বউ পর্ব – ০৬

0
1255

#বউ
#তাহরীমা
#পর্ব-০৬

মেহুর বাবা মা আসে।মেঘতা তাদের পেয়ে খুব খুশি হয় সাথে মেহু ও খুব খুশি।মেঘ কিছুক্ষণ ঘুমানোর পর উঠে যায়।মেহুর বাবা মা কে সালাম করে।মেঘের বাবা মা আপ্যায়ন এর কোনো ত্রুটি রাখেন না।

উনারা দুইদিন থাকে।যদি ও মেহুর বাবা চলে যেতে চেয়েছিলো।কিন্তু মেঘের বাবা বাধ সাজে।এতদূর থেকে এসে দুইদিন থাকা ছাড়া যেতেই দিবেন না।চলে যাওয়ার দিন মেহুর খুব মন খারাপ হয়।তারপর ও কি আর করার বিয়ের পর শশুড়বাড়ি মেয়েদের আসল ঠিকানা হয়ে যায়।মেঘতা ও ফুফিয়ে কাদে নানুভাইয়ের জন্য।

মেঘ অপ্রয়োজনে মেহুর সাথে কথা বলেনা।কিন্তু মেঘতার সাথে প্রচুর ভাব।
মেঘ অফিসে যাওয়ার জন্য রেডি হতে নিলেই মেহু সব এগিয়ে দেয়।ঘড়ি,শার্ট সবকিছু।মেঘ আড়চোখে দেখে কিন্তু চুপচাপ।চুপচাপ স্বভাবের মানুষ মেহুর একদম ই পছন্দ না সেখানে তার জামাই নাকি চুপ থাকে।ইচ্ছে করে তারে ধরে পুকুরে ফেলে দিতে।তবে নিজের রাগ দমিয়ে রাখে সে হাসিমুখে মেঘের সামনে থেকে চলে যায়।
.
মেঘতাকে খাওয়ানোর সময় হয়েছে।সকালে সে খিচুড়ি খায়।অল্প একটু খেয়ে আর খায়না।শুরু হয় এদিক সেদিক ছুটাছুটি।মা মেয়ের কান্ড দেখে মেঘের মা হাসে।শেষে মেহু রাগ করেই বসে পড়ে।

মেঘ তখন তাদের সামনে এসে দাঁড়ায়।মেঘতা মেঘকে গিয়ে বলে–“তোমার বউটা আমাকে জোর করে খাওয়াচ্ছে দেখো?আমার ছোট পেট এত খাবারের কি জায়গা হবে?হ্যা!”

মেহু এবার উঠে দাঁড়ায়–“তবে রে,এত পাকা কথা?”
মেহু উঠে আসতে নিলে।মেঘ বলে–“আমার মেয়ে যেটা বলবে সেটায় হবে।”

মেঘতা হাসে।মেহু তখন মুখ কালো করে বলে–“সবার আদর পেয়ে পেয়ে একদম বিপথে যাচ্ছে।ঠিকাছে বাবাইয়ের সাথেই থাকুক।আমি আর কথা বলব না,কিছুই বলব না।”

মেহুর মন খারাপ দেখে মেঘের ও কেন জানি মন খারাপ হয়।কেন এমন হচ্ছে এ কেমন মায়া?
মেঘতা তখন গাল ফুলিয়ে বলে–“সরি মাম্মাম!”

মেঘ হাসে।মেঘের হাসি দেখে মেঘতা আবারো বলে,
–“তোমার বউয়ে কাঁদছে।তুমি হাসো?তোমার কান্না করা উচিৎ।”

মেঘতার কথায় উপস্থিত সকলে হু হু করে হেসে উঠে।মেহু ও মুচকি হাসে।
মেঘ অফিসে চলে যায়।
___________

দুপুরের দিকে মেহু মেঘকে কল করে।সালাম দিয়ে বলে,
–“খেয়েছেন?”
–“হ্যা।তুমি?”
–“এইতো খাবো।”
মেঘ চুপ
–“আচ্ছা সাবধানে থাকবেন।”

মেহু কল কেটে দেয়।দুপুরের খাওয়া শেষে মেঘতাকে ঘুম পাড়িয়ে মেহু শাশুড়ির রুমে যায়।মেঘের মা তখন বিছানায় বসে ছিলো।
–“আম্মু আসি?”

মেঘের বাবা ও তখন ঘরে ছিলেন না।শশুড় থাকলে মেহু শাশুড়ির রুমে যায় না।
–“আসো না?বিছানায় বসো?”
–“একটা প্রশ্ন করি আম্মু?”
–“বলো?”
–“আপনার ছেলে কি ছোট থেকেই এমন চুপচাপ থাকে?”
–“আরেহ না।বিয়ের আগে দেখলে না কিভাবে পাগলামি করেছে?তাহু ওর জিবনে আসার পর থেকে অনেক খুশি ছিল।তাহুর সাথে শেষ দেখার পর তেমন আর হাসে না।”
–“আচ্ছা আম্মু আমার আপুর সাথে কি প্রেম ছিলো?না মানে আমি এসবের কিছুই জানিনা তাই।”
–“না প্রেম ছিল না।একতরফা ভালবাসা ছিলো।কিন্তু মেঘ খুব সিরিয়াস ছিল তাহুকে বউ করা নিয়ে।কিন্তু ভাগ্যে তো আছো তুমিই?”

মেঘের মা আবারো বলে–“প্রথম ভালবাসা,প্রথম অনুভূতি ভুলতে পারাটা কঠিন যে,সেটা একতরফা হোক অথবা দু তরফা।”

মেঘের মা হাসার চেষ্টা করে।
মেহু তখন বলে–“হ্যা ভাগ্যে থেকে কি হলো?যে চুপচাপ থাকে আমার এমন চুপচাপ থাকা দেখতে একদম ভাল লাগেনা।ইচ্ছে করে পুকুরে ফেলে দিই।”

মেঘের মা উচ্চস্বরে হেসে উঠে।
–“পারবে ফেলতে?”
–“আম্মু আপনি ও মজা করছেন?”
–“ভরসা রাখো একদিন সব ঠিক হয়ে যাবে।তাহু যাওয়ার আগে বলে ছিলো পৃথিবীর সুন্দরতম সম্পর্কের মধ্যে স্বামী স্ত্রীর সম্পর্ক ই সুন্দর বেশি।তাই যেদিন মেঘ সেটা বুঝবে দেখবে সব ঠিক হয়ে যাবে।”

মেহু হাসার চেষ্টা করে।তারপর আরো কিছুক্ষণ গল্প করে চলে যায়।মেহুর চঞ্চলতা দেখে মেঘের মায়ের খুব ভালো লাগে।মেঘতা মেহুর মত ই হয়েছে পাকা পাকা কথা বলে।
.
.
মেঘ অফিস থেকে সন্ধ্যায় ফিরে আসে।মেহু মাগরিবের নামাজ পড়ে।তারপর মেঘের জন্য চা বানাতে যায়।মেঘের চা খুব প্রিয় সাথে নুডলস।মেহুকে এসব মেঘের মা বলেছে।

মেহু চা নুডলস বানিয়ে মেঘের বাবা আর মেঘতাকে খেতে দেয়।যদিও মেঘতা তেমন খায়নি।তারপর মেঘতা আর দাদায় বাইরে ঘুরতে চলে যায়।মেহু সব রুম চেক করে দেখে কোথাও মেঘ কিংবা তার শাশুড়ি নেই।তারপর মনে পড়ে হয়ত ছাদে আছে।তারপর মেহু একটা ট্রে করে চা আর নুডলস গুলা নিয়ে ছাদের উদ্দেশ্য হাটা ধরে।
________

মেঘকে খুঁজতে মেঘের মা ও ছাদে এসেছিলো।অফিস থেকে এসেই মেঘ এখানে বসেছিলো।ছাদ অন্ধকার তবে আশেপাশের বাড়ির লাইটের আলো তাদের ছাদে ও এসে পড়েছে বিধায় সবকিছু স্পষ্ট দেখা যাচ্ছে।মেঘের মা পাশে বসে।

মেঘ দৃষ্টি সামনে রেখে বলে–“আম্মু!
–“এখানে কেন?”
–“এখানেই ভাল লাগছে।”
–“তুই এরকম চুপচাপ কেন থাকিস?ভাগ্যে যা হওয়ার হয়েছে।আর এরকম মন খারাপ করে কি তুই তাহুকে দোষী বানাতে চাস?তাহুর যেমন কোনো দোষ নেই মেহুর ও যে দোষ নেই।এভাবে অবহেলা করলে দেখবি একদিন মেহু ও হারিয়ে গেছে।হাজার খুঁজলে ও আর পাবি না।”

তারপর দুজনেই নিরব।মেঘ নিরব থাকতে চায় থাকুক।মেঘের মা উঠে আসতে নিলেই দরজার মুখে দেখে মেহু সিঁড়ি দিয়ে ছাদেই আসছে।মেহু মেঘের মাকে দেখে হাসে।
তারপর এগিয়ে আসে।

–“আম্মু আপনাদের মা ছেলেকে খুঁজতে খুঁজতে হয়রান।
তারপর মেঘের দিকে তাকিয়ে বলে–“এই নিন চা গুলো ঠান্ডা হয়ে যাচ্ছে।অফিস থেকে এসে কিছুই খেলেন না।এটা কেমন পেট ক্ষুধা লাগেনা?”

মেহুর কথায় মেঘের মা হাসে।মেহু জানে এই মানুষ টা অব্ব করেই থাকবে সে একটা বাটি মেঘের হাতে তুলে দিলো।তারপর আরেকটা শাশুড়ি কে দিলো।
মেঘের মা বলে–“আর তোমার টা?”
–“আমি খাব না আম্মু।খেতে ইচ্ছে করছে না।”
–“কেন?”
–“এমনি।”
–“বসো পাশে।দাঁড়িয়ে থাকবে নাকি?”
–“নাহ আপনারা গল্প করুন আমি যাই।”

মেঘ তখন খাওয়া শেষ করে।আর বাটি টা রেখে দেয়।মেহুর দিকে না তাকিয়েই বলে উঠে–“মেহু!”
আবারো পিছন ফিরে মেঘতা এসেছে কিনা দেখে।মেঘতার সামনে বউ বলে ডাকতে হয় যে।

মেঘের মা মুখ চেপে হাসেন।মেহু ও মুচকি হাসছে।

মেঘ তখন আবারো বলে–“আমার অনেক প্রশ্ন জমেছে মনে।যতক্ষণ তুমি উত্তর না দিবে কিছুতেই শান্তি পাচ্ছি না।”

মেহু তখন পাশে বসে বলে–“কি প্রশ্ন?”
–“তোমার আগের স্বামীর পরিবার কোথায়?স্বামী মারা গেলে কি সব সম্পর্ক শেষ হয়ে যায়।মেঘতা তো তাদের বংশধর নাকি?”

মেহু অসস্থিতে পড়ে যায়।মেঘের মা তখন অভয় দেয়,
–“তুমি কি এখন আমাদের সেসব বলতে চাও না?নাহলে সময় নিতে পারো।”
মেহু তখন হাসার চেষ্টা করে বলে–“না আজকেই আপনাদের সব জানাবো।আপনাদের যে সব জানা উচিৎ। ”

মেঘ তখন বলে–“যেমন ই হোক তুমি বলো।তাহু কোথায়?তোমার বিয়ের আগের জিবন সম্পর্কে সব বলো?”

মেহু তখন বলতে শুরু করে।দুজন মানুষের চোখের দৃষ্টি মেহুতেই আবদ্ধ।কি শুনতে যাচ্ছে তারা?

__________________________

(অতীত)

একই সাথে দুজন কন্যাসন্তান জন্ম গ্রহণ করাতে সবাই খুব খুশি হয়।যেহেতু তারা জমজ তাই মিলিয়ে নাম রাখে।তাহরীমা,মেহেরীমা।
আদর করে তাদের তাহু আর মেহু বলেই ডাকে।তাহু শান্ত ধরনের আর মেহু চঞ্চল।তারপর ও তাহু আর মেহুর মিল আর বন্ধুত্ব দেখে যেকেউ মুগ্ধ হবে।

তারা দুজনে দেখতে হুবহু এক।
(বি:দ্র: জমজ এরকম হুবহু এক দেখেছি আমি)
তবে তাহুর মা বাবা তাদের দুজনকেই ভালভাবে চিনে।তাহুর গলায় তিল আছে কিন্তু মেহুর নেই।এই একটা চিহ্ন তাদের দুজনকেই চেনা যায়।তবে স্বভাবেও খানিকটা পরিবর্তন আছে।তাহু কথা কম বলে আর মেহু কথা বেশি বলে এই আরকি।

একই সাথে বেড়ে উঠা দুইবোন সব একই একই পড়তে পছন্দ করে।একই রঙ্গের কাপড়,একই জুতা।বিশেষ করে মেহু ছোট থেকেই তাহু কিরকম পড়ে খেয়াল করে রাখে তারপর সে ও তেমন পড়ে।তাহু সবচেয়ে বেশি ভালবাসে বিশেষ করে বাবা মায়ের পর কেউ যদি থাকে সেটা হলো মেহু।

একই স্কুলে পড়ার পাশাপাশি একই কলেজে ও পড়ছে।তবে মেহু পড়ায় ফাঁকি দেয়ার চেষ্টা করত, তবে তাহু মনোযোগী।

রাস্তায় দুজনে একসাথে বের হলে প্রায় মানুষ হা করেই তাকিয়ে থাকে।আবার দুজনকে একই রকম দেখতে ভালই লাগে।তাহুর মায়ের চিন্তার শেষ নেই কখন কার নজর পড়ে।আল্লাহর কাছে সবসময় চায় মেয়েগুলোকে যাতে বিপদ থেকে রক্ষা করে।

____________

কলেজে প্রথম দিন!

মেহু ঘুম থেকে উঠে না।তাহু ভোরে উঠে নামাজ পড়ে মেহুকে ডাকে–“বোন উঠ,আজ না কলেজের প্রথম দিন উঠে যা।”
–“আপুরে আরেকটু ঘুমায়।”
–“নামাজের সময় চলে যাচ্ছে যে?”

মেহু হায় তুলে উঠে বসে।তারপর হেলেদুলে ওযু করতে যায়।নামাজ শেষে সে আবারো ঘুমায়।তাহু আর ঘুমায় না।তাহু কলেজে যাওয়ার জন্য কাপড় রেডি করে।মেহুর টাও সুন্দর করে রেডি করে।তারপর নিজের বই খাতা কলম ব্যাগে নেয়।সাথে মেহুর টাও।

তারপর রুম থেকে বের হয় তাহু।রান্নাঘরে যায়,সেখানে মা পরোটা তৈরি করছে।তাহুকে দেখেই তিনি মিষ্টি হাসেন।তাহু ও মাকে টুকটাক সাহায্য করে।

–“মেহুকে ডেকে দিয়েছিস?”
–“হ্যা আম্মু।উঠে পড়বে চিন্তা করোনা।”
–“তোর আহ্লাদ পেয়ে পেয়ে সব গোল্লায় যাচ্ছে।তোকে ছাড়া ওর জিবন কেমন যে চলবে আল্লাহ জানেন।”

তাহু হাসে।তাহু নাস্তা টেবিলে নিয়ে গিয়ে বাবাকে ডাকতে যায়।
–“আব্বু আসো!নাস্তা রেডি।”
–“তুই যা আম্মু,আমি আসছি।”

তাহু নাকি তাহুর দাদুর মতো শান্ত হয়েছে তাই তার আব্বু তাকে মা বলেই ডাকে।তবে মেহুর এতে আপত্তি নেই।ডাকলে ডাকুক গে।

তাহুর বাবা টেবিলে বসে।তারপর তাহুকে বসতে বলে।কিন্তু সে মেহু ছাড়া খাবেনা।তাই তিনি একা ই খেয়ে নিলেন উনার আবার দোকান খুলতে যেতে হবে।শহরে একটা দোকান আছে উনার,সেটার ই দেখাশোনা করেন।

বাবাকে বিদায় দিয়ে তাহু আবারো মেহুকে ডাকতে যায়–“বোন তুই কি উঠবি?আচ্ছা একাই কলেজে যাস।আমি চললাম।”

এটা শুনেই মেহু ধুম করে উঠে পড়ে।তাহু ছাড়া সে কোথাও একা যাওয়ার কথা ভাবতেই পারেনা।

তারপর মেহু ফ্রেশ হয়ে টেবিলে খেতে যায়।তাহু ও পরোটা আর ভাজি খেয়ে কলেজে যাওয়ার জন্য রেডি হয়।

মেহু আগে তাহুকে দেখে কেমনে কি করছে।যেই না দেখেছে স্কার্ফ করেছে সে ও তাহলে স্কার্ফ করবে।
দুইবোন কে রেডি হতে দেখে তাহুর মা হাসিমুখে বলে–“সাবধানে যাস।আর মেহুকে বলছি রাস্তায় বেশি বকবক করা চলবে না।তাহুর হাত ধরে ধরে হাটিস।বুঝিনা দুজনে একই বয়সে হয়েও এত কম বেশি বুঝ তোদের।”

তাহু তখন বলে–“তুমি চিন্তা করোনা আম্মু আমরা ঠিক সাবধানে থাকবো।”
–“আর সাবধানে রাস্তা পার হবি।আগে গাড়ি দেখবি তারপর পার হবি।”
–“আচ্ছা।আর তুমি ও দরজা ভাল করে আটকে দিও।”
–“আচ্ছা।গাড়িভাড়া দিয়েছে তোর আব্বু?”
–“না তো ভুলেই গেছি নিতে।বেশি তো দূরের পথ নয় গল্প করতে করতে চলে যাবো।”

দুইবোন মায়ের থেকে বিদায় নিয়ে বের হয়।

শহরের একটা ভাড়া বাসায় তাহুরা থাকে।পাচতলার বাড়িটায় পাচতলায় তারা থাকে।
তাহুর আম্মু দরজা বন্ধ করে দেয়।

দুইতলার এক ভাড়াটিয়া চাচা তাহুকে খুব ভালবাসে,উনার মেয়ের মতো ই স্নেহ করেন।তবে মেহুর অতিরিক্ত কথা বলা চাচাটার পছন্দ না।মেহু ও উনাকে পছন্দ করেনা।

দুইতলায় আসতে চাচাটার সাথে দেখা।তাহু সালাম দিলে মেহু ও সালাম দেয়।
উনি পান খেয়ে দাত লাল করে,সেই দাত দেখিয়ে ই সালামের জবাব নেন।

মেহু তখন মুখ চেপে ধরে তাহুর কানে ফিসফিসিয়ে বলে–“আপুরে দেখ কেমন লাগতেছে অই ব্যাডাকে।যেন লিপস্টিক দিয়েছে।”

তাহু মেহুর কথায় হাসবে না কাঁদবে অবস্থা।

তখন চাচাটি বলল–“কি ব্যাপার মেহু কি বলে?নিশ্চয় আমাকে নিয়ে বাজে বলছে?”
তাহু তখন বলে–“আরে না চাচা ও কেন খারাপ কিছু বলবে?আজ আমাদের কলেজের প্রথম দিন দোয়া করবেন।”

চাচাটা ও বলে–“হ্যা অবশ্যই,মেহু ও ভাল তো শুধু কথা বেশি বলে।”

মেহু মনে মনে বলে–“তাতে আপনার কি,একশ বার কথা বেশি বলব।”

কিন্তু আপুর জন্য মুখে কিছুই বলতে পারলো না।তারপর তারা নেমে যায় প্রথম তলায়।

সিঁড়ি দিয়ে নামতেই মেহু আগে ছিল তাহু পরে নামে।মেহু এটা সেটা বলে বলে কথা বাড়ায় তাহু শুনে।
কথা বলতে বলতে একপর্যায়ে অন্যমনস্ক হয়ে সিঁড়ি থেকে পড়তে নিলেই মেহু চিৎকার করে উঠে–“আপুরে!”

এদিকে ভীত চোখে তাহু ও মেহুর হাত ধরে বলে–“সাবধান পরে যাবি তো?”

মেহু তখন সোজা হয়ে দাঁড়ায়।আর হেসে বলে–“পরবো না।সাপোর্ট আছে।আমার আপু আছে না?

চলবে…?

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে