তুই আমার ২ পর্বঃ২৩

0
1959

#তুই আমার ২
#পর্বঃ২৩
#Tanisha Sultana

অভি পরে যাওয়া দেখে মিষ্টি এগিয়ে যেতে চায় কিন্তু সৌরভ মিষ্টিকে আটকে দেয়।

“সৌরভদা ও তো পরে গেছে

” মিষ্টি তুমি এখন এগিয়ে গেলে রিনি তোমায় দেখে ফেলবে। তখন কই হবে

“মিষ্টি মামনি দেখি না কি হয়

মিষ্টি দাড়িয়ে যায়।

” রিনি আমাকে উঠতে একটু সাহায্য করো। আমি উঠতে পারছি না।

“অভি সব সময় নিজের কাজ নিজে করতে শিখতে হয় অন্যের পর ওপর ডিপেন্ট করতে হয় না। ওঠো

অভি চেষ্টা করে কিন্তু উঠতে পারছে না।

” রিনি খুব বারাবাড়ি করছে আমি আর দেখতে পারবো না। মিষ্টি ওদের কিছু বলার সুযোগ না দিয়ে অভির কাছে চলে যায়। অভিকে ধরে ওঠায়। রিনি মিষ্টিকে দেখে চমকে যায়।

“তুমি এখানে

” হুম আমি এখানে

“এখানে কি করছো

” দেখতেই তো পাচ্ছো

“এখানে এলে কি করে

” কেনো? আমি তো এখানে মাঝে মধ্যেই আসি

“মানে

” তুমি এতো অবাক হচ্ছো কেনো তো এই বাড়িতেও ঢুকেছি

রিনি তো রিতিমত ঘামতে শুরু করেছে

“কি হলো তুমি ঘামছো কেনো? ভয় পেলে না কি

” মিষ্টি সত্যি করে বলো এখানে কি করে এলে

মিষ্টি অভির দিকে একনজর তাকায়

“কেনো এসে কি ভুল করেছি

” তা বলছি না জাস্ট জানতে চাইছি কিভাবে এলে

“তোমাকে বলবো কেনো? আর তুমি যাকে এতো ভালোবাসো সে তোমায় উঠালো না কেনো??

” তাতে তোমার কি??

“আমার কিছুই না।

রিনির দিকে তাকিয়ে দেখে রিনি হাওয়া।

” এমা তোমার গার্লফ্রেন্ড কই গেলো

“তাই তো রিনি কই

” বাবা সৌরভদা বাইরে আসুন আর পুলিশকে আসতে বলুন

সৌরভ আর অভির বাবা বাইরে আসে

“তোমরা এখানে আমি তো কিছুই বুঝতে পারছি না

” তুমি কিছু বুঝবে না। সো চুপ থাকো। সৌরভ দা চলো আমরা ভেতরে যায়। বাবা তুমি অভির সাথে থাকো।

“মিষ্টি ভেতরে যদি কোনো বিপদ হয়।

” বাবা রিলাক্স। একটু রিক্স তো আমাদের নিতেই হবে

সৌরভ আর মিষ্টি চলে যায়। অভি বোকার মতো তাকিয়ে থাকে

সৌরভ মিষ্টি ভেতরে গিয়ে সব রুম গুলো চেক করে। দুটো ছেলে মিষ্টির ওপর এটাক করে। সৌরভ তাদের হিরোর মতো মারে। মিষ্টির মাথায় কিছুটা কেটে যায় আর হাতে। ততক্ষণে পুলিশ চলে আসে। বারো জন মেয়ে পায় ওরা ওই বাড়িতে। যাদের রিনি বিদেশে পাচার করার জন্য ধরে এনেছিলো। ওরা মেয়েগুলোকে উদ্ধার করে। কিন্তু রিনিকে ধরতে পারে না।রিনি পালিয়ে যায়। সৌরভ ডাইভ করছে। মিষ্টি মাথার কাটা জায়গাটা ধরে বসে আছে। অভি সব শুনে পাথর হয়ে গেছে কিছু বলার মতো অবস্থায় নেই।

“সৌরভদা আমাকে বাড়ি নিয়ে চলো। আমি হাসপাতালে যাবো না

” কিন্তু মিষ্টি

“প্লিজ

সৌরভ আর মিষ্টিকে জোর করে না। অভিদের বাড়ির সামনে গাড়ি থামায়। অভির বাবা আগেই নেমে গেছে মিষ্টির জন্য ঔষুধ আনতে। সৌরভ আর মিষ্টি গাড়ি থেকে নামে। অভি গাড়িতেই বসে আছে

” কি হলো নামবে না।

অভি মিষ্টির হাত না ধরেই নামতে গিয়ে পড়ে যেতে নেয় কিন্তু মিষ্টি ধরে ফেলে

“আমি তোমার ভালোবাসার মানুষের মতো বলবো না নিজের কাজ নিজে করো অন্যের ওপড় ডিপেন্ড করে থেকো না। আমি বলবো তুমি তোমার সব কাজ গুলো আমার সাথে ভাগ করে নাও।

মিষ্টি অভিকে ধরে রুমে নিয়ে আসে।

সৌরভ অভির ওপর মিষ্টির এতো ভালোবাসা দেখে চোখ থেকে একটু পানি ফেলে

” আমি তো চেয়েছিলাম তুমি আমাকে এতো ভালোবাসো কিন্তু আমার ইচ্ছে পুরন হলো না। তুমি আমার হলে না। তুমি আমার জন্য না।

অভি এতোখন পাথরের মতো থাকলেও এখন হিংস্র হয়ে উঠেছে রুমের সব জিনিস ভাঙতে শুরু করে। ফল কাটার ছুরিটা মুঠ করে ধরেছে যার ফলে হাত কেটে রক্ত পরছে। মিষ্টি দৌড়ে অভির যাওয়ার সময় ভাঙা টুকরো কয়েকটা মিষ্টির পায়ে ঢুকে যায়। তবুও অভির কাছে গিয়ে অভির হাত থেকে ছুরিটা ফেলে দেয়৷ চিৎকার করে বলে

“কি করছো তুমি? পাগল হয়ে গেছো? যে তোমাকে ঠকিয়েছে তার জন্য এতো কষ্ট কেনো পাচ্ছ

অভি কান্না করে ফেলে

” মিষ্টি আমি ওর জন্য কি করি নি বলো। তাও কেনো ঠকালো আমাকে। জানো ও রেহানের সাথে রিলেশন করেছে আমি তবুও ওকে কিছু বলিনি। বাবা মায়ের বিরুদ্ধে গিয়ে ওকে এবাড়িতে থাকতে দিয়েছি। আমার ভালোবাসা বুঝলো না

“তুমি শান্ত হও অভি। যে তোমাকে ঠকিয়েছে তাকে নিয়ে কতো ভাবছো আর যে তোমাকে পাগলের মতো ভালোবাসে তার কথা তো ভাবছো না।

চলবে,

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে