আলো থেকে অন্ধকার পর্ব-০৫

0
818

#আলো_থেকে_অন্ধকার
Part:-05
Writer :- #Esrat_jahan_Esha

– লিমা তুমি কার সাথে কথা বল?
– মা,,,,ম,,,, মা আপনি?
– কেন সুমি আশায় যেমন আগে অসুবিধা হত তেমন কি আমার আশায় তোমার অসুবিধা হল?
– না মানে?
– মানে কি এর জন্যই কি তুমি আমার মেয়েকে ঘরে আসতে দিতে না। তোমার ঘরে যেন যায় তাই জায়েদ কে দিয়ে বকা দিছ।
ছি লিমা লঘিমা ছি। আমি ভাবছিলাম হয়ত সুমি মিথ্যা বলছে এখন তো দেখি এটাই সত্যি।
– আপনি কি দেখছেন হুমম। কার সাথে কথা বলছি আমি?
– আমি স্পষ্ট দেখলাম তুমি কথা বলছ।আর আমি কিছু কথা শুনেছি।
– ওহ্হ শুনেও গেছেন। তা ভালো যেহুতু জেনেই গেছেন আর বলছেন আমি ভালো না। তাহলে চলে যান এ বাড়ি থেকে।
– কি বল্লা তুমি?
– হুমম কেন কানে কম শুনেন নাকি?
– আমি জায়েদ এর সাথে বলব।
– আচ্ছা বলেন।
জায়েদ ঘরে আসার সাথে সাথে আমি কান্না করে দিলাম।
– কি হইছে কাঁদছ কেন?
– তা শুনে কি করবেন?
– কি বল এসব।
– আমার সংসারে আগুন লাগাতে চায়।
– কি বল এসব।
– আপনার মা আমাকে বলে আমি নাকি কোনো কাজ করি না। সারাদিন আমাকে বকাঝকা করে। আমার জন্য নাকি সে শান্তি পায় না। বলছে তোমার স্বামীকে বল সে যেন আলাদা হয়। আমি অনেক বুঝাইছি যে মা আলাদা হব কেন? আমি বেশি অন্যায় করছি।আমাকে ক্ষমা করুন।
কিন্তু সে আমাকে বলে দেখ তোমার নামে ছেলের কাছে বিচার দিব। হয় তোমরা থাকবে না হয় আমরা থাকব। তারপর আমাকে একটা চর মারে আর বলে আমি তোমার হাড়ি আলাদা করে দিব।
– কি মা এগুলা বলছে?
– শোন তুৃমি আমার অপমানে যদি কিছু না বল তাহলে দেখ আমি চলে যাব।
– আচ্ছা আমি দেখছি।

তখন উনাকে আমি বস করে রাখি তাই উনি আমার কথাই বিশ্বাস করে। আর কাউকে সহ্য করত না। আমার কথা মত উনি সব করত।
★★★

আমার থেকে কোনো মেয়ে এভাবে চলে যেতে পারে নি লিমা তুমি আমার কাছে আসবেই। একদিনের জন্য হলেও আমি তোমাকে আমার কাছে আনব। তোমাকে কখনো সুখে থাকতে দিব না।
তোমাকে সুখে থাকতে ভুতে কিলায় লিমা। কেনো আমার সাথে যোগাযোগ করলে? নিজেকে শেষ করার জন্য? এতদিন একদিনের জন্য তোমাকে আমার কাছে আসতে বল্লাম তুমি আসলে না।
তুমি তোমার ছেলে স্বামী নিয়ে সুখে থাকতে চাও। আর আমার সাথেও যোগাযোগ রাখবে বন্ধুর মত।
বন্ধু????? হা হা হা( শয়তানি হাসি দিয়ে)

লিমা তুমি তোমার স্বামীকে বস কর। তোমার টাকা দিয়ে আমি আমি তোমাকে বস করব। সব কিছু কেরে নিব তোমার সব কিছু।

– বাবা আপনি আমাকে এমন একটা তাবিজ দেন যাতে লিমার স্বামী লিমার সব কথা শুনে। আর ওর শ্বশুর বাড়ির সবাইকে যেন অপছন্দ করে।
আর লিমা যেন আমার বসে থাকে লিমাকে আমি যা বলব ও যেন তাই করে।
– আচ্ছা,,, এই নে তোর তাবিজ। একটা লিমার হাতে দিতে বলবি। আর অন্যটা লিমার স্বামীর।
– কিন্তু বাবা
– কিন্তু কি?
– বাবা লিমা বলছে ওর স্বামী নাকি কোনো তাবিজ দিতে দেয় না। তাবিজ দেওয়া নাকি শির্ক। তাই অন্যভাবে দিতে বলছে। ওর স্বামী কখনোই তাবিজ দিবে না।
– আচ্ছা তাহলে ঐ তাবিজটা ওর স্বামী যে বালিসে ঘুমায় সেই বালিসে মধ্যে ভরে রাখতে বলবি। আর একটা তাবিজ দিচ্ছি প্রতিদিন সরবতের সাথে এটা একবার ভিজাতে বলবি।

তুহিন লিমা আর ওর স্বামী দুজনকেই বস করার জন্য তাবিজ দেয়।
★★★

– তুমি তাদের বলবে হাড়ি আলাদা হবে। আর বলবে তুমি এখন থেকে তাদের মাসিক টাকা দিবা আর কোনো বাজার দিবা না।
– আচ্ছা।
– আচ্ছা না এখনি যাও।
জায়েদ গিয়ে মায়ের ঘরে দাড়ায়।তুমি যা চাইছিলে তাই হবে। কাল থেকে হাড়ি আলাদা হবে
আর আমি মাসে মাসে তোমাদের টাকা দিব। কোনো বাজার দিতে পারব না।
– এগুলো কি বলিস বড় খোকা?
– যা বলছে শুনতে পেয়েছেন নিশ্চয়ই (লিমা)
-তুমি আমার ছেলেকে দিয়ে এগুলো বলাচ্ছ? তোমার আমরা কি ক্ষতি করছি?
– হইছে হইছে মা তুমি লিমাকে কিছু বলবা না। লিমা যা বলে তাই ঠিক। আর কখনো লিমার সাথে খারাপ ব্যবহার করবে না। তাহলে একদম বাড়ি থেকে বেড় করে দিব।
– ভাইয়া মায়ের সাথে এ কেমন আচরন কর? (সাকিল)
– এহহ মা বাবার জন্য একদম দরদ উৎলে উঠছে যখন কামাই করে খাওয়াবি তারপর বলিস।
– শোন ভাইয়া বাবা এখনো যা রোজকার করে তাতে মনে হয় না তোর কামাই বাবা এখন প্রযন্ত খেয়েছে। আর বাবা শুনলে তোকেই বেড় করে দিব।
-কি এতত বড় সাহস?
জায়েদ সাকিলের গালে সজোরে একটা চর মারে।

তারপর আমি উনাকে নিয়ে চলে গেলাম আর বল্লাম আজকের পর আমার কথার উপরে কেউ কথা বলার চেষ্টা করবেন না।

এদিকে তুহিনের জন্য আমার মন অন্য রকম হয়ে যায় মনে হয় ও আমার সব। ও যা বলবে আমি তাই করতে পারি মরতে বল্লে এখানেই মরতে পারি।

– লিমা জান আমাকে কয়টা টাকা দিত পার?
– টাকা কেন দেব?
– দিবে কিনা বল?
– দিব কত টাকা লাগবে বিশ হাজার।
– কিভাবে আনব এত টাকা?
– তোমার স্বামীকে বল
– কেন বল্লেই কি দিবে?
– বলবে না দিলে একটু ধমক দিবে।
– আচ্ছা।
______

-শোন আমার কিছু টাকা লাগবে
– কত টাকা?
– ২০হাজার।
– এখন টাকা দিতে পারব না। এখন নতুন পন্য কিনব।
– তুই টাকা দিবি কিনা বল?

জায়েদ যেন ভয়ে কুকরে যায়।
– আচ্ছা কাল দিয়ে দিব।

এইতো কতত ভালো আমি তোমাকে সরবত বানিয়ে দেই।

তারপর তুহিন কে টাকা পাঠিয়ে দেই।

★★★

ওহ্হ টাকা কত ভাবে টাকা এই টাকা দিয়ে আমি ১ মাস আয়েস করে খেতে পারব।
তুহিন টাকা দিয়ে প্রতিদিন নেশায় আসক্ত হয়। ঘরে শুরু করে মদের আড্ডা।
খারাপের চরম পর্যায়ে চলে যায়।
★★★
তুহিনের চাহিদা বাড়তেই থাকে। তার উপর সংসারের অশান্তি প্রতিদিন আমি শুধু সবার সাথে ঝগড়া করতাম। আর তুহিনের সাথে কথা বলতাম ও যেমন বলত আমিও তেমন করতাম।
এভাবে তুহিন কে ৩ লক্ষ টাকা আস্তে আস্তে দিলাম।

আমার স্বামী কিছুই বলে না। যা বলি তাই শুনে এমন কি বাতরুমে গেলেও আমাকে বলে যেত।
,,,
সব আমার হুকুমে হত। আমার কাজ টাজ করতে আর ভালো লাগে না সংসারের প্রতি আমার মন উঠে গেল তারপর,,,,,,,,,,

চলবে

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে