#ভালোবাসার_রং (❣️You are my Lifeline ❣️)
#Part_8
#Ishita_Rahman_Sanjida_(Simran)
পরেরদিন সকালে,,,,
আনহা আর আকিব আবার আগের মতো উল্টো ভাবে বিছানায় শুয়ে আছে,,,, এবারও আকিব আনহার পা জড়িয়ে ধরেছে ঘুমের ঘোরে,,,,
আনহা: দেখো কান্ড,,, আবার আমার পা ধরে ঘুমিয়েছে,,,,, ইচ্ছে করছে লাথি মেরে খাট থেকে ফেলে দেই,,,, শালা উগান্ডার বাসিন্দা,,,
সব কিছু রসাতলে পাঠিয়ে এখন মরার মত ঘুমাচ্ছে,,,,,,মুখটা তো মাসআল্লাহ,,,, ইনোসেন্ট মার্কা,,,,এতো বড় হয়েছে বুদ্ধি এখনো হাঁটুর উপর ওঠেনি,,,,
আনহা এক ঝটকায় আকিবের থেকে নিজেকে ছাড়িয়ে নিয়ে ওয়াশ রুমে চলে গেল
ফ্রেশ হয়ে এসেই সোহানকে কল করে সব বলে দেয়,,,, আর রিধিকেও সব জানায়,,,,
ওদিকে আকিব তো ঘুমিয়েই যাচ্ছে আনহা গিয়ে আকিবকে ধাক্কা মারে,,,,
আনহা: আকিব,,,, তোমার ঘুম ভাঙবে না নাকি,,, ঘুমাতে ঘুমাতে কি শহীদ হয়ে যাবে,,,
ঘুমানোর জন্য তো তোমাকে নোবেল দেওয়া উচিত,,,,
অনেক ডাকাডাকির পর আকিব মোচড়াতে মোচড়াতে ওঠে,,,,
আকিব:উফফহ দিলে তো আমার স্বপ্নের চৌদ্দটা বাজিয়ে,,, কি সুন্দর একটা স্বপ্ন দেখছিলাম,,,,
আনহা: তা স্বপ্নে কি দেখেছিলে,,,সাজেক ভ্যালি,,, তুমি আর রিধি হানিমুনে গিয়েছিলে
আকিব: এমা তা না,,,
আনহা: আমার স্বপ্নের ব্যান্ড বাজিয়ে এখন স্বপ্ন দেখা হচ্ছে,,,, শোন আমি সোহান আর রিধিকে সবটা বলেছি,,,,রিধি প্ল্যান করেছে ওরাও আমাদের সাথে যাবে,,,, তবে আজকে যেতে পারবে না আজকে নাকি সব টিকিট বুক হয়ে গেছে,,, ওদের যেতে কাল রাত হবে
আকিব: ওরা গেলে যদি আবার কোন ঝামেলা হয়,,,,
আনহা: তোমার মতো বড় ঝামেলা ঘাড়ে থাকতে ওসব ছোট ঝামেলায় কিছু হবে না বুঝলে,,, এখন যাও তাড়াতাড়ি ফ্রেশ হয়ে নাও,,,,,
আনহা রুমে থেকে বের হয়ে যায়,,,, আনহার কথায় আকিব কিছুক্ষণ থম মেরে বসে থেকে ওয়াশরুমে চলে গেল,,,,
।
।
।
।
।
।
।
।
দুপুরে খেয়েই আকিব আর আনহা রেডি হয়ে নিচে আসে,,,সবার থেকে বিদায় নিতে,,,
রিমি: শোন আকিব এবার একটু ভালো হ না হলে তোর কপালে দুঃখ আছে,,,,,,
তানভীর: আকিব,,,, পৌঁছে একটা কল করে দিও,,,, আর ওখানে তোমাদের কোন সমস্যা হবে না,,, কটেজের ম্যানেজার আমার খুব ভালো বন্ধু,,, আমি ওকে সব বুঝিয়ে দিয়েছি,,,
বাবা মায়ের সাথে কথা বলে আকিব আর আনহা বেরিয়ে পড়ল,,,,
তানভীর: রোমান্টিক জায়গায় গিয়ে এবার যদি শালা বাবু একটু রোমান্টিক হয়,,,,
রিমি: ছাই হবে,,,,, দেখবে ওই গাধা মানুষ হতে পারবে না,,,,,,
তানভীর: আমার তা মনে হচ্ছে না,,,,
রিমি: হুম,,,, এখন চলো রুমে,,,,,
চট্টগ্রামে ফ্লাইট থেকে নেমে দুজনে বাসে উঠে,,,রাতের রাস্তাটা কেমন থমথমে,,,, বাইরের কিছুই ভালোভাবে দেখা যায় না,,,, অনেক ক্ষণ পর পর রাস্তার পাশে দু একটা দোকান দেখা যায়,,,, আনহা জানালা দিয়ে মাথা বের করে দিয়ে বাতাস অনুভব করছে,,,,,বাতাস আনহার চুলগুলো এলোমেলো করে দিচ্ছে,,,, আনহা মাথার কাটা খুলে চুলগুলো ছেড়ে দিল,,,,,আকিব বাসের সিটে হেলান দিয়ে ঘুমিয়ে আছে আনহার খোলা চুল ঘুমন্ত আকিবের মুখের উপর পড়ছে,,, আর আকিব সেই কারণে বারবার নড়ে উঠছে,,,, আনহা সেটা খেয়াল করলো,,,, হাত দিয়ে চুলগুলো একপাশে টেনে আনলো,,,,
সাজেক ভ্যালি পৌঁছাতে অনেক রাত হয়ে যায় ওদের,,,,সাজেকের বেস্ট রিসোর্টে ওদের জন্য আগে থেকেই তানভীর রুম বুক করে রেখেছে ম্যানেজারের সাথে কথা বলে ওরা রুমে যায়,,, দুজনেই খুব টায়ার্ড,,,, ফ্রেশ হয়ে দুজনেই ঘুমিয়ে পড়ল,,,,
আজকে আকিব ও আনহা একসাথে ঘুমিয়েছে,,,, তবে উল্টোভাবে না,,,,??? অনেক ক্লান্ত থাকার কারণে ওরা এভাবেই ঘুমিয়ে পড়েছে,,,,,
সকালে মিষ্টি আলো চোখের উপর পড়তেই আনহার ঘুম ভাঙ্গে,,,,আনহা আস্তে আস্তে গিয়ে বারান্দার কাচের দরজাটা খুলে বারান্দায় গিয়ে দাঁড়ালো,,,,,চোখ মেলে চারিদিকে তাকিয়ে আনহা পুরো অবাক অসম্ভব সুন্দর লাগছে চারিদিক,,,,, কটেজটাও অসম্ভব সুন্দর রাতের বেলায় আনহা এসব কিছুই খেয়াল করনি খুব ক্লান্ত ছিল তাই আশেপাশে ভালো করে তাকায়নি,,,,হালকা কুয়াশার মাঝে আকাশে সূর্য উঁকি দিয়েছে,,,,
পাখির কিচিরমিচির শব্দ হচ্ছে,,,,ভোরের এই সময়টাতেই পাখির ডাক স্পষ্ট শোনা যায়,,,,, কারণ এসময় সব কিছু স্তব্ধ থাকে,,,সবাই ঘুমিয়ে থাকার কারণে কোলাহল থাকে না,,, তাই এই সময় টাতে পাখির কিচিরমিচির ডাক গুলো শোনা যায়,,,,আনহা দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে প্রাকৃতিক সৌন্দর্য উপভোগ করছে,,,, সাজেকের সূর্যদ্বয়ের কোন তুলনা হয় না,,,
আনহার হঠাৎ করেই আকিবের কথা মনে পড়ল,,,,,,, দৌড়ে রুমে গিয়ে আকিবকে টেনে তুলল,,,,, টানতে টানতে আকিবকে বারান্দায় নিয়ে গেল,,,,,,
আকিব: উফফফ সাত সকালে হলো টাকি,,, একটু ঘুমাতে দেবে না,,,,(হাত দিয়ে চোখ ডলতে ডলতে) এমনিতেই অনেক রাতে ঘুমিয়েছি,,,,,
আনহা: আরে বুদ্ধু,,,, তোমাকে সূর্যদ্বয় দেখাতে নিয়ে এলাম,,,,,দেখো কি সুন্দর দেখা যাচ্ছে,,,,,,
আকিব তাকিয়ে দেখে,,,,, সত্যি অসম্ভব সুন্দর লাগছে,,,,
আকিব: ওয়াও,,,,, Mind blowing,,,,,,
আনহা: একটা থ্যাঙ্কস তো দিতে পারো আমাকে,,,, তোমাকে এখানে আনার জন্য,,,,,
আকিব: ওহহ থ্যাঙ্কস,,,,,
আনহা: না,,, আমার তোমাকে থ্যাঙ্কস জানানো উচিত,,,,
আকিব: কেন,,,,
আনহা: কারণ তোমার একটা ভুলের জন্য আমি এখানে আসতে পারলাম,,,, কখনোই সাজেক আসিনি,,,,,, তবে মানুষের মুখে বর্ণনা শুনেছি,,,, তার থেকে আরও সুন্দর এই সাজেক,,,,তাই তোমাকে থ্যাঙ্কস জানাতে চাই,,,,,থ্যাঙ্ক ইউ সোনামনি কাউয়া,,,, (আকিবের গাল দুই হাত দিয়ে হালকা টেনে)
আকিব: ???? সোনামনি কাউয়া,,,,
এই ডায়লগ কই থেকে শিখছো,,,,
আনহা: আমার ফুপির থেকে,,,,ফুপি সবসময় এই ডায়লগ দেয় সেই থেকেই শিখেছি,,,,
আকিব: যেমন তোমার ফুপি তেমন তুমি,,,, বাপরে আমাকে পাগল করে ছাড়বে,,,,
আকিবের কথায় আনহা হেসে দিল,,,, তারপর দুজনে রুমে এসে ফ্রেশ হয়ে নিল,,,,
একটু পরেই ম্যানেজার আসলো,,,, কারণ তানভীর সব দায়িত্ব ওর বন্ধুর হাতে দিয়েছে পালন তো করতেই হবে,,,,
ম্যানেজার: আপনি তো আকিব তানভীরের শালা,,,তাই তো,,,
আকিব: জ্বি হ্যা,,,,,
ম্যানেজার: আপনাদের খাবার আমার লোকেরা রুমেই দিয়ে যাবে টাইম মতো,,, আর আপনাদের জন্য একা গাড়ি আছে,,,ওটা দিয়ে পুরো সাজেক ভ্যালি আপনারা ঘুরতে পারবেন,,,, আমার কাজ এটুকুই,,,, এখন আসি,,,কোন সমস্যা হলে অবশ্যই আমাকে জানাবেন,,,,,
ম্যানেজার চলে যায়,,,,আনহা আর আকিব সকালের নাস্তা সেরে একটু রেস্ট নেয়,,, তার পর পুরো কটেজ ঘুরে দেখে,,,,
দুপুরে,,,, ওরা জুমের ভাত পাহাড়ি মুরগির মাংস আর দুই তিন রকমের ভর্তা দিয়ে লাঞ্চ করে,,,,,রেস্ট নিয়ে বিকেলে ঘুরতে বের হয়,,, কারণ রিমি ওদের ফোন করে ওদের ঘোরাঘুরির ছবি পাঠাতে বলেছে,,, না পাঠালে না জানি এখানে এসেই আকিবের গাল দুটো আবার লাল নীল সবুজ করে দেয়,,,,
বিকেলে আনহা আর আকিব হ্যালিপ্যাড ঘুরতে যায়,,,, ওখান থেকে স্টোন গার্ডেন যায়,,,,আনহা তো ভিশন খুশি,,,এতো সুন্দর জায়গাউফফফ খুশিটা যেন আটকাতেই পারছে না,,,আনহা আকিবের হাতে নিজের ফোন ধরিয়ে দেয়,,,আর ছবি তুলতে বলল,,,,আকিব বাধ্য হয়ে ছবি তুলছে,,,,আনহা একটা নীল রঙের শাড়ি ম্যাচিং ব্লাউজ,,, হাতে নীল চুড়ি,,,,,, ম্যাচিং জুয়েলারি,,,, মাথায় খোপা করেছে,,,,,
প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের সাথে আনহার সৌন্দর্য ও মিলে গেছে,,,,আনহা একেক পোজ নিয়ে ছবি তুলছে,,, আর আকিব সেটা মানতে বাধ্য হচ্ছে,,,,
আনহা: দেখি আকিব কি ছবি তুলেছ,,,,, ছবি যদি ভালো না হয় তাহলে তোমার খবর আছে
বলতে বলতে আকিবের হাত থেকে আনহা ফোনটা নিয়ে ছবি দেখতে থাকে,,,,
আকিব: এখন এই ছবি গুলো আপুকে পাঠাও
আনহা: কিন্তু তোমার ছবি তো নেই এতে তোমার আপু আরও রেগে যাবে,,, আসো দু’জনে কয়েকটা সেলফি নেই,,,,
আকিব: ওকে,,,,
কয়েকটা সেলফির নাম করে,,,, অন্তত একশটার বেশি ছবি তুলে ফেলেছে আনহা,,, আকিব বেচারা হয়রান হয়ে গেছে,,, মেয়েরা যে এতো ছবি তুলতে পারে সেটা ওর জানা ছিলোনা,,,,,
।
।
।
।
।
।
।
।
হ্যালিপ্যাড স্টোন গার্ডেন আর আশেপাশের জায়গা ঘুরতে ঘুরতে রাত সাতটা বেজে গেল
আকিব: আনহা,,,রাত হয়ে গেছে এবার চলো কটেজে ফিরে যাই,,,,
আনহা: না যাব না আজ সারা রাত ঘুরবো,,,
আকিব: What???Are you crazy???
আনহা: হুম,,,, হ্যালিপ্যাডে ঘোরার সময় কতগুলো ছেলে মেয়ে বলাবলি করছিল,,,,,
ওরা নাকি রুলুইপাড়া যাবে,,,
আকিব: তো,,,, ওরা গেলে যে আমাদের যেতে হবে এটার তো কোন মানেই হয় না,,,,,
আনহা: আরে শোন না,,,,, ওরা এটাও বলছিল আজকে নাকি পূর্ণিমা,,,, চাঁদ উঠেছে দেখছো না,,,, আর এই চাঁদের আলোয় রুলুইপাড়ার রাস্তায় ঘুরতে নাকি ভালো লাগবে,,,,, আর অনেক সুন্দর নাকি জায়গাটা
তাই আমরা আজকে যাবো,,,,
আকিব: ইম্পসিবল,,,,, আমি যাব না,,, তুমি গেলে যেতে পার,,,,
আনহা: ওকে,,,,,আমি তাহলে রিমি আপুকে কল করে বলে দিচ্ছি,,,,
আকিব: ক কি বলবে,,,,
আনহা: তেমন কিছু না,,,,বলব আমি রুলুইপাড়া একাই যাবো,,,,
আকিব: আল্লাহ মাটি ফাক করে দাও আমি ঢুকে যাই,,,,, নয়তো আমারে আকাশে উঠাইয়া নাও,,,,,
আনহা: আপাতত আমার সাথে রুলুইপাড়া গেলেই হবে,,,,
আকিবের আর কিছু করার নেই,,,, শেষমেষ আনহাকে নিয়ে চান্দের গাড়িতে করে রওনা হয়,,,,ম্যানেজারের দেওয়া গাড়ি আকিব আনেনি,,, কারণ হ্যালিপ্যাড,স্টোন গার্ডেন কটেজের কাছাকাছি,,,, কিন্তু আনহা যে রুইলুইপাড়ায় যাওয়ার বায়না করবে সেটা ও ভাবেনি,,,, চান্দের গাড়ি ছুটে চলছে,,,,ওই গাড়িতে কিছু অন্য ছেলে মেয়েরাও আছে,,, ওদের মুখেই আনহা রুইলুইপাড়ার কথা শুনেছে,,, ওরা সম্ভবত কলেজের স্টুডেন্ট,,,,,,,
ওদের কারো হাতে গিটার,,, ডিএসএলআর,,,
ওরা গাড়িতে গান শুরু করে দিলো,,,
এই পথ যদি না শেষ হয় তবে কেমন হতো তুমি বলোতো,,,,যদি পৃথিবীটা স্বপ্নের দেশ হয় তবে কেমন হতো তুমি বলোতো,,,
???????????
আনহা আর আকিব ওদের গান শুনছে,,,,,
গাড়িতে থাকা সবার চোখই আকিব আর আনহার দিকে আকিব নেভি ব্লু কালারের একটা শার্ট পরা,,,,,শার্টের হাতা কনুই পর্যন্ত ভাজ করা,,,, বুকের উপর সানগ্লাস টা ঝুলানো,,,,
একটা ছেলে বলে উঠলো,,,,
__ হে ব্রো,,,, আপনারা হাজবেন্ড ওয়াইফ,,,,
__ আরে গাধা দেখে বুঝিস না,,,,এতো বড়ো হয়েছিস এখনো সব কিছু বোঝার ক্ষমতা হয়নি,,, (একটা মেয়ে বলল) দেখছিস না কেমন ম্যাচিং করে পোশাক পড়া,,,, দেখতেই তো বোঝা যাচ্ছে যে ওনারা হানিমুনে এসেছে
মেয়েটার কথায় আনহা আর আকিব একটু হেসে উঠলো,,,,
__ আরে থাম তো আমি বুঝেছি যে ওনারা হাজবেন্ড ওয়াইফ,,, কিন্তু তাও সিওর হয়ে নিলাম,,,,(ছেলেটা,,,)
__ হয়েছে তোকে আর বুঝতে হবে না,,, বাই দা ওয়ে,,,, আপু আপনাদের জুটিটা কিন্তু বেশ
এরকম জুটি খুঁজে পাওয়া কিন্তু খুব মুশকিল
একটা ছবি তুলতে পারি আপনাদের,,,,(অন্য একটা ছেলে)
আনহা আর আকিব একে অপরের দিকে তাকালো,,,,
__ আরে এখন না,,,,রুলুইপাড়া গিয়ে তারপর ওকে,,,,
সবাই আবার গান শুরু করল,,,আনহা একমনে বাইরে তাকিয়ে আছে,,,, ঘন্টাখানেকের মধ্যে ওরা রুলুইপাড়ায় পৌঁছে গেল,,,, গাড়ির ছেলেমেয়ে গুলো আকিব আর আনহাকে নিয়ে গেল ওরা এখানে বার বি কিউ করবে,,,, আর এখানেই ডিনার করবে,,,,আনহাও রাজি হয়ে যায়,,,,
সবাই মিলে আড্ডা দেয় আনহাও খুব ইনজয় করছে,,,,,আকিব শুধু আনহার কান্ড দেখছে
রাত এগারোটায় সবাই ডিনার করে,,, আকিব চেয়েছিল কটেজে ফিরতে কিন্তু ওই ছেলেমেয়ে গুলো আসতে দিল না,,,, ওরা নাকি এখানের রাস্তায় হেঁটে হেঁটে রুইলুইপাড়া
ঘুরবে,,,,, চাঁদনী রাতে এই রাস্তায় হাঁটার মজাই নাকি আলাদা,,,, কি আর করা,,,,,, আনহাও ওদের সাথে মতবিনিময় করে,,,,
।
।
।
।
।
।
।
রাত দুটো বাজে,,,,আনহা আর আকিব পাশাপাশি রুলুইপাড়ার রাস্তায় হেঁটে যাচ্ছে,,,,,
কলেজের ছেলেমেয়ে গুলো ওদের থেকে একটু পিছনে,,,,আনহা আকিব যাতে একটু আলাদা সময় কাটাতে পারে সেজন্যই ওরা পিছনে হাঁটতেছে,,,,,
চাঁদের আলো সারা রাস্তাটা আলোকিত করেছে,,,,আনহার মুখটা পুরোপুরি দেখা যাচ্ছে,,,,,আনহা বকবক করে যাচ্ছে আর আকিব মুগ্ধ হয়ে তাকিয়ে আছে আনহার দিকে,,,,, কেমন জানি অদ্ভুত একটা অনুভুতি হচ্ছে আকিবের মধ্যে,,,,কোন শীতল বাতাস আকিবের মনে দোলা দিচ্ছে,,,, নিজের অজান্তেই আকিব আনহার হাত ধরে,,,,, কিন্তু
আনহার সেদিকে খেয়াল নেই,,,,ও বকবক করতেই আছে,,,, আজকে অনেক মজা হলো
স্টোন গার্ডেনটা অনেক সুন্দর ছিল,,,,,
হ্যান ত্যান ভাতের ফ্যান ঢেলে উল্টাইয়া দেন
ইত্যাদি ইত্যাদি,,,, কথা বলতে বলতে আনহাও আকিবের হাত মুঠিবদ্ধ করে ধরে,,,,,
ওই ছেলেমেয়েদের সাথে ছবি তুলে আড্ডা দিয়ে,,,, কটেজে ফিরতে ফিরতে রাত সাড়ে তিনটা বেজে গেছে,,,,,, কটেজে ফিরে রুমে এসেই দুজনে ফ্রেশ হয়ে ঘুমিয়ে পড়লো,,,
সকালবেলা,,,,,,,,,,,,,,,
চলবে,,,,,,,,,,,,,,