Dangerous_Villain_Lover
part 13
#writer_Tanjina_Akter_misti
কানে কাছে শব্দ পাচ্ছি কিন্তু কিসের আমি কোথায় আছি আমি কি বেচে আছি নাকি মরে গেছি। বেচে কি করে থাকবো আমাকে তো ওই লোকটা গুলি করে দিয়েছিল। কিন্তু শব্দ কোথায় থেকে আসছে নরতে যাবো একি কেউ মনে হচ্ছে আমার শক্ত করে ধরে আছে কিন্তু মরার পর কে ধরে আছে আমাকে। মিটিমিটি করে চোখ মেলে তাকালাম আর যা দেখলাম তাতে আমার চোখ কপালে স্যার আমাকে ধরে আছে কিন্তু স্যার কি করে আমি যদি মরে গিয়ে থাকি স্যার কোথায় একে এলো স্যার ও কি মরে গেছে সঙ্গে সঙ্গে মুখে হাত দিলাম ছি ছি কি সব ভাবছি।
স্যার আমাকে চোখ খুলতে দেখেই এক প্রকার লাফিয়ে উঠলো খুশিতে তার চোখে পানি। আমার মুখে চুমুতে ভরিয়ে দিতে লাগল,
— মায়াবতী তুমি ঠিক আছে দেখ তোমার কিছু হবে নি প্লিজ চোখ খুলে থাক।
আমি সঙ্গে সঙ্গে চোখ বন্ধ করে ফেলছি। একি স্যার এভাবেকথা বলছে তার মানে আমি মরে যাই কিন্তু কিভাবে ওই লোকটা তো আমার মাথায় রিভলবার ধরেছিল। হঠাৎ গুলির আওয়াজের কথা মনে পরলো সঙ্গে সঙ্গে ভয়ে কোকরে উঠলাম।
— ওরা তো আমায় মেরে দিচ্ছি লো স্যার আমি বেচে আছি কি করে।
বলেই চোখ মেলে আকালাম স্যারের মুখ মুহূর্তে অগ্নি মূর্তি ধারণ করে আমাকে বিছানায় চেপে ধরলো। ঘটনা আর্কষমিক আমি হতন্বভ হয়ে গেলাম স্যার লাল চোখে আমার দিকে তাকিয়ে আছে। আমি হাতে ব্যাথা পেয়ে আহ করে উঠলাম স্যার সঙ্গে সঙ্গে চোখ বন্ধ করে হাতের বাধন ডিলা করে দিলো। আমি সাথে সাথে স্যার কে ধাক্কা দিয়ে উঠে বসলাম,,
— স্যার প্লিজ আমার থেকে দূরে আকবেন খালি গা ঘেষেন কেন আর আমি তো ঠিক ই বলেছি ওরা তো আমাকে মেরে ফেলতে চেয়েছিল এখন আমি এখানে কেন বাচলাম কি করে জানবো না।
— জানি না আমি তুমি মরার কথা কোন সাহসে উচ্চারণ করলে। যে তোমার দিকে চোখ তুলে তাকা বে তাকে ও আমি মেরে পুতে ফেলবো আর মারা তো দূরে কথা।
বলেই আমাকে কাছে টেনে বুকে জরিয়ে নিলো। আমি স্যারের কথার আগামাথা কিছু বুঝতে পারছি না হঠাৎ জেসির কথা মনে পরলো ও তো আমার সাথে ছিলো ওর কোন ক্ষতি হয় নি তো আমি জোর করে মাথা উঠিয়ে।
— স্যার আমি এখানে কি করে এলাম আর আমার সাথে তো জেসি ছিলো ও কোথায়? ও ঠিক আছে তো ওর কোন ক্ষতি হয়নি তো প্লিজ বলুন।
— ও ঠিক আছে মায়াবতী তুমি শান্ত হয়ে বস প্লিজ। ওকে বাড়ি পৌঁছে দেওয়া হয়েছে।
— আমি এখানে কি করছি এটা কার বাসা আর আপনি আমাকে পেলেন কি করে?
— এটা আমার বাসা আর আমি তোমাকে এখানে নিয়ে এসেছি।
— কিন্তু আমি তো
— এতো কথা বলো না তোমার শরীর এমনি তেই র্দূবল চুপ করে থাক এতো ভেবে কি হবে?
— নাহ প্লিজ বলুন ওরি তো আমাকে মেরে দিতে চাইছিল আমি কি করে বেচে গেলাম।
— এটা মনে রাখ যত দিন এই আমি বেচে আছি কেউ তোমার শরীর একটা আচর ও কাটতে পারবে না।
বলেই আমার কপালে ঠোট ছোয়ালো আমি হা করে আছি স্যার আমি কথা বলতে গেলেই হাত দিয়ে থামিয়ে দিচ্ছি। কিন্তু আমি শান্ত থাকতে পারছি না কি করে কি বলো সব জানতে ইচ্ছে হচ্ছে কিন্তু স্যার তো কিছু বলছে না। ফোন বের করে কাকে যেন ফোন দিলোকি যেন বলতে লাগল। আমি স্যার এর দিকে তাকালাম স্যার একটা সাদা টাউজার আর উপরে নীল শার্ট পরে আছে দেখতে অনেক সুন্দর লাগছে বরাবরের মতো আমি সব ভুলে হা করে তাকিয়ে আছি স্যারের দিকে। একটু পর স্যার আমার পাশে এসে বসলো সাথে সাথে একজন সার্ভেন্ট এসে খাবার দিয়ে যায়। স্যার নিজের হাতে আমার দিকে খাবার তুলে দেয়।
– আমি খাবো না বাসার যাব আমাকে বাড়ি দিয়ে আসেন সবাই চিন্তা করছে।
— না আজ এখানেই থাকতে হবে।
— হুয়াট
— হুম কারণে তোমার বাড়ির সবাই জানে তুমি জেসিদের বাড়ি আজ থাকবে কাল সকালে দিয়ে আসবো এখন তারাতারি খেয়ে ঘুমিয়ে পরো তো।
— এখন কয়টা বাজে?
— এগারোটা
আমি চোখ কপালে তুলে স্যার এর দিকে তাকালামকতো সময় পেরিয়ে গেছে হাত দিয়ে খেতে গেলে স্যার আমার হাত সরিয়ে নিজে খাইয়ে দিতে লাগে। আমি হা করে স্যারের দিকে তাকাচ্ছি স্যার যে আমাকে ভালোবাসি বলেছিল এখন মনে পরলো সাথে সাথে লজ্জা কোকরে উঠলাম।
খাওয়া শেষে।
— ছোঁয়া এখানে শুয়ে পর।
— আচ্ছা আপনি বের হোন আমি দরজা লাগিয়ে ঘুমাবো।
— হুয়াট আমি বের হবো তাহলে আমি ঘুমাবো কোথায়?
— সেটি আমি কি করে বলবো। আপনাদের কি আর রুম নাই।
— আছে কিন্তু এখানে ছাড়া ঘুম হয় না।
— তাহলে আপনি এখানে শুয়ে পরোন আমি অন্য রুমে শুয়ে পরবো।
— নাহ
— মানে কি আপনি ও যাবেন না আমি ও না তাহলে কি না ঘুমিয়ে জেগে থাকবো।
— এক রুমে ঘুমায়।
— পাগল নাকি এ রুমে কি বলছেন একদম না আমি তাহলে ঘুমাবোই না।
রাহুল স্যার আমার পাশে এসে বসে আমার দিকে তাকিয়ে বলল,,, আমাকে বিলিভ করতে পারো মায়াবতী তোমার সাথে খারাপ কিছু করবো না। অধিকার নিয়েই যা করার করবো তার আগে কিছু করবো না।
আমি কি বলবো বুঝতে পারছি না কিন্তু তবুও একটা ছেলের সাদে এক রুমে ঘুমাবো ভাবতেই কেমন জানি লাগছে। কিছু বলতে যাব স্যার আমাকে জোর করে খাটে শুয়য়ে দিয়ে মাথায় বিলি কেটে দিতে লাগল। কেন জানি বিশ্বাস করতে ইচ্ছে হলো স্যারের দিকে তাকিয়ে থেকে কখন ঘুমিয়ে পরেছি জানি না।
.
.
রাহুল ছোঁয়া কে ঘুম পারিয়ে দেয়। চোখে আগুন জলছে ওর মায়াবতীর দিকে নজর এতো বড় সাহস ওদের বলেই ডয়ার থেকে দুটো বন্ধুক আর ড্রেস পরে বেরিয়ে যায় এতোক্ষণ ছোঁয়া চিন্তায় কিছু করতে পারে নি। রাহুলের লোকেরা যারা ছোঁয়া কে বন্ধি করে নিয়ে গেছিল সেখানে থেকে আটজনেকে বন্ধি করে এনেছে। রাহুল বাসা থেকে বের হয়ে বাইরে ইসস্টোর রুমে দিকে এগিয়ে গলো কারো অজ রক্ষে নেই রাহুলের জানের দিকে হাত বাড়িয়ে ছে।
রাহুলের সামনে সবাইকে বসিয়ে রাখা হয়েছে সবাই প্রাণ ভিক্ষা চাইছে।
— তুই আমার জানকে গুলি করতে গিয়েছিলি তাইনা।
একজনের সামনে গিয়ে দাড়িয়ে।
— সরি আমি জানতাম না ওই মেয়ে আপনার পরিচিত।
— তাই জানতি না কিন্তু ভুল করে যে আমার কলিজায় হাত দিয়েছি এর শাস্তি তো তোকে পেতেই হবে।
ছেলেটিকে আর কিছু বলতে না দিয়ে রিভলবার বের করে শুট করে দেয় আর ছেলেটি উল্টো হয়ে পরে যায়।
— আমি বাসার যাচ্ছি ছোঁয়া জেগে যেতি পারে তোরা এদের ব্যবস্তা কর।
— বস মেরে দেব নাকি।
— হুম মেরে দে মেয়েদের পাচার করার এটাই ভালো শাস্তি আসিফ বুজবে এবার।
রাহুল বেরিয়ে আসে।
চলবে❤