Bestfriend part : 14

0
2829

#Bestfriend
part : 14
writer : Mohona

.

মোহনা : আআআ???
মোহনার চিল্লানোত মেরিনও চমকে উঠলো। তাই
মেরিনও : আআআ ???
মেরিনের চিল্লানোতে মোহনা অবাক হয়ে গেলো। চিল্লানো থামালো। মেরিন চিল্লাতেই আছে চোখ বন্ধ করে। মোহনা বিরক্ত হয়ে মেরিনের মুখে চকোলেট ঢুকিয়ে দিলো । মেরিন মনের সুখে চকোলেট খেতে লাগলো। যেন এটাই পৃথিবীর সবথেকে জরুরী কাজ।
মোহনা : ওই মাইয়া ওই তুই চিল্লানি মারলি ক্যালা ?
মেরিন : ভাবলাম তুই যখন চিল্লাচ্ছিস তখন নিশ্চয়ই চিল্লানোর কোনো কারন হবে। তাই আমিও চিল্লানি মারলাম।
মোহনা : ?।
মেরিন : ?।
মোহনা : ১টা উস্টা মেরে নেপচুনে পাঠিয়ে দিবো।
মেরিন : তা না হয় পাঠাবি। তবে তার আগে বল যে তুই হুদ্দাই চিল্লানি মারলি কেন ? আমার কানের পোকাগুলো মরে গেলো।
মোহনা : বেশ করেছি । আ..
তখন ২জন শুনতে
পেলো : কেমন আছো মামনিরা???

.

২জন ঘুরে দেখে নীলিমা দারিয়ে আছে। ২জন সালাম দিলো।
মেরিন : আন্টি তুমি এখানে ?
নীলিমা : পায়েস করেছি। আর নীড়ের মুখে শুনেছি তোমাদের ২জনেরই পায়েস খুব পছন্দের।
মোহনা : ২জনের কথা বলেছে নাকি কেবল মেরুনের?? মেরুনের কথা বলেছে তখন আমাকে কেন add করলা। এটা কি বিগ বাজারের সেল। যে by 1 get 1 offer…. মেরিনের সাথে মোহনা free free free…
নীলিমা মুচকি হেসে মোহনার নাক টেনে দিলো।
নীলিমা : মোহনা খান মিষ্টিই নীলিমা চৌধুরীর perfect মেয়ে। বিধাতা কেন যে সোহানা খানের মেয়ে করে পাঠালো কে জানে। নীড়ের কাছে আসলে by 1 get 1 freeএর মতো।
২জন : মানে???
নীলিমা : খুব সহজ মেরিনের মতো বউ পাবে আর মোহনার মতো বোন+শালি পেয়েছে ।
২জন : ?।
মোহনা : বউ পেয়েছে মানে? ঢোলের সাথে তোর বিয়েও হয়ে গেলো। ফকিন্নি তুই আমাকে বললিও না।
মেরিন : আরে না। আমি মোটেও বিয়ে টিয়ে করিনি। আর ওই ডেভিল চৌধুরীকে তো কোনোদিনই করবোনা।
মোহনা : ডেভিল চৌধুরী বলতে আসছে । সারাদিন বসে বসে ঢোলের কথাই ভাবছে আবার ডেভিল বলতে আসছে। huh…
মেরিন : তো ডেভিলকে কি বলবো angel ??
মোহনা : বাবু সোনা জানু… huh….
নীলিমা পায়েসের বক্সটা খুলল। আর সেই ঘ্রাণ পেয়ে মেরিন-মোহনা ঝগড়া বাদ দিয়ে পায়েসের দিকে শকুনের নজরে তাকালো। নীলিমা মুচকি হাসি দিলো।
নীলিমা : আসো আসো বাচ্চারা। বসো বসো।
নীলিমা ২জনকে খাইয়ে দিতে লাগলো।
নীলিমা : কেমন হয়েছে মামনিরা?
মেরিন : ফাটাফাটি…
মোহনা : awwwe ki cute…
মেরিন : তোমার হাতে তো magic আর যাদু ২টাই আছে?
নীলিমা : সত্যি!!! হায় ম্যা মারজাওয়া … এতো তারিফ কেউ কখনো করেনি ।
মোহনা : তুমি আমাদের পায়েস খাওয়াতে থাকো। আমরা বস্তা বস্তা awwwe ki cute তারিফ করবো।
নীলিমা : আমি তো তবে কালও আনবো।
২জন : আর আমরা খাবো। খাইয়ে দিতে হবে কিন্তু ।
নীলিমা : আবার জিগায়। ?

.

রাতে….
২টা…
মোহনা ছবি দেখছে। তখন দেখতে পেলো বারান্দায় কারো ছায়া ।
মোহনা : oh my প্রিয় আল্লাহ চোর। তাও আমাদের বাসায়। দারাও বাবাজীবন এখন আমি তোমাকে বাবামরন বানিয়ে দিবো ।
মোহনা লাঠি আর চাদর হাতে নিলো। তখনই শুনতে
পেলো : মিষ্টু এই মিষ্টু … দরজা খোল ।
মোহনা : মেয়ে চোর? আমার নামও জানে দেখছি।
মেরিন : এই মিষ্টু আমি জানি তুই ঘুম না। দরজা খোল।
মোহনা : কে তুই?
মেরিন : ১টা থাপ্পর মারবো । কন্ঠ চিনিসনা?
মোহনা : চিনি তো। কিন্তু এতোরাতে তো কন্ঠের মালিক ঘোড়ি বিক্রি করে চকোলেট কিনে ঘুম দেয়।
মেরিন : দরজা খুলবি নাকি লাথি মেরে ভাঙবো?
মোহনা : code word বল।
মেরিন : awwwe ki cute…
মোহনা দরজা খুলে দিলো। দেখলো মেরিন দারিয়ে আছে। চুলগুলো এলোমেলো।
মোহনা : কি রে কোথায় চুরি করতে গিয়ে ঢুয়ানি খেলি ?
মেরিন : কি? মানে কি?
মোহনা : fire হচ্ছিস কেন ? তোর চুলের এই হাল দেখেই তো ask asking .. তোর চুলের এই দশা কে করলো?
মেরিন : আমিই করেছি ।
মোহনা : সে কি কেন?
মেরিন : জানিনা কিছুই মাথায় ঢুকছেনা। ঘুম আসছেনা। কিন্তু ঘুমাতে ইচ্ছা করছে … আম্মু…
মোহনা : ?।
মেরিন : সর ভেতরে ঢুকতে দে। আর কফি বানিয়ে খাওয়া।
মোহনা : ঘুম আসছেনা। এরমধ্যে আবার কফি?
মেরিন : সনস্যা?
মোহনা : না।
মেরিন : তুই কফি বানা। আমি মাথায় পানি দিয়ে আসছি ।
মোহনা : ok..
মোহনা কফি বানাতে লাগলো ।
মোহনা : নির্ঘাত কোনো না কোনো ঘাপলা হয়েছে । কিন্তু কি ?
মেরিন : এখনও বানানো হয়নি।
মোহনা : ধর গিল। গিলে উদ্ধার কর ।
মেরিন : huh…
২জন কফি খেতে লাগলো।

.

মেরিন : এই মিষ্টু …
মোহনা : বল।
মেরিন : আমার না কি যেন হয়েছে?
মোহনা : কি?
মেরিন : ঘুম আসেনা । মাথায় খালি নীড় ঘোরে। আর ঘোরে …
মোহনা : আর ঘোরে?
মেরিন : নীড়ের কথা , কাজ , কিস … ?..
মোহনা : ভাললো। কি কিস??? ??।
মেরিন : আরে গালে কিস। আর ১টা কপালেও ..
মোহনা : তোকে ১টা ছেলে কিস করলো। আর সেই ছেলে এখনো জিন্দা আছে? রনি একটু হাত ধরেছিলো বলে তো ৩দিন icu তে আর ২মাস হসপিটালে ছিলো ।
মেরিন : হ্যা। কিন্তু নীড় সামনে এলে কেন যেন আমার মন-মাথা কাজ করেনা ।
মোহনা : তোর জন্য না ২লাইন গান মাথায় আসতেছে। য্যাসা ফিল্মমে হোতা হ্যা হো রাহা হ্যা হুবহু…
মেরিন : yuck আমির খানের গান। ছিঃ।
মোহনা : ok SRK এরও আছে । হো গেয়া হ্যা তুঝকো তো পেয়ার সাজনা , এরপর আছে সুরাজ হুয়া মাধ্যাম , তবা তুমহারে ইয়ে ইশারে , আরো আছে … চালতে চালতে ইয়ুহি….
মেরিন : shut up… ?..
মোহনা : এতো চিল্লাস কেন?
মেরিন : রাত দুপুরে ফাজলামো করো আর আমি চিল্লাবো না? SRK এর গানের বন্যা বসায় দিচ্ছে আর মানুষ চিল্লাবেনা। huh…
মোহনা : ?।
মেরিন : এভাবে তাকিয়ে না থেকে ভেবে বল ঘাপলা কোথায়?
মোহনা : ok…

.

৫মিনিটপর…
মোহনা : অনেকক্ষন ভেবে আমি আবিষ্কার করলাম যে …
মেরিন : কোথায় ঘাপলা।
মোহনা : devil ঢোলে ঘাপলা ।
মেরিন : মানে?
মোহনা : মানে আমি নিজেও জানিনা। তবে এখনই জেনে যাবো ।
মেরিন : কিভাবে?
মোহনা mobile হাতে নিয়ে
বলল : এভাবে ।
মেরিন : মানে?
মোহনা : ডেভিল ঢোলকে ফোন করে ।
মেরিন : ওই না খবরদার।
মোহনা : আরে তোর problem solve হয়ে যাবে।
মেরিন : লাগবেনা problem solve ..
মোহনা : filmy logic বলে যে তুই প্রেমে পরেছিস ।
মেরিন আর তোর লজিক?
মোহনা : আমার আবার কিসের লজিক হবে? আমি কি জনমে প্রেম করেছি যে জানবো ?
মেরিন : হ্যা তাও ঠিক।

.

৩দিনপর…
এই ৩দিনে মেরিন ফাকা সময় পেলেই নীড়ের কথা ভেবেছে। বিনিময়ে মোহনার কিলঘুষিও খেয়েছে।
নীড় : hi girls ..
মোহনা : আরে ঢোল আপনারই ঘাটতি ছিলো । আপনি জানেন আপ…
আর বলতে পারলোনা । মেরিন মোহনার মুখ হাত দিয়ে আটকে দিলো ।
মেরিন : চুপ থাকবি। কোনো কথা বলবিনা । got it…
মোহনা : উম উম…
মেরিন : উম উম করছিস কেন? তোকে কি কেউ কিস করতেছে নাকি? ভালোভাবে কথা বল।
নীড় : বনপাখি তু…
মেরিন : আপনি চুপ করুন।
নীড় : তুমি তো…
মেরিন : বলেছিনা চুপ থাকতে ।
মোহনা : উম উম…
মেরিন : আবার উম উম করিস…
মোহনা fire হয়ে ধিরিম করে মেরিনের পায়ে পারা মারলো। মেরিন পা ধরে লাফাতে লাগলো ।
মোহনা : মুখ ধরে রেখেছিস উম উম করবোনা তো কি করবো ? হ্যা ? idiot…
মেরিন : পারা দেয়ার কি আছে ? মুখে বললেই তো পারতি । তাইনা?
মোহনা : তুই ফের পাগলের বকছিস ? মুখ ধরে রাখলে মাথা দিয়ে বলবো নাকি ?
মেরিন : সেটা বলেছি নাকি ?

নীড় : আগে এদের কাহিনি দেখলে রাগ হতো। এখন হাসি পায় । popcorn হলে ভালো হতো।
২জন : কিছু বললেন?
নীড় : হামম বললাম। তোমরা এভাবে ঝগড়া গুলো এই চকোলেট গুলো কারা নিবে ?
২জন : আপনার টা নিবো কেন সেটা আগে জানতে চাই।
নীড় : gift from me… তোমাদের ক্লাস তো শেষ । চলো কোথাও ঘুরতে যাই। তোমাদের ফুচকাও খাওয়াবো ।
মেরিন : এরপর আমাদের kidnap করেন। তাইনা ? আমরা লাগে কিছু বুঝিনা ??
মোহনা : এই ডেভিল ঢোল লোক kidnap করেনা। ভয় দেখানোর চেষ্টা করে ।
নীড় : আচ্ছা মিষ্টু এখন তো তুমি আমি friend … আমাকে ভাইয়া ডাকলে কি হয় হামমম?
মোহনা : কেন আমার কি ভাইয়া নেই ?
নীড় : ভাইয়াকে তো অভ্র খান বলে ডাকো।
২জন : mind your own business …
নীড় : sorry … আচ্ছা চলোনা যাই। ৩জন মিলে অননননেক মজা করবো।
২জন : let us ভাবিং।
নীড় : ok…
২জন : ১১কদম পিছে যান।
নীড় : ok…
নীড় গেলো ।
মোহনা : কি করা যায়?
মেরিন : জানিনা ।
মোহনা : পালাবো?
মেরিন : পালালে কি হবে? আবার হাজির হবে।
মোহনা : আর তোমার ভালো লাগবে । মন উরু উরু করবে। তুই দারিয়ে থাকবি জামি চালনে লাগি situation হবে । তোমরা romance করবা আর আমি কাবাব মে এলাচি হবো।
মেরিন : ১০লাইন বেশি বুঝিস কেন? এ এতো ঘোরাই ঘোরাই করে কেন ? টাকা বেশি হয়ে গিয়েছে। একটু কমাতে হবে ।
মোহনা : হামম। তারমানে awwwe ki cute শপিং।
মেরিন : হামমম। কিন্তু উনার টাকা আমরা নিবো কেন? সেটাও তো আছে ।
মোহনা : আরে ঢোলের টাকায় ঢোলের family আর ঢোলের জন্যেই কিনবো।
মেরিন : মানতেই হবে । awwwe ki cute idea… দে তালি।
মোহনা : দে তালি ।

.

২জন হেলেদুলে নীড়ে কাছে গেলো ।
নীড় : shall we???
২জন : হামম।
নীড় মনে মনে কোথাও না কোথাও প্যাচ আছে । কিন্তু কি??
২জন : চলুন।
নীড় : ok…
তখন সায়ান মানে অহনার দেবর এলো।
সায়ান : হ্যালো মেরিন-মোহনা।
২জন মনে মনে : এই নমুনা কোথায় থেকে এলো। ফকিন্নি মার্কা । huh…
নীড় মনে মনে : এটা আবার কে?
২জন : হাই হিরো আলম মার্কা আমির খান ।
সায়ান : হাহাহা।। তোমরা আর পাল্টালেনা । পাগলি ২টা।
২জন : তুমিও তো পাল্টাওনি। হিরো আলম মার্কা আমির খানই রয়ে গেলে ।
সায়ান : anything for you… এখন চলো।
২জন : কোথায় ?
সায়ান : বাসায়।
২জন : কিন্তু কেন?
সায়ান : ভাবি যেতে বলল। আমার ফুপ্পি এসেছে তাই।
মোহনা : তাতে আমার জামাইর কি ?
সায়ান : মানে উত্তরা টু উত্তরা । যদি চলতে ভালো লাগতো ।
মোহনা : আমাদের অন্য plan আছে।
সায়ান : প্লিজ চলোনা। এই দেখো ভাবি ফোন করেছে । নাও কথা বলো।
মোহনা : হ্যাললো ।
অহনা : চলে আয় তোরা সায়ানের সাথে।
মোহনা : নীড় ভাইয়ার সাথে ঘুরতে যাচ্ছি ।
নীড় মনে মনে : মোহনা আমাকে ভাইয়া ডাকলো?
মেরিন নীড়ের কানে ফিসফিস করে
বলল : খুশি হওয়ার কিছু নেই । সায়ানের জন্য ।
অহনা : তাহলে নীড়-মেরিনকে আলাদা ছেরে দে। ওদের মাঝে odd feel করবি ।
মোহনা : মানে কি? নীড় ভাইয়া আমাদের নিয়ে বেরাতে যেতে চেয়েছে ।
অহনা : আরে বুদ্ধু । তোরা একসাথে আছিস বলেই তোকেও যেতে বলেছে । বুঝিসনা?
মোহনা : নীড় ভাইয়া অমননা।
অহনা : আচ্ছা ওদের আলাদা কিছু সময় কাটাতে দেয়া উচিত কিনা বল???
মোহনা : okk. bye… আসছি।
ফোন রেখে দিলো ।
মেরিন : চল তবে আপুদের বাসায় ।
মোহনা : তুই এককাজ কর তুই তবে নীড় ভাইয়ার সাথে চলে যা।
মেরিন : কিন্তু…
মোহনা : বোঝার চেষ্টা কর। তুই যাওয়া মানেই ওই বাসায় রাত থাকতে হবে। আর তাছারাও নীড় ভাইয়া কতো আশা করে বলেছে।
মেরিন : কিন্তু …
মোহনা : যা তো। চল । নীড় ভাইয়া next day আমিও যাবো কিন্তু।
নীড় : তুমি ছারা জমবে না যে।
মোহনা : next দিন শুধে আসল উসুল করে নিবো। bye…
মোহনা সায়ানের সাথে চলে গেলো।

.

নীড় মনে মনে : সব তো ঠিক আছে কিন্তু এই সায়ান না সপন… whatever আমার বোন + ভাবির দিকে অমন করে তাকায় কেন ? লাগে কতো যে ভালোবাসে। আমার বন্ধুর love story এর মাঝে যদি দারি , কমা ,ফুল স্টপ হয়ে আসে তবে কি করবো নিজেও জানিনা। যত্তোসব ।
নীড় : চলো।
মেরিন : হামম।
নীড় : মোহনাকে ভীষন মিস করবো। কালই ২জনকে নিয়ে বের হবো। ছোট বোনটাকে নিয়ে। বসো।
মেরিন বসলো। ওরা shopping mall এ পৌছালো। হাটতে হাটতে মেরিনের সাথে ১টা মেয়ের ধাক্কা লাগলো। তার নাম জ্যােতি ইমাম।
মেরিন : দেখে চলতে পারেন না চোখ নেই ?
জ্যোতি : excuse me তোম… আরে নীড় the crush boy…
নীড় : আরে জ্যোতি তুমি?
জ্যোতি নীড়কে জরিয়ে ধরলো। কিন্ত নীড়না। আর এই বিষয়টা মেরিনের মোটেও ভালো লাগেনি। সাংঘাতিক রাগ হচ্ছে। কেন হচ্ছে মেরিন নিজেও জানেনা ।
জ্যোতি : i missed you my জান… & love u also…

.

চলবে….

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে