Bestfriend part : 30

0
2522

#Bestfriend
part : 30
writer : Mohona

.

নীড়দের বাসায়…
নিহাল : রেদ যে কেন এতোগুলো শর্ত মেনে নিলো?
নীলিমা : ভাইয়া হয়তো কিছু ভেবেই করেছে । আর সবথেকে বড় কথা সাগর-মোহনার বিয়ে তো হচ্ছে।
নীড় : সাগর-মোহনার বিয়ে?
নিহাল : হ্যা। আজকে রেদ আর শুভ্র খানের মধ্যে পাকা কথা হলো।
নীড় : oh great….
নিহাল : তাহলে এবার কবির ফয়সাল খানের সাথে তোমার আর মেরিনের বিয়ের দিকটাও ঠিক করে ফেলি।
নীড় : কোনো দরকার নেই।
নিহাল : মানে ? তুমি আর সাগরনা promise করেছো যে একদিনেই বিয়ে করবে। তবে?
নীড় : হ্যা। করবো।
নিহাল : তবে? কথা তো বলতে হবেই।
নীড় : কিছু করবেনা।
নিহাল : মানে?
নীড় : মানে টানে ভাবতে হবেনা। তুমি কবির ফয়সাল খানের সাথে এ নিয়ে কোনো কথাই বলবেনা। বুঝেছো ? এখন আমি গেলাম সাগরকে বাধাই দিতে… bye…

.

সাগরদের বাসায়…
সাগর : what? শুভ্র খান নিজে থেকে এই কথা বলল। impossible … এতো তার কোনো চাল নেই তো?
রেদোয়ান : আর কি চাল আছে সেটা জানিনা তবে তোমাকে ঘরজামাই বানাতে চায়।
সাগর : কি?
রেদোয়ান : হামম।
সাগর : তুমি কি বললে?
রেদোয়ান : মেনে নিলাম।
সাগর : কেন?
রেদোয়ান : কারন তুমি আমার ছেলে। i trust you & know you also… আর তার থেকেও বড় কথা মোহনা খান মিষ্টিকে বাড়ির বউ বানানোটাই আমার প্রধান উদ্দেশ্য । আর কিছুনা।
সাগর : সেটা তো বুঝলাম। কিন্তু…
রেদোয়ান : আবার কিসের কিন্তু ?
সাগর : এখনই বিয়ে করতে পারবো। নীড়-মেরিনের মধ্যে কিছুটা ঝামেলা হয়েছে । ওদের মধ্যে সব ঠিকঠাক না হলে ওদের বিয়ে কি করে হবে। আর তুমি তো জানোই যে…
রেদোয়ান : তুমি আর নীড় ১দিনেই বিয়ে করবে।
সাগর : হ্যা। তাই বিয়েটা একটু লেট করে হলেই ভা…
নীড় : খারাপ হবে।
সাগর : আরে নীড় তুই ?
নীড় : হামম আমি। শালা নিজের বিয়ের সাথে আমার বিয়েটাও দেরিতে করাতে চাইছিস?
সাগর : মানে?
নীড় : মানে তোর মাথা । dear uncle … বিয়ের দিন যতো তারাতারি আসবে ততো মঙ্গল।
সাগর : কিন্তু নীড়…
নীড় : কোনো কিন্তুনা। তোর আর আমার বিয়ে ১দিনেই হবে। relax my কলিজা।

.

রাতে…
ঘুমের মধ্যে মেরিনের নিজের ওপর ভারী কিছু অনুভব হলো… এরপর মনে হলো দম নিতে কষ্ট হচ্ছে । তারাতারি চোখ মেলল। ধাক্কা দিয়ে ফেলে দিলো
মেরিন : তু… আপনি? আপনার সাহস কি করে হয় এতো রাতে আমার রুমে আসার। আর আমার সাথে…
নীড় : আমার অনেক সাহস my dear জান…
বলেই নীড় মেরিনকে বেডে ফেলে পাগলের মতো গলায় কিস করতে লাগলো। মেরিন নীড়কে ১চুলও নরাতে পারলোনা। একটুপর নিজে থেকে ছেরে দিলো। মেরিন নীড়কে থাপ্পর দিতে গেলে নীড় হাতটা ধরে ফেলল।
নীড় : এই ভুলটা করোনো miss marin bonna khan… না হলে কি করবো নিজেও জানিনা। একটু আগে সাহসের কথা বলছিলেনা… you are my property … তাই তোমার সাথে যা ইচ্ছা করতে পারি…
মেরিন নিজেকে ছারিয়ে নিলো।
মেরিন : আমি কোনো বস্তু নই। আর না আপনার property … যেটা কিনে নিয়েছেন।
নীড় মেরিনরে গাল চেপে ধরে
বলল : দরকার হলে কিনে নিবো। কিনে নিবোই।
মেরিনের চোখ পানি চলে এলো। নীড় ছেরে দিলো।
নীড় : ব্যাথা পেলে বুঝি? দেখি আদর করে দেই।
মেরিন : don’t touch me…
নীড় বাকা হাসি দিয়ে মেরিনকে জোর করে নিজের কোলে বসিয়ে গালে অসংখ্য চুমু দিলো। ঘাড়ে ১টা জোরে কামড় দিলো। মেরিন দাতে দাত চেপে সেটা সহ্য করলো। কারন চিৎকার করলে কবির ছুটে আসবে। না জানি নীড়ের সাথে কি করে। এরপর নীড় মেরিনের কানে কানে
বলল : আর কিছু দিন পর সাগর-মোহনার বিয়ে। আর সেদিন তোমার আমারও বিয়ে। মনে রেখো। এখনও সুযোগ দিলাম নিজে থেকে রাজী হও…
বলেই নীড় কামড়ের জায়গা ৫-৬টা কিস করে চলে গেলো। নীড় যাওয়ার পর মেরিন হাউমাউ করে কাদতে লাগলো।

নীড়ও কাদতে কাদতে গাড়িতে গেলো।
নীড় : আমি কখনোই তোমার সাথে এমন কিছু করতে চাইনি মেরিন। কখনোইনা। কিন্তু তুমি বাধ্য করলে । তোমাকে এমন করে আঘাত করে আমার যে কেমন লাগছে তা কেবল আর কেবল আমিই জানি…

.

৩দিনপর…
মোহনা সাগরের কাধে মাথা রেখে বসে আছে।
সাগর : মন খারাপ?
মোহনা : মন খারাপ হবে না তো কি হবে? আমার কলিজার জীবনে এতো বড় অশান্তি আর আমার মন খারাপ হবেনা?
সাগর : আমার কলিজারও তো same অবস্থা। কিন্তু আমি তোমাকে কথা দিচ্ছি যে সব ঠিক হয়ে যাবে।
মোহনা : যদি না হয় ?
সাগর : do you trust me?
মোহনা : না।
সাগর : good… কিন্তু বললাম তো যে সব ঠিক হয়ে যাবে। আর যেদিন আমাদের বিয়ে হবে সেদিনই নীড়-মেরিনের বিয়ে হবে?
মোহনা : কি কিভাবে?
সাগর : সেটা নীড়ের ওপরই না হয় ছেরে দাও।
মোহনা : আরে এভাবে কিভাবে ছেরে দিবো? বললেই বিয়ে হবে নাকি? মেরুনের যে কাহিনি ও জীবনেও বিয়ে করবেনা।
সাগর : ১বার যখন the nir ahmed chowdhuri borshon বলেছে যে মেরিনকে বিয়ে করবে তো করবেই।
মোহনা : মিস্টার জল্লাদ কুতুবমিনার … নীড় ভাইয়ার মুখোমুখি the marin bonna khan দারিয়ে। বললেই বিয়ে হবেনা।
সাগর : we will see… আজকে রাতে long drive এ যাবে?
মোহনা : বাইকে না হলে না …
সাগর : as your wish my মোহোপাখি।
মোহনা : কিন্তু এখন তুমি কিপটুস হয়ে গিয়েছো। আগে তো রোজ awwwe ki cute কালো গোলাপের তোরা দিতে। এখন দাউনা। huh… গরু কোথাকার।
সাগর : পাগলি… কালকে থেকে আবার দিবো।
মোহনা : awwwe ki cute সত্যি?
সাগর : ৩০০ সত্যি ।

সাগর-মোহনার engagement এর দিন ঠিক হলো ।

.

কিছুদিনপর…
business association এর তরফ থেকে ১টা party throw করা হয়েছে। সেখানে সবাই উপস্থিত হয়েছে। নীড়-মেরিন একে অপরের দিকে ড্যাবড্যাব করে তাকিয়ে আছে।
সাগর : এই মোহো।
মোহনা : কিছু দেখেছো ?
সাগর : হামম। কুছ কুছ হোতা হ্যা।
মোহনা : কুছ কুছ না বহত কুছ হোতা হ্যা …

নীড়-মেরিন কল্পনার জগৎ থেকে বেরিয়ে এলো। party শুরু হলো। মেরিন-মোহনা দারিয়ে কথা বলছে। নীড়কে এদিকে আসতে দেখেই মোহনা কেটে পরলো। নীড়কে দেখে মেরিন চমকে উঠলো । চলে যেতে নিলো। নীড় বাধা দিলো।
নীড় : আমার হয়ে যাও beautiful … i don’t want to hurt you…
মেরিন : আমি মরে যাবো। তবুও আপনার হতে পারবোনা।
মেরিন চলে গেলো। একটুপর মেরিনের dress এ পানি পরে গেলো। মেরিন ড্রেসিং রুমে সেটা শুকাতে গেলো। তখন হঠাৎ করে fire alarm বেজে উঠলো । সবাই দৌড়ে বেরিয়ে পরলো। দাউদাউ করে আগুন জ্বলতে লাগলো। বের হতেই কবির-নীড়-মোহনার একসাথে মেরিনের কথা মনে পরলো। মেরিন নীড়ের দিকে আর নীড় মেরিনের দিকে ছুটে এলো।
২জন : মেরিন/মেরুন কোথায়? তোমার সাথে ছিলোনা?
কবির মোহনার কাছে ছুটে এলো ।
কবির : মামনি মেরিন কককোথায়?
কবির মোহনার পিছে দেখতে লাগলো।
কবির : কককোথায়?
মোহনা : দদদেখছি কোথায়। কককাকীদের ওখানে নননাকি?
ওরা মেরিনকে খুজতে লাগলো। তখন
রোদ্র বলল : মেয়িন ফপ্পিকে ডেসিং রমে যেতে ডিকিছিলাম… বের হতে দিকিনি।
মোহনা : মেরুন…. ???
কবির : মামনি… ???
নীড়ের সময় স্থির হয়ে গেলো। কেন যেন ওর কানে মেরিনের বলা শেষ কথা বাজতে লাগলো।
” আমি মরে যাবো তবুও আপনার হতে পারবোনা… ”
মোহনা আর কবির ২জনই ভেতরে যেতে নিলো। সাগর মোহনাকে আর শুভ্র-অভ্র-রেদোয়ান কবিরকে ধরে ফেলল। কনিকা যেতে নিলে শিখা-নীলিমা ধরে ফেলল। কনিকা অজ্ঞান হয়ে গেলো।
কবির : শুভ্র ছার আমাকে… যেতে দে… আমার কলিজার টুকরা ভেতরে…
শুভ্র : কিচ্ছু হবেনা মেরিন মামনির। ফায়ার সার্ভিসের লোকেরা বের করে আনবে…
কবির : আমার বাচ্চাটা…

মোহনা : সাগর ছারো আমাকে … ছেরে দাও … আমার মেরুন ভেতরে ছেরে দাও আমাকে…
সাগর : কককিছু হবেনা মেরিনের। trust me…
মোহনা : ছারো আমাকে সাগর। she needs me.. she is in danger .. যেতে দ…
নীলিমা : নীড়… ??…

নীলিমার চিল্লানোতে সবাই তাকিয়ে দেখে অন্যদিক দিয়ে নীড় লাফ দিয়ে ভেতরে গেছে। ভেতরে সমানে আগুন..
নিহাল : নীড় …
নিহাল-নীলিমা যেতে চাইলে ফায়ার সার্ভিসের লোকেরা যেতে দিলোনা। সাগরও নীড় বলে চিল্লিয়ে উঠলো। ভেতরে যেতে নিলে ওকেও বাধা দিলো। কবির অবাক হয়ে গেলো।

ভেতরে মেরিন অজ্ঞান হয়ে পরে আছে ।
নীড় : মমমেরিন… মেরিন… জজজজান…
নীড় নিজের coat টা মেরিনের শরীরে পেচিয়ে দিলো । এরপর পর্দা ১টানে নামিয়ে সেটা দিয়ে মেরিনকে পুরো পেচিয়ে নিলো। বাহিরে বেরিয়ে এলো। নীড়ে শার্টের পেছন দিকে , হাতায় আগুন লেগে গিয়েছে … কবির অবাক হয়ে দেখছে । ও react করতেই ভুলে গিয়েছে।

.

in the hospital …
মেরিনকে ঘুমের injection দেয়া হয়েছে। নীড়ের জ্ঞান ফিরতেই মেরিনের কাছে ছুটে গেলো। কারো কোনো বাধা না মেনে নীড় মেরিনের হাত ধরে বসে রইলো।

কবির : আমি কি তবে কোনো ভুল করে ফেলেছি ? নীড় কি তবে সত্যিই মেরিনকে ভালোবাসে ? হ্যা ভালোবাসে … অনেক ভালোবাসে …. অনেক বেশি ভালোবাসে । তা না হলে ওভাবে আগুনে ঝাপ দিতো নাকি?
শুভ্র কবিরের কাধে হাত রাখলো ।
শুভ্র : thanks god যে মেরিন মামনি ঠিক আছে। & thanks to নীড়। মানতে হবে যে নীড় সত্যি মেরিন মামনিকে ভীষন ভালোবাসে …
কবির : হামম।
শুভ্র : তোকে এমন লাগছে কেন? কি হয়েছে ?
কবির : আমাকে ক্ষমা করে দে। আমি অনেক বড় ভুল করে ফেলেছি …
শুভ্র : ভুল… ক্ষমা…? কি বলছিস কি?
কবির সব বলল।

আর সব শুনে শুভ্র অবাক।
কবির : আমাকে ক্ষমা করে দেরে। আমি …
শুভ্র : চুপ থাক। তোকে কিচ্ছু বলতে হবেনা… আমি বুঝতে পারছি। আমি কিছু মনে করিনি।

সাগর সব শুনলো। শুভ্র সাগরকে দেখে নিলো। সাগরের চোখে পানি চলে এলো। ওখান থেকে চলে গেলো।

কবির : আমি অনেক বড় ভুল করে ফেলেছি।
শুভ্র : এখন সেটা শুধরে নে। নীড়-মেরিনের বিয়ে দিয়ে।
কবির : হামমম।
শুভ্র : শুধু হ্যা বললেই হবেনা। দিতে হবেই।
কবির : আমি ঠিক করেছি সাগর-মোহনার engagement এর দিন নীড়-মেরিনেরও engagement করাবো… আমার মেয়েটাকে surprise দিবো। অনেক কষ্ট দিয়ে ফেলেছি আমার বাচ্চাটাকে ।

.

সাগর : মেরিন আমার আর মোহোর ভালোবাসার জন্য নিজের ভালোবাসা ত্যাগ করে দিলো। নিজের বন্ধুত্বের জন্য নিজের ভালোবাসা ত্যাগ করে দিলো …
শুভ্র : হ্যা দিলো। কারন ও খান বাড়ির মেয়ে । আর খানদের মন বিশাল । চৌধুরীদের মনের মতো ছোট নয়…
সাগর : …
শুভ্র : তোমার জন্য আমার ফুলের মতো ভাতিজিটার এমন হাল। ভালোবাসা হারাতে বসেছে। তোমাদের পরিবারের জন্য সবসময়ই আমার বোন-মেয়েদের কষ্ট হয়।
সাগর : …
শুভ্র : তোমার চাচ্চুর জন্য … আমি আমার ২নয়নের মনি শিখা-শোভাকে হারিয়েছি । এখন আবার শুধু তোমার জন্য নতুন করে মেরিন-মোহনার কষ্ট । মেরিন নিজের ভালোবাসা give up করলো। মেরিনের কষ্টে কি কখনো মোহনা সুখে থাকতে পারবে? আর তারথেকেও বড় কথা তুমিই কি নীড়ের মতো মোহনাকে ভালোবাসো ? নীড় তো নিজের জান বাজী রেখে মেরিনকে বাচালো। তুমি কখনো করতেনা। কারন আমার মনে হয়না তুমি মোহনাকে অমন ভালোবাসো।
সাগর : ….

.

engagement এর দিন…
চারদিকে আলোর ঝলমল । শহরের সব গন্যমান্য ব্যাক্তিরা উপস্থিত। বেশ উৎসবমুখর পরিবেশ। আগুন জ্বলছে নীড়-মেরিনের মনে। ?
আর মেরিনের কষ্টে মোহনারও খারাপ লাগছে।
মোহনা : মেরুন… নীড় ভাইয়া তোকে ভীষন ভালোবাসেরে। অনেক বড় ভুল করবি ভাইয়াকে হারিয়ে ফেললে।
মেরিন : ওরে মিষ্টুরে… ভালোবাসা মনের ব্যাপার । জোর করে হয়না । আর আজকে তোর দিন। তোর নতুন জীবনের ১ম ধাপ … সেটাত focus কর…

.

চলবে…

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে