তোর হতে চাই পর্ব-১১ এবং শেষ পর্ব

0
2029

#তোর_হতে_চাই
#Ariyana_Nur
#Last_Part

পিটপিট করে চোখ খুলতেই নিজেকে বেডে আবিষ্কার করল তোহফা।মাথাটা কেমন ঝিম ঝিম করছে তার।শরীরও কেমন ভাড় হয়ে রয়েছে।আশেপাশে চোখ বুলিয়ে বোঝার চেষ্টা করল সে কোথায় আছে।নিজের অবস্থান বুঝতে পেরে সে অবাক হয়ে গেলো।তড়িঘড়ি করে উঠতে গেলে শরীরের ব‍্যাথা এসে ঝেকে ধরল।ব‍‍্যাথায় মৃদু শব্দ করে উঠল সে।আনিশা দরজার সামনে দাড়িয়ে মিতুর সাথে কথা বলছিলো।তোহফার শব্দ পেয়ে দুজন তাড়াতাড়ি ছুটে যায় তোহফার কাছে।আনিশা তোহফার সামনে এসে উওেজিত হয়ে বলতে লাগল…….

—কি হয়েছে ভাবি?শরীর অনেক খারাপ লাগছে?কষ্ট হচ্ছে খুব?

তোহফা আনিশার সাহায্য নিয়ে উঠে বসে মিনমিনে গলায় বলল…….

—আমাকে একটু পানি দিবে?

মিতু বেড টেবিল থেকে পানি ভর্তি গ্লাস আনিশার হাতে দিতে আনিশা আস্তে আস্তে তোহফাকে পানি খাইয়ে দিল।তোহফা পুরো রুমে পুনরায় চোখ বুলিয়ে বলল…..

—আমি এখানে কেন?আমি না আমার বাড়িতে ছিলাম।এখানে কিভাবে…..?

মিতু কিছু বলতে চাইলে আনিশা বাধা দিয়ে বলল…….

—ভাবি তুমি এখন অসুস্থ।আগে সুস্থ হও তার পরে সব জানতে পারবে।

তোহফা মৃদু হাসার চেষ্টা করে বলল……

—আমি ঠিক আছি।বলনা এখানে কিভাবে এলাম আমি?

মিতু থমথমে গলায় বলল……

—ভাইয়া এনেছে তোমায়?

(তোহফা এই বাড়ি থেকে বের হবার কিছুক্ষন পর আদিয়াত বাসায় ফোন দেয় তোহফার খোজ নেওয়ার জন‍্য।তখন জানতে পারে তোহফা তার ফুপি অসুস্থ বলে ঐ বাড়িতে যাওয়ার জন‍্য বের হয়েছে।তোহফা একা দেখে আইরিন বেগম মিতুকে সাথে পাঠাতে চেয়েছে।কিন্তু তাতে তোহফা সরাসরি তাকে মানা করে দিয়েছে।সব শুনে আদিয়াত দেড়ি না করে ঐ বাড়ির উদ্দেশ্য রওনা হয়।আদিয়াত সে বাড়িতে গিয়ে তোহফার খোজ করলে আসফিয়া জানায় তোহফা আসে নি।আদিয়াত প্রথমে ভালো ভাবে কথা বলে যখন দেখে কাজ হচ্ছে না তখন তাকে হুমকি, পুলিশের ভয় দেখায়।তাহের রহমান বাড়িতে না থাকায় আসফিয়া ভয় পেয়ে আদিয়াতকে তোহফার কথা বলে দেয়।)

কথাটা শোনা মাত্রই তোহফা চমকে উঠল। মুহূর্তে চেহায় এসে ভর করল ভয়ের ছাপ।তোহফা উওেজিত হয়ে বলল…….

—উনি আমায় এখানে এনেছে?উনি কোথায়?উনি ঠিক আছে তো?উনার কিছু হয়নি তো?

আনিশা তোহফাকে সান্ত্বনা দিয়ে বলল…..

—রিলেক্স ভাবি।ভাইয়া ঠিক আছে।কিছুই হয়নি তার।ভাইয়া তোমার জন‍্য মেডিসিন আনতে গেছে।

কথাটা শোনা মাত্রই তোহফার শান্তির নিশ্বাস ফেলল।বেডের সাথে হেলান দিয়ে চোখ বন্ধ করে বসে নানান চিন্তায় ডুব দেয়।তার সব চিন্তার মধ‍্যে বড় চিন্তা হল এই বাড়ির লোকদের সামনে দাড়িয়ে তাদের প্রশ্নের মোকাবেলা কিভাবে করবে সে?তার সম্পর্কে সব জানার পরেও কি তারা তাকে আগের মত মেনে নিবে?

_______

দেখতে দেখতে কেটে গেছে অনেক দিন।তোহফা এখন শারীরিক ভাবে আর মানুষিক ভাবে সম্পূর্ণ সুস্থ।তোহফাকে এখানে নিয়ে আসার পর তোহফা তাদের সবার কথা চিন্তা করে এখান থেকে চলে যেতে চেয়েছিল।সে চাইছিলো না তার জন‍্য তাদের কারো ক্ষতি হোক।কিন্তু তোহফা সেটা করতে পারেনি।আদিয়াতের কড়া সাষন আর সরাক্ষন নরজবন্দী করে রাখার কারনে তোহফা পালানো তো দূর বাহির দরজার বাহিরেও পা রাখতে পারেনি।আদিয়াত এর পরিবার কোন ভাবেই তোহফার অতীত জানার জন‍্য তোহফাকে চাপ দেয়নি।অবশ‍্য এতে আদিয়াতের হাত আছে।আদিয়াতই সবাই কে মানা করে দিয়েছিলো তোহফাকে কোন রকম কিছু না জিগ্যেস করতে।সে যতটুকু জেনেছে ততটুকুই সবাইকে জানিয়েছে আর বাকিটা তোহফার থেকে জানার অপেক্ষায় ছিলো।তোহফা কিছুটা সুস্থ হবার পর নিজের থেকেই সবাইকে সবটা বলে।তোহার মুখে সবাই সবটা শুনে বাকরুদ্ধ হয়ে বসে থাকে।মানুষ যে এতো খারাপ হতে পারে তা হয়তো তাদের জানা ছিলো না।আসলাম সাহের তাদের শাস্তির ব‍্যবস্থা করার কথা বললে তোহফা নানান আকুতি মিনতী করে মানা করে।কেননা তোহফা নতুন করে কোন ঝামেলায় জড়াতে চায়নি।তোহফার নিষেধ করা সর্তেও আদিয়াত এক মোক্ষম সুযোগের আশায় ছিলো।নিত‍্যদিন তাহের রহমান ফোন করে নানান ভাবে আদিয়াতকে হুমকি দিত। আদিয়াত তাহের রহমান এর সব হুমকি নিরবে সহ‍্য করে যেত।প্রতিবারে আদিয়াতের চুপ করে থাকতে দেখে তাহের রহমান এর ধর্য‍্যের বাধ ভেঙে যায়।তাহের রহমান একদিন আদিয়াত এর অফিসে এসে নানান ভাবে আদিয়াতকে গালিগালাজ করে সাথে মারার হুমকি দেয়।তাতেই যেন আদিয়াত হাতে চাদ পেয়ে যায়।সেই সুযোগ কাজে লাগিয়েই আদিয়াত সবার সামনে তাহের রহমানের মুখোস খুলে ফেলে।সবার সামনে তাহের রহমানের ভালো মানুষের মুখোস খসে পরতেই সবাই তাহের রহমান এর নামে থু থু ছিটাতে থাকে।সাথে তো লোকের আজেবাজে নানান কথা ফ্রি।জনগন যেমন মানুষকে মাথায় তুলে নাচতে পারে তেমনি মাথা থেকে আছাড় মেরে নামাতেও তাদের দেড়ি লাগে না।সব যেন তাহের রহমানের হজম হচ্ছিস না।সকলের তুচ্ছতাচ্ছিল্য তার সম্তিষ্কে যেন চাপ সৃষ্টি করছিলো।তাহের রহমান সবটা সহ‍্য করতে না পেরে বেন স্টোক করে।তার কিছুদিন পর সে মারা যায়।আসফিয়া ভাইয়ের শোকে আধপাগল হয়ে এখন মেন্টাল হাসপাতালে পেশেন্ট হয়ে বসে রয়েছে।

এদিকে তাহমিদার বিয়ের দুদিন আগে কোন এক কারনে বিয়ে ভেঙে যায়।তাতে যেন তাহমিদা পুরো ডিপ্রেশনে চলে যায়।তাহমিদার বাবা নিজের মেয়ের মুখের দিকে তাকিয়ে মেয়ে উল্টাপাল্টা কিছু করার আগেই গ্রামের এক সাধারন মধ‍্যবিত্ত ছেলের সাথে তাহমিদার বিয়ে দিয়ে দেয়।অপর দিকে আনিশা আর ফাহাদ এর মাঝে ছোট ছোট দুষ্টু মিষ্টি ঝগড়া থেকে নতুন এর সম্পর্কের সৃষ্টি হয়।এখন শুধু তারা অপেক্ষায় আছে পরিবারকে জানিয়ে শুভ এক সময়ের।

________

তোহফা বসে বসে হাত দিয়ে নখ খুটছে।সামনেই মিতু আর আনিশা গালে হাত দিয়ে গভীর চিন্তায় ডুবে রয়েছে।আনিশা তার চিন্তা থেকে বের হয়ে তোহফাকে বসে বসে নক খুটতে দেখে রাগী গলায় বলল…..

—ভাবি!আমার তোমার চিন্তায় মরছি আর তুমি বসে বসে নখ খুটছো?মিতু চলতো আমরা চলে যাই তার আইডিয়া তাকেই বের করতে দে।

তোহফা দু’হাতে দুজনের হাত থাপা দিয়ে ধরে ইনোসেন্ট ফেস বানিয়ে বলল……

—প্লিজ আমার সুইট সুইট ননদীরা। আমায় একা ফেলে যেও না।আসলে হয়েছে কি তোমার ভাইয়ার ব‍্যপারে কিছু ভাবতে গেলেই আমার মাথা ফাকা হয়ে যায়।তার যেই রাগ বাবা গো বাবা।কিছু বলতে গেলে না আবার ধরে আছাড় মারে।

তোহফার কথা বলার ভাব ভঙি দেখে আনিশা মিতু দুজন এক সাথে ফিক করে হেসে দিল।

মিতুঃভাবিগো ভাবি কি যে কও তুমি আমগো ভাইজানের মত মাটির মানুষরের নামে এতো বড় আপবাদ তুমি কেমনে দিলা।তার তো রাগই নাই।

তোহফা ভেঙচি কেটে বলল……

—এহ আসছে ভাইজানের হয়ে সুনাম গাইতে।তোমার ভাইজানের যদি রাগই না থাকতো তাহলে কি এতোদিন আমার সাথে রাগ করে থাকতো?

কথাটা বলেই তোহফা মুখটা মলিন করে ফেলল।

(আদিয়াত সেদিনের ঘটনার পর তোহফা উপর রাগ করে ভালো করে তোহফার সাথে কথা বলে নি।এমনকি তোহফা কিছুটা সুস্থ হবার পর তোহফাকে আনিশার রুমে পাঠিয়ে দিয়েছে।তোহফা অনেক বার সাহস সঞ্চয় করে আদিয়াতের সাথে কথা বলতে গিয়েছিলো কিন্তু প্রতিবারই আদিয়াত তোহফাকে ইগনোর করে চলে গেছে।নয়তো তোহফাকে ধমক দিয়ে পাঠিয়ে দিয়েছে।)

আনিশা তোহফার কাধে হাত রেখে বলল…..

—ভাইয়া একটু অন‍্যরকম ভাবি।সহজে রাগ করে না কিন্তু একবার রেগে গেলে সহজে কেউ তার রাগ ভাঙাতে পারে না।তুমি একটু সাহস করে ভাইয়ার সাথে কথা বল দেখবে ভাইয়ার রাগ এমনিতেই পরে যাবে।

তোহফা মুখে কিছু না বলে মলিন হাসলো।মনে মনে পণ করলো যেভাবেই হোক আজ তার মান ভাঙিয়েই ছাড়বো।দরকার পরলে দু’চারটা না হয় চর-থাপ্পর পরলো গায়ে। তাও আজ হজম করে নিব।

________

প্রতিদিনের মত আদিয়াত আজও দেড়ি করে বাসায় ফিরল।নিজের রুমে ঢুকে তোহফাকে বেডের উপর বসে থাকতে দেখে কিছুট চমকালেও কিছু না বলে অফিস ব‍্যাগটা সোফার এক কোনে রেখে কোন কথা না বলে ফ্রেস হতে চলে গেলো।আদিয়াত ফ্রেস হয়ে এসে তোহফাকে সেই আগের জায়গায় বসে থাকতে দেখে বেলকনির চলে গেলো।তোহফাকে এখানে দেখেই আদিয়াতে ঘুমন্ত রাগটা যেন দরদর করে বেড়ে উঠছে।কেন সে নিজেও জানে না।আদিয়াতও চায় সব কিছু মিটমাট করে নতুন জীবন শুরু করতে কিন্তু পারছে না।কোথাও যেন বাধা কাজ করছে।হয়তো এতোদিন ধরে তোহফার প্রতি জমালো আভিমান এর পাহাড় এর কারনেই এমন হচ্ছে।কিছুক্ষন পর তোহফা গুটিগুটি পায়ে আদিয়াতের পিছনে এসে দাড়ালো।কি থেকে কি শুরু করবে মনে মনে নিজেকে কিছুটা প্রস্তুত করে নিল।তোহফা দুই বাদরের বুদ্ধিমত কাপাকাপা হাত বাড়িয়ে পিছন থেকে আদিয়াতকে জড়িয়ে ধরল।তোহফার কাজে আদিয়াত প্রথমে স্টেচু হয়ে গেলেও কয়েক সেকেন্ড পর নিজেকে সামলিয়ে তোহফার হাত ছাড়ানোর চেষ্টা করে রাগী গলায় বলল…..

—কি হচ্ছে কি এসব?ছাড়ো আমায়?কোন সাহসে তুমি আমায় টার্চ করছো?তুমি তো আমার থেকে মুক্তি চেয়েছিলো তাহলে কেন এখন আমার কাছে এসেছো?

আদিয়াতের কথা শুনে তোহফা ডুকরে কেদে উঠল।কান্নারত অবস্থায় বলল……

—আমার ভুল হয়ে গেছে।আমায় ক্ষমা করে দিন।আমার উচিত ছিলো প্রথমেই আপনাকে সবটা জানানোর।প্লিজ আমায় ক্ষমা করে দিন।আমার সাথে আর অভিমান, রাগ করে থাকবেন না।

আদিয়াত কিছুটা তাচ্ছিল্য হেসে বলল…..

—তুমি আমার কে যে,তোমার সাথে রাগ করে থাকবো?রাগ করার মত অধিকার কি তুমি দিয়েছো আমায়?

তোহফা আদিয়াতের কথা শুনে আদিয়াত কে ছেড়ে দিয়ে চট করে আদিয়াতের সামনে গিয়ে আদিয়াতের কলার চেপে ধরে বলল……

—ঐ মিঞা আমি আপনার কিছু না হইলে আপনে আমার খোজ খবর নেন কেন?সারাদিন কি করি না করি,খাইছি কিনা এটা সেটা এতো খবর এতো কেয়ার দেখান কেন শুনি?আমি না হয় মাথা মোটা।আপনাদের ক্ষতির কথা ভেবে আপনারে চিরতরে হাড়ানোর ভয়ে আপনারে কিছু না জানাইয়া নিজের মাথামোটা বুদ্ধি খাটাইছিলাম।তার জন‍্য তো কম আঘাত পাই না।তাহের রহমান তো শরীরের আঘাত দিছে আর আপনি যে প্রতিনিয়ত আপনার অবহেলা দিয়া মনের মধ‍্যে আঘাত দিতাছেন তার বেলায়?

আদিয়াত তোহফার কাজে কথা বলার ভাষা হাড়িয়ে ফেলল।নতুন এক তোহফার আগমন দেখে মনে মনে কিছুটা আনন্দিত হল।আদিয়াত মনের খুশি মনের মাঝে লুকিয়ে রেখে তোহফার অস্রুভেজা চোখের দিকে তাকিয়ে শীতল কন্ঠে বলল……

—আমি একা কষ্ট দিচ্ছি? তুমি দেও নি?

আদিয়াতের কথা শুনে তোহফা আদিয়াতের দিকে কিছুক্ষন অস্রুভেজা নয়নে তাকিয়ে থেকে আদিয়াতের গলা জড়িয়ে ধরে ফুপিয়ে কেদে উঠল।কান্না জড়ানো কন্ঠে বিরবির করে বলতে লাগল……

—সরি ভূল হয়ে গেছে।আপনি যা শাস্তি দিবেন আমি মাথা পেতে নিব।প্লিজ তার পরেও আমায় আপনার কাছ থেকে দূরে সরিয়ে রাখবেন না।আপনার অবহেলা আমি সহ‍্য করতে পারছি না।বকুন,মারুন যাই করুন না কেন তার পরেও প্লিজ আমায় দূরে সরিয়ে রাখবেন না।

তোহফার চোখের পানিতে আদিয়াতের শার্ট ভিজে যাচ্ছে।প্রিয়তমার কান্না দেখে মনের মাঝে রক্ত ক্ষরন হচ্ছে। আদিয়াত আর নিজের অভিমানটা ধরে রাখতে পারল না।তোহফাকে নিজের কাছ থেকে ছাড়িয়ে নিয়ে আলতো হাতে তোহফার চোখের জল মুছে দিয়ে বলল…….

—যাকে নিজের সবটা দিয়ে ভালোবাসতে চাই।যাকে সব সময় আগলে রাখতে চাই তাকে কি করে নিজের থেকে দূরে রাখবো বল।তুমি চাইলেও আমি তোমার দূরে রাখতে পারবো না।তুমি আমার শুধু আমার।শুধু এতোদিন তোমার অনুমতির আশায় ছিলাম।আদিয়াত তোহফার হাত নিজের হাতে আকড়ে ধরে হাটু গেড়ে বসে বলতে লাগলো…….

—আমি তোর ভালো লাগা, খারাপ লাগার কারন জানতে চাই,কারন হতে চাই।তোকে ভালোবাসতে চাই তোকে আকড়ে ধরে বাচতে চাই।এই আমিটাই সম্পূর্ণ #তোর_হতে_চাই।তুই দিবি কি আমায় আমার সকল ইচ্ছা পূরোন করতে?

তোহফা আদিয়াতের মায়াভরা মুখের দিকে কিছুক্ষন ছলছল নয়য়ে তাকিয়ে থেকে ঝাপিয়ে আদিয়াতের উপর পরে আদিয়াতের গলা জড়িয়ে ধরে ডুকরে কেদে উঠল।এই কান্না দুঃখের না সুখের।
আদিয়াত মুখে কিছু না বলে তোহফার মাথায় হাত বুলিয়ে দিতে লাগল।মনে মনে প্রতিজ্ঞা করলো এটাই তার প্রিয়তমার শেষ কান্না।আর কখনো সে তাকে এভাবে কাদতে দিবে না।ভালো থাকুক সবাই সবার ভালোবাসার মানুষকে আকড়ে ধরে।

________সমাপ্ত________

(ভূলক্রটি ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন।আমার কাচা হাতের লিখা।কোথাও কোন ভূল হলে ক্ষমাপ্রর্থী।ধন‍্যবাদ)

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে