#তোর_শহরে_ভালোবাসা??
……..{সিজন-২}
৳#ফাবিহা_নওশীন
পর্ব~১৩
??
আজ বিয়ের ১০দিন।রাত ১টা।
আদি বিয়ের পর ১১টার মধ্যে বাড়ি চলে আসে।কিন্তু আজ ১টা বাজতে চললো।আদির ফেরার খবর নেই।
সামু বিছানায় হেলান দিয়ে বই খোলে আদির জন্য অপেক্ষা করছে।আদির জন্য অপেক্ষা করা ওর অভ্যাসে পরিণত হয়েছে।
সামু বারবার দরজার দিকে চোখ দিচ্ছে।
হটাৎ দরজা খোলার শব্দে সামু তাড়াতাড়ি দরজার দিকে তাকালো।আদি ভিতরে ঢুকে সামুকে কোলের উপর বই রেখে হেলান দিয়ে বসে থাকতে দেখলো।
সামু আদির দিকে একবার চেয়ে বইয়ের দিকে চোখ দিলো।
আদি সামুকে জেগে থাকতে দেখে নির্লিপ্ত কণ্ঠে বললো,
—–এখনো জেগে আছো?
সামু আদির দিকে চেয়ে বললো,
—–হ্যা আসলে আগামীকাল আমার এক্সাম আছে তাই পড়ছি।(সামুর পড়া শেষ আদির জন্য অপেক্ষা করার বাহানা দিচ্ছে)
—–ওহহ!!
আদি ফ্রেশ হতে চলে গেলো।সামুর কেমন খটকা লাগছে।আদিকে এত চুপচাপ ও কখনো দেখেনি।
আদি ফ্রেশ হয়ে এসে চুপচাপ শুয়ে পরলো।সামু আড়চোখে বারবার আদিকে দেখছে।ওর ইচ্ছে করছে আদিকে কিছু জিজ্ঞেস করতে কিন্তু জিজ্ঞেস করতে পারছেনা।
সামু জিজ্ঞেস করবেনা করবেনা করে জিজ্ঞেস করে ফেললো,
—–কিছু হয়েছে?
আদি চোখ খোলে সামুর দিকে কিছুক্ষণ চেয়ে রইলো।সামুর চোখে স্পষ্ট ওর জন্য চিন্তা দেখতে পারছে।
আদি কিছু না বলে সামুর কোলে মাথা রাখলো।সামু আদির আচমকা কান্ডে ভড়কে গেলো।সামু বই আর হাত উঠিয়ে বলল,
—–আরে কি করছেন?
আদি ঘুমঘুম চোখে বললো,
—–ঘুম পাচ্ছে।আমার মাথার উপর বই রেখে পড়ো।
সামু আর কিছু বলতে পারলো না।
সামু কিছুক্ষণ পর আদিকে চেক করলো।আদি ঘুমিয়ে পড়েছে।সামু আদির মুখে কড়া গন্ধ পেয়েছে।ও ড্রিংক করেছে হাল্কা।
সামু আদির মাথায় হাত বুলিয়ে দিচ্ছে।তারপর নিজেকে নিজেই বলছে উনি যদি এতবড় সেক্রিফাইজ করে আমাকে বিয়ে করতে পারে আমি এটুকু কেন করতে পারবোনা?
সকাল হয়ে গেছে।সামুর ঘুম ভেঙে গেছে।সামু নিজেকে আধশোয়া অবস্থায় নিজেকে আবিষ্কার করলো।আদি ওর কোলে শুয়ে আছে।সামু আদিকে দেখে চমকে গেছে।ও ভাবেনি পুরো রাত এভাবেই থাকবে।
সামু ঘড়ির দিকে তাকালো।ঘড়িতে ৮টা বাজছে।সামুর এখন উঠে ফ্রেশ হয়ে ভার্সিটি যেতে হবে।
সামু কোনো উপায় না পেয়ে আদিকে ধাক্কা দিয়ে ডাকছে।
আদি নড়ে-চড়ে আরো গভীর ঘুমে ডুবে যাচ্ছে।
সামু আরো জোরে চিতকার করে ডাকছে।
“এই যে কলার কাদি আমার মতো মাসুম বাচ্চার কোলে শুয়ে আমাকে ভর্তা বানিয়ে ফেলেছেন।এই জিরাফের শরীরটাকে সরান।”
আদি বিরক্তি নিয়ে সামুর দিকে চেয়ে নিজেকে সামুর কোলে মাথা রাখা অবস্থায় আবিষ্কার করলো।আদি নিজেকে এভাবে দেখে হতবাক।আদি সরে গিয়ে বললো,
—–আমি এখানে কিভাবে?
সামু অবাক হয়ে বললো,
—–সেটা আমাকে জিজ্ঞেস করছেন?
আদি চোখ ঢলতে ঢলতে বললো,
—–আমার কিছু মনে নেই।
—–বাট মনে করানোর জন্য আমি আছি।সামু সব বলার পর আদি বললো,
—–আমি হুশে ছিলাম না।তুমি আমাকে সরিয়ে দেওনি কেন?
—–আমি!! আর ইউ কিডিং??
আমি আপনাকে ঠেলে এক ইঞ্চিও সরাতে পারবো?
আদি উঠে বসতে বসতে বললো,
—–সেই তোমার মতো পিপড়া কি পারবে?
আদির গতকালের ঘটনা মনে পড়ে গেলো।আদি ওয়াশরুমে চলে গেলো।আয়নার সামনে দাড়িয়ে মুখে পানি ছিটালো।
~ফ্ল্যাশব্যাক~
আদি সামুর জন্য নিউ একটা সিম নিয়ে প্রতিদিনের মতোই বাড়িতে ফিরছিলো তখনই রাজের সাথে হুট করে দেখা।আদির হুট করে দেখা হলেও,রাজ প্ল্যানিং করে আদির সামনে এসেছে।রাজকে দেখে আদির ফুরফুরে মেজাজ বিগড়ে গেলো।
রাজ আদিকে দেখে এগিয়ে এসে বললো,
—–হায় ব্রো,আমার এক্স গার্লফ্রেন্ড এন্ড এক্স হবু বউয়ের হাব্বি কেমন আছেন?বিবাহিত জীবন কেমন কাটছে?
আদি নরম গলায় বললো,
——সেটা জানা কি আপনার জরুরী?
—–না ঠিক জরুরী না।একচুয়ালি খোজ খবর নিচ্ছিলাম।হুট করে আমার ঘাড়ের জিনিস আপনার উপর চাপিয়ে দিলো।মায়ের চ্যালেঞ্জ জেতার জন্য বিয়েটা করে নিলেন এখন ভার বইতে পারছেন কিনা।
—–সেটা আপনাকে ভাবতে হবেনা।আমি এখনো সামুর সাথে আছি আগামীতেও থাকবো।(কনফিডেন্সের সাথে)
—–আর সামু??(বিদ্রুপ করে)
আদি চুপ হয়ে গেলো।সামু ওর সাথ দিবে তো?তবুও বিশ্বাসের সাথে বললো অবশ্যই দেবে।গ্যারান্টি।
রাজ শব্দ করে হাহাহা করে হেসে দিলো।
——ভুলে যাবেন না আপনি ওকে দয়া করেছেন আর ও বাধ্য হয়েই বিয়ে করেছে।কেউ কারো প্রতি কমিটেড ছিলো না।ওর সব স্বপ্ন ছিলো আমাকে ঘিরে আপনাকে ঘিরে নয়।তাই আপনাকে নিয়ে ও নতুন করে কিভাবে স্বপ্ন দেখবে?
দেখতে চাইলেই ওর অজান্তে সেখানে আমার পদচারণ থাকবে।
ও যদি আপনার সাথে থাকেও তবে সেটাকে বলা হবে মানিয়ে নেওয়া,মেনে নেওয়া ভালোবেসে পাশে থেকে নয়।
আদি মুচকি হেসে বললো,
—–আমি তো তাও পাশে পেয়েছি সেটা যে হিসেবেই হোক।আপনি তো সেটাও পারেননি।কিছুই পান নি।একদম শুন্য পাপ্তির খাতাটা ভুলে যাবেন না।
——না আমি কিছুই ভুলিনি।তবুও কোথাও না কোথাও ওর মনে আমি আছি কিন্তু আপনি?
——আপনি অতীতে ছিলেন আর আমি বর্তমান এবং সুন্দর ভবিষ্যতেও থাকবো।আর মনে একদিন না একদিন জায়গা করে নিবো।পাকাপোক্ত জায়গা।আপনি খুব শীঘ্রই ওর মনে জায়গা নিয়েছেন আবার খুব শীঘ্রই বিদায়।সস্তা জিনিস তাড়াতাড়ি পচে যায়।আপনিও তাই।তাই বলছি যত তাড়াতাড়ি ওর লাইফে ইন্টারফেয়ার করা বন্ধ করবেন ততই ভালো।তাই দূরে থাকা বুদ্ধিমানের কাজ।
শেষের কথাগুলো চোয়াল শক্ত করে চেহারায় রাগ ফুটিয়ে জোর দিয়ে কিছুটা জোরে বললো।
তারপর আদি চলে এলো।
আদি ফ্রেশ হয়ে বাইরে বেরুতেই দেখে সামু অন্যরুম থেকে ফ্রেশ হয়ে রুমে এলো।
—–তোমার ফোনের সিমটা আমাকে দেও।
সামু অবাক হয়ে বললো,কেনো!!!
আদি ভনিতা ছাড়াই সরাসরি বললো,
—– নষ্ট করে ফেলবো।তোমার জন্য নিউ সিম এনেছি।এখন থেকে এটাই ব্যবহার করবে।এই নাম্বার রাজ যেনো কিছুতেই না পায়।ওর সাথে কোনোরকম যোগাযোগ রাখবেনা।ভুলে যেওনা ও কি করেছে।তোমার আমার বিয়ে হয়েছে সেটা যেভাবেই হোক।তাই চাইলেও রেসপনসেবলিটি আমরা কেউই এড়িয়ে যেতে পারিনা।তুমি এ বাড়ির বউ। তোমার হাতে এখন এই বাড়ির সম্মান।কোনো ভাবেই যেনো সেটা নষ্ট না হয়।
সামু মাথা নাড়িয়ে বাধ্য মেয়ের মতো কোনো শব্দ ছাড়া চুপচাপ শুনে যাচ্চিলো যেনো ও স্টুডেন্ড আর আদি ওর প্যারা দেওয়া মহাজ্ঞানী শিক্ষক।
সামু আদিকে থামিয়ে বললো,
—–হয়েছে।আমি কাউকে নাম্বার দেবোনা। রাজের সাথে যোগাযোগ করবোনা।খুশি!!!
এইবার যাওয়া যাক।
—–মনে থাকে যেনো যদি এ নিয়ে কোনো প্রকার সিনক্রিয়েট হয় তবে রাজের আগে তোমার অবস্থা আমি খারাপ করবো।ওয়ার্নিং।
সামু আদির দিকে ভ্রু কুচকে বললো,
—–কিছু কি হয়েছে?
আদি আমতা আমতা করে বললো,
—–কি হবে?
——আপনার কথা শুনে মনে হচ্ছে কিছু হয়েছে নয়তো রাজের নাম এত জপছেন কেন?
—–তোমাকে জাস্ট এলার্ড করলাম।
সামু আদির কথায় সন্তুষ্ট নয়।ওর মনে হচ্ছে কিছু একটা হয়েছে।
আদির মা সামুকে কোনো প্রয়োজনে খোজছে কিন্তু খোজে পাচ্ছেনা।আদিকে দেখে সামুর কথা জিজ্ঞেস করলো।আদি জানালো জানেনা।
আদির মা ক্ষেপে গিয়ে বললো,
—–জানিস না মানে কি?রাত হয়ে যাচ্ছে।সামু কি বাইরে গেছে?
আদি মাথা চুলকে মনে করার চেষ্টা করলো কিন্তু সামু কোথাও গিয়েছে কিনা মনে করতে পারছেনা।
—–মা আমি সত্যিই জানিনা।আমি দেখিনি।
আদি ফোন বের করে সামুকে ফোন দিলো।সামু ফোন তুলছেনা।
আদি নিজের রুমে গিয়ে চেক করছে সামুর জিনিসপত্র।কোথাও বেরুলেই অবশ্যই জিনিসপত্র ছড়ানো ছিটানো থাকবে।
আদি রুমে ঢুকার কিছুক্ষণ পর সামু রুমে ঢুকলো।
ওর মুখ ফ্যাকাসে হয়ে আছে।
আদি সামুর দিকে দ্রুত গিয়ে ধমক দিয়ে বললো,
—–ছিলে কোথায় তুমি? হ্যা কোথায় ছিলে?তোমাকে খোজে খোজে সবাই হয়রান হচ্ছে।
সামুর মন এমনিতেই খারাপ আর আদির এসব ধমকি ভালো লাগছে না।ও তো বাড়িতেই ছিলো ভালো করে খোজলেই হতো।
সামু ত্যাড়া উত্তর দিলো,
—–আপনার মাথার উপর ছিলাম।
আদি চোখ পাকিয়ে সামুর দিকে তাকালো।
সামু বললো,এভাবে তাকাচ্ছেন কেন?আমি আপনার মাথার উপরে ছিলাম মানে ছাদে।ভালো করে খোজলেই হতো।না খোজেই চেচামেচি।
সামু বারান্দায় গিয়ে রেলিঙ ধরে দাড়িয়ে আছে।কিছুক্ষণ আগে সামু বাড়িতে ফোন করেছিলো।ওর বাবার নাম্বারে।ওর বাবা ফোন তুলেছে কিন্তু সামু কোনো কথা বলেনি শুধুমাত্র ওপাশ থেকে হ্যালো হ্যালো শব্দ শুনেছে।সামুর বাবার সামুর নাম্বার জানা নেই তাই চিনতে পারেনি।
সামু দীর্ঘশ্বাস ফেলছে।যেনো এ শ্বাসের সাথে বুক চিড়ে হাজারো কষ্ট বেরিয়ে আসছে।না বলা অভিযোগ অভিমান সব।সামুর ইচ্ছে করছে চিতকার করে কাদতে।মা নেই বাবা আছে কিন্তু তার সাথে চেয়েও কথা বলতে পারছেনা।কেমন একা একা লাগছে।
আদি পেছনে এসে দাড়িয়ে সামুকে পর্যবেক্ষণ করছে।হটাৎ বলে উঠলো,
“কার ফোন ছিলো?কার সাথে কথা বলছিলে?”
হটাৎ আদির কন্ঠ শুনে সামু চমকে যায়।
তারপর নিজের ভয়টাকে দমিয়ে পেছনে না ঘুরেই বললো,
—-কারো না।
আদি সামুর কথা বিশ্বাস করতে পারেনি।আদি আচমকা সামুকে নিজের দিকে ঘুরিয়ে নেয়।সামু আদির দিকে চেয়ে দেখতে পায় আদির রক্তচক্ষু।আদি সামুর ফোন নিয়ে নেয়।কিন্তু লক করা তাই ওপেন করতে পারছেনা।সামুর দিকে ফোন বাড়িয়ে দিয়ে বললো,
লক খোলো।
সামু আদির দিকে অবিশ্বাস্য দৃষ্টিতে চেয়ে বললো,
—–মানে কি??
—–কে ফোন দিয়েছিলো?
সামু দীর্ঘশ্বাস ছেড়ে নিচুস্বরে বললো,
—-কেউ দেয়নি।আমি দিয়েছিলাম।
আদি সামুর কথা বিশ্বাস করতে পারছেনা।সামু কাউকে ফোন দিয়েছিলো কিন্তু কাকে?রাজকে?এই জন্য এতো বিব্রত বোধ করছে?
আদি মনে মনে বলছে সামু যেনো রাজের নাম না বলে।এটা আদি কিছুতেই মেনে নিতে পারবেনা।সামু তখনো মাথা নিচু করে আছে।মুখ কালো মেঘে ছেয়ে গেছে।মনে হচ্ছে এখুনি বৃষ্টি হয়ে নামবে।
আদি সামুকে জিজ্ঞেস করলো,
—–কাকে?
মনের ভিতরে তুফান বয়ে যাচ্ছে আদির।
সামু জিহবা দিয়ে ঠোঁট ভিজিয়ে নিলো।তারপর অস্পষ্ট ভাবে বললো,
—–বাবাকে!!
আদি সামুর মুখে এ কথা শুনে চমকে গেলো।
সামু আদির দিকে চোখ তুলে একবার তাকালো।তারপর চোখ নামিয়ে নিলো।
—–তাকে কেন ফোন করেছো? কি প্রয়োজন? তুমি তোমার বাবাকে ফোন করেছো?আমি তো বিশ্বাসই করতে পারছিনা।তোমার বাবা কি করেছে ভুলে গেছো?কি বললো উনি?
—–আমি কোনো কথা বলিনি।রেখে দিয়েছি।উনি আমাকে চিনতে পারেনি।
—–চিনবে কিভাবে?টান থাকলে তো চিনবে।
আদির কথাটা সামুর কানে বাজছে।টান।আসলেই তো বাবার প্রতি সামুর টান আছে কিন্তু সামুর প্রতি কি তার টান আছে।
—–ছোটবেলায় মাকে হারিয়েছি।বাবাকেই আকড়ে ধরে বাচতে চেয়েছি।তিনি আমাকে ভালো না বাসলেও আমি বেসেছি।কেন বাসবো না আমার আর কে ছিলো?কি ছিলো?বাচ্চা একটা মেয়ের একমাত্র আশ্রয় তার বাবাই ছিলো।আমার জন্য তার সময় না থাকলেও আমি অপেক্ষা করেছি।নিজে যেচে আদর ভালোবাসা আদায় করতে চেয়েছি কিন্তু কি বলেন তো সব কিছু জোর করে হলেও মনের ব্যাপারে জোর খাটেনা।বাবা আমাকে কোনো দিন ভালো বাসেনি।
সামুর গলা আটকে আসছে।কন্ঠ ভারী হয়ে গেছে।
“আমি বারবার বলেছি বাবার কথা মনে করবোনা কিন্তু মনে পড়ে যায়।আজ একটু বেশিই মনে পড়েছে তাই ফোন দিয়েছিলাম তার কন্ঠস্বর শোনার জন্য।তার কি আমার কথা মনে পড়ে?”
সামু আর পারলো না চোখের পানি আটকে রাখতে।দু গাল বেয়ে টুপ করে পানি পড়ে গেলো।
আদি তাৎক্ষনিক সামুর চোখের পানি মুছে দিয়ে জড়িয়ে ধরলো।
“সরি আ’ম রিয়েলি সরি।আমি বুঝতে পারিনি আমি ভেবেছিলাম….যাইহোক কষ্ট পেওনা।সব ঠিক হয়ে যাবে।একদিন তোমারও একজন ভালোবাসার মানুষ হবে।যাকে পেয়ে তুমি তোমার সব কষ্ট ভুলে যাবে।তুমি ভালোবাসায় পরিপূর্ণ হবে।মিলিয়ে নিও।”
সামুও আদির পিঠে হাত রাখলো।ওর চোখ বেয়ে এখনো পানি পড়ছে।
চলবে….