#Bestfriend
part : 12
writer : Mohona
.
মোহনা : এখন যদি ঢাকাইয়া কুটনীর চোক্ষের সামনে দিয়ে আমি ভেতরে যাই তবে সারাদিন বাইকে ঘুরে যে দামী awwwe ki cute মেজাজটা পেয়েছি সেটা নষ্ট হয়ে যাবে । কালকে সকালে মমতা খানের সাথে মনের সুখে যুদ্ধ করবো। এখন পাইপ বেয়ে ওপরে উঠে যাই। তবে একটু শুনে যাই কি কি কথা হচ্ছে। ?।
শুভ্র : মা তুমি ভুল দেখেছো মোহনা অমন না।
মমতা খান : তুই চুপ থাক । ওই মেয়ে ভালোনা।
মোহনা : mission তো successful … চল awwwe ki cute মোহনা। fresh হয়ে ঘুম দে। কালকে সকালে উঠে তামাশা করতে হবে। সবাইকে চুপি চুপি good morning …
.
রাত ২টা…
মেরিনের ঘুমটা ভেঙে গেলো। ভাঙবেই তো সন্ধ্যার আগে থেকে ঘুম দিচ্ছে। আর ঘুম ভাঙার পর নিজেকে রুমে পেয়ে
মেরিন : আআআ… ???…।
মেরিনের এমন চিৎকারে কবির-কনিকার ঘুম ভেঙে গেলো। দৌড়ে এলো মেরিনের রুমে।
কবির : কি হয়েছে মামনি? ঠিক আছো? কোনো সমস্যা? কোনো বলছোনা কেন মামনি?
মেরিন : আমি এখানে কবে কেন কি করে এলাম??
কনিকা : বজ্জাত মেয়ে… এমন বেহুদা পেচাল পারার কোনো মানে আছে ? নীড় দিয়ে গিয়েছে। তাছারা আর কে দিয়ে যাবে? আত্মা কাপায় দিয়েছে একেবারে।
কবির : একদম আমার মেয়েকে বকবে না । মামনি… ঘুমাও । আমি মাথায় হাত বুলিয়ে দিচ্ছি ।
মেরিন : its ok বাবা । তোমরা এখন গিয়ে ঘুমাও।
কবির : আগে তোমাকে ঘুম পারিয়ে নেই ।
মেরিন : যাও তো বাবা। মেরিন ঠেলেঠুলে ২জনকে পাঠিয়ে দিলো।
মেরিন : ক্ষুধা লেগেছে। আজকে মিষ্টুর মতো রাত ২টা বাজে খাবো।
মেরিন fresh হয়ে খেতে বসলো। আর আজকের সারাদিন কল্পনা করতে লাগলো। অজান্তেই মেরিনের ঠোটে হাসি ফুটলো ।
মেরিন : huh devil কোথাকার। একদম ভালো লাগেনা ওই ঢোলকে আমার। ধ্যাত ভালো লাগেনা। ঘুম আসছেনা কেন ? আমি যদি ঘুম না আসি তবে মিষ্টু কেন ঘুমাবে? আর এই সময়ে তো ওর জেগে থাকারই কথা।
মেরিন মোহনাকে ফোন করলো। প্রায় রাত ৮টা থেকে ১১-১২টা পর্যন্ত ঘুম দিয়ে রাত ২-৩টা পর্যন্ত জাগা মোহনার স্বভাব। কিন্তু আজকে ঘুমিয়ে পরেছে ।
মেরিন : ফোন ধরেনা কেন? আমার বাপের কি ? আমি ফোন দিতেই থাকবো ।
মেরিন ফোন দিতেই লাগলো। অবশেষে মোহনা ধরলো।
মোহনা : এই কোন হাতির হালুয়ারে … আমার ঘুমের রফাদফা করলিরে???
মেরিন : আমিরে…
মোহনা : একি মেরুন তুই? এতো রাতে ?স তুইতো এসময়ে ঘোড়া বেচে চকোলেট কিনে ঘুমাস । তাহলে এখন জেগে আছিস কেন ?
মেরিন : তুইতো এই সময়ে সিনেমা দেখিস তাহলে এখন ঘুমাস কেন ?
মোহনা : কারন আজকে সারাদিন বাইকে ঘুরে ফুরফুরে মেজাজে ছিলাম।
মেরিন : তোকে সারাদিন বাইকে ঘুরালো কে ?
মোহনা : জল্লাদ।
মেরিন : ভা… কি?? ?? কি বললি?
মোহনা : তুই কি কানে কম শুনিস ?
মেরিন : কানে কম কিনা জানিনা কিন্তু হয়তো বেশি শুনি হয়তো। আমি জল্লাদ শুনলাম।
মোহনা : আরে আমি জল্লাদই বলেছি ।
মেরিন : মানে কি ? কেন ?
মোহনা সব বলল।
মেরিন : কি বলছিস কি ? তোকে কালকে পুলিশে দেবে ? আর তুই এতো relax …?
মোহনা : হ্যা। কারন আমাকে পুলিশে দেয় কার সাধ্য। এখন বলতো তুই সারাদিন কি কি করলি ?
মেরিন : বলার জন্যেই তো ফোন করলাম।
মেরিনও সব বলল।
মোহনা : ওয়হোয়… কেয়া বাত হ্যা … এখন বল তো তোদের বিয়ে কবে খাবো?
মেরিন : কুছভি …
২জন কথা বলতে বলতে ঘুমিয়ে পরলো।
.
সকাল ৯টা…
মোহনা সব রকমের alarm দিয়ে রেখেছিলো। যেন ঘুম ভাঙে। কারন মমতা খান ফজরের নামায পরে , কোরআন শরীফ পড়ে এরপর ঠিক ৯:৩০পর্যন্ত ঘুম দেয়। কিন্তু মোহনা চায় আজকে নিজস্ব style এ মমতা খানের ঘুম ভাঙাতে । মোহনা fresh হয়ে রোদ্রকে ওঠাতে গেলো। গিয়ে দেখে রোদ্র আগেই উঠেছে।
রোদ্র : ফপ্পি তুমি এতো সকালে … তাও গিটার হাতে?
মোহনা : চলো ফপ্পি আজকে সকাল শুরু করি গানে গানে। awwwe ki cute…
রোদ্র : মজার তো। চলো চলো।
মোহনা : তুমি এই ঢোলটা বাজাবে। ok ?
রোদ্র : ok…
২জন হলরুমে গেলো ।
মোহনা : ready steady go….
বলেই ফুপু-ভাতিজা মিলে উরাধুরা বাজনা বাজিয়ে গাইতে লাগলো। এমন পরিস্থিতিতে ঘুমানো অসম্ভব । তাই মমতা খানেরও ঘুম ভেঙে গেলো। বাকীরা হা হয়ে দেখছে। মমতা খান নিচে নেমে এলো।
মোহনা :
???
মোস্তাকিমের চাপ আবার জিগায়
বগুড়ার দই হালায় আবার জিগায়
সাতক্ষীরার সন্দেশ কতো মজা তাই
পেটভরে খেয়ে নাও বুঝিছাও ভাই….
সিলোডিরা মাইত্তা খয় আবার জিগায় ।
নোয়াখালি হালি হুনে আবার জিগায়
চিটাগঙ্গে ফুনে আবার আবার জিগায়
বরিশালে দেখো মনু আবার জিগায়।
???।
মমতা খান : বন্ধ করো।
মোহনা : হাই মিসেস ঢাকাইয়া ? whats up?
মমতা খান : এসব কি হচ্ছে ?
মোহনা : the আবার জিগায় part 2… ঢাকাইয়া ভার্সনও আছে।
হেই চকবাজারের কাবাব আব…
মমতা খান : একদম চুপ।
মোহনা : ওকে । ভালো লাগেনি ? ২মিনিট নিরবতা পালন করি । বাসার সবাই বেশ বুঝতে পারছে যে আজকে খান বাড়িতে ঝড় আসতে চলেছে ।
মমতা খান : কালকে ছারাদিন কোথায় ছিলি?
মোহনা : ছিলাম কোথাও ।
মমতা খান : কোথায় ?
মোহনা : আপনাকে বলতে বাধ্য নই।
মমতা খান : অছভ্যতামী করতে চাইলে কর। তোকে নিয়ে আমার কোনো মাথা ব্যাথা নেই। মাগার যাই করবি এই বাড়ি থেকে বেরিয়ে করবি । বের হ খান বাড়ি থেকে।
মোহনা : খান বাড়িটাকি তুই তোর বাপের বাড়ি থেকে যৌতুকে এনেছিলি???
মোহনার কথা শুনে তো মমতা খান ২গুন রেগে গেলো ।
মমতা : ওই মাইয়া ওই…
মোহনা : আওয়াজ নিচে। এটা তোর বাপের না আমার বাপের বাসা । কিছু বলতে আসলে না জিহ্বা টান দিয়ে ছিরে ফেলবো । আমি এ বাসাতেই থাকবো এ বাসাতেই থাকবো । যা মন চায় করবো । পারলে আটকাস। bye…
মোহনা বাড়ি থেকে বের হয়ে গেলো । নীড় মেরিনকে নিয়ে আজকেও বের হলো ।
.
চৌধুরী প্যালেস…
( সাগরদের বাসা )…
সাগর মনের সুখে রেডি সেডি হয়ে বাসা থেকে বের হচ্ছে । কারন আজকেও সে মোহনাকে নিয়ে ঘুরবে। কিন্তু তখনই দেখলো যে দরজা দিয়ে পান্না চৌধুরী ( দীদা ) দরজা দিয়ে ঢুকছে ।
সাগর : oh my god… সকালবেলা সকালে কি দেখছি কি আমি ? কারা এসেছে? আমার বউ চলে এসেছে । মামনি দেখে যাও ।
সাগর গিয়ে দীদাকে জরিয়ে ধরলো ।
সাগর : তো আমার ভালোবাসাটা কেমন আছো ? আমার স্বতীন খানা কোথায়? তোমরা ২জন না 2nd হানিমুনে গিয়েছিলে ?
দীদা : huh…
শিখা : আরে মা …তুমি। আসো আসো। বাবা কোথায় ?
দীদা : হবে কোথাও কোনো ছুরির সাথে । huh…
বলেই দীদা ওপরে চলে গেলো।
শিখা : case টা কি বলতো ? ওর দাদুভাই কি আবার বিয়ে-সাদী করলো নাকি ? omg…
তখন জাফর চৌধুরী মানে দাদুভাই ভেতরে ঢুকলো।
দাদুভাই : না গো বউমা। বিয়ে করিনি। ওটা তো তোমার শাশুড়ি তো কোনো কারন ছারাই খ্যাচখ্যাচকরে ।
দীদা : কি ?? কি বললা তুমি ? আমি খ্যাচখ্যাচ করি ?
শিখা : মা শান্ত হও তো ।
দীদা : হ্যা হ্যা তুমি তো সবসময়ের মতো তোমার শশুড়েরই support করবা । চোরে চোরে মাস্তুতো ভাই । huh…
শিখা মনে মনে : আসলেই শাশুড়িটা খ্যাচখ্যাচ করে। শশুড়টা কি ভালো ।
দাদুভাই : খবরদার আমার বউমাকে কিছু বলবেনা ।
দাদুভাই-দীদা লড়াই শুরু করলো।
দীদা : থাকবোনা । থাকবোনা আর এ বাড়িতে। সাগর দাদুভাই আমাকে এই শশুড়-বউমা থেরে দূরে নিয়ে চল।
সাগর : হ্যা ।একটু rest নিয়ে নাও। তারপর নিয়ে যাচ্ছি ।
দীদা : না আমি এখনই যাবো। এই মেয়ে নির্ঘাত শশুড়ের ওপর যাদুটোনা করেছে । huh..
সাগর : আচ্ছা দীদা। চলো চলো।
মনে মনে : আজকে আর মোহোপাখিকে নিয়ে ঘোরা হয়ে গেলো।। damn it…
সাগর দীদাকে নিয়ে বের হলো।
.
ওদিকে….
মেরিন চকোলেট ice cream খাচ্ছে আর নীড় drive করছে । খেতে খেতে হঠাৎ মেরিন দূর থেকে দেখলো রেদোয়ান গাড়ির বাহিরে দারিয়ে কার সাথে যেন ফোনে কথা বলছে ।
মেরিন মনে মনে : আরে আরে আরে … এটা তো সেই অসভ্য বর্বর কানকাটা তেলাপোকা না? যে কিনা সেদিন কাকার সাথে বাজে ব্যাবহার করছিলো। হামম হামম। সেটাই। সেদিন বেচেগিয়েছিলে চান্দু । আজকে বাচবেনা । ?।
মেরিন : hey stop stop stop stop stop…
নীড় অবাক হয়ে গাড়ি থামালো।
নীড় : anything wrong ?
মেরিন : একটুখানি reverse নিন। slowly please …
নীড় : কিন্তু কেন?
মেরিন : পরে বলছি । আগে নিন।
নীড় নিলো।
মেরিন : শুনুন আমি ২মিনিটে গিয়ে ৩মিনিটে আসছি। আপনি গাড়ির দরজাও খুলেই রাখবেন আর গাড়িও start দিয়ে রাখবেন। যেন আমি দৌড়ে এসে গাড়িতে বসতে পারি। আর আপনি রকেটের মতো গাড়ি ভাগাতে পারেন।
নীড় : মানে?
মেরিন : আমি আসতে আসতে মানে ভাবুন।
নীড় : ওই কোথায় যাচ্ছো।
মেরিন : আমি আসছি আপনি ভাবতে থাকুন।
মেরিন বের হলো। বেরিয়ে এদিক ওদিক ঘাড় ঘুরিয়ে ১টা লোহার রড পেলো। সেটা হাতে নিলো ।
নীড় : ওটা দিয়ে কি করবা ?
মেরিন : আপনি দরজা open করুন। আর ভুলেও নামবেন না। for god sake… না হলে পালাতে পারবোনা।
বলেই মেরিন রড নিয়ে রেদোয়ানের গাড়ির দিকে দৌড় মারলো । রেদোয়ান উল্টা দিকে ঘুরে থাকায় নীড় চেহারা দেখলো না। নীড় সিটবেল্ট খুলতে খুলতে মেরিন রড দিয়ে ধপাস করে রেদোয়ানের গাড়ির সামনের কাচ ভেঙে দিলো। রেদোয়ান চমকে উঠলো।
নীড় : oh no…এটা দেখি রেদ uncle … যদি জানতে পারে ও সাগরের কাজিন। ওদের না family problem ? নামবো ? না নামলে হয়তো situation টা ঘেটে যাবে।
রেদোয়ান : এই বেয়াদব মেয়ে … তোমার সাহস কি করে হয় আমার গাড়ির কাচ ভাঙার ?
মেরিন : আরো কিছু ভাঙবো।
বলেই মেরিন গাড়ির headlight ও ভাঙলো।
রেদোয়ান : তুমি…
মেরিন : খান বাড়ির মেয়ে আমি । আমার বাবা-কাকাকে কিছু বললে আমি ছেরে দিবো। huh…
বলেই রেদোয়ানের হাত থেকে মোবাইল আছার মেরে দে দৌড় । ১দৌড়ে গিয়ে গাড়িতে বসলো ।
মেরিন : নীড় চলুন চলুন চলুন।
নীড় : তুমি এটা কি করলা?
মেরিন : আরে চলুন। আসলো ।
নীড়ও আর দেরি না করে গাড়ি ভাগালো।
আর এদিকে রেদোয়ান মেরিনের যাওয়ার দিকে তাকিয়ে রইলো ।
রেদোয়ান : খান বাড়ির মেয়ে। মানে মিষ্টি … আমাদের মিষ্টি ? আমার মিষ্টি মামনি… কতো বড় হয়ে গিয়েছে ।
ভেবেই রেদোয়ানের চোখ দিয়ে ২ফোটা পানি গরিয়ে পরলো । আর খেয়াল হলো একটু আগের দৃশ্যের । আর রাগ উঠলো ।
রেদোয়ান : আসলেই খান বাড়ির মেয়ে । mannersless… বেয়াদব হয়েছে । শুভ্র খান তবে মেয়েকে নিজের মতো করেই গড়ে তুলেছে। একদম অসভ্য ।
.
সাগর দীদাকে নিয়ে প্রায় বিকাল পর্যন্ত ঘুরে ১টা পার্কে পৌছালো ।
সাগর : দীদা ice cream খাবে?
দীদা : হামম।
সাগর : ওকে তুমি এই বেঞ্চে বসো। আমি নিয়ে আসছি ।
সাগর ice cream আনতে গেলো । তখন দীদা মোহনাকে দেখলো। মোহনা অনেক গুলো ice cream আর বেলুন ৫-৭জন পথশিশুদেরকে দিলো। মুখে দুষ্টু-মিষ্টি হাসি । দেখতে দেখতে মোহনা হারিয়ে গেলো ।
দীদা : যাহ হারিয়েই গেলো । ভারী মিষ্টি মেয়েটা । এমন ধরনের মিষ্টি মেয়েকেই সাগরের বউ বানাবো। শিখার মতো বউ আনবো না। যে কেবল ওই বুড়োটার support করে।huh…
তখন দীদা খেয়াল করলো। যে ১টা ক্রিকেট বল তার দিকে তেরে আসছে। বয়স্ক মানুষ। তাই সরতে সরতেই বল অনেক কাছে চলে এলো । ভয়ে দীদা চোখ বন্ধ করে ফেলল । কিন্তু কিছু হলোনা । চোখ মেলে কারো হাত দেখলো। যার হাতে বলটা । এরপর হাতের মালিকের দিকে তাকালো। দেখলো মোহনা।
মোহনা মিষ্টি ১টা হাসি দিয়ে
বলল : লাগেনি তো আপনার ?
দীদা : না।
মোহনা : ভালো। আপনি বসুন।
বলেই মোহনা বলটা ঘোরাতে ঘোরাতে সেই ছেলেগুলোর সামনে গিয়ে দারালো।
মোহনা : বলটা কে হিট করেছে? blue t-shirt or red…?
red t-shirt : হিট করার জায়গা & জিনিস তাই হিট করেছি । so জ্ঞান না দিয়ে বলটা দিন…
কথাটা বলতেই মোহনা ছেলেটার দাত বরাবর বলটা মারলো। এতে তেরে আসতে নিলো।
মোহনা : stop there … i m মোহনা মিষ্টি খান । তো আমার সাথে লাগতে এসোনা । 1st… বলটা হিট করার বস্তু কিন্তু ওই বয়স্ক মহিলার মুখ বা অন্য কোন অঙ্গপ্রত্যঙ্গ হিট করার বস্তুনা। 2nd & main thing … এটা হিট করার জায়গাও না । এটা ডায়াবেটিস রোগীদের , বয়স্কদের হাটাহাটি করার জায়গা। খেলাধুলার জন্য পার্কের দক্ষিন দিকটা আছে। next time এখানে খেলতে দেখলে একেকজনের এমন অবস্থা করবো যেটা বলার বাহিরে। so out… আর দারান।
বলেই মোহনা ৪হাজার টাকা বের করে ১জনের হাতে দিলো ।
মোহনা : sorry… রাগ উঠলে মাথা ঠিক থাকেনা । তাই অমনটা করলাম । এই টাকাটা দিয়ে treatment করাবেন।
বলেই মেরিন ওই পথশিশুদের সাথে গিয়ে আবার join করলো । দীদা মুগ্ধ নয়নে তাকিয়ে রইলো । তখন সাগর ice cream নিয়ে এলো ।
সাগর : ডার্লিং তোমার ice cream …
দীদা : আরে সরা তোর হাত … রাখ তোর ice cream … দেখতে দে।
সাগর : কি এমন দেখছো? আমিও দেখি।
দীদা : দেখনা। কে মানা করলো। ওইযে আকাশী রঙের থ্রিপীছ পরা।
সাগর তাকালো।
সাগর : মোহোপাখি…
মোহনা চলে গেলো । দীদা সাগরের কাছে মোহনার গল্প জুরে দিলো। যে কি কি করলো মোহনা ।
দীদা : এরকম ১টা মেয়েকে যদি তোর বউ করে আনতে পারতাম দাদুভাই। আমার জীবনটা ধন্য হতো। চৌধুরীর বাড়ির উপযোগ্য বউ । এমন মেয়েকেই বিয়ে করবি বলে দিলাম।
সাগর : এমন মেয়েকে কেন দীদা ডার্লিং ? এই মেয়েকে কেন নয় ? ?।
দীদা : মানে ?
সাগর : খুব সহজ। বিয়ে করলে এই মেয়েকেই করবো। অন্যকাউকে নয়।
দীদা : সত্যি ?
সাগর : আবার জিগায় …
.
রাতে…
সাগরদের বাসায়…
রেদোয়ানের মেজাজ আজকেও খারাপ দেখে সবাই হাজার প্রশ্ন করলো। রেদোয়ান মেরিনের কাজগুলো মোহনার নামে বলল। কারন রেদোয়ানের কাছে মেরিনই এখন মোহনা ।
সাগর মনে মনে : এই মাইয়া বেছে বেছে আমার মামনি-বাবার সাথেই ঝামেলা করে কেন? এ তো প্যারার ওপর প্যারা তার ওপর প্যারা তার ওপর মহাপ্যারা। ধুর ভালো লাগেনা ।
.
নীড়দের বাসায়…
খাবার টেবিলে…
নিহাল-নীলিমার আজব reaction দেখে নীড় বেশ বুঝতে পারছে যে নির্ঘাত ২জনেক মনে আর মাথায় উল্টাপাল্টা কিছু ঘুরছে ।
নীড় মনে মনে : গায়ে পরে কিছু জিজ্ঞেস করিস না নীড়। চুপ থাক।
নীলিমা : বাবা নীড়…
নীড় : হামমম।
মনে মনে : হয়ে গেলো।
নীলিমা : বলছিলাম কি মেরিন কি তোমাকে accept করেছে ?
নীড় : মামনি… ওকে propose টপোজ কিছু করলামই না তবে ও accept কি করবে বলো দেখি…
নিহাল : তাহলে ২দিন ধরে কোন ঘোড়ার ডিমের মাথা করলা। আমি তো ডিজাইনারদের সাথে কথাও বলে ফেলেছি তোমাদের wedding dress up নিয়ে ।
নীড় : বাবা… মামনি কম ছিলো ? এখন আবার তুমিও???
নীলিমা : যেদিন নিজের ছেলের বিয়ের আশায় বুড়ো হবে সেদিন বুঝবে baby…
নীড় : মামনি i am not baby… আর যখন বলেছি যে মেরিনই হবে আমার বউ তখ…
২জন : কবে হবে?
নীড় : good night …
বলেই নীড় রুমে চলে গেলো ।
.
চলবে…