বড়_বেশি_ভালোবাসি part : 5

0
2057

বড়_বেশি_ভালোবাসি
part : 5
writer : Mohona

.

মেরিন অজ্ঞান হয়ে নীড়ের বুকেই পরলো।

.

একটুপর…
মেরিনের জ্ঞান ফিরলো। দেখলো ও নীড়ের কোলে শুয়ে আছে।
নীড়: ঠিক আছো?
মেরিন: হামম।
মেরিন উঠতে নিলে নীড় help করলো। দেখলো ওর গায়ে নীড়ের জ্যাকেট। মাথা ব্যাথার জন্য মেরিনের চোখ মেলতেও কষ্ট হচ্ছে। নীড় মেরিনকে পানি খাওয়ালো। এরপর নিজের কাধে মেরিনের মাথাটা রেখে মাথায় হাত বুলাতে লাগলো।
মেরিন: ভাইয়াকে ১টা ফোন করবো।
নীড়: ভাইয়াকে বলেছি তুমি ডক্টরের কাছে এসেছো।
মেরিন খেয়াল করে দেখলো ওরা হসপিটালে…
নীড়: তুমি একটু বসো আমি আসছি….
নীড় just বের হতেই মেঘ হুরমুরিয়ে ঢুকলো।

.

মেঘ: মিষ্টি বাচ্চা…. তুমি ঠিক আছো? হসপিটালে একা কেন এলে? খুব খারাপ লাগছিলো? আমাকে ফোন করতা আমি চলে আসতাম। আমারই ভুল হয়েছে আমার তোমাকে আজকে নিয়ে যাওয়াই ঠিক হয়নি। এখন কেমন লাগছে?
মেরিন: বলছি বলছি…. তুমি normal তো হও….
মেঘ: তুমি ঠিক আছো তো…
মেরিন:একদম ফাটাফাটি…. কান্না থামাও…
আমি ছোট ১টা কারনে এসেছিলাম।
মেঘ: তোমাকে এখনি বাসায় নিয়ে যাবো। হসপিটালে থাকলে ভালো মানুষও অসুস্থ
হয়ে যাবে। বলেই মেঘ মেরিনকে কোলে তুলে নিলো।
মেরিন: ভাইয়া আমার কথাটা একটু…
মেঘ: কোনো কথানা।
মেঘ মেরিনকে কোনো কথা না বলতে দিলোনা। মেরিনও আর পরে টিটুর কথা মেঘ কে বলল না। কারন মেরিন জানে মেঘ ওর জন্য খুনও করতে পারে।

.

৭দিনপর….
এই ৭দিন মেঘ মেরিনকে ভার্সিটিতে যেতে দেয়নি। মেয়ের অসুস্থতার কথা শুনে কবির কনিকাও চলে এসেছে। আর রোজ রাতে তো নীড় এসে দেখে গেছেই। অনেক যুদ্ধ বিগ্রহ করে মেরিন একা একাই ভার্সিটিতে যাচ্ছে। পথের মধ্যে দেখলো ১টা ছেলে
৮-১০জন লোকের সাথে মারামারি করছে।
মেরিন: বাহ,,, ভালোই তো ফাইট করে….
তখন দেখলো ছেলেটাকে পেছন থেকে ১জন আঘাত করতে আসছে।
মেরিন: এই যে হিরো বাবু পিছে দেখুন… আস…
এমা এ দেখি আমার dark chocolate … এত্তো বড় সাহুস আমার dark chocolate কে….
মেরিন লাফ দিয়ে গাড়ি থেকে নেমে পেছন থেকে হামলা করতে এসেছে তাকে পিটাতে লাগলো। নীড় পিছে ঘুরে মেরিনকে মারামারি করতে দেখে অবাক। আসলে টিটুর সাঙ্গুমাঙ্গুরাই নীড়ের ওপর attack করেছে। নীড়কে অবাক চোখে তাকিয়ে থাকতে দেখে মেরিন
বলল: হা করে আছেন কেন? মুখ মশা যাবে…. এএ… বাচুন….
২জনে মিলে ওদেরকে মেরে ভাগিয়ে পুলিশে দিলো।

.

নীড়:…
মেরিন: hello … আপনি এমন করে তাকিয়ে আছেন কেন?
নীড়: তুমি ক্যারাটে!!!
মেরিন: ক্যারাটি কি আপনার দাদুর সম্পত্তি যে এমন react করছেন মিস্টার da… strawberry ক্ষীর? একটু আধটু হাত পা চালাতে তো আমরাও পারি….
নীড়: এটা একটু আধটু হাত-পা চালানো ছিলো??।
মেরিন: ওদের কপাল ভালো যে কম পিটানি খেয়েছে। সেদিন কেবল মাথা ব্যাথা আর weaknessএর জন্য গিট্টু (টিটু) বেচে গেছে। ok bye… varsity তে দেখা হবে। একটু কাজ আছে।
মেরিন চলে গেলো। আসলে মেরিন ফুলের তোরা কিনতে গেলো। নীড়কে thank u বলার জন্য। মেরিন যে চলে গেলো এতে নীড়ের খেয়ালই নেই। কারন ও মেরিনের মারামারি দেখে মহাঅবাক। ও যে জিজ্ঞেস করবে যে মেরিন কেমন আছে তাও হলোনা।
even মেরিনকে যে লাল জামায় cute লাগছিলো তাও খেয়াল করেনি।

.

ভার্সিটিতে…
মেরিন একগুচ্ছো লাল গোলাপ নিয়ে গেলো। নীড়কে thank u বলতে…
রুবেল: কে propose করলো শুনি?
মেরিন: তোমাকে কেন বলবো মিস্টার kidnapper…
রুবেল : এখনো kidnapper ই ডাকবে।
মেরিন: হ্যা। সমস্যা?
রুবেল: না…
মেরিন:হামম
রুবেল: মেরিন ….
মেরিন: what?
রুবেল: তুমি এই ফুল গুলোর থেকেও বেশি সুন্দর। perfect & most beautiful red rose…
মেরিন: তাতে আমার বাপের কি?? ।
বলেই মেরিন চলে গেলো। ফুল নিয়ে লাফাতে লাফাতে যাচ্ছে মেরিন । ধাক্কা
লাগলো ইয়ার সাথে ।
মেরিন়: দেখে চলতে পারিস না শালা? এক্ষনি ফুলগুলো পরে যেতো।
ইয়া: শালি…. ফুল কোথায় পেলি?
মেরিন: চুরি করেছি।
ইয়া: ?।
মেরিন: তোর strawberry ক্ষীর কোথায়?
ইয়া: প্রথমত he is নীড়। আর দ্বিতীয়ত সে আমার না….
মেরিন: ওই একই হলো। এখন চল আমার সাথে।
মেরিন ইয়াকে গরুর মতো টানতে টানতে নিয়ে যাচ্ছে।
ইয়া: এই কি রে ওখানে যাচ্ছিস কেন? ওখানে তো নীড় ভাইয়ারা আড্ডা দেয়।
মেরিন: তাইজন্য তো যাচ্ছি।
ইয়া: তোর কি মনে হচ্ছেনা যে বিপদ তোর দিকে না বরং তুই বিপদের দিকে যাচ্ছিস।
মেরিন: shut up….
মেরিন-ইয়া ইমানদের ওখানে গেলো।

.

ইমান: আরে আপুমনি…. ত…
আর বলতে পারলোনা ইয়াতে চোখ আটকে গেলো।
মেরিন: ভালো। আচ্ছা strawberry ক্ষীর কোথায়?
আকাশ : কেন কেন? কি করবে??।
মেরিন: বিয়ে অথবা খুন।
আকাশ : ?।
মেরিন: ইমান ভাইয়া….
ইমান:…..
মেরিন: ইমান ভাইয়া…??।
সবাই:?।
ইমান: হ্যা আপুই…..
মেরিন: strawberry ক্ষীর কোথায়?
ইমান: ও তো এখ…. ওই তো আসছে….
মেরিন পিছে ঘুরলো। ঘুরে নীড়কে দেখে আরেক দফা crush খেলো। মারামারি করে dress নোংরা হয়েছে বলে নীড় আবার change করে এসেছে। লাল রঙের ১টা জ্যাকেট পরেছে। ভেতরে কালো t-shirt… হাতা ফোল্ড করে রাখা। as usual matching color এর বেল্ডের ঘড়ি। কালো জিন্স। চুল গুলো হালকা স্পাইক করা। কয়েকটা চুল কপালে এলোমেলো ভাবে ছরিয়ে আছে।ওরও ১হাতে ১গুচ্ছ গোলাপ। অন্য হাত দিয়ে style মেরে চুল ঠিক করতে করতে হাসতে হাসতে ভেতরে ঢুকছে। গাড়ি ছারাই আজ এসেছে। নীড় হাসলে বা দিকের ১টা দাঁত হালকা বের হয়। যার জন্য নীড়ের হাসিটা আরো সুন্দর লাগে। সেই সাথে ডানগালে টোল পরে। যে কেউই পাগল হবে। হাসতে হাসতে নীড় ঠোটের কোনা একটু কামড়ে ধরলো । নীড়ের মতো কোনো ছেলের ঠোট এতো লাল হয় কি না তা মেরিন জানেনা। মেরিন মনে হচ্ছে বেহুশ হয়ে যাবে। মেরিন ড্যাব ড্যাব করে নীড়কে দেখছে। কিন্তু কিছুক্ষনের মধ্যেই ১টা মেয়ের সামনে গিয়ে হাটু গেরে বসে ১হাত দিয়ে কান ধরে অন্যহাতে ফুল এগিয়ে দিলো। যা দেখে মেরিনের মাথায় বাজ পরলো।
মেরিন মনে মনে: এই ফকিন্নি মার্কা কাঠালটা কে? সাহস কি করে হয় আমার dark chocolate এর হাত থেকে ফুল নেয়ার। ?।

আসলে মেয়েটা নীড়ের খালাতো বোন। সেই সাথে ওর মামাতো ভাইয়ের বউও। ওর থেকে বড়। ভাবী-বোন তাই সম্পর্কটা একটু মজার। মেয়েটার নাম হেনা। নীড় হেনার হাত ধরে হাটতে হাটতে এগিয়ে এলো। মেরিনের হাতে ফুলের তোরা দেখে অনেক অবাক হলো।
নীড় মনে মনে: কাহিনি কি আমার বউর হাতে ফুল দিলো কোন শালা?
নীড়: এইযে পিচ….
মেরিন: thank u মিস্টার strawberry ক্ষীর। সেদিনের জন্য।
নীড়: guys আমি কি ভুল শুনছি। কেউ আমাকে thanks বলছে।
মেরিন: জীনা strawberry ক্ষীর ভাইয়া। ঠিকই শুনছেন। অনেক অনেক ধন্যবাদ। আসছি। bye…. চল ইয়া…
মেরিন ইয়াকে নিয়ে চলে যেতে নেয়।
নীড়: এইযে মো… মেরিন… ফুলগুলো তো দিয়ে যাও।
মেরিন: আমার ফুল আমি আপনাকে দিবো কেন? ভাব … huh…
মনে মনে: এনেছিলাম তোরই জন্য শালি চিড়িয়াখানার পেতনি । কিন্তু দেবোনা। huh…
মেরিন ইয়াকে নিয়ে চলে গেলো।
নীড় মনে মনে: কিছু তো ১টা হয়েছে….

.

পরদিন ….
বিকালে….
মেরিন ওর সোনা মনা কে নিয়ে হাটতে বেরিয়েছে। সোনা মনা মেরিনের pet… তাও ২টা কাঠবিড়ালী। ওদের গলায় চিকন dog chain লাগিয়ে মেরিন হাটতে বেরিয়েছে। ১টা পার্কে গেলো। অনেকে মেরিনের কাহিনি দেখে হাসছে। হাসুক। এতে মেরিনের বাপের কি? কাঠবিড়ালী ২টা মেরিনের সাথে অনেকদিন ধরে আছে। ভীষন closeওর সাথে। নীড়ও ওখানে জগিং করতে এসেছে। তখন দেখলো ওর “মোহ”। কালো রঙের লং skirt পরা লাল রঙের লেডিস শার্টোর সাথে। গলায় গোলাপী রঙের স্কার্ফ পেচানো। মাথায় গোলাপী রঙের ১টা cute ribbon বাধা। প্রজাপতি shape এ।
নীড়: এটা কি আমার মোহ নাকি ১টা চাইনিজ বাচ্চা। ?। আরে আরে এ আবার do… no no এতো দেখি… হাহাহাহাহাহা… omg…

.

মেরিন: বাসনা…. ?… এটাতো আমার dark chocolate এর বাসনা… বাসনা i love u রাসনা… কোথায়?
মেরিন নীড়ের শরীরের ঘ্রাণ অনুসরন করে হাটতে লাগলো। সামনে দেখে নীড়। কিন্তু নীড় হাসতে হাসতে গরাগরি খাচ্ছে। দেখতে ভীষন সুন্দর লাগছে। আরো ১বার crush খেলো। কালো রঙের জগিং স্যুট পরা সিল্কি চুলগুলো একটু অগোছালো।
মেরিন মনে মনে: একই লোকের ওপর আর কতো crush খাবো… ? ।
নীড় দেখে মেরিন ১ভ্রু উচু করে ওর দিকে তাকিয়ে আছে।
নীড়: good afternoon পিচ্চি।
মেরিন: good afternoon … uncle …
নীড়: তোমার pet dog ২টা ভীষন সুন্দর।
মেরিন: আপনি তাহলে actually কানী?
নীড় : কানা হবে।
মেরিন: তাতে আমার বাপের কি? আর এই ২টা হলো কাঠবিড়ালী। সোনা আর মনা।
নীড়: nice name… আচ্ছা শোনো।
মেরিন: কি?
নীড়: খুব জরুরী কথা।
মেরিন: কি?
নীড়: i
need your help…
মেরিন:???।
নীড়: এমন react করার কিছু নেই। ইমান ইয়া কে ভালোবাসে। কিন্তু বলতে সাহস পাচ্ছেনা। যদি ইয়া অন্যকাউকে ভালোবাসে। আর ওকে accept না করে….
মেরিন: আমি কি করতে পারি?
নীড়: ইয়া কি কাউকে ভালোবাসে ?
মেরিন: হামম।
নীড়: what?? damn it… ইমান…
মেরিন : শুনবেন না কাকে ভালোবাসে?
নীড়: শুনে আর কি হবে?
মেরিন: অনেক কিছুই হতে পারে।
নীড়: মানে?
মেরিন: খুব সহজ। ইয়া ইমান ভাইয়াকেই ভালোবাসে।
নীড়: really … thats great… তাহলে তো ভালোই হলো। তাহলে খুব শীঘ্রই proposal program arrange করতে হবে।
মেরিন: কোন দুঃখে?
নীড়: দুঃখে না। সুখে। ২জন lover কে মিলিয়ে দিবো।
মেরিন: জী না। ইমান ভাইয়া যে ইয়া কে ভালোবাসে তার কি গ্যারান্টি আছে? ভালোলাগাও তো হতে পারে। পরে আমার নাজুক ইয়ার কোমল মন ভেঙে গেলে আমি বিয়ে করবো কিভাবে!!!
নীড়: ১মিনিট ১মিনিট… এর সাথে তোমার বিয়ে সম্পর্ক কি?
মেরিন: অনেক বড়। কারন আমি ঠিক করেছি যে ইয়ার বিয়ের পর আমি বিয়ে করবো। ওর বরের হার মাস জালিয়ে তারপর আমি বিয়ে করবো। ও আমার ১৩দিনের বড়। আর যেহেতু আমার কোন বোন নেই তাই ওই আমার বড় বইনা। আ….
নীড়: stop…. তোমার এই ঢেড়শ মার্কা মাথাতেই এমন ঢেড়শ মার্কা চিন্তাই আসতে পারে।
মেরিন: huh… bye…
নীড়: আমি যেতে বলেছি?
মেরিন: আপনার কথা আমি শুনবো কেন? সরেন আমি যাবো। মেরিন যেতে নিলে
নীড় হাত টেনে কাছে আনলো।
নীড়: যাও….
মেরিন চেষ্টা করেও পারলোনা।
নীড়: শক্তি প্রদর্শন শেষ?
মেরিন:?।
নীড়: ইমান আমার জান আর ইয়া ইমানের জান…. তাই ইয়া-ইমানেরই হবে। বুঝেছো….
মেরিন: ?।
ইমান ভাইয়ার ভালোবাসার প্রমান তো দিবেন। না কি?
নীড়: প্রথমত ভালোবাসার প্রমান হয়না। আর যদি হয়ও তবুও তোমার মতো পিচ্চিকে দেয়া আর না দেয়া সমান ।
মেরিন:আমি মোটেও পিচ্চি না। 18… no no 18+…
নীড়: খুব ভালো। কালকে ইয়াকে নিয়ে ভার্সিটির back side এ চলে আসবে।
মেরিন: পারবোনা….
নীড়: যদি নিজের দাঁত অক্ষত রাখতে চাও তবে আনবে ।
মেরিন: ?।
নীড়: যদি ঝামেলা পাকাও….
বলেই নীড় মেরিনের সোনা-মনা কে নিয়ে নিলো।
মেরিন: সোনা মনা।
নীড়: ওদেরকে পাবেনা…. বুঝেছো?
মেরিন: এ্যা..হ্যা..হ্যা.. ও ক্ষীর ও ক্ষীর… ও strawberry ক্ষীর… আমার সোনা মনাকে দিয়ে দিননা।
নীড়: stop…
মেরিন: উহু…. আমার সোনা মনা…?.
নীড়: shut up… কালই ওদের পেয়ে যাবে।
মেরিন: আমি রাতে ঘুমাবো কিভাবে????।
নীড়: তুমিই জানো। আর হ্যা শোনো কালকে ইয়াকে শাড়ি পরে আসতে বলবে। নীল রঙের। with matching অর্নামেন্ট। আর তুমি ভুলেও প্যাকেট হয়ে আসবেনা। সাদা রঙের গাউন পরে আসবে।
মেরিন: এ্যা কেন?
নীড়:কারন ওভাবেই তোমাকে দেখা হয়নি… ( বিরবির করে)
মেরিন: কি?
নীড়: কিছুনা। গরম পোশাক পরবানা।
মেরিন: পারবোনা। এতো শী…
নীড়: সোনা মনাকে চাও?
মেরিন মাথা নারিয়ে হ্যা বলল।
নীড়: good মেয়ে। আর হ্যা যদি ইয়ার মাথা নষ্ট করো তবে… mind it…
নীড় চলে গেলো। সোনা মনা কে নিয়ে। মেরিন নীড়কে হাজারটা বকা দিলো।

.

পরদিন…
ইয়া: তুই আমাকে আজকে এভাবে নিয়ে এলি কেন? ?।
মেরিন:আমার বিয়ে লেগেছে তাই।
ইয়া: তোর বিয়ে ভালো কথা। but আমাকে শাড়ি পরালি কেন?
মেরিন: কেন আমার বিয়েতে কি তুই swimming costume পরবি নাকি? ?।
ইয়ার মেজাজ খারাপ হয়ে যাচ্ছে।
ইয়া: তাহলে তুই গাউন পরলি কেন? ?।
মেরিন: কারন আমি ডিজিটাল বউ। এখন সাপের মতো পাকপাক না করে চুপ থাক। আর চল।
ইয়া: প্রবাদ no no not প্রবাদ । সেটা তো বহুদূর। তুলনাটা তো ঠিক ঠাক দে।
মেরিন ১জনের হাত থেকে ব্যাট নিয়ে
বলল: আরেকটা আজিরা প্যাচাল পারলে তোর পিটাবো।
ইয়া জানে মেরিন রেগে গেলে সব করতে পারে। তাই থামলো। আর আগে ভাগেই হাতটা লুকিয়ে রেখেছে। যেন মেরিন কামড়াতে না পারে।

.

ওরা ভার্সিটির back sideএ গেল। আর গিয়ে:?
কারন ওখানে খুব সুন্দর করে সাজানো। আর সবকিছুই নীল… আসলে ইয়ার প্রিয় রং নীল। আর decoration ও ইয়ার পছন্দের।
মেরিন: awwwe ki cute… এটাতো পুরাই flake chocolate …. yummy yummy…
ইয়া ১বস্তা বিরক্তি নিয়ে
বলল: সবকিছুকেই chocolate এর সাথে তুলনা কেন করিসরে? আর এখানে কেন এলাম আমরা?
মেরিন: আমার সোনা মনার জন্য…
ইয়া: কি?
মেরিন: কিছুনা। আগে বার….
ইয়া সামনে আর মেরিন পিছে। কেউ পেছন থেকে এসে মেরিনের মুখ চেপে ধরে উচু করে আড়ালে নিয়ে গেল। আর সে হলো নীড়। আড়ালে নিয়ে মেরিনকে নিজের দিকে ঘোরালো।
আর নীড়কে দেখে মেরিন ২টা ঝটকা খেলো। কারন নীড় ওর মুখ চেপে ধরেছে। আর তার থেকেও বড় ঝটকা খেলো নীড়ের get up দেখে। কারন আজকে নীড়কে একেবারে মেরিনের স্বপ্নের prince charming লাগছে। সব সাদা পরেছে নীড়। মেরিন চোখ ২টা রসোগোল্লার মতো করে নীড়কে দেখছে।
নীড়ও মেরিনকে দেখে ঝটকা খেয়েছে। কারন মেরিনকে আজকে পুরাই পুতুল লাগছে।
নীড়: আমি তোমার মুখ ছারতে পারি কিন্তু তুমি চিল্লাবেনা got it…
নীড়ের কথায় মেরিনের হুশ ফিরলো। আর মাথা নেরে না বলল। মানে ও বোঝেনি।
নীড়: তুমি চিল্লাবে? ?
মেরিন মাথা নেরে হ্যা বলল।
নীড়: থাপ্পর খেয়েছো কখনো?
মেরিন না করলো।
নীড়: খেতে চাও?
মেরিন না করলো।
নীড়: মুখ ছারলে চিল্লাবে?
মেরিন না করলো।
নীড়: good… তোমার মুখ ছারবো। চিল্লানো তো দূরের কথা কোনো sound ই করবেনা। বুঝেছো?
মেরিন মাথা নারলো।
মেরিনের মুখ ছেরে নীড় ওকে সামনে ঘুরিয়ে দিলো। কারন নীড় ভালোমতোই জানে মেরিনকে ওর স্বপ্ন পরীর মতো লাগছে। আর ওকে দেখলে এখন দেখতেই থাকবে।
মেরিন ভয়ে চুপ রইলো।

.

ওদিকে…
ইয়া পিছে ঘুরে দেখে মেরিন নেই।
ইয়া: আরে জানু কোথায় গেল? রাগ করলো না তো?
তখন ও সামনে তাকিয়ে দেখলো ইমান হেটে আসছে। নীল রঙের পাঞ্জাবি। সাদা চুরিদার। চুলগুলো স্পাইক করা। খুব সুন্দর লাগছে। ২হাত পিছে রেখে এগিয়ে আসছে। ইয়া তো বড় সরো crush খেলো। ইমান এসে ইয়ার সামনে হাটু গেরে বসলো। আর নীল অর্কিড ফুল দিয়ে বানানো তোরাটা এগিয়ে দিলো।
ইমান: তুমি কি তোমার মনে একটুখানি জায়গা দিবে? কথা দিচ্ছি খুব বেশি জায়গা নেবোনা। কিন্তু একটু হলেও তোমার হৃদয়ে থাকতে চাই। অনেক বেশি ভালোবাসি। আরো বেশি ভালোবাসতে চাই। তুমি কি আমাকে ভালোবাসবে? তুমি কি ইমানের ইয়া হবে?
ইয়া আর কি বলবে? ওর চোখে তো খুশিতে পানি চলে এলো।
ইমান: তততুমি কাদছো কেন? hurt করলাম বুঝি? i am sorry… আগে যদি জানতাম যে তুমি এতোটা hurt হবে তাহলে বলতাম না। sorry…..
ইমান উঠে গেলো। আর বন্ধুরা সব কপাল চাপরাতে লাগলো।
আকাশ : নীড় …
নীড়: বল…
আকাশ : আমার doubt হচ্ছে।
রাব্বি: কি সে?
আকাশ : ওই শালা ইমান মানুষ তো।
নীড়: shut up…
মেরিন: আচ্ছা ছাগলটা কাদছে কেন? দারান আমি জিজ্ঞেস করে আসি।
নীড়: ১টা থাপ্পর মারবো।
ইমান চলে যাচ্ছে। ইয়ার মনটা কচকচ করছে। আর কিছু না ভেবে জোরে বলে
উঠলো: ভালোবাসি….
ইমান দারিয়ে গেলো।
ইয়া: ভীষন ভালোবাসি। হবো আমি ইমানের ইয়া…
ইমান ইয়ার দিকে ঘুরলো। দৌড়ে গিয়ে ইয়াকে জরিয়ে ধরলো।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে