তোর_শহরে_ভালোবাসা পর্ব-২০

0
2410

#তোর_শহরে_ভালোবাসা??
………{সিজন-২}
#ফাবিহা_নওশীন

পর্ব~২০

“আদি তোর মাথা ঠিক আছে?ওর পায়ের যে অবস্থা,ওকে উপরে নিলে হাটা চলা করতে পারবেনা।নিচে নামতে পারবেনা।কষ্ট হবে।”
আদির মা আদিকে বুঝাচ্ছে।

আদি ওর মায়ের কথা এতোক্ষণ শুনছিলো।
—–সো হোয়াট? ওর সবকিছু ও রুমে পেয়ে যাবে।খাবার প্রয়োজনীয় সবকিছু।

—–আদি ও সারাদিন রুমে বসে থাকবে?ওর ভালো লাগবে?তবে সামু যদি চায় আমাদের আপত্তি নেই।

সামু পড়ে গেছে চিপায়।একদিকে আদি উপরে নিয়ে যেতে চাইছে আরেক দিকে মামনি যে কিনা চাইছে সামু নিচেই থাকুক সুস্থ না হওয়া পর্যন্ত।
সামু সোফায় বসে নখ কামড়াচ্ছে আর ওদের কথা শুনছে।

আদি সামুকে জিজ্ঞেস করলো,
—–তুমি কি চাও?

আদির কথা শুনে সামু নখ কামড়ানো বাদ দিয়ে নড়ে-চড়ে বসে।ড্যাবড্যাব করে চেয়ে আছে।ওর মুখে কোনো কথা সরছেনা।

নিশি আদির সামনে গিয়ে দাড়ালো।তারপর মজা করে বললো,
—–তোমরা মা ছেলে ওকে নিয়ে টানাটানি করছো কেন?এভাবে টানাটানি করলে ছিড়ে যাবে।
ভাইয়া বউয়ের সাথে থাকার এতো ইচ্ছে তো গেস্টরুমেই থাক।বেচারিকে টানাহেঁচড়া না করে এখানেই শিফট হয়ে যা।
হায়!ভাই আমার বউ পাগল হয়ে গেছে।

নিশি দু আংগুল দিয়ে চুল সামনে থেকে পেছনে নিয়ে সামুর পাশে গিয়ে বসে।সামু নিশির কথা শুনে লজ্জায় মিশে যাচ্ছে।
আদি ভ্রু কুচকে নিশির দিকে চেয়ে আছে।নিশি সেটা দেখে বললো,
—–আমার দিকে এভাবে চেয়ে থেকে লাভ নেই।সত্যিটা পাব্লিক দেখছে।মা ঠিক বলেছি তো?

নিশির মা নিশির দিকে চোখ পাকিয়ে তাকালো।নিশি ঠোঁটে আংগুল দিলো।

আদি কিছু না বলে সেখান থেকে চলে গেলো।আদি যেতেই নিশি হোহো করে হেসে দিলো সাথে নিশির মা।সামু ঠোঁট ফুলিয়ে দুজনের দিকে চেয়ে আছে।

নিশি সামুর গাল টিপে বললো,
—–কিরে ভাইয়াকে তো একদম বদলে দিয়েছিস।তোকে ছাড়া কিছুই বুঝেনা।
যার কিনা নিজেরটা ছাড়া অন্যের দিকে তাকানোর সময় ছিলো না সে কিনা আজ অন্য একজনে বিভোর।হাও সুইট।

নিশির মা সামুর পাশে এসে বসে বললো,
—-বিয়ে দুটো মানুষের মধ্যে পবিত্র সম্পর্কের সৃষ্টি করে।আর এ সম্পর্কের মানে মানুষকে অনেক বদলে দেয়।আদিকেও দিয়েছে।আমার বিশ্বাস ছিলো তুই আদিকে,আদির এই উৎশৃঙ্খল লাইফ স্টাইল চেঞ্জ কর‍তে পারবি।দোয়া করি তোরা দুটো আজীবন এমন থাক।ভালো থাক।ভালোবাসায় পরিপূর্ণ হোক তোদের জীবন।

সামু সোফায় মচকে যাওয়া পা তুলে অন্য পা মেঝেতে রেখে টিভি দেখছে।আদি চারপাশটা একবার দেখে নিলো।তারপর নিঃশব্দে সামুর পাশে গিয়ে বসলো।তারপর টিভির দিকে চোখ রাখলো।সামু আদিকে দেখে ওর দিকে তাকালো।আদির দৃষ্টি টিভির দিকে।সামু ভ্রু কুচকে আদির দিকে চেয়ে আছে।

আদি সামুর দিকে তাকালো।সামু ওর দিকে অদ্ভুত ভাবে চেয়ে আছে।
—–তুমি চুপ করে ছিলে কেন তখন? আমার ঘরে যেতে চাওনা?

—–তো কি করতাম?নাচতে নাচতে বলতাম আমি আপনার ঘরে যাবো?আমি আপনার মতো নির্লজ্জ?

—–আমি নির্লজ্জ? এখানে নির্লজ্জের কিছু হয়নি।আর হ্যা তোমার পায়ের যে হাল তাতে চাইলেও তুমি নাচতে পারতে না।

—–আপনি সব সময় আমাকে ইনসাল্ট করার ধান্দায় থাকেন তাইনা?

—–নাহ।আমি তো..

—–আমি তো কি??

আদি বাকা হেসে বললো,
—–এখানে বলা যাবেনা।চলো রুমে চলো।

সামু আদির কথার আগামাথা বুঝতে পারছেনা।ওর দিকে প্রশ্নবোধক চিহ্ন ঝুলিয়ে চেয়ে আছে।

——কি আমাকে কোলে নিতে বলছো?

সামু আদির কথা শুনে তাড়াতাড়ি উঠে দাড়ালো।পায়ের পাতায় ভর দিয়ে হাটছে।আদি একহাত ধরে রেখেছে।
আদি সামুকে বিছানায় বসাতেই সামু বললো,
—–কি বলবেন বলুন।

আদি না জানার ভান করে বললো,
—–কি বলবো?

সামু ভ্রু কুচকে বললো,
—–আপনার মতলবটা কি খোলে বলুন তো?

আদি চেহারায় বিস্ময়ের ভাব নিয়ে বললো,
—–খোলে বলবো?

—–হ্যা।তাড়াতাড়ি।আমি মুভিটা দেখবো।

আদি শার্টের বোতামে হাত দিয়ে একটা বোতাম খুলতেই সামু চিতকার করলো।
—–কি করছেন?চেঞ্জ করার হলে ওয়াশরুম আছে এখানে কেন?

—–তুমিই তো বললে।আমার কি দোষ?
(ফেস ইনোসেন্ট করে)

সামু চোখ বড়বড় করে তাকিয়ে আছে আর বুঝার চেষ্টা করছে আদির কথা।
আদি ফিক করে হেসে দিলো।হাসতে হাসতে ওর পেটে খিল ধরে যাচ্ছে।আদির হাসি দেখে সামুর গা জ্বলে যাচ্ছে।সামু গাল ফুলিয়ে বসে আছে।
আদি উঠে গিয়ে ফার্স্ট এইড বক্স এনে সামুর থুতনির ব্যান্ডেজ সাবধানে খোলে আবারো ব্যান্ডেজ করে দিলো।বাট সামু একবারের জন্যও ব্যথায় কুকড়ে যায়নি।

ব্যান্ডেজ করা শেষে সামু বললো,
—–এই সামান্য ব্যান্ডেজের জন্য এখানে টেনে আনলেন? ওখানেই ব্যান্ডেজ করে দিতে পারতেন।আমার মুভি।

—–আরে রাখো তোমার মুভি।আমাদের বিবাহিত জীবন দিয়ে মুভি বানাবো।বাট মুভিটা চলানোর জন্য রোমান্স প্রয়োজন।পাব্লিক রোমান্স খায় বেশি।নয়তো মুভি হিট হবেনা।তাই তোমাকে একটি রোমান্টিক হতে হবে।আর কত তেতো থাকবে একটু মিষ্টি হও।

সামু ঘনঘন চোখের পলক ফেলে আদির কথা শুনছে।
—–আমি তেতো ছিলাম আছি থাকবো।

—–শপথ বাক্য পাঠ করলে নাকি?
বাট আমি তোমাকে তেতো থেকে মিষ্টি মেয়ে বানিয়েই ছাড়বো।আদির প্রমিস।
আদি সামুর থুতনি উঁচু করে ধরে থুতনিতে চুমু খেলো।
সামু চোখ মুখ কুচকে তাকালো।

আদি চোখ মেরে বললো,এটা ফিস ছিলো।
আদি যেতেই সামু মুচকি হেসে উঠলো।

৪-৫দিন পর সামুর পায়ের ব্যাথা সেরে যায়।ডাক্তার চেকাপ করে গেছে।সামু আদির রিকুয়েষ্টে নিজের জিনিসপত্র গুছিয়ে আদির রুমে পাঠিয়ে দিয়েছে।এখন থেকে ওখানেই থাকবে।সামু সবকিছু নিজের মতো গুছিয়ে নেয়।নিজের হাতে সবটা সাজিয়েছে।আদিও ওকে সাহায্য করেছে।
সামু গোছানো শেষ করে কোমড়ে দুহাত দিয়ে বললো,
—–আ’ম সো টায়ার্ড।

আদি ওর পাশে এসে দাড়িয়ে বললো,
—–এটুকুতেই?
সার্ভেন্টকে বললেই হতো।তুমি জেদ ধরলে নিজে গুছাবে।

—–হুম।আমি আমার নিজের জিনিস নিজের হাতে গোছাতে পছন্দ করি।

—–তাহলে আমাকেও একটু গুছিয়ে দেওনা।

সামু আদির দিকে তাকালো।ওর ঠোঁটের কোনে মিষ্টি হাসি চোখে দুষ্টু দুষ্টু ভাব।সামু না চাইলেও ওর ঠোঁট যুগল প্রসারিত হয়ে মিষ্টি হাসিতে পরিণত হলো যা সামুকে আদির কাছে আবেদনময়ী করে তুলে।
আদি হাসি থামিয়ে দিলো।সামুর হাতের দিকে হাত বাড়ালো।সামুর হাত ধরে নিজের সাথে মিশিয়ে নিলো।সামু শুধু আদির কাজ দেখছে।

আদি ঘোরলাগা কন্ঠে বললো,
——আমাকে কি নিজের মনে করোনা?

সামু একবার চোখ তুলে চোখ নামিয়ে নিলো।ওর বুক ঢিপঢিপ করছে। ক্রমশ শ্বাস আটকে আসছে।তারপর কাচুমাচু হয়ে বললো,
—-হ্যা মনে করি।

আদি ফিসফিস করে বললো,
—–তাহলে গুছিয়ে নিচ্ছোনা কেন?আমি বড্ড অগোছালো।আমাকে গুছিয়ে দেবে?

সামু ঠোঁট ভিজিয়ে বললো,
—–হু।

আদি আর কোনো কথা বলছেনা।সামু একবার আদির দিকে চোখ তুলে তাকালো।তারপর আবারো নামিয়ে নিলো।আদির চাহুনি বড্ড অস্বস্তিতে ফেলেছিলো।সামু আর কতক্ষণ এভাবে থাকবে বুঝতে পারছেনা।তাই সরে যেতে চাইলো আদির থেকে।কিন্তু আদি সামুকে সরতে দিচ্ছেনা।

সামু ঘনঘন পলক ফেলে বললো,
—–কি হচ্ছেটা কি?এভাবে ধরে রেখেছেন কেন?

আদি সামুর গালের উপরের চুলগুলো আংগুল দিয়ে কানের পাশে গুজে দিলো।সামু চোখ তুলে চেয়ে জোর পূর্বক মুচকি হাসলো।আদি আচমকা সামুর ঠোঁটে ঠোঁট মিলিয়ে দিলো।সামু আচমকা আক্রমণে ফ্রিজড।কিন্তু বাধা দিলো না।আবেশে চোখ বন্ধ করে নিলো।
কিছুক্ষণ পর আদি সামুকে ছেড়ে দিয়ে সামুর দিকে চোখ রাখলো।সামুর চোখ বন্ধ।ঘন শ্বাস ফেলছে।সামু আস্তে আস্তে চোখ খোলে।চোখ খোলেই আদিকে দেখতে পেয়ে সরে যেতে নিলেই আদি সামুকে জড়িয়ে ধরলো।

—–সামু আমাকে আর আপনি করে বলবেনা ভালো লাগে না।তুমি করে বলবে।বুঝেছো?

—–আচ্ছা।

.

নিশি আর জয় একটা রেস্টুরেন্টে বসে আছে।
“জয় আ’ম সরি।প্লিজ।”

জয় নিশির দিকে চেয়ে বললো,
—–কেনো নিশি সরি কেন বলছো?সব দোষ তো আমার।রাজ আমার ভাই দোষ তো আমারই হবে।আর তুমি আমাকে যা নয় তাই বলবে।ইটস ওকে।

নিশি জয়ের হাতের উপর হাত রাখতেই জয় হাত সরিয়ে নিলো।

নিশি হাতের দিকে কিছুক্ষণ চেয়ে থেকে অনুতাপের সুরে বললো,
—–জয় আমি জানি এতে তোমার কোনো দোষ নেই।কিন্তু….

—–কিন্তু রাজ আমার ভাই আর আমি ওর ভাই হয়ে পাপ করে ফেলেছি তাই তো?

—–জয় প্লিজ।আমার তখন মাথা ঠিক ছিলো না।সামুর অবস্থা দেখে ভয় পেয়ে গিয়েছিলাম।আর রাজ ওকে সব জায়গায় হেনস্তা করছে।ভাইয়া কতটা রাগী জেদি সেটা তো জানোই।ভাইয়া সামুর প্রতি অনেক সেন্সেটিভ।ভাইয়া এসব জানলে রাগের মাথায় কি করবে সেজন্যই টেনশন হচ্ছিলো আর সেই জন্য তোমার সাথে অমন ব্যবহার করে ফেলেছি।
জয় চুপ করে আছে।কিছুই বলছেনা।
নিশি এবার দাঁড়িয়ে গেলো।
“হ্যালো এভ্রিওয়ান প্লিজ ২মিনিট।লিসেন টু মি।”
সবাই নিশির দিকে তাকালো।
জয় ওর কান্ড দেখে ভ্যাবাচেকা খেয়ে গেছে।

জয়ও দাঁড়িয়ে গেছে।নিশি জয়কে দেখিয়ে বললো,
“এই ছেলেটা আমার উড বি।কিছুদিন পরেই আমাদের বিয়ে।আমি একটা ভুল করেছি আর এর জন্য অনেক বার মাফও চেয়েছি কিন্তু সে আমাকে মাফ করছেনা।ওকে বলুন না আপনারা যেনো ও আমাকে মাফ করে দেয়।প্লিজ।প্লিজ।”

জয় হা করে আছে।আশেপাশের লোকজন উচ্ছ্বসিত হয়ে ওদের দেখছে।কেউ কেউ বলছে ওকে যেনো মাফ করে দেয়।
জয় টেডি স্মাইল দিয়ে বললো,
—–ওকে বেবি।মাফ করে দিয়েছি।হ্যাপি?

—–আই ডোন্ট বিলিভ ইউ।হাগ করে সবাইকে প্রুফ দেও।

সবাই নিশির সাথে তাল মিলাচ্ছে।
জয় মুচকি হেসে নিশিকে হাগ করলো।মাথায় কিস করে বললো,
—–পাগলী মেয়ে!!

.
.

সামু গার্ডেনে হেটে বেড়াচ্ছে।সন্ধ্যা নেমে আসছে।একে একে সব আলো জ্বলে উঠছে।হুট করে মনে হলো কেউ দেয়াল টপকে ভিতরে এলো।এতো সিকিউরিটির পরেও কে আসবে?সামু আর আগালো না।চুপ করে বুঝার চেষ্টা করছে।তারপর ঘুরে চলে যেতে নিবে তখনই কেউ ওর মুখ চেপে ধরলো।
সামু সামনে থাকা মানুষকে দেখে চমকে গেলো।
রাজ ওর মুখ চেপে ধরেছে।সামু রাগে ফেটে যাচ্ছে।রাজ আবারো এসেছে।আজ বাড়িতে এসে পড়েছে।

রাজ দ্রুত বললো,
—–কিছু কথা বলবো তারপর চলে যাবো।তোমার সামনে কখনো আসবোনা।আমার বারবার মনে হচ্ছে তোমাকে কিছু কথা জানানো উচিত তাই তোমাকে জানানোর জন্য বারবার নানা ভাবে তোমার সামনে আসছি।প্লিজ।২মিনিট শুনো।

রাজ সামুর মুখ থেকে হাত সরিয়ে দিলো।সামু চোখ মুখ লাল করে কিছু বলতে যাবে তখনই রাজ বললো,
——সবকিছুর পেছনে আদি রয়েছে,প্রথম থেকেই।

সামু রাজের কথা কিছুই বুঝতে পারছেনা।আদি রয়েছে,কিসে আদি রয়েছে?কি বলছে?
সামু রাজের দিকে চেয়ে আছে অবাক হয়ে।কপাল কুচকে বিরক্তিকর ভাব দেখিয়ে বললো,
—–আদির নামে ফালতু কথা বললে আমি একদম বরদাস্ত করবোনা।

রাজ তাচ্ছিল্যের হাসি দিয়ে বললো,
—–এতো প্রেম?কিন্তু ও কি এতো ভালোবাসার যোগ্য?
আমাদের বিয়ের দিন যে সিন ক্রিয়েট হয়েছে সেটা আদি করেছে প্ল্যান করে।জুইকে আদি টাকা দিয়েছে এ কাজের জন্য।জুইয়ের সাথে আমার ব্রেকাপ ৫মাস আগেই হয়েছিলো আমি মিথ্যা বলিনি।
জুইয়ের সাথে আমার বনিবনা হয়নি তাই ব্রেকাপ হয়েছে।ব্রেকাপ হাজার কাপলের মধ্যে হয়।ওইদিন জুই আদির কথায় এসেছে।তারপর জুইকে যাতে আমি খোজে না পাই তাই ওকে সিংগাপুর পাঠিয়ে দিয়েছে।আদি জাস্ট আমাদের বিয়েটা ভাংতে চেয়েছে।সবার
সামনে তোমাকে ছোট করতে চেয়েছে।

সামু দাতে দাত চেপে বললো,
—–মিথ্যা সব মিথ্যা।একদম মিথ্যা বলবেন না।

—–বিশ্বাস করোনা।একদম বিশ্বাস করোনা।তুমি সবটা যাচাই করে নেও।আদিকে জিজ্ঞেস করবে জুইকে ও ওর ফ্রেন্ড অয়নকে দিয়ে মোটা টাকা দিয়ে হায়ার করেছে কিনা?জুইকে ও সিংগাপুর পাঠিয়েছে কিনা?আমার সাথে জুইয়ের সম্পর্ক ছিলো কিনা।আমার তোমাকে জানানো দরকার ছিলো জানিয়েছি।বিশ্বাস করা না করা তোমার ব্যাপার।বায়।

সামু স্তব্ধ হয়ে রয়েছে রাজের কথা শুনে।
ও নিজের কানকে বিশ্বাস করতে পারছেনা।আদি ওর সাথে এটা কি করে করতে পারে? একটা মেয়েকে টাকা দিয়ে হায়ার করে বিয়ের দিন এসব বলিয়েছে।বিয়ে ভাংগার জন্য?কিন্তু কেন?কি এমন কারণ ছিলো?

রাজ পেছনে ঘুরে সামুকে দেখে বাকা হাসি দিয়ে চলে গেলো।

সামু ঝড়ের গতিতে রুমে ঢুকলো।আদি সামুর দিকে চেয়ে অবাক হয়ে গেলো।কিছুক্ষণ আগেও তো সব ঠিক ছিলো।
ওর চোখ অসম্ভব লাল হয়ে আছে।মুখ ফোলা ফোলা লাগছে।

চলবে….

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে