ভালোবাসার বন্ধন পর্ব-০৪

0
1100

#ভালোবাসার বন্ধন
#পর্ব_০৪
#অধির_রায়

পরেরদিন মিহু আর ভূর্জয় খুব সকালে ঘুম থেকে উঠে। সকলের কাছ থেকে বিদায় নিয়ে সুইজারল্যান্ডের উদ্দেশ্যে যাত্রা শুরু করে৷

সুইজারল্যান্ডের বার্ন শহরের মন্টিকালো ফাইভ স্টার হোটেলে উঠেছে৷ ছবির মতো সুন্দর মধ্যপ্রাচীয় শহর বার্ন সুইজারল্যান্ডের রাজধানী। ১২ শতকের পুরানো ইতিহাস লুকিয়ে আছে এই শহরটির মাঝে৷ ১৬ শতের আগে এরা সুইসের সাথে যুক্ত হয়নি৷ এর সবচেয়ে আকর্ষণীয় বিষয় হলো প্রাচীন ক্লক টাওয়ার। যাতে জলন্ত আশ্চর্যজনক পুতুল আছে, একে “Zytglogge” বলে।

মিহু প্রথমবার সুইজারল্যান্ডে আসে৷ মন্টিকালো ফাইভ স্টার হোটেল সুইজারল্যান্ডে নামকরা হোটেল। এই হোটেলের প্রতিটি আসবাবপত্র দেখে মনে হচ্ছে এটি রাজকীয় কোন রাজবাড়ী। সবকিছু খুব সুন্দর করে সাজানো৷ মুগ্ধ হয়ে মিহু সবগুলো দৃশ্য দেখছে। দুই তলায় সিঁড়ির সাথে যে দেয়াল বিদ্যমান সে দেয়ালটি এমনভাবে গাছপালার প্রেইন্টিং করা দেখে মনে হচ্ছে বাস্তব দৃশ্য। মিহু এমন দৃশ্য মিস করতে চাইনি, তাই সে নিজের ফোনে কিছু ছবি তুলে নেয়৷

— মিহুর এমন কান্ড দেখে তূর্জয় বলে উঠে, “কি করছো টাকি? ”

— “দেখতে পাচ্ছেন না সেলফি তুলছি৷ বিরক্ত করবেন না৷ ” সেলফি তুলায় মন দিয়ে৷

— “আরে বুদ্ধু এখানে যদি তোমাকে এই অবস্থায় দেখে ফেলে মানুষ কি ভাববে?” চাপা গলায় বলে উঠে।

— আপনি ওমন করেন কেন? আমি কি করেছি? সামান্য একটু সেলফি তুলেছি৷

— এটাই তো বাঙালিদের সমস্যা। দোষ করবে কিন্তু স্বীকার করবে না৷

— আমি কোন দোষ করিনি৷ আপনিও আসেন না একটা সেলফি তুলি৷

তূর্জয় চারিদিকে চোখ বুলিয়ে দেখতে পায় তেমন কোন মানুষ নেই৷ অনিচ্ছা সত্ত্বেও মিহুর সাথে দুইটা সেলফি তুলে নেয়৷

সেলফি তোলার সাথে সাথে তূর্জয় মিহুকে কিছু বলার সুযোগ না দিয়ে হাত ধরে রুমে নিয়ে যায়৷ রুমে এসে দরজা বন্ধ করে দেয়৷ দরজা বন্ধ করাতে মিহু ভয় পেয়ে যায়৷

— ভয়ে আমতা আমতা করে বলে উঠে, “আপনি দরজা বন্ধ করলেন কেন? আমি কোন দোষ করিনি।”

— তো দরজা খোলে পোশাক চেঞ্জ করবো৷ আচ্ছা আমি দরজা খোলে দিচ্ছি। তুমি পোশাক চেঞ্জ করতে পারো।সবাইকে দেখাও তুমি কতটা সুন্দর, কতটা হ*ট।

মিহু কি বলবে বুঝতে পারছে না? মাথায় কোন বুদ্ধি নেই। কোন সময় কি বলে ফেলে জানা নেই? মিহু বোকার মতোন করে দাঁড়িয়ে আছে৷ যা দেখে তূর্জয়ের খুব হাসি পাচ্ছে৷ নিজের হাসি আটকিয়ে ওয়াসরুমে চলে যায়৷ মিহু সেই একইভাবে দাঁড়িয়ে আছে৷ সে ভাবছে, আমি কেন একটু সিরিয়াস হতে পারি না? সব সময় নিজেকে নিয়ে কেন এত ভুলভাল ভাবি? কথা দিচ্ছি আজ থেকে আর ভুল চিন্তা মাথায় আসতে দিবো না৷

তূর্জয় ওয়াসরুম থেকে এসে দেখে মিহু মুখে বৃদ্ধা আঙ্গুল দিয়ে দাড়িয়ে আছে৷ ছোট বাচ্চাদের মতো আকাশ পাতাল ভেবে যাচ্ছে৷ মিহুকে এই অবস্থায় খুব সুন্দর দেখাচ্ছে। মিহুর এই স্মৃতিটা যুগলবন্দী করে রাখার জন্য কয়েকটা পিক তুলে নিল।

— এই যে কি ভাবছেন? ফ্রেশ হয়ে আসেন। খাবার খেতে হবে তো৷

তূর্জয়ের কথায় মিহু বাস্তবে ফিরে আসে৷ তূর্জয়ের দিকে দৃষ্টি নিক্ষেপ করে বলে উঠে, ” এ কি আপনি পোশাক চেঞ্জ কখন করলেন?”

— তুমি যখন আকাশ পাতাল ভেবে যাচ্ছিলে তখন৷ আর হ্যাঁ ফ্রেশ হয়ে আসো খাবার খেতে যাবো৷

মিহু কোন কথা না বলে ফ্রেশ হয়ে আসে৷ এসে দেখে তূর্জয় বিছানায় শুয়ে শুয়ে ফোনের দিকে তাকিয়ে হাসছে। কেন হাসছে জানা নেই মিহুর? মিহু ধীর পায়ে তূর্জয়ের পিছনে চলে যায়৷ এসে দেখে তূর্জয় মিহুর ছবি দেখে হাসছে। যা মিহুকে খুব রাগিয়ে দেয়।

— “আপনি একটা খবিশ,” ক্ষেপে বলে উঠে। লুকিয়ে লুকিয়ে আমার পিক তুলেছেন কেন?

খবিশ কথাটা শুনে পিছনে তাকিয়ে দেখে মিহু দাঁড়িয়ে আছে৷ এই মাত্র স্নান করে এসেছে৷ ভেজা চুল থেকে টুপ টুপ করে জল পড়ছে৷ মিহুর মুখটা খুব মায়াবি দেখাচ্ছে। অপলক দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে মিহুর দিকে।

— কি হলো! আমার পিক রিমুভ করেন আপনার ফোন থেকে।

— না রিমুভ করবো না৷ এসব পিক রেখে দিলাম যখন মন খারাপ লাগবে তখন দেখবো। তোমার পিক দেখে হেঁসে হেঁসে মন ভালো করবো৷

— কি!

— হ্যাঁ ম্যাম।

মিহু ফোনটা নেওয়ার জন্য হাত বাড়ায়৷ কিন্তু তার আগেই তূর্জয় ফোন সরিয়ে নেয়৷ মিহুর চিন্তা হলো সে ফোন নিলেই ছাড়বে৷ তূর্জয় ফোন দিবে না৷ দুই জন ফোন নিয়ে কাড়াকাড়ি শুরু করে দেয়৷ হুট করেই মিহু তূর্জয়ের বুকের উপর পড়ে যায়৷ মিহুর ভেজা চুলগুলো তূর্জয়ের মুখের উপর ছড়িয়ে পড়ে৷ এমন ঘটনা ঘটতে পারে তূর্জয়ের জানা ছিল না৷ তূর্জয় মিহুর দিকে অপলক দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে৷ মিহু তূর্জয়ের কাছ থেকে চলে আসতে নিলেই মিহুর হাত টান দিয়ে নিজের কাছে নিয়ে আসে৷ মিহু তূর্জয়ের এমন কাজে অবাক৷

— নেশা জনিত কন্ঠে বলে উঠে ” তোমাকে খুব সুন্দর লাগছে মায়াপরী। তোমার অপলক দৃষ্টি আমায় কাছে টানে৷

পরক্ষণেই মনে পড়ে যায় এটা মিহু। তূর্জয় নিজেকে সামলিয়ে বলে উঠে” সরি আসলে খেয়াল ছিল না৷” আমি একটা ঘোরের মাঝে চলে গিয়েছিলাম।

মিহু লজ্জা পেয়ে মাথা নিচু করে ফেলে৷ তূর্জয় বেলকনিতে চলে যায়৷ বেলকনি থেকে সুইজারল্যান্ডের দৃশ্যগুলো খুব সুন্দর দেখায়৷ বার্ন শহরটি সমুদ্রের তীরবর্তী হওয়ায় আরও সুন্দর করে ফুটিয়ে তুলেছে৷ এখানে কোন প্রাকৃতিক দৃশ্য নেই বললেই চলে ; যতদূর চোখ যায় শুরু মানুষের তৈরি দৃশ্যগুলো দেখা যায়৷

মিহুর নিজেকে আজ নিজের কাছে খুব ভাগ্যবান মনে হচ্ছে৷ আজ তূর্জয় তার প্রশংসা করেছে৷ তূর্জয় বিয়েটা মেনে না নিলেও মিহু তো এই বিয়েটা মেনে নিয়েছে৷ মিহু হালকা মেকআপ করে বেলকনির দিকে পা বাড়াতেই কলিং বেল বেজে ওঠে। তূর্জয় বেলকনি থেকে এসে দরজা খোলে দেয়৷ ওয়েটারের কাছ থেকে খাবার নিয়ে আবার দরজা বন্ধ করে দেয়৷

— আপনি বললেন যে, “বাহিরে খেতে যাবেন৷ রুমে খাবার আসলো কিভাবে?”

— আমি ফোন করে খাবার রুমে দিতে যেতে বলেছি৷ খাবার খেয়ে নাও৷

মিহু জানে কথা বাড়িয়ে কোন লাভ নেই৷ তাই সে তূর্জয়ের কথামতো খাবার খেয়ে নেয়৷

— মিহু এখন একটু ঘুমিয়ে নাও। রাতে ঘুরতে যাবো৷

— ওঁকে,,, তূর্জয় শুয়ে ঘুমিয়ে পড়ে৷ মিহুর চোখে ঘুম নেই৷ তার মাথায় হাজারটা চিন্তা ঘুরপাক খাচ্ছে৷ এতো বড় হোটেলে সে বসে থাকবে না৷ সে ঘুরে ঘুরে দেখবে৷ তূর্জয় ঘুমিয়ে পড়েছে কিনা যাচাই করার জন্য তূর্জয়ের আঁখিতে ফুঁ দেয়৷ তূর্জয় আঁখি মেলে তাকায় না৷ মিহু বুঝতে পারে ঘুমিয়ে পড়েছে। ধীর পায়ে রুমের বাহিরে চলে আসে৷

মিহু হোটেলের বাহিরে চলে আসে৷ হোটেলের বাহিরে তেমন জায়গা নেই৷ যতটুকু জায়গা রেখে সেখানে সুইমিং পুল দিয়ে রাখছে৷ হোটেলের ডান পাশে সুইমিং পুল৷

মিহু একজন সুইজারল্যান্ড অধিবাসীকে বাংলায় বলে উঠে” আপনারা সত্যিই খুব গাধা৷ সুইমিং পুল হোটেলের বাম পাশে থাকে৷ মাথায় শুধু গবর৷”

লোকটি মিহুর দিকে হা করে তাকিয়ে আছে৷ মিহু কি বলছে বুঝতে পারছে না?

— আপনার মুখে মশা ঢুকবে৷ মুখ বন্ধ করেন৷ ও হ্যালো, আপনি বোবা কথা বলেন না কেন?

লোকটি একইভাবে মিহুর দিকে তাকিয়ে আছে৷ মিহু ক্ষেপে বলে উঠে, ” কুত্তা কোনদিন সুন্দরী মেয়ে দেখিস নি৷ এভাবে তাকিয়ে আছিস কেন? তোদের ঘরে মা বোন নেই৷” সালা এনাকন্ডা

মিহু লোকটাকে বকে চলে গেলে৷ চারিদিক বাহারি রকমের ফুলগাছ দিয়ে সাজিয়ে রেখেছে। সুইমিং পুলে অনেক ছেলে মেয়ে স্নান করছে৷ সেজন্য মিহু সেই দিকে যায়নি। ঘুরতে ঘুরতে কখন সন্ধ্যা হয়ে গেছে জানা নেই৷ তারাতাড়ি হোটেলে ফিরে আসে৷

তূর্জয় ঘুম থেকে উঠে দেখে মিহু কোথাও নেই৷ মিহু মিহু বলে চিৎকার করতে থাকে৷ কিন্তু কোন জায়গা থেকে মিহুর ধ্বনি আসে না৷ মিহু রুমে কোথায় নেই৷ সারা রুমের মাঝে মিহুকে খোঁজে না পেয়ে নিচে আসতে নিলেই মিহুর সাথে তূর্জয়ের সিঁড়িতে দেখা হয়৷ তূর্জয়কে দেখে মিহুর আত্মা শুকিয়ে যায়৷ তূর্জয় মিহুকে সবার সামনে কিছু না বলে হাত চেপে ধরে রুমে নিয়ে আসে৷

— আমার হাত ছাড়েন৷ এভাবে চেপে ধরার কি আছে? আমি কি বাচ্চা পোলাপান? কোথাও হারিয়ে যাবো?

— চোখ পাকিয়ে বলে উঠে, “স্টপ” কোথায় ছিলে তুমি?

— কই আমি তো এখানেই ছিলাম। আমি কোথাও যায়নি তো৷

— আমার প্রশ্নের সোজা উত্তর দাও৷ তুমি কি ঘুমিয়েছিলে?

মিহু কি বলবে বুঝতে পারছে না? শুধু তূর্জয়ের চোখের দিকে তাকিয়ে আছে৷ তূর্জয় মিহুর দিকে অগ্নি দৃষ্টি নিক্ষেপ করে রয়েছে। মিথ্যা কথা পেটের মাঝে জমে আছে৷ কিন্তু মুখে আসছে না৷

— কি হলো? কথা বলছো না কেন? কোথায় ছিলে?

— আসলে আমার ঘুম আসছিলো না৷ সেজন্য একটু নিচে হাঁটতে বের হয়েছিলাম।

— কেন? তুমি আমাকে ডাক দিতে পারলে না৷ তুমি কি জানো এখানে সব জায়গায় বিপদ রোদ পেতে থাকে? যদি তোমার কিছু হয়ে যেত৷

মিহু তূর্জয়ের চোখে রাগের সাথে সাথে ভয়েরও একটা কাজ করছে৷ মিহু বুঝতে পারে সে ভুল করেছে৷

— আসলে আমি বুঝতে পারিনি আপনি এতো রেগে যাবেন৷ জানলে কখনো বাহিরে বের হতাম না৷ প্লিজ! আমাকে ক্ষমা করে দেন৷ আপনার কথা আর অমান্য করবো না৷

— হাত ছেড়ে দিয়ে ” এই মেয়ে এরপর কোথাও না বলে চলে গেলে পা ভেঙে দিবো৷ না হলে এখানে মেরে পুতে রেখে চলে যাবো৷”

— ওই ওই খবিশ তূর্জয়। আমি আপনাকে ভয় পাই না৷ শুধু শুধু আমায় ভয় দেখান কেন? আমি এক অবলা শিশু৷ অবলা শিশুদের ভয় দেখাতে নেই।

তূর্জয় কিছু বলতে নিবে মিহু কান্না শুরু করে দেয়৷ তূর্জয় বোকা বনে চলে যায়৷ মিহুর চোখের জল মুছে দিয়ে নরম স্বরে বলে উঠে, ” এভাবে না বলে কোথাও যাবে না৷ এখন ফ্রেশ হয়ে আসো ঘুরতে যাব নদীর তীরে।”

— আপনি কি এখানকার সবকিছু চিনেন?

— চিনি না তেমন। এর আগেও আমরা একবার এখানে এসেছি৷ তখন কিছুটা চিনে নিয়েছি৷

— অ আচ্ছা। আমাকে দুই মিনিট সময় দেন। আমি তৈরি হয়ে আসছি৷

মিহু পোশাক চেঞ্জ করে সাদা রঙের একটা গ্রাউন্ড পড়ে আসে৷ মিহুকে ঠিক পরীর মতো লাগছে৷ তূর্জয় মিহুর সাথে মেচিং করে সাদা প্যান্ট, সাদা শার্ট পড়ে৷ দুই জনকেই খুব সুন্দর মানিয়েছে৷

রাতের আকাশে তারার মেলা। সব তারকাদের হার মানিয়ে উঠেছে পূর্নিমার চাঁদ। চাঁদের আলোই সুইজারল্যান্ডের বিচের সাগর সৈকতে আয়েশ করে বসে আসে আইসক্রিম খাচ্ছে তারা। আইসক্রিম শেষ করে হাত ধরে বিচের বালির উপর দিয়ে হেঁটে যাচ্ছে৷ এখানকার সব থেকে বড় সুন্দর হলো সাগরের জল। ঢেউয়ের সাথে অনেকে খেলা করছে৷ যখন ঢেউ আসে তখন জল হালকা নীল রঙের দেখায়। যা পর্যটকদের আকর্ষণ করে৷

— “আমিও স্নান করবো ওখানে?” মিহু বাইনা ধরে সেও সাগর তীরে স্নান করবে।

— না একদমই না৷ এখন স্নান করলে তোমার জ্বর আসবে।

— “কিছু হবে না৷ প্লিজ চলেন না৷” প্যাঁচার মতো মুখ করো

— আমি পারবো না৷

— কেন? প্লিজ! আমি আর কিছু করবো না৷ একদম ভালো মেয়ের মতো থাকবো৷

— অসময়ে স্নান করলে জ্বর আসবে৷

— কিছু হবে না আমি আছি তো৷ জ্বর হলে আপনার সব জ্বর আমি নিয়ে নিবো৷

মিহু তূর্জয়ের কোন কথা না শুনে তূর্জয়কে টেনে নিয়ে যায় স্নান করতে৷ তূর্জয় নিজের জিনিসপত্র একটা আইসক্রিম ওয়ালার কাছে রেখে সাগরে নামে৷ অল্প জলে বালির সাথে খেলা করছে মিহু৷ মিহু প্রকৃতির মাঝে হারিয়ে গেছে৷ মিহু তূর্জয়কে জলে নাকানিচুবানি খাওয়াচ্ছে। এক সময় তূর্জয় মিহুর পাগলামি সহ্য করতে না পেরে বাধ্য হয়ে মিহুকে কোলে তুলে নেয়৷ কোন কথা না শুনে হোটেলে চলে আসে।

চলবে….

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে