Monday, October 6, 2025







Love warning Part-26

#Love_warning❤️
#your_love_is_my_drug_addiction?
#Part_26
#ফারজানা
??

“হাহাহা”

“হাসছো কেন সামু আপু?”

“হাসছি এমনি। কেনো ভয় পাচ্ছো বুঝি?”

“নাহ ভয় পাওয়ার কি আছে? আসো আমরা কথা বলি”

“তোর সাথে কি কথা বলবো তুই তো আমার বড় শত্রু”

“কি বলছো কি আপু এইসব?”

“ঠিক বলছি তোর কারণে আজ অর্ণব আমার কাছে থেকেও দূরে। তুই আমাদের মাঝে তৃতীয় ব্যাক্তি। তোর জন্যই আজ অর্ণব আমার ভালোবাসা বুঝতে পারছে না”

“দেখো আপু ভালোবাসা কি কেউ কেড়ে নিতে পারে অর্ণব যদি তোমায় ভালোবাসতো তাহলে কোনোদিন আমি তার ভালোবাসার মানুষ হতে পারতাম না। হুম অর্ণব তোমায় ভালোবাসে কিন্তু সেই ভালোবাসা আর আমার অর্ণবের ভালোবাসা এক না”

“আমি এত কিছু বুঝি না আমি শুধু অর্ণবকেই চাই ব্যাস”

“অর্ণব যদি তোমায় ভালোবেসে তাহলে আমার কোনো প্রবলেম নাই। আমি তোমাদের আসবো না আর যদি অর্ণব আমাকে ভালোবাসে তাহলে আমার কিছু করার নাই”

“কিছু করা থাকুক আর না থাকুক অর্ণবকে তো আমার হতেই হবে এই জন্য যদি তোকে মারতে হয় তাতেও আমি দ্বিধা বোধ করবো না”

“তুমি কি পাগল হয়ে গেছো? এইসব যদি অর্ণব জানে তোমাকে ছেড়ে দিবে ভেবেছো?”

“অর্ণবকে জানালে তো ও জানবে। ওকে কিছু জানানোর আগেই তোকে আমার পথ থেকে সরে ফেলে দিবো”

“কি করবে তুমি?”

“তোমাকে এখন ধাক্কা মেরে ফেলে দিবো”

তিতি পিছনে যাচ্ছে সামু তিতির সামনে এগুচ্ছে। তিতি একদম জাহাজের রেলিং এ দাড়িয়ে। তিতি ভয়ে চোখ বন্ধ করতেই সামুর হাসির শব্দ শুনে তাকিয়ে দেখে সামু পেট ধরে হাসছে…..

“তুমি হাসছো কেনো?”

“আরেহ বোকা মেয়ে তোমার কান্ড দেখে হাসছি হাহাহা।”

“মানে?”

“মানে আমি এতক্ষন তোমার সাথে অভিনয় করেছিলাম আর তুমিও না কি সত্যি সত্যিই ভেবে বসে আছো হাহাহা”

“তুমি অভিনয় করছিলে?”

“হুম অভিনয় করছিলাম আর তোমায় পরীক্ষা করছিলাম তুমি কি সত্যিই আমার অর্ণবের উপযুক্ত কি-না”

“ওওও হাহাহা আমিও কিনা ভয় পেয়ে গেছিলাম। তো পরীক্ষা করে কি বুঝলে?”

“বুঝলাম তুমি আমার অর্ণবের জন্য পারফেক্ট একটা মেয়ে”

সামু তিতির গাল টেনে বললো।

“সত্যিই আপু তুমি কিন্তু বড় বড় হিরোইনের ফেল করে ফেলবে। তোমার এইগুলো যে নাটক আমি বুঝতেই পারিনি।”

“আমি নিজেই বুঝি না আর তুমি কিভাবে বুঝবে”

“হিহিহিহি। আসো রেলিং এর উপর বসি”

“নাহ যদি পরে যাই”

“পড়বে না আপু। আমিতো এইখানে অনেক বসেছি। আব্বু আম্মু তো অনেক বকেছে কিন্তু আমার ভালো লাগে এইখানে বসতে আসো বসো”

“নাহ বাবা পরে যাবো বসবো না”

“সমস্যা নাই আপু যদি পরে যাও তাহলে জাহাজের ভিতরেই পড়বে দেখো নিচে হলো সেকেন্ড ক্লাস কেবিন। আর যদি কেউ জোরে ধাক্কা মারে তাহলে পানিতে পড়বে আর কন্ট্রোল হারিয়ে পড়লে নিচেই পড়বে সমস্যা নাই”

“তুমি কি সিউর ধাক্কা মারলে পানিতে পড়বে তার আগে নয়?”

“হুম আমি সিউর হয়েই বলছি”

“হুম চলো তাহলে বসি”

তিতি কথা বলতে বলতে রেলিং এর বসে পড়লো আর সামু ভাবছে…….

“বোকা তিতি এখন যদি তোমায় মেরে ফেলি সন্দেহ আমার উপরে পড়বে। শুভ্র এখন পাল্টি খেয়েছে ও বলে দিবে আমি তোমাকে মেরেছি। তাই আগে তোমাদের সবার মন জয় করে পরে না হয় মারবো। এই সামু কাচা খেলোয়াড় না হাহাহা”

“জানো সামু আপু আমি যখন আব্বু আম্মুর সাথে যেতাম তখন ওনারা ভয়ে থাকতো । একবার আম্মু আমার হাতে ওরনা বেঁধে ওনার হাতে বেঁধেছিলো। কিন্তু পারে নাই লুকিয়ে চলে আসছি হিহিহিহি”

“হাহাহা”

নদীতে ঢেউ খেলছে সাথে জাহাজও । তিতি এখন কথা বলতে ব্যাস্ত। এই সুযোগে সামু তিতি কে হালকা ধাক্কা দিলো যেনো পানিতে না পরে এমন ভাবে। তিতি বুঝার আগেই ও জাহাজের রেনিং এর বাহিরে পড়তে যাবে তখনি সামু তিতির হাত জোড়া টেনে ধরে আর চিৎকার করতে থাকে।

মাঝরাতে শব্দ কিন্তু খুব স্পষ্টই শোনা যায়। সামুর চিৎকারে ঘুম ভাঙ্গলো অর্ণবের। ওদের পাশে সামু আর তিতি কে না দেখতে পেয়ে শুভ্র প্রবণ আর শিশির কে ডাক দেয়…….

সবাই ঘুম থেকে উঠে তিতি সামু কে দেখতে না পেয়ে যেখান থেকে শব্দ আসছে ওইখানে ছুটে যায়।

“দেখো তিতি তোমার কিছু হবে না আমি আছিতো”

তিতি একবার নিচের দিকে তাকায় আবার উপরে। নদীর স্রোত খুব জোরেই বইছে। তিতি চোখ বন্ধ করে ফেলে।

অর্ণব প্রবণ শুভ্র ও শিশির দুর থেকে এই দৃশ্য দেখে দৌড়ে চলে যায়।

প্রবণ অর্ণব আর শুভ্র তিতি কে উঠিয়ে নিয়ে আসে। তিতি উপরে উঠে জোরে জোরে শ্বাস নিতে থাকে। অর্ণব ভয়ে তিতি কে জড়িয়ে ধরে কান্না করতে থাকে।

“তুমি নিজেকে খুব সাহসী মনে করো তাই না। রাত করে তোমায় এইখানে কে নিয়ে এসেছে? এখন যদি তোমার কিছু হয়ে যেতো?”

“আম আমি তো ঠিক আছি প্লিজ শান্ত হোও”

তিতি অর্ণবকে বুঝানোর চেষ্টা করছে। অন্যদিকে শুভ্র গিয়ে ঠাস করে সামু কে থাপ্পড় মারে…….

“আমি জানতাম তোর মাথায় অন্য কোনো প্ল্যান আছে কিন্তু জীবনেও ভাবি নাই তুই এই রকম একটা বাজে কাজ করতে পারিস। ভেবেছিলাম তোকে কিছুদিনের মধ্য কানাডা নিয়ে যাবো যেনো তোর উদ্দেশ্য কেউ বুঝতে না পারে কিন্তু দেখ তুই সেই সুযোগ আমায় দিলি না। আজকেই তোর সব কুকীর্তি আমায় বলতে হবে। কিভাবে পারলি তুই একটা মেয়ের সাথে এমন করতে বল সামু?”

“শুভ্র আমার কথাটা শুন?

“তুই কোনো কথা বলবি না”

“কেনো কি করেছে সামু ভাবির সাথে?”

প্রবণ জিজ্ঞাসা করলো…..

“কি না করেছে এইটা বল প্রবণ। আজতো তো নিজের চোখেই দেখলাম তিতি ভাবী কে পানিতে ফেলে……”

“নাহ ভাইয়া সামু আপু এমন কিছু করে নাই। আজ যদি সামু আপু না থাকতো তাহলে আমি হয়তো আর বেঁচেই থাকতাম না”

শুভ্র অবাক হয়ে জিজ্ঞাসা করলো…..

“মানে?”

“আমি তো বাতাস আর ঢেউয়ের সাথে পেরে না উঠে পড়ে গিয়েছিলাম। সামু আপুই তো আমাকে বাঁচিয়েছে”

তিতি সবাইকে সব কিছু বলতে লাগলো…..

“হিহিহিহি এইটাই তো চেয়েছিলাম। দেখ শুভ্র তুই আমার পাশে না থাকলেও আমি আমার ভালোবাসা ঠিকই আদায় করতে পারি”

শুভ্র সব শুনে সামুর দিকে অবাক হয়ে তাকিয়ে থাকে……

“সরি তিতি,,,, আমার জন্যই আজ তোমার এমন হয়েছে আমি না থাকলে তোমাদের সবার ভালোই হতো”

কান্না মাখা চোখে বললো সামু…..

“সামু এত তাড়াতাড়ি চেঞ্জ হয়ে যাবে ভাবতেই কেমন যেনো অবাক লাগছে। চেঞ্জ হলে তো ভালোই আর না হলে আমার চেয়ে খারাপ কেউ হবে না”

শুভ্র সামুর দিকে তাকিয়ে ভাবছে। তখন অর্ণব সামুকে জড়িয়ে ধরে বলে……

“তোর কাছে চির ঋণী থাকবো রে সামু তুই আজ আমার জীবন বাঁচিয়েছিস। তোকে যে কি বলে ধন্যবাদ দিবো সেই ভাষাই খুঁজে পাচ্ছি না”

“তুই কি আমায় তোদের কেউ ভাবিস না যে এইভাবে বলছিস? ”

“তুই তো আমার সেই পিচ্ছি সামু আমার পিচ্ছি বোন তোকে কি আমি কিছু না ভাবতে পারি?”

“তাহলে এইভাবে কথা বলবি না ওকে?”

“ওকে ”

“তিতি মনে রেখো রাঙামাটি এইটাই তোমার শেষ ভ্রমণ। তোমার পছন্দের জায়গায় তোমার সমাধি হবে”

সামু তার পরের প্ল্যান ঠিক করে রেখেছে। শুভ্র সামুর হাত ধরে সামু কে নিয়ে জাহাজের অন্য পাশে চলে যায়।

“মেঘ পরী চলো আমরা অন্য কোথাও যাই”

“কেনো?”

“অর্ণব আর ভাবী কে একটু আলাদা থাকতে দাও আর আমরা একটু আলাদা টাইম নিজেদের মতো থাকি”

“হুম চলেন”

শিশির প্রবণ চলে যায়। তিতি একপাশে নিশ্চুপ হয়ে দাড়িয়ে থাকে……

“কি হলো তিতির পাখি এইভাবে দাড়িয়ে আছো কেনো?”

“নাহ ভাবছি আমি তো প্রথম এইখানে উঠে বসি নাই। তাহলে আজ হটাৎ করেই এমন ঘটলো কেনো?”

“মানে আজকে বেলেন্স ঠিক রাখতে পারো নাই তাই এমন হয়েছে”

“হুম এইটাই হবে হয়তো”

“ভয় করছে বুঝি?”

“ভীষণ। ভেবেছিলাম আমিও মনে হয় এই স্রোতে ভেসে যাবো”

“এই কথা আর বলবে না। তোমাকে কেউ নিতে পারবে না আমার কাছ থেকে”

“আমার তো বার বার আব্বু আম্মু আর তোমার কথায় মনে পড়ছিলো”

“ওইটা একটা বাজে স্বপ্ন ছিলো ভেবে মাথা থেকে ঝেড়ে ফেলো ।”

“হুম।”

“আর কথা দাও আর কোনোদিন এইসবে বসবে না”

“আমারতো অভ্যাস আছে”

“কথা দাও বলছি”

জোরে ধমক দিয়ে…..

“কথা দিলাম আর বসবো না হ্যাপি?”

“খুব”

“এখন আর ঘুম আসবে না চলুন বেঞ্চে গিয়ে বসি”

“হুম চলো”

অর্ণব তিতি বসলো। তিতি অর্ণবের কাধে মাথা রেখে দুইজন গল্প করতে লাগলো…….

।।

।।

।।

।।

।।

“তুই এইভাবে টেনে আনলি কেন?”

“আমার কেনো যেনো তোর কথা ট্রাস্ট হচ্ছে না সত্যি কথা বল এইসব তুই নিজে থেকেই করেছিস তাই না?”

“তোকে মিথ্যা বলবো না। তুই তো ছোট থেকেই আমাকে চিনিস তোর চোখে ফাঁকি দেওয়া সত্যিই কষ্টকর। আর শুন আমি নিজে থেকেই করেছি। যা প্ল্যান করছি তাই হচ্ছে”

“সামুউউউ”

“একদম ধমক দিবে না। তুই আগে যখন তিতি কে তোর মায়াবিনী ভেবেছিলি তখন কই ছিলো তোর এই ভালো আচরণ কই ছিলো তোর এই ভালো মানুষি তখন তো খুব জোর গলায় বলতি মায়াবিনী কে তুই জোর করে নিয়ে নিবি। এখন আমি তোর ওই কাজ করছি বলে আমি খারাপ। আগে তোর মন মানসিকতা ঠিক কর পরে আমায় বলবি ওকে”

সামুর এমন কথা শুনে সত্যিই শুভ্র তার কথাবলা হারিয়ে ফেলেছে। সত্যিই আজ যদি তিতি ওর মায়াবিনী থাকতো তাহলে তো ও কিছুতেই অর্ণবের হতে দিতো না।

“হুম দিতাম না। এই বলে এই না যে তাকে খুন করবো। হুম মানছি আমি বলতাম যে অর্ণবকে খুন করবো কিন্তু এইটা আদো আমি করতে পারতাম না। আর আমি মায়াবিনী কে ভালোবাসতাম কজ ও আমায় ভালোবাসতো। আর তুই জানিস মায়াবিনী নিজেই আমার প্রপোজ করেছে আমি ভেবেছিলাম হয়তো তিতি আমার মায়াবিনী। ও অর্ণবকে ভয় পায় তাই আমায় অস্বীকার করছে বা টাকার জন্য। যখন আমি আমার ভুল বুঝতে পারি ঠিকই সরে আসছি। তুই ও ভেবে দেখ অর্ণব তোকে না তিতি কে ভালোবাসে। তাই বলছি নিজের ভালোবাসার মানুষকে যদি খুশি দেখতে চাস সরে আয় ওদের জীবন থেকে”

“শুন ভাইয়া তোর মত আমি এত দয়ালু না রে। আমি আমার খুশি ছাড়া অন্য কারো খুশি দেখতে ইচ্ছুক না। যেখানে আমি নিজেই অখুশি থাকবো সেখানে অন্য কারো খুশি দেখার জন্য ইচ্ছায় আমার নাই”

“দেখ সামু বোন আমার তুই কিন্তু ভুল করছিস”

“দেখ ভাইয়া তুই যদি এখন আমার পথে বাঁধা দিস তাহলে আমি তিতি বা নিজেকেই শেষ করে ফেলবো। আর আমি মরলে তো তোর কিছু যায় আসে না। কজ আমি তো তোর আপন বোন না চাচাতো বোন। ”

সামুর কথাটা শুভ্রের মনে গিয়ে লাগলো। সেই ছোট থেকে সামুকে নিজের আপন বোন ভেবে এসেছে আর আজ সেই কি-না এইসব বলছে।

“এই কথা তুই বলতে পারলি?”

ডোন্ট কেয়ার ভাব নিয়ে বললো সামু…..

“হুম বলছি তুই বাধ্য করেছিস তাই বলছি আমার পথে বাঁধা দিতে আসবি না”

এই কথা বলে সামু কেবিনের উদ্দেশ্য পা বাড়াতেই শুভ্র বললো…..

“তোর ভাই হয়ে বলছি যেনো তোর কোনো ক্ষতি না হয় তার জন্য সব কিছু করবো কিন্তু এই জন্য যে তুই অন্য কারো ক্ষতি করবি তা মানতে রাজি না আমি”

“তোর যা ইচ্ছা করিস।”

বলেই সামু চলে গেলো। শুভ্র দুই হাত পকেটে দিয়ে নদীর দিকে তাকিয়ে বললো……

“মায়াবিনী ধোঁকা দিলো। এখন যাকে নিজের বোন ভাবতাম সেও অপমান করলো। অন্যদিকে নিজের বেস্ট ফ্রেন্ডের ভালোবাসায় বিপদ জেনে চুপ করে আছি। এইটাই হয়তো আমার জীবন”

।।

।।

।।

।।

“শিশির তোমার মনে কি এখন অন্য কোনো ফিলিংস হচ্ছে না”

“হুম হচ্ছে”

“কি রকম?”

খুশি হয়ে জিজ্ঞাসা করলো প্রবণ…..

“এই যে বাতাস এখন আমার মনে শীত শীত ফিলিংস আসছে। মন চাচ্ছে একটা চাদর জড়িয়ে এক কাপ গরম গরম চা বা কফি আর পাশে যদি ‘হুমায়ন আহমেদ’ স্যারের ‘হিমুর হাতে কয়েকটি নীলপদ্ম’ বইটা থাকে তাহলে আর কি চাই। সাথে আরো লেখকদের আরো কিছু বই তাহলে তো ফিলিংসটা অন্য রকম হয় আহা”

“আচ্ছা তোমার বয়স কত?”

“ওই কত আর হবে একুশ পেরিয়ে বাইশে পড়লো”

“তাহলে তো বিয়ের বয়স চলেই যাচ্ছে । জানো তোমার থেকে ছোট মেয়েদের এখন বাচ্চা আছে আর বাচ্চাদের কিন্ডাগার্টেনে ভর্তি পর্যন্ত করিয়ে ফেলছে আর এইদিকে তোমার মাথায় কোনো ঘিলু পর্যন্ত হলো না”

“আপনি আমায় ইনসাল্ট করছেন । আর জানেন না ওদের বিয়ে ছোট বেলায় হয়ে গেছে। একজন ছেলের যেমন পড়ালেখা শেষ করে নিজের পায়ে দাঁড়িয়ে বিয়ে করা উচিৎ একটা মেয়ের‌ও সেম কিন্তু এখন ছেলেদের বুড়া বানিয়েও বিয়ে দিচ্ছে না ছেলে নাকি ছোট আর একটা মেয়ে স্কুলের গন্ডি পেরিয়ে কলেজে উঠতেই নাকি তার বিয়ের বয়স হয়ে গেছে এইটা কি ঠিক?”

“নাহ ঠিক না। তোমার কথায় যুক্তি আছে। কিন্তু আমি তো অন্য কিছু বুঝাতে চাইছিলাম আর তুমি কি-না উল্টা বুঝে বসো আসো”

“কি বুঝাতে চেয়েছেন ক্লিয়ার করে বললেই তো হয়?”

“তোমার মাথায় ভালো কথা ঢুকবে না তোমার মাথায় পাগলদের বুদ্ধি ছাড়া ভালো কিছু আবিস্কার করা সম্ভব না”

“আবারো ইনসাল্ট”

“সরি মেম এখন চলুন রাত পার হয়ে সকাল উঠে চলছে জিনিস সব গুছিয়ে রাখুন। একদিনে তো জাহাজকে ঘর ভাবতে শুরু করে দিয়েছেন জিনিস একটা এইখানে আরেকটা ওইখানে”

“যত্তসব। আমার সাথে যেহেতু পারেন না কথায় তাহলে আসেন কেনো। এখন কি কথা নিয়ে কি বললো। আপনাকেই লোকে বলে আজব পাবলিক”

কথাটা বলেই শিশির চলে গেলো। প্রবণের এখন নিজের মাথার চুল নিজেরই চিরতে ইচ্ছা করছে। আর নিজেকে নিজেই বলছে…….

“ভাই প্রবণ তুই তো গেছিস সাথে তোর ফিউচার বাচ্চা কাচ্চাও”

চলবে…..

পূর্ববর্তী নিবন্ধ
পরবর্তী নিবন্ধ
গল্প পোকা
গল্প পোকাhttps://golpopoka.com
গল্পপোকা ডট কম -এ আপনাকে স্বাগতম......
RELATED ARTICLES

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে

- Advertisment -

Most Popular

Recent Comments

Md masrur Hasan mahi على অবুঝ_বউ পার্ট: ৫
আমিনুল ইসলাম على প্রয়োজন পর্ব: ৩০ ( অন্তিম)
সাজিবুল ইসলাম على ধর্ষিতাবউ২ ৯ তথা শেষ পর্ব
শাহিদুল ইসলাম على জীবন সঙ্গী ১ম পার্ট
শাহিদুল ইসলাম على জীবন সঙ্গী ১ম পার্ট
Nita Sarkar على স্বপ্নীল ৬৮
শিয়াসা ইসলাম হুরিজিহান على রহস্য শেষ_পর্ব
শিয়াসা ইসলাম হুরিজিহান على অলক্ষ্যে তুমি পর্ব-০৬ এবং শেষ পর্ব
Nazmun Nahar Akhi على Psycho_is_back? part_7
Nazmun Nahar Akhi على Dangerous_Villian_Lover part 2
শিয়াসা ইসলাম হুরিজিহান على জানালার ওপারে পর্ব-১৭ এবং শেষ পর্ব
শিয়াসা ইসলাম হুরিজিহান على লীলা বোর্ডিং ১২১৫ পর্ব-১১ এবং শেষ পর্ব
মিজানুর রহমান রাহুল على সেই তুমি পর্ব-০১
@feelings على প্রহেলিকা
Anamika Basu على সে পর্ব-১২
Anamika Basu على সে পর্ব-১২
Nusrat jahan على coffee & vanilla Part-10
Pallabi Roy على স্বপ্নীল ৬৮
M.D Mahabub على The_Villain_Lover Part_2
Labani sarkar على Dangerous_Villain_Lover part 23
MD Akas Apc على বিবেক
Tanisha Ahmed على Devil love part-18 
Aius Barmon shorob على নারীর দেহকে নয়
Chandan roy على স্বপ্নীল ৬৮
Chandan roy على স্বপ্নীল ৬৮
Riya Biswas على তুমি রবে ৬০
Priya Banerjee على devil love married life last part
Riya Biswas على তুমি রবে ৬০
Riya Biswas على তুমি রবে ৫২
Mohammad Adib على তুমি রবে ৬০
Avni Ayesha على তুমি রবে ২৮
গল্প পোকা على Love At 1st Sight Season 3 Part – 69
সুমিত على তুমি রবে ২৮
TANJIBA ZENIFAR على তুমি রবে ৫০
TANJIBA ZENIFAR على তুমি রবে ৫০
Samiah Begum على তুমি রবে ৫১
biddut das rocky على নর নারী
গল্প পোকা على নষ্ট গলি শেষ পর্ব
Md Jobayer Hossain Shohag على নষ্ট গলি পর্ব-৩০
গল্প পোকা على দুই অলসের সংসার
গল্প পোকা على মন ফড়িং ❤৪২.
A.J.S Rakib على মন ফড়িং ❤৪২.
গল্প পোকা على গল্পঃ ভয়
গল্প পোকা على গল্পঃ ভয়
গল্প পোকা على গল্পঃ ভয়
Samiya noor على গল্পঃ ভয়
Sadikul على গল্পঃ ভয়
Samia Islam على গল্পঃ ভয়
শূন্য মায়া على মন ফড়িং ❤ ৪০.
Sutapa biswas على মন ফড়িং ❤৩৯.
Foysal Mahmud على My_Mafia_Boss_Husband Part: 16
sutapa biswas على মন ফড়িং ❤ ৩৮.
sutapa biswas على মন ফড়িং ❤ ৩৭
Foysal Mahmud على My_Mafia_Boss_Husband Part: 16
Siyam على বিবেক
Sudipto Guchhait على My_Mafia_Boss পর্ব-৯
saptami karmakar على devil love married life last part
saptami karmakar على devil love married life last part
মায়া على মন ফড়িং ৩০.
মায়া على মন ফড়িং ৩০.
মায়া على মন ফড়িং ২৬.
Shreyashi Dutta على  বিয়ে part 1
Sandipan Biswas على  বিয়ে part 1
Paramita Bhattacharyya على অনুরাগ শেষ পর্ব
জামিয়া পারভীন তানি على নষ্ট গলি পর্ব-৩০
মায়া على মন ফড়িং  ২২
সুরিয়া মিম على খেলাঘর /পর্ব-৪২
গল্প পোকা على মন ফড়িং ২১
গল্প পোকা على নষ্ট গলি পর্ব-৩০
গল্প পোকা على Love At 1st Sight Season 3 Part – 69
গল্প পোকা على Love At 1st Sight Season 3 Part – 69
গল্প পোকা على খেলাঘর /পর্ব-৪২
Sahin ssb على মন ফড়িং ২১
মায়া على মন ফড়িং ২১
মায়া على মন ফড়িং ❤ ২০.
গল্প পোকা على মন ফড়িং ❤ ২০.
গল্প পোকা على খেলাঘর /পর্ব-৪২
গল্প পোকা على খেলাঘর /পর্ব-৪২
মায়া على মন ফড়িং ❤ ১৮. 
মায়া على মন ফড়িং ❤ ১৭.
Jannatul Ferdous على খেলাঘর পর্ব-৩৫
গল্প পোকা على মন ফড়িং ❤ ১৬. 
গল্প পোকা على ফাল্গুনের_ফুল last_part_8
মায়া على মন ফড়িং ❤ ১৬. 
গল্প পোকা على ছাত্রী যখন বউ পাঠঃ ১
গল্প পোকা على বাজির প্রেম পাঠঃ ১
Foujia Khanom Parsha على মা… ?
HM Ashraful Islam على অবুঝ_বউ পার্ট: ৮
HM Ashraful Islam على অবুঝ_বউ পার্ট: ৫
Ibna Al Wadud Shovon على স্বার্থ