ مَا يُؤْمَرُونَ,

হে লোকজন যারা ঈমান এনেছো, তোমরা নিজেদেরকে এবং নিজেদের পরিবার ও সন্তান-সন্ততিকে সেই আগুন থেকে রক্ষা করো মানুষ এবং পাথর হবে যার জ্বালানী। সেখানে রুঢ় স্বভাব ও কঠোর হৃদয় ফেরেশতারা নিয়োজিত থাকবে যারা কখনো আল্লাহর নির্দেশ অমান্য করে না এবং তাদেরকে যে নির্দেশ দেয়া হয় তাই পালন করে।

দলিল নাম্বার ৩

أَلاَ كُلُّكُمْ رَاعٍ، وَكُلُّكُمْ مَسْئُولٌ عَنْ رَعِيَّتِهِ،

জেনে রাখো,, তোমরা প্রতেকেই দায়িত্ববান,,আর তোমাদের প্রতেকই তার দায়িত্ব সম্পর্কে জিজ্ঞেস করা হবে।

বুখারী শরিফ হাদিস নং, ২৫৫৪,,, ৫১৮৮,,,৫২০০,,৭১৩৮
মুসলিম শরিফ হাদিস নং ১৮৭৯
আবু দাউদ শরিফ ২৯২৮

ব্যাখ্যা,
মেয়ে যখন যার দায়িত্ব থাকে তখন তাকে তার সম্পর্কে জিজ্ঞেস করা হবে, জানি মা তুই আমার দায়িত্বে ছিলি আমি আমার দায়িত্ব পালন করতে পেড়েছি কিনা আমি জানি না । অভিও তোর দায়িত্ব সঠিক ভাবে পালন করেতে পারবে কি না আমি জানি না।

মা আমাকে তুই কথা দে চৌধুরী পরিবারে তুই আল্লাহ ও রাসুলের নিতি মেনে চলবি। তুই হবি চৌধুরী পরিবারের #রাব্বাতুল_বাইত।

আব্বা আমি তোমার কথা রাখার চেষ্টা করব।
বিয়ান সাহেব আমার তা হলে এখন আসি। বউমা চল
বিয়ান সাহেবা অভি আসে নাই ।

বিয়ান সাহেব অভি একটু বেস্ত ছিল তাই আপনাকে দেখতে আসতে পারে নাই। বিয়ান সাহেব কালকে অভি আর ফাতিহা দেখে যাবেনে। আজকে যায়। আব্বা যায়
যাও মা,, 👋

রিয়ার সাথে দেখা করে রাতে যখন বাসায় ফিরে নিজের রুমে যায়। রুমে গিয়ে অভি যা দেখে তা দেখে অভি অবাক হয়ে যায়।,,,,৷ ,,,,,,,,,,

চলবে……………….

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে