?ভোর? পর্বঃ ১২।
লেখিকাঃ আয়sha?
|
|
ভোর একটানে বাসায় এসে গাড়ী থামিয়ে আলোকে কোলে নিয়ে উপরে গেলো। আলোকে কোল থেকে নামিয়ে ভোর বেলকনিতে চলে গেলো। বেলকনিতে গিয়ে ইজিচেয়ারটাতে বসলো। আলোও কিছুক্ষণ পর গেলো। আলো গিয়ে ভোরের পায়ের ধুপ করে বসে পড়ে। ভোর চোখ খুলে আলোর দিকে তাকাঁয়…..
|
ভোরঃঃ আমি একটু একা থাকতে চাই।
|
আলোঃঃ আমাকে মাফ করে দিন।
|
ভোরঃঃ একটু একা থাকতে চাচ্ছি। প্লিজ
|
আলোঃঃ হুমমম…
|
আলো উঠে চলে যাচ্ছিলো তখন পিছনে ফিরে….
|
আলোঃঃ রিহাম আমাকে নষ্ট করতে চেয়েছিলো কিন্তু পারে নি। তবে শরীরে হাত দিয়েছিলো।
|
ভোরঃঃ তাই তো ওর হাতটা আগে ভেঙ্গে ওকে দুনিয়া থেকে সরিয়ে দিয়েছি।
|
আলোঃঃ হুমমম…
|
আলো রুমে এসে বেডে বসে কান্না করছে। ভোর একটু পর এসে আলোর পাশে বসলো।
|
ভোরঃঃ কান্না করো না। আমি আমি তোমাকে এতো ভালোবাসলাম তার মূল্য তুমি দিলে না? তুমি আমার ঠোঁটের ছাপ নিয়ে তারপর সিক্রেট রুমের দরজা খুলে তুমি রিহামের ঠিকানা ম্যানেজ করলা। কিন্তু ওখানে একটা ব্লু কালারের ডাইরি পড়ে ছিলো সেটা দেখলে না? ওটা পড়লে হয়তো এতকিছু করতে হতো না তোমাকে। আলো?
|
আলোঃঃ হুম ((ফুঁপিয়ে কেঁদে উঠে))
|
ভোরঃঃ তোমাকে আজ সবটা বলে দেই। চেয়েছিলাম তুমি আমাকে এমনিতেই ভালোবাসবে কিন্তু এখন বুঝলাম না তুমি আমাকে ভালোবাসতে পারবে না কোনদিন। আমিও আমার ভালোবাসাকে মেরে ফেলে দিয়েছি কিছুক্ষণ আগে।
|
যাইহোক নিশ্চয়ই রিহামের কাছে থেকে অনেক কিছুই জেনেছো তবুও বলছি রিহাম তোমাকে প্রথম থেকেই ভোগ করতে চাইতো কিন্তু আমি ওকে বুঝাতাম বাট ও বুঝতো না। তোমার মেসেজ গুলো আমিও পড়তাম। পড়তে পড়তে আমিই তোমাকে ভালোবেসে ফেলি। তোমার ছবি দেখার পর তোমার চোখের প্রেমে আরও পড়ে যাই। রিহাম তোমাকে দেখার পর ওর আরও তোমাকে ভোগ করার প্রবণতা বেড়ে যায়। তাই আমি রিহামের ফোনটাই গায়েব করে দেই। ফোনটা প্রায় একমাস পর অন করি আর তখন দেখি তোমার কত কত ফোন মেসেজ.. ইমু মেসেজ। তার ২মিনিটের মাথায় তুমি কল দাও। তখন ফোন ধরে বলেছিলাম আমি রিহাম। আমার গলায় অপারেশন হয়েছে তাই কন্ঠ চেঞ্জ হয়ে গিয়েছে। তুমিও বিশ্বাস করে নিলে। তারপর তোমার সাথে আস্তে আস্তে কথা বলা আর একদিন দেখা করা। তুমি রিহামকে দেখোনি কখনো তাই তোমাকে বিশ্বাস করানো কষ্ট হয়নি আমার আমিই রিহাম। হুম সব কিছু তোমাকে ভালোবেসে করেছিলাম। কিন্তু তুমি আমার ভালোবাসাকে পায়ে ঠেলে দিলে। বাসর রাতে তোমাকে অনেক কিছু সত্যি বললাম। তবুও তুমি আমাকে ছেড়ে চলে গেলে। আলো ভালোবাসা সহজে পাওয়া যায় না। আর তুমি এত ভালোবাসা পেয়েও তার মর্মতা দিলে না।
((দীর্ঘশ্বাস))
আমাদের ডিভোর্স খুব শীঘ্রই হবে।
|
বলে ভোর উঠে চলে যাচ্ছিলো…
|
আলোঃঃ I am pregnant… ((করুণ দৃষ্টিতে ভোরের দিকে তাঁকিয়ে পেটে হাত রেখে))
|
ভোর সাথে সাথে পিছনে ঘুরে..
|
ভোরঃঃ What???? ((অবাক কন্ঠে))
|
আলোঃঃ এক সপ্তাহ আগে জেনেছি আমি প্রেগন্যান্ট।
|
ভোর কি বলবে? কি করবে? বুঝতে পারছে না। তাই আলোর কাছে এসে আলোকে জড়িয়ে ধরে…
|
ভোরঃঃ আআআমাকে আগে কেননন বলোনি এএএটা? ((চোখে পানি টলমল))
|
আলোঃঃ এমনি….
|
এখনই জয়েন করুন আমাদের গল্প পোকা ফেসবুক গ্রুপে।
আর নিজের লেখা গল্প- কবিতা -পোস্ট করে অথবা অন্যের লেখা পড়ে গঠনমূলক সমালোচনা করে প্রতি মাসে জিতে নিন নগদ টাকা এবং বই সামগ্রী উপহার।
শুধুমাত্র আপনার লেখা মানসম্মত গল্প/কবিতাগুলোই আমাদের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত হবে। এবং সেই সাথে আপনাদের জন্য থাকছে আকর্ষণীয় পুরষ্কার।
গল্পপোকার এবারের আয়োজন
ধারাবাহিক গল্প প্রতিযোগিতা
◆লেখক ৬ জন পাবে ৫০০ টাকা করে মোট ৩০০০ টাকা
◆পাঠক ২ জন পাবে ৫০০ টাকা করে ১০০০ টাকা।
আমাদের গল্প পোকা ফেসবুক গ্রুপে জয়েন করার জন্য এই লিংকে ক্লিক করুন: https://www.facebook.com/groups/golpopoka/?ref=share
ভোর আলোকে ছেড়ে দিয়ে…
|
ভোরঃঃ তুমি প্রেগন্যান্ট। তার পরও তুমি রিহামের কাছে গিয়েছিলো? কেন আলো কেন? তুমি কি আমার বেবিকে নষ্ট করতে চেয়েছিলে??
|
আলো ভোরের মুখ চেপে ধরে…
|
আলোঃঃ না না। এমন কথা বলবেন না। আমি তো ওর মা। আমি ভেবেছিলাম হয়তো রিহাম বেবিসহ আমাকে মেনে নিবে কিন্তু আমি সম্পূর্ণ ভুল। আমাকে ক্ষমা করা যায় না? আমাকে আপনার ভালোবাসা আবার দেয়া যায় না?
|
আশা ভরা চোখ নিয়ে ভোরের দিকে তাঁকিয়ে বললো আলো। ভোর আলোর কাছ থেকে উঠে নিচে চলে গেলো। আলো ভোরের চলে যাওয়াতে কান্নায় ভেঙ্গে পড়লো। ভোরও ঐদিকে কাঁদছে আর ভাবছে… কেন করলো আলো এমনটা? কেন কেন কেন? ভোর মানতে পারছে|
হঠাৎ ভোরের কাঁধে কারো স্পর্শ অনুভব করলো। ভোর তাঁকিয়ে দেখে আলো। ভোর আলোর হাতটা সরিয়ে দিলো। আলো আবার হাতটা রাখলো। ভোর আবার সরিয়ে দিবে তখন আলো আরও শক্ত করে হাতটা কাঁধে রাখলো।
|
ভোরঃঃ কি চাই কি?
|
আলোঃঃ আগের ভোরের ভালোবাসা।
|
ভোরঃঃ সম্ভব না আর….
|
আলোঃঃ আমার জন্য না। আপনার সন্তানের জন্য।
|
ভোরঃঃ আমার সন্তানকে আমি ভালোবাসি আর বাসবো। সে নিয়ে আপনাকে ভাবতে হবে না।
|
ভোরঃঃ সন্তানের মা ভালোবাসায় ভুগবে। ভুগতে ভুগতে হয়তো মরেই যাবে।
|
ভোর আলোর মুখ চেপে ধরে…
|
ভোরঃঃ একদম চুপ একদম।
|
আলো ভোরের এই রাগান্বিত চোখ দুটো দেখে কেঁদে দেয় খুশিতে। ভোর কিছু না বলে আলোকে কোলে তুলে নিয়ে উপরে রুমে নিয়ে যায়।
|
ভোরঃঃ এ সময় বেশি সিঁড়ি আপ-ডাউন করা ঠিক না। আর ফ্রেশ হয়ে নিন।
|
আলোঃঃ যাবো না।
|
ভোরঃঃ কেন??
|
আলোঃঃ তুমি করে না বললে যাবো না।
|
ভোরঃঃ ওহ গড। ওকে ফ্রেশ হয়ে নাও। আর এসব আমার বেবির জন্য করছি আপনার জন্য না।
|
আলোঃঃ ওকে।
|
বলে আলো ফ্রেশ হতে চলে গেলো। ভোর শুয়ে পড়লো।
|
আলো ফ্রেশ হয়ে বের হয়ে ভোরকে শুয়ে থাকতে দেখে….
|
আলোঃঃ ফ্রেশ হবেন না?
|
ভোরঃঃ না।
|
আলোঃঃ প্রভাতের বাবা তো দেখি নোংরা।
|
ভোরঃঃ প্রভাত কে?
|
আলোঃঃ আমাদের ছেলে।
|
ভোরঃঃ হে লিসেন ওটা আমার মেয়ে প্রভাতী হবে। নট প্রভাত ওকে।
|
আলোঃঃ না। ওটা প্রভাত হবে।
|
ভোরঃঃ প্রভাতী হবে।
|
আলোঃঃ প্রভাত প্রভাত প্রভাত…
|
ভোরঃঃ প্রভাতী প্রভাতী প্রভাতী..
|
আলোঃঃ প্রভাত প্রভাআআআ… আহ..
|
আলো পেটে হাত দিয়ে হাল্কা চিৎকার দিয়ে উঠল। ভোর সাথে সাথে উঠে আলোর কাছে গিয়ে হুড়মুড়িয়ে….
|
ভোরঃঃ কি হয়েছে? কি.. ব্যথা লেগেছে…
|
আলোঃঃ হুমমমম…
|
ভোরঃঃ কোকোকোথায়?
|
আলোঃঃ এখানে…
|
বুকে হাত দিয়ে..
|
আলোঃঃ প্রভাত আসবে বলুন তাহলে সেরে যাবে।
|
ভোরঃঃ ওকে… প্রভাত- প্রভাতী দুজনই আসবে হ্যাপি??
|
আলোঃঃ হুমমম…খুব। আপনি এখন ফ্রেশ হতে যান।
|
ভোর ফ্রেশ হতে যাচ্ছিলো….
|
আলোঃঃ আমাদের ডিভোর্স কি সত্যি হবে?
|
ভোরঃঃ হ্যাঁ। আমার বেবি দুমিয়াতে আসবে তারপর। কিন্তু ডিভোর্স হবে। আপনার জন্য আমার ভালোবাসা মরে গেছে।
|
বলে ভোর ওয়াশরুমে চলে গেলো আর আলো অঝড়ে চোখের পানির বিসর্জন দিলো।
|
|
|
চলবে………..
((ভুল-ত্রুটি ক্ষমার চোখে দেখবেন। ধন্যবাদ☺))
((আমি বার বার অসুস্থ হয়ে পড়ছি তাই গল্প দিতে এমন লেট আর ছোট হচ্ছে। দুঃখিত ?))