জন্মটা পতিতালয়ে Part – 08

0
1311

জন্মটা পতিতালয়ে
লেখকঃ Arian Sumon
Part – 08
..
আকাশ গাড়িতে উঠল। গাড়িটা একটা কাজি অফিসের সামনে থামাল।

তারপর সবাই গাড়ি থেকে নেমে কাজি অফিসের ভিতর ডুকল।।



কাজী সাহেবঃ আলহামদুলিল্লাহ এখন থেকে আপনারা স্বামী স্ত্রী। দোয়া করি আপনারা সুখি হোন।

কাজী অফিস থেকে বেড়িয়ে আসল আকাশ আর সামিয়া।

আকাশঃ ম্যাম এটা কি করলেন আপনি?
সামিয়াঃ যা করেছি ঠিক করেছি। চুপ করে এখন বাসায় চলো।
আকাশঃ ম্যাম আমার ভালো লাগছেনা। আপনার বাবা মা যে কি করবে
সামিয়াঃ আজব তো তুমি এত ভয় পাচ্ছ কেন? আমি তোমার স্ত্রী এটা বুক ফুলিয়ে বলতে পারবা না??
আকাশঃ সেটা তো ব্যাপার না কিন্তু আপনার আর আমার অবস্থান টা দেখেছেন।
সামিয়াঃ গুল্লি মারো তোমার অবস্থান এখন চলো।

আকাশ আর সামিয়া গাড়িতে উঠল।

কি ভাবছিলেন সামিয়া তার এক্স বয়ফ্রেন্ড কে বিয়ে করেছে। আসলে তা না।

তাহলে ঘটনা টা খুলেই বলি।

ওরা কাজী অফিসে ডুকার পরে।

সামিয়াঃ কাজী সাহেব আমাদের বিয়ের ব্যবস্থা করুন।।
আকাশঃ ম্যাম আরেকবার ভেবে দেখুন।
সামিয়াঃ ভাবাভাবির সময় নাই আমি সিরিয়াস। আমি সুমন কেই বিয়ে করব।
সুমনঃ আমি করব না।

সুমনের মুখে এ কথা শুনে সামিয়া চমকে যায়।
সামিয়াঃ কি বলছ সুমন?
সুমনঃ হ্যা ঠিকই বলছি। আমি তোমাকে বিয়ে করব না।
সামিয়াঃ সুমন এমন করছ কেন। হাতে সময় কম এরকম করোনা।
সুমনঃ যাই হোক না কেন। আমি সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলছি আমি তুকে বিয়ে করব না। মনে পড়ে ভার্সিটি লাইফের কথা গুলো? তুই আমাকে কিভাবে ছেড়ে দিছিলি? তারপর একবারও কি আমার খবর নিয়েছিলি?
সামিয়াঃ সুমন আমি
সুমনঃ আর কথাই বলিস না। তুর মতো বাজে মেয়েকে বিয়ে করব আমি? একবার কষ্ট দিছিস। সেটাই অনেক চেষ্টার পর ভূলেছি। আর চাই না। ভালো থাক।

এই বলে সুমন কাজী অফিস থেকে বেড়িয়ে চলে যায়।

সামিয়া দাঁড়ানো থেকে বসে পড়ে। সুমন এমন করবে ভাবতেও পারেনি সামিয়া। সেই ব্রেক আপের পরেও ও আমার পিছু পড়ে ছিল। ভালোবাসি ভালোবাসি বলে জ্বালিয়ে মারত। আর এখন সুযোগ দিলাম এখন আমাকে ছেড়েই দিল। অবশ্য ও ঠিক। আমিও তো কষ্ট কম দেইনি।

আকাশ মনে মনে খুশিই হলো। অন্তত সামিয়ার আজকে বিয়ে হয়নি। কিন্তু কপাল আমিও করতে পারব না। সামিয়া আমার আয়ত্তের বাহিরে।

আকাশঃ ম্যম চলুন
সামিয়াঃ নাহ। চলে যেহেতু এসেছি বিয়ে করেই যাব।
আকাশঃ ছেলে পাবেন কোথায়?
সামিয়াঃ তুমি
আকাশঃ আমি??
সামিয়াঃ হ্যা তুমিই। কাজী সাহেব আমাদের বিয়ের ব্যবস্থা করুন।

এভাবেই সামিয়া আর আকাশের বিয়ে হয়ে যায়।


যাহোক এবার বাস্তবে ফিরি।

আকাশ আর সামিয়া গাড়িতে করে বাড়িতে যাচ্ছে।

আকাশ তো অনেক খুশি। নিজের ভালোবাসার মানুষকে আপন করে পেয়েছে। যদিও পরে কি হবে তা তার জানা নেই।

আকাশ আর সামিয়া বাসায় পৌছাল।
ভিতরে ডুকল।।

সামিয়া আব্বু আম্মুকে ডাকতে লাগল।

ওনারা আসলেন।

সামিয়াঃ তোমাদের সাথে আমার কথা আছে
সামিয়ার আম্মুঃ দুইদিন পর তুর বিয়ে এখনও তুই এত ঘুরাঘুরি করিস।
সামিয়াঃ উফফস কিসের বিয়ে। ওটা ভেঙে দাও। আমি বিবাহিত
সামিয়ার আব্বু আম্মু দুজনেই অভাক হয়ে গেল। কি বলছে মেয়ে।
সামিয়ার আম্মুঃ কি বলছিস তুই? এটা বিয়ে ফাজলামি না
সামিয়াঃ আমি ফাজলামি করছিনা। আমি আর আকাশ স্বামী স্ত্রী।
সামিয়ার আম্মুঃ আল্লাহ এ কথাটি শুনার আগে আমার মরন হলো না কেন? ঐ হারামজাদি কি করছিস তুই? ও কোন দিক দিয়ে তুর সাথে যায়
সামিয়াঃ আমি তো বলেছিলাম যার সাথে আমার বিয়ে ঠিক করেছ ছেলেটা ভালোনা। তোমরা আমার কথা শুনোনি। তাই আমার এই পথ বেছে নিতে হলো। আর হ্যা আমরা দুজন দুজনকে ভালোবাসি।
সামিয়ার আম্মুঃ তুমি কিছু বলছ না কেন। ও নাকি এই বেশ্যার পোলারে বিয়ে করেছে। তোমার মেয়ের অধঃপতন কোথায় চলে গেছে দেখেছ।
সামিয়ার আব্বুঃ আমি কি বলব। তোমরা যা খুশি করো।
সামিয়ার আম্মুঃ হ মেয়ে তো আমার একার।
সামিয়ার আব্বু উপড়ে চলে যায়।
সামিয়াঃ দেখো আম্মু শুধু শুধু ঝামেলা না করে আকাশ কে জামাই হিসেবে মেনে নাও।
ঠাসসসস ঠাসসসস ঠাসসস

সামিয়ার আম্মু সামিয়াকে তিন টা থাপ্পড় মারল।
সামিয়ার আম্মুঃ তুর সব কিছু মেনে নিয়েছি বলে এটাও মেনে নিব ভাবলি কি করে। এই পতিতার বাচ্চাকে বিয়ে করার আগে একবার তো আমাদের কথা ভাবতি। আমাদের স্ট্যাটাস এর কথা ভাবতি।
সামিয়াঃ তোমাদের আমি বুঝিয়েছি বুঝোনি। আমার কিছু করার নেই।

সামিয়ার আম্মুঃ তাই বলে তুইএই পতিতার বাচ্চাকে বিয়ে করবি
সামিয়াঃ আম্মু বেশি হয়ে যাচ্ছে। বারবার তুমি পতিতার বাচ্চা কাকে বলছ। ও আমার হাজবেন্ড। মেনে নিলে নাও না নিলে নাই। অপমান করবা না একদম।

ঠাসসসস

সামিয়ার আম্মু সামিয়াকে আবার ঠাসসস করে থাপ্পড় দিল।।
সামিয়া কিছু না বলেই উপড়ে উঠে গেল।

সামিয়ার আম্মু আকাশের দিকে এগিয়ে গেল।

সামিয়ার আম্মুঃ কি ভেবেছিস কি ওরে বিয়ে করলেই এ বাড়ির মালিক হয়ে যাবি।
আকাশঃ আপনি আমাকে ভূল বুঝছেন
সামিয়ার আম্মুঃ আমি যা বুঝাত বুঝে গেছি। তুদের মতো ছেলেদের আমার খুব ভালো করে জানা আছে। বেশ্যার বাচ্চা।

এই বলে সামিয়ার মা ও উপড়ে উঠে গেল।
আকাশ নিজের রুমে চলে যায়।
আকাশের চোখ দিয়ে পানি বেড় হয়ে গেল। যেই শব্দ টা আকাশ একদম পছন্দ করেনা। আজকে বারবার সেটাই শুনতে হলো।সামনে যে আরো কত কিছু পরে আছে।

কিছুক্ষন পর সামিয়া আসল,,,

সামিয়াঃ আকাশ

আকাশ চোখের পানি মুছল। তারপর সামিয়ার দিকে তাকাল।

সামিয়া বুঝতে পারল আকাশ কেঁদেছে।
সামিয়াঃ আমি খুব খুব খুব দুঃখিত। আজকে আমার জন্য তোমাকে অনেক অপমান হতে হলো।
আকাশঃ নাহ ঠিক আছে ম্যাম। এরকম কিছু হবে এটা ভেবেই রেখেছিলাম।
সামিয়াঃ আচ্ছা এখন চলো।
আকাশঃ কোথায়
সামিয়াঃ আমার রুমে
আকাশঃ আপনার রুমে কেন
সামিয়াঃ আরে গদ্দপ বুঝনা। আমরা তো স্বামী স্ত্রী। আলাদা আলাদা থাকলে মানুষ কি ভাববে।
আকাশঃ কিন্তু
সামিয়াঃ কোনো কিন্তু নয়। জামা কাপড় গুছিয়ে নাও। চলো আমার সাথে।
আকাশের মনে লাড্ডু ফুটতে লাগল। মানে কি সামিয়া আমার কাছে ধরা দিতে চাচ্ছে।

আকাশ সব কিছু গুছিয়ে নিল।

তারপর সামিয়ার রুমে চলে গেল।

আকাশ কল্পনাও করতে পারছেনা সে সামিয়ার সাথে রুম শেয়ার করবে।

সামিয়াঃ কাপড়গুলো এদিকে দাও। আলমারিতে রেখে দিচ্ছি।
আকাশঃ না লাগবেনা। এভাবেই থাকুক
সামিয়াঃ দিতে বলছিনা

আকাশ দিয়ে দিল।

সামিয়া আলমারিতে আকাশের কাপড়গুলো রাখতে ছিল।

আকাশ এতক্ষনে খেয়াল করল। সামিয়া আকাশের পছন্দের সবুজ শাড়ি পড়েছে।

সামিয়া আলমারিতে কাপড় রাখছিল।একদিক দিয়ে সামিয়ার পেট দেখা যাচ্ছিল। আকাশ ঐদিকেই তাকিয়ে রয়েছে এক ধ্যানে,,


সামিয়াঃ কি তাকিয়ে থাকলেই চলবে নাকি? কিছু করতে ইচ্ছে করছেনা??
আকাশঃ হুম আদর করতে ইচ্ছে করছে।
সামিয়াঃ তো করো।

আকাশ সামিয়ার কোমড়ে হাত দিয়ে কাছে টেনে নিল। তারপর ঠোটে ঠোট মিলিয়ে দিল।

তারপর সামিয়াকে বিছানায় নিয়ে গেল।




TO BE CONTINUE

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে