Monday, October 6, 2025







বাড়ি"ধারাবাহিক গল্প"তোর_শহরে_ভালোবাসা পর্ব-৩০

তোর_শহরে_ভালোবাসা পর্ব-৩০

#তোর_শহরে_ভালোবাসা??
……..{সিজন-২}
#ফাবিহা_নওশীন

পর্ব~৩০

আদির ভালো লাগছে না।নতুন জায়গা,নতুন মানুষ।এসবের ভীরে দম বন্ধ হয়ে আসছে।সামুকেও পাওয়া যায়না তেমন।ওর কাজিনরা ওকে ছাড়েই না।আদির খাওয়া বেশি হয়ে গেছে।এ কারণে অস্থির লাগছে।আদি বারান্দায় শার্টের বাটন খোলে বসে আছে।

সামু তখনই ঘরে ঢুকলো।আদিকে রুমে না পেয়ে বারান্দায় এসে আদিকে দেখতে পেলো।সামু ইচ্ছে করেই আদির পেটে খোচা দিলো।
—–সামু খোচাবে না প্লিজ পেট ফেটে যাবে।
অনেক খাওয়া হয়ে গেছে।বাবা গো এতো খাবার আমি লাস্ট এক সপ্তাহেও খাইনি।

সামু খিলখিল করে হেসে উঠলো।
তারপর আবারো খোচাতে লাগলো।আদি নড়ে-চড়ে উঠলো।
—–সামু প্লিজ।আমার সত্যিই অস্থির লাগছে।
সামু ছেড়ে দিলো।
—–তোমাকে বললাম তুমি বুঝেও আমাকে কোনো হেল্প করলে না কেন?

—–শ্বশুর বাড়ি এসেছো একটু তো খাবেই।নয়তো জামাই আদর হবে নাকি?

—–তাই না?
বাট আমার এই জামাই আদর দেখে পালাতে ইচ্ছে করছে।এতো খেলে মরে যাবো।তুমি বিধবা হবে।

সামু আদির কথা শুনে রাগ দেখিয়ে বললো,
—–আদি!! একদম ফালতু কথা বলবেনা।

আদি সামুর গাল টেনে বললো,
—–ওকে বাবা ওকে।কিন্তু এখানে নেটওয়ার্ক এমন কেন?আমার টাইম পাস হচ্ছে না।

—–ওয়াইফাই অন করো।

আদি ফোন হাতে নিয়ে বললো,
—–পাসওয়ার্ড বলো।

পাসওয়ার্ডের কথা শুনে সামু চুপ করে গেলো।তারপর বললো,
—–ফোন দেও সেভ করে দিচ্ছি।

আদির ডাউট হলো।তাই বললো,
—–না তুমি বলো।

সামান্তা হেসে বললো,
—–I’m crazy girl..

আদি পাসওয়ার্ড শুনে থ।তারপর হেসে বললো,
—–যাক স্বীকার করলে।

তখনই দরজায় নক পড়লো।
সামুর কাজিনরা ডাকছে।

আদি বললো,
—–নেও তোমার দলের লোক এসে গেছে।যাও যাও…এখানে এসে তো আমাকে ভুলেই গেছো।এর জবার আমি বাড়িতে গিয়ে নিবো।

—–আহারে! জবাবওয়ালা।কতদিন পর এসেছি।সব সময় তো তোমার সাথেই থাকি।দুদিন না-হয় ওদের সঙ্গে সময় কাটাই।আর এমন নয় আমি তোমার খেয়াল রাখছিনা,তোমাকে সময় দিচ্ছিনা।তুমিও চলো।

আদি দমে গিয়ে বললো,
—–না বাবা দরকার নেই।আমি এখানেই ভালো আছি।

—–ঠিক আছে রুমে গিয়ে বসো এখানে তো গরম।

—-গরম বাট হাওয়া আছে।আমার হাওয়ার দরকার।তুমি যাও।তাড়াতাড়ি এসো প্লিজ।একা একা ভালো লাগে না।

—–ঠিক আছে চলে আসবো।


আদি ঠিক করে নিয়েছে ও আর এখানে থাকবেনা।ও এখানে খাপ খাওয়াতে পারছেনা।নতুন মানুষ, পরিবেশ এসব মিলে ওর দম বন্ধ হয়ে আসছে।সকাল বেলায় চলে যাবে।
ডিনার করে এসে আদি সামুকে বললো,
—–সামু আমি আর এখানে থাকতে পারছিনা,চলে যাবো প্লিজ।
প্ল্যানের টিকিট বুক করা হয়েছে।সকালে ফ্লাইট।

সামু অবাক হয়ে বললো,
—–তুমি আমাকে ছেড়ে চলে যাবে?

—–বোকা মেয়ে,তোমার কি মনে হয় আমি তোমাকে রেখে চলে যাবো?উহু।তোমাকে নিয়েই যাচ্ছি।

—–কিন্তু আদি তুমি তো বলেছিলে আমরা দুদিন থাকছি।

—–সামু প্লিজ অন্য সময় আসবো।

—-কিন্তু আদি এভাবে হুট করে বাড়ির লোকদের কি বলবো?

—–বলবে আমার অফিসে জরুরী কাজ পড়ে গেছে।।

সামু অসহায় ভাবে বললো,
—-আদি!! প্লিজ।

আদি সামুর দুগালে হাত রেখে বললো,
—-আমরা আবার আসবো।জিনিসপত্র গুছিয়ে নেও।থাক এখন গুছাতে হবে না।সকালে গুছিয়ে নিও।এখন ঘুমাও।

সামু কিছু না বলে শুয়ে পরলো।আদি যখন একবার বলেছে চলে যাবে তো যাবেই।হাজার বলেও লাভ হবেনা।সামুর নিজের অবস্থার কথা ভেবেই কান্না পাচ্ছে।ভিতরটা দুমড়ে মুচড়ে যাচ্ছে তবুও চুপ করে আছে।কেননা আদি ওকে পেছন থেকে জড়িয়ে ধরে ঘুমিয়ে আছে হয়তো এখনো ঘুমায়নি।

সামুর যাওয়ার কথা শুনে হটাৎ করেই বাড়িটা নির্জীব হয়ে গেছে।যেখানে গতকাল থেকে সামুর যাওয়ার নিউজ জানার আগ পর্যন্ত উৎসবমূখর পরিবেশ বিরাজ করছিলো।সামুর বাবা আদির সাথে যাওয়া নিয়ে কথা বলতে চাইলে সামু নিষেধ করে দেয়।

সকালের নাস্তা সেরে ভারাক্রান্ত মনে সামু বাড়িতে ব্যাক করছে।সবাই মুখ ভার করে আছে।ওভাবেই সামান্তা শুকনো হাসি দিয়ে সবার থেকে বিদায় নিলো।

আদি সামান্তা গাড়িতে পাশাপাশি বসে আছে।সামু চুপ করে জানালার কাচে মাথা ঠেকিয়ে রেখেছে।আদির আড়ালে সামুর চোখ থেকে এক ফোটা অশ্রুবিন্দু গাল বেয়ে পড়লো।সামু তাড়াতাড়ি আদির আড়ালেই চোখের পানি মুছে নিলো।আদি বারবার সামুর দিকে তাকাচ্ছে।ওর এই চুপ হয়ে যাওয়াটা মেনে নিতে পারছেনা।
আদি হটাৎ ড্রাইভারকে বললো,
—–গাড়ি থামান।

সামু আদির কথা শুনে অবাক হয়ে গেলো।গাড়ি কেন থামাতে বলছে।
সামু আদির দিকে ঘুরে বললো,
—–কি হলো আদি?গাড়ি থামাতে বলছো কেন?কিছু দরকার?

আদি সামুর কথার উত্তর না দিয়ে বললো,
—–ব্যাক করুন।আমরা যাচ্ছিনা।

সামু আদির কথা শুনে আদির দিকে অবিশ্বাসের দৃষ্টিতে চোখ বড়বড় করে তাকালো।আদি সামুর দিকে চেয়ে স্নিগ্ধ হাসি দিলো।যার মানে হ্যা আমরা যাচ্ছিনা।
সামু খুশিতে আদিকে জড়িয়ে ধরে চুমু খেতে নিয়ে সাথে সাথেই সরে গেলো।সামনে ড্রাইভার আছে সেটা তো ভুলেই গেছে।
আদি সামুর অবস্থা দেখে হাসছে।সামু লজ্জায় কুকড়ে যাচ্ছে।অতি আনন্দে উত্তেজিত হয়ে কি করতে যাচ্ছিলো।
আদি হাসি থামিয়ে সামুর কানের কাছে গিয়ে আস্তে আস্তে বললো,
—–সমস্যা নেই পাওনাটা বাড়িতে গিয়ে নিয়ে নিবো।

সামু প্রতিউত্তরে কিছুই বলেনি শুধু লজ্জা মাখা হাসি দিলো।

সামু বাড়িতে গিয়ে দেখে ওর কাজিনরা সব গোছগাছ শুরু করে দিয়েছে বাড়িতে চলে যাওয়ার জন্য।
সামুকে দেখে সবাই ভূত দেখার মতো চমকে উঠে।সামুর বাবা সোফায় মাথা ঠেকিয়ে শুয়ে ছিলো মেয়েকে দেখে তার মুখে হাসি ফুটলো।আবারো উৎসব মূখর
পরিবেশ সৃষ্টি হলো।

সামু রুমে গিয়ে ফ্রেশ হতেই আদি ওর সামনে দাড়ালো।
—–আমার পাওনাটা?

সামু ভ্রু কুচকে বললো,
—–কিসের পাওনা?

আদি নাক ফুলিয়ে বললো,
—–সামু ড্রামা করবে না।

তখনই দরজায় নক পড়লো।।
—–সামু ফুপি ডাকছে।

সামু আদির দিকে চোখ ছোট ছোট করে চেয়ে বললো,
—–ফুপি ডাকছে।

সামু যেতে নিলেই আদি সামুর হাত ধরে ফেললো।
—–মেরি জান পাওয়া না মিটিয়ে যেতে
পারবেনা।আগে পাওনা মিটাও তবেই হাত ছাড়বো।

সামু বাধ্য হয়েই আদির গালে চুমু খেয়ে হাগ করলো।
—–আদি থ্যাঙ্কিউ আমাকে বোঝার জন্য।আমাকে আরেকটা দিন থাকার সুযোগ দেওয়ার জন্য।

—–হুম বাট আগামীকাল আর থাকবোনা।

আরো একটা দিন পরিবারের সাথে হৈ-হুল্লোড় করে সামু খুশি মনেই আদির সাথে ঢাকায় ব্যাক করলো।
নিশি আসবে।সব ব্যবস্থা চলছে।

নিশি আসতেই বাড়িতে হয়ে হৈ-হুল্লোড় শুরু হয়ে যায়।নিশির আসার খবর পেয়ে আত্মীয় স্বজনরা সব চলে এসেছে।সবাই নিশির প্রচুর খেয়াল রাখছে।মামী,ফুপুরা সবাই নিশিকে গর্ভাবস্থায় কি কি করতে হবে,কিভাবে চলতে হবে সেসব বিষয়ে পরামর্শ দিতে শুরু করে দিয়েছে।নিশি আগ্রহের সাথে শুনে যাচ্ছে।
সামুও বসে বসে শুনে যাচ্ছে।
সামুকে এভাবে শুনতে দেখে নিশি বললো,
—–সামু শিখে রাখ দুদিন পরে তোর কাজে আসবে।

সামুকে নিশি এসব বলতেই নিশির মা বললো,
—–সামু এখনো ছোট।পড়াশোনাও অনেক বাকি আছে।ও এখন এতো কিছু সামলাতে পারবেনা।আরো দু-এক বছর যাক।ওকে আমরা কেউ চাপ দিবোনা।

সামু মুচকি হাসি দিলো।

নিশি গোসল করে চুল কোনো রকম মুছেই দুপুরের খাবার খাওয়ার জন্য এসেছে।চুল দিয়ে পানি পড়ছে।সামু দৌড়ে তোয়ালে নিয়ে এসে নিশির চুল মুছছে।
নিশি বাধা দিয়ে বললো,
—–সামু কি করছিস?

—–আপু চুপ করে বসে থাকো।চুল দিয়ে পানি পড়ছে।পানি মুছতে দেও।জানো এই সময় ঠান্ডা লাগানো ঠিক না।

—–এসেছে মহাজ্ঞানী।ঠিক আছে মহারাণী আপনি যা বলবেন তাই।

আদি চেয়ার টেনে বসতে বসতে বললো,
—–হ্যা উনি তো তিন ডজন বাচ্চার মা।উনি এসব বিষয়ে তোর চেয়ে এক্সপার্ট।নিশি সামুর থেকে সব বিষয়ে পরামর্শ নিবি বুঝলি?

সামু আদিকে কনুই দিয়ে গুতা মেরে বললো,
—–এটুকু জানতে তিন ডজন বাচ্চার মা হতে হয়না।
আর আজ নেইতো কি হয়েছে,কোনো দিন হবে।

নিশি অবাক হয়ে বললো,
—–আমি তিন ডজন বাচ্চার ফুপি হবো?

সামু কপাল কুচকে নাক ফুলিয়ে বললো,
—–আপু!!!
যাও তোমার সাথে কথা নেই।

সামু চেয়ার টেনে বসে খাবার বাড়ছে।আদি সামুর কানে ফিসফিস করে বললো,
—–সত্যিই তিন ডজন বাচ্চার বাবা হবো?

সামু চামচ দিয়ে আদিকে বাড়ি মেরে বললো,
—–হ্যা হবে।আর সব গুলো তোমার গলায় ঝুলিয়ে দেবো।আমি পা ঝুলিয়ে বসে থাকবো আর তুমি লালন পালন করবে সব ক’টাকে।

আদি অসহায় ভাবে বললো,
—–ইয়া মাবুদ! রক্ষা করো।

.

দেখতে দেখতে নিশির ডেলিভারির তারিখ এসে পড়েছে।
সবাই চিন্তিত মুখে বসে আছে।জয় কডিটোর জুড়ে পাইচারি করছে।আদি ওকে বারবার শান্তনা দিচ্ছে।আদি নিজেও চিন্তিত।নখ কাটছে দাত দিয়ে।
কিছুক্ষণ পর অপারেশন থিয়েটারের লাইট অফ হয়ে গেছে।ডাক্তার বেরিয়ে এসে খুশির খবর দিলো ছেলে হয়েছে।
একজন নার্স তোয়ালে জড়িয়ে বাবুকে নিয়ে এলো।ছেলে হয়েছে।সবাই বাচ্চাটাকে নিয়ে আহ্লাদী হয়ে পড়লো।শেষে আদিও কোলে নিলো।

সামু গিয়ে জিজ্ঞেস করলো,
—–কেমন ফিলিং হচ্ছে?

আদি মুচকি হেসে বাবুকে চুমু খেয়ে বললো,
—–জানি না তবে খুব ভালো লাগছে।

নিশিকে এ বাড়িতে নিয়ে এসেছে।কিছুদিন এখানেই থাকবে।নিশির শ্বশুর বাড়ি থেকে প্রথমে রাজি হয়নি কিন্তু পরে আসতে দিয়েছে।নিশির মা বলেছে এক মাস থাকবে।সামু আদি দুজনেই বেবির সাথে এটাচ হয়ে পড়েছে।আদি প্রায় সময় (নিহাদ)বেবিকে কোলে রাখে।
একমাস পরে নিশি চলে যায়।বাড়ি পুরো ফাকা ফাকা লাগছে।আদিরও মন খারাপ।

দ্বিতীয় বর্ষের পরীক্ষা শেষ।সামু বাড়িতে বোরিং সময় কাটাচ্ছে।আদি সুইজারল্যান্ড যাওয়ার প্ল্যান করেছে।কিন্তু ইদানীং সামান্তার মাথা ঘুরায়,বমি বমি লাগছে।কিছু খেতে পারেনা।গা গুলায়।শরীর অনেক দূর্বল লাগে।সামান্তার বিষয়টি ভালো ঠেকছেনা।সামু ভয়ে ভয়ে নিজেই প্রেগন্যান্সির কিড দিয়ে টেস্ট করে।রেজাল্ট পজিটিভ।সামুর বুক ধুক করে উঠলো।কেন করলো জানেনা।
খুশিতে না ভয়ে?
সামু হাত মুখ ধুয়ে ওয়াশরুম থেকে বের হয়ে আসে।আদি অফিসের কাজ শেষ করে ল্যাপটপ রেখে উঠে দাড়ালো।সামুকে মনমরা দেখে সামুর সামনে গিয়ে দাড়ায়।সামু অন্যমনস্ক হয়ে কিছু ভাবছে।আদি সামুর চোখের সামনে চুটকি বাজায়।সামুর হুশ আসে।আদির দিকে চেয়ে আছে।

আদি হাত নাড়িয়ে বললো,
—–কি কোথায় হারিয়ে গিয়েছো?

সামু স্নিগ্ধ হেসে মাথা নাড়িয়ে বললো,
—–কিছুনা।

—–শিওর?

—–হুম।

আদি সামান্তাকে কোলে তুলে নিয়ে বললো,
—–অনেক টায়ার্ড লাগছে।তোমাকেও টায়ার্ড দেখাচ্ছে।চোখ মুখ কেমন শুকিয়ে গেছে।চলো ঘুমাই।

সামু আদির বুকে মাথা রেখে ভাবছে আদিকে কিভাবে বলবে।
—–আদি ঘুমিয়ে পড়েছো?

—–উহু।।

—–নিহাদকে মিস করোনা?

—–হুম অনেক।

—–আমাদের একটা বেবি…

আদি সামুকে থামিয়ে দিয়ে বললো,
—–এখন না।আর এক বছর যাক।তুমি আরেকটু বড় হও।

সামু আর কথা বাড়ালো না।

সামু কিছু খেতে পারছেনা।আদির মা ব্যাপারটা লক্ষ্য করছে।সামু কেমন শুকিয়ে যাচ্ছে।
সবাই এক সাথে নাস্তা করছে।সামু প্লেট থেকে পেপে উঠিয়ে রাখলো।সালাদ থেকে গাজর বেছে বেছে ফেলে দিচ্ছে।

আদির মা সামুর কান্ড দেখে বললো,
—–কি করছিস?কি হয়েছে তোর? ঠিক মতো খাওয়া দাওয়া করছিস না।এখন আবার ফেলে দিচ্ছিস।শরীরের কি অবস্থা করেছিস।
আদি কি হয়েছে সামুর?

আদি বেশ চিন্তিত ভংগীতে বললো,
—–মা জানি না।
সামু চলো আজই ডাক্তারের কাছে যাবো।
আর এগুলো ফেলবে না।
আদি জোর করে সামুর মুখে তুলে দিয়েই সামু আদির হাত থেকে ফেলে দিলো।আদি সামুর এহেন আচরণে অবাক হয়ে গেলো।পাশাপাশি বাকিরাও।
সামুর চোখে পানি টলমল করছে।
সামুর গা গুলিয়ে যাচ্ছে।সামু দৌড়ে ওয়াশরুমে চলে গেলো।

আদির মা,বাবা,আদি সবাই ওর পেছনে পেছনে গেলো।
সামু ওয়াশরুম থেকে বেরুতেই আদির মা সামুর মাথায় পিঠে হাত বুলিয়ে বললো,
—–সামু কি হয়েছে? এমন করছিস কেন মা?শরীর খারাপ লাগছে?
আদি তাড়াতাড়ি ডাক্তার ডাক।কি হলো মেয়েটার?

আদি ডাক্তারকে ফোন করতেই সামু বললো,
—–ডাক্তার লাগবে না।আমি জানি আমার কি হয়েছে।

আদির সামুর মলিন মুখের কথাগুলো শুনে বুক ধুক করে উঠলো।সামুর কি হলো।
আদি ভয়ে ভয়ে বললো,
—–কি হয়েছে?

সামু মাথা নিচু করে আমতা আমতা করে বললো,
—–আসলে আমি প্রেগন্যান্ট।

সামুর কথা শুনে আদির মা বাবা দুজনেই খুশি।খুশিতে তাদের চোখে পানি এসে গেছে।
আদি হা করে আছে।আদির মা সামুকে জড়িয়ে ধরে বললো,
—–কতবড় খুশির খবর দিলি তুই।
এখুনি ডাক্তার ডাকছি।

আদি কিছুনা বলে বাড়ি থেকে বেরিয়ে গেলো।আদির এভাবে চলে যাওয়া দেখে সবাই স্তব্ধ হয়ে গেলো।
সামুর চোখে পানি এসে পড়লো।আদি ভালো মন্দ কিছুই বললো না।এভাবে হুট করে বেরিয়ে গেলো কেন? তবে কি আদি হ্যাপি না?

চলবে….

গল্প পোকা
গল্প পোকাhttps://golpopoka.com
গল্পপোকা ডট কম -এ আপনাকে স্বাগতম......
RELATED ARTICLES

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে

- Advertisment -

Most Popular

Recent Comments

Md masrur Hasan mahi على অবুঝ_বউ পার্ট: ৫
আমিনুল ইসলাম على প্রয়োজন পর্ব: ৩০ ( অন্তিম)
সাজিবুল ইসলাম على ধর্ষিতাবউ২ ৯ তথা শেষ পর্ব
শাহিদুল ইসলাম على জীবন সঙ্গী ১ম পার্ট
শাহিদুল ইসলাম على জীবন সঙ্গী ১ম পার্ট
Nita Sarkar على স্বপ্নীল ৬৮
শিয়াসা ইসলাম হুরিজিহান على রহস্য শেষ_পর্ব
শিয়াসা ইসলাম হুরিজিহান على অলক্ষ্যে তুমি পর্ব-০৬ এবং শেষ পর্ব
Nazmun Nahar Akhi على Psycho_is_back? part_7
Nazmun Nahar Akhi على Dangerous_Villian_Lover part 2
শিয়াসা ইসলাম হুরিজিহান على জানালার ওপারে পর্ব-১৭ এবং শেষ পর্ব
শিয়াসা ইসলাম হুরিজিহান على লীলা বোর্ডিং ১২১৫ পর্ব-১১ এবং শেষ পর্ব
মিজানুর রহমান রাহুল على সেই তুমি পর্ব-০১
@feelings على প্রহেলিকা
Anamika Basu على সে পর্ব-১২
Anamika Basu على সে পর্ব-১২
Nusrat jahan على coffee & vanilla Part-10
Pallabi Roy على স্বপ্নীল ৬৮
M.D Mahabub على The_Villain_Lover Part_2
Labani sarkar على Dangerous_Villain_Lover part 23
MD Akas Apc على বিবেক
Tanisha Ahmed على Devil love part-18 
Aius Barmon shorob على নারীর দেহকে নয়
Chandan roy على স্বপ্নীল ৬৮
Chandan roy على স্বপ্নীল ৬৮
Riya Biswas على তুমি রবে ৬০
Priya Banerjee على devil love married life last part
Riya Biswas على তুমি রবে ৬০
Riya Biswas على তুমি রবে ৫২
Mohammad Adib على তুমি রবে ৬০
Avni Ayesha على তুমি রবে ২৮
গল্প পোকা على Love At 1st Sight Season 3 Part – 69
সুমিত على তুমি রবে ২৮
TANJIBA ZENIFAR على তুমি রবে ৫০
TANJIBA ZENIFAR على তুমি রবে ৫০
Samiah Begum على তুমি রবে ৫১
biddut das rocky على নর নারী
গল্প পোকা على নষ্ট গলি শেষ পর্ব
Md Jobayer Hossain Shohag على নষ্ট গলি পর্ব-৩০
গল্প পোকা على দুই অলসের সংসার
গল্প পোকা على মন ফড়িং ❤৪২.
A.J.S Rakib على মন ফড়িং ❤৪২.
গল্প পোকা على গল্পঃ ভয়
গল্প পোকা على গল্পঃ ভয়
গল্প পোকা على গল্পঃ ভয়
Samiya noor على গল্পঃ ভয়
Sadikul على গল্পঃ ভয়
Samia Islam على গল্পঃ ভয়
শূন্য মায়া على মন ফড়িং ❤ ৪০.
Sutapa biswas على মন ফড়িং ❤৩৯.
Foysal Mahmud على My_Mafia_Boss_Husband Part: 16
sutapa biswas على মন ফড়িং ❤ ৩৮.
sutapa biswas على মন ফড়িং ❤ ৩৭
Foysal Mahmud على My_Mafia_Boss_Husband Part: 16
Siyam على বিবেক
Sudipto Guchhait على My_Mafia_Boss পর্ব-৯
saptami karmakar على devil love married life last part
saptami karmakar على devil love married life last part
মায়া على মন ফড়িং ৩০.
মায়া على মন ফড়িং ৩০.
মায়া على মন ফড়িং ২৬.
Shreyashi Dutta على  বিয়ে part 1
Sandipan Biswas على  বিয়ে part 1
Paramita Bhattacharyya على অনুরাগ শেষ পর্ব
জামিয়া পারভীন তানি على নষ্ট গলি পর্ব-৩০
মায়া على মন ফড়িং  ২২
সুরিয়া মিম على খেলাঘর /পর্ব-৪২
গল্প পোকা على মন ফড়িং ২১
গল্প পোকা على নষ্ট গলি পর্ব-৩০
গল্প পোকা على Love At 1st Sight Season 3 Part – 69
গল্প পোকা على Love At 1st Sight Season 3 Part – 69
গল্প পোকা على খেলাঘর /পর্ব-৪২
Sahin ssb على মন ফড়িং ২১
মায়া على মন ফড়িং ২১
মায়া على মন ফড়িং ❤ ২০.
গল্প পোকা على মন ফড়িং ❤ ২০.
গল্প পোকা على খেলাঘর /পর্ব-৪২
গল্প পোকা على খেলাঘর /পর্ব-৪২
মায়া على মন ফড়িং ❤ ১৮. 
মায়া على মন ফড়িং ❤ ১৭.
Jannatul Ferdous على খেলাঘর পর্ব-৩৫
গল্প পোকা على মন ফড়িং ❤ ১৬. 
গল্প পোকা على ফাল্গুনের_ফুল last_part_8
মায়া على মন ফড়িং ❤ ১৬. 
গল্প পোকা على ছাত্রী যখন বউ পাঠঃ ১
গল্প পোকা على বাজির প্রেম পাঠঃ ১
Foujia Khanom Parsha على মা… ?
HM Ashraful Islam على অবুঝ_বউ পার্ট: ৮
HM Ashraful Islam على অবুঝ_বউ পার্ট: ৫
Ibna Al Wadud Shovon على স্বার্থ