Bestfriend part : 7

0
2960

#Bestfriend
part : 7
writer : Mohona

.

মোহনা : what? সকালবেলা সকালে কি নেশা টেশা করেছিস নাকি?
মেরিন : আমি ঠিকই বলছি। তুই advicor কে ask কর।
মোহনা : করছি।
মোহনা খোজ নিয়ে দেখলো সত্যিই এমনটা হয়েছে। আর সব করেছে শুভ্র।
মোহনা : মিস্টার খা…ন… ???
মোহনার ডাক শুনে শুভ্রর হাত থেকে চায়ের কাপ পরে গেলো। মোহনা রেগে নিচে গেলো।
মোহনা : আ…
শুভ্র : এর আগে তুমি কিছু বলো আমি বলতে চাইযে তোমার আর মেরিন মামনির re-admission করানো হয়েছে । উত্তরা মেডিকেল কলেজে।
মোহনা : কিন্তু কেন ? আমরা হলিতেই পড়বো।
শুভ্র : ওখানের facilities এখানের থেকে ভালো ।
মোহনা : হোক আমরা এখানেই পড়বো।
শুভ্র : না । আর কোনো কথা বললে টাকা-পয়সা বন্ধ।
মোহনা : হিরো আলম মার্কা আমির খান ।
কবির : মামনি…
মোহনা : কাকা…
মোহনা গিয়ে কবিরকে জরিয়ে ধরলো।

.

মেরিন ড্রাইভ করছে । সেই সাথে কিছু ভাবছে । মেরিন কিছু না মিলাতে পারলেই বা জবাব না পেলেই ড্রাইভ করে ।
মেরিন : কি এমন কারন যে বাবা কাকা ২জনই আমাদের কলেজ change করলো ? কিছুতো ১টা ঘাপলা আছে। কিন্তু কি?
ড্রাইভ করতে করতে মেরিন জ্যামে ফেসে গেলো ।
মেরিন : damn it…
তখন মেরিন পাশের রোডের দিকে তাকালো । দেখলো ১টা বাচ্চা রোডের মাঝের দিকে চলে এসেছে ।
মেরিন : আরে বাচ্চাটা যে রোডের মাঝে চলে এসেছে প্রায় । এর মা-বাবা কোথায়।
তখন ১টা ট্রাক হু হু করে আসছে ।
মেরিন : oh no…
মেরিন গাড়ি থেকে বের হতে নিলো । কিন্তু খেয়াল করলো যে গাড়িটা খুব কাছে চলে এসেছে । মেরিন তারাতারি নেমে দৌড়ে গেলো। ট্রাক ভীষন কাছে চলেও এসেছে। just আঘাত করবে। মেরিন ভয়ে চোখ ঢেকে নিলো । এতোটুকু বাচ্চার মৃত্যু নিজের চোখে দেখতে পারবেনা বলে…. ৩-৪মিনিট পর মেরিন চোখ থেকে হাত সরালো । চোখ মেলল। দেখলো বাচ্চাটা ১টা লোকের কোলে। লোকটার সাদা স্যুট রক্তে লাল হয়ে গিয়েছে। রাস্তায় ভীর জমে গিয়েছে । লোকটা বাচ্চাটার মা-বাবাকে খুব বকছে। লোকটা বাচ্চাটাকে মায়ের কাছে handover করে ঘুরলো । ঘুরে হাজার ভীরের মধ্যেও মেরিনকেই দেখতে পেলো ।
মেরিন : ক্ষীর…
নীড় মুচকি হাসি দিলো। এগিয়ে এলো । কিন্তু মাথায় যথেষ্ট ব্যাথা পাওয়ার জন্য.. আর রক্তক্ষরনের জন্য অজ্ঞান হয়ে পরে যেতে নিলো । মেরিন ধরে ফেলল।

.

কিছুক্ষনপর…
নীড়ের জ্ঞান ফিরলো । চোখ মেলল। দে়খলো নীলিমা বসে আছে । নীলিমার মুখে অদ্ভূদ হাসি । নীড় হয়তো বুঝতে পেরেছে ।
নীড় : মেরিন কোথায় ?
নীলিমা : পাশের রুমে।
নীড় : রুমে মানে?
মোহনা : মানে খুব সহজ । আপনাকে রক্ত দান করিয়া সে অজ্ঞান হয়ে পরিয়াছে। এখন তাকে স্যালাইন লাগানে হইয়াছে।
নীড় অস্থির হয়ে
বলল : কি!!!
মোহনা : আরে দারান দারান ক্ষীর চৌ়ধুরী chill মারুন। অজ্ঞান হওয়া মেরুনের রোজকার কাজ । আরো ছোটবেলায় আমাকে লিভার-রক্ত দিয়ে দিব্যি সু্স্থ আছে এখনও সুস্থ থাকবে ইনশাল্লাহ।
নীড় : মামনি আমি একটু মোহনার সাথে কথা বলবো।
নীলিমা চলে গেলো ।
মোহনা : কাহিনি কি বলুন তো মিস্টার ঢোল ?
নীড় : বসো এখানে।
মোহনা গিয়ে বসলো। হাতে থাকা ফু্লের তোরাটা নীড়কে দিলো ।
নীড় : thank u… তো ম্যাডাম গুন্ডী আজকে আমার সাথে ভালো ব্যাবহার??
মোহনা : ভালো কাজের বাহবা খান বাড়ির মানুষ ভালোভাবেই দিতে পারে।
নীড় : আমার বন্ধু হবে?
মোহনা : ?। আপনাকে characterless বলা ভুল হবেনা। । ভালোবাসতে চান মেরুনকে আর friendship করতে চান আমার সাথে???
নীড় : আমার মেরিনের bestfriend তো আমারও friend …
মোহনা : ?।
নীড় : কি হলো বলো? আমার বন্ধু হবে প্লিজ…
মোহনা : আমি যে কাউকে বন্ধ বানাইনা । জীবনে যে ১টাই বন্ধু বানিয়েছি। আর বানাতে চাইনা….
নীড় : আমি কিন্তু বন্ধু হিসেবে ভালো।
মোহনা : huh… দেখা যাবে। আগে friend হওয়ার টেস্টে তো pass হন।
নীড় : পাগলি … মেরিনের সাথে কথা বলতে পারি?
মোহনা : আমার থেকে permission নিচ্ছেন যে ?
নীড় : কারন তুমি তো মেরিনের জানু…

.

একটুপর…
মেরিনের জ্ঞান ফিরলো। চোখের সামনে নীড়কে দেখতে পেলো। অবাক হলো। কারন অজ্ঞান হয়ে জ্ঞান ফেরারপর ও মোহনাকে দেখে অভ্যস্ত।
মেরিন : আআআ… ???…
মেরিনের চিল্লানোতে নীড়ের কান ফেটে যাওয়ার অবস্থা । নীড় মেরিনের মু়খ চেপে ধরলো।
নীড় : চুপ…
নীড় মেরিনকে ছারলো।
নীড় : চিল্লাও কেন?
মেরিন : কারন আমি চিল্লাতে পারি। আপনি এখানে কেন? মিষ্টু কোথায়?
নীড় : আছে আছে শালিকা আছে । বাহিরে আছে শালিকা ।
মেরিন : শালিকা মানে ?
নীড় : my dear জান শালিকা মানে শালিকা … তো জান আপনি আমাকে রক্ত দি়য়ে বাচালেন যে ? আপনিও কি … ?
মেরিন : আপনি চুপচাপ আমার সামনে থেকে সরুন। যত্তোসব পাগলের মাথা ছাগলের ঠ্যাং…
নীড় : হায় কি cute কথা… প্রেমে পরে যাওয়ার মতো…
মেরিন : ওই পাগলের মাথা ছাগলের ঠ্যাং গলা কাটা ব্যাঙ … কানকাটা তেলাপোকা শিংকাটা হনুমান ডানাকাটা ডাইনোসর… ব্যাটা ঢোল…
নীড় : i love you…
মেরিন তো মহাঅবাক।

.

মোহনা : আমি আমার জীবনে কাউকে আসতে দিবোনা এর মানে তো এটা নয় যে তোর জীবনেও কেউ আসবেনা । না হলে যে ঢাকাইয়া বুড়ির বানী সত্যি হয়ে যাবে। তবে যদি ওই শালি ঢোল আমাদের মাঝে আসার চেষ্টা করে যে এমন band বাজাবো যে বলার বাহিরে। huh…
মোহনা আনমনে বকবক করতে করতে হাটছে। আর তখন কারো সাথে ধাক্কা লেগে পরে গেলো ।
মোহনা : আমার কোমর গেলো গো। একি স্যার আপনি ? না না এখন তো আপনি আর আমার স্যার না ।
সাগর : sorry sorry…
বলেই চিন্তিত সাগর হন্তদন্ত হয়ে দৌড়ে হসপিটালের ভেতরে চলে গেলো ।
মোহনা : ওই মিস্টার কুতুবমিনার… এতো সাহস আমাকে ধাক্কা মারেন ? মনে রাখবেন এখন আপনি আমার স্যারনা। next time আপনাকে আর আপনার মা কে সামনে পেলে না করল্লার হালুয়া বানাবো…
সাগর সব শুনলেও কোনো জবাব দিলোনা। চলে গেলো।
মোহনা : ভয় পেয়েছে আমাকে দেখে। awwwe ki cute… তবে এই জল্লাদ মার্কা কুতুবমিনার হসপিটালে কেন ? নিশ্চয়ই বউ মরেছে। মরুক আমার জামাইর কি??? আল্লাহ যদি এর বউ হয়ে থাকে তবে যেন না মরে। এর আর এর মাকে যেন হারে হারে হারে জ্বালায় । যেন ইততুটুকুও শান্তি না পায় । huh…

.

৭দিনপর…
মেরিন : ধ্যাত ভালো লাগেনা । আগের ক্যাম্পাসটা কতো দারুন ছিলো।
মোহনা : হ্যা একেবারে awwwe ki cute… এই ক্যাম্পাসটা ফকিন্নি মার্কা লাগে ।
মেরিন : আগের ক্যাম্পাসটা ছিলো। yummy চকোলেট। আর এটা হচ্ছে milk & strawberry chocolate …
মোহনা : হামম।
তখন মেরিনের ফোন বেজে উঠলো ।
মেরিন : আবার…
মোহনা : হায় … কতো care… এই দৃশ্য দেখে তো আমার চোখে পানি চলে এলো। হাহাহাহাহা।
মেরিন : যা সর ফকিন্নি। ধরবোনা।
আসলে ৭দিন ধরে প্রায় প্রতি ঘন্টায় নীড় মেরিন কে ফোন। করে।
মেরিন এখন আর ফোন ধরলো না। বন্ধ করে রেখে দিলো ।
মেরিন : oh damn it… গাড়ির চাকা পাংচার।
মোহনা : আমার গাড়ি নিয়ে যা।
মেরিন : তোর গাড়ি নিয়ে গেলে তুই ফিরবি কি করে।
মোহনা : আমার ফিরতে ফিরতে তো ২-৩ঘন্টা বাকি। ততোক্ষনে এটাকে ঠিক করে নিবো। তুই আমার গাড়ি নিয়ে যা । তোর গ্রুপের গাড়ি কিন্তু বেরিয়ে গিয়েছে।
মেরিন : কতোদিন যে এভাবে আলাদা আসবো আলাদা যাবো। তোর id B তে কি করে গেলো। আরো ৩দিন।
মোহনা : আরে তারাতারি যা। আজ ১ম দিন লেট হবি নাকি ? মিরপুর রোডে যে জ্যাম পরে। শেরেবাংলানগর পৌছাতে পৌছাতে বুড়ি পালিয়ে যাবে। আর practical বলে কথা। no ঘাপলা।
মেরিন : হামম। তুই সাবধানে যাবি কিন্তু । বেশি লেট হলে অহনা আপুর বাসায়ে থেকে যাস । নাকি আমি আসবো আবার।
মোহনা : ওই তুই যা তো যা…
মেরিন : যাচ্ছি যাচ্ছি… শয়তাননি…

.

বিকালে…
মেরিন শেরেবাংলানগরের NINS থেকে ল্যাব ক্লাস করে বাসায় ফিরছে । তখন কেউ ওর গাড়ি আটকালো। মেরিন তো রেগে গাড়ি থেকে নামলো ।
মেরিন : এই কোন শালিরে আমার পথ আটকায় ? সসসসাগর স্যার… আআআপনি?
সাগরও মেরিনকে দেখে অবাক হলো। কারন এটা মোহনার গাড়ি।
মেরিন মনে মনে : স্যার কিসের স্যার ? এটাতো আর এখন আমাদের স্যার না । আমরা তো এখন অন্য কলেজের । এটা এখন কুতুবমিনার। ?।
সাগর মনে মনে : আরে এটা তো মোহোপাখির গাড়ি… মেরিন কি করে বের হলো!!! ।
মেরিন : এই মিস্টার গলা লম্বা কুতুবমিনার আপনি কোন সাহসে আমার পথ আটকান?
সাগর : আমার অনেক সাহস। & you know that… তবে আমি অবাক এটা ভেবে যে তুমি কোন সাহসে এই কথা বলছো?
মেরিন : কেন আমার সাহসে। ?।
সাগর : তুমি কি ভুলে গেছো আমি কে?
মেরিন : আপনি কুতুবমিনার।
সাগর : কি কি বললে তুমি?
মেরিন : এমা স্যার আপনার কানে সমস্যা কবে থেকে!!! ডক্টর দেখান। নিজের treatment তো আর নিজে করতে পারবেননা। তাইনা ? এখন সরুন তো সরুন। আজকে ক্লাস করে ল্যাব করে অনননেকগুলো tired…
সাগর : আমি তোমার স্যার নই বলে খুব উরছো তো মেরিন । সাগর চৌধুরী আমার নাম ।
মেরিন : তাতে আমার বাপের কি ? আমার ২৫ গুষ্ঠির কি?
বলেই মেরিন গাড়ি নিয়ে চলে গেলো।
সাগর : এই খান বাড়ির মেয়েদের যেমন তার ছিরা তেমনি তেজী। ঠিক আমার ….

.

অন্যদিকে…
মোহনাও ক্লাস করে বাসায় ফিরছে ।
মোহনা : কোন রোড দিয়ে যাই ???
তখন ওরও পথ আটকালো। তাও নীড় আটকালো ।
মোহনা : আগের experience থেকে মন বলছে এটা ওই ঢোলই হবে । কারন একমাত্র তিনিই আমার সাথে গাড়ি ঠোকাঠোকি করতে আসেন । ১কাজ করি গ্লাসটা হালকা নামাই ।
নীড় রেগে গাড়ির সামনে এলো।
নীড় : এই মেয়ে এই কতোক্ষন কতোঘন্টা ধরে ফোন করছি ধরছো না কেন? জানো কতো tension হচ্ছিলো আমার ? ফোনটা ধরলে কি হতো ?
মোহনা মনে মনে : ঠিক ধরেছি যে এটা মিস্টার ঢোল । কিন্তু এ আমাকে ফোন করলো কবে?
নীড় : ans me damn it…
মোহনা : আপনি আমাকে ফোন কখন করলেন ?
কন্ঠ শুনে নীড় অবাক হলো। মোহনা গ্লাসটা নামালো ।
নীড় : আবার তুমি?
মোহনা : হামম হামম। আবার আমি। আপনিই তো বরাবর আমার সাথেই গাড়ি ঠোকাঠোকি করেন । তাই আমিই হবো। সেটাই স্বাভাবিক।
নীড় : এটাতো মেরিনের গাড়ি ।
মোহনা : হ্যা তো? আপনার সমস্যা ?
নীড় : না আমার সমস্যা হবে কেন ? মেরিন ঠিক আছে? ও ফোন ধরছে না কেন?
মোহনা মনে মনে : ১কাজ করি উল্টাপাল্টা কিছু বলি। না না যে রাগী রাগী বিরহ প্রেমিক sound করছে … উল্টাপাল্টা কিছু বললে heart attack না করে।
মোহনা গাড়ি থেকে নামলো। এরপর নীড়কে সবটা বলল।
নীড় : ওহ । তোমাকে পৌছে দি…
মোহনা : কেন আমার কি গাড়ি নেই?
নীড় : না তা না। আচ্ছা শোনো আমার বন্ধ হওয়ার পরীক্ষা কবে থেকে ?
মোহনা : যেদিন থেকে মেরুন বলবে ।

.

২দিনপর…
মেরিন-মোহনা হাটছে। ice cream – chocolate খেতেখেতে । আর বকবক করছে
মেরিন : আচ্ছা মিষ্টু এই নীড়-সাগর ২জনই চৌধুরী আর ২জনই বিপজ্জনক ।
মোহনা : হ্যা ঠি…
মেরিন : কি হলো থেমে গেলি কেন…
মেরিন মোহনার দিকে তাকালো । দেখলো মোহনার হাতের ice cream – chocolate নিচে পরে আছে। চোখে মুখে ভয়। কপালে ঘাম।
মেরিন : কি হলো হঠাৎ করে …
মেরিন মোহনার চোখ বরাবর তাকালো । দেখলো ১টা মৃতব্যাক্তিকে দাফন করতে নিয়ে যাচ্ছে । আর ছোটবেলা থেকেই এই খাটটা মোহনার ১মাত্র ভয়। ওর phobia…
মেরিন : oh no… মিষ্টু মিষ্টু … আমার দিকে তাকা …. তাকা তাকা তাকা । আমার দিকে তাকা । ওই দিক থেকে চোখ সরা। মিষ্টু মিষ্টু।
মোহনা রীতিমতো কাপছে। মেরিন মোহনাকে ১চুলও সরাতে পারলোনা।

.

মেরিন : কি করি কি করি? কাকে ফোন করি ? বাবাকে? বববাবাতো …
তখন মেরিনের mobile বেজে উঠলো । দেখলো নীড়। কেন যেন নীড়ের ফোনে মেরিন ভরসা পেলো ।
মেরিন : হ্যালো নীড়…
নীড় : মেরিন… তোমার কন্ঠ এমন লাগছে কেন ? কি হয়েছে ? ঠিক আছো তুমি?
মেরিন : মিষ্টু …
নীড় : কি হয়েছে মোহনার?
মেরিন : মিষ্টু…
নীড় : আচ্ছা কোথায় আছো তোমরা ?
মেরিন : সেগুনবাগিচা…
নীড় : আমি এখনই আসছি…

.

চলবে…

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে