#Bestfriend
part : 32
writer : Mohona
.
নীড় : এসব কি খুবই জরুরী ছিলো সাগর…? হ্যা… বল। মেয়েটা কতো কষ্ট পেলো বলতো । তুইই বল। ছিঃ … এমন কাজ করলি কি করে ? খুবই কি প্রয়োজন ছিলো এসবের ?
সাগর : নীড় my জান… তুই কি জানিস না কেন করলাম ? কোন প্রয়োজনে করলাম?
নীড় : সব প্রয়োজন কি ভিত্তিহীন নয়? যেখানে মোহনাই কষ্ট পেলো।
সাগর : কষ্ট পেলো । একবারে পেলো। বারবার না। আমাদের বিয়ে হলে শুভ্র খান রোজ রোজ নতুন নতুন ঝামেলা করতো। ভুল বোঝাতো । আবার আজ না হয় কালকে মোহোর তো জানতেই হতো যে মামনি ওর ফুপ্পি।
নীড় : তাতে কি হয়েছে? মোহনা তোকে ভালোবাসে ।
সাগর : এরা খান বাড়ির মেয়ে … মেরিনকে দিয়ে প্রমান পাসনি?
নীড় : কিন্তু…
সাগর : ouch…
নীড় : oh sorry…
সাগর : আস্তে savlon লাগা dude… জ্বলছে তো।
নীড় : ভালো হয়েছে। মাইরের দৃশ্য রাখতে গেলি কেন? জানিস না আমি আস্তে মারতে পারিনা।
সাগর : তুই ইচ্ছা করেই জোর মেরেছিস। কারন আমার plan তোর ভালো লাগেনি।
নীড় : লাগেনিই তো … একই দিনে একই সাথে তুই মোহনাকে আর আমি মেরিনকে বিয়ে করে দেখিয়া দিতাম ওই শুভ্র আর কবির ফয়সাল খানকে।
সাগর : তুই এদেরকে যতোটা ঘৃণা করিস আমি তার থেকে বেশি ঘৃণা করি। but i got to know something …
নীড় : কি?
সাগর : খালামনি মানে শোভা খান মমতা খানের মেয়ে না। আমার নানাভাইয়ের ২য় পক্ষের সন্তান ।
নীড় : what? তোর নানা ২য় বিয়ে কবে করলো?
সাগর : কবে কিভাবে করলো জানিনা। তবে শোভা খানের মাকে তার গ্রামের মানুষের হাত থেকে বাচানোর জন্য … নানাভাই মহিলাটাকে বিয়ে করে।
নীড় : oh my god… আর তাই মমতা খানসহ সবাই শোভা খালামনিকে ঘৃণা।
সাগর : i don’t think সবাই।
নীড় : তাহলে?
সাগর : নানুমনি। মানে নানিমা। মানে the মমতা খান…
নীড় : কি সাংঘাতিক মহিলারে।
সাগর : হামমম। তবে এখনো সবটা জানিনা।
নীড় : সবাইকে বললিনা কেন?
সাগর : কি বলতাম? আর কে বিশ্বাস করতো আমার কথা? আমার মাও করতো না। কারন যতো যাই হোর মায়ের নামে এতোবড় কথা কেউ মানতে পারবেনা । আর তারওপর আমার কাছে কোনো প্রমানও নেই।
নীড় : হামম। সবই মানলাম। কিন্তু মোহনা? by chance যদি কিছু উল্টাপাল্টা করে ফেলে? ওকে ছারা কি ঠিক হলো?
সাগর : মোহনাকে ছারলো কে বল তো? ও আমার ছিলো আমার আছে আর থাকবে। আর তুই তো suicide টাই মিন করলি। নিশ্চিন্তে থাক আমার ওপর প্রতিশোধ না নেয়া পর্যন্ত ও কিছু করবেনা।
নীড় : ওকে বললেই পারতি। ও trust করতো। কারন ও তো ওদের সহ্যই করতে পারেনা।
সাগর : ভুল । ও কেবল আর কেবল মমতা খানকে সহ্য করতে পারেনা। বাবা-ভাইয়া ওর জান। just প্রকাশ করেনা। তাই ও কিছুই বিশ্বাস করতোনা। আর তার থেকেও বড় কথা যেই বাবা-ভাইয়াকে এতো ভালোবাসে সেই বাবা-ভাইয়ার থেকে মনের দিক দিয়ে দুরে থেকে হাপিয়ে উঠেছে মোহো। ঠিক হোক বাবা-মেয়ের সম্পর্ক। ১দিকে মোহনা-শুভ্র খানের আর অন্যদিকে মেরিন-কবির খানের।
নীড় : খান মেয়ে গুলো আমাদের একেবারে খানখান করে দিলোরে…
সাগর : হাহাহা।
নীড় : next plan কি?
সাগর : i don’t know …
নীড় : থাকবি কোথায় ? বাবাও তোকে ঘরে ঢুকতে দিবেনা। আর uncle তো নাই…
সাগর : যেখানে ইচ্ছা…
নীড় : uncle-aunty কে জানালে কি হতো?
সাগর : over acting হতো। তুই তো জানিস তোর মা আর আমার মা কতো বাজে acting করে। over acting এর গোডাউন।
নীড় : i agree … তবে মেরিনের হাতে তোর খুন হওয়ার সম্ভাবনা আছে। তাই ওকে জানানো ভালো হবে।
সাগর : দরকার পরলে জানাবো। তার আগে না…
.
২দিনপর…
মোহনা অন্ধকার রুমে বসে আছে। কারো সাথে দেখা করেনি। কথা বলেনি এই ২দিনে।
শুভ্র খাবারের প্লেট হাতে নিয়ে বুক ভরা সাহস নিয়ে রুমে ঢুকলো । ঢুকে দেখে মোহনা মেঝেতে বসে বেডে মাথা দিয়ে আছে । শুভ্র প্লেটটা টেবিলে রেখে মোহনার কাধে হাত রাখলো।
শুভ্র : মামনি…
মোহনা মাথা উচু করলো। শুভ্র মোহনার পাশে বসলো। মোহনার ২হাত নিজের হাতের মুঠোয় নিলো।
শুভ্র : i am sorry বাচ্চা… আমি পারিনি তোমাকে ওই চৌধুরীদের হাত থেকে তোমাকে বাচাতে। সাগর তোমাকে সত্যি ভালোবাসে কি বাসেনা সেটা জানার চেষ্টা করিনি। কারন তুমি ওকে ভালোবেসেছিলে সেটাই যথেষ্ট ছিলো আমার কাছে । আমি জানি যদি আমি না মেনে নিতাম তবে তুমি আমাকে আরও ভুল বুঝতে। আমার থেকে আরও দূরে চলে যেতে। যেটা আমি মেনে নিতে পারতামনা। এমনিতেই সেদিনের ভুলের জন্য তোমাকে হারিয়ে ফেলেছি…চিরতরে হারিয়ে ফেলতে চাইনি বলেই যাচাই বাছাই না করেই … কি করবো বলো তোমার ভালো থাকাই আমার কাছে মূখ্য । তোমার থেকে বড় আমার কাছে আর কিছুই নেই। অভ্র আর অহনাও তুচ্ছ তোমার কাছে। বাবাকে ২য় সুযোগ দাও… বাবা আর কখনো কোনো ভুল করবোনা। আর কোনো কালোছায়াকে তোমারে ধারে কাছেও আসতে দিবোনা। কথা দিলাম। তুমি ১বার বলো আমি ওই সাগর চৌধুরীর গলা কেটে তোমার সামনে আনবো। তবুও তুমি এভাবে নিজেকে গুটিয়ে নিওনা… please …
মোহনা শুভ্রকে জরিয়ে ধরে হাউমাউ করে কাদতে লাগলো।
শুভ্র : মামনি আমার কান্না করেনা… stop … please …
মোহনা : i am sorry বাবা।
শুভ্র : hey don’t be…
.
মেরিন : i am sorry বাবা…
কবির : তুমি কেন sorry বলবে? sorry তো আমার বলা দরকার। আমি তোমাকে কতো বড় কষ্ট দিয়ে ফেলেছি… আমার তো নিজের ওপর ঘৃণা করছে।
মেরিন : বাবা তুমি যা করেছো তা ১জন বাবার কাজ ছিলো। ঠিক ছিলো। ভুল তো আমার। আমি সাগর চৌধুরীর ভালোবাসাকে সত্যি ধরে নিয়েছিলাম। ওনার কথা সত্যি ভেবে নিয়েছিলাম। তোমার সাথে তর্ক করেছিলাম। মোহনার মনেও জায়গা বানাতে সাহায্য করছিলাম। বাবারা সত্যিই best হয় ।
কবির : না মামনি। আমিই ভুল । আমি তোমাকে আর নীড়কে আলাদা করেছি। আমি পচা বাবা।
মেরিন : না বাবা তুমি পৃথিবীর সেরা বাবা। i love you বাবা…
কবির : i love you too মামনি… আমি নিজে নীড়ের কাছে ক্ষমা চাইবো।
মেরিন : কেন তুমি ক্ষমা চাইবে কেন?
কবির : বারে ভুল করেছি ক্ষমা চাইবোনা?
মেরিন : না… আমার বাবা কারো কাছে ক্ষমা চাইবেনা। কারো কাছে ছোট হবেনা।
কবির : মামনি ভুল তো ভুলই। তাইনা?
মেরিন : বাবা তোমার ভয় ঠিকই ছিলো। anyway no more discussion …
.
পরদিন…
সকালে মেরিন মনের সুখে ঘুমিয়ে আছে । তখন ১বালতি পানি ওর ওপর পরলো।
মেরিন : আআআ… ??? । বাবাগো…
মোহনা : উফফ আব্বে এতো চিল্লাস ক্যালা? মাইক কোথাকার?
মেরিন : তুই?
মোহনা : না আমার আত্মা। এখন ওঠ। ক্লাস করবিনা ?
মেরিন : সেটা ভালোমতো বললেই চলে। আস্তে করে ডাক দিলে কি হতো?
মোহনা : ১৫মিনিট ধরে ডাকছি। কিন্তু তুইতো ডেভিল ঢোলের স্বপ্ন দেখায় ব্যাস্ত ছিলি। আমার ডাক তোর কানে পৌছাবে কেন?
মেরিন : ?।
মোহনা : এখন ওঠ। রেডি হয়ে আমাদের ২৫গুষ্ঠি উদ্ধার কর ।
মেরিন : বস। আসছি।
মোহনা : জলদি আয়।
মেরিন : হামম।
.
মোহনা drive করছে।
মেরিন : ওরে আল্লাহ থাম। মনে হচ্ছে আকাশে উরছি।
মোহনা : এটা তোর শাস্তি ।
মেরিন : আরে ভুল হয়ে গিয়েছে।sorry…
মোহনা : রাখ তোর sorry …তুই এই মুখ দেখাচ্ছিস কিভাবে? বোরকা পরে মুখ ঢেকে রাখতে পারিসনা?
মেরিন ওরনা দিয়ে মুখ ঢেকে ফেলল।
মেরিন : নে এবার ঠিক আছে?
মোহনা দামদুম মেরিনের পিঠে কিল মারলো।
মোহনা : ফাজলামো করিস? মজা নিস?
মেরিন : হ্যা। ?।
মোহনা : huh… কথা বলবিনা তুই আমার সা…
মেরিন : এই মিষ্টু break মার…
মোহনা ব্রেক মারলো। তাও সামনে থেকে আসা গাড়িটার সাথে লেগে গেলো।
নীড় : oh no… সাগররে…এরা আমাকে তোর গাড়িতে দেখলে খুন হতে হবে…
সাগর : আব্বে সালা নিচু হ ওরা চোখ খোলার আগে…
নীড় তারাতারি নিচু হলো। মেরিন-মোহনা চোখ মেলল।
মেরিন : আমরা বেচে আছি না মরে গিয়েছি?
মোহনা : i don’t know … i think বেচেই আছি… সামনে দেখ…
মেরিন সামনে তাকিয়ে দেখলো সাগরের গাড়ি… সাগর মাথাটা বের করে
বলল : লেডি লেডি লেডি… গাড়ি পিছে নাও। fast… i have to go…
মোহনা মনে মনে : যাওয়াচ্ছি তোকে…
মেরিন : মিষ্টু গাড়ি পিছে নিবিনা…
মোহনা গাড়ি পিছে নিতে লাগলো। এরপর মেরিনের দিকে তাকালো।
মেরিন-মোহনা : ?।
মেরিন শক্ত হয়ে বসলো। মোহনা ২গুন স্পিড নিয়ে এসে সাগরের গাড়িকে দিলো ধাক্কা…
নীড় : ouch… মরে গেলাম গো…
সাগর : মরবি তো মর না। কিন্তু চুপচাপ…
মোহনা সাগরের গাড়িকে ঠেলতে ঠেলতে বালুতে নামিয়ে দিলো। এরপর ২জন নামলো ।
মেরিন-মোহনা : খানদের সাথে পাঙ্গা নিলে এমনই হবে। এটা তো কেবল শুরু । আগে আগে দেখো হোতা হ্যা কেয়া?
বলেই ২জন গাড়ি নিয়ে চলে গেলো।
নীড় : উমাগো…
সাগর : বের হ। গাড়ি ধাক্কা মারতে হবে।
নীড় : আবার গাড়িও ধাক্কা মারতে হবে!!!
সাগর : হ্যা…
.
একটুপর…
মেরিন : মিষ্টু…
মোহনা : বল…
মেরিন : প্রকৃতিরও ৬রূপ। গ্রীষ্ম , বর্ষা , শরৎ , হেমন্ত , শীত , বসন্ত। ঝড়-তুফান কেবল প্রকৃতিরই নয় জীবনেরও অংশ। মনে কর সাগর চৌধুরী তোর জীবনে ভেসে আশা কালো মেঘ। এসেছিলো চলে গিয়েছে ।
মোহনা : এখন আমাকে এই কথা গুলো বলার কারন?
মেরিন : কারন আবার সাগর তোর সামনে পরলো… & i can feel you…
মোহনা : হাহাহা…
মোহনা মাটির মধ্যে ৩টা নাম লিখলো।
মমতা খান
সোহানা খান
সাগর চৌধুরী …
মোহনা : these three names i hate most.. এদের কোনো কথা কাজ আমাকে effect করেনা। থাকা না থাকা কিছু করা না করা আমার কাছে matter করেনা । stupid love is useless… আমি আমার normal life এ ফিরেছি। & thanks to মিস্টার জল্লাদ কুতুবমিনার চৌধুরী ।
.
কিছুদিনপর…
শুভ্র : জানিনা কেন যেন কোথাও কিছু কমতি লাগছে।
কবির : যেমন?
শুভ্র : এই প্রথম কোনো কাজ করে শান্তি পাচ্ছিনা।
কবির : কি কাজ?
শুভ্র : সা… কিছুনা। বল মেরিন মামনির life কেমন চলছে? নীড়ের সাথে সব ঠিকঠাক আছে ?
কবির : হামম।
অভ্র : তারপর কাকা বিয়ে কবে খাবো?
কবির : আপাদত এখন না বাবা।
অভ্র : কেন কেন?
কবির : না তো আমি এখন এই কথা নিয়ে ভাবছি। আর এটাও জানি যে মেরিনও একই কাজ করবে। আমি আমার ১মেয়েকে দুঃখে ভাসিয়ে অন্য মেয়েকে পালকিতে চরাতে পারবোনা। মোহনা মামনির জীবন নরমাল হোক তারপর দেখা যাবে।
ওদের কথা গুলো মোহনা শুনে নিলো। মোহনা এইকদিনে দেখেছে মেরিন সেই আগের মতো করেই ওকে সময় দিচ্ছে। নীড়কে না।
মোহনা মনে মনে : মেরুন my কলিজা। খান বাড়ির মেয়ে তো কেবল তুমি একাই না। আমিও। &&& #Bestfriend তো আমিও। না তো আমি দুঃখে আছি। আর না তো আমার জীবন abnormal… তো কেন তোর নীড়-মেরিন আলাদা হবে। be prepared মিস্টার সায়ান। i think i need you… মেরিনের বিয়ের জন্য তোমার সাথে বিয়ে বিয়ে খেলতে হবে।
.
৩দিনপর…
মমতা খান : কি ? এটা ক্যামতে ছম্ভব ? এতো বছর পর ক্যাঠায় আবার এই ঘাটবার গেচে? খবরদার কইয়াদিলাম এগুলা যেন কেউ না জানবার পারে। না হলে কিন্তু … মমতা খান আমি… আমার ভাতিজার ওপর কোনো তুফান উঠলে আমি সইবার পারুমনা। ত… আরে সুভ্র … ততততুই।
শুভ্র : হ্যা মা আমি। তুমি কার সাথে কথা বলছিলে?
মমতা খান : কককককই ননননা তো….
শুভ্র : আচ্ছা এই নাও তোমার মেডিসিন। শেষ হয়ে গিয়েছিলোনা।
মমতা খান : আমার বাবাটা।
শুভ্র : আসছি মা। অফিস যাবো।
মমতা খান : হামম।
শুভ্র বেরিয়ে গেলো।
মমতা খান : ভাগ্যেস কিচ্ছু সুনবার পারেনাই।
শুভ্র মনে মনে : আমি সব শুনেছি মা। কিছু লুকাচ্ছো। কিন্তু কি? i have to know …
.
চলবে…