Bestfriend part : 21

0
2862

#Bestfriend
part : 21
writer : Mohona

.

মেরিন-মোহনা ঘুমিয়ে পরেছে। বাসের প্রায় সবাই ঘুম। মেরিন-মোহনা ২জন মাথা একসাথে ঠেকিয়ে মনের সুখে ঘুম দিচ্ছে। ভীষন cute লাগছে। সাগর টুপ করে ২জনের ছবি তুলে নিলো।
সাগর : ২পাগলি। এই কবুতরের জোরায় যেন কখনো কারো নজর না লাগে আল্লাহ । তখন নীড় সাগরকে ফোন করলো।
সাগর : হামম বল।
নীড় : ২জনই ঘুম নাকি?
সাগর : মনের সুখে।
নীড় : হামম ভালো। শোন খালি বউয়ের খেয়ালই রাখিসনা যেন। ভাবিরটাও রাখিস।
সাগর : ভাবি পরে হয়। আগে আমার ছোট বোন হয়। তুই সেটা মনে রাখিস।
নীড় : রাখবো রাখবো। তবে জানু ঘুম না আমারও পাচ্ছে।
সাগর : তুই যে ঘুম কাতুরে। ঘুম তো পাবেই। এই তোর আর মোহোর ঘুম না একেবারে একই রকম।
নীড় : ভাইবোন after all… ?.. তুইও মনে রাখিস ।
সাগর : রাখবো রাখবো।

.

পরদিন…
বিকালে…
management : students … i have a announcement … আমরা যে এই ১মাস থাকবো খাবো এগুলোর সকল যাবতীয় খরচ বহন করবে মিস্টার নীড় আহমেদ চৌধুরী বর্ষন ।
মেরিন-মোহনা : এ্যা ..।
নীড় সামনে এলো। আর সবাই তালি দিলো। সাগর ছারা। মোহনা সাগরের দিকে তাকালো । সাগরকে দেখে বুঝতে পারলো যে সাগর ক্ষেপে গিয়েছে। মেরিনও নীড়ের চোখ দেখে বুঝতে পারলো যে নীড় রেগে যাচ্ছে।
management : students … তোমাদের মধ্যে ২০টা টিম গঠিত হবে । আর প্রতি টিমে ৫জন করে students & ২জন করে টিচার থাকবে । আর প্রতিটা টিম আলাদা আলাদা ভাবে কাজ করবে। রাত ছারা কোনো টিমের সাথে ভিন্ন টিমের দেখা হবেনা। সবাই মনে রাখবেন যে আমাদের mission টা কি? সবাই অতিপ্রয়োজনীয় vaccine বা vaccine গুলো দেয়াটাই আমাদের mission … আজকে টিম তৈরি হবে। & কালকে থেকে mission start…
নীড় : excuse me sir…

management : yes মিস্টার চৌধুরী…
নীড় : আসলে আমার মেডিকেল ক্যাম্পিং সম্পর্কে কোনো ধারনা নেই। তারপর ঘুরে ঘুরে vaccine দেয়াটাও মনে হয় অনেক interesting …. আমিও এটা feel করতে চাই। can i?
management : কেন না? আপনার যেই টিমের সাথে যেতে পারেন।
নীড় : ok… but আগে টিম তো তৈরি হোক।
management : right …

সাগর-নীড়ের plan অনুযায়ী মেরিন-মোহনা ভিন্ন ভিন্ন টিমে পরলো। আর সেটা নিয়ে ২জনের মধ্যে শোক পরে গেলো । প্রতিটা টিচারের কাছে এমনকি management এর কাছেও গেলো যেন ওদের ১টিমে রাখা হয় । কিন্তু ব্যার্থ হলো।

.

রাতে…
মেরিন-মোহনা মুখ ভারি করে বসে আছে । তখন ওদের ১ classmate সুমি এলো।
সুমি : আরে তোমরা ২জন এতো মন খারাপ কেন করছো? অল্প কিছু সময়েরই তো ব্যাপার…
মেরিন-মোহনা : অল্পকিছু সময়না। সারাদিন… ?… কিভাবে থাকবো….
সুমি : তোমরা over react করছো। আর এখনযে এভালে বলছো বিয়ে হলে করি করবে হামম? তখন তো দিন রাত আলাদাই থাকতে হবে।
মেরিন-মোহনা : কেন? ?।
সুমি : কেন মানে কি? বর আর শশুড়বাড়ির লোকজন কি তোমাদের একসাথে থাকতে দিবে? এখন থেকেই অভ্যাস করো জোরা কবুতর।
মেরিন-মোহনা : shut up & out from our tent…
ঝাড়ি খেয়ে সুমি চলে গেলো গেলো।

.

ওদিকে….
সাগর : তুই আমি যে এক tent এ… তোর বনপাখি আর আমার মোহোপাখি বিষয়টা জানলে কি হতে পারে ভেবে দেখেছিস?
নীড় : chill মারতো। ওরা ওদের tent থেকে মোটেও বের হবেনা। আর বের হলেও আমাদের tent এ কি তাকাঝাকি করতে আসবে নাকি।
সাগর : সেটা মানলাম করবেনা। কিন্তু সকালে?
নীড় : সকালে আবার কি হয়েছে?
সাগর : তুই তো সকালে ভুলেও উঠতে পারিসনা।
নীড় : হ্যা ভালো হয়েছে না… তুই আমাকে তুলে দিবি…
সাগর : আহ কি দারুন কথা। মন জুরিয়ে গেলো। যখন জোরাকবুতর আমাদের একসাথে বের হতে দেখবে তখন ?
নীড় : আরে কিচ্ছু দেখবেনা । তুই always এতো চিন্তা করিস কেন বলতো। i am too much tired… so please let me sleep … আর শোন কালকে তোর তোরাটা নিয়ে যাওয়ার সময় আমারটাও নিয়ে যাস প্লিজ।
বলেই নীড় ঘুমিয়ে পরলো।
সাগর : এ তো দেখি ঘুমেয়েও পরলো। এর এতো ঘুম।

.

সকালে…
মেরিন : এই মিষ্টু ওঠ… সাড়ে ৭টা বাজে। ৮টায় call time…
মোহনার ওঠার নাম নেই ।
মেরিন : মিষ্টু ওঠনা। এ তো দেখি সব জায়গাতেই মনের সুখে ঘুমাতে পারে? আমার যে কেন বাসা ছারা ঘুম আসেনা। এই প্রথম একে দেখে হিংসা হচ্ছে । ওই মিষ্টু ওঠনা…

মোহনার তো ওঠার নামই নেই।

মেরিন : মিষ……………টু ?? ?….
মোহনা : আআআ… ???

মোহনা উঠে বসলো।
মোহনা : কককি হয়েছে? সাপ ?
মেরিন : shut up…. সকাল হয়ে গিয়েছে । পোনে ৮টা বাজে। ৮টায় call time… timely না গেলে management প্যা প্যা করবে…
মোহনা : সর ঘুমাতে দে।
মেরিন : মিষ্টু… ?..
মোহনা : i mean fresh হতে দে … awwwe ki cute… ??
মেরিন : চল fresh হবো।
মোহনা : চল চল।
tent থেকে বের হতেই ২টো কালো গোলাপের তোরা দেখলো। ১টাতে to my বনপাখি লেখা । আর অন্যটাতে as usual মোহোপাখি লেখা।
মেরিন-মোহনা : এসব কি?
মেরিন : এতোদিন তো তোর জন্য আসতো আজকে আমার জন্যও !!!
মোহনা : আরে তোরটাতো ডেভিল ঢোল দিয়েছে আমি 1000% sure… but আমারটা কে দিলো? infact কে দেয় রোজ রোজ?
মেরিন : its a million dollar question … কে সে যে এই ক্যাম্পের মধ্যেও তোকে ফুলের তোরা দিচ্ছে ? সে কি alltime তোকে follow করে?
মোহনা : সেটাই তো ? কে সে?
মেরিন : যেই হোক ১টা কথা মানতেই হবে যে সেই ফুলওয়ালা তোকে ভীষন ভালোবাসে। he really loves you…
মোহনা : i hate him… & i hate love…
বলেই মোহনা ফুলের তোরাটা ছুরে ফেলে দিলো।

.

সাগর : নীড়… এই নীড় ওঠ।
নীড় তো ঘুম।
সাগর : আব্বে ওই ওঠনা ।
নীড় : আরেকটু ঘুমাতে দে না।
সাগর : তুই উঠবি না কি তুলে নিয়ে পানিতে ফেলবো ?
নীড় : আরে হিটলারগিরি বন্ধ কর। ৫মিনিট ঘুমাতে দে না…
সাগর : উঠবি না লাথি মারবো?
নীড় : তুই আমার দোস্ত না দুশমন?
সাগর : যেটা মনে করিস। এখন ওঠ। আমাদের একসাথে দেখলে মেরিন-মোহনা হাজারটা প্রশ্ন করবে।
নীড় : হামমম চল।
সাগর : চল মানে কি? আলাদা আলাদা যেতে হবে … by at any chance চোখে পরলে ঝামেলা।
নীড় : আরে মেরিন-মোহনা হয়তো এখন ঘুম থেকেও ওঠেনি… আচ্ছা তবুও চল আলাদা আলাদা যাই।
সাগর : চল।
২জন tent থেকে বের হলো। দেখলো সাগরের দেয়া কালো গোলাপের তোরাটা নিচে পরে আছে । সাগরের মনটা খারাপ হয়ে গেলো।
নীড় : তুই না আমার সাগর। আমার জানেজিগার.. তাহলে মন খারাপ করছিস কেন? মোহনা তো জানেনা যে এই ফুলগুলো তোর দেয়া।
সাগর : হামম।
নীড় : মন ছোট না করে এবার নিজের ভালোবাসাটাকে প্রকাশ কর।
সাগর : …

.

একটুপর…
management : ok প্রতিটা টিম লিডার নিজেদের টিমের খেয়াল রাখবেন। উফফস। মিস্টার চৌধুরী আপনি কোন টিমের সাথে যাবেন?
নীড় : team no ৫এর সাথে।
মেরিন মনে মনে : এই ডেভিল ঢোল আমার সাথে যাবে।
নীড় মনে মনে : yes my জান।

মোহনা মনে মনে : বাহ বাহ বাহ… এরা প্রেম করবে আর ঘুরবে। ধ্যাত ভালো লাগেনা।
সাগর : চলো দেরি হয়ে যাচ্ছে।
মোহনা মনে মনে : এই ডেভিল ঢোলটা মনে হয় মেরুনের সাথে সময় কাটানোর জন্যেই এসেছে ।
সাগর : কি এতো ভাবছো? চলো…
মোহনা : এই কে রে? একি আপনি?
সাগর : হ্যা আমি।
মোহনা : আপনি এখানে কেন?
সাগর : কারন তুমি আমার টিমে।
মোহনা : কি ? কিন্তু কেন? আপনি তো আমাদের টিচার নন?
সাগর : so what??? ডক্টর তো।
মোহনা : আজব তো।
সাগর : হ্যা আজব । এখন চলেন।
মোহনা বিরক্তি নিয়ে হাটতে শুরু করলো।
সাগর মনে মনে : এই বিরক্তিকে ভালোলাগাতে পরিনত করবোই।
মোহনা মনে মনে : আমি চাইছি এই জল্লাদটাকে মাথা থেকে বের করতে এ আরো ঢুকতেছে। মেরুনও তো নেই। bad luck ই খারাপ। huh…

.

মেরিন : আপনি ইচ্ছা করে এসব করছেন তাইনা?
নীড় : of course… তোমার পাশাপাশি থাকার সুযোগ কি করে মিস করতাম।?
বলেই চুপিসারে মেরিনের হাত ধরে হাটতে লাগলো।
মেরিন : কি করছেন কি? হাত ছারুন। কেউ দেখলে কি বলবে? ২জন স্যার-ম্যাম আছেন। কেউ দেখে ফেলবে।
নীড় : যাব পেয়ার কিয়া তো ডারনা কেয়া?
মেরিন : কুছভি… ছারুন। কেউ দেখলে খারাপ বলবে।
নীড় : কেউ কিছু বলবেনা। infact কেউ এদিকে তাকাবেই না।
মেরিন : মানে?
নীড় : মানে সামনে তাকিয়ে দেখো।
মেরিন সামনে তাকিয়ে দেখলো কেউ নেই।
মেরিন : একি… সবাই কোথায় গেলো ?? oh no… হারিয়ে ফেললাম… এখন কি হবে?
নীড় : কিছুই হবে না। ওই টিমটা just ৪জনেরই। & তুমি আমি আলাদা ১টিম।
মেরিন : কুছভি। এটা কোনো কথা? এমন ১টা কাজ করতে এসেছি আর সেটা করবো না?
নীড় : করবেনা কেন ? অবশ্যই করবে। কিন্তু ওদের সাথে না। আমার সাথে থেকে।
মেরিন : ফালতু কথা বলবেন না তো। কিভাবে লোকদের , বাচ্চাদের vaccine দিবো।
নীড় : যেভাবে দেয়ার সেভাবে দিবে। তোমার boxএ ও তো কিছুটা আছে। তাইনা? আর সবাইকেই তো দেয়া হয়েছে।
মেরিন : ও হ্যা ভুলেই গিয়েছিলাম।
নীড় : হামম।
মেরিন : কিন্তু সবাই কি বলবে বলুন তো?
নীড় : সবার ভাবার খেতাপুরী। তোমাকে অন্যদের সাথে কিভাবে ছারতাম বলোতো।
মেরিন : কিন্তু মিষ্টু… ?
নীড় : হামম ও আমাদের সাথে থাকলে ভালো হতো। কিন্তু কে জানে হয়তো ওর জন্যও ও কেউ না কেউ আছে।
মেরিন : মানে?
নীড় : এতো মানে মানে কোরোনাতো। চলো।
মেরিন : আজব। huh….

.

ওদিকে…
সাগর : ouch মোহো…
মোহনা : sorry sorry … আমি ইচ্ছা করে পারা দেইনি। বিশ্বাস করুন।
সাগর : বিশ্বাস তাও তোমাকে। oh my goodness.. অনেক pain হচ্ছে। এই এলাকায় হাই হিল পরতে কে বলেছে?
মোহনা : হাই হিল কোথায়। just 1 inch …
সাগর : shut up…
ডক্টর ধিমান : are you doctor সাগর?
সাগর : not so…
ডক্টর ধিমান : let me check …
সাগর : no no thank you… যে ভুল করেছে সেই ঠিক করবে। আপনার আগে বারুন।
ডক্টর ধিমান : ok…
ওরা যেতে লাগলো। ওদের সাথে মোহনাও যেতে নিলো।
সাগর : এই মোহো কোথায় যাচ্ছো? শুনতে পাওনি আমি কি বলেছি?
মোহনা : huh…
সাগর : help me.. হাত দাও।
মোহনা : okk… ???
মোহনা সাগরকে টেনে তুলতে গেলো। সাগর না উঠে উল্টো মোহনাকে টান দিলো। মোহনা গিয়ে সোজা সাগরের কোলে পরলো।
মোহনা : এএএটা কি হলো? আপনি আমাকে টান দিলেন কি জন্য?
সাগর : আমি কোথায় টান দিলাম? তুমিই তো আমাকে টেনে ওঠাতে গিয়ে পরে গেলে। আর আমাকেই দোষ দিচ্ছো ?
মোহনা : মোটেও না। আপনিই টান দিয়েছেন ।
সাগর : না। তুমি physics এর সূত্রগুলো পড়োনি? ২-৩বছরেই ভুলে গেলে? এটা কি ঠিক?
মোহনা : ক..
সাগর : নিজে ২টা অন্যায় করে আবার নিজেই মুখে মুখে কথা বলছো।
মোহনা : sorry …
সাগর : its ok….
মোহনা : দেখি উঠতে দিন আমাকে।
সাগর : তোমাকে কি ধরে রেখেছি ?
মোহনা খেয়াল করলো আসলেই সাগর ওকে ধরে রাখেনি। মোহনা উঠে দারালো। এরপর সাগরকে টেনে তুলল। সাগরও অনায়সে উঠে দারালো। ওর পায়ে তো কিছুই হয়নি। উঠেই সাগর মোহনার কাধে হাত রাখলো। আর মোহনা ১লাফে দূরে সরে গেলো।
সাগর : কি হলো? লাফ মারলে কেন?
মোহনা : আপনি আমার কাধে হাত রাখলেন কেন ?
সাগর : তো কি করবো? দারাতেই তো কষ্ট হচ্ছে । তাই support এর জন্য।
মোহনা : …
সাগর : এখানে আসো।
মোহনা গেলো। সাগর মোহনার কাধে হাত রাখলো। আর মোহনা নাচানাচি করতে লাগলো ।
সাগর : সোজা হয়ে দারাও।
মোহনা : its tickling badly…
সাগর : আজব তো।
মোহনা : আরে আমার কাধে সুরসুরি তো আমি কি করবো? huh…
সাগর : কথা কম বলে হাটো।
সাগর মোহনাকে নিজের সাথে মিশিয়ে হাটতে লাগলো।

.

মোহনা মনে মনে : দিব্বি হেটে যাচ্ছে । হুদ্দাই আমার সুস্থ ঘাড়টাকে ব্যাস্ত করছে। শালি জল্লাদ কুতুবমিনার। huh… weird লাগছে। কিন্তু ক্যালা…

সাগর মনে মনে : আভি তো পার্টি শুরু হুই হ্যা। তোমাকে পাশে নিয়ে হাটার মজাই যেন আলাদা। love you মোহোপাখি । এভাবেই যেন চিরকাল তোমার পাশে পাশে চলতে পারি।

মেরিন মনে মনে : কেমন অবাক লাগছে এভাবে আপনার হাত ধরে পথ চলতে। অনেকটা ভালোবাসা সাথে আছে অনেকটা ভরসা।

নীড় মনে মনে : এই পথ যদি না শেষ হয় তবে কেমন হতো? বেশ ভালো হতো। আমার হাতের মুঠোয় তোমার হাত। আর কি লাগে জীবনে। সবকিছুই যেন ১টা স্বপ্ন। বাস্তব হয়ে গেলো কি করে জানিনা। এখন কেবল তোমার মুখে ভালোবাসি শোনাটাই বাকি…. i love you my বনপাখি ….

.

চলবে…

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে