স্বামীর অধিকার প্রথম পর্ব
লেখক/ ছোট ছেলে
~~~~~
Thank You সোনা আমাকে এতটা মজা দেওয়ার জন্য আমি তোমার থেকে প্রতিদিন এভাবে মজা নিবো
শার্ট পড়তে পড়তে বললাম রিমিকে
রিমি এলোমেলো হয়ে শুয়ে আছে আর শুয়ে শুয়ে কাঁদতেছে
না পারছে চিৎকার করতে আর না পারলো নিজেকে রক্ষা করতে
রিমি আমার বিয়ে করা বউ
বাঁসর রাতে তার চোখের জল আর স্বজন হারানো কষ্ট দেখে সে রাতে আমি রিমিকে স্পর্শও করিনি
কিন্তু কালরাতে তাকে আর ছাড়িনি
রিমি আয়ানার সামনে বসে বসে চুল আঁছড়ায়
আমি পিছন থেকে তাকে জড়িয়ে ধরি
রিমিকে জড়িয়ে ধরতে সে আমাকে অনেক কথা বললো অনেক কথা শোনালো
রিমি/ বিয়ে করেছেন বলে কি যখন যা ইচ্ছা তাই করবেন
আমি আপনার হাতের খেলনা নাকি যখন যেভাবে বলবেন আমি সেভাবে নাচবো
শোনেন এসব ভালোবাসা আমাকে একদম দেখাতে আসবেন না এসবের আমি ঘৃণা করি
রিমির কথা শুনে আমার মেজাজ খারাপ হয়ে যায়
আর তাই রিমিকে জোর করে বিছানায় নিয়ে যাই
মন ভরে আদর করি রিমিকে নিজেকে অনেক চেষ্টা করার পরও বাঁচাতে পারেনি
কাজ শেষ রিমির পাশে শুয়ে রইলাম
খুব ক্লান্ত লাগছে
আমি/ আরে এত কান্নার কি আছে তোমাকে তো আর কেউ স্পর্শ করেনি তোমার স্বামী তোমাকে আদর করছে
যা অন্য স্বামীরাও করে
রিমি/ স্বামী কে কার স্বামী আর কে কার বউ
আপনার মত একটা বাজে মানুষ আমার স্বামী ছিঃ
এটা আপনি কি করে ভাবলেন আপনাকে আমি স্বামী হিসেবে মেনে নিবো
আর কে বলেছে আপনি আমাকে আদর করেছেন
আপনিতো আমাকে ধর্ষণ করেছেন স্বামীর মুখোশ পরে
ভাবতেও আমার ঘৃণা হয় আপনার মত একটা ছোটলোক কুৎসিত নোংরা মনের মানুষ সমাজের চোখে আমার স্বামী
আমি তার মুখ চেপে ধরে বললাম
আমি/ চুপ একদম চুপ তুমি আমাকে স্বামী হিসেবে মানো আর নাই মানো তুমি রাজি থাকো আর না থাকো আমি এভাবে জোর করে স্বামীর অধিকার ছিনিয়ে নিবো
রিমি/ আপনার মত ছোটলোক গুলো এটা ছাড়া আর কি করতে পারে
আমি/ বুঝতে যখন পারলে তখন আর এত কথা কিসের
রিমি অন্যদিক ফিরে শুয়ে রইলো
রিমি অন্য আরেকটা ছেলেকে ভালোবাসে
আমি জানি তার মন প্রাণ দেহ জুড়ে ঐ ছেলেটা আছে
যার হাত পাঁ ভেঙ্গে দিয়ে পঙ্গু করে দিয়েছি
তাকে মেরে ফেলার ও ভয় দেখিয়েছি আমি রিমিকে যদি সে আমাকে বিয়ে করতে রাজি না হয়
এই বিয়েতে রিমির পরিবারের সবাই রাজি ছিলো শুধু রিমি ছাড়া
কিন্তু পরিবারের চাপে আর প্রিয় মানুষটাকে বাঁচানোর জন্য আমাকে বিয়ে করতে বাধ্য হয় রিমি
সকালে ঘুম ভাঙ্গতে দেখি রিমি পাশে নেই
ভাবলাম গোসলখানায় না সেখানেও নেই তারপর এ ঘর ও ঘর খুঁজে মরি কোথাও পাইনা
ছাদে দিয়ে দেখি রিমি এক কোণায় বসে আছে
আমি/ কি ব্যপার এখনও এখানে কি করছো একা একা
তোমাকে আমি সারা ঘর খুঁজে মরি
রিমি/ কেন খুঁজেন আমাকে এখনও কি আমাকে কিছু করার বাকি আছে নাকি আপনার
আমি/ হুমমমম অনেককিছু করার বাকি আছে তবে আমার নয় তোমার
রিমি/ মানে……
আমি/ মানে আবার কি দেখতে পাওনা তোমার স্বামী ঘুম থেকে উঠছে যাও গরম গরম এক কাপ চা বানিয়ে আনো
রিমি/ আপনাকে না বললাম স্বামী স্বামী করবেন না
আপনার মত একটা ছোটলোক কখনও আমার স্বামী হতে পারেনা
আর আমি চা বানাতে পারিনা
পারলেও একটা বাজে মানুষকে চা বানিয়ে খাওয়ানোর কোন ইচ্ছা আমার নাই
আমি/ জানলে নয় বলো পারিনা
আর না পারলে মানুষ এমনি বলে
যাও যাও চা বানাও নয়তো এখন…….
রিমি/ নয়তো এখন কি আর কি করার আছে নতুন করে
আমি/ নিজে বানিয়ে খেয়ে নিবো
হাঁসতে না চাইলেও রিমির মুখে তার অজান্তে হাঁসি চলে আসে
আমি রিমির হাত ধরে নিচে নিয়ে আসতেছি
রিমি/ এই কি করছেন কি করছেন এসব একদম ভালো হবেনা বলে দিচ্ছি হাত ছাড়ুন আমার
আমি রিমিকে রান্না ঘরে নিয়ে বললাম
আমি/ নাও চা বানাও আমি গোসল করে আসি
বেলুনের মত ফুলে আর মরিচের মত লাল হয়ে এক সাগর রাগ নিয়ে চুলায় আগুন দিলো
আমি তা দেখে গোসল করতে চলে যাই
গোসল করে এসে দেখি টেবিলের উপর চা আর বিস্কুট রাখা আছে
আমি দেরি না করে চায়ে চুমুক দিলাম
এক চুমুক খেতে মনে হয় কেউ আমার ভিতরে সব কেঁটে ফেলছে
বুঝতে আর বাকি নেই চিনির বদলে লবণ দিয়ে চা বানানো হয়েছে
আমি/ রিমি রিমি
চলবে…!!!