তোর_শহরে_ভালোবাসা পর্ব-২৯

0
2032

#তোর_শহরে_ভালোবাসা??
……..{সিজন-২}
৳#ফাবিহা_নওশীন

পর্ব~২৯

সামু আয়নার সামনে দাড়িয়ে চুল আচড়াচ্ছে।আদি ঘুম ঠেলে উঠে এসে সামুকে পেছন থেকে জড়িয়ে ধরলো।
সামুর পিঠে মাথা রেখে চোখ বন্ধ করে আছে।

সামু না নড়েই বললো,
—–বিছানা ছেড়ে এখানে ঘুমাতে এসেছো?যাও বিছানায় যাও।আরাম করে নিশ্চিন্তে ঘুমাও আমাকে নিচে যেতে হবে।

আদি মাথা তুলে বললো,
—–তোমার জন্য উঠতে হলো।

সামু আদির দিকে ঘুরে বললো,
—–আমি তোমাকে কখন উঠতে বললাম?

আদি মুচকি হেসে বললো,
—–এক মিনিট।
আদি ড্রয়ার থেকে একটা বক্স বের করে সামুর সামনে ধরলো।

সামু কৌতুহল নিয়ে জিজ্ঞেস করলো,
—–এতে কি আছে?

—–ওয়েট…
আদি বক্স খোলে একজোড়া ছোট স্বর্ণের কানের দুল,একটা প্লাটিনামের রকেটসহ চেইন,একটা ডায়মন্ডের নাকফুল,এক জোড়া চিকন চুড়ি বের করলো।
তারপর বললো,
—–আমার বউয়ের জন্য।যদি তার আজ্ঞা হয় তবে আমি তাকে এগুলো পড়িয়ে দিতে পারি।

খুশিতে সামুর চোখ জ্বলজ্বল করছে।স্বামীর কাছ থেকে প্রথম উপহার তাও বিবাহিত মেয়ের বিয়ের চিহ্ন মূলক উপহার।
সামু উচ্ছ্বাস প্রকাশ করে বললো,
—–অবশ্যই।

আদি সামুকে একে একে সব পড়িয়ে দিলো।তারপর দুচোখ ভরে দেখে নিলো।
সামুও নিজেকে খুটিয়ে খুটিয়ে দেখছে।শাড়ির সাথে এগুলোতে ওকে একদম বউয়ের মতোই লাগছে।কোনো কমতি নেই।
আদি সামুকে বললো,
—–আমি চাইলে গতকাল রাতেই দিতে পারতাম কিন্তু দেইনি।কারণ আমার খুব ইচ্ছে ছিলো বিয়ের পরের দিন সকালে তুমি যখন ভেজা চুলে আয়নার সামনে দাড়াবে তখন আমি নিজ হাতে এগুলো পড়িয়ে দেবো।

সামু চোখের পলক ঘনঘন ফেলে বললো,
—–তাহলে তো তোমার ইচ্ছে পূরণ হয়নি কারণ আমার চুল তো ভেজা নেই।একদম শুকনো।হিহি।

আদি সামুর ফাজলামি বুঝতে পেরে বললো,
—–তাহলে যাও এখুনি চুল ভিজিয়ে এসো।

—–হুহ বয়েই গেছে।

আদি আফসোসের ভংগীতে বললো,
—–আমারই ভুল…কেন যে গতকাল রাতে রাগ করতে গেলাম,,তাহলে…

সামুর আদিকে আর কিছু বলতে না দিয়ে বিছানার দিকে ধাক্কা মেরে বললো,
—–চুপ করে গিয়ে ঘুমাও।

আদি মুচকি হেসে বিছানায় ধপ করে শুয়ে পরলো।

সামু নিচে গিয়ে প্রথমে সব মেহমানদের সাথে কথা বলে কুশল বিনিময় করলো।আদির কথা কেউ জিজ্ঞেস করলো না কারণ সবাই জানে সে ঘুম খোর।

নাস্তার টেবিলে নিশি সামুর দিকে চেয়ে বারবার ভ্রু নাচাচ্ছে।
সামু ভ্রু কুচকে বললো,
—–কি আপু?
এমন করছো কেন?

নিশি টেডি স্মাইল দিয়ে বললো,
—–না মানে ভাইয়া কই?

—–আমার কাছে তোমার ভাইয়ের খোজ করছো??
এক কাজ করো নিজে গিয়েই নিয়ে এসো।সিড়ি দিয়ে উপরে যাবে তারপর বা দিকের সেকেন্ড রুমে যাবে।বিছানার উপর তাকিয়ে দেখবে হাত-পা ছড়িয়ে বেহুশের মতো ঘুম যাচ্ছে।

নিশি হতাশ হয়ে বললো,
—–নিরামিষ মার্কা ভাবী।

—–বিয়ে হয়েছে ২-৩ মাস আর এখন নিরামিষ হবোনা তো কি?আমি তো আর তোমার মতো নতুন বউ না।ওই যে দেখো জয় ভাইয়া কিভাবে চেয়ে আছে তোমার দিকে।

নিশি ঘুরে সোফার দিকে তাকালো।হ্যা জয় এদিকেই চেয়ে আছে।
নিশি সামুকে বললো,
—–ইশশ যেভাবে বলছিস আমার ভাই বুঝি তোর দিকে তাকায় না?

—–চোখ খোলা থাকলে তো তাকাবে।সারাদিন তো চোখ বন্ধ করে ঘুমায়।

~কিছুদিন পর~
নিশি চলে গেছে শ্বশুর বাড়ি।আদি আজ অফিসে যাবে।সামুকে ভার্সিটিতে ড্রপ করে দিয়ে অফিসে যাবে।
দুজনেই রেডি।

সামু আদির টাই লাগিয়ে দিয়ে গালে হাত দিয়ে বললো,
—–অল্পতেই হাইপার হয়ে যাবেনা।কাজ করতে যাচ্ছো মাথা ঠান্ডা রাখবে।

সামু আদির কপালে ঠোঁট ছুইয়ে দিলো।তারপর বললো,তোমাকে অনেক কিউট লাগছে।বেষ্ট অফ লাক।

দুজনে এক সাথে নাস্তা করে বেড়িয়ে গেলো।আদির বাবা-মা দুজনেই খুশি।শেষে ছেলের সুমতি হয়েছে।বিজনেসের দায়িত্ব বুঝে নিয়ে বাবাকে অবসর দিচ্ছে।তবে আদির বাবা আরো কিছুদিন অফিসে যেতে চান।তিনি কিছুদিন আদিকে সবটা বুঝিয়ে দিবেন যাতে আদির কোনো সমস্যা না হয়।আদি সবটা বুঝে গেলেই তিনি অবসর নিবেন।

আদি সামুকে ভার্সিটির সামনে নামিয়ে দিয়ে বললো,
—–সাবধানে,কোনো সমস্যা হলে আমাকে ফোন করবে।

—–আচ্ছা আচ্ছা।আমার কথা এতো ভাবতে হবেনা।নিজের কাজটা ঠিক করে করো।

—–ওকে বায়।

—–টাটা,হেভ এ গুড ডে।
সামু গেটের কাছে গিয়ে পেছনের দিকে চেয়ে মুচকি হাসি দিলো।তারপর ভার্সিটির ভেতরে ঢুকে গেলো।
সামু ভেতরে যাওয়ার পর আদি গাড়ি স্টার্ট দিলো।

৳~আরো কিছুদিন পর~
আদি সোফায় বসে ল্যাপটপে মনোযোগ দিয়ে কাজ করছে।
মাঝে মাঝে আদির কপাল কুচকাচ্ছে আবার কখনো চিন্তার রেখা ফুটে উঠছে।সামু বিছানায় বসে বসে পড়ছে।বই খোলা কিন্তু ওর বইয়ের দিকে মনোযোগ নেই।ও কলম কামড়াচ্ছে আর আদির দিকে তাকাচ্ছে।আদিকে কিছু বলতে চাইছে কিন্তু আদি কাজের পেশারে আছে এখন বলা যাবেনা তবে সোজাসুজি না বলে দিবে।এছাড়া কয়দিন পর সামুর ফার্স্ট ইয়ারের ফাইনাল পরীক্ষা।তাই না বলার সম্ভাবনাই বেশি।তবুও একবার সামু চেষ্টা করে দেখতে চায়।

আদির কাজ শেষ।আদি ল্যাপটপ বন্ধ করে স্বস্তির নিঃশ্বাস নিলো।
“উফফ বাবা বাচলাম।”
আদির মুখে এই কথা শুনে সামু আদির দিকে তাকালো।ল্যাপটপ বন্ধ এর মানে কাজ শেষ।সামুর মুখে হাসি ফুটলো।কিন্তু আদি এসব খেয়াল করেনি।আদি ফোন বের করে কারো নাম্বারে ফোন করলো।কানের কাছে ফোন নিয়ে জানালার পাশে গিয়ে দাড়ালো।
সামু আদির দিকে গভীর ভাবে নজর রাখছে।

আদি কাউকে বললো,
—–ই-মেইল গুলো চেক করে আমাকে জানান।
আদি ফোন কেটে পকেটে রাখতেই সামু আদিকে ঘুরতে না দিয়ে পেছন থেকে জড়িয়ে ধরলো।

আদি আর ঘুরলোনা।সামু আদির পিঠে ঠোঁট ছোয়ালো।তারপর ওর পিঠে মাথা ঠেকিয়ে রাখলো।
আদি সামুর আচরণে টাস্কি খাচ্ছে।
“আমার বউয়ের কি হয়েছে? আজ এতো রোমান্টিক কেন?কোনো আবদার আছে নিশ্চয়ই?”

সামু দমে গেলো।আদি ধরে ফেলেছে সব। তবুও অস্বীকার করবে সে।
—-তুমি কি বলতে চাইছো আমি সব সময় তোমার কাছে আবদার করি?

আদি সামুর দিকে ঘুরে সামুর দিকে একবার চোখ বুলিয়ে নিলো।তারপর বললো,
—–না তবে তোমার আচরণ সন্দেহজনক।

সামু কটাক্ষ দেখিয়ে বললো,
—–বেশ! বলবোনা কিছু।

—–ও আচ্ছা কিছু বলতে এসেছিলে তাহলে? মানে আবদার আর কি?
বলেই আদি হাসতে লাগলো।সামু নাক ফুলিয়ে আদির দিকে চেয়ে চলে যেতে নিলে আদি হাত টেনে ধরলো।

সামুকে নিজের দিকে ঘুরিয়ে মিশিয়ে নিয়ে বললো,
—–আচ্ছা আচ্ছা বলো কি চাও?

সামু আমতা আমতা করে বললো,
—–আমার বাবাকে দেখতে ইচ্ছে করছে।চলোনা আমরা কিছু দিন সিলেট থেকে ঘুরে আসি।প্লিজ।
সামু কথাটা বলে চোখ নামিয়ে নিলো।

কিছুদিন পরে সামুর পরীক্ষা।এ সময় আদি সামুকে কোথাও যেতে দিতে ইচ্ছুক না।
—–সামু তুমি ভুলে গেলে ঠিক একমাস পর তোমার পরীক্ষা?
আর এ সময় তুমি বেড়াতে যাওয়ার বায়না করছো?তোমার যদি বাবাকে খুব বেশি মনে পড়ে আমরা উনাকে বলি এখানে এসে ঘুরে যাক।

সামু চুপ করে আছে।ওর শুধু বাবাকে নয়,ওর বাড়িকেও খুব মনে পড়ছে।ওর মাকে খুব মনে পড়ছে।মা না থাকুক,ও বাড়িতে মায়ের স্মৃতি তো জড়িয়ে আছে।এসব ভেবে সামুর ভেতর থেকে একটা দীর্ঘশ্বাস বেড়িয়ে এলো।আদি সেটা খেয়াল করলো।
তাই বললো,
—–সামু তোমার পরীক্ষা শেষ হোক আগে তারপর না হয় আমরা যাবো।

সামু আর কিছু বললো না।শুধু বললো,
—–ঠিক আছে।

সামুর মুখ কালো হয়ে গেছে।আদি কিছুক্ষণ ভেবে বললো,
—–আচ্ছা আমরা এই সপ্তাহেই যাবো।দুদিন থেকে চলে আসবো।

সামু আদির কথা শুনে উচ্ছ্বসিত হয়ে পড়লো।বাচ্চাদের মতো লাফিয়ে উঠলো।খুশিতে ওর চোখ চকচক করছে।
লাফাতে লাফাতে আদির গলা জড়িয়ে ধরলো।
খুশিতে আত্মহারা হয়ে বললো,
—–লাভ ইউ লাভ ইউ সো মাচ।

আদি মুখ বাকিয়ে বললো,
—–আবদার পূরণ করলেই লাভ ইউ সো মাচ।

সামু আদির গলা ছেড়ে দিয়ে ভ্রু কুচকে আদির দু গাল টেনে ভেংচি কেটে চলে গেলো।
সামু খুশিতে আকাশে বাতাসে ভাসছে।
সামু মামনিকে খোজছে।সামু মামনির ঘরে যাচ্ছে।
মামনি বই পড়ছে চোখে চশমা দিয়ে।সামু গিয়ে পাশে বসে বললো,
—–মামনি..

আদির মা বই থেকে চোখ সরিয়ে বললো,
—–হ্যা বল।

—–তোমার ছেলে রাজি হয়েছে বাট বলেছে দুদিন।তবে আমি এতেই খুশি।

—–আচ্ছা যা দুদিন ঘুরে আয় পরীক্ষার পর আবার যাবি।

তখনই আদির মায়ের ফোন বেজে উঠলো।নিশি ফোন করেছে।সামু ফোন এনে দিলো।
ফোন রিসিভ করতেই নিশি সালাম দিলো।নিশিকে খুশি খুশি লাগছে।কিন্তু নিশি কিছু বলতে পারছেনা।আমতা আমতা করছে।নিশির মা এক ধমক দিলো,
—–যা বলার বলিস না কেন?তুই এতো
ড্রামা শিখলি কবে?

—–ইয়ে মানে মা…।
নিশি আবারো আমতাআমতা করছে।সামু বুঝার চেষ্টা করছে।আদির মায়ের চোখ সামুর দিকে পড়তেই বললো,
—–সামু দেখতো কি বলে?

সামু ফোন কানে নিয়ে বললো,
—–হ্যা নিশি আপু,,কেমন আছো?

—–সামু!! এই শোন..

—–বলো।শুনতেই তো চাচ্ছি।

নিশি লাজুক ভংগীতে বললো,
—–ইয়ে মানে তুই মামী হতে যাচ্ছিস।

সামু ফোন হাতে দাঁড়িয়ে গেলো।
—–কিহ!!! নিশি আপু কংগ্রাচুলেশন।ওয়াও আপু!!
উফফ আজ এতো খুশি লাগছে।

আদির মা সামুর মুখের দিকে হা করে চেয়ে আছে।
সামু কান থেকে ফোন সরিয়ে নিয়ে বললো,
—–মামনি তুমি নানু হতে যাচ্ছো।নিশিপু প্রেগন্যান্ট।
ধরো ফোন আমি আদিকে বলে আসি।

সামু ফোন দিয়ে তাড়াতাড়ি দৌড়ে রুমে গেলো।
রুমে গিয়ে সামুর সামনে দাড়িয়ে হাপাচ্ছে।আদি সামুকে এভাবে দেখে উঠে দাড়ালো।
—–কি হয়েছে সামু?

সামু হাপাতে হাপাতে বললো,
—–নিশি আপু ফোন করেছিলো।নিশি আপু মামী হতে চলেছে।উফফ নিশি আপু মামী কেন হবে।আমি মা হতে দূর সব গুলিয়ে যাচ্ছে।
সামু দু’হাতে মাথা চেপে ধরলো।সব গুলিয়ে যাচ্ছে।
আদি কিছুই বুঝতে পারছেনা।কে মা হতে যাচ্ছে কে মামী হতে যাচ্ছে।
আদি সামুকে বসিয়ে বললো,
—–সামু রিলেক্স।বসো এখানে।

সামু রিলেক্স হয়ে বসে।সামু এতোটা এক্সাইটেড যে সব গুলিয়ে ফেলছে।
সামু রিলেক্স হয়ে বললো,
—–নিশি আপু প্রেগন্যান্ট।তুমি মামা হতে যাচ্ছো।

আদি নির্লিপ্ত ভাবে বললো,
—–ওহ ভালো।

সামু আদির কাছ থেকে এতো নির্লিপ্ত ভাব আশা করেনি।ভেবেছিলো আদিও সামুর মতো রিয়েক্ট করবে।
—–ওহ ভালো? শুধু ওহ ভালো?
তুমি মামা হতে যাচ্ছো তোমার কোনো ফিলিংস নেই।

—–আজীব কি ফিলিংস হবে?নিশির বিয়ে হয়েছে।বাচ্চা হবে এটা স্বাভাবিক।

—–তাই বলে এতো নির্লিপ্ততা?

—–এখন তোমার মতো ফিলিংস না আসলে কি করবো?

সামু হতাশ হয়ে বললো,
—–তুমি এমন কেন?না জানি বাবা হওয়ার নিউস শুনে কি করবে?
আদি বাবা হওয়ার নিউস শুনে যদি এমন নির্লিপ্ত থাকো তবে আমি তোমাকে খুন করবো।।
সামু হনহন করে চলে গেলো।

—–বাবা!! আমি কি আবার মামার সঙ্গে বাবা হতে যাচ্ছি?
কি বলে গেলো?ঠিক করে তো বললোও না।
সামু!!
আদি সামুকে খোজতে চলে গেলো।

.

সামু আর আদি সিলেটের জন্য বের হয়েছে।পরের দিন সবাই নিশির বাড়িতে গিয়ে নিশিকে দেখে এসেছে।সামুরা ঢাকায় ব্যাক করলেই নিশি এসে কিছুদিন থেকে যাবে।সামু খুশিতে আত্মহারা পাগলপারা।কতদিন পর নিজের শহরে যাচ্ছে।নিজের বাবা,কাজিনদের সঙ্গে দেখা হবে,কথা হবে।
ওর যাওয়ার খবর শুনে ওর সব কাজিনরা,ফ্রেন্ড সবাই চলে এসেছে।এখন শুধু সামুর যাওয়ার পালা।

অবশেষে সামু পৌছে গেলো ওর বাড়িতে।সামুকে পেয়ে ওর সব কাজিনরা ঘিরে ধরেছে।সামুর ফুপু,মামা,মামী,খালামনি সবাই এসেছে।গাড়ি থেকে সামু নামতেই সবাই সামুকে নিয়ে ব্যস্ত হয়ে পড়েছে।এতো মানুষের মাঝে আদির খুব অস্বস্তি লাগছে।

সামু সবাইকে উদ্দেশ্য করে বললো,
—–কুল কুল,,আমি কিন্তু একা আসিনি আমার সাথে আমার বরও এসেছে তাকে কেউ দেখো।

সামুর কথা শুনে সামুর ফুপু লজ্জা পেলো আসলেই তো নতুন জামাই আজ প্রথমবার এসেছে তার দিকে কারো নজরই নেই।

তারপর সবাই জামাইকে সমাদর করতে ব্যস্ত হয়ে পড়লো।এতো মানুষের ভীড়ে আদির নিজেকে চিড়িয়াখানার জিরাফ মনে হচ্ছে।আজ মনে হচ্ছে সামুর দেওয়া নাম স্বার্থক।
এত্তো এত্তো খাবার,এতো সমাদরে আদি হাপিয়ে উঠেছে।প্লেটে খাবার নিয়ে সামুর দিকে অসহায় ভাবে চেয়ে আছে।

সামুর ফুপি বললো,
—–কি বাবা বউয়ের দিকে চেয়ে আছো কেন?খাও।

আদি সৌজন্য দেখিয়ে বললো,
—–জ্বি খাচ্ছি।

সামু কিছুই বলছেনা।বসে বসে মজা দেখছে।

চলবে…

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে