#অবহেলা (পর্ব ০২)
#রনি_হাসান
.
.
.
আমাকে দেখে মা ভাবি এবং কি আমার ছোট বোন ফারিয়া আমাকে দেখে চলে গেলো…!আমি তো তাদের আচরণ দেখে অবাক। বুঝতে পারলাম আমার প্রতি রাগটা অনেকটাই রয়েছে। তাই কিছু বলে নিজের রুমে গেলাম। তারপর ভাইয়া আর ভাবির কথা শুনতে পেলাম
ভাইয়াঃএক্টু ভালো খাবারের ব্যবস্থা কর তো
ভাবিঃকেন..?
ভাইয়াঃকেন আবার কি ছোট অনেক দিন পর জেল থেকে বাড়িতে আসছে। তো তাকে ভালো মন্দ খাওয়াতে হবে না..?
ভাবিঃতোমার অই চরিত্রহীন ভাইয়ের জন্য কিছু করতে পারব না।
ভাইয়াঃকি বলছ তুমি ও শুনলে খুব মন খারাপ করবে
ভাবিঃশুনুক তাতে আমার কি
আমিঃভাইয়া আর ভাবির কথা শুনে আমার চোখের জল এমনি পড়ল। যে ভাবি একসময় অনেক আদর করত ছোট ভাই হিসাবে। আর আজ তার থেকে দ্বিগুণ ঘৃণা করে।
এখন পযন্ত কেউ খেতে বল্ল না। কিছুক্ষন পর দেখি ভাইয়া হোটেল থেকে খাবার নিয়ে আসছে
ভাইয়াঃধর নে
আমিঃহোটেলের খাবার কেন বাড়িতে কিছু রান্না হইনি(না জানার একটা ভাব করলাম)
ভাইয়াঃতুই এগুলো খা.. আমি দেখছি
আমিঃপুরোপুরি বুঝতে পারলাম সবাই আমাকে ঘিনা করে এর জন্য এড়িয়ে চলছে
রাতে
ভাইয়াঃরেডি হয়ে নে
আমিঃকেন…?
ভাইয়াঃযা বলছি তাই কর। আর এই পাঞ্জাবি টা পড়
আমিঃওকে
তারপর মিমিদের বাসায় নিয়ে গেলো
আমার বুঝতে আর বাকি নেই এখানে কেন আমাকে এনা হয়েছে। অবশেষে মিমিকে বিয়ে করতে হলো । বাড়িতে আসলাম
বাড়িতে সবাই মিমিকে পেয়ে অনেক খুশি
মাঃমিমি মা তুমি আমাকে নিজের মা ভাবতে পারো..!
মিমিঃকোনো কথা না বলে কান্না করছে
মাঃআমি জানি আমার ছেলে যা করেছে তা ক্ষমা পাওয়ার যোগ্য না।আর আজ থেকে তুমি আমার বউমা না আমার মেয়ে।
মিমিঃমা (বলে জড়িয়ে ধরল)
এভাবে সবার সাথে আন্তরিকতা বেরে গেলো কিন্তু আমার সাথে একটু ও মিলো না
বাসর ঘরে
আমিঃদেখলাম মিমি খাটে বসে রয়েছে।আর খাটে বসতেই
মিমিঃআপনি ভুলেও আমাকে টাস করবেন
আমিঃআচ্ছা ঠিক আছে।কিন্তু এত ভয় পাচ্ছ কেন
মিমিঃআপনার মতো পশুকে ভয় পাবো না তো কাকে পাবো।
আমিঃআমাকে ক্ষমা করে দাও মিমি…
মিমিঃএজীবনে আপনাকে ক্ষমা করব না
আমিঃতুমি যা বলবে তাই করব। বলো কি করতে হবে…?
মিমিঃআমার থেকে দূরে থাকলেই হবে
আমিঃআচ্ছা তাই করব
মিমিঃভুলেও এই খাটে আপনি আসবেন না।
আমিঃএখন তো আমি তোমার স্বামী থাকলে
থাকলে সমস্যা কি…?
মিমিঃআমি আপনাকে স্বামী মানি না।আর যাকে ঘিনা করি তার সাথে আর যাই হোক এক বিছানা থাকা যাই না
আমিঃতুমি যা বলবে তাই হবে।
সকালে দেখালাম মিমি আয়না সামনে দাড়িয়ে সাজছে তাই নিজে আর আটকাতে পারলাম না। মিমিকে গিয়ে জড়িয়ে ধরলাম
মিমিঃঠাসস
আমিঃগালে হাত মাথা নিচু করে দারিয়ে রইলাম
মিমিঃতোর বারন করছিলাম না।তারপরও
(মিমি চলে গেলো)
আমিঃভাবতেই পারিনি মিমি আমাকে থাপ্পড় মারবে।তারপর ফ্রেশ হয়ে খেতে গেলাম।
দেখলাম আমাকে ছাড়াই সবাই খেতে বসছে
আগে যখন না খেতাম একবার মা বলত তারপর ভাবি বলত সবারে শেষ এ ফারিয়া বলত। এখন তার উল্টোটা হচ্ছে
টেবিলে বসতেই সবাই খাবারে পানি ডেলে উঠে পড়ল
আমিঃতোমারা এভাবে খাবারে পানি ডালছো কেন
ফারিয়াঃকারন পরিবেশে নোংরা মানুষ প্রবেশ করলে সেখানে আর যাই হোক খাওয়া যাই না
আমিঃফারিয়া তুই ভুলে গেছিস আমি তোর ভাই
ফারিয়াঃচুপ তোর মুখে ভাই শব্দটা মানাই না
আমিঃফারিয়া তুই আমাকে ধমক দিয়ে কথা বলছিস। মা তোমার সামনে….
মাঃচুপ তোর মুখে মা ডাক মানাই না।আর আমি তোর মা না।
আমিঃতুমিও আমাকে দূরে তারিয়ে দিচ্ছ
মাঃএমন ছেলে থাকার চেয়ে না থাকা অনেক ভালো
আমিঃভাবি প্লিজ তুমি তাদের বুঝাও
ভাবিঃতোমাকে অনেক ভালো ভাবছিলাম কিন্তু এমন কান্ড করবে তা আমাদের জানা ছিল না। আমি এবিষয়ে কিছুই বলতে পারব না সরি
এখন সবার কাছে অবহেলা পাত্র হয়ে গেলাম।
.
.
.
চলবে……………..