তার_ইচ্ছে পর্ব_৩_৪

0
1113

তার_ইচ্ছে
পর্ব_৩_৪
#মাসুদ_রানা_তাসিন

রাতের খাবার পর “আলো” মাথা নিচু করে বসে আছে। আর উৎসুক হয়ে বসে আছে আরাভ(ইশার ভাই) ইলমা(ইশার ভাবী)।

এবার বল বোন, তোমার সমস্যা কি, কেন এই বয়সেই বেরিয়ে এসেছ একা। বোন বললাম রাগ করনা, তোমার বয়সী এক বোন ছিল আমার। (আরাভ)

না ভাইয়া বোন বলেই ডাকবেন। আমাকে একটা কাজের ব্যবস্থা করে দিতে পারবেন। (আলো)

সেটা দেখা যাবে ক্ষণ আগে তোমার সমস্যা বল।

আচ্ছা তাহলে শুনেন আমার অতীত‌। বাবা মায়ের একমাত্র সন্তান আমি।

বাবা যখন ঢাকায় ভার্সিটিতে পড়ত। তখন প্রেম শুরু হয়‌। আসলে মা ছিল বাবার বন্ধুর বোন। নানু এই প্রেম মেনে না নেওয়ায় বিয়ে করেছিলেন লুকিয়ে। জানেন মা খুব কাঁদত। নানার মৃত্যুর সময় বড় মামা তাকে নানুর লাশ দেখতে পর্যন্ত দেয় নি। বড় মামা মনে করতেন নানুর মৃত্যুর জন্য দায়ী মা। মামারা ছিল দুই ভাই। ছোট মামা ছিল বাবার বন্ধু।

বাবা মা গাজীপুর ব্যাক করে। সেখানে গিয়ে পড়ে আরেক ঝামেলায়। দাদা সেখান থেকে বের করে দেয়। বাবার বড় ভাই ছিল, তিনি চাননি যে বাবা সে বাড়িতে থাকুন। কারন তাদের পরিবারের কেউ প্রেম করে বিয়ে করে না।

তাই একটু দূরে ছোট এক ঘর ভাড়া নেন তাতে ছোট করে সংসার পাতেন। কি করবে বাবা মা ভেবে পাচ্ছিল না। বাবা শিক্ষিত হয়েও সেদিন রিকশা চালানো শুরু করে। মা টিউশনি করাত। এভাবেই চলত সংসার। হঠাৎ করে একদিন বাবা কাজ থেকে বাড়িতে ফিরলে। আমার আগমনের খবর দেয়। বাবা সেদিন খুশিতে মিষ্টি বিলি করেছিলেন পুরো বস্তিতে।

দশ মাস পর আমি পৃথিবীতে আসি। আস্তে আস্তে আমি বড় হতে থাকি‌।

সুখের ছোঁয়ায় দিন কাটত‌। অভাব ছিল, কিন্তু ভালবাসার অভাব হয় নি। সেই সুখ বেশিদিন স্থায়ী হয়নি। হঠাৎ করে একদিন যেই বস্তিতে থাকতাম, সেখানে আগুন লাগে। আমি স্কুলে ছিলাম। তখন ক্লাস নাইনে পড়তাম। মেহবুবা নামের এক ম্যাডাম ছিল তিনি আমাকে বলেন। আলোরে তাড়াতাড়ি চল বস্তিতে আগুন লেগেছে। ম্যাডামের বাড়ী ছিল আমাদের বাড়ির পাশে।

সেদিন মা আগুনে পুড়ে যায়। হাসপাতালে ভর্তি করেছিলাম। কিন্তু শেষ রক্ষা হয়নি, মা সেদিন আমাকে করে যায় এতিম। বাবা অসুস্থ হয়ে পড়েন। সংসারের অভাব বেড়ে যায়।

জানেন এর কিছুদিন পর বাবা আমার হাতে, একটা চিঠি ও ঠিকানা দিয়ে, শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।

আসলে বাবা মা কে খুব ভালোবাসতেন। প্রেমের বিয়ে ছিল যে। তাই মায়ের অকাল মৃত্যু বাবা মেনে নিতে পারে নি। বাবা আমাকে বলেছিল যে সাহস করে বাঁচার স্বপ্ন দেখবি। মেয়ে বলে যে তুই অবহেলার পাত্রী হবি , সেটা মেনে নিবি না কোনদিন।

বাবা মারা যাওয়ার পর পাঁচদিন মেহবুবা ম্যাডামের কাছে ছিলাম। তারপর বাবার দেওয়া ঠিকানায় পাড়ি জমালাম। যেখানে ছিলাম সেখানে থেকে ১৩ কিলোমিটার দূরে। একা যাওয়া সম্ভব ছিল না। মেহবুবা ম্যাডাম সেদিন পৌঁছে দিয়েছিলেন বাড়ির সামনে পর্যন্ত। ভিতরে যাননি, জানিনা কেন জাননি।

বাড়ির সামনে গিয়েও জানতাম না। ভবিষ্যতে আমার জন্য কি অপেক্ষা করছে। বাড়িটা চার তলা বিশিষ্ট একটি রাজমহলের মত। বাড়ির সদর দরজার একটি নামফলক দেখলাম। তা দেখে চমকে উঠলাম কারন মায়ের কাছে শুনেছিলাম, দাদার নাম ইরাব চৌধুরী। এখানে ইরাব মহল। বাবা বলেছিলেন ইনার কাছে চিঠিটি পৌঁছে দিতে।

কলিং বেল বাজালাম দরজা খুলে দিল একজন মধ্যবয়সী মহিলা। পোশাকে আধুনিকতার ছোঁয়া। আমাকে বলেছিল কাকে চাই। আমি বলেছিলাম ইরাব চৌধুরী আছেন। মহিলা বললেন ওহ বাবার কাছে এসেছ। ভিতরে আসো, বলেই ভিতরে নিয়ে গেল। আমাকে সোফায় বসতে বলে তিনি ভিতরে গেলেন। আমি বাড়িটার চারদিকে চোখ বুলিয়ে দেখছিলাম। কি সুন্দর পেইন্টিং, কারুকাজ, এক একটা ওয়ালে প্রকৃতির সাথে মিল রেখে চিত্র অঙ্কন।

কিছুক্ষণ পর তিনি আমার কাছে আসলেন। উনার চেহারায় গাম্ভীর্য আছে। থাকবে না কেন চৌধুরী মানুষ। কে তুমি, কাকে চাই।

আমি বললাম বাবা এই চিঠিটা আপনাকে দিতে বলেছেন। চিঠিটা দিলাম, চিঠিটা দ
নেওয়ার সময় একদৃষ্টিতে তাকিয়ে ছিলেন আমার দিকে।

তিনি চিঠিটা খুলে পড়া শুরু করলেন। চিঠিটা পড়ার পর তিনি চিৎকার করে কান্না করতে শুরু করলেন। চিঠিটায় লেখা ছিল,,

প্রিয় বাবা,

তুমি সর্বদা আমার কাছে শ্রদ্ধার ছিলে, ছিলে ভালবাসার। খুব বিশ্বাস করতে আমায় হয়তোবা তোমার সেই বিশ্বাস রাখতে পারিনি। তাই তুমি বলেছিলে এই শহরে থেকেই যেন , তোমার মুখোমুখি না হই। এটাই আমার শাস্তি। আমি আমার শাস্তি পেয়েছি বাবা। হয়ত পরিবারের কারো কাছে আত্মার আত্মীয় ছিলাম না। তাই সেদিন সবাই মুখ ফিরিয়ে নিয়েছিল। আমি আমার কথা রেখেছি। রিকশা চালিয়ে সংসার চালিয়েছি। কারণ সব সার্টিফিকেট নিয়ে নিয়েছিলে। অভাব ছিল কিন্তু ভালবাসার অভাব হয়নি। কিন্তু কথায় আছে না বেশি সুখ বেশিদিন স্থায়ী হয়না। আমারও বেলায় ঠিক তাই হয়েছে। এক দূর্ঘটনায় তোমার অস্বীকৃত বউমা মারা যায়। সেদিন জানতাম যে আমিও অল্প কয়েক দিনের মেহমান এই পৃথিবীর। মরণব্যাধি ক্যান্সার যে আমার শরীরে বাসা বেঁধেছে। আমি মরলে সবাই খুশি থাকবে। কিন্তু আমার রাজকন্যার কি হবে। এ যে আমার অভাবের ঘরের আলো। তাই যেদিন জানতে পারলাম যে হয়ত আর একমাস বাঁচব না। সেজন্য আপনার নিকট এই পত্রটা লিখলাম। আমি মারা গেলে আমার মেয়েটার আর কেউ থাকবে না। তাই নাতনি হিসেবে মেনে নিতে না পারলে, কাজের মেয়ে হিসেবে রাখবেন। তবুও ওকে পড়াশোনা করাবেন। বড় কোন প্রতিষ্ঠানে না পড়ালেও সরকারী গুলোতে ভর্তি করিয়ে দিবেন। ওকে দেখবেন, আমি আমার কথা রাখলাম এই জীবদ্দশায় আপনার দেখা দেইনি। আমার লাশও আপনাকে দেখতে হবে না। আমার মৃত্যুর পর ও যাবে তার আগে কোনদিন যাবে না।

ইতি,,
আপনার অযোগ্য সন্তান।

উনার কান্নার শব্দ শুনে সবাই ছুটে এলেন। একজন শক্ত গোছের মানুষ বললেন বাবা কি হয়েছে। তিনি বললেন আমার আদি আর বেঁচে নেই।হে আল্লাহ আমার আগে আমার সন্তান কে কেন নিয়ে গেলে।

ঐ মানুষ টা বললেন বাবা তুমি অযথা বাড়াবাড়ি করছ। ও তো তোমার কাছে অনেক আগে মারা গেছে।

দাদু বলেছিলেন সন্তান, কাছে না থাকলে, কত যন্ত্রণার সেটা তুই বুঝবি না। আমার আদি বলেই আবার কান্না শুরু করলেন।

কিছুক্ষণ পর তিনি শান্ত হয়ে বললেন। বড় বৌমা আমার পাশের ঘরটায় আমার ছেলের অংশের থাকার ব্যবস্থা করে দাও। ও আমার পাশে পাশে থাকবে। সেদিন সবাই খুশি হলেও একজন খুশি হননি। তিনি আমার চাচা।

এভাবেই দিন কাটত আমার এভাবেই এইচএসসি গন্ডি পেরিয়ে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে অনার্স কোর্সে ভর্তি হই হিসাববিজ্ঞান নিয়ে।

অনার্স কোর্সে ভর্তি হওয়ার কিছুদিন পর বাড়িতে যেন উৎসব শুরু হয়েছে। আমি রিয়াকে জিজ্ঞেস করলে সে বলে তার বড় দুই ভাই আসছে। আমি বললাম ওহ আবির দা সাবিত দা বাবা বলেছিলেন উনাদের নাম। রিয়া বলল হ্যাঁ।

বিকেলে তারা দুজন ফিরলে আমি রান্না ঘরে থাকি। আমি বাইরে আসি না। কিন্তু সন্ধ্যা বেলায় বের হতেই হয়। সবার নাস্তা দিতে। সেই সময় একজন আমার দিকে হা করে তাকিয়ে আছে। রিয়া বলে উঠল সাবিত ভাইয়া হা করে আছিস কেন। আমি নাস্তা দিয়ে বেরিয়ে আসলাম। এই তো কাহিনী ভাইয়া।

আরাভ : তারপরের টা শুনতে চাই। বল বোন বল।

আচ্ছা তার কিছুদিন পর দাদু মারা যায়। আমি তখন ৩য় বর্ষে পড়ি ‌। তারপর আমি যেন ঐ বাড়িতে পার্মানেন্ট কাজের বুয়া হয়ে যাই। তখন শুধু চাচী মা আমাকে ভালোবাসত। একদিন রাতের বেলা হঠাৎ করে আমার ঘরে কেউ ঢুকে। আমি চিৎকার দিতে চাই কিন্তু পারিনা। কারণ,,,

চলবে,,,,,,,

#তার_ইচ্ছে
#পর্ব_৪
#মাসুদ_রানা_তাসিন

একদিন রাতের বেলা হঠাৎ করে আমার ঘরে কেউ ঢুকে। আমি চিৎকার দিতে চাই কিন্তু পারিনা। আমার মুখ চেপে ধরে হাত দিয়ে। আমি লাইট জ্বালালে দেখি সাবিত দা।

আমি বললাম সাবিত দা এত রাতে এখানে আমার ঘরে কেন। কেউ দেখলে খারাপ ভাববে।

সাবিত দা বলল আমি পরোয়া করি না।

আমি পরোয়া করি, আমি একজন মেয়ে। সমাজে নানা ধরনের অবস্থায় মুখোমুখি হই।

তো কি হয়েছে, যেটা বলতে এসেছি তোকে আমি ভালোবাসি ‌। জানিনা তোর উত্তর কি হবে, তবে ভালোবাসতে হবে তোকে আমাকে।

ভালবাসা আমার ডিকশনারি তে নেই। আমি ভালোবাসবো বিয়ের পর। তাই এই কথাটা আমাকে বলতে আসবেন না। যান এখন এখান থেকে।

সেদিনের মত চলে গেল সাবিত দা। আর আসেনি কোনদিন। আবির দা রিয়া যেমন স্নেহ করতেন তার থেকে আমাকে সম্মান করতেন। কারণ তিনি জানতেন সাবিত দা আমাকে ভালবাসত।

এভাবেই কাটত সবার অবহেলায় দিন গুলো। শেষ বর্ষের শেষ পরীক্ষার আগের দিন, আমার একজন বান্ধবী বলে বাড়িতে বলতে, যে কাল ওদের বাড়িতে থাকতে হবে। পরীক্ষা শেষ হওয়ার আগ মুহূর্তে ও জানতাম না যে আমার সাথে কি ঘটতে চলেছে।

পরীক্ষা শেষ হওয়ার পর সুখী আমাকে নিয়ে গাড়িতে উঠে। কাজী অফিসের সামনে নামে। আমার অনুমতি ছাড়াই সেদিন আমার সাথে সাবিত দার বিয়ে হয়। সেদিন তার মাথায় হাত রেখে ওয়াদা করান যে আমি কোনদিন কাউকে বলতে পারব না। উনি সময় হলে বলবেন। এটা “”তার ইচ্ছে””।

জানেন সেদিন মত না থাকলেও স্বামীর হক আদায় করেছিলাম। পরের দিন বাড়িতে গেলে উনি এমন ভাব ধরলেন যেন আমাকে চেনেন না। কিন্তু আমি তার সদ্য বিবাহিতা বউ। এভাবেই দিন কাটত আমার। খুব ভালোবেসে ফেলি তাকে। হয়ত পবিত্র বন্ধনের জোর। প্রতিদিন তার ছোঁয়ায় রাতে ঘুম আসত। তার ছোঁয়ায় ঘুম ভাঙত।

একদিন সকালে আমার চাচা আসীম চৌধুরী সাবিত দা কে আমার ঘর থেকে বেরুতে দেখে।

পরে আমাকে ডেকে নিয়ে যায়। বলে তোর ঘরে থেকে সাবিত বের হল কেন।

আমি কিভাবে বলব বড় বাবা। আমিতো জানি না।

এভাবেই কয়েক দিন পর হাতে নাতে ধরা খায় সাবিত দা সেদিন আমি ঘুমে বিভোর ছিলাম।

চাচা সাবিত দা কে বলছে, আমি কিছুদিন ধরে লক্ষ্য করছি। তুই ভোরে বের হচ্ছিস। এই ঘর থেকে কিন্তু কেন।

সাবিত দা কিছু না বলে চলে যান। কিছুক্ষণ পর আমার ডাক পরে, তিনি যে রুমে অফিসের কাজ করেন। আমাকে বলল আমি তো তোর বাবার মতো। আমি আমার বন্ধুকে কথা দিয়েছি। সাবিতের সাথে তার মেয়ের বিয়ে দেব। সামনের মাসেই বিয়ে। যদি এ বিয়ে না হয় এ পরিবারের বদনাম। আর তোর সাথে কি সম্পর্ক জানিনা। তোর পায়ে ধরি তুই এই বাড়ি থেকে চলে যা। আমাদের মুক্তি দে।

আমি সাবিত দা বিয়ের দিন চলে যাব এখান থেকে। আপনি বিয়ের ব্যবস্থা করুন। বলেই চলে আসলাম।

তারপর থেকেই সাবিত দা এর সাথে খারাপ ব্যবহার করা শুরু করি। এক বন্ধুর সাহায্যে তার চোখে খারাপ হয়ে যাই। তবুও সবার সামনে কোনদিন তিনি বিয়ের কথা বলেন নি। মনে করেছিলাম তিনি বলবেন না তিনি বলেন নি। সবার মত তিনিও খারাপ ব্যবহার করা শুরু করেন। একসময় তিনিও বিয়ের জন্য হ্যাঁ বলে দেয়। তারপর থেকে ঐ মেয়েটার সাথে আমার সামনে খুব ধলাধলি করেন।

আবির দা বলেছিলেন যে আমি যেন ঐ বাড়িতে থাকি।

একসময় আমি সহ্য করতে না পেরে, তাকে বিয়ে করতে বারণ করতে যাচ্ছিলাম। কিন্তু চাচাকে দেওয়া ওয়াদা রক্ষা করার জন্য বলতে পারিনি। সেদিন বুক ফেটে যাচ্ছিল কিন্তু মুখ ফুটে বলতে পারিনি।

কোন মেয়েই তার স্বামীর ভাগ দিতে পারবে না। সেই জন্য সাবিত দা যখন বিয়ে করতে যায়। তারপর বাবা মায়ের ছবি আর মায়ের গয়না নিয়ে বেরিয়ে পড়লাম। তারপর এখানে।

এমা ভাইয়া আপনি কাঁদছেন কেন। আমার মত হয়ত কেউ কষ্ট সহ্য করে নি । তাও আপনি কাঁদছেন। দেখেন আমি না কাঁদছি না। কান্না টা বিদায় জানিয়ে দিয়েছি।

এই মেয়ে তোর মায়ের নাম জোহরা তাই না।

আমি তো একবার ও আপনাকে বলিনি, আপনি জানলেন কি করে।

আরে পাগলী আমি জানব না কেন। উনি যে আমার ফুপি আমার আরেক জন মা ছিলেন। জানিস বাবা তার জীবদ্দশায় তোদের অনেক খুজেছে। চাচা তোদের বাড়িতে গিয়েছিল কিন্তু অনেক অপমান করে। জাদিদ কে রেখে চাচা মারা যায়। আবিদ ও জাদিদ দু’জনেই তাড়াতাড়ি আসবে। তোকে পেয়ে আমরা আমাদের ফুপুর উত্তর সুরী কে পেয়েছি। তোকে হারাব না। তুই হবি আয়াজ গ্রুপ অফ কোম্পানি ৩০% মালিক। তোকেও ব্যবসা সামলাতে হবে।

ননদীনি মেয়ে বলে তোকে যারা অবহেলা করেছিল তাদের কোম্পানি কে পিছনে ফেলতে হবে।

পারব আমি পারতে হবে। সবাইকে জবাব দেওয়ার সময় এসে গেছে।

***

এই দিকে আবিরের সাথে বিয়ে হয়।আসীম চৌধুরী বাড়ি ফিরে আলোকে ডাকতে শুরু করেন।

আলো এই বাড়ি ছেড়ে চলে গেছে। কথাটা বলল রাবেয়া বেগম।

আবির বলে উঠল ভাবী চলে গেছে মানে। তখন আবিরের ফোন বেজে উঠল। সাবিত ফোন করেছে। আবির শুধু বলল বাড়ি আয়। বিয়েটা আমার হয়েছে। সমস্যা নেই চলে আয়।

চলবে,,,,,,,,,,,

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে