Monday, October 6, 2025







বাড়ি"ধারাবাহিক গল্প"বড় বেশি ভালোবাসি Part-02

বড় বেশি ভালোবাসি Part-02

বড়_বেশি_ভালোবাসি
part : 2
writer : Mohona

.

২মিনিট পরই নীড় বুঝতে পারলো যে ওর বুকটা ভারী হয়ে গেলো। সেই সাথে মনে হলো ও ভিজেও যাচ্ছে। সাথে সাথে চোখ মেলল। দেখলো মেরিন ওর বুকের ওপর শুয়ে আছে। নীড় ধাক্কা দিয়ে মেরিনকে সরালো।
নীড়: তোমার সাহস কি করে হলো আমার বুকের ওপর not just বুক আমার কলিজার ওপর ওঠার?
মেরিন: আমার সাহস সম্পর্কে আপনি খুব ভালোমতোই জানেন।
নীড়: ?। এই মুহুর্তে চোখের সামনে থেকে সরো। অসভ্য মেয়ে। আমার bedটা ভিজিয়ে দিলে।
মেরিন: হাজার বার ভেজাবো। officially & legally এটা আমারও bed… so আমি জাহান্নাম করতে পারি। সেটা আপনার জানার দরকার mr. brilliant থুরি liar i mean lawyer চৌধুরী।?।
নীড়: আচ্ছা তুমি change করছো না কেন বলবা? নাকি ভেজা শরীর দেখানোর শখ হয়েছে?
মেরিন: কিনো কিনো!!! আমাকে এভাবে দেখে কি আপনার মন টা উড়ু উড়ু করছে…?।

.

নীড়: ১টা থাপ্পর দিবো। যাও গিয়ে change করে আসো।
মেরিন : পারলে কি করতাম না….
নীড়: কেন change টাও করতে পারোনা????। না কি সেটাও আমাকে করাতে বলবে…
মেরিন: না change তো করতে পারি but এই গহনাগুলো…
নীড়: গহনা গুলো কি?
মেরিন: সেগুলোও তো খুলতে হবে।
নীড়: তো খোলো।?।
মেরিন: তো খোলো..?… আপনাদের family এর নাকি এই গহনা খোলা নিয়ে কি না কি tredition আছে। husband দের নাকি এই jewelry খুলতে হয়…?।।
নীড়: তো তোমার কি মনে হয় আমি তোমাকে touch করবো? &&& তোমার stupid jewelry গুলোও খুলে দিবো?
মেরিন: বলেছি?
নীড়: তো এতো আজিরা ভালোগিরির মানে কি?
মেরিন মনে মনে: ওরে নষ্ট মুরগীর ডিম আমি কি সাধে সব মানছি নাকি? আমার ভাইয়াই তো বলেছে যে যদি good বউমা হতে পারি তো pink color এর teddy bear shape BMW car দিবে আর ১টা real বাঘ নিয়ে আসবে আমার খেলার জন্য। তা না হলে কি এই tredition মানতাম নাকি??। আর তাছারাও আপনার দীদা… i think আমারও দীদা… সেও কতো করে বলল যেন ভুলেও আমি jewelry না খুলি। তাহলে নাকি আপনার অমঙ্গল হবে…
নীড় মেরিনের চোখের সামনে তুরি বাজালো।
নীড়: এই যে hello মিসেস এখন কি চোখ খুলেও ঘুমানোর অভ্যাস হয়ে গেছে নাকি?
মেরিন: আপনি কি কখনোই আস্তে কথা বলতে পারেননা? গরু।
নীড়: shut up… go & change ….
নীড়ের ঝাড়ি খেয়ে মেরিন change করতে গেলো।

.

washroom…
কতোক্ষন ব্লাউজের হুক নিয়ে গুতাগুতি করার পর…

মেরিন:?। ধুর হাত পেছনে যায়না। হুক কিভাবে খুলবো… আম্মুরে…

???
ওরে bmw…. রে.
তুই তো আসবি ঠিকই রে…
কিন্তু আমার কলিজা ফাটাইয়া…
আমাকে গহনার সমুদ্রে ডুবাইয়া….
আর ওই বুইড়া ব্যাডার অত্যাচার সহ্য করাইয়া…
???…
নীড়: এই যে শিল্পি শাকিরা না রুনা লায়লা গান গাওয়া বন্ধ করো…
মেরিন নীড়ের দিকে ঘুরলো । আর ঘুরে ২জনই অপ্রস্তুত হয়ে গেলো। কারন মেরিন লেহেঙ্গাটার ওরানাটা অনেক কষ্টে খুলিয়েছে। তারাতারি আবার উল্টা দিকে ঘুরে গেলো। নীড় গিয়ে মেরিনের সামনে দারালো।
নীড়: এতো ভাব ধরার কিছু নেই । এমন তো আর না যে তোমাকে এভাবে প্রথম দেখলাম… ?।
মেরিন: ইদুর বাদুর ছারপোকা, পাগলের মাথা , ছাগলের …
নীড়: stop….
বলেই নীড় ১হাত দিয়ে মেরিনের কোমড় টেনে নিজের বুকের সাথে মিশিয়ে নিলো। এরপর অন্য হাত দিয়ে ব্লাউজের হুক গুলো ১টানে খুলে দিলো। দিয়ে আর ১মিনিটও দেরি না করে বেরিয়ে গেলো। কারন ও ভালোমতোই জানে যে যদি এখানে থাকে তো ওর হাত আবার মেরিনের খাবার হবে….

.

একটুপর…
মেরিন শাড়ি পরে বের হলো। নীড় আড়চোখে দেখলো।
নীড় মনে মনে: যাক at least ঠিক মতো শাড়িটা পরতে শিখেছে…
মেরিন: not just at least… আমি ভালো, actually not just ভালো , দারুন ভাবে শাড়ি পরতে পারি….
বলতে না বলতেই খপ করে মেরিনের শাড়ি খুলে গেলো। তা দেখে নীড় হাহা করে হাসা ধরলো।
নীড়: আসলেই ফাটাফাটি ভাবে শাড়ি পরো। আগামী ১০জনমেও পারবেনা।
মেরিন তারাতারি নিজেকে ঢেকে নিলো।
মেরিন: পারলে ১বার jewelry গুলো সরিয়ে দেখান। শাড়ি পরে দেখিয়ে দিবো। www champion রাও টেনে খুলতে পারবেনা। ??।
এটা শুনে নীড় আরো জোরে হাসতে লাগলো।
মেরিন মনে মনে: শালি, চিরিয়াখানার পেতনি সব কয়টা হাসি একবারে হাসছে। ইচ্ছা করছে এলাচির হালুয়া, করল্লার পায়েস , চিরতার কেক বানিয়ে এর মুখে ঢুকাতে পারতাম। huh….
নীড়: আচ্ছা তোমার সব jewelry খুলে দিচ্ছি। এরপর তুমি শাড়ি পরো। কোনো champion লাগবেনা… যদি আমার টানেই তোমার শাড়ি খোলে তো তোমার ওই special এলাচির হালুয়া, করল্লার পায়েস, চিরতার কেক তোমাকেই খাওয়াবো।
মেরিন: শুনলেন কিভাবে!!!
নীড়: তুমি আমার মনের ভেতর কথা শুনবে আর আমি বুঝি ছেরে দিবো???
মেরিন:? ।

.

তখন নীড় সোফায় বসে ১টানে মেরিনকে কোলে বসালো।
মেরিন ছুটতে চাইলে নীড়
বলল: এটা কখনো পারবে?
মেরিন আর নরলোনা। নীড় কোনো ঝামেলা ছারা একে একে সব গহনা খুলে দিলো। কিন্তু…
গলার ১টা ছোট হার খুলতে গিয়ে লাগলো ঝামেলা । কারন মেরিনের গলার just নিচে ১টা কালো মিচমিচে তিল আছে মেরিনের। এটা নীড়ের দুর্বলতা। নীড়ের সবসময়ের ইচ্ছা ছিলো তিলটা ধরার। কিন্তু পারেনি। অধিকার ছিলোনা এই তিলটা ছুয়ে দেয়ার। কিন্তু নিজেকে বারবার আটকে নিয়েছে।
নীড় ১ ধ্যানে তাকিয়ে আছে। আরো তাকিয়ে থাকলে অনেক কিছু হয়ে যেতে পারে বলে নীড় ওটা ignore করতে নিলো। কিন্তু পারলোনা। হাত দিয়ে ছুয়ে দিলো। মেরিন ৪৪০ভোল্টের ঝটকা খেলো। আর সেই লেভেলের কেপে উঠলো। নীড় মুচকি হেসে তিলটাতে ১টা kiss করলো।
আর কি লাগে নীড়ের হাত এমনভাবে খামছে ধরলো যে নীড়ের হাত থেকে রক্ত বের হবার উপক্রম। সেই সাথে মেরিন ঘাড় কাত করলো যার জন্য ওর কানের দুল দিয়ে নীড় ব্যাথা পেলো। আর নীড়ের হুশ ফিরলো। নীড় নিজেকে সামলে তিলটাকে ignore করে ডান কানের দুলটা খুলতে গেলো। কিন্তু সেখানে ঘটলো আরেক বিপত্তি। কারন মেরিনের ডানগালের মাঝ বরাবর কানের আধা ইঞ্চি সামনে আরেকটা কালো তিল আছে। যেটা একটু বড়। হাত দিয়ে ছোয়া যায়। যেটাকে চাইলেও নীড় ignore করতে পারবে না। কখনো পারেনি আর ভবিষৎেও পারবেনা। কারন এটা ওর নেশা। একমাত্র নেশা। তাই বরাবরের মতোই বৃদ্ধা আঙ্গুল দিয়ে ছুয়ে দিলো। নীড় তিলটাকে ছুতেই মেরিন নীড়ের অন্যহাত খামছে ধরলো। নীড় ধীরে ধীরে মুখটা মেরিনের তিলটার সামনে নিলো। এরপর একের পর এক ভালোবাসার পরশ দিতে লাগলো।

.

মেরিন ভালোমতোই জানে নীড়ের মন না ভরা পর্যন্ত নীড় এই তিলটাকে এভাবেই kiss করতে থাকবে। বোমা ফাটলেও নীড় এখন ওকে ছারবেনা। কারন নীড় দুনিয়াদারী ভুলে মেরিনের তিলটাকে ধরেছে। ঘন্টা ২ ঘন্টা গেলেও নীড়ের হুশ হবেনা। আর উঠতেও হয়তো পারবেনা। মেরিনেরও অন্যরকম ভালোলাগা কাজ করছে। কিন্তু মনে জমে আছে হাজারো অভিমান। সেই সাথে নীড় অন্যকাউকে ভালোওবাসে। আর মেরিন কারো জীবনের ২য় মেয়ে হতে চায়না। তাই নিজেকে সরানোর চেষ্টা করলো। তখন মেরিন দেখলো আজকে নীড় ওর হাত আটকে ধরতে ভুলে গেছে। তারমানে ও আরামসে উঠে যেতে পারে। কেন যেন ওর উঠতে ইচ্ছা করছেনা। তবুও নীড়ের পেটে গুতো দিয়ে মেরিন উঠে গেলো।

.

নীড় বেসামাল থেকে normal হলো। দেখলো মেরিন বাকা চোখে তাকিয়ে আছে। মেরিন ১টা ভেংচি কেটে গিয়ে শুয়ে পরলো।
নীড়: আরে আরে এটা কি করছো? আমার bedএ ঘুমাচ্ছো কেন….
মেরিনতো ঘুমিয়েও পরেছে।
নীড়: ওই ওঠো…
নীড় ঠুস করে মেরিনের মাথার নিচ থেকে বালিশ নিয়ে নিলো। এতে মেরিনের ঘুমের ব্যাঘাত হলোনা। নীড়ও আর issue করলোনা। কারন ও নিজেই আজকে tired .. আর মেরিনও tired … তারমধ্যে ঘুমে ধরেছে। এর মধ্যে মেরিনকে disturbe করলে নীড় সহ বাড়ির সকলের কপালে দুঃখ আছে। কি ধরনের দুঃখ তা বুঝতে পারবেন ধীরে ধীরে।
নীড়: কিন্তু আমি ঘুমাবো কোথায়? এখন এরপাশেই শুয়ে পরি।
নীড় মেরিনের পাশে শুয়ে পরলো।
নীড়:এই রাত নিয়ে অনেক স্বপ্নছিলাম মেরিন… সে স্বপ্ন….
কি অবাক করা বিষয় না বলো… এতো বছর তোমাকে না দেখে ঘুম হয়নি। আর আজ তুমি পাশে তবুও ঘুমাতে পারছিনা…
চোখের আবদারে…
বলেই নীড় লম্বা নিঃশ্বাস ছারলো।

নীড়: wai wait…. এটা আগে কেন ভাবিনি।
নীড় ১টানে মেরিনকে বুকে নিলো।
নীড়: এখন তো তুমি আমারই… রোজই দেখতে পারবো।
বলেই মেরিনের কপালে ১টা চুমু দিয়ে ঘুমিয়ে পরলো।

.

সকাল হতে হতে ৫বছর আগের সেই সুবিশাল অতীত থেকে ঘুরে আসি চলো। ?

.

[
৫বছর আগে….
london এ….
in university …
যেখানে নীড় আর ওর friendরা পড়তো।
আকাশ : নীড়ু
dearling তুমি কিয়ারাকে সহ্য করতে পারোনা কেন?
ইমান: বেচে থাকতে চাইলে চুপ থাক।
রাব্বি: নীড় আর প্রেম থুরি কিয়ারা just impossible ….
নীড়: তোরা আমার love life নিয়ে পরেছিস কেন বলবি?
আকাশ : শুধু তোর না। তোর আর ইমানের। কারন তোরা ২টা ছারা আমরা সবাই মিঙ্গেল।
সূর্য: ইমান তো তাও ইয়াকে ২মাস ধরে দেখছে। আর মনে মনে স্বপ্ন বুনছে। কিন্তু নীড়ের চোখে তো কেউ লাগেইনা।
নীড়: আচ্ছা বাদ দে focus on the game….
ইমান: ok…. এবার আমি ঘোরাবো ।
ইমান বোতল ঘোরালো। নীড়ের দিকে থামলো।
সূর্য: ওহ মেঘ না চাইতেই বৃষ্টি। মামমা truth or dare???…
নীড়: তোদের কাছে আর truth কি? তোরা সবই জানিস। dare….
নীড় dare বলতেই আকাশ উরাধুরা নাচ দিতে লাগলো।
ইমান: এই কি রে তোর কি হলো?
আকাশ : আমার শাহরুখ খানের om shanti om ছবির সেই সেই কায়নাত কায়নাত dialogue মারতে মন চাইছে। যাই হোক নীড়কে dare আমি দিবো।
সবাই: ok…
আকাশ : চল চল varsity এর gate এর সামনে চল।
নীড়: কেন??।
আকাশ : আরে চলনা।

.

৫জন গেলো। রাব্বি এখন তো বল।
আকাশ : নীড়ু বেবি… ওই gate দিয়ে যে মেয়ে লাল রঙের dress পরে আসবে সেই মেয়ের সামনে তুই হাটু গেরে ২লাইন গান গাইবি। like ম্যা হু না movie … আর গানটাও সেটাই গাইবি।
” চান্দ মেরা….
নীড়: shut up… তুই কি পাগল? মেয়েদের মতো এতো হিন্দি ছবি দেখা বন্ধ কর।….
আকাশ :??।
নীড়: is it any dare??
ইমান: দেখ ভাই dare তো dare ই….
নীড়: তুইও…?।
ইমান: হামমম।?।
কারন এটা শুনতেই বেশ মজাদার লাগছে। আর যদি ম্যা হু না ছবির মতো কোনো new madam ভাগ্যে পরে তাহলে তো ??।
নীড়: আমিও দেখে নেবো তোদের শালারা।

আকাশ : পরে দেখে নিও কাককা… এখন যাও…. হাটু গেরে বসো।
নীড় গেলো।
রাব্বি: যদি ছবির মতো এখানেও কোনো mam আসে?

.

তখন ওখানে ১টা chocolate color BMW car gate দিয়ে ভেতরে ঢুকলো। তাতে বসে আছে ১টা মেয়ে। লাল শাড়ি পরা। সূর্যের আলো ঠিক মেয়েটার ওপরে পরেছে। অস্বাভাবিক সুন্দর লাগছে। একদম সূর্যের মতো। গাড়ি park করে হেটে আসছে।নিজস্ব ১টা attitude নিয়ে হেটে আসছে ।
ইমান: oh no… আমাদেরও না ১টা mam আসার কথা আজকে।
রাব্বি:new!!! ? oh no… এটাই তো … new mam…
আকাশ : ম্যাম শাড়ি পরে আসবে কেন?
ইমান: idiot…. বাঙালি ….
আকাশ : ও মোর আল্লাহ এখন? but আমি তো ক্রাশিতো। তুই sure তো…
রাব্বি: হামমম।

.

এদিকে নীড়…
নীড় : বাবা দারুন drive করে তো… driver টা কে দেখতে পারতাম….
মেরিন নামতেই নীড়ের চোখ আটকে গেলো। গাঢ়ো লাল রঙের ১টা শাড়ি। যার মধ্যে চিকন করে গোল্ডেন রঙের পার। আর কোন কাজ নেই। just ছোট ছোট পাথর বসানো। চোখে আইলাইনার, ঠোটে লাল লিপস্টিক আর ছোট্ট ১টা সাদা পাথরের টিপ। চুলগুলো তেমন বড় না… সাইডে সিথি কাটা। হাতে ১টা ফাইল। পায়ের জুতো জোরাও মারাত্মক সুন্দর। গোল্ডেন কালারের। পেন্সিল হিল। ১হাতে ঘড়ি আরেক হাতে পাথরের চুরি । cuteness এ ভরপুর। কারন মেয়েটা গুলুমুলু টাইপ। নাম তার মেরিন। সে তারাতারি হেটে আসছে।
আকাশ : গা ভাই ভালা কইরা গা… জীবনে তো sir-mam দের বকা খাসনি এবার খাবি । তাও crush mam এর কাছে।
নীড় তো তাকিয়েই আছে । হা করে…. মেরিন তো নিজের তারায় আছে। তাই খেয়ালই করেনি। হনহন করে হেটে যাচ্ছে। নীড়কে just ১পা যেতেই নীড় মেরিনের আচল ধরে গাইতে

লাগলো:
???
চান্দ মেরে দিল…
চান্দনী হো তুম…
???…

মেরিন ১৮০ডিগ্রি কোণে পিছে ঘুরলো। মেরিনের ঘোরা আর তাকানো দেখে নীড় দারিয়ে গেলো।
নীড় ২বাহু প্রসারিত করে বলতে
লাগলো:
???
ওগো তোমার
আকাশ দুটি চোখে
আমি হয়ে গেছি তারা।

???।

নীড় আজকে ব্ল্যাক জিন্স, আর কফি কালারের ১টা টি-শার্ট পরে হাতা ফোল্ড করে রেখেছে। চুলগুলো স্পাইক করা। হাতে ম্যাচিং বেল্ডের ঘড়ি। পুরাই crush… তবে মেরিন এখন খুবই তারায় আছে। তাই নীড়কে পর্যবেক্ষন করার সময় ওর নেই। আর নীড়ের ২টা গানে মেরিনের মেজাজ তো সেই লেভেলের খারাপ হয়েছেই তার ওপর ২হাত প্রসারিত করা দেখে মেরিনের মাথায় আগুন জ্বলে গেলো। রেগো বোম্ব হয়ে নীড়ের সামনে গিয়ে দারালো।

মেরিন: নিজেকে যদি ম্যা হু নার শাহরুখ খান মনে করেন তবে কান ধরে টেনে নিয়ে লন্ডন ব্রিজ থেকে ফেলে দিবো । idiot….
ইমান ওরা দৌড়ে এলো ।
ইমান : sorry mam…. আসলে ও আমাদের দেয়া dare complete করছিলো। ও খুব ভালো student….
মেরিন: তাতে আমার বাপের কি… huh…
বলেই মেরিন ভেতরে চলে গেলো । নীড় তো এখনো হা করে তাকিয়ে আছে।

.

আকাশ : রাব্বি তুই কি sure এতোটুকু পিচ্চি ১টা মেয়ে টিচার?
রাব্বি: আরে কিছু কিছু মেয়ে দেখতে কচি খুকি হলেও আসলে বয়সে আন্টি হয় আন্টি।
আকাশ : তাহলে মনে হয় প্লাস্টিক সার্জারি করিয়েছে…?… আচ্ছা যদি বকা টকা খেতে হয়!!! নীড়ের কপালে কি হবে… এই নীড়….
ওরা দেখে নীড় এক ধ্যানে হা করে তাকিয়ে আছে।
আকাশ : নীড়…. ??…
নীড়ের কানে তালা লেগে গেলো।
নীড়: কিরে চিল্লাচ্ছিস কেন?
ইমান: তোকে ফেরানোর জন্য ভবের দেশ থেকে….
নীড়: মানে?
আকাশ : তুই তো ম্যামকে দেখে কল্পনার রাজ্যে চলে গিয়েছিলি। তাই ….
নীড়: ম্যাম?
রাব্বি: হামম। ম্যাম। she is our mam… মানে ভার্সিটির টিচার।
নীড়: what? এতোটুকু পিচ্চি মেয়ে টিচার?
সূর্য: আরে পিচ্চি না পিচ্চি না… প্লাস্টিক সার্জারী।
নীড় : মানে?
আকাশ : প্লাস্টিক সার্জারী করে বুড়ি থেকে ছুরি সেজেছে।
নীড়ের মনটা ভেঙে টুকরো টুকরো হয়ে গেলো। জীবনে প্রথম crush খেলো তাও কোন টিচারের ওপর!!! not just crush… love at first side…
নীড়: oh no… তিনি তো আমাদের টিচার ছিলো…. এখন আমার কি হবে???

.

৫দিনপর….
নীড়: ৫দিনধরে new ম্যামকে খুজছি পাচ্ছিইনা।
ইমান: কেন খুজছিস কেন?
নীড় : sorry বলার জন্য।
আকাশ : sorry বলার জন্য না অন্য কিছু…?..
নীড়: তুই চোখের সামনে থেকে সর….
তখন নীড়ের ফোন এলো। ওর মায়ের। ও কথা বলতে লাগলো। তখন ওর সাথে কারো ধাক্কা লাগলো। সে পরে যেতে নিলে নীড় তার কোমড় জরিয়ে ধরলো। আর সে আমাদের মেরিন। ভয়ের চোটে চোখ মুখ খিচে বন্ধ করে আছে। যার জন্য চোখের বড় বড় ঢেউ খেলানো পাপড়ি গুলো কাপছে।
নীড় মনে মনে: ইশ মেয়েটা যদি টিচার না হতো… অস্বাভাবিক সুন্দর….
মেরিন: আম্মুগো আমার কোমড় ভেঙে গেলো। আমি প্রেম কিভাবে করবো? ?। কিন্তু আমার কোমড় ব্যাথা করছেনা কেন?
মেরিন চোখ মেলল। চোখ পিটপিট করে নীড়ের দিকে তাকালো। নীড়ের চোখ ২টা ভীষন সুন্দর। তারমধ্যে নেশাভরা চোখে তাকিয়ে আছে। মেরিন নীড়কে দেখলো। নীড় আজকে সব কালো পরেছে। মেরিন তো পুরাই ক্রাশিতো।
মেরিন: এতো দেখি পুরা কালোজাম… ওয়াক থু… কালোজাম আমি খাইনা…
এতো দেখি পুরাই dark chocolate …?.. রসোগোল্লা। yummy yummy… মন চাইছে খেয়ে ফেলি।?। চুলগুলোও তো এক্কেবারে শাহরুখ খান… হায় dark chocolate .. কিন্তু এই dark chocolateটা তো অনেক বড় খাবো কি করে?!
মেরিনের কথা শুনে নীড় তো অবাক হওয়ার চরম পর্যায়ে। নীড় মেরিনকে দার করালো।
নীড়: sorry ম্যাম….
মেরিন মনে মনে: voice টা তোও তো just উম্মাহ…
নীড়: sorry mam… সেদিনের জন্য….
মেরিন: কো…নদিনের জন্য…. ?

.

চলবে…

পূর্ববর্তী নিবন্ধ
পরবর্তী নিবন্ধ
গল্প পোকা
গল্প পোকাhttps://golpopoka.com
গল্পপোকা ডট কম -এ আপনাকে স্বাগতম......
RELATED ARTICLES

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে

- Advertisment -

Most Popular

Recent Comments

Md masrur Hasan mahi على অবুঝ_বউ পার্ট: ৫
আমিনুল ইসলাম على প্রয়োজন পর্ব: ৩০ ( অন্তিম)
সাজিবুল ইসলাম على ধর্ষিতাবউ২ ৯ তথা শেষ পর্ব
শাহিদুল ইসলাম على জীবন সঙ্গী ১ম পার্ট
শাহিদুল ইসলাম على জীবন সঙ্গী ১ম পার্ট
Nita Sarkar على স্বপ্নীল ৬৮
শিয়াসা ইসলাম হুরিজিহান على রহস্য শেষ_পর্ব
শিয়াসা ইসলাম হুরিজিহান على অলক্ষ্যে তুমি পর্ব-০৬ এবং শেষ পর্ব
Nazmun Nahar Akhi على Psycho_is_back? part_7
Nazmun Nahar Akhi على Dangerous_Villian_Lover part 2
শিয়াসা ইসলাম হুরিজিহান على জানালার ওপারে পর্ব-১৭ এবং শেষ পর্ব
শিয়াসা ইসলাম হুরিজিহান على লীলা বোর্ডিং ১২১৫ পর্ব-১১ এবং শেষ পর্ব
মিজানুর রহমান রাহুল على সেই তুমি পর্ব-০১
@feelings على প্রহেলিকা
Anamika Basu على সে পর্ব-১২
Anamika Basu على সে পর্ব-১২
Nusrat jahan على coffee & vanilla Part-10
Pallabi Roy على স্বপ্নীল ৬৮
M.D Mahabub على The_Villain_Lover Part_2
Labani sarkar على Dangerous_Villain_Lover part 23
MD Akas Apc على বিবেক
Tanisha Ahmed على Devil love part-18 
Aius Barmon shorob على নারীর দেহকে নয়
Chandan roy على স্বপ্নীল ৬৮
Chandan roy على স্বপ্নীল ৬৮
Riya Biswas على তুমি রবে ৬০
Priya Banerjee على devil love married life last part
Riya Biswas على তুমি রবে ৬০
Riya Biswas على তুমি রবে ৫২
Mohammad Adib على তুমি রবে ৬০
Avni Ayesha على তুমি রবে ২৮
গল্প পোকা على Love At 1st Sight Season 3 Part – 69
সুমিত على তুমি রবে ২৮
TANJIBA ZENIFAR على তুমি রবে ৫০
TANJIBA ZENIFAR على তুমি রবে ৫০
Samiah Begum على তুমি রবে ৫১
biddut das rocky على নর নারী
গল্প পোকা على নষ্ট গলি শেষ পর্ব
Md Jobayer Hossain Shohag على নষ্ট গলি পর্ব-৩০
গল্প পোকা على দুই অলসের সংসার
গল্প পোকা على মন ফড়িং ❤৪২.
A.J.S Rakib على মন ফড়িং ❤৪২.
গল্প পোকা على গল্পঃ ভয়
গল্প পোকা على গল্পঃ ভয়
গল্প পোকা على গল্পঃ ভয়
Samiya noor على গল্পঃ ভয়
Sadikul على গল্পঃ ভয়
Samia Islam على গল্পঃ ভয়
শূন্য মায়া على মন ফড়িং ❤ ৪০.
Sutapa biswas على মন ফড়িং ❤৩৯.
Foysal Mahmud على My_Mafia_Boss_Husband Part: 16
sutapa biswas على মন ফড়িং ❤ ৩৮.
sutapa biswas على মন ফড়িং ❤ ৩৭
Foysal Mahmud على My_Mafia_Boss_Husband Part: 16
Siyam على বিবেক
Sudipto Guchhait على My_Mafia_Boss পর্ব-৯
saptami karmakar على devil love married life last part
saptami karmakar على devil love married life last part
মায়া على মন ফড়িং ৩০.
মায়া على মন ফড়িং ৩০.
মায়া على মন ফড়িং ২৬.
Shreyashi Dutta على  বিয়ে part 1
Sandipan Biswas على  বিয়ে part 1
Paramita Bhattacharyya على অনুরাগ শেষ পর্ব
জামিয়া পারভীন তানি على নষ্ট গলি পর্ব-৩০
মায়া على মন ফড়িং  ২২
সুরিয়া মিম على খেলাঘর /পর্ব-৪২
গল্প পোকা على মন ফড়িং ২১
গল্প পোকা على নষ্ট গলি পর্ব-৩০
গল্প পোকা على Love At 1st Sight Season 3 Part – 69
গল্প পোকা على Love At 1st Sight Season 3 Part – 69
গল্প পোকা على খেলাঘর /পর্ব-৪২
Sahin ssb على মন ফড়িং ২১
মায়া على মন ফড়িং ২১
মায়া على মন ফড়িং ❤ ২০.
গল্প পোকা على মন ফড়িং ❤ ২০.
গল্প পোকা على খেলাঘর /পর্ব-৪২
গল্প পোকা على খেলাঘর /পর্ব-৪২
মায়া على মন ফড়িং ❤ ১৮. 
মায়া على মন ফড়িং ❤ ১৭.
Jannatul Ferdous على খেলাঘর পর্ব-৩৫
গল্প পোকা على মন ফড়িং ❤ ১৬. 
গল্প পোকা على ফাল্গুনের_ফুল last_part_8
মায়া على মন ফড়িং ❤ ১৬. 
গল্প পোকা على ছাত্রী যখন বউ পাঠঃ ১
গল্প পোকা على বাজির প্রেম পাঠঃ ১
Foujia Khanom Parsha على মা… ?
HM Ashraful Islam على অবুঝ_বউ পার্ট: ৮
HM Ashraful Islam على অবুঝ_বউ পার্ট: ৫
Ibna Al Wadud Shovon على স্বার্থ