#প্রিয়_অভিমান🥀🥀
#ফাবিহা_নওশীন
|পর্ব~১|
ডিপার্টমেন্টের হেডের রুমে দাঁড়িয়ে রাগে গজগজ করছে রুহানি। কিছুক্ষণ পর পর ফালাকের দিকে তীক্ষ্ণ দৃষ্টি দিচ্ছে। এই দৃষ্টিতে যেন আগুন ঝড়ছে যা ফালাককে পুড়িয়ে দিতেও সক্ষম। কিন্তু ফালাক ডোন্ট কেয়ার ভাব নিয়ে দু-হাত ভাজ করে দাঁড়িয়ে আছে। রুহানির এই দৃষ্টি দেখে ভীতসন্ত্রস্ত হয়ে পড়ার মতো ছেলে সে নয়। সব পরিস্থিতি কি করে সামাল দিতে হয় সে তার ভালো জানা আছে।
রুহানির সঙ্গে ওর দুজন ফ্রেন্ড দাঁড়িয়ে আছে। রুহানি শুধু মনে মনে বলছে একবার এখান থেকে বের হই তারপর মজা দেখাবে ফালাককে।
“রুহানি যা শুনলাম তা কি সত্যি? তুমি সিনিয়রের সাথে এমন একটা কাজ কি করে করলে?” আফজাল হোসেন রুহানির দিকে উত্তরের আশায় চেয়ে আছে। তার কপালে বিরক্তির রেখা ফুটে ওঠেছে।
রুহানি একবার স্যারের দিকে চেয়ে বন্ধুদের দিকে তাকাল। তারপর বলল,
“স্যার এটা একটা দুর্ঘটনা। কোনটাই ইচ্ছাকৃত নয়। আমাকে এখানে উনি ইচ্ছে করে হেরেজ করার জন্য এনেছেন।”
রুহানির ফ্রেন্ড নুশা আর তায়েব বলল,
“জি স্যার। রুহানির কোন দোষ নেই।”
ফালাক ভ্রু কুঁচকে ওদের দিকে তাকাল। তারপর বিড়বিড় করে বলল,
“শয়তানের ছানাপোনা।”
আফজাল হোসেন ফালাকের দিকে তাকাল। ফালাক ওদের থেকে দৃষ্টি সরিয়ে মার্জিতভাব বলল,
“এই ভার্সিটিতে আজকে আমার প্রথম দিন। প্রথম দিনেই এমন একটা ঘটনা একটা স্টুডেন্টের উপর কি প্রভাব ফেলতে পারে সেটা আপনি নিশ্চয়ই বুঝতে পারছেন। আর সেটা যদি হয় জুনিয়রদের সাথে। প্রথম দিনেই অপমানিত হলাম তা-ও জুনিয়রদের কাছে। সিনিয়র হিসেবে কি নূন্যতম রেস্পেক্ট পেতে পারি না? প্রথম দিনেই যদি স্টুডেন্ট এমন বিভ্রান্তির স্বীকার হয় তবে ভার্সিটির রেপুটেশনের কি হবে? বাইরের মানুষ জানতে পারলে ভার্সিটির নূন্যতম রেপুটেশন থাকবে না। আমি এখানে সঠিক বিচারের আশায় এসেছি। বাকিটা আপনার হাতে।”
রুহানি ফালাকের কথা শুনে দাঁত কিটমিট করে তাকাল। ছেলেটা যে প্রচুর চালাক সেটা বোধগম্য হয়ে গেছে।
নুশা রুহানির কানের কাছে ফিসফিস করে বলল,
“এই ছেলে তো দেখছি ভারি সেয়ানা।”
রুহানি কিছুটা হেলে ফালাকের দিকে তাকিয়ে দাঁতে দাঁত চেপে ফিসফিস করে নুশাকে বলল,
“এখান থেকে বের হতে দে। তারপর দেখ কি করি।”
রুহানি আবারও সোজা হয়ে দাঁড়াল।
আফজাল হোসেন রুহানিকে বলল,
“দুর্ঘটনা হোক আর যাই হোক। ভুল যখন করেছো তোমাকে সরি বলতে হবে।”
রুহানিও মুচকি হেসে বলল,
“অবশ্যই সরি বলল।”
রুহানির বন্ধুরা রুহানির কথা শুনে শকড। রুহানি সরি বলবে এটা কি করে সম্ভব?
রুহানি ঠোঁটের কোনে হাসি ফুটিয়ে বলল,
“তবে উনাকেও সরি বলতে হবে।”
রুহানির এই কথা শুনে ওর বন্ধুদের পাশাপাশি ফালাক আর আফজাল হোসেনও শকড।
ফালাকের তীক্ষ্ণ চাহুনি দেখে রুহানি আলতো হেসে বলল,
“কেন ভাইয়া, ভুলে গেলেন আপনার তেতো মুখের কথাগুলো?”
ফালাক চোখ মুখ শক্ত করে রুহানির দিকে দৃষ্টি দিল। রুহানির এই হাসি একদম সহ্য করতে পারছে না।
~ফ্ল্যাশব্যাক~
রুহানি এই ভার্সিটির একটা আতংকের নাম। পুরো ভার্সিটিতে যার রাজত্ব চলে। ওর বিশাল এক গ্যাং আছে। কেউ ওদের সাথে টক্কর দেওয়ার সাহস করে না। তবে রুহানির সাথে টক্কর দেওয়ার জন্য আরেকটা দল আছে ইশার দল। তবে রুহানির সাথে পেরে উঠে না। তবুও হাল ছেড়ে দেয় নি। রুহানিকে টক্কর দেওয়ার চেষ্টা বারবার করে যাচ্ছে। রুহানি অনার্স থার্ড ইয়ারের স্টুডেন্ট। পড়াশোনার প্রতি বিন্দুমাত্র ইচ্ছে নেই। ভার্সিটিতে মূলত আসে নিজের ক্ষমতা দেখাতে, দূর্বলের উপর জুলুম করতে, আড্ডা দিতে। প্রতিদিন উদ্ভট কিছু না কিছু করবে নয়তো ওর শান্তি লাগে না। তবে কোন কাজের প্রমাণ রাখে না আর না কেউ সাহস পায় কমপ্লেইন করতে।
অপর দিকে ফালাক ভার্সিটিতে নতুন। কিছুদিন আগে এম.বিএ এডমিশন নিয়েছে। আজ এসেছিল প্রথম ক্লাস করতে। তাতেই বাঁধে বিপত্তি।
রুহানি দুতলা থেকে সিড়ি দিয়ে নামছে। তখনই নুশা রুহানিকে ইশারা করল।
“দোস্ত আজকের মুরগী পেয়ে গেছি। দেখতে একদম নাদান বাচ্চা। আমাদের নয়া শিকার।”
ওরা দলবল নিয়ে দেয়ালের আড়ালে লুকিয়ে আছে। ফালাক গলায় হেডফোন ঝুলিয়ে ফোন টিপতে টিপতে ওদের দিকে যাচ্ছে। ফোনে ব্যস্ত থাকায় কিছুটা বেখেয়ালিই ছিল। রুহানি মুচকি হাসল। ফালাক কাছে আসতেই আড়াল থেকে পা বাড়িয়ে দিল। ফালাক খেয়াল না করায় রুহানির পায়ে বেঁধে পড়ে যেতে নিলেও নিজেকে নিজের দক্ষতা দ্বারা সামলে নেয় কিন্তু হাতের ফোনটাকে বাঁচাতে পারে নি। ফ্লোরে বারি খেয়ে দূরে ছিটকে পরে যায়। ফালাক হা করে সেদিকে চেয়ে আছে। কি করে কি হলো কিছুই বোধগম্য হচ্ছে না।
ফালাকের সবটা বোধগম্য হলো যখন পাশ থেকে হাসির শব্দ পেল। কয়েকটা ছেলে ও মেয়ে এক সাথে দাঁড়িয়ে হাসছে। ফালাক ভ্রু কুঁচকে ওদের দিকে তাকিয়ে ফ্লোর থেকে নিজের ফোনটা তুলে নিল। রুহানি ফালাকের সামনে এসে দাঁড়াল।
ফালাক ফোন তুলে দাঁড়াতেই রুহানি নিজের চুলের ঝুটি পেছনে নিয়ে ভাব নিয়ে বলল,
“এই ছেলে নাম কি?”
ফালাক রুহানিকে পা থেকে মাথা পর্যন্ত দেখে বলল,
“তোমাকে কেন বলব? কে তুমি?”
রুহানির পাশ থেকে তায়েফ বলল,
“নয়া না-কি? রুহানিকে চিনোস না?”
ফালাক তাচ্ছিল্য হেসে বলল,
“তোমাদের মতো অসভ্য, বেয়াদবদের চিনা কি খুব জরুরী?”
রুহানিসহ ওদের গ্রুপের সবাই রাগে ফেটে যাচ্ছে ওর কথা শুনে।
রুহানি ক্ষিপ্ত হয়ে বলল,
“আমার সাথে পাংগা নিতে এসো না বাছা। দু’দিনেই ভার্সিটি থেকে দৌড়ে পালাবে।”
ফালাক আরেকটু কাছে গিয়ে বলল,
“আচ্ছা, ভার্সিটি কি তোমার বাপ-দাদার? ফাজিল, বেয়াদব মেয়ে। পড়াশোনা করতে এসেছে না এইসব থার্ডক্লাশ কাজকর্ম করতে এসেছো?”
রুহানি আঙুল তুলে বলল,
“বড্ড বাজে কথা বলছো। এর ফল কতটা ভয়ানক…
ফালাক রুহানির কথা শেষ করতে না দিয়ে বলল,
” চুপ! একদম চুপ! দলবল নিয়ে এমন অসভ্যপানা করতে লজ্জা লাগে না? আবার ফল দেখানো হচ্ছে।”
রুহানির ছেলে বন্ধুরা তেড়ে এলো। ফালাকও শার্টের হাতা গুছিয়ে ওদের দিকে এগিয়ে গেল।
“কি গায়ে হাত তুলবে? তুলে দেখো। সোজা থানায় চলে যাবে। সেখানে র্যাগিং কেইসও হবে। নাও স্টার্ট।”
ফালাক হাত দিয়ে ইশারা করল আসতে। ফালাককে যতটা দূর্বল মনে হয়েছিল ততটাও না। তাই ওরা দাঁড়িয়ে গেল।
রুহানি রাগে ফুসফুস করতে করতে পানির বোতল হাতে নিয়ে ছিপি খুলতে লাগল। ফালাক বোতলের দিকে তাকিয়ে আছে। যেই ফালাককে পানি ছুড়ে মারতে যাবে ফালাক ধরে ফেলে।
“একদম না। চেষ্টাও করো না। পরে দেখা যাবে এই পানি দিয়ে তোমার গরম মাথা ঠান্ডা করে দিয়েছি।”
রুহানি ফালাকের কথা শুনে নাক ফুলিয়ে ফুসফুস করছে। এই প্রথম কেউ ওকে হারিয়ে দিচ্ছে। মেনে নিতে পারছে না কিছুতেই মেনে নিতে পারছে না।
ফালাক পানির বোতল দূরে ছুড়ে মারল। তারপর সবাইকে উদ্দেশ্য করে বলল,
“এই তোমাদের সমস্যা কি হাহ? ল্যাং মারলে কেন? কথা বলছো না কেন?”
সবাই উত্তর না দিয়ে বিস্ফোরিত দৃষ্টিতে চেয়ে আছে। কারো উত্তর না পেয়ে রুহানিকে উদ্দেশ্য করে বলল,
“মাথায় সমস্যা না-কি? চেনা নেই জানা নেই ল্যাং মারলে আবার পানি মারতে যাচ্ছিলে। তোমার না হয় মাথায় গন্ডগোল কিন্তু বাকিদের। ওহ! হ্যাঁ। পাগলে তো পাগলই চিনে। যত্তসব পাগল ছাগলের দল। কার মুখ দেখে উঠেছিলাম যে ভার্সিটিতে ঢুকেই এই পাগল-ছাগল মিলেছে। সবই কপাল।”
রুহানি আর সহ্য করতে পারছে না। রাগে হিতাহিত জ্ঞান হারিয়ে ফেলছে। আচমকা ফালাকের কলার চেপে ধরে।
“অনেক বলেছিস, অনেক। তোর এত বড় স্পর্ধা আমাকে পাগল বলিস। তুই জানিস আমি কি করতে পারি?”
ফালাকের কোন ভ্রুক্ষেপ নেই।
সবার দিকে তাকাল। তারপর বলল,
“তোমাদের লিডার নিজেই প্রমাণ করে দিল ও যে পাগল। এখানে রেখেছো কেন? ওকে মেন্টাল হসপিটালে পাঠিয়ে দেও। নয়তো যেকোন সময় কামড়ে দিতে পারে।”
রুহানি ফালাকের কলার আরো শক্ত করে চেপে ধরল। ফালাক এক টানেই নিজেকে ছাড়িয়ে নিয়ে বলল,
“নিজেকে যতটা শক্তিশালী মনে করো ততটাও নয়। নেক্সট টাইম বিপদজনক জায়গায় দেখা হচ্ছে।”
ফালাক এ কথা বলে চলে গেল।
রুহানি রাগ সামলাতে পারছে না। মান-সম্মান বলতে কিছুই রইল না। আজ একা একটা ছেলে এভাবে অপমান করে গেল। আর ও কিছুই করতে পারল না। পাইচারি করছে আর ভাবছে কি করা যায়। কি করে শায়েস্তা করা যায়। তখনই পিয়ন এসে জানাল আফজাল স্যার ওদের ডাকছে। তায়েফ পিয়নের কাছে কারণ অনুসন্ধান করে জানতে পারল রুহানি নাকি এম. বিএ পড়ুয়া এক ছেলেকে ল্যাং মেরে ফেলে দিয়েছে পাশাপাশি খুবই দুর্ব্যবহার করেছে।
তায়েফের কথা শুনে রুহানি হাই বেঞ্চ থেকে নেমে দাঁড়াল। তারপর বিস্ময় নিয়ে বলল,
“এম. বিএ! তার মানে সিনিয়র? তোরা জানতি?”
নুশা আতংকিত কন্ঠে বলল,
“এই ছেলেকে দেখে কোন দিক দিয়েই সিনিয়র মনে হয় না। সিনিয়রের সাথে এমন ব্যবহার করেছি আর সেটা স্যারের কানে চলে গেছে। এবার আর আমাদের রক্ষে নেই রুহানি।”
রুহানি ধমক দিয়ে বলল,
“চুপ কর তো। এত ভয় পাস কেন? ভাবতে দে কি করা যায়। কোন ভাবে স্যারের রুম থেকে বের হয়ে আসি তারপর এই সিনিয়রকে দেখে নেব।”
~বর্তমান~
“স্যার, আমি আসলে আমার এক ফ্রেন্ডের সাথে মজা করছিলাম। ওর সাথে মজা করার জন্য আমরা লুকিয়ে ছিলাম। ও ক্লাসের দিকেই আসছিল। বাট ইনি কোথায় থেকে চলে এলো আর ও কোথায় চলে গেল কিছুই বুঝতে পারি নি। আসার কথা তো ছিল আসিফের তাই পা বাড়িয়ে দিয়েছি। আর পরে দেখলাম উনি। অনেক বড় গরবড় হয়ে গেছে। সেটা বুঝতে পেরে আমরা সরি বলতে চেয়েছিলাম কিন্তু উনি তো আমাদের সেই সময় সুযোগ দেয় নি। তিনি আমাদের অসভ্য, বেয়াদব, পাগল ছাগলের দল যা নয় তাই বলল। এমনকি আমাকে বলেছে আমার না-কি মাথায় গন্ডগোল। আমাকে মেন্টাল হসপিটালে পাঠানো দরকার ব্লা ব্লা ব্লা। তিনি যদি আমাদের সুযোগ দিতো তবে এখানে আসার প্রয়োজন ছিল না। ওখানেই সব মিটে যেত।”
ফালাক গম্ভীরভাবে বলল,
“শাট আপ! একদম মিথ্যা কথা বলবে না। তোমরা সব জেনে বুঝে করেছো। আমি পড়ে যাওয়ার পর সবাই মিলে উচ্চস্বরে হাসছিলে কেন? আমাকে পানি ছুড়তে কেন চেয়েছিলে? এটা যদি এক্সিডেন্ট হতো তাহলে কিছুতেই এ-সব হতো না। স্যার ওরা বাঁচার জন্য মিথ্যা গল্প বানাচ্ছে।”
অতঃপর রুহানি আর ফালাকের মধ্যে ঝগড়া শুরু হয়ে গেল। আফজাল হোসেন ওদের কান্ড দেখে জোরে ধমক দিয়ে বলল,
“শাট আপ! তোমাদের স্পর্ধা তো কম নয়। অসভ্য, বেয়াদবের দল। আমার সামনে দাঁড়িয়ে ঝগড়া করছো? চিৎকার করছো?গেট আউট। গেট আউট ফ্রম দ্যা রুম।”
ওরা সবাই রুম থেকে বের হয়ে গেল। রুহানি দ্রুত পায়ে কেন্টিনে চলে গেল। মিনারেল ওয়াটার নিয়ে দ্রুত গলা ভিজিয়ে নিল তারপর বোতল ছুড়ে ফেলে দিল। রাগে ওর শরীর কাঁপছে।
চেয়ার টেনে বসে পড়ল। তায়েফ কোল্ড ড্রিংক এনে ওর সামনে রেখে বলল,
“মাথা ঠান্ডা কর। নে এটা খা।”
রুহানি কোল্ড ড্রিংকের বোতলের দিকে একবার তাকিয়ে তায়েফের দিকে তাকাল। তারপর পুরো কোল্ড ড্রিংক তায়েফের মাথায় ঢেলে দিল।
তায়েফের বন্ধুরা হাত দিয়ে মুখ চেপে ধরে আছে। তায়েফ রুহানির দিকে বিস্ময় নিয়ে চেয়ে আছে।
রুহানি উঠে দাঁড়িয়ে বলল,
“হয়েছে তোর মাথা ঠান্ডা? তুই তোর মাথা ঠান্ডা কর। আবাল কোথাকার।”
তায়েফ উত্তর দিল না। রুহানি হনহন করে হেঁটে চলে গেল। হেঁটে চলেছে কিন্তু কোথায় গন্তব্য জানা নেই। কিছুতেই অপমানগুলো ভুলতে পারছে না। বারবার ঘটনাগুলো চোখের সামনে ভেসে উঠছে।
রুহানি হটাৎ দাঁড়িয়ে গেল। কিছুটা দূরে ফালাককে দেখা যাচ্ছে। ইচ্ছে করছে ওর গলা চেপে ধরতে। ফালাকের চোখ পড়ল রুহানির দিকে। কেমন অদ্ভুতভাবে চেয়ে আছে রুহানির দিকে।
ফালাক রুহানির দিকে এগিয়ে আসছে। রুহানি ওর আসার অপেক্ষা করছে কিন্তু ফালাক ওকে অবাক করে দিয়ে পাশ কাটিয়ে চলে গেল। রুহানে পেছনে ঘুরে কিছুটা জোরে বলল,
“এই ভার্সিটি তোমার জন্য জাহান্নাম বানিয়ে দেব। যদি না পারি তো আমার নাম রুহানি না।”
ফালাক পেছনে তাকিয়ে বলল,
“চ্যালেঞ্জ একসেপ্টেড। আর হ্যা তোমার নতুন নাম কিন্তু আমি দেব।” বলেই বাকা হাসল।
রুহানি হনহন করে হেঁটে চলে গেল।
চলবে…..