Bestfriend part : 8

0
2819

#Bestfriend
part : 8
writer : Mohona

.

নীড় : আমি এখনই আসছি …
নীড় কিছুটা কাছেই ছিলো । তাই তারাতারিই চলে এলো । দেখলো যে মেরিনের কোলে মোহনার মাথা । মেরিন কান্না করছে । আর মেরিনের কান্না দেখে নীড়ের বুকটা মোচর দিলো ।
নীড় : মেরিন…
মেরিন : নীড় …
নীড় : কান্না করেনা । আমি এসে গিয়েছি না ? কি হয়েছে?
মেরিন : মমমিষ্টু …. খাট…
মেরিন কান্নার চোটে কথাই বলতে পারছেনা ।
নীড় : আচ্ছা relax … relax … আগে ওকে হসপিটালে নেই চলো…
নীড় মোহনাকে কোলে তুলে নিলো ।

.

in the hospital …
ডক্টর মোহনার চেক আপ করে বেরিয়ে এলো ।
মেরিন : ডক্টর আমার মিষ্টু…
ডক্টর : patient অনেক shock এ আছেন ? ভয়ে? কি হয়েছিলো বলতে পারবেন ?
মেরিন সবটা বলল ।
ডক্টর : i see… ওকে এখন electric shock দিতে হবে। তা না হলে ওর জ্ঞান ফিরবেনা । জ্ঞান ফেরার পর ওকে আবার ঘুম পারানো হবে ।
মেরিন : হামম।
নীড় : যেটা ভালো হয় সেটা করুন ডক্টর ।
ডক্টর চলে গেলো ।
মেরিন বাসায় ফোন করে জানিয়ে দিলো। shock দিয়ে মেরিনের জ্ঞান ফিরিয়ে আবার ঘুম পারিয়ে রাখা হলো।কিছুক্ষনের মধ্যেই কবির-কনিকা , রেদোয়ান , দিপ্তী-অভ্র , অহনা-সৌরভ , লিনা ছুটে এলো । সবাই নীড়কে অসংখ্য ধন্যবাদ দিলো। রেদোয়ান তো নীড়ের হাত ধরে ধন্যবাদ বলতে গিয়ে কেদেই দিলো।

.

একটুপর…
নীড় : মেরিন…
মেরিন : thank u very much নীড়… আপনি মিষ্টুকে না আমাকে বাচিয়েছেন..
নীড় : anything for my love & friend …
মেরিন : …
নীড় : যদি কিছু মনে না করো ১টা কথা জিজ্ঞেস করি ?
মেরিন : হামম।
নীড় : মোহনার এই ফোবিয়াটা কিভাবে কি?
মেরিন : আসলে মিষ্টু বয়স যখন ১বছর ২মাস তখন কাকীমা মারা যায়। মায়ের অভাব তো আর কেউ পূরন করতে পারেনা। তাই প্রায়ই ও আম্মু আম্মু করে অসুস্থ থাকতো। ১টা ছোট ফুপ্পি ছিলো। নাম শোভা । ফুপ্পির কার্বন কপি হলো মিষ্টু আর আমি। আসলে আসলে বাবার কোনো আপন বোন ছিলোনা। বা অন্য কাকাতো কাকাদেরও কোনো আপন বোন ছিলোনা। just শুভ্র কাকারই আপন ২বোন ছিলো । তাই ওরা ২জনই সমগ্র খান বাড়ির আদরের ছিলো। শোভা ফুপ্পি তো আমাদের ভীষন কাছের ছিলো। specially মিষ্টুর সাথে। ফুপ্পিমা বলতে অজ্ঞান ছিলো। ফুপ্পিও মায়ের মতোই আদর করতো মিষ্টুকে। জান ছিলো ফুপ্পির। মিষ্টুর তখন ৫বছর বয়স। আমার ৬। তখন ১দিন ফুপ্পি suicide করে। কারন কোন ১টা ছেলে। তাকে ধোকা দিয়েছিলো । অন্য ৫টা মরদেহর মতো ওই খাটে করে ফুপ্পিকেও দাফন করতে নিয়ে গিয়েছিলো। সেই থেকে ওই খাট ওর ফোবিয়া । ও মনে করে যে ওই খাটই ফুপ্পিকে ওর কাছে থেকে কেরে নিয়েছে । সময়ের সাথে ভালোবাসাকে তথা প্রেম জিনিসটাকেও ঘৃণা করতে শুরু করে ।
নীড় : so sad… আর অন্য ফুপ্পি?
মেরিন : জানিনা। জানিনা কেন ওই ফুপ্পির কথা কেউ কেন বলেনা। সবাই শোভা ফুপ্পির কথাই বলে।
নীড় : ওই ফুপ্পির নাম কি ছিলো?
মেরিন : মনে নেই। ফুপ্পি যে ছিলো সেটা আবছা আবছা মনে পরে। মিষ্টুর তো হয়তো সেটাও মনে নেই। ওই ফুপ্পির কথা কেউ জিকির করেনা । তাই সে স্মৃতির পাতায়ও নেই। হয়তো তেমন করে শোভা ফুপ্পির কথাও মনে থাকতোনা। প্রতিবছর তার মৃত্যুবার্ষিকী আর মিষ্টুর এই problem টার জন্য শোভা ফুপ্পি আজও আছে আমাদের মাঝে। সেই সাথে সবার মুখে শোভা ফুপ্পির স্বভাব টভাব উল্লেখ হয়। তাই তার সম্পর্কে জানি…
নীড় : ওহ। i see… আচ্ছা ঢাকাইয়া… বাদ দাও। বাকীটা অন্যসময় জানা যাবে। মোহনা একদম ঠিক হয়ে যাবে। don’t worry… আসছি ।
নীড় চলে গেল । মেরিনও মোহনার কাছে গেলো নীড় চলে যেতেই সাগর এলো। সাগরকে লিনা ফোন করেছে । দূর থেকে মোহনাকে দেখতে লাগলো ।
সাগর : চাইলেও তোমার সমস্যা গুলো দূর করতে পারছিনা … এ কেমন ব্যার্থতা আমার …

.

রাতে…
মোহনার ঘুম ভাঙলো। বরাবরের মতো মেরিনকেই কাছে পেলো । ওর মাথায় হাত বুলিয়ে দিচ্ছে ।
মোহনা : কককিরে কককি খবর তোর …
মেরিন : আমার কিছু হলে তোর যেই খবর হয় আমারও সেই খবর ।
মোহনা : ড্রামাবাজ।
অহনা ২জনের জন্য খাবার নিয়ে এলো ।
অহনা : এই যে জোরা কবুতর কিছু খেয়ে নাও। বাসা থেকে খাবার নিয়ে এসেছি ।
মোহনা : তুই কিছু খাসনি কেন ?
অহনা : তোর কিছু হলে মেরিন কি কখনো কিছু মুখে দেয় ?
মোহনা : huh….
মেরিন : ভেঙানোর কারন ?
মোহনা : তুই পিচ্চি তুই বুঝবিনা ।
মেরিন : ওই ১টা থাপড়া দিয়া চান্দে পাঠাইয়া দিমু… ?…
মোহনা : চোট্টাবাজ। awwwe ki cute…
২ঘন্টা পর মোহনাকে রিলিজ দেয়া হলো । মেরিন মোহনাদের বাসাতেই গেলো ।

.

একটুপর…
মোহনা ঘুম । নীড় ফোন করলো।
মেরিন : হ্যালো …
নীড় : i love u…
মেরিন : হ্যালোর জবাব যে i love u হয় সেটা আজকে জানলাম। ?।
নীড় : ওটা তুমি বুঝবেনা। মোহনার ঘুম ভেঙেছে? ভালো আছে এখন ?
মেরিন : হামমম। ভালো আছে । আবার ঘুমিয়েছে। মেডিসিনের প্রভাবে ।
নীড় : ওহ। ভালো।
মেরিন : আপনাকে অনেক অনেক thank u…
নীড় : i love u…
মেরিন : huh…
নীড় : হাহাহাহাহা। একটু হাসবে বনপাখি…
মেরিন : কি?
নীড় : একটু হাসবে বনপাখি ?
মেরিন : বনপাখি কি ?
নীড় : তুমি
মেরিন : মানে ?
নীড় : তোমার মানে বুঝতে হবেনা। পাবলিক বুঝলেই হলো ।
মেরিন : কুছভি। huh… bye..
নীড় : ওই আমি কি রাখতে বলেছি?
মেরিন : আপনার order নিয়ে রাখবো ? ?।
নীড় : হামম।
রাত ৩টা পর্যন্ত ২জনের খুনসুটিময় প্যাচাল পারলো।

.

কথা বলার পর…
মেরিন : লোরটা মোটামোটি মনের দিক থেকে ভালোই মনে হচ্ছে । এমন ১টা মানুষ যদি মিষ্টুর জন্য পেতাম… আচ্ছা মিষ্টুর জন্য তো উনাকেই সেট করা যায়। উনিই হয়তো মিষ্টুর মনে ভালোবাসা জাগাতে পারবে। ?।
কিন্তু উনি যে আমাকে ভালোবাসে!!! হতেও তো পারে যে এট উনার ভালোবাসা না ভালোলাগা । তবে উনাকে দেখলে আমার heartbeat বারে কেন? যাই হোক ৫-৭দিন গেলে উনার সাথে এই বিষয় নিয়ে কথা বলবো । ?। তবে কালকে মিষ্টুকে বলতে হবে যে ওর মিস্টার ঢোলই ওকে বাচিয়েছে … এতে ওর মনেও নীড়ের জন্য soft corner creat হবে। হায় আমি কতো বুদ্ধিমান।

.

পরদিন …
মেরিন মোহনাকে বলল।
মোহনা : তাই ? ভালোই। তোকে impress করার দারুন সুযোগ ।
মেরিন : এমনও তো হতে পারে যে অন্য কোনো কারন।
মোহনা : অন্য আবার কি কারন ?
মেরিন : who never know …
মোহনা : তুই কি বলছিস আমার মাথায় ঢুকছেনা । পাগল।
মেরিন : তুই পাগল।
মোহনা : তুই…
মেরিন : তুই…
২জন : তুই পাগল তোর বাপে পাগল তুই পাগল তোর বাপে পাগল … হাহাহাহাহা। awwwe ki cute…
নীড় : এমন গান আপনাদের কাছেই আশা করা যায়। ?।
২জন দরজার দিকে তাকালো । দেখলো দিপ্তী , নিহাল , নীলিমা , নীড় দারিয়ে আছে । নীড়রা মোহনাকে দেখতে এসেছে ।

.

কিছুদিনপর…
মেরিন-মোহনা কলেজে গেলো । ব্রেক টাইমে আড্ডা মারছে তখন শুনতে
পারলো : hello girls …
২জন পিছে ঘুরে দেখে সাগর দারিয়ে আছে । ২জন ডেভিল স্মাইল দিলো ।
২জন : হ্যালললো মিস্টার জল্লাদ কুতুবমিনার …
সাগর : whatsapp…
২জন খোচা মেরে
বলল : তো মিস্টার জল্লাদ কুতুবমিনার আপনি এখানেও টিচার হয়ে এসেছেন?
সাগর : না আবার হ্যা ও…
২জন : মানে মানে!!!
সাগর : আমি এখানে সার্জেন হয়ে এসেছি। মাঝে মাঝে আমার সার্জারি তোমাদের follow করতে হবে। ?।
২জন : দেখা যাবে । huh… ঢপ মারা হচ্ছে ? huh…. দেখা যাবে।
বলেই ২জন চলে গেলো ।
সাগর : তোমাকে আর চোখের আড়াল করতে সাহস পাইনা । তোমাকে হারাতে চাইনা…

.

৪-৫দিনপর…
নীড় মহাআনন্দে রমনায় দারিয়ে আছে । হাতে ১গুচ্ছ কালোগোলাপ নিয়ে । কারন আজকে মেরিন নিজে থেকে দেখা করতে চেয়েছে ৪টায়।নীড় ২টা বাজে থেকে এসে দারিয়ে আছে । আর অপেক্ষা করছে কখন মেরিন আসবে । নীড় মনে করছে যে মেরিন হয়তো ওকে ভালোবাসার কথা বলবে । অবশেষে নীড়ের প্রতীক্ষা শেষ হলো। হালকা আকাশী রঙের ১টা থ্রিপীছ পরে ।
মেরিন : hello… thanks for coming …
নীড় : তুমি ডাকবে আর আমি আসবোনা ?
মেরিন ১টা বড় নিঃশ্বাস নিয়ে বলতে শুরু করলো।
মেরিন : দেখুন ভালোলাগা আর ভালোবাসা ২টো আলাদা । আর ১ম দেখায় আমার মনে হয় না কখনো ভালোবাসা হতে পারে…. সেটা ভালোলাগা হয় ।আর আমার মিষ্টু চেহারারও যথেষ্ট মিল আছে । আর সেই সাথে স্বভাব তো পুরোই মিল। তাই আমাকে ভালো লাগলে নিঃস্বন্দেহে মিষ্টুকেও যে কারও ভালো লাগবে । আমি কখনো কোনো কষ্ট বা আঘাত পাইনি । আর না মনে তেমন দুঃখ আছে । কিন্তু মিষ্টু… ওর মনে অনেক কষ্ট । ওর জীবনে এমন ১জনকে দরকার যে ওকে সকল কষ্ট সকল আঘাত থেকে দূরে রাখতে পারবে । যার মন অনেক ভালো হবে । আপনি ১জন ভালো মনের মানুষ। আমার প্রতি যে ভালোলাগা সেটা দূর করে আপনি অনায়সে মিষ্টুকে মনে জায়গা দিতে পারেন। আপনাকে তো আর আমি force করতে পারিনা। তাই বলছি যদি সম্ভব হয় তবে মিষ্টু আপন করে ন…
শেষ করতে পারলো না। ঠাস করে মেরিনকে থাপ্পর মারলো। মেরিন গুরিয়ে নীড়ের দিকে তাকালো। মেরিন return এ থাপ্পর মারলো। এরপর কলার ধরে
বলল : এতো বড় সাহস… আমাকে থাপ্পর … আমাকে ?
নীড় মেরিনের হাত কলার থেকে সরিয়ে হাত ধরে মেরিনকে ঘুরিয়ে হাত মোচর দিয়ে একেবারে নিজের বুকের সাথে মিশালো । মেরিন হাত ছারানোর চেষ্টা করছে । কিন্তু পারছেনা ।
নীড় : শতজনম সাধনা করলেও আমার বাধন থেকে নিজেকে ছারাতে পারবেনা। অনেক চেষ্টা করেছি নিজেকে control করতে তোমাকে থাপ্পর না মারতে । কিন্তু তুমি কোনো option ছারোনি। আমার ভালোবাসাকে ভালোলাগার নাম দিয়েছো fine… কিন্তু আমার মনে অন্যকাউকে জায়গা দিতে বলার অধিকার তোমার নেই । আমি কি ১বারও তোমাকে জোর করেছি আমাকে ভালোবাসতে ? বলো বলেছি কিনা ? তবে তুমি কোন সাহসে এই কথা বললে ? বলো… ans me damn it…
মেরিন : …
নীড় : তোমার #Bestfriend কে জিজ্ঞেস করে দেখো যে যেটা করেছো সেটা ঠিক না ভুল… & শেষ কথা … এতোদিন চেয়েছিলাম ভালোবেসে তোমার মন জয় করতে । তোমার সম্মতিতে তোমাকে পেতে চেয়েছিলাম । কিন্তু তুমিই সেটা হলে দিলেনা । আর তাই শুনে রাখো … ২দিন আগে বা পরে তুমি আমারই বউ হবে। তুমি চাও আর না চাও। by hook or by crook… mind it মিস মেরিন বন্যা খান … you have to be mine…
বলেই নীড় মেরিনকে ছেরে দিলো। এরপর চলে গেলো।
মেরিন : পাগলের মাথা ছাগলের ঠ্যাং নষ্ট মুরগির ডিম। বাসী ice cream … তোকে দেখে নিবো শালী … মানলাম ভুল করেছি । তাই বলে আমাকে থাপ্পর মারবি ? যেখানে কেউ কোনোদিনও আমাকে মারেনি । তোকে আমি …

.

রাতে…
থাপ্পরের প্রভাবে মেরিনের জ্বর এসে গিয়েছে । আর বারবার মোহনার নাম নিচ্ছে ।
কবির : মিষ্টিকে ১বার ফোন করবো ?
কনিকা : কতো রাত হয়ে গিয়েছে বলোতো। আর মেয়েটাও মাত্র কিসে থেকে উঠলো ।
কবির : কিন্তু এটাতো জানা কথাই যে মোহনাকে ছারা মেরিন ঠিক হয়না আর মেরিনকে ছারা মোহনা ঠিক হয়না …
কনিকা : তাহলে ফোন করবো বলছো ?
কবির : থাক বাদ দাও।

.

পরদিন…
মেরিনের ফোন বন্ধ পেয়ে মোহনা সোজা মেরিনদের বাসায় চলে এলো ।
মোহনা : কাকীমা মেরুন কোথায় ?
কনিকা : শুয়ে আছে ।
মোহনা : শুয়ে আছে? কলেজ যাবেনা ?
কনিকা : আসলে জ্বর এসেছে ।
মোহনা : কি ? কখন ?
কনিকা : কালকে রাতে …
মোহনা : কি ? আমাকে জানাওনি কেন ?
বলেই মোহনা দৌড়ে মেরিনের রুমে গেলো। গিয়ে দেখে মেরিন ঘুম । মোহনা মেরিনের কপালে হাত দিয়ে দেখলো হালকা জ্বর আছে ।
মোহনা : এর হঠাৎ করে জ্বর কি করে এলো ?

.

পরদিন…
মোহনা : ওই তোর হঠাৎ জ্বর কেন এলোরে ?
মেরিন : এমনি…
মোহনা : কিছু লুকাচ্ছিস ?
মেরিন : না তো।
মনে মনে : তোকে বলি মরতে ? তুই সত্যিটা জেনে যাবি । আর জানলে যদি বন্ধুত্ব ভেঙে দিস … না না। তোকে ছারা থাকতে পারবোনা ।
মোহনা : কি ভাবছিস ?
মেরিন : জানিস মাঝে মাঝে আমার কি মনে হয়?
মোহনা: না।
মেরিন : mbbs ডিগ্রি পাওয়ার আগে আমরা phd ডিগ্রি পাবো।
মোহনা : মানে ? কিসে?
মেরিন : অসুস্থ থাকায়।
মোহনা : awwwe ki cute…
বলেই ২জন হাহা করে হাসতে লাগলো।

.

অন্যদিকে …
সাগর : কিরে আজকে আমাকে urgent ডেকে আনলি কেন ? এতো রেগে আছিস কেন ? তোর জন্য মেডিকেলেই যাওয়া হলোনা … মোহােপাখিকে দেখতে পারলামনা ।
নীড় : ওই তোকে আসতে বলেছে কে? যা তো যা… আমার থেকে তোর মোহোপাখি important হয়ে গেলো?
সাগর : আব্বে সালি ( শালী ) কয়কি ? তুইতো আমার জিগরি দোস্ত। সবববার আগে ।
নীড় : একদম আলকাতরা মারবিনা। শালি… i mean শালা ।
সাগর : কিরে তোর language এর band বাজলো কি করে ?
নীড় : তোরটা যেমন তোর মোহোপাখির জন্য আমারটাও তেমনি বনপাখির জন্য ।
সাগর : বনপাখি… হামমম। ?।ছবিও তো দেখালিনা।
নীড় : তুই লাগে দেখিয়েছিস ? ?।
সাগর : দেখ আমাদের মধ্যে তো ডিলই হয়েছিলো যে যেদিন তোর জীবনেও কেউ আসবো সেদিন ২জন ২জনকে ১সাথে ছবি দেখাবো।
নীড় : হামম।
সাগর : তাহলে সালী ( শালী ) এততো ক্ষেইপপা আচো ক্যালা ?
নীড় : সেটা বলতেই তো ডাকলাম।
সাগর : হ হ কইবা কইবা। মাগার তার আগে জলদি কইরা তোমার বনপাখির চবি ( ছবি ) টা দেখাইয়ালাও । দেগবার চাই। তর সইতাচে না ।
নীড় : আবার ঢাকাইয়া ভার্সন শুরু করলি ?
সাগর : আবার জিগায়। ভুইললা যাচ ক্যালা আমার নানিমা ঢাকাইয়া কুট্টি । যারে কয় original ঢাকাইয়া । অহন আর বাত না কইরা দেখাও …
নীড় : আচ্ছা। ready 1,2,3 বলে একসাথে দেখাবো।
সাগর : done…
২জন : ready 1…2…3… show…
২জন একসাথে দেখালো ।
নীড় : মোহনা…
সাগর : মেরিন…

চলবে…

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে