#গল্প_রাব্বাতুল_বাইত
#লেখক_হানিফ_সরকার_শান্ত
#পর্র_৭
অভি ফাতিহার বাবাকে দেখে আসে। ফাতিহাকে অভি বাইকে করে নিয়ে গিয়ে ছিল। ফাতিহার বাবাকে দেখে আসার পথে দেখা হয় রিয়ার সাথে…..
হাই জান কেমন আছ কালকে কেন ফোন দিলে না।
[[অভির বাইকের পিছনে বোরকাওয়ালিটাকে নিশ্চিত অভির মা হবে মনে মনে বলে রিয়া ]]
হাই আন্টি।
কী…আন্টি… ??!! আন্টিই আমাকে দেখে আপনার আন্টি মনে হয়…..?
[[[ ওনি যদি আন্টি না হয় তা নিশ্চিত মুবাসিরা মনে মনে বলে রিয়া ]]]
আই মিন আমি বুঝতে পারিনি মুবাসিরা তোমাকে আন্টি বলে ফেললাম 😊😊
কাকে মুবাসিরা বলছেন…? আমি মুবাসিরা না।
What’ তুমি যদি মুবাসিরা না হও তা হলে কে তুমি…?
ওনাকে জিজ্ঞেস করুন কে আমি।
অভি তোমার পিছনে বসে তাকা বোরকা পড়া মেয়ে টাকে..?
মানে,, মানে মানে,, মানে,, ও ও ও হচ্ছে,,,,,,,,,
অভি তুমি কী মানে মানে করতেছ বল এই মেয়েটাকে….?
ওনি বলতে পারবে না আমি বলতেছি আমি হলাম ওনার বিয়ে করার বউ। মানে আমি ওনার স্ত্রী।
What’ এই মেয়ে তুমি কিসব বলতেছ তোমার মাথা ঠিক আছে। ((এই কথা শুনে রিয়ার মাথায় যেন আকাশ ভেঙে পড়লো।)))
হে আমার মাথা ঠিক আছে।
অভি এই বোরকাওয়ালি মেয়ে কী বলতেছে এইসব,,,,,,,,…?
হে রিয়া ফাতিহা ঠিকই বলতেছে..।
মা আমাকে মিথ্যে বলে গ্রামে নিয়ে গিয়ে ফাতিহা আর আমার বিয়ে পড়ি দেয়।
অভি বিয়ে করার সময় আমার কথা তোমার একটি বারও মনে পড়ল না। ৪ বছর দরে আমার সাথে প্রেম করে তুমি বিয়ে করলে গ্রামের ক্ষেত একটা বোরকাওয়ালীকে…….
এই যে মেডাম আপনি কী বললেন আমার মতো বোরকাওয়ালী যদি গ্রামের ক্ষেত হয় তা হলে আপনার মতো অর্ধ উলঙ্গ মেয়ে হচ্ছে শহরের ডাস্টবিন।
ইউ সেট আপ। মাইঙ্গ ডি ইউর লেংঙ্গোএস।
এই মেয়ে আমাকে দেখে তোমার উলঙ্গ মনে হয়। তুমি জানও তুমি কাকে কী বলছ…….?
হে আমি জানি আমি কাকে কী বলছি। একজন অর্ধ উলঙ্গ কে অর্ধ উলঙ্গ বলছি। আপনি জানেন
উলঙ্গ তিন প্রকার
১ম ঃঃ শরীরেল কোনো প্রকার কাপড় একেবারে না তাকা ১ নম্বর উলঙ্গ।
২য় ঃঃ শরীরে এমন কাপড় পরিধান করা যে শরীরের সঙ্গে একেবারে মিশে থাকে। কোথায় কোন জিনিস আছে তা বোঝা যায় এটা হলো ২ নম্বর উলঙ্গ।
৩য় ঃঃ শরীরে এমন পাতলা কাপড় পরিধান করা বাইরে থেকে শরীরের সব কিছু দেখা যায়৷ এটা হলো ৩ নম্বর উলঙ্গ।
এখন বুঝতে পারছেন কেন আমি আপনাকে উলঙ্গ বললাম। এইসব পোশাক পড়ে বাইরে আসবেন মেডাম আপনার এইসব পোশাক পড়ে বাইরে আসার কারণ অনেক পুরুষের চোখের যিনা হচ্ছে।
এই মেয়ে তুমি আমার পোশাক নিয়ে কথা বলতেছ কেন……? যেখানে আমার মা বাবা আমার পোশাক নিয়ে কোনো দিন কোনো কথা বলেনি।
হে মেডাম আপনার মা বাবার জন্য কষ্ট হচ্ছে আপনি কেমন মা বাবার সন্তান যে নিজের সন্তানকে এইভাবে শরীরের সঙ্গে লেগে আছে পোশাক পড়ে বাইরে বের হতে দিয়েছে। ওনারা নিজেরও জাহান্নামী হচ্ছে আপনারকেও জাহান্নামী বানাছে।
রাসুল( সাঃ) বলে পরিবার এমন মা বাবা এমন বাবা তার মেয়ে দিন মানে না কোরআন মানে না। তার মেয়ে আরেক ছেলের সঙ্গে প্রেম করে বেপর্দা হীন ভাবে চলা ফেরা করে মেয়ে যেমন দাউস। মা বাবা তেমন দাউস।
আর এই নিতি টাকে যার পছন্দ করে তারাও জান্নাতে যাবে না[[ বলেছেন হরযত মুহাম্মদ (সাঃ) ]]
রাসুল( সাঃ) বলেন জান্নাত টা এমন একটা ঘোড়া এক হাজার বছর পযন্ত দোওড়াবে। ঘোড়া এক হাজার পযন্ত দোওড়ানোর পর শেষ হয়ে যাবে এক হাজার বছর ঘোড়া টা যে প্ররন্ত দাঁড়াবে এই জায়গা থেকে ঘোড়া জায়গা যদি কোনো মানুষ দাঁড়িয়ে তাকে এক হাজার বছর জান্নাত থেকে দূরত পযন্ত সেই জান্নাতের সুগার পাবে। রাসুল (সাঃ) বলেন যারা দাউস তাদের নাক দি সেই সুগার ডুকবে না।
এই মেয়ে তোমাকে জ্ঞান দিতে আমি বলেছি আমাকে……….?
অভি তুমি আমাকে টকালে আর তোমার বউ আমাকে যাতা বলে অপমান করল আমি তোমাদের ছারবো না এর প্রতিশোধ আমি আমি নিব।
এই বলে রিয়া কান্না করতে করতে চলে যেতে লাগলো
রিয়া দাঁড়াও রিয়া দাঁড়াও আমার কথা শুন অভি পিছন থেকে ডাকে কিন্তু রিয়া অভির কথার সারা না দিয়ে চলে যায়।
অভি ফাতিহাকে নিয়ে বাইকে করে বাসার দিকে রওনা হয়।
ফাতিহা রিয়ার সামনে বলার দরকার ছিল তুমি যে আমার বিয়ে করা বউ।
রিয়া তো আপাকে জিজ্ঞেস করছিল আপনি মানে মানে করছিলেন তাই আমিই বলে দিলাম।
ফাতিহা তুমি না বেশি কথা বল।
রিয়া বাসায় গিয়ে নিজের রুমে এসে রুমে সব কিছু ভাঙ্গতে তাকে। বাসার জিনিস পত্র ভাঙ্গার শব্দ পেয়ে রিয়ার মা জাহানারা বেগম রিয়ার রুমে আসে। রিয়া মা তুই রুমের জিনিস পত্র ভাঙ্গতেছি কেন…..? মা আমার সব শেষ হয়ে গেছে। কেন মা রিয়া তোর কি হয়েছে…?
মম আমি যে ছেলে টাকে ভালোবাসতাম সেই ছেলে টা আমাকে টকিয়েছে মম।(কান্না করতে করতে)
মা রিয়া আমি তোকে বলেছিলাম প্রেম ভালোবাসা জরাশ না। দেখলি তো এর পরিনতি।
অভি ফাতিহাকে বাসার সামনে এসে নামিয়ে দিয়ে বলে ফাতিহা তুমি বাসায় যাও আমি আমার এক ফ্রেন্ডের সাথে দেখা বাসায় আসতেছি। বলে অভি চলে যায়।
ফাতিহা বাসার কলিং বেল বাজাতেই মুবাসিরা এসে দরজা খুলে দেয়। কি বেপার ভাবি তুমি এখন কেন…? ভাইয়া কোথায়…? তোমার ভাইয়া আমাকে বাসার সামনে নামিয়ে ওনার একজন ফ্রেন্ডের সাথে দেখা করতে গেছে।
ভাবি তুমি উপরে যাও উপরে গিয়ে বোরকা খুলে ফ্রেশ হয়ে আস।
অভি ওর এক ফ্রেন্ডকে ফোন দেয় পার্কে তারাতাড়ি দদেখা করার জন্য।
কিরে মামা এত তারাতাড়ি আসতে বললি কেন……….? আর বলিস না বন্দু। ওও বুঝতে পারছি রিয়ার সাথে আবার ঝামেলা হয়েছে তাইতো তুই আমাকে ডেকেছি মামা তা না হলে তো তুই আমার খবরেই রাখিস না। এখন আমাকে ওকালতি করতে হবে তাই না বন্ধু।
বন্ধু রাজিব আগে তুই আমার কথা টা শুন।
হে অভি তুই বল আমি শুনতেছি।
তারপর ফাতিহার আর অভির বিয়ে সব ঘটনা বলে। আজকে কিছু কখ আগের ঘটে যাওয়া ঘটনা গুলো বলে।
তুই সব কিছুই তো শুনলি রাজিব বল এখন আমি কি করব। রিয়া আমাকে ভুল বুঝছে এখন বল আমি করব তুই কিছু একটা কর রাজিব।
বন্ধু এখন তুই একটা ফোন দিয়ে দেখ রিয়া ফোন ধরে কি বলে
অভি ফোন দেয় রিয়াকে। রিয়া ফোন ধরে, তারপর যা বলে,,,,,,,,,,,,,,,,,,
চলবে,,,,,…………………..?