জোরপূর্বক ভালোবাসা পর্বঃ ০৯
– আবির খান
এখন…
আবির শুভ কে বিদায় দিয়ে এসে ভিতরে ঢুকতেই দেখে তমা সোফাতে নেই…আবির টেনশনে পরে যায়…মেয়েটা পালালো নাকি??নাহ পালানোর কোন রাস্তা নাই…তাহলে গেলো কোথায়…আবির ওর বাড়ির নিচটা ভালো করে খুজলো..না কোথাও পেলো না..এরপর উপরে গেলো…খুজলো…না পাওয়াই যাচ্ছে নাহ…তাহলে মেয়েটা গেলো কই…
হঠাৎ স্টোর রুম থেকে কিছু মৃদু শব্দ আসছে…আবির আস্তে আস্তে ধির পায়ে সেখানে গেলো…গিয়ে শুনছে কে যেনো মেয়ালী কণ্ঠে বলছে…
– যাহ যাহ…হুস…যাহ..প্লিজ কাছে আসিস না…ইইইই..হুস…
আবির বুঝতে পারছে এটা আর কেউ নয় তমা…
হঠাৎ তমা জোরে চিৎকার করে লাফাতে লাফাতে এই বলে আসতে লাগলো…
তমাঃ ইইইইই তেলাপোকা…..
বলেই এসে আবিরকে খুব শক্ত করে জরিয়ে ধরলো…
তমাঃ ওখানে তেলাপোকা…প্লিজ সরান…আমার তেলাপোকা অনেক ভয় লাগে…ঘৃন্না লাগে…বলে আবিরকে আরো শক্ত করে জরিয়ে ধরে…
আবিরতো মনে মনে তেলাপোকাকে এতো ধন্যবাদ দিচ্ছে যে সামনে পেলে তেলাপোকাকেই জরিয়ে ধরতো…না এটা আবার বেশি হয়ে যায়…হাহা..আবির শুধু তমার জরিয়ে ধরা অনুভব করছে…
একটু পরেই তমার হুস হয়, সে কাকে জরিয়ে ধরে আছে…তমা ঠাস করে আবিরকে ছেড়ে একটু দূরে গিয়ে মাথা নিচু করে দাঁড়ায়…তমার লজ্জাও লাগছে আবার ভয়ও করছে…
এখনই জয়েন করুন আমাদের গল্প পোকা ফেসবুক গ্রুপে।
আর নিজের লেখা গল্প- কবিতা -পোস্ট করে অথবা অন্যের লেখা পড়ে গঠনমূলক সমালোচনা করে প্রতি সাপ্তাহে জিতে নিন বই সামগ্রী উপহার।
আমাদের গল্পপোকা ফেসবুক গ্রুপের লিংক: https://www.facebook.com/groups/golpopoka/
আবিরঃ এখানে কেন এসেছিস??
তমাঃ…
আবিরঃ কথা বল…
তমা আবিরের ঝারি খেয়ে কেপে উঠে..আর বলে..
তমাঃ ভয়ে…
আবিরঃ কিসের ভয়ে???
তমাঃ জানি না…
আবিরঃ জানিস না তাহলে আবার কিসের ভয়!!!
তমাঃ আমি বাসায় যাবো… পাপাই টেনশন করছে প্লিজ যেতে দিন…
আবির ওর ফোনটা বের করে কি যেনো বের করে তমার সামনে ধরলো…
আবিরঃ এই দেখ তোর পাপাইকে কি মেসেজ পাঠিয়েছি…
তমা একটু কাছে গিয়ে পড়তে লাগলো…
“আবির – আঙ্কেল আপনার মেয়ে আমার কাছে…খুব ভালোই আছে..ওর কোন ক্ষতি হবে না…আমি ওকে অনেক ভালোবাসি..ওর অনেক যত্ন নিবো..টাকার অভাব আমার নেই..সময় হলেই আপনার সাথে দেখা করবো..”
তমা মেসেজটা পরে আবিরের দিকে অসহায় ভাবে তাকালো..
আবিরঃ কি ভাবছিস??এখানে যা লেখা আছে তাই করবো??হ্যা করবোতো অবশ্যই তবে সব উল্টাটা…আমাকে কষ্ট দিস না…আমাকে ছেড়ে চলে যাস না…দাড়া বলেই আবির তমাকে আবার কোলে করে নিয়ে নিচে নামে…গিয়ে আবার তমাকে সোফার উপর ফেলে দেয়…তমা কিন্তু এখনো বধু সাজেই আছে…তবে খুব ক্লান্ত… মুখটা অনেকটা শুকনো শুকনো লাগছে…
আবির কাউকে ফোন দিলো…
আবিরঃ হ্যালো আর কতক্ষণ??
– আসছি ভাইটু…আর মাত্র ৫ মিনিট…
আবিরঃ আচ্ছা আয় তারাতাড়ি…
তমা আবিরের কথা শুনে অনেক ভয় করছে…না জানি এখন আবার কাকে আসতে বলছে…
আবিরঃ এখানে চুপচাপ বসে থাকবি…আমি ভালো না…আমার চরিত্র খারাপ…চোখ রাঙিয়ে বলল…
তমাঃ প্লিজ আমাকে যেতে দিন…
আবিরঃ কই যাবি শুনি??
তমাঃ পাপাইয়ের কাছে…
আবিরঃ কোনদিন শুনছোছ মেয়ের বিয়ের পর জামাই বাড়ি রাইখা বাপের বাড়ি গিয়া থাকতে…
তমাতো ভুলেই গেসিলো, যে সে এখন আবিরের বউ..সেতো এটাই চেয়েছিলো… কিন্তু সে এই আবিরকে চায় নি…যাকে দেখলে শুধু ভয় করে হিংস্র হিংস্র লাগে…আর আবির কি আসলেই ভালো তা এখনো তমা জানে না…
এসব ভাবনার মাঝেই কলিং বেলটা বেজে উঠলো… আবির গিয়ে ২ জনকে নিয়ে আসলো…তমা সোফাতে গুটিসুটি মেরে বসে ছিলো… তমা দেখলো এতো সেই মেয়ে যাকে আবিরের সাথে ওইদিন দেখেছে…তমার মনটা অনেক খারাপ হয়ে যায়..কিন্তু মেয়েটার সাথে আবার একটা ছেলেও আছে..হুম ছেলেটাকে তমা চিনে…আবিরের বন্ধুমহলে অনেকবার দেখেছে…ওরা দুজন তমার ঠিক সামনেই বসলো…
রিপাঃ কিরে হঠাৎ এভাবে ডাকলি??তমার দিকে আড় চোখে তাকিয়ে আবিরকে বলল….
আবিরঃ আচ্ছা ও তোর কি হয়???রনিকে দেখিয়ে…
তমা ওদেরকে দেখছে…
রিপাঃ কেন আমার জান পাখি..তুইতো আমাদের মিলায়া দিলি..তুই না থাকলেতো এই পাগলটাকে আমার করে পেতাম নাহ…বলেই রনিকে একটা কিস করলো সবার সামনে…তমা কিছুটা লিজ্জা পেলো তা দেখে…
আবিরঃ আচ্ছা আমি তোর কি হই??
রিপাঃ কেন আমার কাজিন ভাইটু মানে আপনা ভাই..আরে কিসের আপনা ভাই…তার চেয়েও বড় আপনা ভাই..এসেই আবিরকে জরিয়ে ধরলো…
রনিঃ রিপা আমি এখানে আছি..
রিপাঃ তো কি হইছে…ভাইকে জরায় ধরছি…দেখছিস ভাই কি জ্বলে…
আবিরঃ হুম…আচ্ছা এখন যা তােদের কাজ শেষ…
রনিঃ আমিতো কিছুই বুঝলাম না…
আবিরঃ তোর এখন কিছুই বুঝতে হবে না এখন যা…তমার দিকে রাগী ভাবে তাকিয়ে বলল…
রিপাঃ আচ্ছা যাচ্ছি ভাই…তার আগে বলতো এ কে..আর ওর এ অবস্থা কেন???
আবিরঃ হুমহ…ওর আর কি অবস্থা দেখলি..সামনে যে ওর কি হবে…তাচ্ছিল্য ভাবে বলল…
তমা আবিরের কথা শুনে আরো ভয় পেয়ে গেলো…
রিপাঃ কি জানি ভাই কিছুই বুঝিনা…বাইদা ওয়ে..বাই এনি চাঞ্চ ও কি তোর বউ নাকি??
আবিরঃ হুম…গম্ভীর কণ্ঠে…
রিপাঃ শালা দাওয়াত দিলি না…
আবিরঃ মাত্র বিয়ে করলাম…
রনিঃ বুঝছি…রিপা চলতো…তোমাকে আমি সব বলছি…
রিপাঃ শুন মেয়েটা দেখতে অনেক সুন্দরী… কষ্ট দিস না গেলাম…আবিরের কানে কানে বলল…
আবিরঃ যাহ তো তোরা…
ওরা চলে গেলো…
আবির এসে তমার ঠিক সামনেই বসলো…আর তীক্ষ্ণ দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে…
তমা ভাবছে,
হায় আল্লাহ আমি এ কি করলাম..তিশা তাহলে ঠিকই বলেছিলো আমাকে..আমি আমার নিজ বান্ধবীকে বিশ্বাস করিনি…সবচেয়ে বড় কথা যে আমাকে এতো ভালোবাসে তাকে এতো বড় কষ্ট দিয়েছি…তমার চোখদিয়ে অনুশোচনার জল পরছে…আবির সেভাবেই তাকিয়ে তমাকে দেখছে..আবির বুঝেছে যে তমা কি ভুল করেছে তা বুঝতে পারছে… কিন্তু সবচেয়ে বড় কথা ও আবিরের ভালোবাসাকে অবিশ্বাস করেছে…এর জন্য ওকে একটু শাস্তি দিতেই হবে…
তমা ভাবছে,
তমা এখন কি করবে??আবিরের এই অস্বাভাবিক পরিবর্তনের অন্যতম কারণ তমা নিজেই…তাই তমা সব ভুলে আবিরকে আবার আগের আবিরে পরিনত করবে…তাকে অনেক ভালোবাসবে…আর আবিরকে অবিশ্বাস করবে না…মানুষটাকে সত্যিই অনেক কষ্ট দিয়ে ফেলেছে…কিভাবে পারলো তমা তার রাগ আর জেদের কাছে ভালোবাসাটাকে হারিয়ে ফেলতে…নাহ এবার সেও আবিরকে অনেক ভালোবাসবে নিজের থেকেও বেশি… আবির আজ যদি তাকে এভাবে না তুলে আনতো তাহলেতো সে এতোক্ষনে অন্য কারোই হয়ে যেতো…আবিরের মাঝে হয়তো এখনো আমার জন্য ভালোবাসা লুকিয়ে আছে…আমাকে তা বের করতে হবে আমার ভালোবাসা দিয়ে…সত্যিই উনাকে অনেক কষ্ট দিয়ে ফেলেছি…কোন কারণ ছাড়াই একটা মানুষকে তার কথা না শুনেই আমি কিভাবে একটা অন্য মানুষের সাথে চলে যেতে নিয়ে ছিলাম..আমি কি এতোটাই বোকা হয়ে গিয়েছিলাম…হয়তো আবেগের বসে এই ভুলটা আমি করতে নিয়েছিলাম…নাহ মহান আল্লাহর কাছে কোটি কোটি শুকরিয়া যে তিনি আরেকবার উনাকে আমার কাছে ফিরিয়ে দিয়েছেন তাও আবার স্বামী হিসেবে.. আজ থেকে আমার বাকি জীবনটা শুধু আল্লাহর আর তার নামে..তাকে অনেক ভালোবেসে তার মন জয় করবো…তার সব রাগ অভিমান ভেঙে চুরমার করে দিবো আমার ভালোবাসা দিয়ে…কিন্তু তিনিতো আমাকে এখন ঘৃনা করেন আমাকে বিয়ে করেছেন কষ্ট দেওয়ার জন্য…নাহ ভুলটাতো আমারই ছিলো..না হয় কষ্টগুলো সহ্য করে নিবো..তার আগে ক্ষমা চেতে হবে তার কাছে….সে এখন আমার স্বামী… শুধু আমার অন্য কারো নায়..
তমা আর একমুহূর্ত দেরি না করে আবিরের কাছে গিয়ে ওর পায়ে পরে কান্না করতে করতে বলে…
তমাঃ আমি বুঝতে পারছি আমি কি ভুলটাই না করেছি…আপনার মতো মানুষ যে আমাকে কত ভালোবাসে তাকে অনেক বড় কষ্ট দিয়ে ফেলেছি… দয়াকরে আমাকে ক্ষমা করে দিন…আমার রাগ আর জেদ আমাকে অন্ধ করে দিয়েছিলো…আমি সত্যিটা দেখতে পারিনি… প্লিজ আমাকে মাফ করে দিন… আবিরের পা আকরে ধরে অঝোর ধারায় কাদতে কাদতে তমা বলছে…
তমার কথা শুনে আবিরের মন হৃদয় সবই সেই কখন গলে গিয়েছে…একটা পরী তার পায়ে পরে আছে…ভাবতেই আবিরেরও খুব খারাপ লাগছে…মন চাচ্ছে এখনই ওকে জরিয়ে ধরে অসংখ্য চুমুতে ভরিয়ে দি…
কিন্তু নাহ..এখন এতো সহজে ওকে মাফ করে দেওয়া যাবে না…ওকে আপন করে নেওয়া যাবে না…নাহলে ভবিষ্যতেও সে একই ভুল করবে…তাই ওকে একটু কষ্ট দিতে হবে…জানি এতে কষ্টটা আমারই বেশি হবে কিন্তু এটা আমার করতেই হবে…
আবির তমাকে আচমকা ধাক্কা দিয়ে সরিয়ে দেয়…তমা তাল সামলাতে না পেরে ফ্লোরে পরে যায়..তমা ব্যাথা পায়নি তবে খুব কষ্ট পেয়েছে আবিরের এই আচরনে…
আবিরঃ এ কি আমি করলাম!!!নিজের ভালোবাসাকে আঘাত করলাম তাকে কষ্ট দিলাম..
আবির তমার দিকে অসহায় ভাবে তাকিয়ে আছে তমা দেখতে পায়নি কারণ ও নিচে তাকিয়ে ছিলো আর কাদছিলো…আবিরের প্রচুর কষ্ট হচ্ছে তমাকে এভাবে আঘাত করে…কিন্তু এই কষ্ট তাকে সহ্য করতেই হবে তমাকে ভালো ভাবে পাওয়ার জন্য..আবির কষ্টগুলো মাটি চাপা দিয়ে কর্কশ কণ্ঠে বলল…
আবিরঃ তোকে এতো সহজে মাফ করে দিবো…তুই আমাকে বিশ্বাস করিস নি…আমার ভালোবাসাকে বিশ্বাস করিস নি..তোকে কোনভাবেই আর মাফ করবো না…আমার কাছ থেকে শুধু তুই কষ্টই পাবি এখন থেকে…ভালোবাসা সেতো অনেক আগেই মারা গেসে…একরাশ বুক চাপা কষ্ট নিয়ে আবির এই কড়া কথাগুলো তমাকে বলল…
তমা আবিরের কথা শুনে হতবাক হয়ে গেলো… আর অসহায় ভাবে ফ্লোরে বসেই আবিরের দিকে তাকালো…আবিরও এবার তমার দিকে তাকালো…
আবির খেয়াল করলো, তমাকে খুব ক্লান্ত, পরিশ্রান্ত লাগছে…কাল রাত থেকে এখনঅব্ধি কিছুই খায়নি…হয়তো একটু পরেই কিছু একটা ওর হয়ে যাবে…
আবির আর একমুহূর্ত না দাড়িয়ে তমাকে ঠাস করে কোলে তুলে নেয়…তমা অবাক হয়ে যায়…কিন্তু তমার ভালোও লাগছে..হয়তো এভাবেই আবির ধিরে ধিরে তার হবে…তাই তমা আবিরের দিকে তাকিয়ে ওর গলাটা শক্ত করে জরিয়ে ধরে…
আবির আবার তমার দিকে রাগী ভাবে তাকায়… তমা আবিরের দিকে আবেগি ভাবে তাকিয়ে ছিলো… কিন্তু আবিরের রাগী ভাব দেখে চোখ নিচে নামিয়ে ফেলে…আবির তমাকে নিয়ে উপরে গিয়ে তমাকে বিছানার উপর ঠাস করে ফেলে দেয়…
তমাঃ উহ….আমাকে বারবার এভাবে ফেলে দিচ্ছেন কেনো??আমি ব্যাথা পাইনা…অসহায় ভাবে বলল…
আবির তমার কথা গুরুত্ব না দিয়ে আলমারি থেকে একটা প্যাকেট বের করে তমার দিকে ছুড়ে মারলো…
আবিরঃ যাহ এটা পরে ৫ মি. এ ফ্রেশ হয়ে আস…
তমা শুধু অবাক হয়ে আবিরকে দেখছে…এই ঘৃনার মাঝেও আবিরের তার প্রতি ভালোবাসাটা বেশ ফুটে উঠেছে…
তমা আর কিছু না বলে আস্তে করে ব্যাগটা নিয়ে ফ্রেশ হতে চলে গেলো..তমা তার গায়ে কোন শক্তিই পাচ্ছেনা…অনেক কষ্ট করে ফ্রেশ হয়ে আবিরের দেওয়া জামাটা পরে বাইরে বের হলো…
আবির তমাকে দেখে যেনো চোখই ফিরাতে পারছে না..কিন্তু পরক্ষণেই চোখ সরিয়ে ফেললো… যা তমার খুবই খারাপ লাগলো…
আসলে তমার দিকে আবির অপলক ভাবে তাকাবেই না কেন…আবির তার পছন্দের নীল শাড়িটা যে দিয়েছে তমাকে পরতে…ওর জন্য অনেক আগে কিনে রেখে ছিলো…তমার সুন্দর কারুকার্য মেদহীন কোমরটা আবিরকে খুব টানছে…খুব কষ্টে নিজেকে আটকে রেখেছে…তমাকে ছোয়ার বা তাকে আপন করে পাওয়ার সে অধিকার আবিরের আছে…সে যে তার আপন বউ..কিন্তু এখন সে অধিকার খাটানো যাবেনা…
তমা দেখছে আবির বসে বসে আড়চোখে তার ফরসা কোমরটা দেখছে…তাই তমার মাথায় দুষ্ট বুদ্ধি চাপে..তমা ওর কোমরের উপর থেকে শাড়িটা আরো সরিয়ে দেয়…এবার তমার পেটের মাঝ অব্ধি দেখা যাচ্ছে…আবির এ দৃশ্য দেখে গলা শুকিয়ে যাচ্ছে…গলা কাটা মুরগির মতো করছে…ওকে শাস্তি দিতে গিয়ে এখন ওকে একটু ছুতেও পারছেনা…আবির ভাবে কি কারনে যে এই ড্রামা শুরু করলাম…এখন যদি ওকে আপন করতে যাই তাহলে সব কষ্টই বৃথা যাবে নাহ আবির কন্ট্রোল… কন্ট্রোল মাই বয়…আবির এভাবে নিজেকে সান্ত্বনা দিচ্ছে…আর আমাদের মহা রানী তার কোমর প্রদর্শন করেই যাচ্ছে…আবির আর পারছেনা…
আবিরঃ এই এদিকে আয়… রাগী কণ্ঠে বলল…
তমা ভরকে গেলো…
তমা আস্তে আস্তে আবিরের কাছে গেলো… আবিরের চোখের সামনেই এখন তমার নেশা ধরানো ফরসা কোমরটা…
আবিরঃ দিবো নাকি একটু ছুয়ে..নাহ..রানী জি কি শয়তান ইচ্ছা করে আমাকে কষ্ট দিচ্ছে…দাড়াও আমিও তোমার এই পেট ধরে ছাড়বো কিন্তু তুমি বুঝবানা…আমাকে জ্বালাও না..দাড়াও মজা দেখাচ্ছি..
তমা আবিরকে দেখছে আর হাসছে..বেটা বড় ঝামেলার মধ্যে পরছে…বউকে একটু আদর করবে তাও রাগে পারছে না…আমিও দেখবো আপনি কতদিন পারেন নিজেকে ধরে রাখতে…
আবির খপ করেই তমাকে….
চলবে…?
এখনই জয়েন করুন আমাদের গল্প পোকা ফেসবুক গ্রুপে।
আর নিজের লেখা গল্প- কবিতা -পোস্ট করে অথবা অন্যের লেখা পড়ে গঠনমূলক সমালোচনা করে প্রতি সাপ্তাহে জিতে নিন বই সামগ্রী উপহার।
শুধুমাত্র আপনার লেখা মানসম্মত গল্প/কবিতাগুলোই আমাদের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত হবে। এবং সেই সাথে আপনাদের জন্য থাকছে আকর্ষণীয় পুরষ্কার।
▶ লেখকদের জন্য পুরষ্কার-৪০০৳ থেকে ৫০০৳ মূল্যের একটি বই
▶ পাঠকদের জন্য পুরস্কার -২০০৳ থেকে ৩০০৳ মূল্যের একটি বই
আমাদের গল্পপোকা ফেসবুক গ্রুপের লিংক:
https://www.facebook.com/groups/golpopoka/