রাত যখন গভীর পর্ব-৩+৪

0
1620

Story : #রাত_যখন_গভীর
writer:#jannatul_mawa_moho
writer :#জান্নাতুল_মাওয়া_মহুয়া
Part
:03
হঠাৎ রাবেয়া তার মেয়ে রিনিকে দুইটা ওষুধ খেতে দিল।রিনি বলে মা এগুলো কিসের ওষুধ, রাবেয়া বলে,একটা pain Killer, আর অন্য টা জ্বর না হয় মতো।রিনি বলেঃ আমার তো শুধু শরীর ব্যথা। এগুলো কি অবশ্যই খেতে হবে।
রাবেয়া বলেঃ must be খেতে হবে!!! রাবেয়া মনে মনে বলছে সরি মা।তোকে মিথ্যা বললাম। একটা pain killer কিন্তু অন্য টা প্রেগন্যান্ট না হওয়ার।আর মা তুই জানিসই না,কিন্তু আমি তো জানি তুর সাথে প্রতিদিন কেউ শারীরিক সম্পর্কে লিপ্ত হচ্ছে।কিন্তু কে সে?আর তাই চাইনা কোন অঘটন ঘটুক।আর অনাকাঙ্ক্ষিত ভাবে তুই প্রেগন্যান্ট হয়ে যাস,বাচ্চার বাবা কে হবে? কি পরিচয়ে বড় হবে বাচ্চা টা।অবশ্য নিজের মেয়ে মা হওয়ার ছেয়ে খুশির খবর আর কোন কিছু হয়তো পৃথিবীতে হয়না।কিন্তু মা তুই নিজে ও জানিস না তুর সাথে কি হয়।আর আমি ও বুঝতে পারছি না এগুলো কেমনে সম্ভব? তাই মিথ্যা বললাম।রাবেয়া এগুলো ভাবতে ভাবতে রিনির রুম থেকে বেরিয়ে আসে। আর রিনি ওষুধ খেয়ে গাঁ টা এলিয়ে দেয়। আর রাজ্যের ঘুম তার চোখে চলে আসে।
বিকালে কামাল সাহেব বাসায় ফিরে ফ্রেশ হয়ে যাই। আর কফি খেতে বসে বেলকনিতে। আর রাবেয়া সব বলছে কাল রাতে তাদের মেয়ের সাথে কি হয়ে ছিল। কামাল বেশ কিছুক্ষণ চিন্তা করে। বলে চলো।তোমাদের নিয়ে একটু দেশের বাড়ি যাবো। রাবেয়া বলে ঃ রিনির কলেজ?
কামাল বলে ঃ মেয়ে থাকলেই তো কলেজ যাবে। মেয়ের ভালো চাও তো ওকে রাজি করিয়ে রেডি হয়ে যাও as soon as.
রাবেয়া অনেক কষ্টে রিনিকে রাজি করিয়ে পেলে।বিনিময়ে রিনি ৩০০০ টাকা বকশিস নেই। রিনি অনেক খুশি টাকা পেল আর ঘুরতে যাবে।
রাত ৮ টায় গ্রামে পৌঁছে যায়। তবে কামাল এক মূহুর্ত দেরি না করে রিনি আর তার মাকে নিয়ে গেল অর্ক এর কাছে। অর্ক কামালের কলেজ ফ্রেন্ড। প্যারানরমাল ব্যাপারে কাজ করে।গ্রামে থাকে বলে তার কাছে গ্রামে আসা।আর তার সহকারী হচ্ছে রাহাত হুজুর। খুব নাম করা একজন হুজুর। কামালের সাথে রাহাত হুজুরের পরিচয় অর্ক এর মাধ্যমে।কামাল রাবেয়ার কাছ থেকে যা শুনলো তা থেকে বুঝে গেছে অর্ক আর রাহাত হুজুর ছাড়া কেউ এই সমস্যার সমাধান করতে পারবেনা। কামাল, রাবেয়া, রিনি বসে আছে অর্কের সামনে।
অর্ক বলেঃ মা,রিনি কেমন আছো?তুমি বাসার ভিতরে যাও।আমি তোমার আম্মু আব্বুর সাথে কিছু জরুরি কথা আছে ওগুলো নিয়ে আলোচনা করবো। আর হা,বাসার ভিতরে তোমার লাবু আন্টি আছে। কি যেনো রান্না করছে!যাও গিয়ে তোমার লাবু আন্টির সাথে গল্প কর।
অর্ক তাদের পাশের ফ্ল্যাট থেকে রাহাত হুজুরকে ডেকে আনে।
অবশ্য কামাল অর্ক কে আগে বলে রেখেছে। তার পুরো পরিবার অর্ক এর বাসায় রাতে আসছে।
অর্ক জানে কোন জরুরি ব্যাপারে কামাল আসছে।কারণ এখন অফিসে কামাল এর কোন ছুটি নেই। বেড়াতে আসলে ছুটি পেলে আসতো। আর গ্রামে এসে তড়িঘড়ি করে তার বাসায় চলে আসে। তাই অর্কের মনে হচ্ছে ব্যাপারটা মারাত্মক কিছু হবে। তাই অর্ক সময় নষ্ট না করে মূল কথার প্রসঙ্গে ছলে আসে।
অবশেষে রাবেয়া, কামাল,অর্ক আর রাহাত হুজুর মিলে বসে আছে। আর রাবেয়া সব বলছে।অর্ক আর হুজুর সব মনোযোগ দিয়ে শুনেছে সবকিছু । হঠাৎ করে,
বেশ কিছুক্ষণ পর!!
লাবু এসে বলেঃ বাহ রে! রাবেয়া ভাবি আমার সাথে একটু দেখা ও করেননি অভিমানী কন্ঠে। হুহ্ চলেন।চলেন।ডিনার করে নি।
অর্ক বলেঃ লাবু তুমি রেডি কর খাবার আমরা আসছি। আর রিনি মাকে নিয়ে আসো।একসাথে সবাই বসে ডিনার টা করে ফেলি।
সবাই ডিনার শেষে। অর্ক বলে,রাবেয়া ভাবি আপনি আর লাবু ঘুমিয়ে পড়েন।
লাবু বলেঃ একদম না।আমি ও দেখতে চাই।রিনি মা কে কোন বান্দর এইভাবে ডিস্টার্ব করে!!!
অর্ক বলে ঃ যাও। বেশি কথা বলিও না।ভাবিকে নিয়ে ঘুমিয়ে পড়।
রাবেয়া কিছু বলছে না।কিন্তু তার ও ইচ্ছে মেয়ের কাছাকাছি থাকার। কামাল আগেই বলে দিয়ে ছিল অর্ক যেমন বলবে তেমন ই করবে।তাই রাবেয়া চুপচাপ থেকে লাবুর সাথে ঘুমাতে যাই।
কিন্তু লাবু বা রাবেয়া কারোর চোখে ঘুম ছিল না।রিনির চিন্তায় মন অস্থির হয়ে আছে।
অর্ক,কামাল,রাহাত হুজুর আর রিনি একটা রুমে গেলো।
রিনি বলেঃ বাবা আমি ঘুমাবাে।
কামাল বলেঃ অর্ক রাবেয়া আর লাবু ভাবিকে ও ডাক।তুই বকা দিয়ে ভুল করেছিস। আর ওদের দোয়া পড়ে রাহাত হুজুর ফুঁ দিয়ে দিলে কিছু হবেনা।
অর্ক লাবু কে বলেঃ সরি।রাগ করিও না।তোমাদের কিছু হবে এই ভয়ে আসতে নিষেধ করেছিলাম।
লাবু আর রাবেয়া আসলো। রাহাত হুজুর ফুঁ দিয়ে দিলেন দোয়া পড়ে। অন্য দিকে রিনি ঘুমিয়ে পড়লো।রাত তখন আস্তে আস্তে গভীর হতে থাকে ।সবাই বসে আছে। রিনি কে একটা বৃত্তের ভেতরে আবধ্য করে রাখে ঘুমন্ত অবস্থায়। অবশ্য রিনি ঘুমিয়ে পড়াতে অর্কের কাজ আরও কমে যায়।সব ভাল কিন্তু ভালো নই।কিছু করতে গেলে বাধা আসবেনা এমনকি হয় নাকি!!! ঠিকতখনই………………
চলবে,,,,,,,,
অনেক কষ্ট করে লিখেছি।ভালো রেসপন্স পেলে দেবো বলছি।আমি আমার কথা রাখলাম।এইবার ছোট একটা কমেন্ট করে জানাবেন কেমন হচ্ছে???
আপনার একটা মূল্যবান কমেন্ট কিন্তু আমাকে অনেক ইন্সপিরেশন দেই!!!

story :#রাত_যখন_গভীর
writer:#jannatul_mawa_moho
writer ::#জান্নাতুল_মাওয়া_মহুয়া
part :04
ঠিক তখনই লালচে বৃত্তটির প্রবেশ ঘটে রুমে। অর্কের মুখে যেন হাসি ফুটে উঠে।সে মনে করেছি যে সে নিমিষেই লালচে বৃত্তটিকে নিজের অধীনে আনতে পারবে। কিন্ত একটু পর, হাসি মুখটা যেন নিমিষেই কালো হয়ে গেছে। লালচে বৃত্তটির তীব্রতা অনেক বেশি যার ফলে অর্ক,লাবু,রাবেয়া, রাহাত হুজুর, কামাল সবারই তাকিয়ে থাকতে কষ্ট হচ্ছে। এক পর্যায়ে তাদের সবার চোখ জোড়া জ্বলতে শুরু করে ।আর যার ফলে সবাই চোখের জ্বালা সহ্য করতে না পেরে সেন্সলেস হয়ে যাই।
রাত যখন শেষের পথে সবার প্রথমে অর্কের চোখ খোলে।তখনই দেখে রিনি ঘুমাচ্ছে তবে তারা যে বৃত্তের ভেতরে রিনিকে আবদ্ধ করে রেখেছিল সেই বৃত্তের অস্তিত্ব আর নেই। তাহলে তাদের সবার চোখের আড়ালে আবার সেই এসে শারীরিক সম্পর্কে লিপ্ত হয়েছে।অথচ রিনি বেচারি কিছুই জানেনা।কিন্তু রিনিকে দেখে একদম বুঝা সম্ভব হচ্ছে না যে তার সাথে কেউ কাল রাতে অবিশ্বাস্য কিছু করেছে।অথচ মেয়ে টি যেভাবে ঘুমিয়ে ছিল ঠিক একইভাবে এখনো শুয়ে আছে। অর্ক যেন আর কিছু ভাবতেই পারছে না।
এর কিছু সময় পর সবাই জেগে ওঠে। অর্ক লাবুকে নাস্তা রেডি করতে বলে। আর কামাল আর রাবেয়া কে রেস্ট নিতে বলে। আর রিনি কে ঘুম থেকে না জাগাতে বলে।
আর অর্ক বলেঃ রাহাত হুজুর আসেন।আমাদের ওয়ার্কিং রুমে যাই।খুব গুরুত্বপূর্ণ কাজ করতে হবে।
অর্ক আর রাহাত হুজুর এখন বসে আছে। একটা অন্ধকার রুমে।যেটা তাদের কাজ করার রুম।
তারা ধ্যান করছে।অর্ক বিড়বিড় করে মন্ত্র উচ্চারণ করেছে। আর রাহাত হুজুর কুরআন শরীফ পড়ে।তার অনুগত জীনকে ডাক দিচ্ছে।
অর্ক তার শক্তি দিয়ে বুঝার চেষ্টা করছে কি হয়েছে।
আর রাহাত হুজুর জীনকে উপস্থিত করার চেষ্টা করছে। অতঃপর রাহাত হুজুরের জীন হাজির হয়।
আর রাহাত হুজুর জিগ্যেস করলো ঃ রিনির সাথে এমন কেন হচ্ছে? আর কি হচ্ছে?
আর আমরা কিছু করতে পারছিনা কেন?এই এত বছর হলো এই পেশাতে যুক্ত আছি ।এমন কখনো হয়নি বরং সব কেইস আমি আর অর্ক খুব ভালো ভাবে সমাধান করতে পেরেছি ।তাহলে রিনির কেইসের ক্ষেত্রে এমন হচ্ছে কেন?
জীন বলেঃ হুজুর মাপ চাই।আমি কিছু বলতে পারবোনা। তবে আমি জানি কি হয়! কে করছে এসব।তবুও বলতে পারবোনা।
যদি আমি মুখ খুলে ফেলি।জীন রাজ্যে প্রবেশ বন্ধ হয়ে যাবে আমার জন্য।
রাহাত হুজুর বলেঃ তুই ও এমন করলে।আমরা রিনি কে কেমনে বাঁচাবো?
জীন বলে ঃ হুজুর গোস্তাকি মাফ করবেন। আমি আজ আসি।
রাহাত হুজুর জীন যাওয়ার পর আরো বেশ কয়েক বার ডাকলো তাকে কিন্তু জীন কোন সারা দিলো না।
রাহাত হুজুর চিন্তায় পড়ে যায়। কি করবে তারা এখন? কামাল অনেক আশা নিয়ে সাহায্য চাইলো! কিন্তু তারা কি না কিছুই করতে পারছে না।
অর্ক বলেঃ রাহাত হুজুর আমি কিছু তথ্য সংগ্রহ করতে পেরেছি! আমি কিছু দেখতে পাচ্ছি।
অর্ক চোখ জোড়া বন্ধ অবস্থাই এসব বলছে।
রাহাত হুজুরের মুখে যেন হাসি ফুটে উঠেছে।
অর্ক বলেঃ যে রিনির সাথে শারীরিক সম্পর্কে লিপ্ত হচ্ছে। সে খুব শক্তি শালী।আর সে হচ্ছে জীন রাজ্যের রাজার একমাত্র ছেলে ইনতিয়াজ।আর তার কাছে জীন রাজা আর রানীর উভয়ের শক্তি আছে। যার ফলে সে সব কিছু করতে পারে। রাহাত হুজুর আমি আর কিছু তথ্য দেখতে পাচ্ছি কিন্তু মুখ খুলে বলতে পাচ্ছি না।এমন কেন হচ্ছে!!!আর আমার শরীর অবস হয়ে যাচ্ছে।
তখনই অর্ক সেন্সলেস হয়ে পড়ে যাই। রাহাত হুজুর অর্ককে কোলে করে ড্রইং রুমে নিয়ে গেল। আর সবাইকে ডাক দিলো। এভাবে অর্কের নিথর শরীরটা বেশ কিছুক্ষণ পড়ে ছিলো।গ্রামে ডাক্তার ও তেমন নেই। কিন্তু আরও কিছু সময় পর অর্ক একটু সুস্থ হয়ে উঠলো ।
রাহাত হুজুর এখন বুঝতে পারছে। এই কারণে তার জীন তাকে কিছু বলতে নারাজ ছিল। অর্কের এই অবস্থা না জানি জীনের কি হতো!!
আর এই জন্য হয়তো পরে বেশ কয়েক বার ডেকে ও সারা দিলো না জীনটা।
অর্ক বলেঃ রাহাত হুজুর একাজে সাহায্য লাগবে। খুব জটিল একটা কাজ।আমি আর আপনি একা কিছু করতে গেলে প্রাণ যাবে নিশ্চিত।
রাহাত হুজুর বলেঃ কার থেকে সাহায্য নিবে? কে করবে সাহায্য???
অর্ক বলেঃ মনে আছে। আমার ২ টা বান্ধুবীর কথা বলছিলাম। সুমি আর জান্নাত!!!!
আর একটা বন্ধু হাবিব!!!
রাহাত হুজুর বলেঃ আরে মনে আছে। কিন্তু ওদের এমন কি power’s আছে যে আমাদের সাহায্য করতে পারবে?
অর্ক বলেঃ ওদের Powers আছে শুধু আমি জানি। তবে কেউ কে না বলতে বলেছিলো।এখন এই পরিস্থিতিতে না বলে পারলাম না।
শুনেন তাহলে ওদের ৩ জনের মধ্যে কি power’s আছে।১.সুমির কাছে প্যারানরমাল জিনিসের অবস্থান কোথায় তা চোখ জোড়া বন্ধ করতেই দেখার ক্ষমতা আছে। ২.জান্নাত এর কাছে জীন রাজ্যের সাথে যোগাযোগ করার ক্ষমতা আছে। আর জীন রাজার বিশেষ অতিথি।
৩.হাবিব এর কাছে একটা স্ফটিক আছে। যার দ্বারা অতীত দেখা যাই।
কামাল রিতিমত আশ্চর্য। একসাথে তাদের সাথে ভার্সিটি শেষ করেও এই বিষয়ে একদম অবগত ছিলোনা। আর লাবু তো একদম নিরব হয়ে আছে। এটা শুনে।।
রাহাত হুজুর বলেঃ আর দেরি না করে ওদের ডেকে আনো।কালকে সেই প্রিন্স অনেক রেগে ছিলো। তাই লালচে বৃত্তটির রশ্মি বেশি ছিল আমি যতোটুকু বুঝতে পারলাম । সে রাগের মাথায় রিনি মার ক্ষতি করতে পারে।
অর্ক বলেঃ আমি ওদের সকাল ৮ টার দিকে কল দিবো।তার আগে চলো সবাই কিছু খেয়ে নি।আর লাবু রিনি কে একটু ডেকে আনো। একসাথে নাস্তা করে একটু গল্প করি সবাই মনটা একটু ভালো হবে।
বিকাল ৪ টার দিকে দরজার মধ্যে কে যেন কড়া নাড়ে?
অর্ক দরজা খুলে দেখে হাবিব, জান্নাত, সুমি হাজির
সবাই মিলে রাতের খাবার শেষ করে। কাজে নেমে যাই।
তবে আজ রিনিকে আবদ্ধ করে রাখা হয়।রাহাত হুজুরের নামাজ আদায় করার ঘরে। আর সামনের জায়গায় ৩ টি বৃত্ত। একটাতে আছে কামাল,রাবেয়া, লাবু।অন্যটিতে আছে অর্ক,রাহাত হুজুর, জান্নাত, হাবিব, সুমি।আর অন্য টি খালি রাখা হয়েছে। ঘরের প্রত্যেক কোনায় কোনায় দোয়ার পানি দিয়ে সুরক্ষিত করা হলো যাতে কাউকে কোনভাবে ক্ষতি করতে না পারে।আর ঘরের কোন কোনায় যাতে লুকিয়ে না থাকে।
কিন্তু খালি বৃত্ত টিতে দোয়ার পানি দেয় নি।কারণ প্যারানরমাল যে কোন কিছু এসে ওইটাতে অবস্থান করতে পারে মতো ।
হাবিব বলেঃ আগে একটু অতীতে গিয়ে দেখে আসি প্রিন্সের(ইনতিয়
াজের) দূর্বলতা কি?না হয়।ইনতিয়াজকে(প্রিন্সকে) এখানে আনা সম্ভব হবে না।
তখই দেখে,,,,,,,,
চলবে,,,,,,,

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে