#Bestfriend
part : 15
writer : Mohona
.
জ্যোতি : i missed you my জান & love you also…
নীড় কোনোরকমে নিজেকে ছারালো ।
নীড় : জ্যােতি i don’t like this…
জ্যোতি : sorry আসলে অনেকদিন পর দেখলাম তো । তাই control করতে পারিনি।
নীড় : next time মনে থাকে যেন । meet মে…
নীড় ঘুরে দেখে মেরিন নেই ।
নীড় : কোথায় গেলো ? মেরিন… মেরিন…
জ্যোতি : কে মেরিন?
নীড় যেন জ্যোতির কথা শুনতেই পায়নি । ও পাগলের মতো এদিক সেদিক খুজতে লাগলো । তখন হঠাৎ দেখলো মেরিন ওখানেই ১জায়গায় বসে মনের সুখে চকোলেট & ice cream খাচ্ছে । আর পা দিয়ে পায়ে বারি দিচ্ছে । আসলে মেরিন রাগ control করছে। রাগ ওঠার কারন জানেনা তাই আরো বেশি রাগ হচ্ছে । নীড় স্বস্তির নিঃশ্বাস নিলেও ক্ষেপে গেলো। নীড় রেগে মেরিনের সামনে গিয়ে দারালো ।
.
নীড় : এই মেয়ে এই না বলে এখানে এসেছো কেন ? এতোক্ষন ধরে ডাকছি সারা তো দিবে …
মেরিন নিজের কাজেই ব্যাস্ত ।
নীড় : কতো tension এ পরে গিয়েছিলাম জানো ?
মেরিন : …
নীড় : কিছু বলছোনা কেন ?
মেরিন : …
নীড় : ans me damn it…
মেরিন নীড়ের চোখের দিকে তাকালো। নীড় মেরিনের চোখ দেখে অবাক হয়ে গেলো। ১প্রকার চমকেই উঠলো । কারন ভয়ংকর রাগ ছিলো মেরিনের চোখে। লাল হয়ে গিয়েছে। মেরিন চোখ নামিয়ে নিলো। জ্যোতি এলো।
জ্যোতি : এই এটাই কি ওই মেয়ে ? এই মেয়ে তুমি তো সাংঘাতিক বেয়া…
সবটা শেষ করতে পারলোনা । তার আগেই মেরিন হাতে থাকা ice cream টা জ্যোতির মুখে ছুরে মারলো । জ্যোতিও রেগে গেলো। রেগে গিয়ে মেরিনকে থাপ্পর মারতে নিলো । মেরিন জ্যোতির হাত ধরে মোচর দিয়ে জ্যোতিকে ঘোরালো ।
মেরিন : মেরিন বন্যা খানের দিকে হাত বারাতে এলে এমন হাল হয়। এখন আমি এসে গিয়েছি … তাই নিজের হাত ২টাকে সংযত রাখলো তোমার জন্য মঙ্গল। 1st & last warning … নিজের হাত ২টাকে + নিজেকে control এ রাখবেন। না হলে আমি কি করবো তা নিজেই জানিনা।
বলেই মেরিন জ্যোতির হাত ছেরে দিয়ে রেগে হনহন করে চলে গেলো। নীড় অবাক চোখে মেরিনের চলে যাওয়া দেখছে ।
জ্যোতি : এই মেয়েকে তো আমি দেখে নিবো।
নীড় : …
জ্যোতি : তুমি কিছু বললেনা কেন নীড়…
নীড় : …
জ্যােতি : নীড়…
নীড় : হ্যা…
জ্যোতি : তু্মি ওই অসভ্য মে…
নীড় : mind your language জ্যোতি । খবরদার মেরিনকে নিয়ে কোনো বাজে কথা না। আমি সহ্য করবোনা।
বলেই নীড়ও চলে গেলো।
মেরিন তো রেগেমেগে বাসায় গিয়ে ভাঙচুর করে অস্থির। এরপর রুমে গিয়ে চুপচাপ কান্না করতে লাগলো। ও বুঝতে পারছেনা কি করছে কেন করছে ?
আর নীড়ের মাথায় মেরিনের ১টা কথাই ঘুরছে। আর সেটা হলো ” 1st & last warning … নিজের হাত ২টাকে + নিজেকে control এ রাখবেন। না হলে আমি কি করবো তা নিজেই জানিনা। ”
.
ওদিকে…
মোহনা অহনাদের বাসায় গেলো ।
মোহনা : আপু….
মেঘলা : মাম্মামপাকি…
মোহনা : ময়নাপাখিটা ।
মোহনা মেঘলাকে কোলে নিলো ।
অহনা : আয় আমার সাথে ।
অহনা মোহনার ওরনাটা দিয়ে মোহনার মাথায় ঘোমটা দিয়ে দিলো ।
মোহনা : what is all this??
বলেই মোহনা ঘোমটা টা ফেলে দিলো ।
অহনা : একটুখানি রাখনা প্লিজ ।
মোহনা : no way…
অহনা : উফফ । শোন ফুপু কে পায়ে ধরে সালাম করবি কিন্তু ।
মোহনা : what? why? তোমার ফুপু শাশুড়িকে আমি পা ধরে কেন সালাম করবো?
অহনা : একটু করলে কি হয় ?
মোহনা : এমন ফালতু কথা আর কাজ আরেকটা করলে আমি এখান থেকেই চলে যাবো ।
অহনা : এই না চল । ভেতরে চল ।
অহনা মোহনাকে নিয়ে ভেতরে গেলো।
অহনা : ফুপু। আমার বোন। মোহনা। মোহনা খান মিষ্টি ।
মোহনা সালাম দিলো । ফুপু সালাম নিলো।
ফুপু : আসো দেখি । আমার পাশে এসে বসো দেখি ।
মোহনা অহনার কানে কানে
বলল : এই মহিলা কি চোখে কম দেখে?
অহনা : যা । গিয়ে বোস ।
মোহনা : huh…
মোহনা গিয়ে বসলো।
ফুপু : মাশাল্লাহ ভীষন সুন্দর ।
মিসেস জাবিন : বলেছিলাম না ননদিনী। মোহনা দেখতে মাশাল্লাহ ।
ফুপু : হামম। আমাদের সায়ানের সাথে ভীষন মানাবে।
“সায়ানের সাথে ভীষন মানাবে “… এই কথাটা শুনেই মোহনার মাথা সেই লেভেলর গরম হয়ে গেলো।
জাবিন : মানাবে বলেই তো আমি আর শুভ্র ভাই ঠিক করলাম সায়ানের সাথে মোহনার বিয়ের ব্যাপারটা ।
ব্যাস আর কি লাগে । মোহনার শরীরের রক্ত গুলো এতোক্ষন তো কেবল টগবগ করছিলো। এখন তো মনে হয় ও blast হয়ে যাবে। অহনা মোহনার মুখ দেখে বেশ বুঝতে পারছে যে মোহনা সেই লেভেলের ক্ষেপে গিয়েছে ।
ফুপু : দেখি দেখি … মা তোমার হাত দেখি …
বলেই ফুপু মোহনার হাতে স্বর্নের চুরি পরাতে নিলো ।
মোহনা : দারিয়ে গেলো ।
ফুপুও দারালো।
মোহনা : আমি আসছি …
জাবিন : কেন ? আজকে তো তুমি থাকবে এই বাসায় ।
তখন সৌরভ উপস্থিত হলো।
সৌরভ মনে মনে : এর সর্বনাশের মাথায় বারি দিয়ে দিয়েছে। বারবার না করলাম এমন কিছু না করতে। তবুও। situation out of control হওয়ার আগে মোহনা যখন যেতে চাইছে তখন ওকে যেতে দেয়াই ভালো।
সৌরভ : ও যখন যেতে চাইছে তখন যেতে দাওনা।
অহনা : কিন্তু…
সৌরভ : অহনা let her go…
মোহনা আর কোনো কথা না বলে বেরিয়ে গেলো।
সৌরভ : অহনা রুমে আসো তো। কথা আছে।
.
রুমে…
সৌরভ : r you completely mad অহনা ? তোমাকে হাজারবার না করা সত্বেও কেন এমনটা করলে ?
অহনা : যা করেছি বাবার permission নিয়েই করেছি ।
সৌরভ : তোমার বাবারও মাথা খারাপ হয়েছে , তোমারও আর আমার মায়েরও। এতো বড় ১টা decision মোহনার ঘাড়ে চাপানোর আগে at least ওর সাথে discuss করা উচিত ছিলো।
অহনা : করে কি লাভ । ও তো না করে দিতো ।
সৌরভ : এখন কি ও হ্যা করবে?
অহনা : হ্যা না করলেও করাতে হবে। ছলে বলে কৌশলে । যেভাবেই হোক ওকে রাজী করাতে হবে ।
সৌরভ : পাগল হলে তুমি অহনা।
অহনা : হ্যা আমি পাগল হয়েছি । যদি নিজের বোনের ভালো চাওয়া পাগলামো হয় তবে আমি পাগল । দেখো আমার বোনটার মনে ভীষন কষ্ট।আর যথেষ্ট আঘাত পেয়েছে । ওর জীবনে এমন কাউকে দরকার যে ওকে ভীষন ভালোবাসবে। যেই ভালোবাসা আমি সায়ানের চোখে দেখেছি ।
সৌরভ : আর মোহনার ভালোবাসা ? তুমি জানোনা ও ভালোবাসাটাকে কতোটা ঘৃণা করে ।
অহনা : হ্যা জানি । কিন্তু ১টাবার সায়ানের সাথে ওর বিয়েটা হলে বিয়ের জোরে কবুলের জোরে ১দিন না ১দিন ও ঠিকই মেনে নিবে।
সৌরভ : তুমি ভুল করছো।। এতে মোহনার সাথে তোমার বন্ডিংটাও যাবে ।
অহনা : যাক । হ্যা আমি ভুল করছি । যদি আমার ভুলের পরিবর্তে আমার বোন ভালো থাকে তবে সেটাই ভালো। ও আমাকেও ঘৃণা করুক তাতে আমার কোনো সমস্যা নেই। কিন্তু ও ভালো থাকুক । আমার চোখের সামনে থাকুক । এটাই আমার কাছে সব…
সৌরভ : কিছুই বলার নেই তোমাকে । তবে খুব শীঘ্রই নিজের ভুলটা বুঝবে।
বলেই সৌরভ চলে গেলো ।
.
মোহনা বাবাকে ফোন করলো । কিন্তু in the meeting meeting বলছে । মোহনা অভ্রকে ফোন দিলো। প্রায় ২বছরপর ছোট্টবোনটার ফোন পেয়ে আনন্দে আটখানা হয়ে অভ্র সাথে সাথে ফোন ধরলো।
অভ্র : পিকু ত…
মোহনা : শুভ্র খান কোথায় ? অফিসে নেই । আবার ফোনও ধরেনা । কোথায় শুভ্র খান।
অভ্র : কককি হয়েছে এতো রেগে আছো কেনো পিকু ?
মোহনা : তেল দিয়ে কথা শুনতে চাইনি। ওগুলো মমতা খানের জন্য তুলে রাখো । শুভ্র খান কোথায় সেটা বলো ?
অভ্র : বাবা ১টা কাজে গিয়েছে। important meeting … এ আছে ।
মোহনা :কোথায় ?
অভ্র : মিটিংএ …
মোহনা : কোথায় জিজ্ঞেস করেছি কিন্তু।
অভ্র : বলছি …
জেনেই মোহনা ফোন রেখে দিলো । অভ্রের চোথ দিয়ে পানি গরিয়ে পরলো। আদরের ছোটবোনটার মুখে ২বছর ধরে ভাইয়া ডাক শোনেনা। অথচ সারাদিন ভাইয়া ভাইয়া শুনতে শুনতে পাগল হয়ে যেতো প্রায়….
.
রেদোয়ান চৌধুরী আর শুভ্র খান মুখোমুখি বসে আছে । না ঝগড়া করতে না। ১টা বিশেষ বিষয়ে কথা বলতে । ১টা বস্তি নিয়ে কথা বলতে। যেটার অর্ধেক মালিক রেদোয়ান আর বাকী অর্ধেক মালিক শুভ্র ।
রেদোয়ান : আমি চাইনা বস্তির মানুষ গুলোকে উচ্ছেদ করা হোক ।
শুভ্র : আমিও চাইনা তেমনটা । আমি কেবল চাই বস্তিটা মেরামত করতে। সেটা বেশ unhealthy হয়ে উঠেছে সবার জন্য ।
রেদোয়ান : মানুষের ভালোর কথা ভাবতে দেখে ভালো লাগলো । কারো ভালো করতে চৌধুরীরা কখনো পিছু হটে না।
শুভ্র : good t…
তখন ২জন তীব্র ঝাঝালো কন্ঠে শুনতে
পেলো : মিস্টার শুভ্র চৌধুরী …
২জন দারিয়ে গেলো । দেখলো মোহনা দারিয়ে আছে ।
রেদোয়ান মনে মনে : এটা আবার কে??
গার্ড : sorry sir… আমরা এই মেয়েটাকে অনেক বাধা দিয়েছি ভেতরে আসতে। কিন্তু এই বেয়াদব মেয়েটা শুনলো না।
শুভ্র ঠাস করে গার্ডকে থাপ্পর মারলো।
শুভ্র : সাহস কি করে হয় আমার মেয়েকে বাধা দেয়ার ? তারওপর আমার মেয়েকে বেয়াদব বলার।
গার্ড : sorry sir…
মোহনা তাচ্ছিল্যের হাসি দিয়ে ৩বার তালি বাজালো।
মোহনা : বাহ। কতো ভালো বাবা আপনি… ১টা অসহায় লোক just বাধা দিয়েছে বলে & just বেয়াদব বলেছে বলে আপনি এই লোকটাকে থাপ্পর মারলেন। আর ওই মমতা খান যে আমাকে… যাক গে। ১কথা বারবার বলতে আমার ভালো লাগেনা। যেটা বলতে এসেছি…
আপনার সাহস কি করে হয় সায়ানের সাথে আমার বিয়ের ঠিক করার। ???
রেদোয়ান মনে মনে : আরো বলুক এই শুভ্রকে । বেশ লাগছে । কিন্তু এটা কি মিষ্টি ? হ্যা তাইতো লাগছে । যদি মিষ্টি হয় তবে ওই মেয়েটা কে ছিলো? confusing….
শুভ্র : মামনি…
মোহনা : don’t call me মামনি… আমি আপনার মা নই । আপনার মা কে গিয়ে মামনি ডাকবেন।
শুভ্র : দেখো সায়ান ভালো ছেলে ।
মোহনা : ভালো my foot… আমার life নিয়ে মাথা ঘামানোর অধিকার আপনাকে কে দিয়েছে ? জন্ম দিলেই বাবা হওয়া যায়না । সেটা মাথায় রাখবেন । যদি next time আমার life এ নাক গলাতে আসেন তাহলে আমি আপনার টাকার পাহাড়ে আগুন লাগিয়ে দিবো মিস্টার old man…
বলেই মোহনা হনহন করে বেরিয়ে গেলো।
রেদোয়ান মনে মনে : হায় কি শান্তি । ও মিষ্টি মামনি … এই লোকটাকে আরো কিছু বলে যাও । যেওনা মামনি… ওওও….
.
রাতে…
মেরিন আয়নার সামনে দারিয়ে আছে। খুব সামনে । নিজেকেই তীক্ষ্ণ দৃষ্টিতে দেখছে । নিজের প্রতিচ্ছবির ওখানে টোকা দিলো ২-৩টা…
মেরিন : এই যে হ্যালো … শুনতে পাচ্ছো ? তোমাকেই বলছি । হ্যা হ্যা তোমাকেই বলছি । কোনন দুঃখে আজকে এতো ক্ষেপতে গেলে? হ্যা ? বলো। tell me… ওই জ্যোতি না মোটি নীড়কে জরিয়ে ধরুক বা বিয়ে করুক । তাতে তোমার বাপের কি ? হ্যা তোমার বাপের কি? আর যদি কখনো এমন react করতে দেখি তো জানে মেরে ফেলবো। got it…
বলেই মেরিন আয়নার সামনে থেকে সরে গেলো । ১মিনিট পর আবার হাজির হলো ।
মেরিন : আমার যা মন চায় আমি তাই করবো । তাতে তোমার বাপের কি? আর হ্যা next time ওই জ্যোতিকে নীড়ের সাথে চিপকাতে দেখলে ২টা কেই জানে মেরে ফেলবো। got it… huh…
.
ওদিকে…
নীড় : মেরিন মেরিন মেরিন… এই ১টা নাম… এই ১টা মেয়ে আমাকে just পাগল করে দিবে । কি মানে ছিলো ওর বলা কথাগুলোর ? just ধাক্কা দেয়ার জন্য বা থাপ্পর দেয়ার জন্য অমনটা ছিলোনা । কারন ওর চোখ ২টা কি ভয়ানক লাগছিলো । এই রাগের কারন কি ? এমন রাগ তো আগে ওর চোখে দেখেনি … হ্যা শুনেছি যে ও রাগী। কিন্তু দেখিনি … এমন রেগে কেন ছিলো … উফফ বুঝতে পারছিনা। সাগরকে ফোন করি । ট্রেনিং থেকে ফিরেছে ? হ্যা হয়তো । ১১টা বাজে।
নীড় সাগরকে ফোন করলো।
সাগর : কি রে কি খবর?
নীড় : জানিনা। তোর কাজ কেমন হলো ?
সাগর : ভালো। কিন্তু তোকে জানিনা রোগে ধরলো কেন ? ঝগড়া হয়েছে নাকি মেরিনের সাথে ?
নীড় : না।
সাগর : তো ?
নীড় সব বলল।
সাগর : ?। আবার বল…
নীড় বলল।
সাগর : আবার …
নীড় বলল।
সাগর : আবার…
নীড় : ওই শালা আমাকে কি ভাঙা রেকর্ড পেয়েছিস ? আবার করছিস? তুই problem solve না করে উল্টা আমাকে ঢোলের মতো বাজাচ্ছিস।
সাগর : একটু তো বাজানো জায়েজ আছে bro…
নীড় : মানে ?
সাগর : তোর কপাল খুলে গিয়েছে ।
নীড় : মানে ?
সাগর : মানে মেরিন তোকে ভালোবেসে ফেলেছে …
নীড় : what ???
.
চলবে…