তোর_শহরে_ভালোবাসা পর্ব-১৭

0
2484

#তোর_শহরে_ভালোবাসা??
………{সিজন-২}
#ফাবিহা_নওশীন

পর্ব~১৭

আদি অনেকক্ষণ যাবত রেডি হয়ে ড্রয়িংরুমে অপেক্ষা করছে।বারবার সিড়ির দিকে তাকাচ্ছে।নিশি কিংবা সামু কারো আসার নাম নেই।আদি বসে থাকতে থাকতে বিরক্ত হয়ে গেছে।বিরক্তি ওর চেহারায় ফুটে উঠেছে।

কপালে বিরক্তির ভাজ ফুটিয়ে বললো,
“ইয়া আল্লাহ! এই জন্যই ছেলেরা মেয়েদের সাথে কোথাও ঘুরতে যেতে চায়না।এতো টাইম লাগে রেডি হতে?মুখে কয়মণ আটা ময়দা হাবিজাবি লাগাবে কে জানে?সামুর রুমে তো দেখেও এলাম কতকিছু নামও জানিনা।ওই গুলো বসে বসে ঘষছে।আর আমি এখানে তাদের জন্য অপেক্ষা করছি।আদিল চৌধুরী অপেক্ষা করছে।ভাবা যায়?”

আদির ভাবার মাঝখানে ওদের এন্ট্রি হলো।দুটোকেই বারবি ডল লাগছে।আদি দুজনকেই দেখে টাস্কি খেলো।
আদি ওদের দিকে চেয়ে মাথা চুলকে বললো,
—–এরা কই থেকে আমদানি হলো?এরা কোন বাড়ির মেয়ে?

নিশি ভ্রু কুচকে বললো,
—–ভাইয়া মজা করিস না।পার্টিতে যাচ্ছি তাই একটু সাজবো না?

—–হ্যা ভূত সেজেছে।(বিরবির করে)

সামু নিশিকে বললো,
—–ছাড়ো তো আপু।উনার হিংসা হচ্ছে।আমাদের মতো সাজতে পারেনি তো তাই সেই ডিপ্রেশন আমাদের উপর দেখাচ্ছে।তা বলি আপনার ইচ্ছে হলে আমাকে বলবেন সাজিয়ে দিবো।কোনো ট্যাক্স দিতে হবেনা।

আদি কিছু বলতে যাবে নিশি থামিয়ে দিয়ে বললো,
—–ঝগড়া করার টাইম নাই।আমাদের যেতে হবে।জয় বারবার ফোন করছে।

সামু কালো গাউন পড়েছে সাথে রাতের উপযোগী লাইট মেকাপ।নিশি লাল গাউন পড়েছে সাথে লাইট মেকাপ।
তবুও আদি ওদের পিন্স মারছে।

ক্লাবের সামনে এসে গাড়ি থামলো।পার্টি তিনতলায়।ওরা নামতেই জয়কে দেখতে পেলো।জয় আদির সাথে হ্যান্ডশেক করে কুশলাদি বিনিময় করে।নিশি,জয়,আদি আর সামু একসাথে লিফটে তিনতলায় উঠে যায়।

সামু বসে বসে বোর হচ্ছে। নিশি জয়ের সাথে।সামু চুপ করে আদির পাশে বসে আছে।আদি বারবার সামুকে দেখছে।ব্যাপারটা সামু খেয়াল করছে তাই ওর অস্বস্তি লাগছে।এক হাতে আরেক হাত খুটছে।ওর ইচ্ছে করছে উঠে একটা দৌড় দিতে।
নাহ কেমন গলাটাও শুকিয়ে গেছে।পানি খেতে হবে।
সামু সামনে রাখা ড্রিংকসের গ্লাস হাতে তুলে নিলো আর তখনই আদি সেটা ধরে ফেললো।

সামু ভ্রু কুচকে তাকিয়ে বললো,
—–কি হলো কেড়ে নিচ্ছেন কেন?গলা শুকিয়ে গেছে।
সামু নিয়ে মুখের সামনে নিতেই আদি কেড়ে নিয়ে বললো,
—–খাওয়ার আগে দেখে তো নেও কি খাচ্ছো?এতে তোমার গলাই ভিজবে না সাথে হুশ উড়ে যাবে।তারপর দেখা যাবে টেবিলের উপরে দাড়িয়ে সাকি সাকি ড্রান্স দিচ্ছো।

সামু আদিকে ভেংচি কেটে বললো,
—–কোল্ড ড্রিংক পান করলে হুশ উড়ে যায়?

আদি ফিসফিস করে বললো,
—–এটা আমার জন্য স্পেশাল ব্যান্ডের ড্রিংক,এসবে তোমার অভ্যাস নেই।তুমি নরমাল ড্রিংক নেও।

—–হ্যা আপনার তো এসেবের সাথে ভালো দোস্তি আছে।
এতে এমন কি আছে যে হুশ উড়ে যায়?মানুষ খাওয়ার জন্য পাগল হয়ে যায়।না খাই একটু ঘ্রাণ নেই।

—–ঘ্রাণের কথা বলে খেয়ে নিওনা কিন্তু।

—–ওকে ওকে।
সামু গ্লাস নিয়ে নাকের সামনে নিতেই কড়া গন্ধ ওর নাকে ভেসে আসে।সামু ওয়াক করে মুখ সরিয়ে নিলো,নাক চেপে ধরলো।

তারপর আদির দিকে চেয়ে বললো,
—–ছিহ!! এই দুর্গন্ধ নর্দমার পচা পানির মতো গন্ধ এগুলো আপনি খাবেন?না নর্দমার পানি তো তাও ভালো।আপনি বরং নর্দমার পানি খাবেন রোজ।ওয়াক আমার বমি পাচ্ছে।

আদি একটু সরে গিয়ে বললো,
—–এই আমার উপর আবার বমি করে দিওনা।
ঘ্রাণেই এই অবস্থা যদি এক চুমুক মুখে নিতে।মাই গড!

বলেই হাসতে লাগলো।সামু নাক ফুলিয়ে চোখ ছোট ছোট করে চেয়ে আছে।
দূর থেকে কেউ ওদের খুনসুটি দেখে রাগে ফুসফুস করছে।রক্তচক্ষু নিয়ে হাতের মুঠো শক্ত করে চেয়ে আছে।

সামু চুপ মেরে বসে আছে।ওর কেমন বমি বমি পাচ্ছে।পাশে থেকে নরমাল ড্রিংক নিয়ে গলা ভিজিয়ে নিলো।তবুও কেমন অস্থির লাগছে।মনে হচ্ছে পেট থেকে সব দলা পাকিয়ে বেরিয়ে আসতে চাইছে।গলায় কেমন পিরপির করছে।সামু ফোন টেবিলের উপরে রেখে উঠে দাড়িয়ে বললো,
—–আমি একটু আসছি।

আদি বিচলিত হয়ে বললো,
—–কোথায় যাচ্ছো?

—–আসছি ৫মিনিটের মধ্যে।

সামু আর অপেক্ষা না করে পা বাড়ালো।ওর অস্থির লাগছে খুব।তাড়াতাড়ি ওয়াশরুমে গেলো।সামু ওয়াশরুমে ঢুকেছে বাট ওর বমি হচ্ছে না।সামু অনেক বার ট্রাই করলো।তারপর হতাশ হয়ে চোখে মুখে পানি দিয়ে টিস্যু দিয়ে মুখ মুছে নিলো।

সামু দরজা খোলছে কিন্তু বাইরে থেকে মনে হচ্ছে লক করা।সামু বারবার ট্রায় করছে কিন্তু দরজা খোলছেনা।
সামু বিরবির করে বলছে,
—-হোয়াট দ্যা হেল।দরজা খোলছেনা কেন?কেউ লক করে দিলো না তো?কিন্তু কেন দিবে?

সামু আরেকবার চেষ্টা করেও যখন দরজা খোলতে পারছেনা তখন দরজা ধাক্কাতে লাগলো।দরজা ধাক্কাছে আর বলছে,
কেউ আছেন? দরজাটা খোলবে?
অনেকবার বলার পরেও কেউ খোলছেনা।
“উফফ কেউ নেই নাকি?ফোনটাও আনিনি।ছুটির ঘন্টা মুভির মতো হবেনা তো?দূরর কি ভাবছি।এখানে পার্টি চলছে।কেউ না কেউ ঠিকই আসবে।”
সামুর দাড়িয়ে থাকতে থাকতে পা ব্যাথা হয়ে গেছে।সামু হাটু গেড়ে বসে আছে।কিছুক্ষণ পরে আবারো ধাক্কাতে লাগলো আর ডাকতে লাগলো।

অপরদিকে আদি সামুর আসার খবর নেই তাই উঠে দাড়িয়ে এদিক সেদিক চেয়ে খোজতে লাগলো।সামুকে কোথাও দেখা যাচ্ছে না।আদি আশেপাশে খোজছে নিশিকেও জিজ্ঞেস করেছে কিন্তু কেউ বলতে পারছেনা কোথায় আছে।
আদির মনে হচ্ছে কেউ ওকে দূর থেকে ফলো করছে।আদি পেছনে ঘুরতেই কেউ একজন সরে গেলো।আদি চিন্তিত ভংগীতে ভাবতে লাগলো কে হতে পারে?রাজ?সামু কোথায়?
“না আমার সামুকে খোজে বের করতে হবে।সামুকে আমি রাজের ত্রিসীমানায় যেতে দেবোনা।আর না রাজকে আসতে দিবো।ওটা রাজ ছিলো তো?”

সামু হটাৎ ছিটকিনি খোলার শব্দ পেলো।কেউ বাইরের ছিটকিনি খোলেছে।সামুর মনে খুশি আর ধরে না,অবশেষে কেউ এসেছে।সামু উঠে বসে দরজা খোললো।কিন্তু অদ্ভুত বিষয় বাইরে কেউ নেই।।সামু আশেপাশে ভালো করে দেখে নিলো।
অদ্ভুত তো।কে হুট করে এসে দরজা খোলে উধাও হয়ে গেলো?

সামুর এতো ভাবার সময় নেই।নিশ্চয়ই ওকে আদি খোজছে।৫মিনিটের কথা বলে এসেছে।
সামু কিছুদূর এগুতেই আদিকে দেখে।আদি কাউকে খোজছে আর এ কেউটা যে ও নিজেই সেটা সামু বুঝতে পারলো।তাড়াতাড়ি আদির সামনে গিয়ে দাড়িয়ে বললো,
—–আ’ম হেয়ার।

আদি রাগ দেখিয়ে বললো,
—–এই তোমার ৫মিনিট?আধা ঘন্টার বেশী হয়ে গেছে।

—–সরি সরি আসলে আমি আটকে পড়েছিলাম।কেউ…

পরের কথাগুলো সামু আর বলতে পারলোনা।তার আগেই এনাউন্স করা হলো ড্রান্সের।
আদি সামুর হাত ধরে বললো,
—–চলো।

সামু বাধ্য মেয়ের মতো আদির সাথে চলে গেলো।
কিছুক্ষণ ড্রান্স করার পর সামু বললো,
—–আমার আর ভালো লাগছে না।

আদি বিচলিত হয়ে বললো,
—–শরীর খারাপ লাগছে?

—–না।ড্রিংকের গন্ধ আমাকে এখনো অস্থির করে ফেলছে।মাথা ঘুরছে,বমি বমি লাগছে।এই মুহুর্তে খোলা হাওয়া প্রয়োজন।বিশুদ্ধ নির্মল বাতাস।যেখানে আমি প্রানখুলে শ্বাস নিয়ে পারবো।

—–তো চলো।

—-কোথায়?

—–নিচে গার্ডেনে।তোমার তো খোলা হাওয়া প্রয়োজন।সেখানে তুমি সব পাবে।

আদি আর সামু নিচে গার্ডেনে গেলো।গার্ডেনে মানুষ নেই বললেই চলে।চারপাশে আলো জ্বলছে।স্নিগ্ধ বাতাস বইছে।সামুর একটু ভালো লাগছে।
আদি মজা করে বললো,
—–সামান্য ড্রিংকের ঘ্রাণে এই অবস্থা আর আস্ত নেশাগ্রস্ত আমাকে কিভাবে সামলাবে?

সামু ভ্রু কুচকে বললো,
—–আমি কেন আপনাকে সামলাবো?

—–তাহলে কে সামলাবে?

—–সে আমি কি জানি?আমি আপনাকে সামলাতে যাবো কেন?আমি আপনার বউ লাগি?

সামু কথাটা বলেই জিভে কামড় দিলো।
আদি সামুর অবস্থা দেখে হেসে দিলো।
ভ্রু নাড়িয়ে বললো,তাহলে কি লাগো?

সামু চোখ ছোট ছোট করে আদিকে বললো,
——আপনাকে এখন মার লাগাতে ইচ্ছে করছে।মেরে তক্তা বানাতে ইচ্ছে করছে।হাত পিসপিস করছে।উফফ!

আদি সামুর কথা শুনে হাসছে।রাজ দূর থেকে দেখে রাগে ফেটে যাচ্ছে।
তারপর আড়াল থেকে সামনে এসে দাড়ালো।সামু আদি দু’জনেই রাজকে দেখে চমকে গেলো।
আদি মনে মনে ভাবছে তাহলে ওর ধারণা ঠিক ও রাজকেই দেখেছে।
সামু রাজকে দেখে ঘাবড়ে গেলো।ওর বুক ধুকপুক করছে।আদির দিকে আড়চোখে দেখছে।আদি চোখ মুখ শক্ত করে দাড়িয়ে আছে।বুঝাই যাচ্ছে রাজের উপস্থিতি ওকে কতটা বিরক্ত করছে।

রাজ বললো,
—-হোয়াটস আপ নিউলি মেরিড কাপল?

সামু কিছু বলছেনা।আদি উত্তর দিলো।নিশ্চয়ই আমাদের পুরো সময় ফলো করেছেন?আর ফলো যখন করেছেন তখন বুঝতে পারছেন আমরা কতটা হ্যাপি।

রাজ সামুর দিকে চেয়ে বাকা হেসে বললো,তাই নাকি?কিন্তু সামু তুমি তো আমাকে তেমন কিছু বলোনি।

সামু অবাক হয়ে বললো,মানেহ?আমি বলবো মানে কি?
আদিও বুঝতে পারছেনা রাজ কি বলছে।

রাজ আদির দিকে চেয়ে বললো,
——ওহ আপনাকে বলেনি আমাদের কিছুক্ষণ আগে কথা হয়েছে।
সামু আমি তোমার এক্স।আমার সাথে কথা বলতেই পারো তোমার হাসব্যান্ড কিছু মনে করবেনা।বাট তুমি ভালো নেই সেটা শুনে আমার অনেক কষ্ট লাগছে।

আদি রক্তচক্ষু নিয়ে সামুর দিকে চেয়ে আছে।
সামু আদিকে বললো,
—–বিশ্বাস করুন আমি মাত্রই উনাকে দেখলাম।এর আগে দেখা কথা কিছুই হয়নি।উনি মিথ্যা বলছে।আমাদের মাঝে ঝামেলা করতে চাইছে।ট্রাস্ট মি।

আদি সামুকে জিজ্ঞেস করলো,
—–তুমি এতোক্ষণ কোথায় ছিলে?

—–আমি ওয়াশরুমে….
আর তখনই মনে পড়লো দরজা লকের কথা।
সামু রাজের দিকে অগ্নি দৃষ্টি ছুড়ে দিয়ে বললো,
—–এর মানে আপনি? আপনি ওয়াশরুমের দরজা লক করে রেখেছিলেন?
আদি আমি ওয়াশরুমে ছিলাম।বমি পাচ্ছিলো তাই গিয়েছিলাম আর কেউ বাইরে থেকে দরজা লক করে রাখে।আর এখন বুঝতে পারছি এটা উনি করেছে।

রাজ তাচ্ছিল্যের হাসি দিয়ে বললো,
—–আমি! কি সুন্দর গল্প বানাচ্ছো?আমি লেডিস ওয়াশরুমের সামনে যাবো?হাহা!

আদি হাতের মুঠো শক্ত করে বললো,
—–আই ট্রাস্ট সামু।আপনার মতো লোক সব পারে।আমি আপনাকে বারবার বলেছি সামুর থেকে দূরে থাকতে।

—–এক্স গার্লফ্রেন্ডের প্রতি কোনো টান নেই।ওল্ড,ইউস করা জিনিস আমার পছন্দ না।
(বিশ্রী হাসি দিলো।সামুর শরীর জ্বলে যাচ্ছে।)

আদি রাজের কলার ধরে বললো,
—–আর একটা বাজে কথা বলবি তোর জিভ টেনে ছিড়ে ফেলবো।

—–যা সত্যি তাই বললাম।আপনার জন্য দুঃখ হয় আমার ব্যবহৃত…

আদি রাজের নাকে ঘুষি মারলো।তারপর দু’জনে মধ্যে হাতাহাতি হয়।সামু অনেক চেষ্টা করেও ছাড়াতে পারছেনা।কেউ নেই যে ডাকবে।শেষে না পেরে সিকিউরিটি গার্ডের দুজনকে ডেকে আনে।ওরা এসে ওদের থামায়।

সামু আদিকে চেপে ধরে দূরে সরিয়ে রাজের দিকে চেয়ে বললো,
—–তোর মতো কুরুচিপূর্ণ মানুষের সাথে বন্ধুত্ব করাই আমার লাইফের বড় ভুল।তুই মানুষ না।আর গার্লফ্রেন্ড? কে তোর গার্লফ্রেন্ড ছিলো? আমি তোকে কোনোদিন ভালোবাসিনি এটা তুই বিয়ের আগের দিন পর্যন্ত জানতি।আর সারাজীবন জেনে রাখ তুই আমার বন্ধু হওয়ার যোগ্য না।আর তুই কিসের কথা বললি তোর ব্যবহৃত..জানোয়ার তোকে কোনো দিন আমার হাত ছুতে দিয়েছি?
আমার চরিত্র নিয়ে বাজে কথা বলবি তোকে আমি খুন করে দিবো তুই এখনো আমাকে চিনিস নি।তুই হাজার চেষ্টা করেও আমাদের মধ্যে ভুল বুঝাবুঝি সৃষ্টি করতে পারবিনা।সম্পর্ক যেখানে স্ট্রং সেখানে তোদের মতো মানুষের বাজে কথা কোনো প্রভাব ফেলবে না।

আদি সামুকে টেনে নিজের সাথে মিশিয়ে নিয়ে বললো,
—–আমি এই কয়দিনে জেনে গেছি সামু কেমন।ও গা ভাসিয়ে দেওয়ার মতো মেয়ে না।আমি তোর এসব ফালতু কথা বিন্দুমাত্র বিশ্বাস করবো না।নতুন কিছু ট্রাই করিস।
আর ভালো করে দেখে নে সি ইজ মাই ওয়াইফ।একদম চোখ তুলে তাকাবিনা।তাহলে পুতে দিবো।বুঝেছিস।সি ইজ অনলি মাইন।

সামু অবাক হয়ে আদির মুখের দিকে চেয়ে আছে।

আদি সামুর হাত ধরে ওখান থেকে চলে গেলো।আদি সামুর হাত যেভাবে ধরে আছে যেনো হাত ভেঙে ফেলবে।
—-আমরা এই মুহুর্তে বাড়ি যাচ্ছি।
তারপর গাড়ির দিকে যেতে লাগলো।

—–কিন্তু নিশিপু?

—–ওকে জয় পৌছে দেবে।

—–ঠিক আছে আমি ফোন করে জানিয়ে দেই।আমার হাতটা ছাড়ুন।
আদি সামুর হাত ছেড়ে দিলো।সামু নিশিকে ফোন করে জানিয়ে দিলো ওরা বাড়ি যাচ্ছে,জয়কে যেনো বলে পৌছে দিতে।

আদি গাড়িতে উঠে বসে আছে।সামু উঠতেই আদি গাড়ি স্টার্ট দিলো।সামু বারবার আদির দিকে আড়চোখে দেখছে।
আদি অনেকক্ষণ যাবত ব্যাপারটা খেয়াল করছে।আদি সামুর দিকে তাকিয়ে ধমক দিয়ে বললো,
—-এভাবে বারবার তাকাচ্ছো কেন?আমাকে এর আগে দেখো নি?আমার মনোযোগ নষ্ট করোনা এক্সিডেন্ট হয়ে যাবে।

সামু ধমক খেয়ে গাল ফুলিয়ে অন্য দিকে মুখ ঘুরিয়ে নিলো।

আদি গাড়ি থামাতেই সামু গাড়ি থেকে নেমে গেলো কিছু না বলে।

আদি মনে মনে বলছে,মহারাণীর রাগ হয়েছে।চল আদি বউয়ের রাগ ভাংগাও।আর কতকিছু করতে হবে আল্লাহ মালুম।

চলবে……

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে