অ্ভুত-তিনি পার্টঃ06

0
2155

#অ্ভুত-তিনি
পার্টঃ06
Megh La

-আপনি ডক্টর আকাশ না। (সাব্বির)।
-জী কিন্তু আপনি কে?
-চলুন আমার সাথে।
-আরে মিয়া বলা নাই কওয়া নাই কই যাবো।
সাব্বির আকাশের হাত ধরে নিয়ে যাচ্ছে।
-আরে ভাই কে আপনি কই নিচ্ছেন।
আরে, মহা বিপদ তো।
আকাশের কোন কথায় কান না শুনে আকাশকে নিয়ে এলো আমানের নিজের তৈরি দ্বিপএ যেখানে সে তার মেঘকে নিয়ে থাকে।সাব্বির তাড়াহুড়ো করে আাকাশের চোখ বাধতেই ভুলে গেছে।
আকাশ তো অবাক এটা সাধারন কোন যায়গা নয়। এটা একটা অসম্ভব সুন্দর দ্বিপ। যেটা আছে সমুদ্রের পরে দিপটা পুরোটার কোন জায়গায় কেউ এক টুকরো বা এক চিমটি ময়লা পাবে না। এখানে অনেক আলের সমাগম। চারিদিকে সমুদ্র, মধ্যে অবস্থান করছে দিপটি কোন রকম নরমাল মানুষের ছোয়া নাই চরিদিকে শুধু পাহারা৷ কড়া সিকিউরিটি। দিপটা কিছুটা নৌকা আকৃতির। অদ্ভুত সুন্দরর্য বহন করছে৷
মৌ মৌ সুন্দর সৌভাতে সজ্জিত। এ যেন এক স্বপ্নপুরি৷ তবে একটা জিনিস এখানে এতো আলো হটাৎ যে কোন মানুষের চোখে পড়লে তার চোখ নষ্ট হয়ে যাবে। আর সে চোখ সয়ং আমান ও ঠিক করতে পারবে না। এখানের আলোরও নিয়ম আছে। তাই আমান কখনো মেঘকে বাইরের জগৎ দেখতে দেয় নি।
আাকাশ এখানে পা দিয়ে বুঝতে পারছে এটা সাধরন জায়গা নয়৷ ঘবলা আছে। মানুষ গুলো আসলে মানুষ নয়৷ অন্য কিছু।
(আকাশ এক জন ডক্টর পেশায় কিন্তু তার ভেতরে অদ্ভুত কিছু শক্তি আছে যার কারনে সে বুঝতে পারছে আবছা আবছা।)
আকাশকে ভেতরে নিয়ে আসে সাব্বির।
-ডক্টর. আমাশ। একটি কথা মনে রাখবেন আপনি এখানে একটা পেশেন্ট কে দেখতে আসছেন। আপনি তাকে চুপচাপ ট্রিটমেন্ট দিবেন৷ তার পর চলে জাবেন আর হ্যা, একটা কথা জাকে আপনি ট্রিটমেন্ট দিতে চলেছেন ভুলেও তার সামনে তুলবেন না এখানে এসে আপনি কি দেখেছেন। আমরা ১ কথা ২ বার বলি না। আসলে ২ বার সোনর জন্য কেউ বেঁচে থাকে না।
আকাশ মাথা নিচু করে মুচকি হেসে চললো সাব্বিরের সাথে।
আমানের রুমে এসে আাকাশ আমানের দিকে তাকাতে ওদের চোখা চোখি হলো। আকাশ কিছু একটার আভাস পাচ্ছে প্রায় ২ মিনিট ওদের দুজনের চোখ দুজনের দিকে স্থির রয়েছে। জেন জনম জনম ধরে দুজন দুকনকে চিনে বন্ধু নয় এ চাহনি শত্রুতার পূর্বাভাস।
-কিরে তোদের শুভদৃষ্টি হলে মেঘকে দেখতে দিবি।
সাব্বিরের কথায় দুজনি সংযত হয়।
-অপ্রতাশিত দেখা আমাদের এ দেখা না হওটাই ভালে ছিলো।আপনার জন্য মি.আমান। (আাকাশ মনে মনে)
আকাশ মেঘকে চেক করে।
-ওনার তো ব্লাড গেছে আমি ব্যান্ডেজ করে দিচ্ছি৷ ঔষধ খাইয়ে দিবেন ইংসাল্লাহ ঠিক হয়ে যাবে।
-আপনি আমার মেঘকে ছুবেন না (আমান)
-না ছুলে ব্যান্ডেজ বাধবো কি করে?
-আমান প্লিজ ওনাকে ওনার কাজ করতে দে মেঘের জীবনের প্রশ্ন।
আমান চুপ হয়ে যায়৷ কারন মেঘকে হারালে সে বাচবে না।
আকাশ মেঘের রক্ত পরিস্কার কারার পর তার মুখটা ভালো করে দেখে, কি মায়াবি মুখটা, এই রকম একটা ফুটফুটে মেয়ে এভাবে এদের কবলে পরলো কি করে৷ না ওকে আমাকে এখান থেকে বার করতে হবে, মনে মনে।
আকাশ এসব ভেবে মেঘকে ব্যান্ডজ করে দেয়। ঔষধ লিখে দেয়।
-আসা করা যায় রাতের মধ্যে সেন্স আসবে। এখন আমাকে আমার বাসায় পৌঁছে দিন আপনারা।
-তামিন তমিন,।(আমানের সহচারী)
-জী হুজুর।
-ওনাকে পৌছে দিন ওনার বাসায়।
দেখুন আমার মেঘকি পুরো ঠিক হবে।
-জী একটু সময় দিবেন। আমি আসি ।
আকাশ চলে যায়।
-সাব্বির আমি লোকটার মনের কথা শুনতে পারি নি কেমন খটকা লাগছে। (আমানের এটা একটা মায়াবি শক্তি সে মানুষের মনপর কথা বুঝতে পারে)
-ছাড় তো তুই ওকি আর এখানে আসতে পারবে নাকি তুই মেঘের খেয়াল রাখ আমি আসি।
সাব্বিরও চলে যায়।
দিন গড়িয়ে রাত হলো। আমান এখনো মেঘের পাশে বসে আছে।
হটাৎ মেঘ টিপ টিপ করে চোখ খুলছে,

আমার সেন্স আসতে পাশে ফিরে দেখি আমান। আমান, আমার ই সময়ের কথা মনে পরছে জখন মাথায় তিব্র ব্যাথা অনুভব করছিলাম তখন মনে হইছিলো মরে যাচ্ছি৷ কারোর মুখ ভাসে নি শুধু আমানের মায়া ভরা মুখটা ভাসছিলো।
আমি ওনাকে ডাক দি।,
-আমান।
তিনি আমার কাছে এসে হাতটা ধরে কপালে চুমু দেন।
-ঠিক আছো তুমি।
ওনার স্পর্শে ব্যাথা তো আছে কিন্তু আমার সব ব্যাথা ভুলে যাচ্ছি তাকে আমার জরিয়ে ধরে সারা জীবন কাটিয়ে দিতে মন চাইছে। এক মুহুর্তের জন্য মনে হচ্ছিল আমি সব হারিয়ে ফেলবো। তিনি আমার আরো কাছে চলে এলেন।
-ব্যাথা আছে?
-না। আমার পাশে শুধু আপনি থাকলে হবে। কিছু লাগবে না আমার (আমার কেন জানি না ওকে হারাবার ভয় হচ্ছে মনে হচ্ছে আমি আমানকে ছেড়ে দিলে ও চলে যাবে।)
হটাৎ তিনি আমার ঠোঁট গভীর চুমু দিলেন৷ আমার ব্যাথার অনুভব ভালেবাসার তলে কোথায় জেন হারিয়ে গেছে। তিনি এতটাই কাছে চলে এসেছেন। তার চাহনিতে নেশা স্পষ্ট। আমার সারা শরীর অবস হয়ে আসছে তার ছেয়া আরো গভীর হতে লাগলো। তিনি আমার সারির আচলটা সরিয়ে আমার বুকে নাক ডোবাতে আমার ব্যাথায় জান যায় যায় আবস্থা৷ নাহ আর পারছি না।
-আমার কষ্ট হচ্ছে ছাড়ুন আমাকে।
কি জানি আমার কথা তার কান ওবদি পৌঁছাচ্ছে কিনা সে তার নেশায় মক্ত।
-আমান কষ্ট হচ্ছে আমার৷
তার মনে হয় কোন কথায় হেল দুল নাই সে তার মতো মেতে আছে। আমার চোখ দিয়ে অঝরে পানি পরতে আছে তার প্রতিটা স্পর্শে আমার এতো ব্যাথা করছে শরীরের হাড্ডি আমার একটাও আস্ত নাই মনে হচ্ছে। এমন অবস্থায় আমি কিছু বলার শক্তি হরিয়ে ফেলেছি।
.

.
প্রায় ১ ঘন্টা পর তিনি হটাৎ আমার থেকে সরে আসলেন৷ হয়তে বুঝতে পেরোছেন কি করছিলেন তিনি। আমার চেখ দুটে বন্ধ আমি সহ্য করতে পারছিনা। কিন্তু সহ্য করতে হচ্ছে। আমি শুধু কেঁদেই চলেছি। মুখ দিয়ে একটা শব্দ বার করারা শক্তি নাই৷
-জান পখি ক্ষমা করো আমি বুঝতে পারি নি। এভাবে। আল্লাহ আমি এটা কি করলাম। তেমার অনেক কষ্ট হচ্ছে না৷ খুব কষ্ট হচ্ছে।
আমি কেন উত্তর দেবার মতো অবস্থাতে নাই এতো ব্যাথা সহ্য করেও আমার সেন্স যায় নি। ওনাকে কিছু বলতে পারছি না।৷
কিছুক্ষণ পর আমান কিছু সুরা পরাছে সুরা কিনা বুঝতে পারছি না৷ কিন্তু আরবি ভাষা । প্রায় ২০ মিনিট পর তিনি কিছু পরে আমার কপালে ফু দিলেন ৩ বার। আর নিজের হাতে, বুকে তিন বার। তখন আমি বাকশক্তি ফিরে পেলাম কিন্তু আমার শরীরের অসম্ভব ব্যাথা দুর হয় নি। । আমি কিছু বলতে যাবে তার আগে তিনি আমাকে বিছনার চাদরে মুরে ওয়াসরুমে এনে গেসল করিয়ে দিলেন। একটা সারি পরিয়ে দিলেন। আমাকে বিছনায় এনে সুইয়ে দিলেন৷
-আমি বুঝতে পারি নি এতে কষ্ট দিয়ে ফেলবো তোমায়। এটা খুব সহজে না সারলেও এব্যাথা খুব জলদি সেরে যাবে জান পাখি।
কি বলবো হয়তো তাকে অনেক বেশি ভালোবেসে ফেলেছি আমি। তাই এতো কষ্টের পরও তার কথায় আমি তাকে ক্ষমা করে দি৷ মনের মাঝে হাজারো প্রশ্ন কিন্তু শরীরের অসম্ভব ব্যাথার কাছে সব হর মানছে।
আমান আমার জন্য গরম দুধ নিয়ে এলেন আমাকে খাইয়ে দিলেন। অদ্ভুত ভাবে এসব স্পর্শ আমানের আমাকে কোন ব্যাথা দিচ্ছে না৷ কিন্তু আমি কোন প্রশ্ন করার মতে অস্থায় নাই।
দুধটা খাইয়ে তিনি আমাকে কেমন কেমন করে ঘুম পাড়িয়ে দিলেন।,
সকালে উঠে আমি এটা দেখার জন্য মোটেও প্রস্তুত ছিলাম না,
চলবে,
?

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে