তোর_শহরে_ভালোবাসা পর্ব-১৮

0
2413

#তোর_শহরে_ভালোবাসা??
………..{সিজন-২}
#ফাবিহা_নওশীন

পর্ব~১৮

সামু ফ্রেশ হয়ে রুমে এসে নিজের কসমেটিকস,জিনিসপত্র গুছিয়ে রাখছে।তখনই দরজায় নক পড়লো।সামু পেছনে ঘুরে দেখে আদি লাল টিশার্ট আর সাদা শর্টস পড়ে দরজায় হেলান দিয়ে দাড়িয়ে আছে।
সামু সেদিকে পাত্তা না দিয়ে নিজের কাজে মন দিলো।যেনো ও কাউকে দেখেইনি।কিছুই জানেনা।এয়ারিং জোড়া রেখে বাকি জিনিসপত্র গুছিয়ে রাখছে।
আদি মুচকি হেসে সামুর বেডের উপর আরাম করে বসে পড়ল।সামু সব গুছানো শেষ করে পেছনে ঘুরতেই আদিকে দেখে এক দফা বিরক্ত হলো।

হেয়ার ব্রাশ হাতে নিয়ে বললো,
—–কি চাই এখানে?

আদি চোখের পলক ফেলে মিষ্টি হেসে বললো,
—–সামনে এসো বলছি।

সামু চুল আঁচড়াতে আঁচড়াতে আদির সামনে দাড়িয়ে বললো,
—–আমি জানতে চাইনা।আপনি এখন যান আমি ঘুমাবো।খুব টায়ার্ড।

আদি সামুর হাত ধরে টান মেরে জোর করে নিজের কোলে বসিয়ে বামবাহু চেপে ধরলো যাতে নড়তে না পারে।

সামু আদির কাজে শকড।চোখ বড়বড় করে বললো,
—–আশ্চর্য কি করছেন?ছাড়ুন।
সামু হেয়ার ব্রাশ উঁচু করে আদির দিকে তাক করলো।

আদি মুচকি হেসে সামুর গালের দিকে হাত বাড়াতেই সামু আদির হাতে বাড়ি মারে।

আদি আউচ শব্দ করে হাত ঝাড়তে লাগলো।
সামু হতবাক হয়ে গেলো।সামান্য আঘাতে আদি কপোকাত কিভাবে হতে পারে?
সামু আদির হাতের দিকে চেয়ে চমকে গেলো।হাত থেকে হেয়ার ব্রাশ পড়ে গেলো।
সামু হন্তদন্ত হয়ে বললো,
—-হাতে কি হয়েছে? এতটা কি করে কাটলো?আর রক্ত?
সরি সরি আমি বুঝতে পারিনি যে আপনার হাত কাটা তাহলে কিছুতেই আঘাত করতাম না।আ’ম রিয়েলি সরি।

আদি প্রতিউত্তরে বললো,
—–এই সামান্য।সরির কিছু নেই।রাজের সাথে মারামারি করার সময় লেগেছে।

সামান্তা ভ্রু কুচকে বিরক্তি নিয়ে বললো,
—-কে বলেছিলো আপনাকে মারামারি করতে?দেখুন হাতের কি অবস্থা করেছেন?সরুন দেখি ব্যান্ডেজ করিয়ে দেই।
একটা পেইন কিলার খেয়ে নিবেন।

—–পেইন কিলার?হু…
আদি সামুর গলায় ঠোঁট ছুইয়ে বললো,
—–হয়ে গেছে।

সামান্তা ঢুক গিলে ঠোঁট ভিজিয়ে নিয়ে চোখের পলক ফেলে বললো,
—–আমি ফার্স্ট এইড বক্স নিয়ে আসি।

আদি সামুকে ছেড়ে দিলো।সামু নিজেকে আলগা পেয়ে তাড়াতাড়ি উঠে গেলো।
তারপর ফার্স্ট এইড বক্স নিয়ে এলো।

সামু আদির হাতের ব্যান্ডেজ করছে আর তখনই নিশি হন্তদন্ত হয়ে রুমে ঢুকলো।এসেছিলো সামুর কাছে।ভিতরে যে আদি আছে জানা ছিলো না।ইমার্জেন্সি কাজ থাকায় চেঞ্জও করেনি।পার্টিতে যেভাবে গিয়েছিলো সেভাবেই আছে।আদিকে দেখে অবাক হয় তার চেয়ে বেশি অবাক হয় আদির হাতে সামু ব্যান্ডেজ করে দিচ্ছে সেটা দেখে।

—–ভাইয়া কি হয়েছে তোমার হাতে?লাগলো কি করে?

আদি নিশির দিকে চেয়ে নিশির কথার উত্তর না দিয়ে বললো,
—-তার আগে বল ওই ব্লাডি রাজ ওখানে কি করছিলো? জয় না ওকে ইনভাইট করেনি তাহলে কি করে এলো।

নিশি বিস্ময় নিয়ে বলল,কিহ!!রাজ!!
রাজ এসেছিলো?

—–হ্যা তোর দেবর ওই থার্ডক্লাশ রাজ এসেছিলো।

নিশি রাজের আসার নিউজটা মেনে নিতে পারছেনা। জয়কে এর কৈফিয়ত দিতে হবে।নিশি ফোন বের করে জয়কে ফোন দেওয়ার জন্য উদ্ধৃত হলে সামু নিষেধ করে।
—–আপু আজকে বাদ দেও আগামীকাল জিজ্ঞেস করো এখন নয় প্লিজ।

নিশি সামুর কথায় ফোন না করে বললো,
—–এজন্যই চলে এসেছিস সামু?রাজ কোনো সমস্যা করেছিলো? আমিও বোকার মতো কথা বলছি।নিশ্চয়ই কিছু করেছে।

আদির হাতের ব্যান্ডেজ কমপ্লিট।সামু আদির দিকে একবার চেয়ে কিছুটা দূরে সরে নিশির দিকে চেয়ে বললো,
—–পরে বলবো।

নিশিও ভাইয়ের দিকে তাকালো।আদি চোখ মুখ শক্ত করে মেঝেতে একদৃষ্টিতে চেয়ে আছে।
নিশি মাথা নাড়িয়ে সায় দিলো সামুর কথায়।টপিক চেঞ্জ করার জন্য বললো,
—–কিন্তু হাত কাটলো কিভাবে?

আদি নিশির দিকে চেয়ে ঘাড় কাত করে বললো,
—–আমি আর কিছুক্ষণ ওখানে থাকলে ওর মার্ডার হয়ে যেতো।ওকে সাবধান করে দিস।
আর সামু তুমি একা বের হবেনা।আমার সাথে ভার্সিটি যাবে।

আদি উঠে হনহন করে বেরিয়ে গেলো।
নিশি সামুর দিকে জিজ্ঞাসুক দৃষ্টি দিলো।
সামু সবকিছু খোলে বলতেই নিশি ক্ষেপে গেলো।

নিশি উঠে দাড়িয়ে বললো,
—-মানুষ এতো ছেচড়া হয় কিভাবে? ওর সাহস হয় কি করে এসব আজেবাজে কথা বলার?সামু সাবধানে থাকিস ও কিন্তু তোর আর ভাইয়ার সম্পর্ক নষ্ট করতে চাইছে।

সন্ধ্যা নেমে আসছে।আশেপাশে আলো জ্বলে উঠছে।গার্ডেনের আলো গুলোও জ্বলে উঠছে।সামু গার্ডেনের বেঞ্চে বসে আছে।আদি ওর পাশে গিয়ে বসে।সামু আদির অস্তিত্ব বুঝতে পেরে নড়েচড়ে বসে।তারপর বললো,
—–আপনি আমাকে বিশ্বাস করবেন আমি ভাবতে পারিনি।
তবে আমি মিথ্যা কিছু বলিনি।যা বলেছি সব সত্য।

আদি সামুর কথার উত্তরে বললো,
—–অবিশ্বাস করার কি আছে?
তোমাকে আমি যতটুকু দেখেছি তাতে অবিশ্বাস করার মতো কিছু আমি পাইনি।

সামু স্পষ্ট উত্তর দিলো,
—–তবে আমি আপনার মতো এতো সহজে বিশ্বাস করতে পারিনা।বিশ্বাস করে অনেক ধোকা খেয়েছি।এখন বিশ্বাস শব্দটার উপর থেকে বিশ্বাস উঠে গেছে।বিশ্বাস শুধু একটা সাধারণ শব্দ নয়।
সামু আদির দিকে চেয়ে বললো,
—-আমি কি আপনাকে বিশ্বাস করতে পারি?আমি আবারো ধোকা পাবো না তো?

আদি সামুর হাত ধরে আশ্বস্ত করে বললো,
—–অবশ্যই বিশ্বাস করতে পারো।

—–যদি কখনো কোনো মিথ্যা পাই তবে আমি আপনাকে ক্ষমা করতে পারবোনা।
তাই যদি মনে হয় কোনো কথা আমার থেকে লুকিয়েছেন তবে বলে দেওয়া উচিত।

—–পাবেনা নিশ্চিত থাকো।
সামু পরম নির্ভরতায় আদির কাধে মাথা রাখলো।

আদির তখনই রাজের কথা মনে পড়লো।
ওর আর রাজের বিয়ে কিভাবে ভেংগেছিলো।কিন্তু এটা আদি কিছুতেই সামুকে বলতে পারবেনা।সামু জানতে পারলে ভুল বুঝবে।
আর আদি এই মুহুর্তটা নষ্ট করতে চায়না।

.
.

অন্ধকার ঘরে একটা চেয়ারে বাধা অবস্থায় একটা মেয়ে পড়ে আছে।মুখ বাধা।ঘাড় কাত করে রাখা।মেয়েটার সেন্স নেই।
একটা লোক মেয়েটার মুখের উপর পানি ছুড়ে মারলো।মেয়েটা শরীর ঝাকিয়ে মাথা উঁচু করলো।তারপর পিটপিট করে চোখ মেললো।চারদিকে এমন বিভৎস অন্ধকার দেখে ভয় পেয়ে গেলো।নিভুনিভু আলোয় একটা ছায়া দেখতে পেয়ে চিতকার করলো,
—–কে আপনি? আমাকে এখানে কেন এনেছেন?লাইট অন করুন প্লিজ।প্লিজ লাইট অন করুন।
মেয়েটা কাদতে লাগলো।

সামনে থাকা ছায়ামূর্তি গম্ভীর ভাবে বললো,
—–অন্ধকার ভয় পাও বুঝি?

মেয়েটা কন্ঠস্বর শুনে চমকে উঠলো।ওর হাত পা কাপতে শুরু করলো।বুকের ভিতরে জোরে জোরে হাতুড়ি পেটাচ্ছে।শরীর অসার হয়ে আসছে।কন্ঠস্বর শুনে এতটাই আতকে উঠেছে যে গলায় সব কথা এসে আটকে গেছে।
কাপা কাপা গলায় বললো,
—–রাজ!!!

রাজ হাটু গেড়ে বসে বাকা হেসে বললো,
—–ইয়া বেব! আমার কন্ঠস্বর তোমার চিনতে ভুল হবে কি করে?যতই হোক ইউর এক্স বয়ফ্রেন্ড।

—–আমাকে এখানে কেন এনেছো?

রাজ ক্ষেপে গিয়ে বললো,
—–তুই জানিস না আমি কেন তোকে এখানে এনেছি?

—–কি বলছো কেন এনেছো আমি কিভাবে জানবো?

—–জুই তুই আমাকে রাগাস না।তোর অন্ধকারে ফোবিয়া না?ভাব তোকে যদি আজীবন এই অন্ধকারে বন্দিনী করে রাখি?

জুই ঘাবড়ে গিয়ে আকুতির সুরে বললো,
—–না রাজ এটা করোনা।আমাকে ছেড়ে দেও।

—–ছেড়ে দেবো।তোকে দিয়ে আমার কি কাজ?শুধু বল তোকে কে হায়ার করেছিলো? কার সাহায্যে এতদিন তুই সিংগাপুর গিয়ে গা ঢাকা দিয়েছিলি?বলে দে ছেড়ে দিবো।

—–কেউ আমাকে হায়ার করে নি।আমাকে কেউ কেন হায়ার করবে?আমি সিংগাপুর নিজের কাজে গিয়েছিলাম গা ঢাকা দিতে নয়।

রাজ উঠে দাড়িয়ে বললো,
তাহলে তুই এই অন্ধকারে পচে মর।

—–নায়ায়ায়া।

—–তাহলে আমার প্রশ্নের উত্তর দে।তোর সাথে আমার রিলেশন শেষ হয়েছে কয়মাস?

—–৬মাস।

—–গুড।
রাজ জুইয়ের চুলের মুঠি ধরে বললো,
—–তোকে এখানে আমি কেটে পুতে দেবো যদি সত্যি স্বীকার না করিস।বল কে তোকে মিথ্যে বলতে বলেছিলো?থার্ডক্লাশ মেয়ে কত টাকার বিনিময়ে নিজের ইজ্জত হাজার মানুষের সামনে নিলামে তুলে এসেছিলি সাথে আমাকেও ফাসিয়ে এসেছিলি?তোর জন্য সামান্তা আজ অন্য কারো হয়ে গেছে।বল নয়তো আজ আর তোর রক্ষা নেই আমার হাত থেকে।

জুই ভয়ে গরগর করে সব বলতে শুরু করলো।
——অয়ন নামের এক ছেলে আমাকে একদিন ফোন করে ডেকে পাঠিয়েছিলো।আর আমাকে তোমার ব্যাপারে জিজ্ঞেস করেছিলো।তোমার আমার সম্পর্ক সবকিছু।তারপর আমাকে বড় অংকের টাকা ডিমান্ড করে বলে আমি যেনো তোমার বিয়ের দিন গিয়ে তোমার পর্দা ফাস করে দেই।আর যেভাবেই হোক বিয়েটা ভেঙে দেই।আমিও রাজি হয়ে যাই কেননা আমি তোমার বিয়ে মেনে নিতে পারছিলাম না।
তাই তোমার সাথে যোগাযোগ করি।ফ্রেন্ড হিসেবে কথা বলি যাতে আমি তোমার বিয়ের দিন প্রুফ করতে পারি তোমার আর আমার রিলেশন এখনো আছে।আর আমার কাছে আমাদের রিলেশনের প্রুফ হিসেবে কিছু পিক ছিলো ওগুলো ব্যবহার করি।তোমার এক্সদের তো আমি চিনতাম তাদের সাথে যোগাযোগ করে অনেক চেষ্টা করে কিছু প্রুফ কালেক্ট করি।

রাজ রুম জুড়ে পাইচারি করছে আর অয়ন নামে কাউকে চিনে কিনা মনে করার চেষ্টা করছে।কিন্তু ওর জানা মতে অয়ন নামে কাউকে ও চিনে না।শত্রুতা তো দূরে থাক।

রাজ জুইয়ের সামনে এসে বললো,
—-কে অয়ন?সত্যি করে বল কে অয়ন?

—–রাজ আমি সত্যি জানিনা অয়ন কে।

—-আচ্ছা জানিস না চিনিস না টাকার জন্য তার সাথে আমার লাইফ হেল করার ড্রিল করে নিলি?

—–হ্যা।কারণ আমি চাইনি তোমার বিয়েটা হোক।তুমি হুট করে আমার সাথে ব্রেকাপ করে নিয়েছিলে আমার প্রচন্ড রাগ হয়েছিলো তাই তোমাকে বরবাদ করার সুযোগ হাতছাড়া করিনি।

—–এখন আমি তোকে বরবাদ করবো যদি অয়ন কে না বলিস।
ওর পিক আছে?নাম্বার?

—-পিক নেই তবে নাম্বার আছে।

—-এতেই চলবে।

রাজ অয়নের নাম্বার নিয়ে কয়েকদিন পর্যন্ত রিসার্চ করলো।যত ইনফরমেশন পেরেছে জোগাড় করেছে।অয়নের সাথে আদির লিংক এর ক্লু দেখে রাজ চমকে যায়।তারপর ভাবতে থাকে এই অয়নের সাথে আদির কানেকশন কিভাবে?আদি এর পেছনে নেই তো?
রাজ আদিকে ফলো করে জানতে পারে অয়ন আর আদি ফ্রেন্ড।অয়নের সাথে রাজের ঝামেলা নেই।আর আদির সাথেও ছিলো না তবে কি হতে পারে?

রাজ বিছানায় শুয়ে চোখ বন্ধ করে পা নাড়াচ্ছে।তারপর হুট করে উঠে বসে।
“ওহ মাই গড!এটা তো আমি ভাবিনি।আদিকে কোনো দিন আমার প্রতিদ্বন্দ্বী ভাবিনি বাট আদি যে ভাববে না তা তো নয়? আদির সামান্তার প্রতি ক্রেজিনেস তো আমি দেখেছিই।স্পষ্ট বুঝা যায় আদি সামান্তাকে কতটা চায়।আদি চায়নি আমার আর সামান্তার বিয়েটা হোক।তাই ওর ফ্রেন্ডকে দিয়ে আমার ব্যাপারে সব ইনফরমেশন জোগাড় করে বিয়ের দিনই সব ফাস করে যাতে আমি আর সামান্তা এতো মানুষের সামনে হেরেজ হই।আমার আর সামান্তার লাইফে বেক করার ওয়ে না থাকে।আর সামান্তার সম্মান বাচানোর জন্য ওর বিয়েটা ওইদিনই দিয়ে দেওয়া হয়।আর ছেলে হিসেবে আদিই চোখের সামনে ছিলো তাই বিয়েটা ওর সাথেই দেওয়া হবে।এক ঢিলে দুই পাখি মারা।বাহ!লা জাবাব।লিজেন্ড।অস্কার দেওয়া উচিত।আর এই অস্কার দেওয়ার ব্যবস্থা আমি করবো।আমার ধারণা যদি সত্যি হয় তবে আদি তোকে সামান্তা নিজেই অস্কার দিবে।সো রেডি থাক।”

নিশি আর সামু শপিংয়ে গিয়েছে।নিশির সামনে বিয়ে তাই কেনাকাটা আছে।সামুকেও সাথে নিয়ে গেছে।নিশি কেনাকাটা করছে সামু লিফট করে তিনতলা থেকে পাচ তলা যাচ্ছে।সামু লিফটে বাটন চেপে দাড়াতেই দৌড়ে কেউ ভিতরে ঢুকলো।
সামু ঘুরে তাকাতেই শকড।রাজ হাসি হাসি মুখ করে দাঁড়িয়ে আছে।সামু লিফটের দরজার দিকে চেয়ে দেখে দরজা বন্ধ হয়ে গেছে।
রাজকে দেখে সামান্তা ঘাবড়ে গেলো।তাও একটা লিফটের ভেতরে ও আর রাজ একা।সামান্তা ওকে দেখে ঘামছে।

চলবে…..

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে