Monday, October 6, 2025







বাড়ি"ধারাবাহিক গল্প"আজব প্রেমের কাহিনী part : 3

আজব প্রেমের কাহিনী part : 3

আজব প্রেমের কাহিনী
part : 3
writer : Mohona

নীড় গিয়ে মেরিনে সামনে দারালো। তাতে মেরিনের কি? ও তো কেদেই যাচ্ছে। নীড়ের ইচ্ছে করছে এই পিচ্চিটাকে কোলে বসিয়ে বুকে জরিয়ে আদর করে কান্না থামাতে।
নীড়: তুমি কাদছো কেন??
মেরিনের কোন উত্তর নেই।
নীড়: কি হলো কাদছো কেন? কেউ কি বকেছে?
মেরিন: আমাকে ওই মানুষটা মিষ্টি খেতে দেয়নি….. আম্মু…..???….
মেরিনের কন্ঠটাও মাতাল করা। নীড়ের নেশা ধরে গেলো।
নীড়: ককোন মানুষটা মিষ্টি খেতে দেয়নি?
মেরিন হাত দিয়ে দেখালো: ওই মানুষটা….. ???।
নীড়: তুমি কি মিষ্টি খাবে?
মেরিন: হামম। ???।
নীড়: তাহলে আমি তোমাকে কিনে খাওয়াই……
মেরিন সাথে সাথে কান্না থামিয়ে ১গাল হেসে
বলল: তুমি আমাকে মিষ্টি খেতে দিবে?????।।।
নীড় জবাব কি দিবে? মেরিনের মিষ্টি হাসি আর দুষ্টু চোখ চোখের ভেজা পাপড়ি দেখে ওর মন মস্তিষ্ক কাজ করা বন্ধ করে দিলো। গোলাপী চোখ দিয়ে যখন মেরিন নীড়ের দিকে তাকালো তখন যে নীড় heart attack করেনি তাই বেশি।

.

মেরিন: বলো না….. এই যে মানুষ বলোনা…..
ইমান গিয়ে নীড়কে চিমটি মারলো। নীড়ের হুশ ফিরলো।
নীড়: কি বলছিলে?
মেরিন: তুমি আমাকে মিষ্টি খাওয়াবে??????।
ইমান: শুধু ও না। আমরা সবাই কিনে খাওয়াবো।
মেরিন: সত্যি?????।
ইমান: হামম।
মেরিন: তোমরা ২টা মানুষনা খুব ভালো। ওই মানুষটার মতো না। আচ্ছা ওটা কি কালো মানুষ? ও তোমাদের মতো ভালোনা কেন???
নীড়: thank you….
মেরিন: তোমরাও thank you বলতে পারো আমাদের মতো??
নীড় মুচকি হেসে
বলল: হামম।
মেরিন: চলোনা চলোনা আমাকে মিষ্টি খাওয়াবে…..
আকাশ নীড়ের কানে
বলল: ওকে কোন মিষ্টি খাওয়াবি রে?? ছানার নাকি ভালোবাসার??????
মেরিন: ভালোবাসার মিষ্টি কেমন হয়?
আকাশ মনে মনে: এই যা শুনলো কি করে?
মেরিন: যাই হোক আমাকে মিষ্টি খাওয়াও না….. আমার ভীষন ক্ষুধা পেয়েছে।
আকাশ : সেতো খাওয়াবো। কিন্তু মিষ্টি পরী তোমার নামটা তো আগে বলো।
মেরিন:???। তোমরা জেনে গিয়েছো আমি পরী?? ???। এখন কী হবে??????
সবাই:???।
ইমান ফিসফিস করে
বলল: মনে হয় মেয়েটার নাম পরী। আর তাই এমন react করলো।
নীড়: ও লে লে লে কাদেনা। বলো তো তোমার নাম কি??????।
মেরিন: মেরিন……
নীড়: কি দারুন নাম চলো। মিষ্টি খাবে।
মেরিন: হ্যা চলো চলো। ???।

.

ওরা গিয়ে দেখলো যে দোকানে অনেক ভীর।
ইমান: মেরিন…. দেখো এখানে অনেক ভীর। অনেকক্ষন দারিয়ে থাকতে হবে। চলো ওই দোকানে যাই। ওখানে ভীর কম আছে।
মেরিন: না না আমি এখানেই খাবো।
ইমান: কিন্তু….
মেরিন:???।।
নীড়: এই এই কান্না করেনা।
নীড় মেরিনের চোখের পানি মুছে দিলো।
নীড়: তুমি এই দোকানেরই খাবে। ☺️☺️☺️।
ইমান: কিন্তু নীড়….
নীড়: money is money … সবাই কে এই দোকান থেকে চলে যাওয়ার জন্য ২হাজার টাকা করে দে।
মেরিন: টাকা কি??
সবাই:???।
রাব্বি: তুমি টাকা চিনো না?
মেরিন: না? টাকা কি কোনো মিষ্টির নাম? ???।
সূর্য: না.. ???…
মেরিন: তাহলে….
নীড়: পরে জেনে নিও আগে মিষ্টি খাওয়ার ব্যাবস্থা করি।
মেরিন: ok… ☺️☺️☺…

️নীড়ের plan কাজ হলো। সবাই চলে গেলো। তবে মিষ্টিও শেষ। মিষ্টি বানাতে হবে। তাই একটু বসতে হবে। ওরা বসে আছে।

.

নীড়: এখন বলো তো তুমি এখানে কিভাবে এসেছো?কেন এসেছো?
মেরিন: শাস্তি পেয়ে এসেছি এখানে।
নীড়: কিসের শাস্তি?
মেরিন: কোনো কিছুর না। জল্লাদটা কোনো কারন ছারাই আমাকে শাস্তি দেয়।
আকাশ : জল্লাদ কে?
নীড়: তোমার মা-বাবা কোথায়?
মেরিন: বাসায়….
ইমান: নীড়… মনে হয় হারিয়ে গেছে। আর মাথায়ও….
মেরিন: আর মাথায়ও কি??
ইমান: যাহ বাবা এটাও শুনলো কিভাবে?
মেরিন: কান দিয়ে… মানুষ কি অন্য কোথাও দিয়ে শোনে…..????…
নীড়: আচ্ছা মেরিন তোমার বাসা কোথায়?
মেরিন: যেখানে আম্মু আছে….
নীড়: আম্মু কোথায়?
মেরিন: যেখানে বাবা আছে।
নীড়: ২জনে কোথায়?
মেরিন: যেখানে আপু আছে।
নীড়: ওরা ৩জনই কোথায়?????
মেরিন:বাসায়।
আকাশ : বাসা কোথায়?
মেরিন: যেখানে আপু আম্মু বাবা আছে।
আকাশ ;আরে বইনা তোমার আপুআম্মু বাবা কোথায়? এই বাংলাদেশের কোন প্রান্তে ?
মেরিন: এখানের নাম বাংলাদেশ?
নীড়: হামম। এখন বলো বাংলাদেশের কোথায়?
মেরিন: ওরা তো বাংলাদেশে নেই।
সবাই: what???
আকাশ : বইনা… তোমার আম্মু বাবা পৃথিবীর কোন প্রান্তে আছে??
মেরিন: ওরা তো পৃথিবীতেই নেই।
সবাই বুঝলো যে মেরিনের মা-বাবা নেই। সবার খুব খারাপ লাগলো।
সবাই:???
নীড়: তুমি এখানে কেন এলে…..
মেরিন: আরে আমি বিয়ে পন্ড করেছি বলে জল্লাদ বাপ আমাকে শাস্তি দিয়ে এখানে এই পৃ…..
তখনই মিষ্টি চলে এলো।
মেরিন: মিষ্টি…. ???।। মেরিন পরে কথা বলবে । আগে খেয়ে নিক।
মেরিন মিষ্টি খেতে লাগলো।
নীড়: তুমি খাও আমরা আসছি।
নীড়ের কথা ওর কানে যায়নি। নীড়রা বাইরে গেলো।

.

ইমান: দেখে তো বড় ঘরের মেয়ে মনে হচ্ছে।
সূর্য : মা-বাবা মারা গেছে।
রাব্বি: অন্য কোনো আত্মীয় may be জোর করে বিয়ে দিচ্ছিলো।
আকাশ : মাথায়ও গন্ডগোল আছে।
ইমান: হয়তো এর পেছনেও কেউ দায়ী…..
নীড় কোনো কথা বলছেনা।
রাব্বি: কি রে নীড় কথা বলছিস না কেন?
আকাশ : ও আর কি বলবে…. জীবনের প্রথম কাউকে দেখে দিওয়ানা হলো….. অথচ সে পাগল….
নীড় বাঘের মতো আকাশের দিকে তাকালো।
আকাশ : ???
নীড়: ভেবে চিন্তে কথা বলবি।
আকাশ : তোর চোখ তো মনে হচ্ছে ওই মেয়েটার ওপর আটকে গেছে।
নীড়: গেছে। তো?
আকাশ : তো প্রেম করবি। বিয়ে করবি।
নীড়: shut up… আরে মেয়েটা কে প্রথম দেখলাম এখন। কি জানি ওর সম্পর্কে? সত্যি বলছে না মিথ্যা বলছে… নাকি অবুঝ হওয়ার drama করছে…
ইমান: but দোস্ত ১জন psychiatrist হয়ে কিন্তু ওক চোখ দেখে আমার মনে হয়না ।
নীড়: মনে তো আমারও হয়না। আমি তো কেবল নীড় না রে… নীড় আহমেদ চৌধুরী বর্ষন। joint family আমাদের। কিভাবে…
ইমান: আচ্ছা সব পরে দেখা যাবে। এখন দেখি ভেতরে মেয়েটা কি করছে।
নীড়: চল।
ওরা ভেতরে গিয়ে দেখলো যে দোকানীর মিষ্টি বানানোর দুধ, ছানা, তেল সব শেষ।
দোকানি: এ কোন রাক্ষস … এতো মিষ্টি কিভাবে খায়?
নীড়: shut up…. বিল কতো সেটা বলো…
দোকানী: ১৫ হাজার টাকা।
সবাই:???।
আকাশ : এতোটুকু পেটে এতো মিষ্টি জায়গা কোথায় হলো???
ইমান: মেয়েটা কোথায়?
দোকানী: ওই যে….

.

ওরা ঘুরে দেখলো যে মেরিন মতো লাফাতে লাফাতে ১ পা ১পা করে সামনে বারছে। তাও নিজের জামা ধরে। ওরা টাকা দিয়ে মেরিনের সামনে গিয়ে দারালো।
মেরিন চমকে উঠলো।
মেরিন: oh.. hi…. আপনারা কোথায় গায়েব হয়ে গিয়েছিলেন… ? আমার আপনাদের thank you বলার ছিলো। আপনাদেরকে এত্তোগুলা thank you……
নীড়: most welcome ….. না বলে চলে এলে কেন?
মেরিন: আপনাকে বলে আসতে হবে কেন?
নীড়: নূন্যতম কৃতজ্ঞতাবোধ তোমার মধ্যে নেই????
মেরিন: thank you তো বললাম।
নীড়: ত….
ইমান:আচ্ছা তোমার full name কি?
মেরিন: মেরিন।
নীড়: আগে পিছে কিছু নেই…..
মেরিন পিছে ঘুরলো। এরপর আবার সামনে ঘুরলো।
মেরিন: পিছে তো কিছু নেই। সামনে আপনারা দারিয়ে আছেন। ☺️☺️☺️
সবার অজ্ঞান হওয়ার অবস্থা।
মেরিন: কি হলো আপনাদের?
আকাশ : কিছুনা।??। তুমি এসেছো কোন দিক থেকে!!
মেরিন আকাশের দিকে আঙ্গুল তুলে ইশারা করে
বলল: ওপর থেকে।
নীড়: মানে?
মেরিন: মানে হ….
মনে মনে: oh my প্রিয় আল্লাহ এদেরকে তো জানানো যাবেনা যে আমি পরী…..
নীড়: বলো….
মেরিন:পারবোনা। top secret … bye….
আকাশ : আরে তুমি আমাদের টাকায় খেয়ে আমাদেরকেই top secret দেখাচ্ছো….. ??।
মেরিন: টাকা কি সেটাতো বলবেন mr. হাতির হালুয়া।
আকাশ : কি বললা তুমি….???।
মেরিন: huh…..
আকাশ টাকা বের করে
বলল: এই দেখো এটা হলো টাকা।
মেরিন: এটা তো কাগজ।
আকাশ : এটাকেই বলে টাকা…..
মেরিন মনে মনে: উফফ এরা টাকা টাকা করে মাথা খেয়ে ফেলল। এটা দিয়ে করেটা কি????। ও হ্যা আপুনা কিছ important তথ্য আমার মাথায় ঢুকিয়েছিলো। দেখি সেখানে কিছু পাই কিনা something টাকা টাকা ।
মেরিন চোখ বন্ধ করে খুজতে লাগলো।
নীড়: এই যে hello… এই মেয়ে….
মেরিন:…..
নীড়: এই মেয়ে…
মেরিন চোখ খুলে
বলল: shut up…. বিড়ালের মতো কা কা করছেন কেন?????

বলেই আবার চোখ বন্ধ করে ফেলল। অবশেষে টাকা কি জানতে পারলো। মেরিন চোখ খুলল।
সবাই:???।
মেরিন: হামম। জানি জানি টাকা কি আর ভাষন দিতে হবেনা। ওই কটা টাকা দিয়েছেন বলে এতো কথা শোনাচ্ছেন তো…. খোটা দিচ্ছেন। দারান এখনই আপনাদের টাকা দিয়ে দিচ্ছি। আমার bag কোথায় গেলো রে….
মেরিন দেখলো ওর bag নেই।
মেরিন: oh my প্রিয় আল্লাহ….. আমি যে কালকে bag ভরেছিলাম সেটা কোথায়? জল্লাদটা রেখে দেয়নি তো….. ???।
সূর্য: এই মেয়েটা মনে হচ্ছে fraud রে নীড় …..
মেরিন: কি? এতো সাহস????। দারাও।
মেরিন দোকানের পিছে গেলো।

মেরিন: কি বলেছিলো…. money is money …টাকা is টাকা। এখনই তোকে money দেখাচ্ছি।

✨??

এখনই এতোগুলো টাকা মানে money চলে আসো যেগুলো আমি ওই ৫জন মানুষকে দিতে পারি।

ইলি গিলি ফুস।

✨??

.

টাকা এলো। কিন্তু বাংলাদেশের টাকা না। US Dollar …..
মেরিন: বাহ পৃথিবীতে তো দেখি আমার জাদু কাজ করছে। ☺☺☺
মেরিন নিয়ে গেলো।
মেরিন: আপনাদের মধ্যে কে মিষ্টির টাকা দিয়েছে। এই কালো যে মানুষ (নীড়কে বলল। কারন নীড় কালো shirt পরেছে।) আপনি দিয়েছেন? নাকি নীল মানুষ আপনি? ( ইমান) নাকি হাতির হালুয়া আপনি?(আকাশ )।
সবাই:…..
মেরিন: কালো মানুষ আপনিই ডাক দিয়েছিলেন।
মেরিন নীড়ের হাত তুলে ডলারের bundle টা নীড়ের হাতে দিয়ে
বলল: আমি জানিনা কতো টাকা দাম। যা দিয়েছেন তা নিয়ে বাকীগুলো দিয়ে যা মন চায় করবেন। huh…
বলেই মেরিন চলে গেলো।
সবাই:???

.

আকাশ : এ তো দেখি us 100 dollar এর bundle …. ১৫ হাজার টাকার বদলে সাড়ে ৮লাখ টাকা?? ??।
ইমান: মেয়েটা মনে হয় তাহলে USA থাকে।
নীড়ের তো কোনো তাল নেই। মেরিন কতো টাকা দিয়েছে না ডলার দিয়েছে তা ও জানেনা। ও তো জমে গেছে। কারন মেরিন ওর হাত ধরেছে।
মেরিনের হাত যে গোলাপের মতো কোমল।
ইমান: এই নীড়…. নীড়….
নীড়: হামম।
ইমান: কি ভাবছিস…..
নীড়: হামম।
আকাশ : এভাবে ডাকলে হবেনা।
নী……..ড়??? ।
নীড়:উফ চেচাচ্ছিস কেন?
আকাশ : see….
নীড়: মেয়েটা কোথায় গেলো?
রাব্বি: don’t know …
নীড়: চোখ কি যার যার gf এর কাছে রেখে এসেছিস???। চল খুজি…..
সবাই খুজতে লাগলো। কিন্তু পেলোনা।

.

ওদিকে…..
মেরিন: কতো সুন্দর জায়গা। একটু ঘুরে দেখি।
মেরিন আনমনে হাটছে। হাটতে হাটতে ১টা কুকুরের লেজে পারা দিলো।
মেরিন: আআআ….. ভাগ মেরিন ভাগ….
মেরিন তো দে দৌড়। ওর পিছে পিছে কুকুর।

মেরিন:

✨??

এই কুুকুরটা এখনই দুর হয়ে যাক।
ইলি গিলি ফুস।

✨??

মেরিনের জাদুতে ওই কুকুরটা গায়েব হলেও অন্য ৫টা কুুকুর ওকে তারা করলো।

মেরিন দৌড়ে গিয়ে ১টা jeep এ উঠে বসলো। লুকিয়ে রইলো। বসে বসে ঘুমিয়ে পরলো। আর jeepটা হলো নীড়ের।

.

মেরিনকে খুজে খুজে হয়রান হয়ে বন্ধুরা jeep এর কাছে গেলো। সাবার আগে আকাশ গিয়ে উঠলো।
আকাশ : আআ….
সবাই দৌড়ে গেলো।
ইমান: কি হলো?
আকাশ : এই দেখ…..
সবাই তাকিয়ে দেখলো মেরিন….. ঘুমিয়ে আছে। অপরূপ সুন্দর লাগছে…….

.

২৪ঘন্টাপর……
মেরিন এখনো ঘুমিয়েই আছে। আর এই ২৪ ঘন্টায় প্রায় ২২ ঘন্টাই ঘুমন্ত মেরিনকে জানালা দিয়ে দেখেছে নীড়। কিছুক্ষন ধরে ঘুম ঘুম ভাব।
রাব্বি: এই মেয়েটা উঠছে না কেন?
আকাশ : গিয়ে দেখা দরকার মরে টরে গেলো নাকি????
নীড়:??।
আকাশ : ??।
ইমান: আমাদের সাথে ১টা মেয়ে থাকলে ভালো হতো….
তখন ওরা শুনতে পেলো। …..
মেরিন: আম্মু….. আপু…..
আম্মু….. আপু…..
আমার ক্ষুধা লেগেছে মিষ্টি পাঠাও……
মেরিনের গলা শুনে ৫জন দরজার ওখানে গেলো। ১টা মেয়ের রুমে হুট করে ঢুকতেও পারেনা।

.

তবে ঢুকতে বাধ্য হলো। আর ঢুকে দেখে মেরিন চোখ বন্ধ করে চেচাচ্ছে। ওরা কি করবে ভেবে না পেয়ে মাথা চুলকাচ্ছে। তখন মেরিন চোখ মেলল। উঠে বসলো। চোখের সামনে নীড়দের দেখলো। আর দেখে…..
মেরিন: আআআ……
মেরিনের চিল্লানিতে পুরা বাড়িতে ভূমিকম্প বয়ে গেলো।
নীড়: shut up……
মেরিন:??। তততোমরা কারা? কালিরাজ্যের? দেখো আমাকে কিছু বলোনা। জল্লাদ কে বলো। আমি বাসায় যাই। ok bye…..
নীড়: তুমি কি completely পাগল?
মেরিন: huh….. আচ্ছা প….
মনে মনে: oh no আমি না পৃথিবীতে।
নীড়:এই মেয়ে কি ভাবছো?
মেরিন: আপনাকে বলবো কেন? সরেন তো সরেন আমাকে যেতে দিন।
নীড়: কোথায় যাবে তুমি?
মেরিন: যেখানে সুন্দর লাগবে সেখানে যাবো।
নীড়: মানে?
মেরিন: জানিনা।
নীড়: তুমি এখান থেকে যেতে পারোনা।
মেরিন: ইশ॥ আমি তো যাবোই।
নীড়: যেতে পারবেনা।
মেরিন: আমি কিন্তু দৌড় দিবো।
আকাশ: আমাদের সাথে দৌড়ে পারবে?????। we r athlete ….
মেরিন: তাতে আমার বাপের কি….
বলেই মেরিন দিলো দৌড়। ওর পিছে পিছে ওরাও দৌড় মারলো। কিন্তু পরীর সাথে কি আর মানুষ দৌড়ে পারবে? মেরিন অনেক দূরে চলে গেলো।
৫ জন হাপাচ্ছে।
সূর্য: একি মেয়ে নাকি নিনজা? এতো জোরে দৌড়াতে পারে?
ইমান: shocking yaar…

.

ওদিকে….
মেরিন:huh…. আমাকে ধরতে আসছে।
তখনই মেরিন দেখলো আবার কুকুর। মেরিন উল্টা দিকে দে দৌড়।
মেরিন: আম্মু গো বাচাও গো…..
হঠাৎ কারো চিল্লানো শুনে নীড়রা পিছে ঘুরলো। ঘুরে দেখে মেরিন দৌড়ে আসছে।
আর দৌড়ে এসে নীড়কে খপ করে জরিয়ে ধরলো।
সবাই:??????। নীড়ের মনে হলো যে ওকে কেউ ৪৪০V ঝটকা দিলো।
মেরিন: বাচান বাচান…. কুকুর কুকুর…..
নীড়ের জন্য সময় থেমে গেছে। আর নীড়কে জরিয়ে ধরে মেরিনের ভয়ও কমে গেছে।
বন্ধুরা দুষ্টুমি করে অনেক গুলো ছবি তুলল।

.

মেরিন: বববাচান….. কুকুর…..
নীড়: হামম।
মেরিন: চলে গেছে….
নীড়: হামম।
মেরিন একটু খানি চোখ খুলে দেখলো কুকুর নেই। মেরিন নীড়কে ছেরে দিলো। কিন্তু নীড় তো মেরিনকে ধরে রেখেছে।
মেরিন: ছারুন আমাকে…..
নীড়:হামম…
মেরিন: আরে…..
মেরিন নীড়কে ধাক্কা দিলো। নীড় সরে গেলো।
মেরিন:???
নীড়: আমার help নিয়ে বারবার আমাকেই চোখ রাঙানো???
মেরিন: তো?
নীড়: তখন দৌড়ে পালালে কেন?
মেরিন: আমার ইচ্ছা…..
ইমান: তুমি কোথায় যাবে এখন?
মেরিন: যে জায়গা সুন্দর সেখানে যাবো।আমাকে কেবল আপনারা নামটা বলুন।
ইমান: নাম বললেই লাগে একা একা যেতে পারবে…???
মেরিন: খুব পারবো।
নীড়: shut up just shut up… ok? তুমি এখন আমাদের সাথে police station এ যাবে।
মেরিন: police কি?
নীড়: চুপ।
আকাশ : ওই এতো রাতে মেয়েটাকে police station এ নেয়া ঠিক হবেনা রে….
নীড়: হামম। শোনো তুমি এখন আমাদের সাথে যাবে।
মেরিন:অ্যাহ বললেই হলো। ছারুন আমার হাত।
নীড়: পারলে ছারিয়ে নাও।
মেরিন:???
মনে মনে:

✨??

এই মানুষটার হাত থেকে এখনই আমার হাত ছুটে যাক।
ইলি গিলি ফুস

✨??

জাদু করতেই নীড় আরো শক্ত করে মেরিনের হাত ধরলো। মেরিন ছারাতেই পারলোনা।

.

নীড়: বাহুবলি গিরি শেষ? এখন চলো আমাদের সাথে।
নীড় মেরিনকে টানতে লাগলো। কিন্তু মেরিনকে ১চুলও নারাতে পারলোনা। শেষে নীড় মেরিনকে কোলে তুলে নিলো।
মেরিন:???।
নীড়: হাসো কেন?
মেরিন: মনে হচ্ছে আপনি আমার বাবা।
সাথে সাথে নীড় থেমে গেলো।
আর বন্ধুরা হাসতে লাগলো।
মেরিন: ছোটবেলায় বাবার কোলে উঠতাম।
নীড়:shut up…..
মেরিন মনে মনে:এই লোক তো দেখি সত্যি জল্লাদ বাপের মতো। দারা দেখাচ্ছি মজা।
কতোক্ষন হাটতে পারিস আমিও দেখবো।

✨??

এর আমাকে কোলে নেয়ার খুব শখ। তাই আমাকে কোলে নিয়ে হাটার পথ যেন অনেক দেরি করে শেষ হয়।
ইলি গিলি ফুস।

✨??….

.

সেই কখন থেকে নীড় মেরিনের মুখের দিকে তাকিয়ে হেটেই যাচ্ছে। বন্ধুরা আগে ছিলো। নীড়-মেরিন পিছে ছিলো। হঠাৎ নীড় সামনে তাকালো। দেখলো চারদিকে ফসলের ক্ষেত আর ফসলের ক্ষেত।
নীড়: oh my god….. আমরা এখানে কিভাবে?
নীড় তাকিয়ে দেখলো যে ও খুব চিকন পথের ওপর দারিয়ে আছে।
মেরিন: wow কি সুন্দর । সব সবুজ সবুজ। এই আমাকে নামান না।
নীড় ভেবে দেখলো যে এতো সরু পথে এই মেয়ে গাউন পরে হাটবে কি করে? তাই মেরিন কোলে থেকে নামালো না। কোলে নিয়েই হাটতে লাগলো। যদি কোনো জমি পাহারাদারের চালা পাওয়া যায়?
মেরিন: একি নামান আমাকে।
নীড়: আরেকটা কথা বললে ঐ নোংরা কাদা পানিতে ফেলে দিবো।
মেরিন নিচে তাকিয়ে দেখলো কাদা পানি। মেরিন একদম নোংরা সহ্য করতে পারেনা। তাই চুপচাপ রইলো। হাটতে হাটতে নীড় ১টা পাহারাদারের চালা পেয়েই গেলো। স্বামী-স্ত্রী পরিচয় দিয়ে ওখানে আশ্রয় নিলো।

.

সকালে…..
নীড়ের ঘুম ভাঙলো। দেখলো…..

.

চলবে…….

পূর্ববর্তী নিবন্ধ
পরবর্তী নিবন্ধ
গল্প পোকা
গল্প পোকাhttps://golpopoka.com
গল্পপোকা ডট কম -এ আপনাকে স্বাগতম......
RELATED ARTICLES

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে

- Advertisment -

Most Popular

Recent Comments

Md masrur Hasan mahi على অবুঝ_বউ পার্ট: ৫
আমিনুল ইসলাম على প্রয়োজন পর্ব: ৩০ ( অন্তিম)
সাজিবুল ইসলাম على ধর্ষিতাবউ২ ৯ তথা শেষ পর্ব
শাহিদুল ইসলাম على জীবন সঙ্গী ১ম পার্ট
শাহিদুল ইসলাম على জীবন সঙ্গী ১ম পার্ট
Nita Sarkar على স্বপ্নীল ৬৮
শিয়াসা ইসলাম হুরিজিহান على রহস্য শেষ_পর্ব
শিয়াসা ইসলাম হুরিজিহান على অলক্ষ্যে তুমি পর্ব-০৬ এবং শেষ পর্ব
Nazmun Nahar Akhi على Psycho_is_back? part_7
Nazmun Nahar Akhi على Dangerous_Villian_Lover part 2
শিয়াসা ইসলাম হুরিজিহান على জানালার ওপারে পর্ব-১৭ এবং শেষ পর্ব
শিয়াসা ইসলাম হুরিজিহান على লীলা বোর্ডিং ১২১৫ পর্ব-১১ এবং শেষ পর্ব
মিজানুর রহমান রাহুল على সেই তুমি পর্ব-০১
@feelings على প্রহেলিকা
Anamika Basu على সে পর্ব-১২
Anamika Basu على সে পর্ব-১২
Nusrat jahan على coffee & vanilla Part-10
Pallabi Roy على স্বপ্নীল ৬৮
M.D Mahabub على The_Villain_Lover Part_2
Labani sarkar على Dangerous_Villain_Lover part 23
MD Akas Apc على বিবেক
Tanisha Ahmed على Devil love part-18 
Aius Barmon shorob على নারীর দেহকে নয়
Chandan roy على স্বপ্নীল ৬৮
Chandan roy على স্বপ্নীল ৬৮
Riya Biswas على তুমি রবে ৬০
Priya Banerjee على devil love married life last part
Riya Biswas على তুমি রবে ৬০
Riya Biswas على তুমি রবে ৫২
Mohammad Adib على তুমি রবে ৬০
Avni Ayesha على তুমি রবে ২৮
গল্প পোকা على Love At 1st Sight Season 3 Part – 69
সুমিত على তুমি রবে ২৮
TANJIBA ZENIFAR على তুমি রবে ৫০
TANJIBA ZENIFAR على তুমি রবে ৫০
Samiah Begum على তুমি রবে ৫১
biddut das rocky على নর নারী
গল্প পোকা على নষ্ট গলি শেষ পর্ব
Md Jobayer Hossain Shohag على নষ্ট গলি পর্ব-৩০
গল্প পোকা على দুই অলসের সংসার
গল্প পোকা على মন ফড়িং ❤৪২.
A.J.S Rakib على মন ফড়িং ❤৪২.
গল্প পোকা على গল্পঃ ভয়
গল্প পোকা على গল্পঃ ভয়
গল্প পোকা على গল্পঃ ভয়
Samiya noor على গল্পঃ ভয়
Sadikul على গল্পঃ ভয়
Samia Islam على গল্পঃ ভয়
শূন্য মায়া على মন ফড়িং ❤ ৪০.
Sutapa biswas على মন ফড়িং ❤৩৯.
Foysal Mahmud على My_Mafia_Boss_Husband Part: 16
sutapa biswas على মন ফড়িং ❤ ৩৮.
sutapa biswas على মন ফড়িং ❤ ৩৭
Foysal Mahmud على My_Mafia_Boss_Husband Part: 16
Siyam على বিবেক
Sudipto Guchhait على My_Mafia_Boss পর্ব-৯
saptami karmakar على devil love married life last part
saptami karmakar على devil love married life last part
মায়া على মন ফড়িং ৩০.
মায়া على মন ফড়িং ৩০.
মায়া على মন ফড়িং ২৬.
Shreyashi Dutta على  বিয়ে part 1
Sandipan Biswas على  বিয়ে part 1
Paramita Bhattacharyya على অনুরাগ শেষ পর্ব
জামিয়া পারভীন তানি على নষ্ট গলি পর্ব-৩০
মায়া على মন ফড়িং  ২২
সুরিয়া মিম على খেলাঘর /পর্ব-৪২
গল্প পোকা على মন ফড়িং ২১
গল্প পোকা على নষ্ট গলি পর্ব-৩০
গল্প পোকা على Love At 1st Sight Season 3 Part – 69
গল্প পোকা على Love At 1st Sight Season 3 Part – 69
গল্প পোকা على খেলাঘর /পর্ব-৪২
Sahin ssb على মন ফড়িং ২১
মায়া على মন ফড়িং ২১
মায়া على মন ফড়িং ❤ ২০.
গল্প পোকা على মন ফড়িং ❤ ২০.
গল্প পোকা على খেলাঘর /পর্ব-৪২
গল্প পোকা على খেলাঘর /পর্ব-৪২
মায়া على মন ফড়িং ❤ ১৮. 
মায়া على মন ফড়িং ❤ ১৭.
Jannatul Ferdous على খেলাঘর পর্ব-৩৫
গল্প পোকা على মন ফড়িং ❤ ১৬. 
গল্প পোকা على ফাল্গুনের_ফুল last_part_8
মায়া على মন ফড়িং ❤ ১৬. 
গল্প পোকা على ছাত্রী যখন বউ পাঠঃ ১
গল্প পোকা على বাজির প্রেম পাঠঃ ১
Foujia Khanom Parsha على মা… ?
HM Ashraful Islam على অবুঝ_বউ পার্ট: ৮
HM Ashraful Islam على অবুঝ_বউ পার্ট: ৫
Ibna Al Wadud Shovon على স্বার্থ