#জল্লাদ বয়ফ্রেন্ড❤
#লেখিকাঃ নাবিলা আহমেদ (রোজ)
#পর্ব- ১
শুভ্রকে ধাক্কা মেরে পানির মধ্যে ফেলে দিয়ে। ভো দৌড় মারলাম কারন ও যদি আমাকে ধরতে পারে। তাহলে যেই পানিতে আমি ওকে ফেলেছি। ওই পানির মধ্যে ও আমাকে চুবানি দেবে। কি সুন্দর করে আমি ওকে বোঝাতে গিয়েছি। আর শালা বান্দর কি না ভাব দেখাচ্ছিলো। এবার বোঝ কেমন লাগে হু হু। রোজকে বোকা পেয়ে সবসময় অত্যাচার তাইনা? রোজও কিছু কম যায় না সেটা বুঝিয়ে দিলাম। ভাবছেন তো কি এমন হলো?” চলুন এক নজরে দেখে আসি।”
কলেজ ক্যাম্পাসে বসে আছি আমি। শুভ্র এখনো আসেনি তাই সামনে এগোচ্ছি। হঠাৎ বাংলা সিনেমার মতো কারো সাথে ধাক্কা খেলাম। ভাবলাম এটা হয়তো আমার হ্যান্ডসাম বয়ফ্রেন্ড। এখন আমরা দুজন দুজনের দিকে তাকিয়ে থাকবো। এরপর সেই বাংলা সিনেমার মতো। ওহো, হো, হো, ওহো, হো, হো আহা পুরাই জোশ টাইপ ব্যাপার। কিন্তুু তাকিয়ে দেখি এটা শুভ্র না সামির। ওমনি আমি এক ধমক দিয়ে বললাম, আমাকে ছাড়। ওমা পাশেই শুভ্র অগ্নিদৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে। এদিকে সামিরও আমাকে ধপাস করে ফেললো। ওদিকে শুভ্রও হনহন করে বেরিয়ে গেলো। ইয়া আল্লাহ যার ভয়তে ছাড়তে বললাম। সেও এভাবে কিছু না বলে চলে গেলো? মাবুদ আমার আমও গেলো, ছালাও গেলো। সামিরকে ধাক্কা মেরে ফেলে দৌড়ে চলে এলাম,
১০মিনিট ধরে শুভ্রকে খুজে তারপর পেলাম। ইনি নদীর পাড়ে দাড়িয়ে শোক দিবস পালন করছে। আমি ওর পাশে দাড়িয়ে বললাম!”
—-” চলে এলে কেন তখন?”
ওমা লাটসাহেব একটা ভাব নিয়ে বললো।”
—-” আমাকে একা ছেড়ে দে প্লিজ,
অবাক হয়ে ওকে বললাম!”
—-” তোমাকে আমি ধরলাম কখন?”
শুভ্র আমার দিকে তাকিয়ে রেগে বললো,
—-” আমাকে ধরবি কেন? ধরবিতো সো কল্ড সামিরকে।”
আমি শুভ্রর কাধে হাত রেখে বললাম!”
—-” আগে আমার কথা শোনো প্লিজ,
ওমনি শুভ্র আমাকে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দিলো। আম্মুগো কোমরটা বুঝি গেলো গো। আমাকে ধাক্কা মেরে খাটাসটা শান্তিতে দাড়িয়ে আছে। এবার আমার খুব রাগ হলো খুব বেশী। তাইতো ধাক্কা মেরে পানির মধ্যে ফেলে দিলাম। পানিতে ফেলে দৌড়ে দৌড়ে রাস্তায় চলে এলাম। এরপর একটা রিক্সা ডেকে বাড়িতে চলে এলাম।”
পরেরদিন সকালে পায়ের উপর পা তুলে বসে আছি। তখনি শুভ্র ভাব নিয়ে আমাদের বাড়িতে এলো। বাবাগো কি স্টাইল মেরে এসেছে। তখনি গতকালকের কথা মনে পড়ে গেলো। ওমনি চিল্লিয়ে আম্মুকে ডেকে আনলাম। আম্মু খুন্তি হাতে নিয়ে তেড়ে এসে বললো!”
—-” ছাগলের মতো ভ্যা, ভ্যা করছিস কেন?”
আম্মুর কথায় অপমান বোধ করলাম। বয়ফ্রেন্ডের সামনে এত বড় অপমান? বুকের ভেতর চিনচিন ব্যথা অনুভব করছি। শুভ্রর কথায় মুখ অটোমেটিক। বোয়াল মাছের মতো হা হয়ে গেলো,
—-” মামনি আমি রোজকে নিয়ে কলেজে যাচ্ছি।”
বলে শুভ্র দাত কেলালো। আম্মুও সম্মতি দিয়ে দিলো। আমি চেঁচিয়ে বলে উঠলাম!”
—-” আমি আজকে কলেজে যাবো না,
আম্মু হাতের খুন্তি নাড়াতে নাড়াতে বললো।”
—-” এটা চিনিস?”
জোড়পূর্বক মুখে হাসি ঝুলিয়ে বললাম!”
—-” আমি রেডি হয়ে আসছি,
রুমে এসে কান্না করতে করতে রেডি হচ্ছি। রেডি হয়ে নিচে এসে বিরবির করে বললাম।”
—-” যেখানে বাঘের ভয়, সেখানে সন্ধ্যা হয়!”
শুভ্র আমাকে নিয়ে বাইরে এলো। বাইরে এসেই ঠাস করে এক থাপ্পর মারলো। থাপ্পর খেয়ে আম্মুগো বলে চেঁচিয়ে বললাম,
—-” ওই গন্ডার।”
শুভ্র মুচকি হেসে বললো!”
—-” রেড রোজ তুই থাক আমি আসছি,
বলে আবার ভেতরে গেলো। সাথে করে কি যেন নিয়ে এসে আমাকে নিয়ে। আমাদের বাড়ির সামনের বাগানে গেলো। এখানে যেমন ফুল গাছ আছে। তেমন প্রায়রকম গাছও আছে লাইক ফল গাছ। শুভ্র ওর পেছন থেকে হাত বাড় করতেই। আমার চোখ চড়কগাছ টাইপ হয়ে গেলো। কারন শুভ্রর হাতে মোটা দড়ি। আমি ধপাস করে নিচে পড়ে বেহুশ হয়ে গেলাম।”
#চলবে…