Dangerous_Villain_Lover
part 14
#Writer_Tanjina_Akter_Misti
— বস এবারের মতো মাফ করে দেন।
— তোকে মাফ করবো।
বলেই আসিফ হিংস বাগের মতো তাকালো সামনের লোকটির দিকে। যে ব্যক্তি টি আসিফের পা ধরে আছে নিজের জান ভিক্ষে চাইছে কিন্তু আসিফের সেদিকে খেয়াল নেই। ওর মাথা রাগে ফেটে যাচ্ছে সব শেষ করে দিতে চাইছে। ওর হাত উচু করে সামনে ছেলেটির বুকের কাছে ধরে যেই গুলি করে দেবে। পাশে থেকে একজন বলে উঠে…..
— বস ওকে মারবেন প্লিজ এভাবে যদি রাগের মাথায় ওকে মরে ফেলেন আমাদের ই প্রবলেম হবে আমরা সংখ্যায় কভে যাবো আর ওই রাহুল আমাদের সাথে পেরে উঠতে সমস্যা হবে না। ও তো জানতো না আপনার পরিচিত ওই মেয়ে জানলে কি আমরা তাকে তুলে আনতাম আপনি তো বলেপ নি কিছু আগে ওই মেয়ে ব্যাপারে।
গুলি করতে গিয়ে ও হাত সরিয়ে ফেলল…. আসিফ তো বলেছে রাগের মাথায় নিজেদর লোক কে মারা যাবে না। একে তো ওই বাস্টার দলে কতো গুলো কে নিয়ে গেছে এভাবে চলতে থাকলে আমি শেষ হয়ে যাব নো নো আসিফ শেষ হতে পারে না আর আমার নিজেকে ধরে রাখতে হলে রাহুল কে শেষ করতেই হবে। সামনে না পারলো আড়ালে কৌশলে যেভাবে হোক। ছোঁয়া চিন্তা চলে এলো এই কুওার বাচ্চারা আমার ছোঁয়া কে ধরে এনেছিল ভাবতেই সামনে লোকটাকে লাথি দিয়ে বসলো। সামনের লোকটি আতনার্ত করে সিটকে পরলো। আসিফ ফোন থেকে ছোঁয়া হাসি মাখা একটা ছবি বের করে তাকিয়ে রইল তারপর সবার দিকে ধরে বলতে লাগলো…?
— এই মেয়ে তোদের ভাবি ওর গায়ে যেন কখনো কারো হাত না পরে। দেখে রাখ এবারের মতো ক্ষমা করলাম নেক্মট এমন হলে জানে মেরে দেবো।
কথাগুলো বলেই ছবির দিকে তাকিয়ে ঠোঁট চুমু খেলো এমন আকৃতি করলো যেন সত্যি মুখে খেয়েছে। আর বলতে লাগলো খুব তারাতারি তোমাকে নিয়ে আসবো আমার কাছে…! তারপর আর কিছু ভাবার আগেই ফোন বেজে উঠল চরম বিরক্তি নিয়ে ফোনের দিকে তাকালো ধরার ইচ্ছে নেই তবুও ফোন হাতে নিলো। আর হাতে নিয়ে ভয়ে গলা আটকে এলো জহিরুল হকের নাম্বার দেখে কাপা হাতে ফোন কানে নিলো আর বিকৃত ভাষায় গালি কানে এলো সাথে হুমকি জোরে আছাড় মরে ফোন মেঝেতে ফেলে দিলো। আশেপাশের সবাই ভ য়ে আটসাট হয়ে আসিফের দিকে তাকালো।
মনে মনে বলল তোকে আমি ছাড়বো না কুওার বাচ্চা তোর জন্য এতো গুলো কথা আমায় হজম করতে হলো। জহিরুল হকের জন্য মেয়ে এনেছিল কিন্তু সব বরবাদ করে দিয়েছে ও এখন জহিরুল আমাকে তা নিয়ে হুমকি কাটলো টাকা নিয়ে তিনলাখ টাকা নিয়েছিল এ নিয়ে এখন সেটা হয় টাকা নয় মেয়ে চাইছে কোন বিপদে পরলাম। টাকা এখন কোথায় পাবো সব তো খরচ করা শেষ যা দেওয়া সম্ভব নয়।
.
.
সারারাত চিন্তা এক দন্ড চোখ বুঝতে পারে নি জেসি প্রচুর চিন্তা হচ্ছে ছোঁয়া কে নিয়ে। আর কালকে সেই ভয়ংকর মুহূর্তে কথা মনে আসতে ভয়ে জড়সড় হয়ে যাচ্ছে কি ভয়ংকর মুহূর্তে সময় মতো রাহুল স্যার তাদেকে রক্ষা করে। কিন্তু এ নিয়ে শত ভেবেছে এতো দিন কি করে চিনলো না সে সাথে ছোঁয়া ও এর জন্য তো ছোঁয়া বলো স্যার কে কেন আমার চেনা লাগে। কিন্তু ভুল করে ও সেই কথা কানে নেই নি। কাল সচোক্ষে না দেখলে হয়তো কখনো এমন একটা মানুষকে আমি মাফিয়া ভাবতাম না কল্পনা করতাম। চোখের সামনে শত মানুষ শরীর কেটে রক্ত জরালো কি ভয়ংকর লাগছে যেন চোখ দিয়ে আগুন জরছিল তখন কিন্তু ছোঁয়া কে বাহুডরে বন্ধি করে তার হিংসতা কেটে ভয়ে চলে আসে। অজস্র ভালোবাসা দিতে থাকে ছোঁয়া মুখে এতে প্রমাণ হয় স্যার ছোঁয়া কে কতোটা ভালোবাসে ছোঁয়া কে পাগলের মতো ডাকতে থাকে। সেদিন ও তো হসপিটালে এমন ই করেছিল কিন্তু এই মাফিয়া টা কলেজের প্রফেসর হলো কি করে মাথা ঘুরে থাকলো। স্যার কে জিগ্গেস করতে ছুটে বেরিয়েছিলো স্যার আমাকে ভূত দেখার মতো চমকে উঠে।
— তুমি এখানে?
— ছোঁয়ার সাথে আমাকে ও ধরে এনেছে। কিন্তু স্যার আপনি এখানে এইভাবে আপনি তাহলে সেই দিনের শপিং মলের….
— তুমি ঠিক ধরেছো। কিন্তু এই কথা যেন ছোঁয়া বা অন্য কারো কানে না যায় যাও তোমাকে ওরা পৌঁছে দিবে।
আমাকে কিছু বলযে না দিয়ে স্যার চলে গেল গাড়িতে। আমি কি বলবো মাথায় আসছে না হঠাৎ স্যার আবার আমার কাছে এসে দাড়ালো আর বলতে লাগল….. আর যদি বলেছো তো আমাকে তো চেনো আমি ঠিক কি কি করতে পারি হয়তো আন্দাজ করতে পারছো তাই। মুখটা ওফ রেখো বাই শালিকা ফর ট্রেক কেয়ার অফ ইউ।
বাকাঁ হেসে নিজের গন্তব্য গেল আর জেসি হতদম্ভ হয়ে গেল। ফোনের রিংটন বেজে উঠলো ফোন হাতে কানে ধরে রইল। ও পাশে থেকে একজন নানা কথা বলেই যাচ্ছে কিন্তু জেসির কথা বলতে ভালো লাগছে এখন ছোঁয়া কে নিয়ে অনেক টেনশন হচ্ছে না কাউকে বলে পারছে আর না কিছু করতে পারছে।
— কি হলো সোনা তুমি কথা বলছো না কেন? কি হয়েছে জান কথা বলো? ওই কথা বলো না আমার কিন্তু টেনশন হচ্ছে তুমি ঠিক আছো আমি কি আসবো।
— আমার কথা বলতে ভালো লাগছে না। পরে কথা বলি?
আর অপেক্ষা না করে কল কেটে দিলো কান্না পাচ্ছে খুব। কিন্তু এখন কল থাকলে সেটা শিতল বুঝে ফেলতো আর তা নিয়ে তুলকালাম করতো ছেলেটা যে খুব ভালোবাসে ওকে। একমাস হলো রেজিস্টি করে রেখেছে শুধু ওর বড় বোন আসার অপেক্ষা যে পাড়ি জমিয়েছে বিদেশের মাটিতে। বিয়ের পর সেখানেই সেটেল হয়ে গেছে। পারিবারিক ভাবে বিয়ে ঠিক হয়েছে প্রথমে জেসি তেমন একটা পছন্দ করতো না কিন্তু এখন সেই তাকে ভালোবাসে প্রচণ্ড রকমের ভালোবাসে কিন্তু মুখে বলে না। ফোনে মেসেজ এলো শিতলের মেসেজ….” কি হয়েছে জান তোমার আমার খুব কষ্ট হচ্ছে আমাকে বলো প্লিজ। আমি থাকতে পারছি না শেয়ার করো না আমি নয়তো দম বন্ধ হয়ে মারা যাবো”
একটা ছোট নিশ্বাস ফেলে কল করলো যতো ক্ষণ ভালো করে কথা না বলবে এভাবেই করে যাবে।
ছোঁয়াদের বাসার সামনে গাড়িতে বসে আছে রাহুল আর ছোঁয়া। বাড়িতে আসার সাথে সাথে দরজা খুলে বেরিয়ে আসতে গেলে আচমকা ছোঁয়ার হাত টেনে ধরে রাহুল পেছনে ফেরার আগেই রাহুল ছোঁয়ার কোমর জরিয়ে কাছে টেনে নিলো। আচমকা এমন করায় হা হয়ে আছে ছোঁয়া।
— এভাবে টেনে আনলেন কেন আমি বাড়ি এসে গেছি নামতে দিন।
রাহুল কথা না বলে ছোঁয়া সামনে কপালে পরে থাকা চুল গুলো কানের পেছনে গুজে দিলো।
— কি হলো ছারুন কেউ দেখে ফেলবো ছারুন।
— উহু
— মানে কি?
— একটা চুমু দাও।
কোন সংকোচ না করে বলে ফেললো রাহুলের কথায় অবাকের চরম সীমায় পৌঁছে গেলে বলে কি? কি নিলজ্জ বাবা এভাবে কেউ কোন দিন চুমু চেয়েছে লজ্জা লাল হয়ে গেল ছোঁয়া সঙ্গে সঙ্গে মাথা নিচু করে ফেললো।
— কি হলো?
— ছারুন আমার দেরি হচ্ছে?
— চুমু দেও তাহলে ছেড়ে দেবো দাও না জোর করে নিতে মন চাইছে না। তুমি নিজে থেকে দাও না।
বলেই ঠোট এগিয়ে দিল।
ছোঁয়া কিছু তেই দেবে না কিন্তু রাহুল নাছর বান্দা নিয়েই ছারবে কিন্তু ছোঁয়া দিলো না মুখটা শুকনো করে অন্য দিকে তাকিয়ে বলল…..ওকে যাও দিতে হবে না।
কথা টা শুনেই ছোঁয়া বুকে টিপটিপ করতে লাগলো। কেন যেন খারাপ লাগছে কেন জোর করে নিলেই তো হয় না এনাকে আমার ইচ্ছে করে দিতে কিন্তু আমার যে লজ্জা করে সেটা কি বুঝে না কিন্তু রাহুল স্যার এর মুখ দেখে খারাপ লাগলো দ্বিধা দ্বন্দ্ব করে অবেশেষে দিয়েই দিলো আর ছোটে বেরিয়ে পরলো আর একবার ও পেছনে ফিরে তাকায় নি অনেক লজ্জা করছে। মনে হচ্ছে ভাটি ফাক করে ঢুকে পরি।
রাহুল গালে হাত দিয়ে বসে আছে অসম্ভব ভালো লাগছে। ছোঁয়া নিজে থেকে আমাকে চুমু খেয়েছে কি করবে ভেবে পাচ্ছে খুশিতে আত্মহারা হয়ে গেছে অদ্ভুত ভালো লাগা কাজ করছে। তার ভানে ছোঁয়া ও আমাকে ভালোবাসে নয়তো আর ভাবতে পারছি না।
কিন্তু খুশি বেশিক্ষণ রইলো না ফোনে কথা বলে রাগে কপালের রগ ফুলে উঠলো। আসিফ জামেলা করতাছে রাস্তায় ওর লোকদের মারছে সেই খবর দিতে ফোন এসেছিল।
বড় সড় একটা জামেলা হয়ে গেল কেউ কারো থেকে কম না দু দলের লোক ই সমান তালে লেগেছে কেউ থামার নাম নিচ্ছে না।
পুলিশ এসে থামিয়েছে রাহুল হাতে ব্যাথা পেয়েছে কেটে গেছে। সবাই অস্থির হয়ে ব্যান্ডেজ করতে চাইলো কিন্তু রাহুল করলো না।
রাত বাজে একটা রাহুল ছোঁয়াদের বাড়ির সামনে দাড়িয়ে আছে। হালকা জ্বর সাথে হাতে ব্যাথা এই নিয়ে রুমে ঢুকে মায়াবতী দেখতে পারছে না। কিন্তু না দেখে যে থাকতে পারবে না তখন ছোঁয়া ওকে টাচ করে বুকে আগুন জালিয়ে দিয়েছে এখন এক মুহূর্তে ও থাকতে পারছে না। এমনি জোর করে টাচ করে যে অনুভূতি না হয়ে ছোঁয়া দেওয়া একটু ভালোবাসা পাগল করে তুলছে। না না কথা ভেবে ফোন দিল ছোঁয়া কে?
চলবে❤