জোরপূর্বক ভালোবাসা পর্বঃ ০৮

0
2239

জোরপূর্বক ভালোবাসা পর্বঃ ০৮
– আবির খান

শেষ মেস তমার বিয়েটা হয়েই গেলো…তমা বউ সেজে বসে আছে বাসর ঘরে…হঠাৎই তমা দেখে বরের বেসে আবির রুমে ঢুকছে তার তমা চমকিত হয়ে যায় আর সাথে সাথে তমার ঘুমটাও ভেঙে যায়…

তমা চোখ মেলে তাকায়… বেশ দামি একটা ফ্যান মাথার উপর ঘুরছে…তমা তাকিয়ে তাকিয়ে তা দেখছে..সে ভাবছে, তাহলে আমি কি এতোক্ষন স্বপ্ন দেখেছি..তমা এবার নিজেকে একবার দেখলো..নাহ সে বধু সাজেই আছে…তার মানে তার বিয়ে হয়ে গিয়েছে…তমার চোখদুটোতে অজান্তেই অশ্রুর আগমন ঘটেছে..তমা শুয়া অবস্থায়ই ঘুরন্ত ফ্যানের দিকে তাকিয়ে ভাবছে….স্বপ্নটা সত্যি হলেই ভালো হতো…কিন্তু এখন আর তা সম্ভব নয়..তমা এখন অন্যকারো সম্পদ..তার সবটাই নিয়ে গেছে হয়তো কাল রাতে…আর কিছুই নেই তার বাচানোর…তমা দুঃখে কষ্টে ফুপিয়ে ফুপিয়ে কেঁদে উঠে..
এখনই জয়েন করুন আমাদের গল্প পোকা ফেসবুক গ্রুপে।
আর নিজের লেখা গল্প- কবিতা -পোস্ট করে অথবা অন্যের লেখা পড়ে গঠনমূলক সমালোচনা করে প্রতি সাপ্তাহে জিতে নিন বই সামগ্রী উপহার।
আমাদের গল্পপোকা ফেসবুক গ্রুপের লিংক: https://www.facebook.com/groups/golpopoka/


তমা আজ একেবারেই আবিরকে হারিয়ে ফেলেছে আর হয়তো আবিরকে পাওয়ার কথা চিন্তাও করতে পারবে না…সামান্য একটা মেয়ের সাথেইতো কথা বলছিলো আবির..তার কোন কথা না শুনেই তিশার কথা না শুনেই আমি এতো বড় একটা ভুল করে ফেললাম…এ আমি কি করলাম..নিজের সবটাতো হারালাম সাথে একজন ভালো বান্ধবী আর হয়তো সত্যিকারের প্রেমিক…এ তুই কি করলি তমা…নিজের রাগের,জেদের কাছে হেরে গেলি…এই রাগ আর জেদ তোর সব শেষ করে দিলো…ছোটকাল থেকেই তমার রাগ আর জেদটা অনেক বেশি…তার মাশুল আজ তমাকে দিতে হবে…এসব ভাবতে ভাবতে তমার কান্না আরো বেরে গেলো…নিজেকে একজন অপরাধী লাগছে…

হঠাৎ তমা ভাবে, কাল তার বিয়ে হলো সে বউ সেজে বসে ছিলো কিন্তু এরপর আর তার কিছুই মনে নেই…কিন্তু সে এখন অন্য কারো বিছানায় শুয়ে আছে…এমনকি বর দেখতে কেমন তাও তার মনে নেই..আসলে বরকেও দেখেনি এখনো…তমা কোন ভাবেই কিছু মনে করতে পারছে না….তাই চোখদুটো মুছতে মুছতে আস্তে আস্তে উঠে বসে…

বসে ঘরটাকে তার ডান পাশ থেকে দেখতে শুরু করে…বিশাল বড় রুম…অনেক দামি দামি ফার্নিচার আরো অনেক কিছু…দেখতে দেখতে ঠিক তার সোজাসুজি খেয়াল করে তমার বিশাল বড় একটা ছবি…যেখানে তমাকে অনেক সুন্দর লাগছে…তমা ছবির দিক তাকিয়ে চিন্তায় পরে যায়…তার এতো সুন্দর ছবি এখানে কিভাবে আসলো…তমা যেইনা বাম দিকে তার ঘাড়টা ঘুরায়…তমা যা দেখে তা সে কল্পনা বা চিন্তাও করে নি…তমার মাঝে ভয়,চিন্তা আরো কতকি সব এসে ভীড় জমায়…কারণ সে আর কাউকে নয় আমাদের সবার প্রিয় নায়ক আবিরকে দেখছে…

বেশ দামি একটা সোফাতে ঠিক মাঝ বরাবর ওর দিকে খুব রাগী আর গম্ভীর দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে…তমার মনে হচ্ছে ও কোন স্বপ্ন দেখছে..তাই চোখদুটো ভালো করে একটু ডলে নিয়ে আস্তে আস্তে করে প্রথমে এক চোখ পরে আরেক চোখ খুলে তাকালো… নাহ সে এখনো আবিরকেই দেখতে পারছে…সেই একইভাবে আবির তার দিকে তাকিয়ে আছে… আবিরকে প্রচুর রাগী মনে হচ্ছে…আর মনে হয় রাতে ঘুমায় নি…চোখ গুলো কেমন বাঘের মতো করে হিংস্রভাবে ওর দিকে তাকিয়ে আছে…তমার ভয়ে হাত পা কাপছে কি করবে কিছুই বুঝতে পারছেনা…তাই মাথা নিচু করে চোখটা বন্ধ করে বসে আছে…তমা কোনভাবেই হিসাব মিলাতে পারছে না…মনের ভিতর ১০১টা প্রশ্নের আনাগোনা চলছে…ও এখানে কিভাবে??ওর কি বিয়ে হয়েছে??হলে বর কই??না হলে উনি এখানে কেন???নাকি উনার সাথেই হয়েছে???আমার কিছু মনে পরছে না কেন…এসব ভাবতে ভাবতে হঠাৎ বাঘ যেনো গর্জে উঠলো…
আবিরঃ তমা……গম্ভীর কন্ঠে…

তমা ভয়ে আরো শক্ত করে মাথা নিচু করে আছে…
আবিরঃ তমা….অনেক জোরে ডাক দিলো…

তমা ডাক শুনে কেঁপে উঠলো… আর সাথে সাথে মাথা তুলে আবিরের দিকে তাকালো…

আবির সেই রাগীভাবেই তাকিয়ে আছে…তার চোখ কিছু প্রশ্নের উত্তর চায়…যা তমা বুঝে গেলো… তার আগে তমাও কিছু জানতে চায়…

তমাঃ আপনি এখানে কেন???ভয়ে ভয়ে বলল…
আবিরঃ কেন অন্য কেউ থাকার কথা ছিলো?? গম্ভীর কণ্ঠে…
তমাঃ আমি যাকে বিয়ে করেছি সে কই??আস্তে করে বলল…

তমার এই প্রশ্নটা করা মনে হয় ঠিক হয়নি…কারণ প্রশ্নটা শুনা মাত্রই আবির এক অন্য আবিরে পরিনত হয়েছে.. যে আবির কোনদিন কাউকে ভালোবাসতে পারে না…

আবির ধির পায়ে পায়ে তমার কাছে আসতে লাগলো…মনে হচ্ছে ওর শিকার করবে এখনি…তমার ভয়ে অবস্থা খুব খারাপ…আবির এক পা বিছানাতে দিয়ে হাটুর উপর ভর দিয়ে তমাকে বলল…

আবিরঃ নাই…
তমা আবিরের দিকে তাকাতে পারছে না ভয়ে…চোখ দুটো কেমন লাল হয়ে আছে..মনে হচ্ছে রক্ত ঝরছে… তমা নিচে তাকিয়ে আস্তে করে বলল..

তমাঃ আমি এখানে কেন??
আবিরঃ তুইতো এখানেই থাকবি…আজ থেকে এটাই তোর থাকার জায়গা..কি ভেবেছিলি আমাকে ছেড়ে অন্য জনের সাথে বিদেশ চলে যাবি..আর আমার ভালোবাসাকে মাটি চাপা দিবি??আমার ভালো রূপটা এতো দিন দেখেছিস আজ থেকে আমার খারাপ রূপটা দেখবি..তোকে নিজের চেয়েও কত বেশি ভালোবেসে ছিলাম…আর সেই তুই একটা মেয়ের সাথে আমাকে দেখে বিয়েতে রাজি হয়ে গেলি??আমার ভালোবাসা কি এতোই সস্তা ছিলো?? ওই রাতে বুঝিস নি আমি তোকে কত ভালোবাসি??কিন্তু আর তোকে ভালোবাসবো না…এবার তোকে বিয়ে করে সারা জীবন ঘৃনা করবো… আর তুই তোর ভুলের জন্য শুধু কষ্ট পাবি…তুই কি যানি ভাবছিলি তোকে ফেলে অন্য মেয়ের সাথে আমি প্রেম করবো না…যাহ এটাই সত্যি করবো… তোকে বিয়ে করে তোর সামনে অন্য মেয়ের সাথে প্রেম করবো আর তোকে কষ্ট দিবো…আবির কে কষ্ট দেও হ্যা..আবির কি জিনিস এখন বুঝবি…একটু পরে কাজী আসবে তোর আর আমার বিয়ে পরাতে রেডি থাকিস..তোর লাইফ শেষ…

তমা হতবাক হয়ে অসহায় ভাবে আবিরের দিকে তাকিয়ে আছে..আবির চলে গেলো..এ কোন আবিরকে সে দেখছে??এ আবিরতো আগের আবির নাহ..আবির তার সাথে কোন ভাবেই এভাবে কথা বলতে পারে না…তমার এখনো বিশ্বাস হচ্ছেনা আবিরের কথা গুলো…তমা চোখ দিয়ে শুধু নোনা জল পরছে অনবরত…তমা শুধু কেঁদেই যাচ্ছে…এখন সে কি করবে..সে আবিরকে অনেক বড় আঘাত দিয়ে ফেলেছে…আবির এতোটাই কষ্ট পেয়েছে যে আগের আবির হারিয়ে গিয়েছে…কিন্তু তমার ভয় করছে অনেক… এ হিংস্র আবিরের কাছে সে থাকতে চায়না…সে তার বাবা মায়ের কাছে যাবে…তাই তমা কাদতে কাদতে উঠে দাড়ালো.. আস্তে করে বিছানা থেকে নেমে দরজার কাছে যেতেই আবিরের সাথে ধাক্কা খায়…

আবির খুব রাগী ভাবে তাকিয়ে আছে…
আবিরঃ আমার কাছ থেকে পালাবি না…এখান থেকে পালানোর পথ একটাই, আমাকে মেরে তোকে পালাতে হবে…কারণ আমি থাকতে তুই কোন দিন পালাতে পারবিনা..এসব বলেই তমার হাতটা খুব শক্ত করে ধরে নিচে নিতে নিলো…

তমাঃ আমি ব্যাথা পাচ্ছি ছাড়ুন..প্লিজ ছাড়ুন… কেঁদে কেঁদে…
আবিরঃ হাহা…এটা কোন ব্যাথাই না…তুই যে ব্যাথা আমায় দিয়েছিস তার সামনে এ কিছুই না…নিচে কাজী আসছে চল…রাগী কণ্ঠে বলল…
তমাঃ না আমি আপনাকে বিয়ে করবো না…
আবিরঃ তুইতো কোনদিনই করবি না..কিন্তু আমি করমু শুধু তোকে কষ্ট দেওয়ার জন্য..চল..চল…

তমা অনেক কাঁদছে কোনো ভাবেই ওকে নিচে নেওয়া যাচ্ছে না তাই আবির ওকে কোলে তুলে নিয়ে নিচে সোফার উপর ফেলে দেয়..

তমাঃ প্লিজ আমাকে ছেড়ে দিন আমি বিয়ে করবো না..আমায় যেতে দিন…প্লিজ…

আবির ইশারা দিতেই শুভ কাজীকে নিয়ে ভিতরে আসে..শুভকে সাক্ষী হিসেবে আনা হয়েছে…

তমাঃ শুভ ভাই আমাকে বাচান..উনি আমাকে মেরে ফেলবে..প্লিজ ভাই আমাকে বাচান…

শুভ কোন কথাই বলছে না..চুপচাপ দাড়িয়ে আছে..
তমা অসহায় হয়ে গেলো… কি করবে ভেবে পাচ্ছে না.

আবিরঃ কাজী বিয়ে পড়ানো শুরু করো…গম্ভীর কণ্ঠে…
তমাঃ প্লিজ আমাকে মাফ করে দিন… আমাকে যেতে দিন…আমার ভয় করছে…তমার অবস্থা খুব খারাপ… চোখ মুখ ফুলে গেছে…
আবিরঃ একদম চুপ..একটা কথা বলবি না..
কাজী সাহেব বিয়ে পড়ানো শুরু করলেন…
কাজীঃ বাবাজি ৩ বার কবুল বলো..
আবির এক নিশ্বাসে ৩/৪ বার কবুল বলে ফেলল…
কাজীঃ মা এবার তুমি কবুল বলো…
তমাঃ আমি এ বিয়ে করবো না..আমি কোনদিনই কবুল বলবো না…
আবিরঃ কবুল বল নাহলে কিন্তু ভালো হবে না..
তমাঃ আমি বলবো না মানে বলবো না…প্লিজ আমাকে ছেড়ে দিন..কাদতে কাদতে বলল..

আবির একটা পিছতল বের করলো…
আবিরঃ এখন যদি কবুল না বলিস তাহলে এইটা দিয়ে তোকে নাহ এই কাজীকে মেরে ফেলবো..বল কবুল বল…
কাজীঃ মা প্লিজ কবুল বলো..আমার ২ টা ছোট ছোট ছেলে মেয়ে আছে..মা প্লিজ তারাতাড়ি কবুল বলো…নিরীহ কণ্ঠে বলল..

তমা আর চাপ না নিতে পেরে জোরপূর্বক ৩ বার কবুল বলে ফেলে…
তমাঃ কবুল কবুল কবুল…
কাজীঃ যাক মাশাল্লাহ… বিয়ে সম্পন্ন হয়েছে…এখন শুধু এখানে একটা সই করে দিন আপনারা..আবির তারাতাড়ি সই করে দিলো..
কাজীঃ মা এবার তুমি করো…

তমা কলম হাতে নিয়ে বসে আছে..আর কাদছে…
আবিরঃ সই করবি নাকি দিমু কাজীরে উরায়া??
তমা ভয়ে তারাতাড়ি সই করে দেয়..সই দিয়েই কলমটা ফেলে দেয়…
আবিরঃ এখানে চুপচাপ বসে থাকবি যদি লড়ছিস তাহলে খবর আছে পিছতল দেখিয়ে বলল…

আবির, শুভ আর কাজী সাহেব বাইরে বেরিয়ে আসলেন…
আবির আর শুভ একে অপরের দিকে তাকিয়ে আছে… হঠাৎই আবির অট্ট হাসিতে ভেঙে পরে সাথে শুভও…কাজী সাহেব বোকার মতো ওদের দেখছে..

শুভঃ দোস্ত তুইতো সেই এক্টিং করতে পারিস..আমিতো ভাবতেই পারছিনা..
আবিরঃ হাহা…ওকে ঠিক করতে আর পেতে একটুতো করতেই হবে…

আসলে আবির এতোক্ষন তমার সাথে যা করেছে তা সবই অভিনয় ছিলো…তমাকে তার ভুলের শাস্তি দেওয়ার জন্য..তমা আবিরকে অনেক কষ্ট দিয়েছে তাই আবিরও চায় ও বুঝুক ও কি ভুল করেছে..

আবিরঃ কি কাজী সাহেব ভয় পেয়ে ছিলেন নাকি??
শুভঃ দোস্ত বিশ্বাস করবি না কাজী সাহেবকে দেখে আমার যে হাসিটাই না আসছিলো…আমি যে কিভাবে আমার হাসি আটকে রেখেছি….হাহা..
কাজীঃ ভয়তো পাইছি বাবাজি কিন্তু আমিতো কিছুই বুঝতাছিনা…
আবির পিছতল্টা বের করে কাজীকে শুট করলো কাজী মনে করলো সে শেষ… কিন্তু কাজীর কিছুই হলো না…
আবিরঃ আরে এতো ভয় কিসের কাজী…এই দেখেন এটা খেলনা পিছতল…হাহা…
কাজীঃ আমিতো আবার ভয় পেয়ে গেসিলাম..
শুভ হাসতে হাসতে শেষ… মাটিতেই বসে পরেছে…
আবিরও হাসতে হাসতে বলল…
আবিরঃ তা কাজী সাহেব বিয়েটা ঠিক মতো পড়িয়েছেনতো??
কাজীঃ জ্বি বাবা পড়াইছি..তাহলে আমি এখন যাই…তোমরা যে ডেঞ্জারাস বাপু..আমি যাই..
কাজী একপ্রকার দৌড়ে পালালো…

শুভ আর আবির হাসতে হাসতে শেষ…
শুভঃ এখন কি করবি??
আবিরঃ কি আর প্লান অনুযায়ী কাজ হবে..
শুভঃ ভাবিকে বেশি কষ্ট দিস না..
আবিরঃ ওর অনেক কিছুই পাওনা আছে…এবার দেখবি ও নিজে থেকে আমাকে জোর করবে ভালোবাসার জন্য…
শুভঃ আচ্ছা দেখবোনে…আমিও তাহলে যাই… তিশা অনেক টেনশনে আছে তমা কে না পেয়ে… হাহা..
আবিরঃ আচ্ছা যা…

>>>>>ফ্ল্যাশব্যাক<<<<<
গতকাল রাতে…
আবিরঃ শুভ এই মুহূর্তে আমার বাসার সমনে আয়…
শুভঃ কেন কি হইছে??
আবিরঃ আরে আয়তো আগে…
শুভঃ আচ্ছা আসছি…
আবির ফোন রেখে দিলো..

শুভ ১০ মিনিটেই বাইক নিয়ে চলে আসলো…আবির ওর গাড়ি নিয়ে বাসার সামনে অপেক্ষা করছিলো..
শুভঃ কিরে কি হয়েছে??
আবির ওর প্লান সব শুভকে বলল…
শুভঃ দোস্ত এটাতো খুব রিস্ককি কাজ…যদি ধরা খাই তাহলে আজকে শেষ…
আবিরঃ আরে আমার উপর বিশ্বাস আছে না??
শুভঃ আছে কিন্তু…
আবিরঃ দোস্ত এটা না করলে তমাকে যে হারিয়ে ফেলবো সারা জীবনের জন্য..
শুভঃ দোস্ত তুই যেমনটা চাবি তাই হবে..তোর জন্য জীবনটাও লাগলে দিয়ে দিবো…টেনশন নিস না..চল..
আবিরঃ আচ্ছা চল তাহলে…আর তোর বাইকটা ভিতরে রেখে আয়..

আবির আর শুভ এরপর গাড়ি নিয়ে তমার বাসায় পৌছে যায়..
আবিরঃ দোস্ত আজকে আমার জানটাকে তোর কোলে দিবো…প্লিজ পরে যেনো না যায়…
শুভঃ আরে বেটা একসাথে জিম করছি সবসময়… আমার শক্তি সম্পর্কে তোর জানা নাই???
আবিরঃ আছে আছে বন্ধু… আচ্ছা তাহলে চল..

আবির আর শুভ সবার চোখ ফাকি দিয়ে তমার বাড়ির পিছনে যায়…কারন তমার রুমটাও পিছনে..আর সেখানে কোন লোকের আনাগোনা নেই..তমার রুমের বারান্দাটা খোলা… কিন্তু বারান্দার দরজা যদি আজ আটকানো থাকে তাহলে সব শেষ…

আবিরঃ দোস্ত তুই নিচে দাড়া তাহলে আমি উপরে উঠছি…ভাই প্লিজ ওকে ফালিয়ে দিস না…তোর একমাত্র ভাবি…
শুভঃ আরে চিন্তা করিস নাহ…তুই তারাতাড়ি যাহ…আর সাথে নিছিসতো ওইটা??
আবিরঃ হুম..

আবির আস্তে করে পাইপ বেয়ে তমার বারান্দায় যায়..নাহরে বেচে গেছে…আজকে দরজা টা পুরা খোলা… আবির আস্তে করে আড়ালে থেকে ভিতরে তাকায়… তমা শুধু একা বধু সাজে বসে আছে..খুব বিষন্ন লাগছে…তবে দেখতে যা লাগছে না…আবিরেরতো এখনই বিয়ে করে ফেলতে ইচ্ছা করছে তমাকে..কি মায়াবতীই না লাগছে..নাহ আজ ওর মায়ায় জরালে অনেক বড় ক্ষতি হয়ে যাবে…

আবির আস্তে আস্তে নাকে রুমাল বেধে তমার পিছনে যায়…তমা এতোটা বিষন্ন যে অন্য কেউ হলে এতোক্ষনে ধরা খেতো..আবির আস্তে করে জিনিসটা তমার পিছন থেকেই স্প্রে করতে থাকে… তমাও একসময় ঠাস করে বসা থেকে পরে যায়…কাজ হয়েছে…আবির তারাতাড়ি তমাকে কোলে করে নিয়ে বারান্দায় যায়…
আবিরঃ দোস্ত ধরিস কিন্তু… না হলে কিন্তু ও অনেক ব্যাথা পাবে…
শুভঃ তুই ফালা বেটা আল্লাহ ভরসা..

আবির চোখ বন্ধ করে আল্লাহর নাম নিয়ে আস্তে করে তমাকে নিচে ছেড়ে দেয়…আবির আস্তে করে চোখ খুলে নিচে তাকায়… বুক কাপছিলো আবিরের..নাহ শালাবাবু ভাবিকে ক্যাচ করতে পারছে…যাক আল্লাহ বাচাইছে…

আবির তারাতাড়ি নিচে নেমে তমাকে ওর কোলে নিয়ে খুব সাবধানে সবার চোখ ফাকি দিয়ে গাড়িতে নিয়ে যায়…
আবিরঃ দোস্ত মিশন কম্পলিট..
শুভঃ আসলেই ভাই…বেঁচে গেছি..হাহ..
এরপর তমাকে নিয়ে ওরা চলে গেলো…

এখন…
আবির শুভ কে বিদায় দিয়ে এসে ভিতরে ঢুকতেই….

চলবে… ?
এখনই জয়েন করুন আমাদের গল্প পোকা ফেসবুক গ্রুপে।
আর নিজের লেখা গল্প- কবিতা -পোস্ট করে অথবা অন্যের লেখা পড়ে গঠনমূলক সমালোচনা করে প্রতি সাপ্তাহে জিতে নিন বই সামগ্রী উপহার।
শুধুমাত্র আপনার লেখা মানসম্মত গল্প/কবিতাগুলোই আমাদের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত হবে। এবং সেই সাথে আপনাদের জন্য থাকছে আকর্ষণীয় পুরষ্কার।

▶ লেখকদের জন্য পুরষ্কার-৪০০৳ থেকে ৫০০৳ মূল্যের একটি বই
▶ পাঠকদের জন্য পুরস্কার -২০০৳ থেকে ৩০০৳ মূল্যের একটি বই
আমাদের গল্পপোকা ফেসবুক গ্রুপের লিংক:
https://www.facebook.com/groups/golpopoka/

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে