Bestfriend part : 6

0
3168

#Bestfriend
part : 6
writer : Mohona

.

সানগ্লাসটা হাত থেকে পরে গিয়ে ভেঙো গেলো ।
মোহনা মনে মনে : oh my প্রিয় আল্লাহ। দরি ফেলো আমি এই বুড়ি আর এর জল্লাদ স্যারকে ওপরে তুলে দেই… কি করবো? ছুটে পালিয়ে যাবো ? ইশ আমি যদি মেরুন হতাম তবে হয়তো অজ্ঞান হতে পারতাম… কেন যে মেরুন হলাম না… ১মিনিট সত্যিকারের অজ্ঞান নাই বা হলাম। মিথ্যাকারের অজ্ঞান তো হতেই পারি। 3…2…1… মোহনা তুই অজ্ঞান …
ভেবেই মোহনা চোখ বন্ধ করে ধপাস করে পরে যেতে নিলো।
সাগর : মোহো…
সাগর মোহনাকে ধরে ফেলল । আর বুঝতে পারলো যে মোহনা সত্যিকারের অজ্ঞান হয়নি…
শিখা : তুমি একে চিনো?
সাগর : ও আমার student মামনি…
শিখা : এই বজ্জাত বেয়াদব মেয়েটা তোমার student ?
সাগর : ?। তুমি শপিং করে বাসায় চলে যাও । এই যে চাবি। আমি ওকে বাসায় পৌছে দিচ্ছি ।
শিখা : তুমি কেন পৌছে দিবে ? ?।
সাগর : মামনি ও আমার student .. so আর ড্রামা কোরোনা।
শিখা : কি আমি ড্রামা করি?
সাগর : মামনি আসছি…
বলেই সাগর মোহনাকে কোলে তুলে মোহনার গাড়ির কাছে নিয়ে গেলো ।

.

মোহনা মনে মনে : বাহ কোলে উঠে ঘুরতে তো awwwe ki cute ই লাগে ।
সাগর : ওই ড্রামা কুইন আমি জানি তুমি অজ্ঞান হওনি।
মোহনা অবাক হয়ে চোখ মেলল ।
মোহনা : আপনি কি করে জানলেন ?
সাগর : কারন আমি তোমায় শিরায় শিরায় চিনি…
মোহনা : কি?
সাগর : ১জন ডক্টর হয়ে যদি এতোটুকু না বুঝি তাহলে ডক্টর হওয়া বেকার…
মোহনা নামতে নিলো। কিন্তু সাগর নামতে দিলোনা ।
মোহনা : স্যার নামবো …
সাগর : আমার মামনির সাথে ঝগড়ার শাস্তি স্বরুপ তোমাকে কিছুক্ষন আমার কোলে থাকতে হবে … আমার সাথে lunch এ যেতে হবে…
মোহনা : না….
সাগর : তাহলে মার্কস কাটা যাবে..
মোহনা : ?।

.

.

মেরিন মামাবাড়ি যাচ্ছে… কবির-কনিকা আগেই চলে গিয়েছে । মেরিন এখন যাচ্ছে । পথের মধ্যে নীড় দারিয়ে আছে ব্লক করে ।
মেরিন : আবার ওই লোকটা … উফফ ওই লোকটা সামনে এলে heartbeat বেরে যায় কেন কে জানে? মিষ্টু মনেহয় ঠিকই বলে … যে এই লোক রোডে গাড়ি ঠোকাঠোকি করতেই নামে… শালি পাগলের মাথা ছাগলের ঠ্যাং …
মেরিন গাড়ি থেকে নামলো ।
মেরিন : আপনি কি actually গাড়ি ঠোকাঠোকির জন্য নামেন ?
নীড় মুচকি হাসলো ।
নীড় : সবার সাথেনা। তবে তুমি আর তোমার বেস্টু থাকলে আলাদা ব্যাপার ।
মেরিন : সরেন। মামাবাসায় যাবে ।
নীড় : যাবে । তবে তার আগে আমি তোমার কাছে মোহনার সম্পর্কে জানতে চাই ।
মেরিন : what? আপনি আমার মিষ্টুর সম্পর্কে জানতে চান কোন সাহসে?
নীড় : আমার সাহসে । ভেবেছিলাম আগে তোমাকে জানবো , বুঝবো । আরো ভালোবাসবো । কিন্তু এখন দেখছি তোমাকে জানার জন্য মোহনাকে জানা জরুরী।
মেরিন : আমার থেকে ১০০ হাত দূরে । আর আমার মিষ্টুর থেকে ১০০০ হাত দূরে থাকবেন। যদি আমার মিষ্টুকে hurt করার কথা কল্পনাও করেন তবে আপনার এমন হাল করবো যে জীবনে কোনোকিছু কল্পনা করতেই পারবেননা…
নীড় : ওরে বাবা । ভয় পেয়ে গেলাম… তোমার এমন কেন মনে হলো বলো তো যে আমি মোহনার ক্ষতি করবো।
মেরিন : কারন আপনি পচা তাই…
নীড় : পচা মানে ?
মেরিন : পচা মানে পচা । পচা তরকারী… নষ্ট মুরগীর ডিম, বাসী ice cream …
নীড় : কিহ? ?।
মেরিন : সেই সাথে মাইক মার্কা ফাটা বাঁশও…
বলেই মেরিন চলে গেলো ।
নীড় : এরা মানুষ না এলিয়েন…. আরো ১বার ভালোভাবে কথা বলবো জা…ন। এরপর থেকে… ?…

.

রাতে…
চৌধুরী প্যালেসে…
খাবার টেবিলে…
শিখা : রেদ তোমার মুখের এই অবস্থা কেন? ফুলে টম হয়ে আছো । অফিস থেকে এসেছো পর থেকেই এমন।
সাগর : হ্যা বাবা কি হয়েছে?
রেদোয়ান : শুভ্র খান…
শিখা : …
রেদোয়ান : এই শুভ্র খান নামক কালো ছায়াটাকে যদি চিরকালে শেষ করতে পারতাম…
শিখা : …
সাগর : বাবা … let it be…
রেদোয়ান : যা হয়েছে আমার ভাইয়ের সাথে হয়েছে সাগর। তুমি বুঝবেনা ।
সাগর : বাবা… তোমার মনে যতোটুকু রাগ আছে আমার মনে তার হাজারগুন রাগ আছে । কেবল আর কেবল তুমি আমাকে এই বিষয়ের থেকে দূরে থাকতে বলেছো । তা না হলে ওই শুভ্র খানকে …
শিখা : …
রেদোয়ান : চুপচাপ খাও …

.

খাওয়া-দাওয়ার পর …
সাগর রুমে বসে
ভাবছে : মোহোপাখিরে মোহোপাখি …তোমাকে কি করে নিজের করবো ? একে তুমি শুভ্র খানের মেয়ে । তারওপর আজকে মামনির সাথে যুদ্ধ । তারথেকেও বড় কথা you hate love… আমি জানি না আমি কি করে তোমাকে নিজের করবো ? তুমি ছারা যে আমি আমার জীবনে কাউকে ভাবতেও পারিনা। যতোই শুভ্র খানের ওপর রেগে থাকোনা কেন… নিজের বাবার প্রতি যে তোমার অনেক ভালোবাসা আছে সেটাও জানি….আর মমতা খানের জন্য যে তোমার ভেতরে হাজারও চাপা কষ্ট আছে সেটাও জানি। তোমাকে আমার থেকে বেশি কে চিনে বলো তো… তোমার আর শুভ্র খানের মধ্যে চলতে থাকা cold warএর মধ্যেই তোমাকে নিজের করতে হবে । তা না হলে চলবে না । তোমাকে যে তুলে নিয়ে বিয়ে করবো তারও উপায় নেই। তুমি তান্ডব করবে। আর আজকে শপিংমলের কাহিনির পরতো এ বাড়িতে তুমি এলে রোজ কিয়ামত হবে। কিন্তু ১ম ধাপ তো পার হতে হবে । কি করি? idea…

.

চৌধুরী ভিলাতে…
নীড় : নীড়রে নীড়… তুই জীবনে কি করলি… আর কোনো মেয়ে পেলিনা…. মেরিনের প্রেমে পরলি… তাএ যার কিনা মোহনার মতো ১টা friend আছে… friend না friend না… Bestfriend … মোহনার কি করবো?? তবে মেয়েটা যে জন্মের বদ সেটা তো জানি। বজ্জাত হওয়ার কারনে family এর সাথে অমন … নাকি family অমন বলে বজ্জাত… যাই হোক … মোহনাকে পটাতে হলে মেরিনের জন্য special কিছু করতে হবে । আর মেরিনকে পেতে হলে মোহনার সাথে friendship করতে হবে… কি জটিল।
নীলিমা : আমার ছেলের কাছেও জটিল শব্দটা আছে ? wow… দারুন তো। নিশ্চয়ই মেরিন related …
নীড় : মামনি… তুমি এতো ড্রামাবাজ কেন বলোতো… কিছু বলতে এসেছো?
নীলিমা : হামন । কাজ কতোদূর এগোলো? মেরিন কবে আমার বউমা হবে!
নীড় : মামনি পাগলের প্রলাপ প্লিজ বন্ধ করো। আর যাও। আমাকে ভাবতে দাও।

.

পরদিন…
ক্লাসে…
সাগর : কুইজে যারা ১২এর নিচে পেয়েছো তারা দারাও।
মেরিন-মোহনাসহ আরো ৪০-৫০জন দারালো ।
সাগর : question কি last classএর বাহিরে করেছিলাম?
সবাই চুপ। কিন্তু মেরিন-মোহনা মাথা নেরে না বলল।
সাগর : অনেক hard করেছি question ?
সবাই এবারও চুপ। কিন্তু মেরিন-মোহনা মাথা নেরে হ্যা বলল।
সাগর : মেরিন-মোহনা ছারা বাকীরা বসেন। তো আপনাদের ২জনের কাছে মনে হয় যে question hard ছিলো।
মেরিন : স্যার শুধু আমাদের ২জনের কাছে না সবার কাছেই মনে হয় যে qus hard ছিলো। কিন্তু কাহিনী হলো কেউ আপনার ভয়ে সেটা স্বীকার করবেনা।
সাগর : আর আপনারা আমাকে ভয় পাননা?
মেরিন : যমের মতো ভয় পাই। কিন্তু সত্যি কথা বলতে ভয় পাইনা ।
সাগর : তাই ?
মোহনা : জী স্যার। কারন আমরা awwwe ki cute…
সাগর : qus তো hard লাগবেই যদি ক্লাসে মন না বসে। মন যদি উরুউরু করে তবে কি আর কাজ হয়…??
মোহনা : স্যার আমরা যেমনই হই ক্লাস আমরা মনোযোগ দিয়ে করি…
সাগর : ও মা তাই… তাহলে লাস্ট ক্লাসে যে theory টা পড়িয়েছিলাম আপনি সেটার summery বলবেন… আর মিস মেরিন আপনি forensic law টা বলবেন। তাও মুখে…
২জন : মুখে!!!
সাগর : মুখের পড়ার কথা শুনলে আপনাদের মুখের ১৩টা বাজে কেন?
২জন : স্যার লিখে দেই?
সাগর : অতো সময় নেই।
২জন : স্যার ৫মিনিট লাগবে।
সাগর : যদি ৫মিনিটে না হয় বাহিরে বের করে দিবো। এমনিতেও আজকে আপনাদের surgery practical আছে। so fast…
২জন ৫মিনিটে লিখে তো দিলো। কিন্তু সেই লেখা পড়তে সাগরের হাল কেরোসিন হয়ে গেলো । কারন খুবই জঘন্য লেখা ।
সাগর : আপনারা নিজেদের লেখা বোঝেন?
মোহনা : আমারটা আমি বুঝিনা। কিন্তু মেরুন বোঝে।
মেরিন : আমারটাও আমি বুঝিনা মিষ্টু বোঝে।
সাগর : class … lets go to OT…
২জন : আমরাও কি join করবো?
সাগর : কেন আপনাদের কি আলাদাভাবে invitation card দিতে হবে?
২জন : ?।
সাগর : follow me…

.

ছুটিরপর…
মেরিন : কোনদিনযে আমি এই ব্যাডারে ধরে বুড়িগঙ্গায় চুবাবো তা নিজেও জানিনা…
মোহনা : আমার মতে একে ১দিন ঢাকাইয়া কুটনি বুড়ির সামনে বসিয়ে রাখবো। সারাদিন।
মেরিন : best হবেরে।। কিন্তু এটা বলতো আমরা animal shop এ কেন এলাম?
মোহনা : ফুল কিনতে। idiot…
মেরিন মোহনাকে ১টা ঠুয়া মারলো।
মেরিন : হারামি। কি কিনবি?
মোহনা : awwwe ki cute tom & jerry…
মেরিন : কি?
মোহনা : হামম।
মেরিন : ঢাকাইয়া কুটনি বুড়িকে ভয় দেখানোর জন্য না বিরক্ত করার জন্য ।
মোহনা : ২টাই।
মেরিন : তা ঠিক আছে । কিন্তু কাটাবন এলি কেন ?
মোহনা : আমারনা শাখারিপট্টির কাচ্চিবিরানি খেতে ইচ্ছা করছে। সাথে বোরহানি আর মশলা সালাদ… awwwe ki cute… tom & jerry এর order দিয়ে যাবো।
মেরিন : জিভে জল এনে দিলি যে । এই ওখান থেকে সদরঘাট যাবো।
মোহনা : awwwe ki cute idea…
মেরিন : জানিস আমতোকে তো বলতেই ভুলে গিয়েছি ।
মোহনা : কি ?
মেরিন : ওই যে নীড় না ক্ষীর …ইয়ারা ঢোল বাজাকে…ওই ব্যাডায় আসছিলো। বলে কি জানিস?
মোহনা : না…
মেরিন : বলে আমি মোহনার সম্পর্কে জানতে চাই…
মোহনা : হাহাহা। এখন কি আবার আমাকে বিয়ে করতে চায় নাকি?
মেরিন : হয়তো ? হাহাহা ।
মোহনা : সবই তো ঠিক আছে। কিন্তু এই জল্লাদ স্যার বেগুত জ্বালাচ্ছেরে।
মেরিন : nothing to do… he is our respectable teacher … যদিও সে unrespectable… ( disrespectable ) …
মোহনা : হামম।
মেরিন : but i have a দমদার বুদ্ধি।

.

মেরিন-মোহনা খাওয়া দাওয়া করে সদরঘাট গেলো।
মেরিন : জীবনে তো লঞ্চ নামক জন্তুতে উঠলামনা । চলো ঘুরে আসি ।
মোহনা : ২জনের ১জনও কিন্তু সাতার জানিনা।
মেরিন : আরে আমরা কি পানিতে ঝাপাবো নাকি ? চল।
মোহনা : চল ।
২জন টার্মিনালের ওখানে গেলো ।
মেরিন : এই ওটা কাকার গাড়িনা ?
মোহনা : কোন কাকা ?
মেরিন : আরে শুভ্র কাকা ।
মোহনা : তাতে আমার জামাইর কি? চল ।
মেরিন : আরে দারানা… দেখ না কাকার সাথে যেন কার তর্ক-বিতর্ক চলছে ।
রেদোয়ান আর শুভ্র মধ্যে অনেক তর্ক চলছে ।
মোহনা : লোকটা কে রে? ?।
মেরিন : জানিনা … ?।
মোহনা : এর সাহস তো খুবই কম এ আমাদের সামনে আমার বা… শুভ্র খানকে কথা শোনাচ্ছে…
মেরিন : হামম। চল তো দেখি এর কলিজা কতো বড়।
মেরিন-মোহনা যেতে রেদোয়ান গাড়ি নিয়ে চলে গেলো ।
শুভ্র : একি আমার সোনামনিরা এখানে যে…
মেরিন : কাকা লোকটা কে ছিলো? ওনার সাহস কি করে হয় তোমার সাথে তর্ক করার?
শুভ্র : তর্ক তো আমিও করছিলাম।
মেরিন : তাতে কি? উনি করবে কেন ?
শুভ্র : হাহাহা।. পাগলিরা। তোমরা এখানে?
মেরিন : হামম। লঞ্চ দেখতে এসেছি। ভেতর থেকে।
শুভ্র : ওহ great… আমার মামনিরা দেখতে এসেছে লঞ্চ ? আমি নিজে best গুলো ঘুরিয়ে দেখাবো। চলো ।
মোহনা : মিস্টার খান আমাদের পা আছে। আর সাথে টাকা আছে so আমরাই দেখে নিবো। আমার জন্য আপনাকে কষ্ট করতে হবেনা । আপনি আপনার মা কে কোলে নিয়ে ঘুরে দেখান। আর হ্যা ওই লোকটার নাম বললে মহাভারত শুদ্ধ হয়ে যাবেনা । huh… চল মেরুন।
মেরিন-মোহনা চলে গেলো।
শুভ্র তার পিএ রাকিবকে
বলল : আমার মেয়ে আর ভাগনির যেন কোনো অসুবিধা না হয়।
রাকিব : জী স্যার। স্যার এই মাত্র ১টা খবর পেয়েছি।
শুভ্র : কি?
রাকিব : রেদোয়ান চৌধুরীর ছেলে সাগর চৌধুরী হলি ফ্যামিলির টিচার হয়ে এসেছে। তাও কেবল মামনিদের section এই class নেয়। অনেক টাকা দিয়ে ।
শুভ্র : কি? আগে বললেনা কেন?
রাকিব : সসস্যার মাত্রই জানতে পারলাম।
শুভ্র : আমি তাইনা ওই বাড়ির কারো ছায়া নতুন করে আমার পরিবারের ওপর পরুক।

.

পরদিন…
মোহনার ঘুম ভাঙলো মেরিনের ফোনে।
মোহনা : এই কি হলোরে ট্যা ট্যা করছিস কেন ?
মেরিন : তুই migrate করেছিস কেন?
মোহনা : migrate মানে? কিসের migrate ?
মেরিন : ১টা থাপ্পর দিবো। কিসের migrate জানোনা?
মোহনা : না।
মেরিন : তুই মেডিকেল থেকে migrate কেন করেছিস?
মোহনা : কি???

.

চলবে…

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে