#ভালোবাসার_রং (❣️You are my Lifeline ❣️)
#Part_6
#Ishita_Rahman_Sanjida_(Simran)
আজকের সকালটা খুব স্নিগ্ধ মনে হচ্ছে আনহার কাছে,,,,সব চিন্তা কালকে দূর হয়ে গেছে ওর,,, এতো দিনে ওর স্বপ্ন পূরণ হতে চলেছে,,,,সোহানকে ফিরে পাওয়ার আশার আলো নতুন করে দেখা দিয়েছে,,, আকিব ও এখন একটু শান্তি পাবে,,,,, এতদিন আনহা নিজেকে দোষী মনে করছে,,, শুধু মাত্র ওর কারণেই আজ আকিবের এই অবস্থা,,, নিজের ভালোবাসাকে আনহার কারণেই হারাতে বসেছিল আকিব,,, কিন্তু রিধিকে আকিবের জীবনে ফিরিয়ে দিতে পেরে আনহা অনেক খুশি আজকে,,,, তাড়াতাড়ি ফ্রেশ হয়ে রেডি হয়ে নিল আনহা,,,,, আজকে আবার ভার্সিটিতে যাবে,,,,আকিবকেও টেনে তুলল,,,
তারপর দুজনে খেয়ে ভার্সিটিতে চলে যায়,,,
ভার্সিটিতে গিয়ে দুজনে যে যার ক্লাসে চলে গেল,,,,,ক্লাস শেষে আনহা আকিবকে ফুসকা খেতে নিয়ে গেল,,,আকিব যেতে চাইছিল না কিন্তু আনহা নাছোড়বান্দা,,,, টেনে নিয়ে যায় আকিবকে,,,,, রাস্তার পাশের দোকানে ফুসকার অর্ডার দিয়ে দাঁড়িয়ে আছে ওরা,,,
আকিব: আচ্ছা,,,,ভা,,,ধ্যাত,,,আনহা,,,, এখানে দাঁড়িয়ে ফুচকা খাওয়ার মানে কি আমরা কোন রেস্টুরেন্টে যেতে পারি,,,
আনহা: এখানে দাঁড়িয়ে খাওয়া আর রেস্টুরেন্টে খাওয়া এক নয়,,, আকাশ পাতাল তফাৎ,,,বুঝেছো,,,,ওহ তোমাকে তো বোঝালেও বুঝবে না,,
আকিব: কি আমি বুঝি না,,,
আনহা: হুম,,,, এখন কথা বলো না তো,,, এই তো ফুচকা এসে গেছে,,,,,
আনহা এক প্লেট আকিবের হাতে ধরিয়ে দিল
আকিব: আমি এসব অখাদ্য খাবো না,,,
আনহা: না খেলে প্লেটটা হাতে নিয়ে দাঁড়িয়ে থাকো,,,, আমার প্লেট শেষ করে তারপর ওই প্লেট ও খাবো,,,
আকিব: আয় হায়,,,,,, কার পাল্লায় পড়লাম রে বাবা,,,, (গালে হাত দিয়ে)
আকিব দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে আনহার ফুচকা খাওয়া দেখতেছে,,, টক পানিতে ফুচকা ডুবিয়ে মুখে দিয়ে চোখ দুটো বন্ধ করে ফেলে আবার চোখ খুলে,,,, খাওয়ার স্টাইল টা ও অবাক করা,,,, গালে হালকা টোল পড়ে যখন আনহা ফুচকা খায়,,, আকিব অবাক দৃষ্টিতে আনহার ফুচকা খাওয়া দেখতেছে,, ফুচকা খেতে খেতে আনহার চোখ দিয়ে পানি পড়তাছে,,,,ঝালে,,,তবুও আনহা খেয়েই যাচ্ছে,,, এটাই হলো ফুচকা খাওয়ার মজা,,,,,
আকিব: এসব তুমি খাচ্ছো কিভাবে,,,
আনহা: তুমি একটা খেয়ে দেখো মজা পাবা,,,
আকিব: নো,,,,
আনহা: আরে একটা খাও,,,
বলতে বলতে আনহা জোর করে একটা ফুচকা আকিবের গালে পুরে দিল,,, একটা ফুচকা খেয়েই আকিবের অবস্থা নাজেহাল,, ঝালে ওর ঠোট দুটো লাল হয়ে গেছে,,,আনহা আকিবের অবস্থা দেখে হাসতে লাগল,,,
আকিব: আমি ঝালে মরছি আর তুমি হাসতেছো,,,, হুম,,, প্লিজ কিছু একটা করো আমি মরে গেলাম ঝালে,,,,,
আনহা আশেপাশে তাকিয়ে কিছু দেখতে পেল না,,,, হঠাৎ ওর চোখ গেল রাস্তার পাশে একটা লোক মিস্টি পান বিক্রি করতেছে,,, ওখান থেকে একটা পান এনে আকিবের মুখে দেয়,,,
আকিব মিস্টি পেয়ে চিবোতে থাকে,,,,,
আনহা: ঝাল কমেছে,,,,
আকিব মাথা নাড়িয়ে হ্যা বলল,,, ইশারায় আনহাকে জিজ্ঞেস করল কি খাওয়ালো,,,
আনহা: মিস্টি পান,,,,,
আকিব: ওয়াট,,,,,, ওয়াক থু,,,,
মুখের ভিতরের থাকা পান ফেলে দিল,,,,
আনহি: আহা,,,, ফেললে কেন,,,,
আকিব: আমার ঝাল লেগেছিল তাই বলে তুমি পান খাওয়াবে আমাকে,,,, তুমি কি জানো না যে পান খেলে জীব্বাহ,,, ঠোঁট লাল হয়ে যায়,,,, ধুর,,,,
আকিব ফোন বের করে ক্যমেরা অন করে নিজের ঠোঁট দেখতাছে,,,,
আকিব: দেখেছো,,,, লাল হয়ে গেল আমার ঠোঁট,,,,
আনহা: ঝালে লাল হয়েছে,,,, আর এটুকু পান খেলে,,,,ঠোট লাল হয়ে যায় না,,,,, বুঝলে,,,,
(হেসে,,,,) এখন চলো বাড়িতে যাই,,,,
!
!
!
!
!
!
!
!
!
রাস্তায় দাঁড়িয়ে রিধি রিকশার জন্য অপেক্ষা করছে,,,,,মাঝ রাস্তায় এসেই ওর গাড়িটা খারাপ হয়ে গেছে,,,, এখন বাড়ি ফিরতে রিকশার অপেক্ষা করছে,,,,,এমন সময় একটা বাইক এসে ওর সামনে দাঁড়ায়,,,,
রিধি: আপনি,,,,,,
সোহান: না মানে,,,, আপনি এখানে দাঁড়িয়ে আছেন,,,,, ভাবলাম হয়তো কোন বিপদে পড়েছেন,,,,তাই একটু দেখতে এলাম,,,,
রিধি: আসলে গাড়িটা খারাপ হয়ে গেছে,,, তাই রিকশার খোঁজ করছি,,,
সোহান: যদি কিছু মনে না করেন আপনাকে আমি বাড়িতে ছেড়ে দেই,,,,
রিধি: নো প্রবলেম,,,,,
রিধি সোহানের বাইকে উঠে বসে,,,,সোহান বাইক স্টার্ট দিলো,,,,,
রিধি: আচ্ছা,,,ভাবি,,,,ওপস সরি,,,, আনহার সাথে আপনার কতদিনের রিলেশন,,,,
সোহান: একবছরের,,, আর আপনার,,,,
রিধি: পাঁচ মাসের,,,
সোহান: কি,,,,, আর ইউ সিরিয়াসলি,,,,, পাঁচ মাসের প্রেম,,,,,হা হা হা,,,
রিধি: হাসছেন কেন,,,,
সোহান: না এমনি,,,,তো কিভাবে শুরু হলো প্রেমটা,,,,
রিধি: ওর ফ্রেন্ডসরা বলেছিল,,,, আকিব তো আমাকে দেখলেই দৌড়ে পালাতো,,,,, এই আকিবটা না,,,, একটা নিরামিষ,,,, এখন পর্যন্ত আমার হাতটা পর্যন্ত ধরেনি,,, বলে কি না,,,, তোমার হাত ধরলে আমার ভুমিকম্প উঠে যায় ভয়ে,,,,,একদম আনরোমান্টিক,,,,
সোহান: এসব কি বলছেন,,,,,প্রেমের মধ্যে হাগ কিস এসব না করলে প্রেম তো জমেই না আর আমিই বা এসব কেন বলছি,,,, আমি তো আনহার সাথে এসব কিছুই করতে পারিনি,,, আনহা আজ পর্যন্ত ওকে ছুঁতে দেয়নি,,,,বলেছে বিয়ের আগে এসব কিছু করবে না,,, কি আর করা,,,ওর কথাই মেনে নিতে হয়েছে,,,,
রিধি: ওহহ,,, তাহলে আমরা দুজনেই দুই নিরামিষ এর পাল্লায় পড়লাম কি বলেন,,,
ওরা দুজনে হেসে দিল,,,,
সোহান: বাই দা ওয়ে,,,,আমি কিন্তু রোমান্টিক আছি,,,,আনহাকে কতবার বলেছি একটা কিস করি,,, কিন্তু ও কিছুতেই দিল না
রিধি: আমি একটু কম রোমান্টিক,,,, তবে আপনি যদি শিখিয়ে দেন তাহলে একটু ভালো হয়,,,,
রিধি শব্দ করে হেসে উঠলো সোহান ও ওর কথায় হেসে দিল,,,,কথা বলতে বলতে রিধির বাড়ির সামনে এসে সোহান বাইক থামায়,,,,
রিধি বাইক থেকে নেমে গেল,,,, চলে যাওয়া ধরলে সোহানের ডাকে পিছনে তাকায়,,,
সোহান: Excuse me,,, আপনার ফোন নাম্বার টা দিলে ভালো হতো,,,,,,
রিধি: কেন???
সোহান: আপনি কি যেন শিখতে চান ওটাই শেখাবো,,,,( মুচকি হেসে)তবে আপনি যদি চান তাহলে দরকার নেই নাম্বার দেওয়ার,,,,,
রিধি: নো প্রবলেম,,,, আমি নাম্বার দিচ্ছি,,,
রিধি সোহানকে ওর ফোন নাম্বার দিলো,,,,
তারপর বাড়ির ভিতরে ঢুকে গেল,,,,সোহান ও চলে গেল,,,,,
।
।
।
।
।
।
।
রাতে আনহা বিছানায় বসে বসে পড়তাছে,,, সরি পড়তাছে বললে ভুল হবে,,,,বইয়ের পাতা উল্টাচ্ছে,,,,মুখটা গোমড়া করে বইয়ের দিকে তাকিয়ে আছে,,,,বইয়ের আগাগোড়া কিছুই বুঝতে পারছে না,,,,
আনহা: ধ্যাত তেরিকি,,,,খুশির ঠেলায় ক্লাসে আজকে মন দিতে পারলাম না,,,তাই কিছুই বুঝতে পারছি না,,,, আর ওই বুড়োটার ক্লাসে আমি কেন কেউই মন দিতে পারবে না,,,,, কি পড়ায় উনি নিজেই তো শুনতে পায়না আবার স্টুডেন্টসরা শুনবে কেমনে,,,,
আকিব এতোক্ষণ বারান্দায় দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে রিধির সাথে ফোনে কথা বলছিলো,,,,, ফোন কেটে রুমে ঢুকতে ঢুকতে আনহার কথাগুলো শুনতে পায়,,,,
আকিব: ওয়াট হ্যাপেন্ড,,,,স্যারের নামে এসব কি বলতেছো,,,,পড়া না বুঝলে স্যারকে প্রশ্ন করলেই তো স্যার ক্লিয়ার করে সব বুঝিয়ে দেয়,,,,
আনহা: এক গাদা ছাই দেয়,,,,, বুড়ো কোথাকার,,,,ক্লাসে এতো আস্তে কথা বলে যে উনার কথা উনার কান পর্যন্ত পৌঁছায় কিনা সন্দেহ হয়,,,, উনার ক্লাসে সবাই ইয়ার ফোন কানে গুজে বসে থাকে,,,,
আনহার কথায় আকিব হেসে উঠলো,,,,
আকিব: তা,,,, আজকে তুমি কি ইয়ার ফোন কানে গুজে বসেছিলে নাকি,,,,, (পকেটে দুইহাত দিয়ে,,,)
আনহা: আরে না,,,, আজকে তো আমি খুব খুশি সেই কারণে ক্লাসে আর মন দিতে পারিনি তাই এখন কিছুই বুঝতে পারছি না,,,
আকিব: ওকে আমি হেল্প করছি,,,,
আকিব আনহার পাশে বসে ওর কাছে থেকে বইটা নিয়ে আনহাকে পড়া বোঝাতে লাগলো
প্রায় আধ ঘন্টা ধরে আকিব আনহাকে বুঝিয়ে যাচ্ছে,,,, আনহাও হা করে পড়া গিলছে,,,আরও কিছুক্ষণ পর আকিবের বোঝানো শেষ হয়,,,,,আকিব বই থেকে মুখ তুলে তাকিয়ে দেখে আনহা ঘুমিয়ে গেছে,,,
আকিব এতে অবাক হয়ে যায়,,,
আকিব: আরে এতো তাড়াতাড়ি কিভাবে ঘুমিয়ে গেল,,,,পড়ায় ফাঁকি দেয়ার ফন্দি খালি,,,
আকিব অত্যান্ত ভালো স্টুডেন্ট,,,,ওর কাছে আনহা কিছুই না,,,, পড়াশোনা করতে আনহার একটু ও ভালো লাগে না,,, পড়াশোনা না করলে বাড়ি থেকে আরও তাড়াতাড়ি ওকে বিয়ে দিয়ে দিত,,, সেই ভয়েই আনহা এতোদিন পড়াশোনা চালিয়ে এসেছে,,
আর এখন বিয়ে হয়েছে,,,, কিন্তু তাও ওকে পড়াশোনা করতে হচ্ছে,,,,,,না হলে যে শ্বশুরবাড়িতে ওর মান থাকবে না,,,,
যাই হোক,,,,এখন আনহা গভীর ঘুমে আচ্ছন্ন হয়ে গেছে,,,,, হাতে একটা খাতা আর কলম আঁকড়ে ধরে আছে,,,, মুখের উপর চুলগুলো এলোমেলো হয়ে গেছে,,,,আকিব আনহার হাত থেকে খাতা কলম নিয়ে আনহার সব বই পত্র গুছিয়ে রাখে,,,, হঠাৎ করেই আকিবের চোখ যায় আনহার দিকে,,, চুলগুলো এলোমেলো ভাবে মুখের উপর এসে পড়েছে,,,
চুলের ফাঁকে আনহার মুখটা পুরোপুরি ভাবে বোঝা যাচ্ছে না,,,, নিজের অজান্তেই আকিবের হাত আনহার দিকে এগিয়ে যায়,,,
মুখের উপর থেকে চুলগুলো কানের পিছনে গুজে দিল,,,,একধ্যানে তাকিয়ে আছে,,, আনহার দিকে,,,,, আনহার চোখের পাপড়ি গুলো ঘনো,,,,চোখ বন্ধ করার ফলে সেগুলোর সৌন্দর্য ফুটে উঠেছে,,,,, ঠোঁট জোড়া গোলাপি বর্ণের,,,,ঘুমন্ত মুখটায় আনহাকে অপ্সরির মতো লাগছে,,,,, হঠাৎ কোন একটা কারণে আকিবের ধ্যান ভাঙল,,,
আকিব: ওয়াট এসব কি করছি আমি,,,, হঠাৎ করে আমার সাথে এমন কেন হলো,,,, আর আমি কেনই বা আনহার দিকে এভাবে তাকিয়ে আছি,,,,,আমি তো রিধিকে ভালোবাসি,,,,,
আকিব আর কিছু না ভেবে,,,, আনহার মাথার নিচে বালিশ দিয়ে গায়ে চাদর জড়িয়ে দিয়ে নিজেও ঘুমিয়ে পড়লো,,,,,
সকালে ঘুম থেকে উঠে আনহা একটু অবাক হয়,,,, কারণ আকিব ছবি আঁকছে,,,,,এই সাত সকালে ছবি আঁকার কোন মানেই হয় না,,,,
আনহা গিয়ে আকিবের পাশে দাঁড়ায়,,,,,
আনহা: আকিব,,,,এটা কি করছো তুমি,,, সকালে মানুষ ঘুম থেকে উঠে ফ্রেশ হয় নাস্তা করে আর তুমি ছবি আঁকছো,,,, কাহিনী টা কি একটু বলবে,,,,, আর এটা কিসের ছবি আকছো,,,,
আকিব: আসলে আজকে রিধির জন্মদিন তাই ওর ছবি এঁকে রিধিকে সারপ্রাইজ দিবো
কালকে আমার একটু ও মনে ছিল না,,, সকালে উঠে তারিখ দেখে মনে পড়ে গেল তাই এখন ছবি আঁকছি,,,,
আনহা: ওকে তাহলে আজকে বিকালে রিধি আমাদের ট্রিট দিবে তাইতো,,,,
আকিব: না আমি দিবো,,,,
আনহা: ওহ,,,, সেটাই তো,,,, গার্লফ্রেন্ড বলে কথা,,,,,কদিন বাদে,,,, আবার বিয়ে ভালো ভালো,,,, তাহলে আমরা বিকালে মিট করছি রাইট,,,
আকিব: হুম,,,,
আনহা: তাহলে আজকে আর ভার্সিটিতে যাবো না,,,,
আকিব: বার্থডের সাথে ভার্সিটিতে না যাওয়ার কারণ কি হলো,,,,
আনহা: ও তুমি বুঝবে না,,,,
আনহা ওখান থেকে কেটে পড়ে,,,,ওয়াসরুমে গিয়ে আনন্দে লাফিয়ে উঠে যাক ভার্সিটিতে না যাওয়ার একটা বাহানা পেয়ে গেল,,,,
বিকালে আনহা আর আকিব রিধি আসার আগেই রেস্টুরেন্টে চলে যায়,,,, তারপর কেক আর ক্যান্ডেল সাজায়,,,, আকিব রিধির জন্য এক তোড়া লাল গোলাপ এনেছে,,,, সবকিছু ঠিকঠাক করে আকিব রিধিকে কল করে,,, রিধি বলে ও নাকি এসে গেছে,,,,,আকিব ও ফোন কেটে দিল,,,,,
রিধিকে আসতে দেখে আকিব আর আনহা অবাক হয়ে যায়,,,, কারণ রিধি একা না ওর সাথে সোহান ও আছে,,,,,দুজনে হেসে হসে কথা বলতে বলতে ওদের কাছে আসে,,,
আনহার কাছে একটা খটকা লাগে,,, রিধি কেন সোহানের সাথে,,,,ছোট খাট একটা গিট্টু লেগে যায় আনহার মাথায়,,,,
চলবে,,,,,,,,