#নীলাময়ীর_প্রেমে
#তারিন_জান্নাত
#পার্ট০১
আকাশ এতো মেঘলা যেও না কো একলা!!??
মিয়ান : দোস্ত তোর গুনগুনানি বন্ধ কর! আর আকাশ কই মেঘলা দেখা মোরে।
রাহা : কেনো??
মিয়ান : তুই যা গাস সবাই তো চেয়ে আছে না তোর গান বুঝবে,,না তোর গান বুঝে মজা পাবে…বরং তুই চুপ থাক…
রাহা : দেখ আমার মোড খারাপ করিস না! আজকে পিকনিকে যচ্ছি সবাই মিলে.. আমার কত দিনের ইচ্ছে পূরণ হবে বলতো…বাড়ি থেকে কখনো তো বের হতে পারিনি…আজ যখন বের হলাম…তুই দেখছি আমার…
মিয়ান : সরি রাহা বেবি…! চল এবার নাম ভার্সিটি চলে এসেছি…দেখ কতগুলা বাস.. আমরা কোনটাতে যাবো??
মিয়ানের কথায় কোনো হুস নেই রাহার..পাশে তাকিয়ে আছে কাকে যেনো দেখছে সে ভয়ে কুঁকড়ে যাচ্ছিলো মানুষটাকে দেখে…কাঁপতে লাগলো ভয়ে…দিক বিবেচনা না করেই সামনের দিকে পা বাড়াই কোনদিকে যাচ্ছে খেয়াল নেই রাহার….
হঠাৎ প্রচন্ড জোরে একটা গাড়ি আসছিলো..গাড়ি দেখেই রাহার হুস আসে সে ঘোরের মধ্যে দিয়ে হেঁটে মাঝরাস্তায় চলে এসেছে…ভয় পেয়ে রাহা কান চেপে ধরে বসে পরে রাস্তাই…গাড়িটা খুব জোড়েই ব্রেক কষে একটু দূরেই এসে দাড়ায়,,,রাহা তখনো কান চেপে চোখ বন্ধ করে রাখে….
তখনি গাড়ি থেকে ফাহান দ্রুতগতিতে নেমে রাহার সামনে হালকা হাঁটু মুড়ে বসে পরে..দুজনেই দুজনের কাছে অপরিচিত! তাই মেয়েটকে কি বলে সম্মোধন করবে ভেবে পাচ্ছিলো না ফাহান…
ফাহান : এই যে মিস নীলরঙ(নীলরঙের ড্রেস পরেছে তাই)..উঠুন এভাবে মাঝরাস্তায় বসে আছেন কেনো?? যদি এক্সিডেন্ট হয়ে যেতো??(হালকা ধমকের সুরে)
রাহা ছেলের কন্ঠ শুনতেই চোখ তুলে তাকায়..সামনে হঠাৎ ছেলেকে দেখেই আরো ভয় পেয়ে যায়….
রাহা : সরেন সামনে থেকে..সরেন..(চিৎকার করে)
ফাহান রাহার এমন আচরনে ভ্রু কুঁচকে তাকায়..মিয়ান ততক্ষনে এসে রাহাকে উঠিয়ে বোতল এগিয়ে দেয় পানি খাওয়ার জন্য…
রাহা কিছু না বলে চুপচাপ ভার্সিটিতে ডুকে পরে..মিয়ান ফাহানকে সরি বলে রাহার পেছনে দৌড় দেয়..
ফাহান বোকার মতো তাদের চলে যাওয়া দেখছে…চলে যাওয়ার জন্য পা বাড়াতেই পায়ের নিচে কিছু একটা লাগে..তাকাতেই দেখে ফোন..
ফোনটা হাতে নিয়ে ভার্সিটির যেই দিকে যাবে..তখনি নোভার ডাক পরে…
নোভা : Fahan? What happened? Come on, we’ll be late for the concert….
ফাহান উল্টা দিক থেকে ফিরে নোভার দিকে তাকায়,,আবার হাতের ফোনের দিকে..পকেট থেকে টিস্যু বের করে ফোনটা মুছে নিজের পকেটে ডুকিয়ে গাড়িতে গিয়ে বসে পরে…
আবির : কি হয়েছে ফাহান??মেয়েটা কে??
ফাহান : জানি না…(গম্ভীর হয়ে)
নোভা : কি হয়েছে তোর?? হঠাৎ??
ফাহান : আরে বললাম না কিছু না!( ধমক দিয়ে)
আবির : ওকে ওকে অনেকটা পথ জার্নি করতে হবে এখন চুপ থাকি..নাহলে ঘুমিয়ে নে..লাইভ কনসার্টে ভালোভাবে পারফর্ম করতে পারবি…
ফাহান চুপ হয়ে যায়..শুধু রাহার অদ্ভুদ আচরনের কথা মনে করিয়ে দিচ্ছে…
ফোনটা বের করে স্ক্রিনের লাইট অন করতেই রাহার হাসিমাখা মুখ ভেসে উঠে..
ফাহান : (আজব!! আজ কাল কার দিনেও ফোনে লক ইউস করে না,,)
ফাহান ফোনের গেলারি তে ক্লিক করতে গিয়েও থেমে যায়…
ফাহান : (নো এভাবে কারো ফোনে উইথআউট পার্মিশনে দেখা ভালো নয়..বাট ফোনটা তো ফেরত দিতে হবে)
ফাহান ফোনটা ভালোভাবে পর্যবেক্ষণ করে দেখে ফোনটা এবং কভারটা ‘নীলরঙের’ লক স্ক্রিনে ছবিটিতে ও নীল রঙের ড্রেস পরেছে..একটু আগেও যে ড্রেসটা পরেছে সেটাও নীল রঙের… ডিজাইন আলাদা…
ফাহান : ( ‘মিস নীলরঙ’)
বলেই ফাহান মৃদু হেসে ফোনটা পকেটে রেখে দেয়…
হঠাৎ দরজায় টোকা পরার শব্দে অতীতের স্মৃতি থেকে বেরিয়ে আসে ফাহান…
বাইরে থেকে তার মায়ের গলার আওয়াজ শুনতে পাচ্ছে…
ফাহান : মা প্লিজ আমাকে জোর করো না,,আমি ভাত খাবো না……
(চলবে)